#অভিমান
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন
পর্ব-৬
ঝুমকোর ছেলেমানুষী অভিমান ভেঙে এলেই রাহান ওর কানে ফিসফিস করে বলল,
‘অভিমান ভেঙেছে না? এবার আমার থেকে সরে গায়ে উড়না জড়াও। যাও।’
ঝুমকো রাহানের বুক থেকে সরে আসে। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে। তাকে এতোটাও খারাপ লাগছে না। ঢিলাঢালা একটা কুর্তির সাথে প্লাজু পরে আছে সে। ঝুমকো চোখের পানি গুলো ভালোভাবে মুছে দুষ্টুমি হাসি দেয়। রাহানের গলা আবারো জড়িয়ে ধরে। রাহান অনেক লম্বা হওয়ায় ঝুমকোর দু পা মেঝে থেকে খানিকটা উঁচু হয়। রাহানে গলা জড়িয়ে ধরে আদুরে গলায় ঝুমকো বলে,
‘থাকুক এমন। কি সমস্যা? উড়না পরতেই হবে? না পরলে কি আমি লজ্জা পাবো না কি তুমি?’
রাহান ঝুমকোর কোমড় জড়িয়ে ধরে দাঁত দিয়ে ঠোঁট চেপে হেসে বলে,
‘দেখা যাক কে লজ্জা পায়।’
ঝুমকো কথার অর্থ বুঝে না। রাহান ঝুমকোর কোমড়ে জোরে চেপে ধরে। আকস্মিক ঘটনায় ঝুমকোর নিঃশ্বাস বন্ধ হবার যোগাড়। রাহান ঝুমকোর কোমড় থেকে হাত একটু উপরে উঠাতেই ঝুমকো চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে চিল্লিয়ে বলে উঠে,
‘রাহান সরো..। আমি.. আমি উড়না পরছি। তুমি সরো।’
রাহান হেসে সরে যায়। ঝুমকোর ঘর টা ভালো মতো একবার দেখে নেয় রাহান। দরজা টা আগে থেকেই লাগানো দেখে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ঝুমকো উড়না গায়ে জড়িয়ে রাহানের সামনে দাড়াতেই রাহান ঝুমকোকে আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করে নিলো। ঠেস মারা গলায় বলল,
‘লুকড লেস বিউটিফুল দেন বিফর।’
ঝুমকো রাহানের বাহুতে চর মারে। তখনি দরজায় শব্দ হয়। ঝুমকোর মামী দরজা ধাক্কিয়ে বলে,
‘কি হয়েছে ঝুমকো? চিল্লালি মনে হলো?’
ঝুমকো আমতা আমতা করে বলে,
‘না মামী। ভুল শুনেছো আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম। অন্য কোথাও থেকে হয়তো সাউন্ড এসেছে।’
‘আচ্ছা। খেতে আয়। না খেয়ে ঘুমোচ্ছিস কেনো?’
‘আমি খাবো না। তুমি যাও’
মামী চলে যেতেই রাহান বলল,,
‘চলো, আজ ঢাকা শহর ঘুরবো। পুরাতন শাহী হোটেল থেকে তোমাকে রাতের খাবারও খাওয়াবো। এখনো তো খাও নি প্রেমিকের বেদনায় আকুল হয়ে।’
ঝুমকো রাহানের বাহুতে দ্বিতীয় থাপ্পড় দিয়ে কাধ নাড়িয়ে মিস্টি হেসে বলল,
‘চলেন। আপনার হুকুম শিরধার্য।’
অতীত থেকে বাস্তবে ফিরে রাহান উপলব্ধি করে তার চোখে অশ্রুকণা জোরালো ভাবে ভিড় জমিয়েছে। রাহান গোপনে তা মুছে নেয়। ঝুমকো চট করে চোখ খুলে। এরপর কঠিন স্বরে বলে,
‘আমি ভাবতে চাই না সেই অভিশপ্ত অতীত। আমার হাত ছাড়ো। আমি বাড়ি যাবো।’
রাহান শক্ত ভাবে ধরে ঝুমকোর হাত। দু’হাতে চুমু খেয়ে নেয়। দ্বিতীয় বারের মতো ঝুমকোর সর্বাত্মক সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠে। অন্তরে পাখিরা এই রাতেও তাদের ভালোবাসা পূর্ণ করতে ডানা ঝাপটায়। রাহান ঝুমকোর বিমূর্ত রূপের সাথে আবার পরিচিত হয়। নেশা লাগানো গলায় আস্তে ধীরে রাহান বলে উঠে,
❝আমার শুভ্র শান্ত শিষ্ট মনে যদি তোমার বন্দী পাখিটা আবার ডানা ঝাপটিয়ে বিচরন শুরু করে তাহলে কি খুব বেশি ক্ষতি হবে? অন্যায় হয়ে যাবে কি খুব?❞
‘আমার পাখিগুলো এতো সস্তা না যে বারবার প্রতারকের বুকে গিয়ে বিচরন করবে।’
কথাটা এক নিঃশ্বাসে বললেই ঝুমকোর চোখ থেকে পানি পরা শুরু করে আবারো। এবার আর পানি মুছলো না। আলগুছে রাহানের হাতের বাহুবন্ধন থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে শান্ত কন্ঠে বলল,
‘তুমি আমার ভাগ্যে নেই রাহান। আর না আমি তোমার ভাগ্যে আছি। আমরা এই পৃথিবীতে দুজন দুজনার নই। মনে আছে একবার এইকথা বলেছিলাম। আজ তা বাস্তবায়িত হলো। তেমনি আবারো বলছি আমার মনে হয় আমরা মিল হয়েও কখনো হতে পারবো না।’
ঝুমকো পলকে চলে যায়। রাহান ঠায় শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সত্যি কি তারা কখনো এক হতে পারবে না? কক্ষনো না? নিজের গাড়িতে উঠার আগে ঝুমকো রাহানকে ডেকে উঠে। রাহান খুশি হয়ে নিজের নিষ্পত্তি চাহনি নিবদ্ধ করে ঝুমকোর উপর। ঝুমকো ঠোঁট চেপে কান্না আটকিয়ে বলল,
‘আই হেইট ইউ। আই হেইট ইউ রাহান।’
মুহুর্তে খুশির ঝিলিক মিলিয়ে যায়। কষ্টে রাহান চোখ বন্ধ করে। প্রেয়সীর মুখ থেকে ভালোবাসি শোনাটা ঠিক যতটা আনন্দের তার চেয়ে দ্বিগুন কষ্টের আই হেইট ইউ শোনা।
রাহান আস্তে করে বলল,
❝এভাবে বলে যেও না। উৎকর্ষের আগুনে উত্তাপ হয়ে অনুতাপে পুড়ে যাচ্ছি আমি ঝুম। এভাবে বলো না আই হেইট ইউ। আমি যে তোমাকে ভালোবাসি।❞
রাহান একা একা নিস্যন্দ নিঝুম রাতের পথের কিনার ধরে হেটে যায়। ঝিঁঝি পোকার শব্দ শোনা যায়। বাতাসের গুঞ্জন শোনা যায়। নিশাচর বাদুর পেঁচা শব্দ করে নিজেদের পাখা ঝাপটায়।
রাহানের কাছে মনে হয় এসব শব্দ তাকে ব্যাঙ্গ করছে। তার ভালোবাসার বিচ্ছেদ নিয়ে অযথা আলাপন করছে। তার একটা ভুল, একটা অবিশ্বাসের জন্য গোটা জীবন আহামরি কষ্টে ছেয়ে গেলো। রাহান পকেটে দু’হাত ঢুকিয়ে অনির্দিষ্ট পথে হেটে চলে। মনে পরে ঝুমকোর কথা,,,,
পুকুরের ধারে একটা উঁচু টিলার উপর দুজন পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছে। এই জায়গাটা যেনো তাদের জন্যই বরাদ্দ। টিলা থেকে সামনে বিস্তর স্বচ্ছ বাধাই করা পুকুর দেখা যায়। আকাশের স্বচ্ছ পেজা তুলোর ন্যায় বর্ষা-শরতের মেঘ দেখা যায়। সবুজ মাথা উঁচিয়ে থাকা সুপারি নারিকেল গাছের সারি দেখা যায়।
রাহান ফোন টিপছিলো। আর ঝুমকো আশেপাশে থেকে ঘাস টেনে ছিড়ছিলো। দুজনের মাঝে প্রগাঢ় নিস্তব্ধতা। এমন অবস্থায় হঠাৎ বিষন্ন গলায় ঝুমকো বলল,
‘আমার কি মনে হয় জানো রাহান?’
রাহান ফোন টিপেই উত্তর দেয়,
‘না, জানি না।’
ঝুমকো চোখ কুচকে বলে,
‘আহা! ফোনটা রাখো না।’
‘রাখছি। তুমি বলো আমি তো শুনছি।’
‘না আগে ফোন রাখো। ইশশ..রাখো তো ঘোড়ার ডিম।’
রাহান রেখে দেয়। ঝুমকো আবারও রাহানের পিঠের সাথে হেলান দিয়ে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,
‘আমার মনে হয় কি আমরা কখনো এক হয়েও হতে পারবো না। ইউ নো শেষ হইয়াও শেষ হইলো না টাইপ।’
রাহান তড়িৎ গতিতে ঝুমকোর দিকে ঘুরে বসে। ঝুমকো পুরো ভর ছেড়ে দিয়েছে তখন রাহানের পিঠের উপর। রাহান আচমকা ঘুরে বসায় ঝুমকোর মাথা পরে যায় রাহানের কোলে। রাহান ঝুমকোর চুলে হাত বুলাতে বুলাতে কঠিন কন্ঠে বলে,
‘এমন ধারা কথা যেনো আর কক্ষনো না শুনি। কি অলক্ষুণে কথা! কি সব হাবিজাবি মাথায় ঘুরে তোমার।’
ঝুমকো আগের ন্যায় বলল,
‘হাবিজাবি না আমার কেনো জানি মনে হয় আমাদের এই এতো এতো ভালোবাসা পরিণতি পাবে না। আর তাছাড়া তুমি জানো? বেশি ভালোবাসারা পূর্ণতা কম পায়। ভাগ্যে সহে না এতো ভালোবাসা।’
রাহান ভ্রু কুচকে বলে,
‘তোমার বাড়ি থেকে কোনো সমস্যা হবে?’
‘না’
‘তোমার কোনো সমস্যা? ‘
‘আমার আবার কি সমস্যা হবে? আজিব!’
রাহান ঝুমকোর কপালে চুমু দিয়ে বলল,
‘তাহলে কোনো সমস্যাই রইল না। আমারো কোনো সমস্যা নেই। মাস্টার্স পাশ করলাম। বুয়েট থেকে পড়েছি। কম বড় কথা! কে বাধা দিবে শুনি? যথেষ্ট যোগ্যতা আছে তোমাকে বিয়ে করার সো নো চিন্তা।’
রাহান একটু ভাব নেয়। ঝুমকো হেসে দেয়। রোদের চিকমিক আলোয় ওর গাল দুটো ঝিলিক দিয়ে উঠে।
______________________________
বিছানায় শুয়ে পায়ের উপর পা তুলে ফোনে মুভি দেখছে ঝুমকো। আলিয়া বেগম অর্থাৎ ঝুমকোর মামী এসে ঝুমকোর বিছানার পাশে বসলো। ফোন থেকে চোখ সরিয়ে মামীর কোলে মাথা রেখে আদুরে গলায় বলল ঝুমকো,
‘কিছু বলবে মামী?’
আলিয়া বেগম ঝুমকোর চুলে হাত চালাতে চালাতে বলল,
‘যা তো। একটু শপিং করে আয়। কতদিন থেকে কেনাকাটা করিস না। এক ই কাপড় বারবার পরিস। আদিম উদ্দিনের ভাগনীকে কি এভাবে মানায়?’
মামীর কথা ঝুমকোর পছন্দ হলো না। তবুও কিছু বলল না। মামী আবার বললেন,
‘সাথে রুম কে নিয়ে যা।’
ঝুমকো অবাক হয়ে বলে,
‘তোমার ছেলেকে আমি কেনো নিয়ে যাবো? তোমার ছেলে কি রাস্তা-ঘাট চিনে না?’
আলিয়া বেগম একটু হেসে বললেন,
‘তা চিনবে না কেনো? ও বলছিলো ওরও শপিং করা দরকার। বুঝিস ই তো সবে মাত্র ভারসিটিতে ভর্তি হলো। তাই তুই ওর সাথে যা মা।’
ঝুমকো নাকচ করে বলে,
‘তোমার ওমন দামড়া ছেলেকে নিয়ে আমি কোথাও যেতে পারবো মা মামী। লোকজন দেখে অন্যকিছু ভাবে। আমার মেজাজ খারাপ হয়।’
মামী চু শব্দ করে বলে,
‘আহা! লোকজনের কথায় ওতো কান দিতে নেই তো রে। কত জনে কত কথাই তো বলবে। এই দেখ তুই যে এখনো কেনো মাস্টার্স এ ভর্তি হচ্ছিস না এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতে তোর মামার জান প্রায় গেলো। তাতে কি তোর কোনো যায় আসে?’
ঝুমকো ভ্রু কুচকে বলে,
‘মামাকে প্রশ্ন করে লোকজন?’
‘হ্যা তো। তুই তো জানিস, অফিসের সবার সাথে তোর মামার সখ্যতা ভালো। কাজেই অফিসের অনেকেই তো তোকে চেনে তারা প্রতিদিন জিজ্ঞেস করে তুই কেনো মাস্টার্স এ ভর্তি হচ্ছিস না। পড়াশোনা না করলে বিয়ে কেনো দিচ্ছে না। তোর মামার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যাক্তি তো পাত্রের ছবি ও এনে দিয়েছে ।’
‘ওহ তার মানে এর জন্যই মামা সেদিন বিয়ের কথা বলল?’
‘হবে হয়তো। যা এবার রেডি হ তো। আমার একমাত্র ছেলেটা চেয়েছে আজ শপিং এ যেতে আর তুই তাতেও বাগড়া দিচ্ছিস।’
ঝুমকো কটাক্ষ করে বলে,
‘ছেলের জন্য এতো দরদ তাহলে তুমিই নিয়ে যাও।’
আলিয়া বেগম কপাল চাপড়ানোর মতো করে বলে,
‘তা কি আর চাই নি রে। কিন্তু ছেলে আমার বলে আমার চয়েস না কি আদ্দিকালেই পরে আছে। আমি না কি কিছুই পছন্দ করতে পারবো না। উলটে খেত-টেত পছন্দ করে তাকে ধরিয়ে দিবো। পরে উলটে তার রাগ হবে। তাই বলল ও তোর সাথে যাবে। তোর চয়েস না কি লাখে একটা। ‘
ঝুমকো একটু হেসে বলে,
‘যাও, আমি রেডি হয়ে আসছি। আমার মুভির বারোটা বাজিয়ে দিলে। ‘
,
শপিংমলের এ দোকান ও দোকান করতে করতে ঝুমকো রুম এর জন্য শুধুমাত্র দুটো গেঞ্জি কিনতে পেরেছে। রুমের না কি আবার পাঞ্জাবি ও কিনতে হবে সামনে নবীনবরন অনুষ্ঠানের জন্য। রুমের জন্য আরেকটা শার্ট কিনে দিয়ে ঝুমকো বলল,
‘রুম চল তো আমার একটা লেডিস টি-শার্ট কিনতে হবে। লেডিস সাইডে চল। তারপর আবার তোর গুলো কিনবো।’
রুম নাক মুখ কুচকে বলে,
‘না, লেডিস সাইডে আমি যাবো না।’
ঝুমকো চোখ রাঙিয়ে বলল,
‘কেনো? লেডিস সাইডে গেলে কি তুই লেডিস হয়ে যাবি? আমি বয়েস সাইডে এসেছি না? তোর জামা কাপড় কিনে দিয়েছি না? আমি কি বয় হয়ে গিয়েছি?’
অগ্যতা রুমের বাধ্য হয়েই যেতে হলো। ঝুমকো যখন এদিক ওদিক তাকিয়ে খুঁজে মরছে পছন্দের সহীত লেডিস টি-শার্টের জন্য তখন মাথা ঘুরাতেই দেখে রুম কার সাথে যেনো কথা বলছে। ঝুমকো সচেতন চোখে এগিয়ে গিয়ে দেখে রুম রাহানের সাথে হাত মিলাচ্ছে। ঝুম বড় বড় চোখ করে রাগান্বিত স্বরে বলল,
‘তুমি?’
রাহান রুমের সাথে কথা শেষ করে বলল,
‘হ্যা আমি। শপিং করতে এসেছি।’
‘আমার ভাইয়ের সাথে তোমার কি কথা?’
রুম তখন বলে,
‘আহা! আপু কতদিন পর ভাইয়াকে দেখলাম তাই আমি আগ বাড়িয়ে কথা বললাম।’
ঝুমকো ধমকে বলে,
‘তুই চুপ থাক। থাপড়ে দাঁত ফেলে দিবো। তুই ওর সাথে কোন সাহসে কথা বলতে গিয়েছিস?’
‘একটু কথা বলেছি তাই কি হয়েছে?’
ঝুমকো কিছু বলতে নেয়। তার আগেই রাহান রুমের উদ্দেশ্যে বলে,
‘শালাবাবু, যাও তো তুমি অন্যদিকে গিয়ে শপিং করো। তা না হলে মনে হচ্ছে তোমার আপু এই শপিং মল তোমার মাথায় ভাঙবে।’
রুম চলে যায়। ঝুমকো রাহানের দিকে তাকিয়ে ফুস ফুস করতে করতে বলে,
‘তুমি কোন সাহসে ওকে শালাবাবু ডাকলে?’
‘আগে থেকেই তো ডাকতাম’
ঝুমকো তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে,
‘ভেরি ফানি, তুমি কি এসব ইচ্ছে করে করছো? আমাকে হ্যারাস করছো? আমার পিছু নিয়েছো? ফলো করছো আমাকে? পরিণতি কিন্তু খুব খারাপ হবে।’
ঝুমকো তর্জনী আঙ্গুল উঁচিয়ে কথা বলে। রাহান ঝুমকোর আঙ্গুল ধরে ফেলে দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বলল,
‘তোমার গাল দুটো ওমন চকচক করে কেনো বলো তো? মনে হয় কুট্টুস করে কামড়ে দেই। ‘
ঝুমকো বড় বড় চোখ করে নিজের গালে হাত দেয়। রাহান ঝুমকোর দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে,
‘আসো একটা কামড় দেই। খুব কামড় দিতে ইচ্ছে করছে। দাঁত গুলো কামড় দেওয়ার জন্য বিদ্রোহ জানাচ্ছে।’
ঝুমকো বড় বড় চোখ করে আশেপাশে তাকালো। এরপর খানিকটা স্বগতোক্তির ন্যায় বলল,
‘শিয়াল না কি?’
রাহান আবার বলে,
‘একটা কামড় দেই প্লিজ। কুট্টুস করে একটা। ‘
ঝুমকো চোখ দুটোকে আরো বিস্ফোরিত করে দৌড় দিয়ে চলে যায়।
চলবে❤️
কাল গল্প দিবো না।