#এক_খণ্ড_কালো_মেঘ
#পর্ব_১৬
#নিশাত_জাহান_নিশি
প্রতিউত্তর করার সময়টাও অবধি দেওয়া হলোনা রাফায়াতকে। অয়ন্তী যেন বালতি হাতে নিয়ে ঝড়ের বেগে ছুটে এলো রাফায়াতের দিকে! কোনো দিকে কালক্ষেপণ না করেই সে দাঁতে দাঁত চেপে বালতি ভরা দুধপানি ছিটিয়ে দিলো রাফায়াতের গাঁয়ে!
উপস্থিত সবার চক্ষু হয়ে গেল চড়কগাছ! এ কী অনর্থ করে বসল অয়ন্তী? হিতাহিতজ্ঞান কী লোপ পেয়েছে তার? না জানি আজ কী কী ঝড়-ঝঞ্ঝা বয়ে যায় তার উপর দিয়ে! সেই খবর কী অয়ন্তীর আছে? আদোতে ক্ষুব্ধ রাফায়াতকে আজ শান্ত করা যাবে তো? সেই অবিসম্ভাব্য ভয়ে সবাই কাতর হয়ে থাকলেও রাফায়াতের ভাবি ‘সুমা’ মুখ চেপে হেসে দিলো! হাসি বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারল না সে। রাখবেই বা কী করে? তার ঘাড়ত্যাড়া দেবরটাকে কেউ এই প্রথম এভাবে নাকানি চুবানী খওয়াবে আর সে শুধু মুখ চেপে হাসবে তা কী আবার ইহকালে সম্ভব হবে? রাফায়াতের মা মিসেস শায়লা মির্জা তো ভীষণ খুশি। পুরোপুরি গোসল না করে রাফায়াত নিশ্চয়-ই এখন এই ভেজা শরীর নিয়ে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করবেনা। যা খুঁতখুঁতে স্বভাবের রাফায়াত। চিনতে বাকী আছে নাকি রাফায়াতকে উনার?
এদিকে তো রাফায়াত জ্বলছে, পুড়ছে আর লুচির মত ফুলছে! রাগ যেন তার ফারেনহাইটের পারদের ন্যায় উঠা-নামা করছে। পারছেনা সে এক্ষুণি অয়ন্তীর গ’লা টি’পে ধরতে! সমস্ত শরীর তার জ্বলে পুঁড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। দুই হাতের কোষে পাঁচ থেকে ছয়বার পানি ছিটানোর পর অয়ন্তী তার ক্ষোভ থেকে বেরিয়ে এলো! রাগী ভাবটা যেন মুহূর্তের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে তা পৈশাচিক হাসিতে পরিণত হলো। অচিরেই মনস্কামনা পূরণ হয়ে গেল তার। রাফায়াতের অগ্নিঝরা দৃষ্টিতে সে সাবলীল দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। হাত দু’খানি ঝেড়ে স্বাভাবিক স্বরেই বলল,,
“যান যান। এবার ওয়াশরুমে যান। পুরো বালতি দুধপানি ঢেলে গোসল করে আসুন। আপনার অর্ধেক কাজ-ই তো আমি কমিয়ে দিলাম বলুন? এতে তো আপনার খুশি হওয়ার কথা তাইনা? কিন্তু খুশি হওয়ার বদলে আপনি মুখটাকে অমন বাংলার পাঁচের মত করে রেখেছেন কেন?”
না এবার আর চুপ করে থাকা যাচ্ছেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে উঠছে। ভেতরের সব ক্ষোভ এবার বাইরে বের করতে-ই হবে। না হয় পেট ফেটেফুটে সব বাইরে বের হয়ে আসবে। তৎক্ষণাৎ দাঁতে দাঁত গিজগিজিয়ে রাফায়াত তার আধভেজা শার্ট এবং প্যান্টটিকে ঝেড়েঝুড়ে অয়ন্তীর সম্মুখস্থ হয়ে দাঁড়ালো। চোঁয়াল উঁচিয়ে বিড়বিড়িয়ে বলল,,
“রিভেঞ্জ নিলা তাইনা?”
অবিশ্বাস্যভাবে-ই অয়ন্তী চোখ মেরে দিলো রাফায়াতকে! বুকের উপর দু’হাত গুজে বড়ো রকমের ভাবসাব নিলো। মজার ছলে বলল,,
“কেঁচি লাগি মেরি পেহেলি রিভেঞ্জ? আচ্ছি হে না? বোলো বোলো আচ্ছি হে না?”
রাগটা যেন তড়তড় করে মাথায় চেপে বসল রাফায়াতের। অয়ন্তীর ভাবসাব দেখে তার মাথায় চেপে থাকা সেই মারাত্নক রাগটা যেন বেগতিক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল! হাত বাড়িয়ে সে অয়ন্তীর বুকের পাঁজর থেকে হাত দু’খানা টেনে সরালো। ঝাঁজালো গলায় বলল,,
“নেক্সট টাইম যেন না দেখি আমার সামনে এভাবে বুকের উপর হাত গুজে না দাঁড়াতে। বড়োদের মত এসব ভাবওয়ালা গেট আপ না নিতে।”
হঠাৎ-ই তাদের মধ্যখানে এসে মিসেস শায়লা মির্জা ফোরণ কাটলেন। কারণ, তিনি বুঝতে পারছিলেন বদরাগী ছেলে উনার ভীষণ তেঁতে গেছে। কখন সেই গলন্ত লোহা এসে অয়ন্তীর গাঁয়ে ছিঁটকে পড়ে তা বলা ভারী মুশকিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তিনি দ্রুত গলায় রাফায়াতকে বললেন,,
“হয়েছে হয়েছে। এবার যা গোসল করে আয়। মেয়েটা একদম ঠিক কাজ করেছে। তোকে এভাবে ভিজিয়ে না দিলে তুই কখনোই এই দুধ পানিটা দিয়ে গোসল করতে রাজি হতিসনা। তুই আমার ছেলে আর আমি তোকে চিনব না? যা হওয়ার হয়ে গেছে বাবু। যা এবার আর্লি গোসলটা সেরে আয়। খাবার বাড়ছি আমি। দুপুর থেকে সবাই না খেয়ে আছে। নিশ্চয়ই ইঁদুর দৌঁড়োচ্ছে সবার পেটে।”
ছেলের বউকে নিয়ে মিসেস শায়লা মির্জা চলে গেলেন রান্নাঘরের দিকে। রাফায়াতের বড়ো ভাই রায়হান উপর থেকে নিচ অবধি রাফায়াতকে খুব সূক্ষ্মভাবে প্রত্যক্ষণ করলেন। অতঃপর তিনি আচমকাই মুখ চেপে হেসে বললেন,,
“যা ভাই তাড়াতাড়ি শাওয়ারটা নিয়ে আয়। এই লুকে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বলা যায়না কিন্তু মেয়ে মানুষদের নজর আবার বেসামাল হয়ে যেতে পারে!”
চটে গেল রাফায়াত। রুষ্ট গলায় বলল,,
“জাস্ট শাট আপ ভাইয়া! যে যেভাবে পারছ আমার মজা নিচ্ছ। আমি কিন্তু এসব টলারেট করতে পারছিনা একদম।”
হা হা শব্দে হাসতে হাসতে রায়হান জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। চঞ্চলসহ বাকী সবাই মুখ লুকিয়ে জায়গা থেকে পালালো! যদিও চঞ্চলের মুখে আগে থেকেই মাক্স পড়া ছিল। অয়ন্তী যেন কোনোভাবেই চঞ্চলকে চিনতে না পারে সেজন্যই রাফায়াতের কথায় চঞ্চলের এই বাড়িতে মাক্স পড়ে আসা! অয়ন্তীর প্রথম থেকেই রাফায়াতের বন্ধুদের দিকে তেমন একটা নজর ছিলনা। তার সম্পূর্ণ নজর নিবদ্ধ ছিল শুধু রাফায়াতের দিকে। কখন সে সবার সামনে রাফায়াতকে দুধে পানিতে ভেজাতে পারবে সেই প্রতিশোধের তাড়নায় মত্ত হয়েছিল।
বুকে হাত রাখার প্রসঙ্গে রাফায়াত স্পষ্ট ভাষায় অয়ন্তীকে বারণ করে দিলেও অয়ন্তী এই কাজটিই পুনরায় করল! ইচ্ছে করে আবারও বুকের পাঁজরে হাত গুজে দাঁড়ালো! রাফায়াত আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে অয়ন্তীর বুক থেকে হাত দুটি সরিয়ে দিলো। খিঁচ খেয়ে অয়ন্তী আবারও একই কাজ রিপিট করল। রাফায়াতও তার জেদে অটুট থেকে আবারও সেই সেইম কাজটি করল। এভাবে-ই দুজন প্রায় পাঁচ থেকে ছয়বার এই একই কাজে লিপ্ত রইল। সপ্তম বারের বেলায় রাফায়াতের মাথায় এবার র’ক্ত ওঠে গেল! ধৈর্য্যের বাঁধও পুরোপুরি ভেঙে গেল৷ অয়ন্তীকে টানতে টানতে সে বাড়ির স্টোররুমে নিয়ে গেল। ধপাস করে মেঝেতে ছিটকে ফেলল। বদ্ধ জানালার ফিনকি দিয়ে হুড়মুড়িয়ে আসা এক ফালি রোদের আলোতে অয়ন্তীর উদ্ভ্রান্ত মুখের দিকে তাকালো রাফায়াত। মৃদু চিৎকার করে বলল,,
“তুমি ভালো কথার মানুষ না বুঝলে? ভেবেছিলাম বাড়ির সবার মাঝে তোমাকে রাখব। কিন্তু তুমি সবার সাথে থাকার যোগ্য নও। স্টোররুমে বন্ধী থাকবে না হয় কালই তোমাকে শুনশান একটা গেস্ট হাউজে নিয়ে ফেলে রেখে আসব। ওখানে তুমি একা পঁ’চ’বে, গ’ল’বে, ম’র’বে!”
ভাবশূণ্য ভঙ্গিতে অয়ন্তী ঠোঁট উল্টালো। স্বাভাবিক স্বরে-ই বলল,,
“এজ ইউর উইশ! আমি তো আমার বাঁচার আশা পুরোপুরিই ছেড়ে দিয়েছি। শুধু আমার পরিবার সুরক্ষিত থাকলেই চলবে। তাই আমার এই বদ্ধ স্টোররুমে বা শুনশান কোনো গেস্ট হাউজে থাকতেও কোনো অসুবিধে নেই।”
মেঝেতে উল্টো পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল অয়ন্তী। মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল সে। অয়ন্তীর আচরণে রাফায়াত বেশ অবাক হলো। এত সহজে অয়ন্তী হার মেনে নিলো? নিজেকে বাঁচানোর কথা চিন্তা করলনা অবধি? অয়ন্তীকে দেখে মনে হচ্ছে যেন এভাবে সে আরও অনেকবার নিজেকে ত্যাগ করে এসেছে! যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে জোর পূর্বক মানিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সবক্ষেত্রে তো নিজেকে এমন জোর করা ঠিক নয়। এভাবে অন্য কাউকে জিতিয়ে দিয়ে নিজে হেরে যাওয়া মোটেও উচিৎ নয়। মৃত্যুর আগ অবধি নিজেকে বাঁচিয়ে যাওয়ার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। হার মানা যাবেনা কারো কাছে-ই। অয়ন্তীকে খুব শক্ত হতে হবে। রাগী ভাব ঝেড়ে ফেলল রাফায়াত। কণ্ঠে কোমলতা নিয়ে এলো। মলিন স্বরে বলল,,
“দেখি ওঠো।”
নাছোড়বান্দা অয়ন্তী নিজেকে আরও গুটিয়ে শুটিয়ে শুয়ে পড়ল। ভরাট গলায় জবাবে বলল,,
“আপনি যান এখান থেকে। আমাকে একটু একা থাকতে দিন।”
“উঠতে বলেছি উঠো। ঠিক জায়গায় তো রাগ দেখাতে পারো না। বেহুদা জায়গায় রাগ দেখাতে আসো।”
“আমার এখন কারো সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে না। প্লিজ আপনি যান।”
“আচ্ছা কী করতে ভালো লাগছে বলো?”
“বললাম তো একা থাকতে ভালো লাগছে।”
গাঁ ছাড়া ভাব নিলো রাফায়াত। ভেজা চুলগুলো পেছনের দিকে টেনে ধরল। ভাবশূণ্য গলায় বলল,,
“ওকে ফাইন। তাহলে একা-ই থাকো। তবে তোমার সাথে একটা টপ সিক্রেট শেয়ার করার ছিল! শুনতে চাইলে শুনবে। না হয় চলে যাচ্ছি ওকে?”
নাক টানল অয়ন্তী। আগ্রহ থেকে বেশ উৎসুক গলায় শুধালো,,
“কী সিক্রেট?”
“আগে বলো ভয় পাবে না তো?”
“উঁহু। আমি ভয়-টয় পাইনা। যা বলার বলে ফেলুন।”
“ওকে বলছি তাহলে। এই রুমে না? কালো দেখতে একটা ভূ”ত আছে!”
দম নেওয়ারও সময়টা পেলনা রাফায়াত। এর অতিপূর্বেই অয়ন্তী দৌঁড়ে এসে রাফায়াতের ডান হাতটা জড়িয়ে ধরল। রাফায়াতের ঠিক পেছনে লুকিয়ে যাওয়ার মত উপক্রম হলো তার। ভয়ে তার শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগল। জবান প্রায় বন্ধ হয়ে এলো। হাত দুটো ঘামে ভিজে রাফায়াতের কব্জির সাথে মিশে যাচ্ছিল। কাঠ কাঠ গলায় বলল,,
“আমাকে প্লিজ আপনাদের সাথে থাকতে দিন না? আমি আর কখনও আপনার কথার অবাধ্য হবনা!”
ঠোঁট টিপে হাসি চাপল রাফায়াত। কণ্ঠে বেমালুম কঠোরতা এনে বলল,,
“শিওর?”
“হুম।”
“ভেবেচিন্তে বলছ তো?”
“হুম।”
“আমি যা করতে বলব তাই করবে?”
“হ্যাঁ তো। প্লিজ চলুন না এই গস্টরুম থেকে।”
“বুকের উপর আর হাত গুজে দাঁড়াবে না শিওর তো?”
“হ্যাঁ শিওর।”
“আমি যা বলব তাই শুনবে?”
“শুনব তো!”
“ওকে। তাহলে ঠিক আছে। আর একটা কথা।তোমাকে থাকার জন্য যে রুমটা দেওয়া হয়েছে তুমি সেই রুমটিতেই থাকবে। খবরদার আমি বলার আগে ঐ রুম থেকে এক পা ও বের করবেনা ওকে?”
“ওকে! এবার তো চলুন প্লিজ।”
রাফায়াতের বাহুতে শক্তভাব চেপে ধরা অয়ন্তীর হাত জোড়ায় ভরসার হাত রাখল রাফায়াত! অনেকক্ষণ যাবত গাঁ ভেজা থাকার দরুন হঠাৎ তার ঠাণ্ডা লেগে গেল। বিরামহীনভাবে হাচ্চি দিতে লাগল সে। অনর্গল ছয়টা হাচ্চি একসাথে দেওয়ার পর রাফায়াত একটু ক্ষান্ত হলো। এর ফাঁকেই অয়ন্তী রাফায়াতকে টেনে হেঁচড়ে স্টোররুম থেকে বের করল। আচমকাই রাফায়াতের কনুইতে জোরে এক চিমটি কেটে দিলো! তড়িঘড়ি করে রাফায়াতের হাতটি ছেড়ে সে তার বরাদ্দ করা রুমটির দিকে দ্রুত পায়ে হাঁটা ধরল। উত্তেজিত গলায় রাফায়াতকে ডেকে বলল,,
“ব’জ্জা’ত বেটা। ভূতের ভয় দেখাও আমারে? একদম ঠিক হয়েছে ঠাণ্ডা লেগেছে। আর একটা কথা। আমি ভুলেও আপনার কথামত চলব না। যখন যা মনে হবে তখন ঠিক তাই করব। যেটা না করতে বলবেন সেটাই আরও বেশি করে করব!”
অয়ন্তীর বড়ো নখের আঁচড়ে যদিও রাফায়াতের কনুইটা বেশ অনেকখানিই কেটে গেছে তবুও সে কোনো রকম উহ্ আহ্ শব্দটুকুও করলনা। ব্যথাকে তার ব্যথাই মনে হলোনা! প্রাণপনে দৌঁড়োতে থাকা অয়ন্তীর যাওয়ার পথে তাকিয়ে সে স্মিত হাসল। অয়ন্তীর একটু আগের করা নাটক ধরতে তার আর বাকী রইলনা! মাথা চুলকে সে বিভোর গলায় বলল,,
“ইশশ! আমার হারানো অয়ন্তীটাকে আবারও ফিরে পেলাম!”
ইতোমধ্যেই পেছন থেকে চঞ্চল এসে উদ্বিগ্ন গলায় রাফায়াতকে ডাকল। অনর্গল বলল,,
“একটা প্রবলেম হয়ে গেছে রাফায়াত!”
তড়িঘড়ি করে পেছনে ঘুরে তাকালো রাফায়াত। কপালের ভাঁজে নিগূঢ় দুঃশ্চিন্তার ছাপ ফুটিয়ে তুলল। শুষ্ক গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,
“কী প্রবলেম?”
“প্রিয়া ফোন করেছিল। তোর ফেরার খবরটা সে পেয়ে গেছে! আমাকে বলছিল কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি এই বাড়িতে আসছে!”
মাথায় হাত চলে গেল রাফায়াতের। চরম সংকটে ভুগতে লাগল। খারাপ কিছুর আঁচ করতে পেরে আতঙ্কগ্রস্ত গলায় বলল,,
“কী বলছিস তুই বুঝতে পারতিস তো চঞ্চল? প্রিয়া এখন এই বাড়িতে আসলে পরিস্থিতি সব উল্টে পাল্টে যাবে।”
“হ্যাঁ। এজন্যই তো আর্জেন্ট তোকে কথাটা বলা। যা করার আমাদের কিছুক্ষণের মধ্যেই করতে হবে।”
“যা মনে হচ্ছে অয়ন্তীকে এই বাড়িতে রাখাটা সেইফ নয়! হতে পারে প্রিয়ার সাথে অনিকও আসতে পারে। অনিক কিন্তু আমাকে পাগলের মত খুঁজছে!”
#চলবে…?