অন্ধপ্রেম পর্ব -৫৩ ও শেষ পর্ব

#অন্ধপ্রেম
Writer_Shabnaj_Hossain_Moon
#Part_53_Last_Part❤
(#আমি কখনো গল্প মনোযোগ দিয়ে লিখিনা।কোনো একটা রিপ্লে পর্যন্ত দিইনা।এখন থেকে আমি নিজেকে পাল্টানোর চেষ্টা করবো।দুঃখিত এবং ধন্যবাদ সবাই। #নেক্স্ট_ধর্মপ্রেম)
.
রাজের ব্লাড নিতে চাচ্ছিলোনা ডক্টর…সব রাজ শীতলকে ব্লাড দিয়ে এসেছে…রাজও খুব দূর্বল হয়ে গিয়েছে শীতলের পাশাপাশি…
রাজ অনেক জোর করেই শীতলকে ব্লাড দিলো…রাজ শীতলের ক্যাবিনে গেলো না কারণ শীতল মানা করেছে…রাজের ভীষন কষ্ট হচ্ছিলো তবুও প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর কথা সে রেখেছে…
রাজ অন্য একটা ক্যাবিনে বেডে চোখ বন্ধ করে গত কয়েক বছর আগের কথা ভাবতে লাগলো….দিনটি ছিলো হলি ডে…রাজ বাগানে বসে অফিসের কাজ করছিলো…তখনি শীতল একটা ফাইল পায় …ফাইল খোলে শীতল দেখলো রিপোর্ট পজিটিভ।
শীতল নিজের পেটে হাত দিয়ে কিছু ফিল করলো….শীতলের মুখ আগের চেয়ে আরো উজ্জল হয়ে গেলো খুশিতে….
.
.
.
কয়েক বছর যাবৎ রাজ আর শীতল দুজন দুজনকে ভালোবেসে এসেছে…
রাজ খুব সাবধানে সতর্কতা অবলম্বন করেছে….সে কিছু আলাদা সময় কাটানোর জন্য বেবি নেওয়ার কথা ভাবেনি…
শীতলের মনে একটা ভয় কাজ করলো…
সে ভাবলো রাজ কি এই খবর শুনে রাগ করবে…
শীতল সুন্দর করে সেজেগুজে রাজের পেছন দিক দিয়ে দাড়ালো…হাতে একটা লাভ কার্ড নিয়ে সেটাতে We are pregnant ❤লিখেছে রাজকে দেখাননোর জন্য…
শীতল রাজকে কিছু বলবে তার আগেই শীতল ভাবলো এতো বড় খবর এই ছোট কার্ড দিয়ে হবেনা…
শীতল নেক্স্ট একটা কাগজ নিয়ে এলো লাল…
সেটা তে বাবা মা লিখে রাজকে দেখানোর জন্য রাজের সামনে যাবে তখন মনে হলো এই সামান্য কাগজ দিয়ে হবেনা…
নেকস্ট শীতল কতগুলো বেলুন নিয়ে গেলো….বেলুনে লিখা ছিলো I am pregnant❤
শীতলের মুখে বলতে লজ্জা লাগছিলো তাই এতো সব ব্যাবস্থা করলো শীতল…এবার শীতল ভাবলো বেলুন দিয়ে সুসংবাদ জানানো বেটার হবে…
শীতল যেই বেলুন হাতে নিয়ে রাজের সামনে গেলো আর রাজকে পেছন দিয়ে রাজের কাধে হাত দিলো ঠিক তখনি শীতলের হাত ফসকে বেলুন গুলো আকাশে উড়ে গেলো…
রাজ শীতলের ছোয়া পেয়ে পেছন দিকে ফিরে বললো…
_কি হয়েছে ডার্লিং ???
কিছু বলবে….
শীতলের কান্না আসছে খুব…
কান্না আড়াল করে শীতল মাথা নাড়িয়ে বললো….
_কিছু হয়নি ….কথাটা বলেই শীতল রাজের সামনে থেকে চলে গেলো…
রাজ মুচকি হেসে আবার কাজ করতে লাগলো…
শীতল রাজের পেছনে থাকা দেয়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে দাড়িয়ে কাদতেঁ লাগলো…
শীতল কিছুতেই বলতে পাচ্ছেনা সে মা আর রাজ বাবা হতে চলেছে….
সন্ধ্যায় শীতল কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পড়লো…
হঠাৎ কারো স্পর্ষে শীতলের ঘুম ভাঙলো…
শীতল চোখ খুলে দেখলো রুম অন্ধকার…
রাজের হাতে একটা মোম বাতি…
রাজ শীতলকে বেড থেকে নিচে দাড় করিয়ে হাতের একটা তুরি বাজালো অমনি রুমটা আলোয় ভরে গেলো…
রাজ শীতলকে সামনে তাকে বললো…
শীতল সামনে তাকিয়ে দেখলো…
দেয়ালে বড় বড় করে লেখা ….❤We are pregnant❤আমি বাবা আর তুমি মা হতে চলেছো…
.
.
.
সারা রুমে বেবিদের সুন্দর সুন্দর ফটো লাগানো…
রাজ এসব কখন করলো আর রাজ জানলই বা কিভাবে….ফাইলটা তো সে প্রথম খুলেছে..
.
.
.
.
রাজ শীতলের ঠোটে একটা চুমো দিয়ে শীতলের ভাবনায় ছেদ ঘটালো…
_কি ভাবছো কি ???
আমি জানলাম কিভাবে…
_আপনি জানলেন কিভাবে ???
বলুন তো ???
রাজ মুচকি হাসি দিয়ে বললো….
_তোমার রিপোর্টের কথা ডক্টর আমাকে ফোন দিয়ে আগেই জানিয়ে ছিলো…
আমি তোমার মুখ থেকে শোনার জন্য ফাইলটা রুমে রেখেছিলাম…
তুমি আমার পেছনে দাড়িয়ে যা যা করলে তা সব আমি দেখেছি ডার্লিং…
ইশসস কত চেষ্টায় করলে আমাকে জানানোর জন্য…
.
.
.
শীতল কাদো কাদো ফেস নিয়ে বললো…
_আপনি খুশি হয়েছেন তো ????
রাজ শীতলের ঠোটে আরেকটা চুমো দিয়ে বললো…
_আমি আজ প্রথিবীর সবচেয়ে খুশি….
শীতল রাজকে জরিয়ে ধরলো তারপর কোলে করে বেডে নিয়ে গেলো….
রাজ শীতলকে বুকে নিয়ে শুয়ে শুয়ে বললো…
_তুমি ভাবলে কি করে আমি খুশি হবোনা???
তুমি তোমার রাজকে চেনোনা…
_আমি দুঃখিত…মাফ করে দিন…
আর কখনো এমন ভাববো না…
_ভুল যখন করেছো তখন ভুলের শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে…
শীতল ভয়ে ভয়ে বললো…
_কিসের শাস্তি…???
রাজ শীতলের ঠোটেঁ আরেকটা চুমো দিয়ে বললো….
আমাকে নিজে থেকে আদর করতে হবে এখন থেকে…
তুমি তো আমাকে আজ পর্যন্ত একবারও আদর করোনি…
.
.
.
শীতল কি বলবে ভেবে পেলো না…
শীতল লজ্জা পেয়ে রাজের বুকে মাথা লুকালো…
রাজ মুচকি হেসে বললো…
_ব্যাটা রাজ তুই দুনিয়ার সবথেকে অভাগা…আজ পর্যন্ত নিজের বউয়ের আদর পেলিনা…
তুই সব সময় আদর দিয়ে যাবি বাট কখনো আদর পাবিনা…
.
.
.
সেদিন রাজ এতো খুশি হয়েছিলো তা দেখে শীতলের মন খুশিতে আত্মহাড়া হয়ে গেলো…
.
.
.
পরের দিন শীতল রাজের কান্ড দেখে আরো আত্মহাড়া হয়ে গেলো…
রাজ শীতলের ডেলিভারির পরের তিন মাস মোট বার মাস মানে এক বছর শীতলের পাশে তার সাথে থাকার জন্য সব কাজ থেকে মুক্তি নিয়েছে…রাজ তার এক বিশ্বস্ত এমপ্লোয়ির অফিসের এবং সকল প্রোপার্টির ভার দিয়েছে…
এসব করেছো শুধু মাত্র এই সময়ে শীতলের সাথে থাকার জন্য…
প্রতি সেকেন্ডে যেনো রাজ শীতলের পাশে থেকে নিজ হাতে শীতলের সেবা করতে পারে তাই এমন করেছে..
রাজ শীতলকে নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে চায়না…
রাজ ঢাকা ছেড়ে শীতলকে নিয়ে ময়মনসিংহের বাংলোতে গেলো…
সেখানে রাজ সব ব্যাববস্থা করে রেখেছে …
পচিশঁটা সার্ভেন্ট রেখেছে রাজ তাদের জন্য…
সব গুলোই কোর্স করা ট্রেনিং প্রাপ্ত…
.
.
.
.
শীতল বাংলো টা দেখে আরো অবাক হয়ে গেলো…
পুরো বাংলো টাকে রাজ বেবিদের ফটো দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে…
বেড রুমে রাজ নিজের আর শীতলেরও একটা বিশাল ফটো টানিয়েছে…যেনো বেবি দেখতে তাদের মতো হয়…
রাজ শীতলের জন্য নয় মাস পর্যন্ত একটা লিস্ট অনুযায়ি রাজ শীতলের দেখাশোনা করবে…
রাজকে দেখে মনে হচ্ছে সে প্রথম বাবা হবে প্রথিবীতে…
একেবারে সব ট্রেনিং নিয়ে রাজ মাঠে নেমেছে…
.
.
.
শীতলের পার্সোনালি সকল কাজ রাজ করে দেয়…
তার নাকি এগুলো করতে ভালো লাগে…
রাজ প্রতিদিন শীতলকে নিজের পিঠে উঠিয়ে এক্সারসাইজ করায় যেনো শীতলের শারীরিক কষ্ট না হয় আবার এক্সারসাইজও হয়…
রাজ মাঝে মাঝে শীতলকে পিঠে নিয়ে সাতার কাটে সুইমিং পুলে…
রাজের কাছে এই মূহুর্তটা সবচেয়ে প্রিয়…
পারলে রাজ এই মূহুর্ত গুলো ফ্লেমে বন্ধি বানিয়ে রাখে…
.
.
.
শীতলের সকালে ঘুম থেকে উঠা দাত ব্রাশ করা ,ফ্রেস হওয়া,শাড়ি পরা,খাবার খাওয়া,এক্সারসাইজ করানো ,ঘুম পাড়ানো সহ যাবতীয় কাজ রাজ করে ,,,,
.
.
.
শীতল একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখে রাজ তার জন্য খাবার আনতে গিয়েছে…
শীতল সবে টুথপেষ্টে পেষ্ট লাগিয়েছে অমনি রাজ এসে শীতলকে আস্তে করর একটা ধমক দেয়…
বলে যে আমার বেবি কষ্ট পাবে সাথে তুমিও…
তোমাকে কে বলেছে কাজ করতে…
রাজ এখন জোরে চিল্লা চিল্লি করা দূরে থাক জোরে কথা পর্যন্ত বলেনা…
রাজের ধারনা এতে বেবির কানের সমস্যা হতে পারে…
শীতলের থেকে রাজের বেশি টেনশন হতো…
.
.
.
শীতলকে রাতে ঘুম পাড়িয়ে রাজ জেগে থাকতো যেনো শীতলের ঘুম ভাঙলেই শীতলের সেবায় তৎক্ষণাক নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে…
.
.
.
রাজ একদিন একটা সিনেমা দেখে…সিনেমায় দেখে একটা বর তার ওয়াইফের প্রেগন্যান্সির সময় নিজেও পেটে বেলুন বেধে রাখে…
এটাতে সে বুঝতে পারে তার ওয়াইফের এভাবে থাকতে কেমন লাগে…
.
.
.
রাজও একদিন নিজের পেটে বেলুন বেধে রাখে…
সেও শীতলের ডেলিভারির আগ পর্যন্ত এটা বেধে রাখবে…যেদিন শীতলের পেট ভারি হয়ে যাবে বেশি সেদিন রাজ নিজের পেটে একটা ওজন বালিশ বেধে রাখবে…
এতে শীতলের যতটা কষ্ট হবে তারও একই কষ্ট হবে পেটের ওজনে…
.
.
.
রাজের বেলুনের কাজ দেখে শীতল হাসতে হাসতে শেষ…
একদিন ভুল বশত রাজের বেলুন ফুটে গেলো..
রাজ এমন ভাবে কষ্ট পেলো যেনো সত্যি সত্যি তার বেবি মারা গিয়েছে…
রাজ সেদিন কাদলো পর্যন্ত…
রাজ বললো…সে বাবা হতে পারলোনা…
সে প্রথিবীর সবচেয়ে দায়িত্বহীন বাবা…
.
.
.
শীতল রাজকে অনেক শান্তনা দিলো…
শীতলের যখন পাচ মাস চলছে তখন রাজ নিজের পেটে বালিশ বেধে রাখলো…
যেনো শীতলের কষ্ট সে অনুভব করতে পারে…
.
.
.
শীতল প্রথিবীর সবচেয়ে সুখি ছিলো তখন…
সে বড় ভাগ্যবতী এমন স্বামী পেয়ে…
.
.
.
শীতল প্রথম কয়েক মাস বেশ ভালো ছিলো…বাট পরে ভীষন রকমের অসুস্থ হয়ে পরে…
রাজ ভাবতেই পারেনা এতো কেয়ার করার পরেও শীতল এতো অসুস্থ হলো কি করে…
শীতল সারাক্ষণ ভমি করে আর কিছুই খেতে পারেনা…
ঘুমাতে পারেনা…সারা ক্ষন যন্ত্রনায় ছটফট করে …রাজ যত রকম ডক্টর আছে তাদের সবার চিকিৎসা নিয়েছে…
এখন শীতলের ডেলিভারির সময় হয়েছে…অথচ ডেলিভারি হচ্ছেনা..
রাজ শীতলকে জাপানে নিয়ে আসে…
রাজ শীতলকে এখানে এনে সব রকম চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে…
শীতলের শরীর একেবারে ভেঙে পড়েছে…
শীতলের সেই গোলাপি আভা আর নেই…
শীতল সমপূর্ণ জ্বির্ণ হয়ে শুকিয়ে কাট হয়ে গেছে…
.
.
.
রাজ যখন শীতলের ক্যাবিনে শেষ বারের মতো গিয়েছিলো তখন শীতল চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় বলে…এভাবে তাকাবেন না…আমি অনেক কুৎসিত হয়ে গিয়েছি…দেখতে অনেক বাজে লাগছে…
রাজ শান্ত গলায় বললো…
_তুমি দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট কীটের মতো দেখতে হয়ে গেলেও তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা এক থাকবে সেটা কখনোই পাল্টাবেনা…
.
.
.
তোমার সৌন্দোর্য দেখে তোমার সাথে আছি এটা মনে করোনা…
যদি এমন হতো তাহলে তোমাকে বিয়ে করতাম না…তোমার প্রয়োজন আগেই ফুরিয়ে যেতো…
.
.
.
রাজের ভাবনায় ছেদ ঘটলো ডক্টর বললো…এই মাত্র আবার আপনার ওয়াইফের প্রসব ব্যথা উঠেছে…
রাজ দৌড়ে শীতলের ক্যাবিনে গেলো…
রাজের সাহস নেই ভেতরে যাওয়ার…সে এই মূহুর্তে সবচেয়ে অসহায় ব্যাক্তি দুনিয়ার…
.
.
.
রাজ অনেক সাহস নিয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে ভেতরে গেলো…
ভেতরে ঢুকেই রাজ একটা বেবির কান্নার আওয়াজ পেলো…
রাজ অবাক হয়ে গেলো…
রাজ দেখলো শীতলের পাশে একটা ফুটফুটে বেবি…
কি সুন্দর মিষ্টি চেহেরা…
রাজ আরো অবাক হলো শীতলকে দেখে…
শীতল অনেকটা আগের মতো হয়ে গেছে…
গায়ের সেই গোলাপি আভা ফিরে এসেছে…
ডক্টর বললো…রাজের ছেলে হয়েছে …আর তার ওয়াইফ বিপধ মুক্ত…তবে বেশ দূর্বল …সেবা শুস্র করলে ঠিক হয়ে যাবে…
.
.
.
রাজ শীতলের ঠোটে একটা চুমো দিলো…
আজ কতদিন পর শীতলের ছোয়া পেলো…
রাজ শীতলের পাশ থেকে বেবিকে কোলে নিলো…
কি যে খুশি তার লাগছে…
আল্লাহ তার দিকে চেয়েছেন অবশেষে…শীতল আর তার বেবি দুজনই সুস্থ…
রাজেত চোখ থেকে পানি পড়ছে খুশিতে…
শীতলকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পারানো হয়েছে…
দেখেই বোঝা যাচ্ছে শীতল কতটা দূর্বল…
.
.
.
.
আড়াই বছর পর….
_মাম্মাম মাম্মাম কোলা দুধু …মাম্মাম বসা দুধু…মাম্মাম শোয়া দুধু…মাম্মাম মাম্মাম ঘোরা দুধু…
.
.
.
কোলা মানে কোলে নিয়ে দুধ খাওয়ানো…বসা মানে বসিয়ে…শোয়া মানে শুইয়ে …আর ঘোরা মানে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দুধ খাওয়ানো…
যখন তখন তাদের ছেলে এই বায়না ধরে যার তার সামনে…
রাজের প্রচন্ড হাসি লাগে শীতলের সিচুয়েশন দেখে…শীতল প্রচন্ড রেগে থাকে ছেলের এমন আবদার দেখে…
রাজের ধারনা #ছায়াবিথী উপন্যাস পড়েছিলো হূমায়ুন আহমেদের শীতল বেবি গর্ভে থাকা অবস্থায় তাইতো তাদের ছেলে উপন্যাসের বাবুর মতো বায়না ধরে দুধ খাওয়ানোর…
.
.
.
তাদের ছেলের নাম রেখেছে রাজ ….রশন….শীতল আর রাজের নামের মিল রেখে…
.
.
.
শীতল বেবিকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়েছে সবে…অমনি রাজ শীতলের ঠোটে পেছন থেকে চুমো দিয়ে বললো…অনেক হয়েছে ছেলেকে আদর এবার বাবাকে আদর করো…
শীতল একটা দুষ্টু হাসি দিলো…
রাজ যেই শীতলের কোমরে ধরে আবারও চুমো দিতে যাবে তখনি রশন বলে উঠলো….মাম্মাম আমাকে আরো আদর করো…
রশন আর রাজের মাঝখানে বসে আছে শীতল …
বাবা বলছে তাকে আদর করতে ছেলে বলছে তাকে আদর করতে…
শীতল কি করবে বুঝতে পাচ্ছেনা…
এবার আপনারা সবাই ডিসাইড করুন শীতল কাকে আদর করবে?????
রাজ নাকি রশন ????

সমাপ্ত
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here