#অপেক্ষার_শেষে
#পর্ব_৩
#লেখিকা_কে_এ_শিমলা
আরিয়ান মেয়েটা কে দেখতে পারলো না।কারণ মেয়েটা ইরিনে’র মু’খো’মু’খি ছিল।আর আরিয়ানে’র দিকে পেছন দিক,যার কারনে মেয়েটা’র মুখশ্রীখানা দেখা স’ম্ভ’ব হয়নি।”তার পরেও আরিয়ান ভাবলো এই মেয়ে তার “মায়াপ’রি হতে পারেনা। আরিয়ান ভাবলো একবার ইরিনে’র রুমে যাবে কিন্তু এই ভেবে গেলো না যে যাওয়া কী ঠিক হবে।বিয়ে বাড়ি অনেক মানুষ আছে এখন সবাই কী ভাববে সবার মন মানসিকতা তো আর এক নয় এসব ভেবে বললো যাবে না।আর যেতে হলে পরে যাওয়া যাবে এখন নয়। সে ওতো দেখতে চায় তার “মায়াপ’রি তাকে চিনতে পারে কী না?”
রাতে’র আম্মু ওকে ডেকে নিয়ে গিয়েছেন।ইরফান শুয়ে আছে,বোনে’র বিয়ে অনেক ধ’ক’ল যাচ্ছে ওর উপর দিয়ে,বুঝতে পারলো আরিয়ান।আরাফ ও ঘুমিয়ে পরেছে কিছুক্ষণ পূর্বে। আরিয়ান যেখানে দাঁড়িয়েছিল সেখানে থাকা চেয়ারে বসে পরলো। এদিকে বেশি মানুষের আ’নাগো’না নেই। হঠাৎ প্রয়োজনে দু’একজন আসা যাওয়া করছে।
কিছুটা সময় ওখানে বসেই ফোন স্ক’ল করে আরিয়ান। হঠাৎ ওর কী হলো বুঝলো না। উঠে দাঁড়ায় ও।পা বাড়ায় সামনের দিকে উদ্দেশ্য ইরিনে’র রুম।
রুমে’র সামনে এসে দেখলো দরজা আধখোলা তবে পর্দা টানা’নো। আরিয়ান দরজায় ন’ক করলো।ওপাশ থেকে ইরিন বললো কে ভেতরে আসতে পারেন।
আরিয়ান গলা ঝেরে বললো- ইরিন আমি!বলে পর্দা সরালো।ইরিন ওকে দেখে বললো- ওহ্! ভাইয়া তুমি ভেতরে আসো।”
আরিয়ান ভেতরে এসে সেই মেয়েকে দেখলো যার পেছন দিক আগে দেখেছিল।মেয়েটা মাথা’র কাপড় ঠিক করলো এবং আরিয়ান কে সালাম দিল।আরিয়ান সালামে’র জবাব দিলো। ইরিন আরিয়ান কে বসতে বললো।
ইরিনে’র দিকে জিজ্ঞা’সু দৃষ্টিতে তাকালো আরিয়া। এবং বললো ইরিন উনি…বলার আগেই ইরিন বললো-আরে আরিয়া তুই চিনতে পারছিস না ভাইয়া কে,উনি তো আরিয়ান ভাইয়া। আরিয়ানে’র নাম শুনে আরিয়া অবাক গলায় বললো- কীহ!”আরিয়ান ভাইয়া।
হাঁসি মুখে আরিয়ানে’র দিকে এগিয়ে আসে আরিয়া।
দুঃখিত ভাইয়া আমি তোমাকে চিনতে পারিনি।কেমন আছো তুমি?”কতদিন পর না কত বছর পর তোমাকে দেখছি।যখন তুমি লন্ডন যাও তখন তো আমরা পিচ্চি ছিলাম।
আরিয়ান হাঁসি মুখে বললো- আলহামদুলিল্লাহ বোন ভালো আছি।তোমার কী অবস্থা,অনেক দিন পর দেখছি তবে তুমি তো আগে’র থেকে কিউট হয়ে গেছো”।
এখন নিজে বলো তখন পিচ্চি ছিলে।আর আমরা বললে তো তিনজন কী গাল ফু’লি’য়ে বসে থাকতে। তোমার বোন তো চেঁ’তে উঠতো।বিনিময়ে আরিয়া মুচকি হাসঁলো।
আরিয়ান রুমে’র এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখলো তার কা’ঙ্খি’ত মানুষটা নেই।আরিয়া এবং ইরিন বুঝতে পারলো আরিয়ান কাকে খুঁজছে। তারপরও আরিয়া জিজ্ঞেস করলো কাকে খুঁজো ভাইয়া?”আরিয়ান বললো- তোমাদের বাঁ’চা’ল রাণী কে কোথায় উনি!”
আরিয়া হেঁসে বললো ও ফ্রেশ হচ্ছে ভাইয়া। তবে ও কিন্তু এখন আর বাঁ’চা’ল নেই ভাইয়া।কেমন গ’ম্ভী’র রুপে’র হয়ে গেছে। বেশি কথা বলে না, হাঁসে না,সবসময় একা থাকতে চায়। কথা গুলো বলা’র সময় আরিয়া’র মুখটা কেমন মলিন দেখাচ্ছিল।
আরিয়ান ইরিনে’র দিকে তাকালো।তার মানে ইরিনে’র কথা সত্যি।”আরিয়ান আরিয়া’র দিকে তাকিয়ে হেঁসে বললো- ভালোই তো!”
আর কিছু বলা’র আগেই ওয়াশ রুম থেকে আওয়াজ আসলো- আরিয়া তোর টাওয়াল টা দে না রে বোন!’ আমি আমার টাওয়াল নিয়ে ঢু’কি’নি।অনেকটা জোড়েই বললো আরিশা।
আরিয়াও একটু জোড়ে বললো আমার টা দেবো মানে!তোর কা কোথায়?”
ওপাশ থেকে আরিশা বললো- ইয়ে মানে! আমার টা এখনো ট্রলি’র ভেতরে।তোর টাই দিয়ে দে আমার ঠান্ডা লাগছে তো।”
আরিয়া ওর টাওয়াল দিলো আরিশাকে। এতোক্ষণ দু’বোনে’র কার্য গুলো দেখছিল আরিয়ান এবং ইরিন।
এবার আরিয়ান উঠে দাঁড়ায়। এবং বললো আচ্ছা তোমরা গল্প করো আমি যাই।
আরিয়া বললো- আরিশাকে দেখে যাবেন না ভাইয়া।আরিশা ও তো আপনাকে দেখেনি।
আরিয়ান বললো পরে দেখবো। দেখি তোমার বোন আমাকে খুঁজে বের করতে পারে কী না.?তোমরা ওকে বলনা।
আরিয়া বললো- মনে হয় না ভাইয়া ও চিনতে পারবে।
আরিয়ান বললো-দেখা যাক।বলে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।
আরিয়ান বেরিয়ে যাওয়া’র সাত মিনিট পর আরিশা বের হয় ওয়াশরুম থেকে।আরিয়া একবার বোনে’র দিকে তাকিয়ে কী যেনো ভাবে।”
আরিয়ান রুমে এসে বেলকনিতে চলে যায়। “মায়াপ’রির সাথে দেখা হয়নি তো কী হয়েছে। একই বাসায় তো আছে এতেই অনেক। যেকোনো একসময় দেখতে পারবে।
হঠাৎ দরজায় কেউ ন’ক করে। খোলে দেখলো আরাফ। হাঁসি মুখে বললো-আরে আরাফ তুই,আয় ভেতরে আয়। ঘুম শেষ তোর?”
আরাফ মুখ টা কে বাচ্চাদে’র মতো করে বললো আর ঘুম, পাশে’র রুমে’র আন্টি,আপুদের কথায় আমার ঘুম শুধু চোখ থেকে নয়,বাড়ি থেকে পা’লা’বে দোস্ত।
আরাফে’র কথায় আরিয়ান জুড়ে হেঁসে দেয়। আরাফ ও হেঁসে উঠে। আরিয়ান বললো- বিয়ে বাড়ি তো এমনই।
তারপর আরাফ বললো- আরিয়ান চল বাহির থেকে কিছুক্ষণ ঘুরে আসি। ভালো লাগবে আর তুই তো কতটা বছর থেকে সিলেটে নেই। আরিয়ান বললো আচ্ছা, কিন্তু ইরফান।”
আরাফ বললো-আরে ও ঘুমোচ্ছে,বোনে’র বিয়ে দৌড়-ঝাপ করছে। এখন জাগানো ঠিক হবে না।চল আমরাই ঘুরে আসি অন্যসময় ওকে নিয়ে যাবো। আরিয়ান ও স’ম্ম’তি জানায়।
আরিশা,আরিয়া,ইরিন,হৃদি,দিশা,সোহা,মিতু,লাবিবা সবাই বসে আছে ছাদে,গল্প করছে ওরা। কাল ইরিনে’র গায়ে হলুদ। তাই সবাই ভাবছে কীভাবে সাজবে,শাড়ি সবাই আলাদা ভাবে পরবে নাকি কনে’র মতো।”পরে সবাই সিদ্ধা’ন্ত নিলো সবাই একই রকম শাড়ি পরবে সেম ডিজাইনে তবে কনে ভিন্ন।সবার স’ম্ম’তি আছে এতে। আরো কিছু সময় গল্প চলে ওদের মধ্যে। হৃদি এবং লাবিবা বার বার তাকাচ্ছে আরিশা,আরিয়া’র দিকে। এতো দিন শুধু ওদের কথা শুনে এসেছে। ইরিন সবসময় বলতো ওরা এরকম ওরকম অনেক ভালো। লাবিবা এবং হৃদি’র খুব ভালো লাগছে ওদের দু’জন কে। দু’জন দেখতে পুতুলে’র মতো,কী সুন্দর কথাও বলছে। সবার সাথে এমন ভাবে কথা বলছে যেনো কতদিনে’র পরিচিত ওরা।” তাই বার বার মুগ্ধ চোখে তাকাচ্ছে ওরা ওদের দিকে।
আরাফ এবং আরিয়ান বিভিন্ন জায়গায় ঘুরা’ঘুরি করছে। আরিয়ান কয়েকটা বছর পর নিজে’র প্রিয় স্কুল দেখছে । হায়রে!” সে ভাবে প্রিয় স্কুল টা কে স্ব’চক্ষে দেখে নিলো। অথচ এই স্কুল থেকে প্রিয় হওয়া সেই “মায়াপ’রি কে এখনো দেখেনি। তবুও মুচকি হাসলো আরিয়ান।
এভাবেই অনেকে সময় ঘুরে ফিরে সব কিছু দেখে দু’জন। আরিয়ান অনেক কিছু ব’ন্দি করে তার ক্যামেরায়।” সন্ধ্যা হয়ে আসছে, হঠাৎ আরাফে’র ফোন বেজে উঠে। সে দেখলো কলি’জা’র বোন দিয়ে সেভ করা নাম্বার থেকে কল এসেছে। সে মুচকি হাসলো। আরিয়ান বললো কে তোকে কল করেছে’রে দোস্ত!” বলেই ভ্রু উঁচু করলো।
আরো পা’গ’ল আমার বোন। আরিয়ান বোন লেখাটা দেখেনি। আরাফ কল রিসিভ করলো।ওপাশ থেকে আরিশা সালাম দেয়। আরাফ সালামে’র জবাব দিয়ে বললো- কী রে কিছু বলবি। আরিশা বললো ভাইয়া কই তুমি?”আরাফ: এই তো একটু ঘুরতেছি। তোদের স্কুল দেখে আসলাম। আমি আর আ…..
বলার আগেই আরিশা জোড়ে বলে উঠলো- কীহ! ভাইয়া তুই স্কুল দেখতে চলে গিয়েছিস আমাদের রেখে। কী নি’ষ্ঠু’র রে ভাইয়া তুই।”
আরাফ হেঁসে বললো- আরিশা আমি তোর বড় ভাই তুই বলছিস কেনো। সম্মান মি! ওলয়েজ তুমি করে বলবি।আর তোদের কে নিয়ে আসবো মানে!”
তো’রা যে সবাই মিলে ছাদে গল্প করছিলি আমাদের নিয়েছিলি?” বল।
আরিশা বললো- সম্মান মি! থাক ভাই গেলাম না আপনার সাথে। তা আপনি কোথায় আছেন বড় ভাই?”
আরাফ: রাস্তায় আছি বাসায় আসছি।
আরিশা: আচ্ছা! ভাইয়া আসার সময় ফুচকা নিয়ে আইসো প্লিজ,আমরা এখানে অনে’ক্ষ’ন থেকে অপেক্ষা করছি কিন্তু ফুচকা মামা’র “ম”টাই দেখছি না আশে পাশে। আরাফ বললো- এখন ফুচকা কে খাবে?”
আরিশা বললো- তোমার…..
চলবে!#অপেক্ষার_শেষে
#পর্ব_৪
#লেখিকা_কে_এ_শিমলা
আরাফ:এখন কে ফুচকা খাবে আরিশা?”
আরিশা বললো-তোমার বউ…কথাটা বলতেই আরাফ ধ’ম’কে’র স্ব’রে বললো-আরিশা।”আরিশা উত্তর দিলো,না মানে আমরা সবাই খাবো ভাইয়া। আরাফ বললো- আচ্ছা নিয়ে আসবো।
আরিশা আবার বললো- আচ্ছা! ভাইয়া ইরফান ভাইয়া তো বাসায় ঘুমাচ্ছেন তুমি কার সাথে গিয়েছো?”
আরাফ উত্তরে বললো- আমি আর আরিয়ান এসেছি।
আরিশা : ওহ! আচ্ছা তাড়াতাড়ি নিয়ে আসো আল্লাহ হাফেজ।আরাফও আল্লাহ হাফেজ বলে কল কে’টে দেয়। এতক্ষণ দু’ভাই বোনে’র কথা শুনছিল আরিয়ান।ওর ভালোই লাগলো দু’জনে’র এভাবে কথা বলা। তারপর আরিয়ান এবং আরাফ বাসায় আসলো। বাসায় ভেতরে ঢু’কতেই আরাফে’র চোখ যায় সিঁড়ি’র পাশে দাঁড়ানো একজন ছেলে এবং মেয়ে’র দিকে। কী সুন্দর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কথা বলছে দু’জন। এইবার আরিয়া’র হেঁসে হেঁসে কথা বলা দেখে মাথায় র/ক্ত উঠে যায় আরাফে’র। ওর হাতে’র মধ্যে থাকা ফুচকা’র ব্যাগ খা’ম’চে ধরে ও। আ’গু’ন চোঁখে তাকায় আরিয়া’র দিকে। ওর তাকানো’র মধ্যেই আরিয়া’র চোখ পরে ওর দিকে। আরাফ নিজেকে স্বাভাবিক করে এগিয়ে যায় আরিয়া’র দিকে। গিয়ে দেখে ইরফানে’র ফুপি’র ভাসুরে’র ছেলে লাবিবে’র সাথে কথা বলছে আরিয়া। আরাফে’র রা’গ আকাশ চু’ম্বী হলো। এই মেয়ে বা’জ ছেলে’র সাথে কেন আরিয়া কথা বললো।
আরিয়া লাবিব কে বললো- ইনিই আমার চাচাতো ভাই আরাফ। ভাইয়া কে নিশ্চয় আপনি চিনেন”!
লাবিব বললো- হ্যাঁ চিনি তো! অনেকবার দেখেছি ইরফানে’র সাথে। ভাই কেমন আছো?
আরাফ শান্ত ও গ’ম্ভী’র গলায় বললো-ভালো।” আরাফে’র এমন কথা শুনে আরিয়া ভ’য় পেলো। আরিয়া’র ভ’য় দু’গুন বাড়িয়ে দেওয়া’র জন্য আরাফে’র এই কথা যথেষ্ট ছিল- আরিয়া আমার সাথে আয়।” আরাফে’র কথা শুনে লাবিব বললো- ওকে আরিয়া বাই,পরে কথা হবে। আরাফে’র ধৈর্যে’র সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।সে আরিয়া’র হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলো। এবং জিজ্ঞেস করলো আরিশা কোথায়?”
আরিয়া আরাফে’র দিকে তাকিয়ে ওর চোখ দেখতেই আঁ’ত’কে উঠলো। কাঁপা কাঁপা গলায় বললো- ওর রুমে!” আরিয়া’র যেনো মুখ দিয়ে কথাই বের হতে চাচ্ছে না।
এদিকে অনেকেই ওদের দিকে তাকাচ্ছে। পরিবেশ বুঝাতে একটা হাঁসি দিয়ে আরাফ ফুচকা’র ব্যাগ আরিয়া’র হাতে দিলো। খানিকটা জোরেই বললো- এই নে ফুচকা আরিশা বললো তোমরা নাকি খেতে চাও।”আরাফে’র এমন হাঁসি আর স্বাভাবিক কথা’র ধরন দেখে আরিয়া বুঝতে পারলো এখানে পরিবেশ দেখে আরাফ অকে কিছু বলছে না। যদি কিছু বলে হয়তো কেমন দেখাবে আর সবাই কী বলবে। আরিয়া মনে মনে দোয়া দুরূদ পড়তে পড়তে বিদায় নেয় এখান থেকে। আরাফ ও নিজের রুমে চলে যায়।
আরিয়া রুমে ঢু’কে সবাই বসে থাকতে দেখলো কিন্তু মুখ ফসকে বলে দিলো- আরিশা একটা ভুল করে ফেলেছি রে।” বলেও ওর উপর বসে পরলো।
আরিশা জিজ্ঞেস করলো কী করেছিস?” আরিয়া কিছু বললো না কারণ এখানে লাবিবে’র বোন লাবিবা আছে।সে যদি ওর ভাই কে বলে দেয়। তাই আরিয়া নিজেকে স্বাভাবিক করে একটা বোকা হাঁসি দিয়ে বললো- আরে কই কিছু না! চল ফুচকা খাবো ভাইয়া ফুচকা এনেছে। দিশা গিয়ে একটা পাত্র নিয়ে আসলো এবং তাতে ফুচকা গুলো ব্যাগ থেকে বের করে ওদের কাছে নিয়ে গেলো। আরিয়া ভ’য় গুলো ঝে’রে ফেলে বিয়ে বাড়িতে আরাফ কিছু বলবেনা এটা ভেবে। সে ফুচকা খায় এবং গল্পে মে’তে উঠে সবার সাথে।
এইদিকে আরিয়ান,ইরফান,আরাফ,সাথে আছে লাবিব, মাহিন,দিয়ান,ওরাও কথা বলছে এটা ওঠা নিয়ে। কাল ইরিনে’র গায়ে হলুদ তাই কীভাবে কী করা যায় সেসব নিয়ে কথা বলছে ওরা। ওদের কথা’র মধ্যে উপস্থিত হোন ইমরান রহমান এবং উনা’র এক ভাই জামাল মিয়া। উনারা ইরফান’দের কে বুঝিয়ে দেন কীভাবে সবকিছু করতে হবে। সব কিছু বুঝে ওরা নিজেদে’র মধ্যে আবার কথা বলতে লাগে ইমরান রহমান এবং জামাল মিয়া চলে যাওয়া’র পর।
আরিয়া বাসায় কল করে সবার সাথে কথা বলে নামাজ আদায় করে নেয় এশা’র। সে এখন বসে আছে। আরিশা,ইরিন সহ বাকি’রা এখন নামাজ পড়ছে। তখন ওরা ঝাল খেয়ে একেকটা একেক জায়গায় পরেছিল। ফুচকা’র মধ্যে একটু বেশিই ঝা’ল ছিল। আরিয়া অনেক ঝা’ল খেতে পারে তাই কিছু হয়নি। কিন্তু বাকিদে’র তবে দিশা এবং সোহা’রও তেমন কিছু হয়নি। সবাই নামাজ আদায় করছে আর আরিয়া বসে বসে মোবাইল টি’প’ছি’লো।
হঠাৎ ফোনে একটা মেসেজ আসে মেসেঞ্জারে। মেসেজ এসেছে আরাফে’র কাছ থেকে। আরিয়া’র মধ্যে আগে’র ভ’য়টা জেগে উঠলো। সে কাঁপা কাঁপা হাতে মেসেজ ওপেন করলো।” একবার চোখ বুলিয়ে উঠে দাঁড়ায় আরিয়া। কারণ অত্যন্ত সুন্দর ভাবে লেখা আছে। তিন মিনিটে’র মধ্যে আমার রুমে আয় নয়তো…
এখন যদি এক মিনিট লে’ট হয় তাহলে কী হবে আরিয়া ভাবলো না। দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলো আরাফে’র রুমে’র উদ্দেশ্যে।
সবাই বসে গল্প করলেও আরাফ উঠে রুমে চলে আসে। কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। আরাফ রুমে এসে দরজা বি’ড়ি’য়ে দিয়ে রুমে’র
লাইট অফ করে জানালা’র পাশে দাঁড়িয়ে থাকে।
আরিয়া আরাফে’র রুমে’র সামনে এসে দাঁড়ায়। চারিদিকে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়,নাহ কেউ নেই এদিকে নিজেদে’র রুমে আছে বর্তমানে সবাই। আরিয়া দরজায় হাত দিয়ে একটা ধা’ক্কা দিতেই তা খুলে যায়। ও রুমে ঢুকে আবার দরজা বি’রি’য়ে দেয়। আবার এদিকে ফিরে বলে উঠে- ভাইয়া আছো তুমি।লাইট অফ কেন তোমার রুমে’র?” কোথায় তুমি,বলেই সামনে’র দিকে পা বাড়াবে তখনই কেউ অকে দেয়ালে’র সাথে চে’পে ধরে। কারো গরম নিঃশ্বাস আছড়ে পরছে আরিয়া’র ঘাড়ে এবং মুখে।
কী হলো সেটা বুঝতে একটু সময় লাগলো আরিয়া’র যখন বুঝতে পারলো তখন ছাড়া পাওয়ার জন্য মোচড়ানো শুরু করলো। এবং কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠে-কেকেকে আআপনি?” ওর নিঃশ্বাস চলছে দ্রুত গতিতে। মনে হচ্ছে হৃ’ৎ’পি’ণ্ড এখনই বেরিয়ে আসবে। শরীর ও কাঁপ’ছে দ্রুত গতিতে। এই প্রথম কেউ ওর এতো কাছে এসেছে। আবারো আরিয়া মোচড় দিয়ে ওর হাত সেই বলিষ্ঠ হাত থেকে ছাড়াতে চাইলেই গ’ম্ভী’র কন্ঠে ভে’সে আসে। আরিয়া এভাবে মো’চ’ড়া’নো’র কী আছে,আর কাঁপ’ছি’সই বা কেনো?”
আরাফে’র গলা শুনে আরিয়া কিছু টা স্ব’স্তি পায়। কিন্তু কেঁদে দেয়, সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে আরাফ কে। এদিকে আরাফ এটা’র জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। বুঝতে সময় লাগলো ওর। আরাফ আরিয়া কে ছাড়িয়ে সামনে দ্বার করায়। এবং বলে- আরে পা’গ’লী কাঁদছিস কেনো?” আমিই তো বলে হাসা’র চেষ্টা করলো। আরিয়া কান্না থামিয়ে বলে ভাইয়া তুমি!” কী বলবে বলেছিল বলো। আরাফ বুঝতে পারলো আরিয়া’র মধ্যে এখনো ভ’য় কাজ করছে। তবুও ও তাকে স্বাভাবিক করা’র জন্য বললো- তুই লাবিবে’র সাথে কেন কথা বললি তখন। আরিয়া বললো- আমি বলিনি উনি নিজে থেকেই আমার সাথে কথা বলেছিলেন। আরাফ বললো- তাহলে এতো কাছে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়। আর ওর সাথে কথা বলা’র সময় হাঁসছিলি কেনো। আরিয়া কোনো উত্তর দিলো না। আরাফ আবার বললো- আমি তো তোকে বলেছিলাম এখানে অপরিচিত-পরিচিত কোনো ছেলে’র সাথে কথা বলবিনা,তাহলে বললি কেনো?”
আরিয়া বললো- উনি নিজে থেকেই আমার সাথে কথা বলতে এসেছিলেন,এখন আমি যদি কথা না বলি তাহলে খা’রা’প দেখায় না।” আরাফ কিছু বললো না। শুধু বললো ঠিক আছে আর কথা বলবিনা। দূরে দূরে থাকবি ওর থেকে। আরিয়া: আচ্ছা ভাইয়া স্যরি আর এভাবে কারো সাথে কথা বলবো না। আরাফ মুচকি হেঁসে দেয়ালে লাইটে’র সুইচে চা’প দিল সাথে সাথে সম্পূর্ণ রুম আলোকিত হলো। আরিয়া’র চোখে গালে এখনো জল আরাফ ওর চোখে’র জল মুছিয়ে দিলো য’ত্ন সহকারে। আরিয়া একবার আরাফে’র দিকে তাকালো। আরাফ বললো যা,রুমে যা আর মনে থাকে যেনো। আরিয়া মাথা নে’ড়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
আরিয়া’র ভেতরে এখনো ধু’ক’ধু’ক শব্দ হচ্ছে। হাত পাও মৃদু কাঁপ’ছে। ভ’য় পাওয়া তো স্বাভাবিক এই প্রথম কোনো ছেলে ওর এতো কাছে এসেছে। আর সেই বা কী করলো আরাফ কে জ…
দাঁত দিয়ে জি’ভ কা’ট’লো আরিয়া ল’জ্জা’য় মাথা নত অবস্থাতেই রুমে চলে গেলো।
নিজেদে’র রুমে বসে….
চলবে!