আধারের মায়াবী ডাক পর্ব -০২

#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_২

গাছের উপর টুকরো করা কবিরের লাশ দেখতে জড়ো হয় গ্রামের মানুষ! পরিবারের কান্না আহাজারিতে ভারী হয়ে যায় পরিবেশ! সবার মুখে একটা কথা,কেউ এতো ভয়ানক ভাবে কিভাবে মারতে পারে….

কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশ এসে পৌঁছে। জিপ থেকে নেমেই গাছের দিকে তাকিয়ে অবাক হয় অফিসার তামিম। তার ক্যারিয়ারে এমন কেস খুব কমই এসেছে। …

অন্যদিকে.
তারিন ঘুম থেকে উঠে দেখে ছেলেটা ছোট রান্নাঘরে চা বানাচ্ছে!পাশে নানি

:আমরা এবার যাই?(তারিন)

:আপনার গ্রামে কে যেনো খুন হয়েছে (ছেলেটা)

:কে?(নানি)

:আমি চিনি না,তবে কেউ তাকে টুকরো টুকরো করে মাঠের মাঝে ঝুলিয়ে দিয়েছে!

শুনে তারিন চোখ বন্ধ করে ফেলে

:আহারে কে সে?(নানি)

:কবির না কি যেন নাম

শুনেই তারিন ধপ করে বসে! কবির চাচা কে কেউ মেরে ফেলেছে? কেমন যেন একটা শান্তি লাগছে।মনে একটা প্রশান্ত বাতাস বয়ে গেলো।

:আপনি কিভাবে জানলেন?(তারিন)

:গিয়েছিলাম(ছেলেটা)

:ওহ

:হুম

:আপনার নাম কি?

:তুষার আহমেদ কা….(বলার আগেই চোখ বন্ধ করতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে পুরোনো সেই দৃশ্য,চারদিকে আপন মানুষের লাশ,কান্নাকাটি আর সামনে সে নিজে দাঁড়িয়ে হাসছে)

:থেমে গেলেন যে?

:আমার নাম তুষার

:ওহ

কিছুক্ষন পর তারিন আর নানি সেখান থেকে বেরিয়ে যায়!

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে পরিবারের সবাই কাদছে। তারিন কে দেখে সবাই সন্দেহের নজরে দেখতে থাকে। কিন্তু বলার উপায় নেই।একটা বাচ্চা মেয়ে এটা পারবে না।

:গ্রামে নতুন কেউ এসেছে?বাইরের কেউ?(তামিম)

সবাই চুপ! তারিন চমকে যায়! তুষার চাচাকে…না না।

তখনই পেছন থেকে..

:তুই কি ইন্ডাইরেক্টলি আমাকেই খুনি বললি?(তুষার আসতে আসতে)

:well well well mr. Tushar ahmed kabbo

:আমার নাম কাব্য না

:তুই এখানে? গল্প লিখতে?

:নাহ।ঘুরতে

:এই খুনের ব্যাপারে কিছু জানিস?

:নাহ

:আসামি বের হবার আগে গ্রাম থেকে যাবি না

:আমিও সাহায্য করবো তোকে

:তাহলে তো আরো ভালো

:হুম

লাশের টুকরো কে নিয়ে যাওয়া হয়। তারিন বাসায় গেলে তার মা তাকে খুনি বলে মারতে থাকে।মার সহ্য করতে না পেরে তারিন পালিয়ে যায় সেখান থেকে। সেই গাছের নিচে যেতেই দেখলে তুষার বসে আছে।

:চলুন(তুষার)

:আপনি জানতেন আমি আসবো?(তারিন)

:সহজ ব্যাপার । সবাই ভাবছে আপনি প্রতিশোধ নিতে খুন করেছেন বা করিয়েছেন।আর এরপর আপনাকে বাসায় রাখবে কে?

তারিন কিছু না বলে তুষারের পিছু পিছু হাটতে থাকে।

সেই রাতে

নিজের রুমে ঘুমাচ্ছেন মামি! বাইরে হালকা হালকা বাতাস।
হঠাৎ জানালায় কি যেন একটা জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে। শব্দ শুনে আতকে উঠে বসেন মামি! জানালার দিকে তাকিয়ে দেখে সেখানে দুটো হাত জানালার গ্রীল চেপে ধরে আছে।

:কে?(মামি)

তখনই সেউ জিনিস টি ঝট করে মুখ তোলে।এলোমেলো চুল।চোখের মনি বিড়ালের মতো,হাতের নখ বিশাল বড়,মুখ কাটা,যা কান অব্দি গেছে আর কাটা জায়গা দিয়ে মাংস দেখা যাচ্ছে

মামি চিৎকার দিয়ে উঠে আর ঠিক তখনই সেই জিনিস টা ধোয়া হয়ে মামির মুখে ঢুকে যায়! মামি চিৎকার দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে! থরথর করে কাপতে থাকে।
মামির মনে হচ্ছে সারাদেহের অনেক জায়গায় আগুন লেগেছে,মুখ,ঠোঁট, বুক,পেটে লজ্জাস্থান, কপাল।

মনে হচ্ছে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। মামি বিশাল একটা চিৎকার দেয়। তার চিতকারে কেপে উঠে গ্রাম।

ঘর থেকে পাগলের মতো বেরিয়ে ছুটতে থাকে আর বলতে থাকে আমাকে ক্ষমা করো।

ছুটতে ছুটতে সেই গাছের কাছে চলে যায়,তখনই গাছ থেকে একটা ছুরি উড়ে এসে মামির গলা কেটে মাথা ফেলে দেয়।মাথা ছাড়া দেহো ছুটতে ছুটতে গাছের গোড়ায় এসে পড়ে যায়….

সকাল বেলা গ্রামে হইচই পড়ে যায়।

আরেকটি খুন।

কে করছে? গ্রামের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হয়…
চলবে…

#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here