#অন্ধপ্রেম
#Writer_Shabnaj_Hossain_Moon
#Part_15
শীতলের বিষয়টা অবাক লাগলো …
রাজ শুধু তাকিয়ে আছে …
ডক্টর বললো ….
_মিসেস রাজ আপনার কিছু টেষ্ট লিখে দিয়েছি …
মিঃ রাজ আপনি আপনার ওয়াইফের টেষ্ট করিয়ে নিবেন তাড়াতাড়ি …
ধারনা করছি আপনার ওয়াইফ প্রেগন্যান্ট …
ডক্টর চলে গেলো ফিস নিয়ে …
শীতল চমকে গেলো কথা শুনে ডক্টরের ..
.
.
.রাজও বেশ অবাক হয়ে আছে ..
রাজ ইজি চেয়ারে বসে বসে চিন্তা করছে …
রাজ্যের চিন্তা ভর করেছে তাকে ..
অন্যদিকে শীতল হঠাৎ বেশ খুশি খুশি অনুভব করলো …
সে ভাবছে যদি সে মা হয় তাহলে রাজ তাকে মেনে নিতে বাধ্য …
রাজও বাবা হবে ..প্রতিটা পারসন বাবা মা হতে চায় …
বাবা হওয়ার অনুভূতি রাজকে পাল্টে দিতে পারে ..
শীতলের ইচ্ছে করছে এখনি টেষ্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে সে কি আধো মা হতে চলেছে নাকি ..
.
.
.
রাত 12 টা বাজে ..
শীতল খুশিতে ঘুমিয়ে আছে …
রাজ বেডে গিয়ে ঘুমন্ত শীতলকে দেখলো …
তারপর শীতলের পাশে ঘুমিয়ে পড়লো …
রাতে আর রাজ শীতলের কাছে গেলো না …শীতলকে বিরক্তও করলোনা …
শীতল ঘুমায়নি ..সে রাজের ওয়েট করছিলো …
রাজ ঘুমিয়েছে একটু নিশ্চিত হতেই শীতল তার দুষ্টামি শুরু করলো …
শীতল তার হা পা রাজের উপর ছূরে মারলো …
ইচ্ছে করে রাজ কে জরিয়ে ধরলো ….
রাজ সব বুঝতে পারছে সে কিছু বলছেনা ..
চুপচাপ শীতলের দুষ্টামি সহ্য করছে …
রাজ ভাবছে শীতল ঘুমের মধ্যে এমন করছে …
.
.
.
সকালে শীতলের ঘুম ভাঙতেই রাজকে পাশে দেখলোনা ..
রাজ আগেই উঠে পড়েছে …
শীতল খুশি মনে ওয়াশ রুমে গিয়ে শাওয়ার করে রুমে এসে দেখলো ব্রেকফাস্ট গুছিয়ে দিচ্ছে একটা সার্ভেন্ট …
.
.
.
সারভেন্ট চলে যাওয়ার সময় বললো …
_স্যার আপনার জন্য ব্রেকফাস্ট এখানে আনতে বলেছিলো ..আপনার কষ্ট করে নিচে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই …
.
.
.
শীতল ভাবছে প্রেগন্যান্সির জন্যই রাজ তার খেয়াল রাখতে শুরু করেছে ..
যাইহোক রাজ তাকে কিছু দিনের মধ্যে মেনেও নিবে …
.
.
.
শীতল নাশতা করতে বসলো …
সব খাবার গুলো বেশ স্বাস্থ্য সম্ময়…
কয়েক রকমের ফলও ছিলো …
.
.
.
রাজ রুমে এসে দেখলো শীতল নাশতা সেরে একেবারে শাড়ি পড়ে সেজেগুজে রেডি হয়ে বসে আছে …
.
.
.
_কি ব্যাপার তুমি এতো সকাল সকাল রেডি হয়েছো কেনো ?? কোথাও যাবে তুমি ??
_আমি তো আপনার জন্য বসে আছি ..
আজকেই টেষ্ট করাবো আমাদের …
রাজ চমকে গেলো ..
_আমাদের মানে ?? আমাকেও টেষ্ট করাতে হবে কি ..
বাবা হওয়ার জন্য আমাকেও টেষ্ট করতে হবে ??
_আরে না না ..
আমি সেটা বলিনি ..
আমি বলতে চেয়েছি আমার টেষ্ট করাতে হবে ..
আপনাকে তো আমার সাথে যেতে হবে …
.
.
.
শীতল ধরেই নিয়েছে সে মা হতে চলেছে যেটা রাজ তার চেহেরায় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে …
.
.
_এখন টেষ্ট করাতে পারবোনা …
ঢাকা গিয়ে টেষ্ট করাবো ..
কাল সকালে রওনা হবে ..
প্ল্যানের টিকিট কেনা হয়ে গিয়েছে ..
.
.
.
শীতলের মন একটু খারাপ হলো …
ভেবেছিলো আজকেই টেষ্ট করিয়ে বসে থেকে রেজাল্ট আনবে …
.
রাজ হোটেলের বাহিরে ক্লাইন্টের সাথে ডিল করে সব কাজ গুছিয়ে নিচ্ছে ..
শীতল বারান্দায় বসে বসে পেটে হাত দিয়ে অনাগত বেবিকে ফিল করার চেষ্টা করছে ..
_ জানিস তোর বাবা তোর মাকে একটুও সহ্য করতে পারেনা ..
একটুও ভালোবাসেনা ..
কখনো ভালোবেসে শীতল বলে ডাকেনা ..কখনো ভালোবেসে কাছে টেনে আদর করেনা ..
তুই এলে তোর বাবা পাল্টে যাবে ..তোর মায়ের সব দুঃখ চলে যাবে ..
তুই তাড়াতাড়ি চলে আয় বাবা …
.
.
.
দুপুরে রাজ রুমে এসে শীতলের জন্য রুমেই খাবার অর্ডার করলো ..
শীতলের পছন্দের সব খাবার অর্ডার করেছে রাজ ..
চিংড়ির মালাইকারি ..
চিতল মাছের পেটি ..
এন্ড বিখ্যাত কাকড়া ভাজা ..
রাজ খোসা ছাড়িয়ে শীতলকে খাইয়ে দিচ্ছে ..
শীতল চেটে পুটে খাবারের থেকেই রাজের হাত খেলো ..
.
.
বিকালে রাজ শীতলকে নিয়ে শপিংয়ে গেলো ..
শীতলের পিরাপিরিতে রাজ যেতে বাধ্য হয়েছে ..
শীতল কালো শাড়ি পড়লো ..
কালো টিপ ..লাল চুরি আর কড়া লাল লিপস্টিক মাখলো ঠোটেঁ ..
চুল গুলো এলো মেলো করে ছড়িয়ে রাখলো শ্যাম্পু করে …
.
.
রাজও আজ ফরমাল ড্রেসআপ পড়েছে কোর্ট বাদ দিয়ে ..
কালো শার্ট ,প্যান্ট ..
কালো হ্যান্ড ওয়াচ ,কালো সুজ,, আর চুল গুলো জেল দিয়ে স্পাইক করেছে …
রাজের গায়ের রং বেশ ফর্সা ..সব মিলিয়ে রাজকে জাস্ট সেই লেভেলের হ্যান্ডসাম লাগছে …
রাজ ড্রাইভ করছে ..
শীতল বাহিরের দৃশ্য দেখছে আর রাজকে দেখছে ..
রাজকে আজ বেশি সুন্দর লাগছে …
রাজ একবারো শীতলকে লক্ষ্য করেনি ..
শীতল আর রাজ অবেক শপিং করলো …
শীতল সবার জন্য শপিং করলো ..
কাজলের জন্য করলো …
শীতল ঠিক করেছে ফিরে গিয়ে কাজলের রহস্য জানবে ..
.
.
.
শপিং মলের সব মেয়েরা রাজকে দেখে তাকিয়ে রইলো ..
সবাই সেলফির জন্য রাজকে কাকুতি মিনতি করলো ..
রাজ বেশ বিরক্ত হলো আর রেগেও গেলো …
রাজ রাগে ড্রাইভ করছে …
শীতল চুপচাপ বসে আছে ..
_আচ্ছা ঐ মেয়ে গুলোর সাথে একটু সেলফি তুললে কি হতো ..
আল্লাহ আপনাকে এতো হ্যান্ডসাম বানিয়েছে বলে এরকম দেমাগ দেখাবেন ..
শীতলের কথা শেষ হতেই রাজ ড্রাইভ থামালো রোডেত একপাশে ..
বেশ রাত হয়েছে ..
তবুও চাদেঁর আলোয় রাজের রাগী চেহেরা দেখতে পেলো শীতল ..
শীতল কিছু বলার আগেই রাজ তার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিলো …
বেশ জোরে জোরে রাজ শীতলকে ..
ঐ মেয়েগুলোর রাগ শীতলের উপর মেটালো রাজ …
.
.
.
রুমে এসে শীতল আয়নায় নিজের লাল মুখ দেখে অনেক রেগে গেলো ..
রাজের ফেসও লাল হয়ে আছে লিপস্টিকের দাগে …
.
.
.
সকালে ফ্লাইটে রাজ আর শীতল ঢাকায় চলে গেলো ..
.
.
.
শীতল বাহির থেকে কলিং বেল বাজাতেই একটা মেয়ে এসে দরজা খুলে দিলো ..
মেয়ে টাকে দেখে শীতল চমকে গেলো ..
তার ধারনা ছিলো সেই হচ্ছে বাংলাদেশের সব থেকে সুন্দরি …
বান্ধবিরা তাই বলতো অবশ্য ..
শীতল এই মেয়েকে দেখে মনে হলো বিশ্বের চারজন সুন্দরির মধ্যে এই মেয়েও আছে ..
হেলেন অব ট্রয় ,কুইন অব সেবা,,ক্লিয়োপ্লেট্রা আর এই মেয়ে ….
মুখে এক গাল হাসি নিয়ে মেয়েটা বললো ….
_বউরানি ভেতরে আসুন …
মেয়েটার কন্ঠে রুন রুন রুন আওয়াজ ভেসে উঠলো মধুর মতো ..
.#অন্ধপ্রেম
#Writer_Shabnaj_Hossain_Moon
#Part_16
মেয়েটাকে এখন অচেনা লাগছে ..সম্ভবত স্কার্ফ পড়েছে মাথায় আর পরনে গ্রাউন পড়েছে হাটুর নিচ পর্রযন্ত প্রায় পায়ের গোড়ালির কিছুটা উপর পর্যন্ত ..
ঠোটেঁ হালকা সুগার লিপস্টিক দিয়েছে ,চোখে গাড় কাজল মেখেছে মেয়েটা ..
এগুলোর জন্য মেয়েটাকে চেনা যাচ্ছেনা …
.
.
মেয়েটার মুখে হাসি লেগে থাকে সব সময়…
মেয়েটা হাসি মুখ নিয়ে দরজায় লক করে বললো ..
_বউরানি ভেতরে আসতে পারি …
_হ্যাঁ অবশ্যই …
আপনাদের বাড়ি আর আপনি আসবেন তার জন্য আবার জিজ্ঞাস করতে হয় ..
_কারো ঘরে ঢুকতে নিলে লক করে বলে ঢুকতে হয় ..
ফিস ফিস করে কথাটা বলে হেসে দিলো হো হো করে ..
_আপনার নাম কি কাজল ??? কাজল ভ্রকুচকে বললো ..
_জি হ্যাঁ … আপনি আমাকে এতোদিন ধরে দেখেন নি তো তাই বলছেন আমার নাম কাজল কিনা ..
আমি সপ্ষ্টভাষি তাই আপনাকে বলি কেনো আপনার সাথে দেখা করতে আসিনি …
আসলে আমার ফ্রেন্ডস সার্কেলের সবাই বলতো আমি নাকি এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দুরি নারী ..এতোদিন আমি এটাই ভাবতাম আমার মতো সুন্দরি কেউ নেই পুরো এশিয়াতে ..
বাট দাদা ভাইয়ের কাছে আপনার ছবি দেখে আমি চমকে গিয়েছিলাম বাবা বিকোজ আপনি আমার মতো একজন এশিয়া সুন্দরি …
আমার আপনাকে হিংসে হচ্ছিলো তাই আমি দেখা করিনি ..
আমার মতো সুন্দুরিকে আমি সহ্য করতে পারিনা এটা আমার এলার্জি …
বাট আপনাকে আমার ভালো লেগেছে খুব খুব বললো বিকোজ আপনি আমাদের রাজ দাদা ভাইয়ের মতো একটা চিতা বাঘের সাথে সংসার করছেন …
আপনাদের দেখে মনে হয় হেপি কাপল ..
এজন্যই তো আপনাকে একবারও বাবার বাড়ি যেতে দেয়নি দাদাভাই …
কথা গুলো মেয়েটা একধমে বলে হেসে দিলো আবারও হো হো করে ….
.
.
.
শীতলের মেয়েটাকে বেশ ভালো লাগলো ..
মেয়েটা এতো কথা বলতে পারে যে কথা শুনেই কেউ ওর প্রেমে পড়ে যাবে …
_আচ্ছা কাজল আপনি আমাকে আপনি করে বলছেন কেনো ?? আমি আপনার দাদা ভাইয়ের বউ বলে আপনার থেকে বেশি বয়স্ক নয় ..
_আপনিও তো আমায় আপনি করে বলছেন ..আমি আপনার সমবয়সি হবো ..
_ঠিক আছে এখন থেকে আমারা তুমি করে বলবো একে অপরকে …
_ঠিক আছে বউরানি …
আচ্ছা আমি এখন আসি ..
তুমি বরং দাদা ভাইয়ের জন্য ওয়েট করো …
_কেনো ?? তুমি কোথাও বের হবে ???
_ জি হ্যাঁ বের হবো ..
কথাটা বলেই কাজল মাথার স্কার্ফটা খুলে ফেললো …
রোদের আলোতে কাজলের চুল গুলো সোনালি রং ধারন করেছে …আর কাজলের মুখের হাসি যেনো মুক্তোর মতো ঝিলিক দিচ্ছে …
.
.
.
শীতলের কাজলকে খুব পছন্দ হলো …
শীতলের এখন আর একা এতো বাড়িতে থাকতে হবেনা …একজন সাথি হলো তার ..
যেমন তেমন সাথি না ..একেবারে তার প্রতিদন্দি …
.
.
.
রাত হয়েছে রাজ এখনো বাসায় আসেনি ..
সেই দুপুরে বাড়িতে দিয়ে শীতলকে না বলেই কোথায় যেন চলে গিয়েছে রাজ ..
শীতল ইজি চেয়ারে বসে পেটে হাত বুলাচ্ছে ..
সে ধরেই নিচ্ছে তার গর্ভে রাজের সন্তান এসেছে …
.
.
হঠাৎ রাজ রুমে এলো ..
দরজায় জোরে লক করে দিয়ে ওয়াস রুমে চলে গেলো রাজ ..
যাবার সময় শীতলকে একবার দেখলো রাজ ..
শীতল ইজি চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে রইলো রাজের আসার শব্দ শুনে ..
.
.
.
রাজ ওয়াস রুমে গিয়ে বুঝতে পারলো সে কোনো ড্রেস আনেনি …
এদিকে রাজ নিজের ভেজা কাপরও খুলে ফেলেছে …
রুমে শীতল আছে বলে ওয়াস রুম থেকে বেরুতে পারছেনা রাজ ..
শীতল না থাকলে রাজ এভাবেই বেরিয়ে পড়তো ..
.
.
_শীতল ডেস্ক থেকে আমার পোশাক দাও ..
আমি নিতে ভুলে গিয়েছি ..
প্রথম বার রাজ শীতলকে কোমল ভাবে তার কোনো কাজ করার কথা বললো শীতলকে ..
.
.
শীতল খুশি মনে ডেস্ক থেকর রাজের পোশাক বের করে কিছুক্ষন ঘ্রান নিলো ..
কারন এই পোশাক গুলোতে রাজের গায়ের অমায়িক গন্ধ লেগে আছে …
শীতল রাজের সাথে থাকতে থাকতে রাজের সব কিছুকেই ভালোবেসে ফেলেছে ..
রাজের সবকিছুই তার ভিষন রকম ভালো লাগে ..
…
….
….
শীতল পোশাক গুলো নিয়ে নক করলো ..
রাজ ডোর ওপেন করে ড্রেসের বদলে শীতলের হাত ধরে টান দিলো …
শীতল টাল সামলাতে না পেরে রাজের উপর পড়ে গেলো …
রাজ আর শীতল শাওয়ারের নিচে পড়ে আছে আর টপ টপ করে ঝর্নার পানি পড়ছে উপর থেকে …
শীতল পুরো কাক ভেজা হয়ে আছে …
রাজের গায়ের ছোয়ায় শীতলের শরীরির যেনো শিহরীত হচ্ছে বার বার ..
রাজ শীতলের একটু কাছে আসতেই শীতল রাজকে ধাক্কা মেরে দূরে ঠেলে দিয়ে উঠে পড়লো …
রাজ কিছুটা অপমান বোধ করলো ..
রাজ শীতলকে হেচকা টান দিয়ে কাছে এনে গলায় একটা কামড় মাড়লো ..
শীতল জোরে চিৎকার করতেই রাজ নিচের ঠোটঁ দিয়ে শীতলের ঠোটঁ আকড়ে ধরে চিৎকার থামালো …
শীতলের চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেলো …
.
.
.
শীতল এবার রাজের তোয়ালে ধরে টান দিলো ..
রাজ নিজেকে একবার অবজার্ভ করলো ..
রাজের গায়ে কিছুই ছিলোনা ..
শীতল কিছু সময় চুপ করে রাজকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত স্ক্যান করলো তারপর চোখ বন্ধ করে একটা চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে এলো ওয়াস রুম থেকে …
শীতল রাজের ভয়ে একেবারে রুমের বাহিরে এসে পড়লো ডেস্ক থেকে একটা শাড়ি নিয়ে …
.
.
.
রাজ ভিষন রকম অপমান ফিল করলো শীতলের এমন ভিহেবে ..
শীতলকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েই ছাড়বে রাজ …
যেনো এরকম মজা করতে না পারে রাজের সাথে …
শীতল দৌরে একটা রুমে ঢুকে ভেজা কাপড় পাল্টে ফেললো ..
শীতল কাপড় পাল্টে পেছনে তাকিয়ে চমকে গেলো …
কাজল ভ্র কুচকে শীতলের দিকে তাকিয়ে আছে ..
শীতল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো …
.
.
.
_তুমি এভাবে কাপড় পাল্টালে কেনো ?? এতো রাতে গোসল ?? তোমার রুমের বাথরুমে কি আরশোলা আছে যে তুমি আমার রুমে চেন্জ করলে ..
_আসলে….আমি …
কাজল শীতলের এমন ভিহেবে হেসে বললো …
_তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে তুমি আমার 11 নং প্রোপোজার …
আমার সেই প্রোপোজার ছেলেটা আমাকে দেখলেই কথা বলতে কেপে কেপে উঠে ভয়ে …
আর আমি সেই সুযোগে কথার জালে আটকে ফেলি তাকে …
যেমনটা এখন তোমাকে বললাম …
_ও কাজল ঢ্যাড়সের মতো হাসা বন্ধ করো তো …
আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তোমার কথা শুনে ….
.
.
.
।কাজল শীতলের হাত ধরে টেনে ছাদে নিয়ে গেলো …
_তোমাকে একটা কথা বলি বউরানি ..
আগে বলো তোমার কোনো ছেলে ফ্রেন্ডস আছে …?? যে খুব ক্লোজজজজ ..
_না..তেমন ক্লোজজ না বাট মোটামোটো ..
কেনো বলোতো ???
_তুমি তো জানো না ..
আমার একটা ছেলে ফ্রেন্ড আমাকে আবেগে প্রোপজ করে ফেলে ছিলো ..
একটা চিঠিও লিখে ফেলে ছিলো …
চিঠিতে একটা খুব অসভ্য কথা লিখে ছিলো ।
আমি তো রেগে আগুন ..
_তুমি রেগে যাও কখনো ..
কত মিষ্টি তুমি ..
_উফফ ..বউরানি মাঝখানে কথা বলবেনা ..
আগে শোনো ..
_ঠিক আছে মুখে আঙুল দিলাম ..
.
.
.
_আমি চিঠি পড়ে ভিষন রেগে গেলাম আর লজ্জ্বাও পেলাম ..
আমি অনেক দিন ভার্সিটি যায়নি আর ওর সাথে কথাও বলিনি ..
তারপর ও আমাকে বার বার ফোন করে তবুও আমি রেগে রিসিভ করিনি ..
একদিন রিসিভ করে বসি আর ও আমার কাছে মাফ চায় ..
আমার মন বিশাল বড় তো তাই মাফ করে দিলাম …
বাট অনেক ঘুরিয়ে মাফ করেছি তাকে ..
_বুঝতে পারলাম বাট কি অসভ্য কথা বললো …
_ধ্যাত ..এই কথা তোমাকে বলা যাবেনা ..
তোমাকে তো দাদা ভাই এমন কথা বলেই সব সময় তাইনা …
কাজল আবার তার মোক্তোর হাসি হাসলো …
.
.
.
রাজ কফি খেয়ে রুমে চলে আসে …
রাজের কফির মগে একটু কফি পড়ে আছে যেটা বিড়াল শীতলের নজরে পড়লো ..
চাচা সোফায় বসে পেপার পড়ছে ..
খালা নিচে বসে তারকারি কুটছে ..
কাজল হাতে কালো নেলপলিশ দিচ্ছে ..
শীতল কিচেনে গিয়ে রাজের এটো কফি খেয়ে নিলো …
ইশশ রাজের মুখের কফি খেয়ে শীতলের সে কি আনন্দ ..
শীতলের কাজলের চোখে চোখ পড়তেই কাজল ভ্র কুচকালো …. ..
শীতল একটু চমকে গেলো ..
কাজল হেসে দিলো ..
শীতল ও হেসে রুমে গেলো ..
রুমে ঢুকতেই কেউ তাকে বেডের মধ্যে ফেলে দিয়ে তার উপর উঠে গেলো ..
_আমার তোয়ালে ধরেছিলে কেনো ?? তোমার কাছে আসলে আমাকে ইগনোর করো কেনো ???
এতো বড় সাহস তোমার আমায় ইগনোর করো ..
শীতলের ভয়ে প্রান শুকিয়ে গেলো …
_আসলে আমি ,,,,,
শীতল কিছু বলার আগেই রাজ বললো ..
_হুশশশ…
আমি বলবো তুমি শুনবে …
_জি হ্যাঁ …
_কাল ডক্টরের কাছে টেষ্ট করাতে নিয়ে যাবো ..
টেষ্ট যায় হোক তোমাকে সে অনুযায়ি কষ্ট দেবো ..
আমার সন্তান তোমার গর্ভে আছে বলে ভেবোনা সে তোমার হয়ে যাবে ..
আমার সন্তান তার বাবার মতোই হবে …
.
.
.
মাঝরাত রাজ ঘুমাচ্ছে …
শীতল জেগে আছে ..
টেষ্টের কথা ভাবছে সে ..
না জানি কি রেজাল্ট বের হবে ..
শীতল নিশ্চিত সে প্রেগন্যান্ট …
রাজের অংশ সে ধারন করেছে …
এটা ভেবেই শীতল ভিষন খুশি ফিল করছে …
.
.
.
শীতলের মনে একটাই গান বাজছে ….
.
Norani chehere yale due char mahibe Yale tu mere hone Yale ..
Dill yali Ke dill Ber Yale tu mere hone Yale ..
Are oh dewyane oh dewyane oii oii oii
Allha allha mere dil dorke allha allha baba tere nokhre to a toba toba shole borkhe ….
Norani chehere Yale ….
💔💔💔💔💔.
.
.
.
সকালে শীতলের ঘুম ভাঙতেই শীতল রাজকে দেখতে পেলোনা ..
শীতল একদিনও রাজকে ঘুম থেকে উঠে নিজের পাশে দেখতে পারেনা ..
রাজের ঘুমন্ত চেহেরা এখনো ভালোভাবে দেখেনি শীতল ….
শীতল শাড়ি পড়ে অভস্থ্য নয় তাই তার শাড়ি ঠিক থাকেনা কখনোই …
ইশশশ রাজ তাকে সকালের আলোয় এভাবে দেখে প্রতিদিন ..
রাজ ভাবে নিশ্চয় শীতল কত ব্যাহায়া …
.
.
.
চলবে………….💓💓💓💓💓💓
.
.
চলবে …….