অন্তরালের কথা পর্ব ৫৩

#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৫৩
.
.
“ক’দিন পর আমাদের ভাগিনা কিংবা ভাগিনী আসবে।এখন কোনো এপ্লাই টেপ্লাই করার প্রয়োজন নেই। ভাগিনা ভাগিনী আগে আসুক আমাদের কোলে তারপর দিনরাত এপ্লাই করো কেমন।”
“হ্যাঁ, ঠিক বলেছিস।তানহার প্ল্যান শুনে তো মাথা পুরো হ্যাং হয়ে গিয়েছিল তাই নতুন অতিথি আসার কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। ইচ্ছে তো হচ্ছিল এখনই….সে যাই হোক পরবর্তী থেকে এই ভুল না হলেই হলো।”
দু ভাইয়ের কথোপকথন শুনে তানহা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।বলল,
“এই তোমাদের দুজনের কি লজ্জা সরম বলতে কিছুই নেই? একজন বড় ভাইয়ের সামনে যাচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে আর একজন ছোট ভাইয়ের সামনে। কথার কী ছিড়িরে বাবা!”
অতল ভ্রু কুচকে বলল,
“আমরা আবার কী করলাম? করলে তো তুমি আর দোষ দিচ্ছ এখন আমাদের!বাব্বাহ, ভালো তো।”
“কি! আমি…..আমি বলেছি? ”
অতল ভ্রু নাচিয়ে বলল,
“হ্যাঁ, মানছি আমরা ডিরেক্টলি বলেছি আর তুমি ইনডিরেক্টলি। কিন্তু বলেছ তো.. আর ইনডিরেক্টলি হলেও প্ল্যানটাও তো তুমিই করেছ। তাহলে আমরা ডিরেক্টলি বললে দোষটা কোথায়? ”
অতলের সুরে সুর মিলিয়ে তিহান দাঁত চেপে বলল,
“হ্যাঁ, তাই তো।ভাইয়া তো এক্কেবারে সত্যি কথা বলেছে। আমরা না’হয় ডিরেক্টলি বলেছি কিন্তু তুমিও তো ইনডিরেক্টলি বলেছ তাও আবার আমাদের আগে। তাহলে এই দুষ্টুমিষ্টি আলাপের উৎপত্তিস্থল তো তোমার থেকেই। তাহলে আমরা দোষী হবো কোন দুঃখে হুহ?”
তানহা চোখমুখ কুচকে বলল,
“এর জন্যই বাঙালী জাতিকে কোনোকিছুতে সাহায্য করতে নেই। যে উপকার করবে তার ঘাড়ে লাথি পড়বে এটাই স্বাভাবিক।”
তানহার গাল ফুলানো দেখে অতল হেসে বলল,
“আরে বাবা রাগ করছ কেন,আমরা দু’ভাই মিলে একটু দুষ্টুমি করি এটাও বুঝো না? আচ্ছা বেশ, যাও আর কোনো রকম দুষ্টুমি করব না তোমার সাথে। তাও রাগ করে মুখ ফুলিয়ে রেখো না প্লিজ।”
“না,তুমি এরকম সবসময়ই করো তোমার কথার ঠিক নেই। প্রতিবারই সরি বলো কিন্তু পরক্ষনেই আবার একই কাজ করো। ভালো লাগে না আমার! ”
“আহারে, আমার বউটার এতো খারাপ লাগে আগে তো জানতাম না।তবে এবার সত্যি বলছি আর কক্ষনো অকারণে তোমাকে রাগানোর চেষ্টা করব না,এমনকি দুষ্টুমিও করব না। এই লাস্ট বারের মত ক্ষমা করে দাও প্লিজ।”
তিহানও মিনতি করে বলল,
“হ্যাঁ তানহা, এবারের মতো ভাইয়াকে ক্ষমা করে দাও। তুমি মনভার করে থাকলে যে,ভাইয়ার হাসিখুশি মনটাও ভার হয়ে যাবে। তারচেয়ে ভালো সব ভুলে তুমিই নরমাল হয়ে যাও আর আমার সমস্যা নিয়ে ভাবো। কারণ তোমাদের এই সমস্যা তো অপশনাল আর আমারটা জীবন মরন।”
তানহা ভ্রু কুচকে অতলের দিকে তাকিয়ে বলল,
“সত্যি বলছ তো আর অকারণে মজা করবে না?”
“সত্যি মানে তিন সত্যি বলছি আর এ ভুল হবে না।আমার বউয়ের যেটা খারাপ লাগে সেটা আমি জানা সত্ত্বেও করব এটা কি কখনো হতে পারে বলো।”
তানহা একগাল হেসে বলল,
“বেশ তাহলে এবারের মত ক্ষমা করে দিলাম। তবে…..আর যদি এই কাজের পুনরাবৃত্তি দেখি তাহলে তোমার একদিন কি আমার দশদিন। ”
তানহার কথা শুনে অতল তিহান দু’জনেই হো হো করে হেসে ফেলল।
এরই মাঝে অতলের ফোনের রিং বাজতেই ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে বলল,
“ও হো তানহা,তোমাকে একটা কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। আমার জরুরী একটা কাজ আছে তাই এক্ষুনি আমাকে সেখানে যেতে হবে। আমার দেরি হওয়ায় অলরেডি সেখান থেকে কল এসেও পড়েছে।মাত্রই তো ছাদে উঠলে তাই তুমি কিছুক্ষণ বসো তারপর নিচে চলে যেও। আর হ্যাঁ, এ শরীরে বেশিক্ষণ কিন্তু ছাদে থেকো না কেমন।”
তানহা ঠোঁট বাকিয়ে বলল,
“তোমার এক্ষুনি যেতে হবে? পরে গেলে কি হবে না?”
“হবে না বলেই তো যাচ্ছি নয়তো কি তোমাকে ফালিয়ে যেতাম?”
“কী বলে আমাকে ছাদে আনলে আর কী করছ ভালো লাগে না। ”
“রাগ করো না প্লিজ। কাজটা জরুরী না হলে আমি কখনোই যেতাম না। তবে হ্যাঁ, যেহেতু যেতেই হচ্ছে সেখানে দেরি করব না।যত দ্রুত সম্ভব কাজ সেরেই ফিরে আসব কেমন।”
“আচ্ছা যাও কিন্তু,কাজ শেষ হতেই কোত্থাও সময় নষ্ট না করে দ্রুত চলে আসবে।”
“আচ্ছা বাবা দ্রুতই আসব।”
বলেই তিহানের কাঁধে হাত রেখে বলল
“ভাই,বেশি দেরি করিস না, বুঝিসই তো কেবলই কনসিভ হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক না তাও আবার এই বিকেল সন্ধ্যের মাঝামাঝিতে সময়ে।”
“তুমি ওতো ভেবো না তো ভাইয়া। আমি আছি তো না-কি!”
অতল মুচকি হেসে বলল,
“আচ্ছা,তাহলে যাওয়ার সময় সাবধানে নিয়ে যাস কেমন।”
“আচ্ছা আচ্ছা, সাবধানে নিয়ে যাবো।”
তানহার কপালে হাত রেখে মুচকি হেসে বেড়িয়ে গেল অতল।
.
বেশ কিছুটা সময় এদিক ওদিক হাঁটা হাঁটি করার পর ক্লান্ত হয়ে গেল তানহা। তিহানের পাশে বসে বলল,
“অনেক হেঁটে ফেলেছি আর পারছি না।”
“হুম, এক্কেবারে ঘেমে গিয়েছ।এখন একটু বসে বিশ্রাম নাও তো।”
” আর বুঝি না এতো হাঁটাহাঁটির কি আছে?কেবলই তো কনসিভ হলো এখনই কেউ এত হাঁটাহাঁটি করে না-কি? কয়েকমাস পার হলে তো হাঁটাহাঁটি করতে হয়। কিন্তু কে বুঝাবে এসব কথা তোমার ভাইকে ভালো লাগে না।”
“আহা!রাগ করছ কেন,ভাইয়া তোমার খেয়াল রাখে বলেই তো এরকম করে তাই না?”
“ভাইয়ার হয়ে সুপারিশ করতে হবে না। হুহ…”
“হা হা… হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে ভালোই রাগ উঠে গিয়েছে দেখি।”
“বেশি কথা বললে কিন্তু….”
“থাক থাক,আর কিচ্ছুটি বলব বা সরি।”
তিহান মুখে আঙুল দিতেই তানহা চুপসে গেল। মিনিট পাঁচেক যেতেই বলল,
“এখন নিদ্রাকে কাছে পাবার প্ল্যানটা কেমন লাগল শুনি?”
তানহার কথা শুনে তিহান দাঁত কেলিয়ে বলল,
“তোমার প্ল্যান আবার ভালো হবে না তা কখনো হয়েছে? বরাবরের মতো এবারও সেই লেভেলের প্ল্যান করেছ তুমি।”
তানহা একগাল হেসে বলল,
“প্ল্যানটা ভালো হলেই হলো না কাজে লাগানোটা বড় কথা। তবে আমি জানি প্ল্যান যত ভালোই হোক না কেন,তুমি সেটা ঠিকমত কখনোই কাজে লাগাতে পারবে না। বদভ্যাস বলে কথা!”
“এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না তানহা। আগের আমি আর এখনের আমি কি এক না-কি যে, তুমি দুই আমিকে এক করে ফেলছ। আগে তো আমার নিহান সোনা ছিল না আর এই বয়সটাও ছিল না। তাই বোধবুদ্ধি কমই ছিল।কিন্তু, এখন বোধবুদ্ধি যথেষ্ট আছে সেই সাথে আমার নিহানকেও বাবা মায়ের পরিপূর্ণ ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করার জেদ রয়েছে। এবার যে আমাকে পারতেই হবে।”
“বাবা হওয়ার খুশি উপচে পড়ছে মনে হয়!তবে হ্যাঁ,জীবনে স্প্রিট থাকা বেশ ভালো।”
তিহান মুচকি হাসল তানহার কথা শুনে। বলল,
“স্প্রিট শুধু আমার না তোমারও আছে।আর এই স্প্রিট আছে বলেই কিন্তু দু’জনের পথ আলাদা হতে পেরেছে। নয়তো…… ”
“সত্যি তিহান, আজ এই চাওয়া পাওয়াকে ঘিরেই কিন্তু আমাদের এই অশান্ত মনগুলোকে শান্ত করতে পেরেছি আর সেটা মন থেকেই পেরেছি। আগের মতো মনে এক আর মুখে এক সম্পর্কের বাঁধনে জড়ানোর কোনো প্রয়োজনই পড়ে না।”
“হুম,আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া যে,আমি মন থেকে তোমাকে ভুলে নিদ্রাকে ভালোবাসতে পেরেছি। বিশ্বাস করো এই তিন সন্ধ্যার এক সন্ধ্যা বলছি আমার মনে তোমার জন্য বড় ভাইয়ের বউ ব্যাতীত আর কোনো স্থান নেই। আমার মন গভীর জুড়ে যে রয়েছে কেবল আমার নিদ্রা। আমার সন্তানের মা।আমার ভবিষ্যৎ।”
“একই হাল যে আমারও তিহান। আমার ভুবন জুড়ে যে কেবল অতলের বাস। সেখানে তিহান নামক ছায়া কেবলই ছোট ভাই হতে পারে এর থেকে বেশি কিছু নয়। আর এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে কেবল আল্লাহর ইচ্ছায় এবং তিন অক্ষরের কবুলের অধিকারে।”
“আল্লাহর কাজ সবই মঙলজনক। তাই তো আজ আমরা সকলেই পরিপূর্ণ। ”
“সে কি আর বলতে!”
বলেই মুচকি হাসল তানহা।সেই সাথে হাসল তিহানও। তবে তাদের হাসির আড়ালে হাসল আরও দুটো টোল পড়া গাল। হ্যাঁ, অতল…অতলও হেসেছিল তাদের দুজনের হাসির সাথে। অতলের যে কোনো জরুরি কাজ ছিল না, সে যে তানহা তিহানকে সবার অগোচরে মনের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিল। তাই তো এতক্ষণ যাবৎ সিড়ি কোণ বেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল সবার আড়ালে তাদের কথোপকথনের বিষয়বস্তু জানতে।তাদের বর্তমান মনের আভাস জানতে। যার ফলেই তার এই ফুরফুরে হাসির উদ্ভাবন। তানহা ও তিহানের মনে প্রশান্তির আভাস দেখে অতল মুচকি হেসে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে বিড়বিড় করে বলল,
“জোর না,ভালোবাসাই পারে ভালোবাসাকে আকঁড়ে ধরে রাখতে।”
দূর থেকে মাগরিবের আযান ভেসে আসতেই তিহান চমকে গেল! বলল,
“দেখেছ সন্ধ্যা বসে গেল আর তুমি এই শরীর নিয়ে এখনো ছাদে!ভাইয়া জানলে আমাকে আস্ত রাখবে না। চলো চলো,ঘরে চলে যাই।”
চারিদিকের আযান ও তিহানের কথা শুনে তানহাও চোখমুখ বড় করে দ্রুত পথ ধরল ঘরে যাওয়ার।
.
নিহানকে ঘুম পারিয়ে কেবলই নিদ্রা কোমড় টানটান করেছিল গোসল যাবে বলে। এর মাঝে তিহান এসে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল,
“আলমারির নিচের তাকে একটা কালো রঙের ফাইল আছে দাও তো।”
নিদ্রার মোটেও ইচ্ছে করছে না এই মুহুর্তে ঝুঁকে তিহানকে ফাইলটা দিক। নিহানকে কোলে নিয়ে ঝুঁকে বসে থাকতে থাকতে কোমড় জ্যাম হয়ে গিয়েছে তার, একটু আগে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েই কোমড় সে ঠিক করেছিল। এখন আবার ঝুঁকতে গেলেই ব্যাথা শুরু করবে। কী করবে সে কিছুই বুঝতে পারছে না।
এদিকে নিদ্রাকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিহান বলল,
“কী হলো কথা কানে যাচ্ছে না বুঝি? কখন বলেছি ফাইলটা দিতে আর এখনো সেই আগের মতোই দাঁড়িয়ে আছো ব্যাপার কি?”
নিদ্রা কিছু না বলে চুপচাপ ফাইলটি নিয়ে তিহানের হাতে দিয়ে দিল। তিহান ফাইলটি কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিদ্রার সামনে ধরে বলল,
“না,এটা সেই ফাইল না, আর এই ফাইল আমার প্রয়োজনও নেই। এক কাজ করো এই ফাইলটা আগের জায়গাতেই রেখে দাও যদি কখনো কাজে লাগে দেখা যাবে।”
নিদ্রা এবারও কিছু না বলে ফাইলটি রেখে ওয়াশরুমের দিকে এগুতে নিলে তিহান পরনের শার্ট খুলে কাঁধে তোয়ালে পেঁচিয়ে বলল,
“দেখি সাইড দাও তো গোসলে যাবো। অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে এর থেকে দেরি করে গোসল করলে মাথা ব্যাথা শুরু হতে টাইম নিবে না আমার।”
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে কেবল ১২:১০ বাজে। নিদ্রার বুঝতে সময় লাগল না তিহান যা করছে ইচ্ছে করেই করছে। রাগ সামলাতে না পেরে কড়া গলায় বলল,
“এসবের মানে কী?তখন একটু স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম যা দেখে আপনার সহ্য হলো না, তাই ঘরে এসেই ফাইলের ছুঁতো দিয়ে আর দাঁড়াতে দিলেন না। এখন গোসল যেতে চাচ্ছি তাও দিচ্ছেন না।কাহিনীটা খুলে বলুন তো দেখি।”
“নিজের বিয়ে করা বউকে ছোট্ট একটা কাজ দিয়েছি এতে কাহিনীর কী থাকতে পারে?আর গোসলের কথা যদি বলো সেতো আমি রোজই এসময়ে করি এ আর নতুন কী!”
“সত্যিই কি রোজ এই সময়েই গোসল করেন না-কি আরও পরে বা আগে কোনটা?”
“আগে করি আর পরে করি কিন্তু করি তো,তাহলে এতো কথা কেন হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না।”
বলেই মুখ চেপে হেসে ওয়াশরুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিল তিহান। এদিকে নিদ্রা ঠাই দাঁড়িয়ে নিজেকে সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে।তার রাগে যে মাথা ফেঁটে যাওয়ার অবস্থা। রাগের মাত্রা অতিরিক্ত হওয়ায় একবার কপালের বা’পাশের রগ ফুলে যাচ্ছে তো একবার ডানপাশের। আর যাই হোক
মিথ্যে ছুঁতো নিদ্রা কখনোই পছন্দ করে না।
দাঁত কিড়মিড়িয়ে বিছানার উপর বসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করতে লাগলো নিদ্রা।এরই মাঝে ওয়াশরুম থেকে ডাক পড়ল নিদ্রার।তিহান সাবান মাখানো চোখমুখ বের করে বলল,
“চোখে যেন কী পড়েছে। ভীষণ জ্বালা করছে একটু তাড়াতাড়ি দেখে যাও তো।”
এতক্ষণ বিড়বিড়িয়ে হাজারো বকাঝকায় তিহানকে ভরিয়ে দিলেও তিহানের যন্ত্রণার কথা শুনে মুহূর্তের মাঝে সব ভুলে দৌঁড়ে গেল তিহানের কাছে নিদ্রা।ওড়না দিয়ে সাবান মুছে চোখে ফু দিতে দিতে বলল,
“কী যে করেন না আপনি!একে তো চোখে জ্বালা করছে তারউপর সাবানের ফেনা নিয়ে চোখে বসে আছেন।আরে পানি দিয়ে সাবানের ফেনা ধুলেও তো সামান্য শান্তি লাগতো আর চোখটাও পরিষ্কার হতো।”
“প্ল্যানটা তো আর সাকসেস হতো না।”
“কী…. কী বললেন?”ভ্রু কুচকে বলল নিদ্রা।
তিহান থতমত খেয়ে বলল,
” না মানে…..আহ্! আমার চোখ…. ”
বলেই চোখে হাত দিয়ে চেপে নিচু হতে লাগল তিহান।
তিহানের মাথা উঁচু করে কপালে হাত চেপে চোখে অনবরত ফু দিতে লাগল নিদ্রা। তিহানের চোখ মিটমিট করে খুলতেই নিদ্রা ভালো করে তাকিয়ে বলল,
.
.
চলবে….
)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here