#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_৫
তারিন চোখ খুলতেই দেখলো সকাল হয়ে গেছে! তুষার, তামিম নাদিয়া সবাই মাঠে পড়ে আছে।
তারিন উঠে গ্রামের ভেতরে গিয়ে সবাইকে নিয়ে এসে এদের গ্রামের ভেতর নিয়ে যায়।
জ্ঞান ফিরতেই তারিন সব কথা খুলে বলে,তামিম আর তুষার ও নিজেদের স্বপ্ন বলে।
শুনে নাদিয়া বলে উঠে
:এটা সুখি করছে না,এই ঘটনা যখন হচ্ছিলো তখন আশেপাশে কোনো শক্তিশালী কিছু ছিলো।অশুভ শক্তি হতে পারে।কোনো শক্তিশালী জ্বিন। তার এটা পছন্দ হয়নি তাই সুখির দেহ কে ব্যবহার করে আর সুখির সাথের কারিন কে নিয়ে এসব করছে হয়তো(নাদিয়া)
:এখন উপায়?(গ্রামের প্রধান)
নাদিয়া তুষারের দিকে তাকায়।
:কাব্য(নাদিয়া)
:না না না একদম না।আমি আর অতীতে ফিরতে চাইনা(তুষার)
:কিন্তু কাব্য কেন?(তামিম)
:কারন স্বপ্নে যে তলোয়ার কাব্যের হাতে ছিলো সেটা সুখির বাবার হাতের তলোয়ার।
:কিন্তু ওদের মধ্যে সম্পর্ক কি?(তারিন)
:সেটা জানিনা।
:আমি পারব না। ও কন্ট্রোলের বাইরে গেলে সব শেষ (তুষার)
বলেই তুষার বেরিয়ে যায়
:কাব্য কে?(তারিন)
:একসময় তুষার নিজেই কিন্তু ওর ভেতরে থাকা শক্তি টা হচ্ছে কাব্য। বা বলা যায় তুষারের আরেকদিক কাব্য(নাদিয়া)
:বুঝলাম না
:এখন বোঝানোর সময় নেই
বলেই নাদিয়া বেরিয়ে যায়
নাদিয়া তুষার কে খুজে পায় একটা উচু ঢিবির উপর। বসে একটা ছোট বাচ্চার খেলা দেখছে
:খুব কিউট তাই না!(নাদিয়া)
:হুম
:আমাদের কাব্যকে চাই এই খুন থামাতে!নাহলে পরের শিকার এই শিশু ও হতে পারে
:কিন্তু…
:জানি কাব্য কারো কথা শুনবে না। কিন্তু এটাই আমাদের শেষ আশা
:জানিনা
:রাজি হয়ে যা।
তুষার চুপ করে থাকে।
রাত ১২ টা।
নাদিয়া আগুনের সামনে দাড়িয়ে আছে।
তুষার দূরে দাড়িয়ে।
আকাশ কালো হয়ে গেছে। বাতাস শুরু হচ্ছে
নাদিয়া কি যেন বিড়বিড় করছে।
তখনই তুষারের চারদিকে ধোয়া হয়ে যায়। ধোয়ায় ধিরে যায় তুষার।
গ্রামের সবাই ভয়ে ভয়ে তাকায়। হঠাত একটা বিষ্ফোরন হয়। সবাই ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে।
তারিন উঠে বসে আর সামনে তাকিয়ে দেখে ধোয়ার ভেতর থেকে কেউ একজন আসছে
নাদিয়া বলে উঠে
:কাব্য!
সবাই দেখল হুবুহু তুষারের মত কিন্তু চোখ গুলো অন্যরকম। হাতে তলোয়ার যা মাটি ঘেষে আসছে।মুখে রাগী ভাব।
কাব্য খুব কাছে চলে আসে।
:কাব্য আমাদের সাহায্য চাই(নাদিয়া)
কাব্য হাটতে হাটতে পাশ দিয়ে চলে যায়, যেন শুনতে বা দেখতেই পায়নি তাদের। নিচের দিকে তাকিয়ে আনমনে হেটে যাচ্ছে
:তামিম ওকে থামাও
কিন্তু তামিমের আগে গ্রামের একজন যুবক আর একটা বাচ্চা কাব্যের সামনে দাঁড়ায়।
:দাড়ান(যুবক কাব্যের হাত ধরে)
বাচ্চাটা কাব্যের পা জড়িয়ে ধরে।
কাব্য ঝট করে সামনের দিকে তাকায়। সজোরে পা ঝটকা দিয়ে বাচ্চাটাকে অনেক দূরে ছুড়ে মারে। বাচ্চাটার হাত বোধ হয় ভেঙে গেছে। তারপরই যুবকের গলা চেপে সজোরে মাটিতে আছাড় মারে যে পুরো মাথা মাটির ভেতরে ঢুকে যায়। কিছুক্ষন ছটফট করে যুবক টা মারা যায়।
কাব্য পেছনে ঘুরে তাকায়। সবাউ ভয়ে দূরে সরে যায়।
কাব্য আবার সামনে ঘুরে হেটে চলে যায়।
:একটা মানুষ এতো পাষান আর শক্তিশালী কিভাবে হয়?(তারিন)
:ও পুরোপুরি মানুষ না।কাব্য। কাব্য সাধারণ শক্তি না(নাদিয়া)
নাদিয়া বসে পড়ে। তার দ্বারা কোনো ভুল হলো না তো?
:এবার কি করবো।(তামিম)
:আমি জানিনা।ও আমার শেষ পথ ছিলো!
:কাব্য কে? কেন এতো পাষান সে?(গ্রামের প্রধান?
:তুষার কোথায়?(তারিন)
:তুষারের শরীরে কাব্য..(তামিম)
:কিন্তু একজন পারে কাব্যকে দিয়ে কাজ করাতে(নাদিয়া)
:হ্যাঁ। সে পারবে।
হঠাৎ চারদিক থমথমে হয়ে যায়। আর কানে আশে পি পি শব্দ….
চলবে