আধারের মায়াবী ডাক পর্ব -১৬

আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_১৬

কাব্য আর তামিমের লাশের উপর পা দিয়ে মেয়েটি নাদিয়ার কাছে আসে।
ফিসফিস করে কিছু একটা বলতেই নাদিয়া চমকে ঘুম থেকে উঠে যায়। চারদিকে তাকায়, সব কিছু স্বাভাবিক আছে।

নাদিয়া পাশে রাখা পানির গ্লাস টা হাতে নেয়। গ্লাসের দিকে তাকিয়ে চিৎকার দেয় নাদিয়া। গ্লাসের পানির জায়গায় তাজা রক্ত।

চিৎকার দিলেও কেউ আসেনা। তখনই নাদিয়া দেখলো তার কেমন যেন মাথা ঘুরছে।

জ্ঞান হারায় নাদিয়া।

সকাল বেলা।
সবাই নাস্তা করতে বসে। তখনই কথা আসে(আগের কথা)

:সবাই নাস্তা করতে বসলে?ওহ আমার ডুব্লিকেট ও আছে(কথা)

:আয়েশা কথা দুজন, কেমন লাগে?(মাইশা)..

:একটা কাজ করি আমরা কথার নাম বদলে অন্য কিছু ডাকি

:আমি আমার নাম বদল করব না। যে পরে এসেছে তাকে বলো(গ্রামের কথা)

:কথা আপু কে কি বলে ডাকা যায়?(তিথি)

:পরী!(কাব্য এসে)

সবাই কাব্যের দিকে হেসে তাকায়

:বাহ সুন্দর নাম(আয়েশা)

:না সুন্দর বলেই যে ওকে পরী বলতে হবে এমন কেন?(কথা)

:না আপু আমার নামই পরী।কথা নাম টা দাদুর দেয়া। (পরী(কথা)

:ত ঠিক হয়ে গেলো কথা আপুকে সবাই পরী বলবা(তিথি)

কাব্য বেরিয়ে যায়।

:কিন্তু কাব্য ভাইয়া উনার সাথেই কেন কথা বলে?(তারিন)

:জানিনা(তিথি)

:বললে কি হবে। বলতেই পারে(কথা)

:কথা আপু রেগে আছো নাকি(আয়েশা)

:না তো।



দুপুর বেলা।
কাব্য পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে
তখনই পেছন থেকে তামিম আসে

:নাদিয়ার সাথেও কিছু হয়েছে কাল(তামিম)

:জানি(কাব্য)

:কেন হচ্ছে এমন? জানিস?

:তুই ও জানিস

:হ্যাঁ, সুতোর এক প্যাচ কেউ ছিড়ে ফেলে দিয়েছে, যার ফলে কিছু প্রভাব পড়ছে।কিন্তু ওই ছোট ছেলেটার সাথে এমন কেন হয়েছে তা জানিনা

কাব্য কিছু বলল না।

:তুই কি কিছু ভাবছিস?(তামিম)

:তুই কিছু লুকাচ্ছিস

:না তো

বলেই তামিম ঘুরে হাটা শুরু করে। কাব্য ও কিছু বলল না।

সন্ধ্যায়…
সবাই জড় হয়,তামিম সবাই কে কিছু বলার জন্য ডাকে…

:তোমাদের কিছু বলার আছে,আজ যা বলবো তা গ্রামের কেউ যাতে না জানে! এতদিন আমি কথাটা লুকিয়েছিলাম। তবে আর লুকানো যাবে না। ওইদিন যখন ওই তান্ত্রিক তাত গুরুকে সব কিছু বলে তখন তিনি বলে এতদিন যা হয়েছে তা কেবল শুরু। এর থেকে ভয়ানক কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। এই সমস্যা টা গ্রাম ছাড়িয়ে সব দিকে ছড়িয়ে যাবে যদি আমরা আটকাতে না পারি তো। এই সব বন্ধ করার একমাত্র উপায় নীল রত্নের লকেট। যার নাম blue blood লকেট। যদি এসব আমরা থামাতে না পারি তো সবাই কে মরতে হবে। আর আমি জানিনা এখন কি করা উচিত। এতোদিন আমরা গ্রাম কে বাচাতে লড়ছিলাম। এখন… বুঝতেই পারছো।(তামিম)

:কিন্তু ওই লকেট আছে কোথায়?(আয়েশা)

:অন্য ডাইমেনশনে। (নাদিয়া)

:আমরা সবাই যাবো?(তিথী)

:না,তিথি,পরী, তানভীর, তারিন এখানেই থাকবে। আমি কাব্য আয়েশা মাইশা নাদিয়া যাবো(তামিম)

:এবার আমাদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে!(আয়েশা)

:কোথায় আছে এই blue blood, আর এইসব এর সাথে তার সম্পর্ক কি? আর দুটো ডাইমেনশনের মাঝে যোগাযোগ স্থাপন কে করেছে? (তারিন)

:ভালো প্রশ্ন, এই রহস্যের জাল আরো গভীর হবে,আরো..যা আমাদেরই ভেদ করতে হবে(নাদিয়া)

:কাব্য তুই চুপ যে(তামিম)

:কিছুই আর আগের অবস্থায় থাকবে না আমরা ব্যর্থ হলে,আপনজনের লাশ থাকবে চোখের সামনে (কাব্য)

সবাই চুপ হয়ে যায়।

:এমন টা আমরা কেউ ভাবিনি বলো? সাধারণ একটা কেস দিয়ে যে এত বড় ইস্যু হয়ে যাবে কে জানতো?(নাদিয়া)

:কিছু একটা আমরা মিস করছি। কিন্তু কি? কিছু একটা ঠিক নেই। (তামিম)

:হ্যাঁ কিন্তু কি?(আয়েশা)

হঠাৎ তিথি চিৎকার দিয়ে উঠে
সবাই তাকায়।

:বাইরে দেখো(তিথি)

সবাই বাইরে তাকিয়ে আতকে উঠে। চাদের এলোয় ক্ষেত টা ভালোই দেখা যাচ্ছে। ক্ষেতের মাঝে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। চাদের আলো যখন তাদের মুখে পড়ে তখন সবাই দেখলো তাদের কারোই মুখ নেই।

কিন্তু হুট করেই সব উধাও হয়ে যায়।
সবাই নিস্তব্ধ হয়ে বসে থাকে।
এই সমস্যা গুলো ভিন্ন রুপ নিচ্ছে।

তখনই…

সবাই একটা শব্দ শুনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে কাব্য নিচে পড়ে আছে।

কি হলো তার? তামিম দ্রুত চেক করে দেখে কাব্যের হ্রদস্পন্দন খুব আস্তে চলছে…..

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here