#হৃদয়ের_সম্পর্ক (পর্ব ০৩)
#গল্পের_পাখি (শেফা)
·
·
·
তার চোখের মাঝের সুক্ষ রক্ত নালি গুলো আমি যেন গুনতে পারবো। চোখ গুলো হয়তো কাল রাতে নির্ঘুম ছিল। তার বরফ শীতল চাহনি একদম স্থীর। কী অদ্ভুত ব্যাপার। তার ওই বরফ শীতল চাহনিতেও আমি ঘামতে শুরু করলাম।
.
আমাকে একটানে সোজা করে দাড় করালো। আমি ব্যাথা পেলাম তবুও শান্ত হয়ে উত্তর দিলাম….
– “জ্বি হ্যা আমি আয়াতের কেয়ার টেকার।”
.
এরই মাঝে কোথা থেকে আয়াত ছুটে আমার পা জরিয়ে ধরে পিছন থেকে ওর বাবার দিকে উঁকি দিলো আর হেসে হেসে বলতে লাগলো,
.
-এতা আমাল ফেলেন্দ পাপায়। দেখো কত্ত সুইত। আমাকে বলেতে আমাকে থেলে কুথ্থাও যাবে না। তাই না বলো পাখি !
.
আয়াতের কথা শুনে ওর বাবা আমাকে শান্ত ভাবে বললো,
-কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানবেন।
.
.
আমরা সবাই এক সাথে ডাইনিং রুমে বসলাম। আমার আর আয়াতের বাবার মাঝখানে আয়াত বসলো। সে নিজে হাতে খেতে পারে না। আমিই আস্তে ধীরে ওকে খাওয়াতে লাগলাম আর আয়াতও কোনো বাহানা করলো না, না খাওয়ার জন্য। আয়াতের দাদু দাদীর দিকে চোখ পরতেই মনে হলো তারা দুজন মন ভরে, বহু বছরের আকাঙ্খিত দৃশ্য দেখছে। যে দৃশ্য দেখার জন্য অনেক গুলো বছর তাদের চোখ গুলো ক্লান্ত হয়ে ঘুরে ফিরছে। এরপর আয়াতের দাদু ওর বাবাকে বললেন,
.
-আরিয়ান তুমি কি আজ ডিউটি থেকে জলদি ফিরতে পারবে? ব্যবসার কিছু কাজে দরকার ছিল তোমাকে।
.
-জ্বি।
.
আমি আজ জানতে পারলাম আয়াতের বাবার নাম আরিয়ান। অতঃপর খাওয়া শেষে আরিয়ান চলে গেল তার ডিউটিতে আর ওর দাদু তার অফিসে। বাড়িতে রয়ে গেলাম আমি, আয়াত, ওর দাদি আর দুজন কাজের লোক।
.
আয়াত যেন এক সেকেন্ড এর জন্যও আমার হাত ছারতে চাইনা। ছেলেটা আমার মাঝে কি পাচ্ছে কে জানে। তবে আমি ওর মাঝে আমার না পাওয়া গুলোকে খুঁজতে লাগলাম। সারা দিন আমাকে ওর দৌর ঝাঁপ আর দুষ্টুমিতে ব্যস্ত করে রাখলো। আর এই ব্যস্ততারই বড্ড অভাব আমার নিঃসঙ্গ জীবনে। আমার কোলে বসে ওর ছোট্ট ছোট্ট হাত দিয়ে আমার দুই গাল ধরে যখন আদর করে তখন খুশিতে যেন আমি কাঁদতেও ভুলে যায়। ওকে গোসল করাতে গিয়ে ওর পানি নিয়ে খেলা করা দেখে মনে হলো ও রাজহাঁসের ছোট্ট একটা বেবি। কতো যে ওর দুষ্টুমি সারাদিন। আমি তো মাঝে মাঝে এটাই ভুলে যাচ্ছিলাম যে আমি ওর মা না। ওর কেয়ার টেকার।
.
ওকে দুপুরে খাওয়ায় দিয়ে ঘুম পারিয়ে দিলাম। ঘুমের মাঝে আমাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরলো যে ওকে দেখে আমার মনে হলো ওর বুকের মাঝে মায়ের আসনে আমার নামটা মমতা দিয়ে ক্ষুধিত করে রেখেছে।
.
ভাবলাম এটাই সুযোগ। এই সুযোগে ওকে বুকে জরিয়ে নিয়ে মন ভরে একটু কান্না করে নিই। এখন আমাকে কেউ দেখবে না। ওর দাদি তো নিচে। এই ভেবে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগলাম। গত চারটা বছর বুকের মধ্যে কষ্ট গুলো জমিয়ে রেখে যে প্রাসাদ আমি তৈরী করেছি, ভেঙ্গে সে প্রাসাদের প্রতিটা টুকরোকে চোখের পানিতে ভাসিয়ে দিতে লাগলাম। হৃদয়ের মধ্যে কেমন সুখ সুখ অনুভূতি হলো। মনে হলো এতো কাল যে কষ্টের পাথর আমি বয়ে নিয়ে বেরাচ্ছি তা যেন বিলীন হতে লাগলো।
.
কিন্তু ভাগ্যে দুর্গতি থাকলে যা হয়। সামনে তাকিয়ে দেখি আয়াতের বাবা আরিয়ান দাড়িয়ে আছে। আমাকে কাঁদতে দেখে তার মোটা ভ্রুযুগল কুঞ্চিত হলো না। বরং দেখলাম সে খুব শান্ত হয়ে আমাকে দেখছে। তার ছেলেকে আমি বুকে জরিয়ে ধরে কাঁদছি, এটা যেন তার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য,,, তাকে দেখে আমার এটাই মনে হলো। ধীর পায়ে সে কাছে আসলো, আমার চোখের পানি মুছাতে ওনার ডান হাত আমার গালে স্পর্শ করলো। কিন্তু কি ভেবে সে পানি গুলো মুছলো না। মাথাটা ডানে বামে দ্রুত কয় এক বার নাড়ালো। যেটা আমরা না বোধক উত্তর দিতে করে থাকি। তার চোখ দুটো আমাকে বলতে শুরু করলো যে, তোমার মায়াবী চোখের মুক্তোদানা গুলো যদি মুছে দিই, তাহলে আমার দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর দৃশ্য তার সৌন্দর্য হারাবে। আমার গাল থেকে আস্তে করে হাত টা নামিয়ে নিলো। পিছন দিকে না ঘুরেই আস্তে আস্তে এক পা এক পা করে পিছাতে থাকলো। দরজার কাছে গিয়ে আরও কিছুক্ষণ আমাদের দেখলো। তারপর পিছন ঘুরে গটগট করে চলে গেল।
.
এতো ক্ষণে বুকের জমানো নিঃশ্বাস গুলো ছেড়ে দিলাম। চোখ মুখ মুছে আয়াতকে ভালো করে শুয়ায়ে দিলাম বিছানায়। উঠে যেতে নিলেই দেখি পিচ্চিটা আমার আঁচল মুট পাকিয়ে ধরে রেখেছে। ছেলেটা আমার আঁচল ধরে রাখে কেন আমি বুঝি না। নিচে নামতেই আয়াতের দাদী আমার হাত ধরে কিচেনে টেনে নিয়ে গেলেন। আমাকে বললো প্রায়ই নাকি আরিয়ান লাঞ্চ টাইমে বাড়িতে খেয়ে যায়। আমাকে খাবারের বাটি গুলো হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো আরিয়ানের দেরি হয়ে যাচ্ছে, ওকে খাবার সার্ভ করে দাও মা। আমি ব্যস্ত।
.
কতো নিঃসংকোচ আবদার। অতঃপর তিনি সোফায় গিয়ে খবরের কাগজ পড়তে লাগলেন। আর খাবারের বাটি হাতে হা করে কিচেনে দাড়িয়ে রইলাম। এদিকে ডাইনিং এ বসে আরিয়ান ষাঁড়ের মতো চিল্লাইতে লাগলো “মা আমার খাবার কই” করে। আরিয়ানের চিল্লানো শুনে ওনার মা আরও পায়ের উপর পা তুলে আয়েশ করে বসলেন। আড়চোখে বা সোজা চোখে, কোনো চোখেই তিনি আমার দিকে আর তাকালেন না। আহাঃ উনি কতোও ব্যস্ত। কি আর করার আমিই গেলাম খাবার সার্ভ করতে। আমাকে খাবার দিতে দেখে আবারও তার শীতল চাহনি নিক্ষেপ করলেন। যা আমাকে অস্বস্তিতে ফেলার কার্যকর হাতিয়ার।
.
আরিয়ান চলে যাওয়ার পর ওনার মা আমাকে সাথে নিয়ে খায়তে বসলেন। তারপর খাওয়া শেষে আমার একপাশ জরিয়ে ধরে বললেন “মা আয়াত আর আরিয়ানে রুম দুটো একটি গোছায়ে দিবে? আয়াতের পাশের রুমটা আরিয়ানের। ” আমিও ভদ্র মেয়ের মতো বললাম “ঠিক আছে”
.
গেলাম প্রথমে আয়াতের রুম গোছাতে, কিন্ত রুমটাকে আমার অগোছালো মনে হলো না। সব তো গোছানোই। তবুও সব নেড়েচেড় দেখে গুছিয়ে রাখলাম। এখানে আমি ওর জন্যই এসেছি। ওর সব কিছু কোথায় কি আছে আমার জানা প্রয়োজন। আয়াত এখনোও উঠি নায়। আমি গেলাম পাশের রুমে। গিয়ে আমি পুরা তব্দা খেয়ে গেলাম। সব কিছু একদম ওগোছালো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এটা রুম না চিড়িয়াখানা ! কি জানি,,,, এই ঘরের বাসিন্দা কিভাবে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর হতে পারে বুঝতে পারলাম না। তারপর সব ধীরে ধীরে গোছায়ে রাখলাম। এই লোক যেন আয়াতের থেকেও ছোট উফফ্। কিন্তু কোথাও আয়াতের মায়ের কোনো ছবি দেখলাম না।
.
আজ যেহেতু আমার প্রথম দিন আর বিকাল হয়ে গেছে তাই আন্টিকে বলে সন্ধ্যার আগেই বাসায় চলে যেতে চাইলাম। তিনিও হাসি মুখে আমাকে অনুমতি দিলেন। আমি আয়াতের রুমে আর একবার ওকে দেখে যেতে চাইলাম।
.
দেখলাম সে এখনো ঘুমে। বুঝতে পারছি না ও এতো কেন ঘুমাচ্ছে। খুব ক্লান্ত নাকি বরাবরই বেশি ঘুমায় ? নাকি আজ ওকে মমতা দিয়ে কেউ ঘুম পাড়িয়েছি বলে ? কি জানি কি হয়েছে। ওকে আদর করে দিয়ে বের হয়ে আসলাম। বাড়ির দরজা থেকে বের হবো তখন আবার আঁচলে টান পরলো। আয়াত কি উঠে গেল ! পিছন ঘুরে দেখলাম আয়াত না, আয়াতের দাদী। জিগ্যেসু দৃষ্টিতে তাকাতেই তিনি আমার আঁচল পিঠের উপর দিয়ে ঘুড়িয়ে ডান কাঁধে দিয়ে দিলেন। একটু ধমকের গলায় বললেন “এমন খোলা মেলা চলাফেরা আমি একদম পছন্দ করি না।”,,,
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ভেতরে চলে গেল। আমিও বাড়িতে রওনা দিলাম। ভাবছি এই কয় এক ঘন্টায় মহিলাটি আমার সাথে খুব মিশে গেছে। আমার উপর তার অধিকার বোধ দেখে বেশ অবাক হলাম। আয়াতের সাথে সারাদিন থেকে বেশ হালকা লাগছে মনটা।
.
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে আম্মুকে আজ সারা দিনের বর্ননা দিলাম। আম্মু বেশ খুশি আমাকে হাসতে দেখে। রাতে খাবার খেয়ে রুমে এসে পার্স থেকে ফোন বের করতে ফোনের সাথে একটা চিরকুট বেরিয়ে আসে। দেখলাম তাতে লেখা,
.
“তোমার হাস্যউজ্জল মুখের থেকে কান্না জরিত মুখ বেশি মায়াবী। একদিন তোমার কাছ থেকে খুব প্রিয় কিছু কেঁড়ে নিবো, তারপর সারা রাত আমার চোখের সামনে বসায়ে রাখবো। তুমি খুব কাঁদবে, আমি মন ভরে দেখবো।”……….
.
কে দিলো এই চিরকুট এটা ভাবতে ভাবতে ঘুমে তলিয়ে গেলাম। সকালে যখন আবার আমি আয়াতদের বাড়িতে গেলাম তখন আমাকে আন্টি জানালো আয়াত কাল ঘুম থেকে উঠে আমাকে না পেয়ে খুব কান্না করেছে। রাতে তাকে কোনো খাবার খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। আজ থেকে যেন রাতে আয়াতকে খাওয়ায়ে, ঘুম পাড়ায়ে তবেই বাসায় ফিরে যায়। আর রাত করে ফিরার জন্য আরিয়ান নিজে আমাকে পৌছে দিবে।
.
বাড়িতে ঢুকতেই আরিয়ানের ষাঁড়ের মতো চিল্লানি, “মা আমার নীল ফাইল কই, সাদা সার্ট কই, কালো প্যান্ট কই ?” আর আন্টিও খুব সুন্দর মতো আঙ্গুল দিয়ে দেখাইয়ে দিলেন আমাকে। উফফ্ এরা পেয়েছে কী আমাকে,,,, মুখ বুজে সব হাতে ধড়িয়ে দিচ্ছি। রাগে আমার মাথা ফেটে পরছে।
.
এরপর থেকে আর আন্টি কখনো আরিয়ানে ঘর গোছায় নি। আমাকেই কোনো না কোনো বাহানায় এ দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে।
.
এভাবেই আমার দিন গুলো কাটতে লাগলো। আয়াত এবং আমি দুজন দুজনার মায়ায় গভীর ভাবে জড়িয়ে যাচ্ছিলাম। বাড়িতে গিয়ে একদম আমার মন কে আমার কাছে রাখতে পারতাম না। নিজের বুকে ওকে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ মনে করতে লাগলাম। ও আমার চোখের আড়াল হলে আমার জান ছুটে যাওয়ার অবস্থা হতো। আয়াতও আমাকে ছাড়া খুব কান্নাকাটি করতো। আমি ছাড়া কেউই ওকে সামলাতে পারতো না। আমার আম্মু আয়াতের প্রতি আমার মমতা দেখে মনে নতুন আশা বাঁধতে লাগলেন। মাঝে মাঝেই আরিয়ানের বিষয়ে জিগ্যেস করতো। আর আরিয়ান,,, সে তোহ প্রতিদিন শত সহস্রবার তার শীতল চাহনী দিয়ে আমার হৃদপিণ্ডে সুঁচ ফুটাতে লাগলো….
.
দিন পনেরো পর একদিন আয়াত খুব জিদ করতে লাগলো সে আমার সাথে ঘুরতে যাবে। না পেরে রাজী হতে হলো আমাকে। আয়াতকে তৈরী করে আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম। যা পরে আছি তা পরেই যেতে হচ্ছে। কিন্তু আন্টি আমাকে নিয়ে গেল তার রুমে, তার খুব সুন্দর একটা নীল রং এর সুতি জামদানী বের করে দিলেন। জোর করে পরিয়েও দিলো। এইবার তার হাতের কাঁকন আর দুলও পরিয়ে দেওয়ার আবদার ধরলেন। আমিও জোর কন্ঠে তার আবদার নাকচ করে দিলাম। যাওয়ার আগে আয়নায় নিজেকে দেখলাম। এভাবে আয়নায় নিজেকে অনেক দিন দেখি না। শাড়িটাই আমাকে খুব সুন্দর লাগছে। চুল গুলো হাত খোঁপা করে কাঠি গুঁজে দিয়েছি। কানে ছোট টপ, গলাই ফিনফিনে চেইন আর হাতে ঘড়ি। বাড়ি থেকে বের হতে নিলেই দেখি আরিয়ান গাড়ি নিয়ে বাড়িতে ঢুকছে। আমাকে কিছু ক্ষণ চোখ দিয়ে স্ক্যান করলো। আর আয়াতকে বললো “কোথায় যাচ্ছো বাবা?”
-আমলা আজ ঘুলতে, বেলাইতে যাত্তি পাপায়।
.
কথাটা শুনে উনি আবার সেই আগের মতো ভ্রু দুটো কুঁচকালেন। যেন উনার ছেলেকে আমি পাচার করতে যাচ্ছি। মনে মনে বললাম “আশ্চর্য,,,,, উনি পুলিশ ইন্সপেক্টর বলে কি সবাইকে চোর হতে হবে ? ”
.
গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
.
-একা একা কোথাও যাওয়া চলবে না। পাঁচ মিনিট বসো, আমি এখনি আসছি।
.
এতে আমি বিরক্ত হলেও আয়াত, আর ওর দাদা দাদী খুশিতে ফেটে পরলো। কিছুক্ষণ পর দেখলাম আরিয়ান সিঁড়ি দিয়ে নামছে। সে গাড় নীল রংয়ের সার্ট পরছে, আর সাদা গ্যাবাডিং এর প্যান্ট, কালো বেল্ট, হাতে কালো বড় ডাইলস্ এর ঘড়ি। সে যতক্ষণ ধরে নামছিল ততক্ষণ তাকে দেখলাম। কেন জানি মনে হলো সিঁড়িতে আরও ১০/২০ টা ধাপ বেশি হলে হয়তো ভালো হতো।
.
আরিয়ান এসে আমার পাশে দাড়ালো। তারপর আয়াত আমাদের মাঝখানে এসে আমার আরিয়ানের হাত ধরলো। হঠাৎ আন্টি এসে আমার চুল থেকে থেকে কাঠিটা নিয়ে নিলো। চুল গুলো পিঠে ছড়িয়ে দিয়ে বললো “এখন সুন্দর লাগছে।”
.
যেতে যেতে আন্টির বলা প্রথম দিনের কথা মনে পরলো। এখন কি আমি খোলামেলা ভাবে বাইরে বের হচ্ছি না ! এখন কেন তার রাগ লাগছে না!
.
পিছন ঘুরে তার দিকে তাকালাম একবার। দেখলাম তার চোখভর্তি পানি গাল বেয়ে পরে যাচ্ছে। আর আংকেল সযত্নে পানি গুলো মুছে দিচ্ছে।
.
আয়াত আর আরিয়ানের দিকে তাকাতেই বুকের মধ্যে ধক করে উঠলো,,,,,,,, এখন কি আমার পাশে আমার সন্তান আর ফাহাদের থাকার কথা ছিলো না ?
·
·
·
চলবে………………….