কালোরাত পর্ব ২

#কালোরাত
( ২য় র্পব )
লেখকঃ নিঝুম জুনায়েদ

সবার সাথে কথা বলা শেষে যেই আমার মুখে খাবার তুলেছি তক্ষনি অমানুষ টা চিৎকার দিয়ে উঠেছে ।
আর সবাই কেমন যেনো চুপসে গেছে ।
কারোর মুখের আর হাঁসি নেই কেমন যেনো সবাই ভয়ে ভয়ে আছে । …
একটু পর আমার শাশুড়ি আম্মু সাহস করে বললো …


শাশুড়িঃ বাবা কি হয়েছে
জুনায়েদঃ ও নিজের হাতে কেনো খাচ্ছে আমি কেনো আছি …

ফারজানা ত অবাক জুনায়েদের কথা শুনে ।
যেই মানুষ টা এতো কষ্ট দিতে পারে আবার তার মুখে এমন কথা শুনে বড় রকমের ধাক্কা খেলাম । খাবার খেতে গেলে এখনো খুব কষ্ট হচ্ছে । আর এই অমানুষ টার ভেতর কি আছে কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা । সবাই ভয়ে ভয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আর অমানুষ টা আস্তে আস্তে কাছে আসতেছে ।


জুনায়েদঃ আম্মু রুবা আর তুবা কে নিয়ে রুমে যাও আর রুমে বসে খাইয়ে দাও ওদের ( রুবা আর তুবা আমার যমজ ননদ)
শাশুড়িঃ আচ্ছা বাবা ।

তারপর তুবা আর রুবা কে নিয়ে আমার শাশুড়ি মা ওপরে চলে গেলো খাবার সহ । আর অমানুষ টা এখন আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর কি যেবো ভাবছে । তারপর ধুম করে আমার পাশের চেয়ারে বসে পড়লো । আর আমি তো ভয়ে শেষ আবার অমানুষ টা কিছু করে । এমনি অনেক কষ্ট দিয়েছে ।বুকে এখনো ব্যাথা আছে আগুনের ছাপের ।

দেখি অমানুষ টা আমার খাবার প্লেট টা নিয়ে ভাত মাখাচ্ছে ।

আমাকে অবাক করে দিয়ে নিজের হাতে খাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু আমি খাচ্ছি না ।


জুনায়েদঃ হা করো ।
ফারজানাঃ আমি একাই খেতে পারবো ।
জুনায়েদঃ পারবেনা হা করো বলছি ।
ফারজানাঃ বললাম ত আমি পারব ।
জুনায়েদঃ আবার বলছি হা করো আমি খাইয়ে দিচ্ছি ।
ফারজানাঃ আপনি যান আপনাকে কষ্ট করতে হবেনা ।
জুনায়েদঃ ঠাস ঠাস ঠাস আমার কথা কানে যায় না ।

… ওমা কি জোরে চড় মারছে মনে হচ্ছে কানের র্পদা ফেটে গেলো । এটা এই অমানুষের দ্বারায় হয় । আমাকে এমন জোরে চড় মেরেছে যে ওপরে শাশুড়ি মা আর তুবা রুবা বাইরে চলে এসেছে কিন্তু ওরা ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেনা । আমি কান্না করছি আর অমানুষ টা আমাকে খায়ে দিচ্ছে ।


জুনায়েদঃ আমার কথা শুনলে এমন টা হতো না ।
ফারজানাঃ হু হুহুহুহু ।
জুনায়েদঃ কান্না বন্ধ করে খাবার খাও ।
ফারজানাঃ হু হুহুহুহুহু ।
জুনায়েদঃ কান্না বন্ধ করো না হলে আবার মার হবে ।
ফারজানাঃ হুম ।
জুনায়েদঃ তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও আমার অফিসে যেতে হবে ।
… অমানুষ টার এই কথা শুনে অবাক এই অমানুষ টা নাকি অফিসে যাবে ।


মনে হয় অমানুষ টা ভালো হয়ে গেছে । মনে হয় কাল রাতে ছাই পাস খেয়ে অমন করেছিলো । আমার যখন খাওয়া শেষ হলো তখন যা বললো অবাক না হয়ে পারলাম না । আমাকেও নাকি এই অমানুষ টাকে খাইয়ে দিতে হবে আল্লাহ্‌ তুমি আমাকে বাছাও ।

জুনায়েদঃ কি হলো খায়ে দাও ।
ফারজানাঃ ……( চুপ করে আছি)
জুনায়েদঃ কি আবার সুন্দর গাল টা লাল করে দিবো ?
ফারজানাঃ নাহ আমি খাইয়ে দিচ্ছি ( ভয়ে ভয়ে )
জুনায়েদঃ হুম ভালো মেয়ে ।

অমানুষ টার ভালো ব্যবহার দেখে আমার কেমন যেনো লাগছে । অমানুষ টা কে খাইয়ে দিচ্ছি কিছুক্ষন পর দেখি ও নিজে কান্না করছে আর আমি খাইয়ে দিচ্ছি । কিন্তু কেনো কান্না করছে আমি বুঝলাম না । যখনি বললাম কেনো কান্না করছেন …

ফারজানাঃ আপনি কান্না করছেন কেনো ( ভয়ে ভয়ে )
জুনায়েদঃ ………
ফারজানাঃ কি হলো বলুন ।

আমার কথা শুনে অমানুষ টা ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে পানি খেয়ে তারপর চোখ মুছে আমার মাথা টা দুই হাত দিয়ে অনেক জোরে ধরে কিস করতে লাগলো । পাক্কা ৩ মিনিট কিস করছে । অমানুষ টা যখন তার ভালোবাসার সাগরে নিয়ে গেছিলো মনে হচ্ছে শরীরে এক অন্য রকম শিহরণ জেগে উঠলো । মনে মনে ভাবলাম অমানুষ টা মনে হয় এবার মানুষ এ পরিণতি হয়েছে ।
… তারপর রেডি হয়ে বাসার বাইরে যাওয়ার আগে আমার কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে গেলো ।

এক কিছুক্ষনের ভালোবাসায় রাতের সব কষ্ট ভুলে গেছি । আর কিছুই মনে হচ্ছে না ।
।।
সারা টা দিন মন টা ভালোই গেলো আমার পুচকে দুই কিউট ননদের সাথে সময় কাটাতে কাটাতে ।

অনেক ভালো লাগছে এখন কিন্তু রাতের কথা ভাবলে মনে হচ্ছে একটা হাইনা আমাকে ছিড়ে খাচ্ছে ।

অমানুষ টা রাত ১০টার সময় বাসায় ফিরলো । এসে বিছানায় ধপাস করে শুয়ে পড়লো । আমি তার পায়ের জুতা জোড়া খুলে দিলাম আর সোজা করে শুয়ে দিলাম । তারপর তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললাম ।

ফারজানাঃ আপনি যে এসে শুয়ে পড়লেন খাবেন না ?
জুনায়েদঃ ………( মনে হচ্ছে ঘুমাচ্ছে )
ফারজানাঃ কি হলো কথা বলছেন না যে ।

আমি মনে করি ঘুমাচ্ছে তাই তার কপালে যেই চুমা দিতে গেছি তখন সে আমায় টান দিয়ে তার বুকের নিছে ফেলে দেই কিন্তু এটা দেখে আমার কিছু মনে হয় না কারন অমানুষ টা এখন ভালো হয়ে গেছে তাই স্বামী স্ত্রী সর্ম্পক হতেই পারে কিন্তু না সে আমার ধারন ভুল করে । আবার কালকের মতো এক টানে শাড়ি খুলে আমার হাত পা বেধে দিলো । যতক্ষনে হাত পা বাধলো ততোক্ষন আমি একটা ঘরের মধ্যে ছিলাম।

যে কালকের মতন সিগারেট ধরিয়েছে ভয় টা অনেক বেড়ে গালো । তাহলে কি আবার অমন করবে হ্যা সে তাই করছে । কালকে মাত্র ৫টা দাগ দিয়েছিলো আজকে আরো ৫টা দিয়েছে আর আমি একটা মুরগির মতো দাফাচ্ছি আর চিল্লাচ্ছি কিন্তু অমানুষ টার সেই দিকে কোনো খেয়াল নেই সে তার কাজ নিজ জ্ঞ্যানে করে যাচ্ছে ।

মোট ১০টা দাগ দিয়ে একটা লম্বা লাইনের মতো করেছে অমানুষ টা । তারপর নিজেই মল্ম নিয়ে এসে লাগিয়ে দিলো ।

জুনায়েদঃ খুব কষ্ট হয়েছে তাইনা ?
ফারজানাঃ………… (কান্না করেই যাচ্ছি)
জুনায়েদঃ আচ্ছা দাড়াও আদর করে দিচ্ছি ।
… অমানুষ টা আবার কালকে রাতের মতো শুরু করেছে । আমাকে একটা হাইনার মতো ছিড়ে খাচ্ছে অমানুষ টা । আর আমি কান্না করতে করতে অনেক বলছি আমার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু অমানুষ টা কিছুতেই শুনছে না ।

যখন আমি আমি অমানুষ টার কাছে থেকে ছাড়া পেলাম । আর হাতের কাছে একটা বড় কি যেনো লোহার কি ছিলো তাই দিয়ে বাড়ি মেরেছি ।
আর তখন অমানুষ টা ধপাস করে নিছে পড়ে যায় ।

এটা দেখে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম ………
তারপর …


…… চলবে ……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here