কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ১১+১২
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
– এই ডানা ❓
– হুমম বল সোনা পাখি।
– যদি হারিয়ে যায়।
– মারা যাব।
কতক্ষণ কথা বলছি হটাৎ কারো কন্ঠে কিছু কথা শুনতে পেলাম।
– আপনাদের শুটিং কি শেষ হয়েছে ❓
কথাটা শুনেই দুজনের মাঝে দূরত্ব হয়ে গেল কিছুটা।
– আম্মু কখন আসলে ❓
– মাত্রই আসলাম আর এসেই যা দেখতেছি ।
– আম্মু কি যে বল না লজ্জা লাগে তো । ( মাথা নীচু করে)
– ওরে আমার লজ্জার সাগর।
– হুমম খুব
– আমি গেলাম খাবার তৈরী করতে হবে।
– আম্মু আমিও আসতেছি।( ডানা)
– লাগবে না আপনারা আপনাদের কাজ কন্টিনিউ করেন।
কথা বলেই আম্মু মুচকি হেসে বেড়িয়ে গেল।
।।
– আম্মু অফিস কেমন লাগছে ❓( জান্নাতের বাবা)
– হুমম ভাল বাবা । ( জড়িয়ে ধরে)
– আর আমার জামাই ❓
– এই পদার্থে কোন তুলনা হয়না।
– দেখতে হবে না জামাই টা কার।
– হুমম।
– বাসায় এসে কথা হয়েছে জামাইয়ের সাথে ।
– না বাবা শুধু বাসায় নামিয়ে দিয়ে এসেছি। এখনও ফোন করি নাই কিন্তু একটু পরেই করব।
– ঠিক আছে মামুনি।
।।
– এই বাবু ❓
– চলো আমাদের কাজ শুরু করি।
– আমাদের আবার কিসের কাজ ❓
– রোমাঞ্চ।
– এখন হবে না আম্মু রান্না করতে গেল আম্মুকে গিয়ে একটু সাহায্য করি।
– আম্মু তো বলেই গেল আমাদের কাজ করতে। আমরা আমাদের কাজ মনোযোগ সহকারে করি না ছাড়া আম্মু রাগ করবে গো ।
– না।
– প্লিজ আসো না বুকের মাঝে। মাথা রাখ একটু বুকে।
– হুমম।
ডানা এখন আমাকে জড়িয়ে আমার বুকের উপর শুয়ে আছে। কতক্ষণ পড়ে আমার ফোনের রিংটন বাজতে থাকে। ফোনটি যত্ন সহকারে হাতে তুলে নিয়ে বিরক্ত হয়ে গেলাম।
ফোনের স্ক্রিনে দেখলাম বস নামটা ভাসতেছে।
ফোন ধরতে ইচ্ছা করছে না তাই ফোনটা রেখে দিলাম।
– কি হলো ফোনটা রিসিভ কর।
– না রিসিভ করব না ❓
– কেন ❓
– জান্নাত ফোন দিছে।
– তো কি হয়েছে ফোনটা রিসিভ কর।
– না করব না।
– আরে বাবা অফিসিয়াল কাজেও তো ফোন দিতে পারে। আর এখন এখন তুমি তাঁর পি.এ
– ওকে
ফোন রিসিভ করার পরে অপর পাশ থেকে সাথে সাথে।
– আমার বাবুটা কি করে ❓
– ডানাকে বুকের মাঝে রেখে শুয়ে আছি।
– এই তোমার সাহস কত নিজের বউকে রেখে একটি কাজের মেয়েকে সাথে নিয়ে শুয়ে আছো।
– হি হি হি হি হি।
– হাসলে কেন ❓
– কে কার বউ।
– আমি তোমার বউ।
– আমার বউ শুধু ডানা অন্যকেউ না। ( ডানার কপালে একটা চুমু দিয়ে)
– আমি ডানার সাথে কথা বলব ।
– আমার বউ যার তাঁর সাথে কথা বলে না।
– রাগ হচ্ছে কিন্তু খুব।
– তো আমি কি করতে পারি আমি ।মাথায় কি ঠান্ডা পানি ঠালব
– প্লিজ ডানার কাছে ফোনটা দাও।
– পারব না
– প্লিজ প্লিজ প্লিজ
– ওকে।
– এই নাও বাবু আমার অফিসের দজ্জাল বস তোমার সাথে কথা বলবে । ( জান্নাতকে শুনিয়ে)
– আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন ❓
– ওয়ালাইকুমুস সালাম। হুমম ভাল আছি।
( সালাম দেওয়ার ফলে অর্ধেকটা রাগ কমে যায় জান্নাতের। কেউ যদি আপনার উপর খুব পরিমানে রেগে থাকে আপনি গিয়ে তাকে সালাম দিবেন দেখবেন রাগটা অনেকটাই কমে গেছে।)
– আপনার মধ্যে কি নুন্যতম ভদ্রতা নেই ❓
– মানে ❓
– কেউ যদি আপনাকে কেমন আছ জানতে চাই প্রশ্নের জবাবে সে কেমন আছে সেটা জানতে হয় এটাই ভদ্রতা।
– তুমি আমাকে জ্ঞান দিচ্ছো ❓
– স্যরি । এই বিষয়টা কাউকে বলতে হয়না সবারই জানা কিন্তু আপনারই হয়তো জানা ছিল না তাই একটু বললাম।
– বাই দ্যা ওয়ে আপনি আমাকে কি যেন বলবেন হয়তো।
– হুমম।
– বলতে পারেন।
– তুমি আমার হবু বরের সাথে এসব কি শুরু করছ ।
– আমি আবার কি করলাম ❓
– নষ্টা মেয়ের মতো আমার স্বামীর সাথে ফুস্টীনষ্টি করছো। তোমাদের মতো মেয়েদের সাথে শুধু রাতেই ইনজয় করা যায় কিন্তু দিনের আলোয় পোষা গোলাম। তোমাদের মতো মেয়েদেরকে তৈরি করা হয়েছে শুধু বড়লোকের ইনজয় করার জন্যে। তোমাদের মতো পতিতাদের দিয়ে শুধু ইনজয়ই করা যায় কিন্তু বউ না।
– আপনার কথা শেষ হয়েছে ❓( রেজন)
– হুমম।
– এখন একটু আমার কথা শুনে কান খুলে রাখ আমি যদি বিয়ে করি তাইলে এই পতিতাকেই বিয়ে করব। তোর মতো নাইট ক্লাবে যাওয়া মেয়ে বিয়ে করব না। আর পতিতা হলে তুই ডানা না।
– আর যার তাঁর নামে কি সব বলিস। জানিস আল্লাহর কাছে কে পছন্দের তুই না ডানা। ডানা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। নিজেকে সবসময় পর্দায় ঠেকে রাখে। বাইরের কোন ছেলের সাথে কথা বলে না। আর তুই কি সব বাজে পোশাক পরিধান করিস সেটার ফলে হাজার হাজার লোক তোকে ধর্ষণ করছে । পর্দা একজন নারীকে যেমন হেফাজত করে তেমন হাজার যুবককে গুনাহর হাত থেকে বাঁচায়
– তুই প্লিজ আর আমাদের বিষয়ে নাক গলাস না। আমাদের নিজের মতো থাকতে দে।
– কিছুক্ষন পড়ে জান্নাত যে কথাটা বলল সেটা কোন মতেই আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না।
।
চলবে
।
কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ১২
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
– আর যার তাঁর নামে কি সব বলিস। জানিস আল্লাহর কাছে কে পছন্দের তুই না ডানা। ডানা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। নিজেকে সবসময় পর্দায় ঠেকে রাখে। বাইরের কোন ছেলের সাথে কথা বলে না। আর তুই কি সব বাজে পোশাক পরিধান করিস সেটার ফলে হাজার হাজার লোক তোকে ধর্ষণ করছে । পর্দা একজন নারীকে যেমন হেফাজত করে তেমন হাজার যুবককে গুনাহর হাত থেকে বাঁচায়
– তুই প্লিজ আর আমাদের বিষয়ে নাক গলাস না। আমাদের নিজের মতো থাকতে দে।
– কিছুক্ষন পড়ে জান্নাত যে কথাটা বলল সেটা কোন মতেই আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না।
– আমি যে কোন মূল্যে তোমাকে চাই। দরকার পড়িলে ওই কাজের মেয়েকে খুন করে তোমাকে আপন করে নিব।
– এই তুই কি জানিস না প্রেম ভালবাসা জোর করে হয়না। সব কিছু উপর থেকে ঠিক করে দেওয়া। প্রেম ভালবাসা আল্লাহ পাকের নিয়ামত। প্রেম ভালবাসা পেতে হলে সুন্দর একটি মন লাগে। তোর সেই মনটা নেই। তোর মনতো কুকুরের থেকেও নিকৃষ্ট। তুই কিভাবে প্রেম ভালবাসা পাবি কারো থেকে ।
– জোর করে যে প্রেম ভালবাসা পাওয়া যায় সেটা তোমাকে বিয়ে করে প্রমানস্বরুপ বিশ্বকে দেখাব।
– স্যরি কোন ভাবেই তোর মতো নিকৃষ্ট মনের মানুষকে আমি বিয়ে করব না। আর স্বপ্নেও এটা কোন ভাবেই সম্ভব নেই।
– তুমি কি জানো তোমার চাকুরী চলে যেতে পারে যে কোন সময় এই কথাগুলোর জন্যে ( প্রেসার দেওয়ার চেষ্টা)
– স্যরি আমি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি আমি কালকেই চাকুরী নিজ ইচ্ছায় ছেড়ে দিব।
– তোমার চাকুরী গেলে সম্যাসা হবে না ❓
– তুই মনে হয় আমাদের ফ্যামিলির ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে কিছুই জানিস না। সব কিছুই হয়তো অজানা। আল্লাহ তায়ালা আমার বাবাকে যথেষ্ট কিছু দিয়েছেন। আমি চাইলে সারাজীবন বসে কাটাতে পারব বাবার এই অর্থ প্রতিপত্তি দিয়ে ।
– বাবা আমাকে তাঁর কম্পানির সম্পুর্ণ দায়ভার চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে কিন্তু আমি চাপে থাকতে আমি পছন্দ করি না। যার জন্যে কম্পানির দায়িত্ব নিতে চাচ্ছি না।
– তোর জন্যে হয়তো এখন কম্পানির দায়িত্ব নিতেই হবে।
– তুমি চাইলেই চাকুরী ছেড়ে চলে আসতে পারবে না । কারণ আমাদের কম্পানির একটা রুলস আছে ১ বছরের আগে চাকুরী থেকে কোন ভাবেই বেড় হওয়া যাবে না।
– আর তুমি যদি কম্পানির রুলস ভঙ্গ করো তাইলে তোমার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। ( ভয় দেখানোর চেষ্টা)
– তুই কি জোর করছিস আমার উপর ❓
– করলে করছি ।
– আর তুমি তুই বলা শেষ করো প্লিজ । আমি এই তুই তুকারী নিতে পারছি না আর ।
– এই তোর ভালবাসা ❓
– মানে ❓
– আমি ডানার সাথে তুই তুমি আপনি সব বলি আবার সময়তে বকাবকিও করি কিন্তু আমার ডানা কখনই কিছু মনে করে না । এটাই হলো প্রকৃত ভালবাসা।
– আর তুই সামান্য তুই নিতে পারছিস না।
– ওই কাজের মেয়ের সাথে আমার তুলনা করছো❓( অবাক কন্ঠে)
– ওরা হচ্ছে নিচু জাত ওদের হাজার বকাবাজি করলেও ওরা মাথা নতো করে থাকে। আমি ওদের গায়ে হাত তুলি পর্যন্ত তাও ওরা মাথা তুলে কথা বলতে সাহস করে না।
– আজ তোর আসল চেহারা সামনে চলে আসল আমার। তুই যে কতো বড় নিকৃষ্ট মনের মানুষ সেটা আজ সম্পুর্ণ ভাবে প্রকাশ পেল।
– তুই “”যদি কাউকে কখনো একটা থাপ্পড় মারিস ভবিষ্যতে কোন একজায়গায় , কোন এক মজলিশে বা কোন এক সময় সেই থাপ্পড় তুই ফেরত পাবি মৃত্যুর এক সেকেন্ড আগে হলেও ফেরত পাবি “”।
– আর এখন তোর মত ক্যারেক্টারলেস মহিলার সাথে কথা আমার নিজের কাছে বাঁধতেছে।
কথাটা বলেই জান্নাতকে কোন কিছু না বলার সুযোগ দিয়েই ফোন কেটে দিলাম। ফোন কেটে দিয়ে জান্নাতের নাম্বার সাথে সাথে ব্লক করে দিলাম।
কিছুটা বিরক্তিকর মনোভাব নিয়ে ডানাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম বুকের সাথে।
– কি হলো মরে যাব তো ❓
– আচ্ছা জান।
– হুমম জান বলো।
– তুমি প্লিজ জান্নাতের কথা কিছু মনে নিও না ( জান্নাতের সব কথা ডানা শুনছে। আসলে আমি জান্নাতের সাথে হেটফোনে কথা বললাম। হেটফোনের এক সাউন্ড সিস্টেম ছিল আমার কানে অন্যটা ডানার কানে।)
– আসলে আমাদের জন্মই হয়েছে বড়লোকদের কথা শুনতে তাই এখন আর এগুলো কিছুই মনে হয় না।
– আমি এখন থেকে তোমাকে কোন কথা শুনতে দিব না। সবসময় ভালবাসার আঁচল দিয়ে জড়িয়ে রাখব। কোন সময় তোকে কষ্ট পেতে দিব না।
– এতো ভালবাসিস ❓
– হুমম রে অনেক ভালবাসি ।
– হারিয়ে যাবি না তো ❓ জানো প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমায়ে যাই।আর ভাবি তোমাকে যদি হারায়ে ফেলি তাহলে কি ভাবে থাকবো । কি নিয়ে বাঁচবো ❓
– এই ভয়টা কখনও করবে না। একমাত্র মরণ ছাড়া তোমাকে আর আমাকে কেউ আলাদা করতে পারবে না ।
– সবসময় ভালবাসবে তো এই ভাবে ❓
– হুমম বাসব রে পাগলী । ( কপালে ভালবাসার পরশ এঁকে দিয়ে)
।।
।।
।।
কতক্ষণ পড়ে আম্মুর কন্ঠ ভেসে আসল।
– এই রেজন ❓
– হুমম আম্মু বলো ।
– টেবিলে খাবার দিয়েছি ডানাকে সাথে নিয়ে খেয়ে নে।
– ওকে আম্মু আসতেছি।
– এই আম্মু ডাকছে ( রেজন)
– আর একটু থাকি না তোমার বুকের উপর প্লিজ।
– আম্মু ডাকছে তো বাবু ।
– তাইলে বিদায় করে দিবে আমাকে তোর বুক থেকে ❓
– আরে বাবু একটু বুঝতে চেষ্টা করো।
– আমি শুধু তোমার বুকে মাথা রেখে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাই। রাখবে না সারাজীবন আমায় ❓
– সারাজীবন রাখবো তোমাকে বুকের মধ্যে। আম্মু ডাকছে চলো যায় তাড়াতাড়ি না গেলে কেমনে দেখা যাবে । আম্মু কি মনে করবে বলো ।
– ওকে চলো।
– হুমম উঠো ।
।
তারপর ডানাকে সাথে নিয়ে চলে আসলাম টেবিলে।
– টেবিলে গিয়ে।
– আপনাদের এই মূল্যবান সময়ে ডিস্টার্ব করার জন্যে স্যরি। ( মুচকি হেসে)
– কি যে বলো না আম্মু মুখে কিছুই বাধে না তোমার। লজ্জা লাগে না বুঝি ।
– আমি আগে জানতাম মেয়েরা এই বিষয় নিয়ে লজ্জা পায় এখন দেখছি আমার ছোট্ট বাবুটাও লজ্জা পায়।
– আম্মু বাদ দাও এসব প্লিজ ( লজ্জার সুরে)
– বাদ দিতে পারি একটি শর্তে।
– কি শর্তে ❓
– আমার দাদি ডাক শুনতে খুব ইচ্ছা করছে। আমার একটা খুব তাড়াতাড়ি নাতি লাগবে।
– সেটার জন্যে তো তোমার সাহায্য লাগবে। তুমি পাশে না থাকলে তো ডানাকে জীবনসাথী হিসাবে পাব না।
– আমি সবসময় তোদের পাশে আছি। যে কোন পরিস্থিততে তোদের সঙ্গ দিব।
– থ্যাংকস আম্মু।
কিছুক্ষণ বাদে।
– আচ্ছা আম্মু আব্বু কে দেখছি না ❓
-তোর আব্বুতো এখনও ফিরে নাই। ফিরতে ফিরতে রাত হবে তোরা খেয়ে নে।
– আর আম্মু সাদিয়া কোথায় ❓( ডানা)
– পড়তেছে।
– সাদিয়া কেউ ডেকে আনি সবাই একসাথে শুরু করি।
– তোমরা আগে শেষ করো সাদিয়া পড়া শেষ করে খাবে।
।।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিছানায় চলে আসলাম। বিছানায় এসে ভাবতে লাগলাম কালকে অফিসে যাব কি না।
কিছুতেই সিধান্তে উপনীত হতে পারছি না কালকে অফিসে যাব কি না।
তার কতক্ষণ পরে ভাবলাম ডানা যদি যেতে বলে তাহলে অফিসে যাব না ছাড়া যাব না।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমের রাজ্যে পারি দিলাম। অন্যদিকে ডানা রেজনকে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে।
।।
(সকালে )
আজকে ঘুম থেকে উঠে ডানাকে দেখতে না পেয়ে একটু অবাক হলাম। যে ডানা আমার প্রতিদিন ঘুম ভেঙে যাওয়ার আগে চা নিয়ে দাড়িয়ে থাকে আমার ঘুম ভাঙ্গার অপেক্ষায়।
আজ সে ডানার চরণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আমি বিছানা ছেড়ে ডানাকে খুঁজতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম । প্রথমে ডানার রুমে উঁকি মেরে দেখলাম ডানা রুমে নেই। তারপর সারা বাড়ি খুঁজে পেলাম না।
কতক্ষণ পড়ে ডানা উপস্থিত বুঝতে পারলাম রান্না ঘরে।
আস্তে আস্তে চলে গেলাম ডানার কাছে।
ডানার কাছে গিয়েই খুব যত্ন করে জড়িয়ে ধরলাম পিছন থেকে । জড়িয়ে ধরার ফলে ডানা কেমন যেন চমকে উঠে পিছনে তাকায়।
– ওহহ তুমি ❓
– হুমম।
– এভাবে কেউ জড়িয়ে ধরে ❓
– তাইলে কি আরো শক্ত করে ধরব।
– তুমি সব কিছু নিয়েই এতো মজা করো কেন ❓
– কারণ মজা করতে আমার ভাল লাগে।
– বাদ দাও তো এসব এখন একটু ভাল করে জড়িয়ে ধরতে দাও।
– তুমি তাড়াতাড়ি ছাড়ো তো কাজ আছে অনেক । তাছাড়া যে কেউ দেখে ফেলতে পারে যে কোন সময় ।
– কেউ দেখবে না গো কারণ সবাই ঘুমাচ্ছে এখন।
– বাবু রে ❓
– হুমম বাবু।
– একটা…………………. – একটা………………….
।
চলবে
।