কোন কাননে ফুটিবে ফুল পর্ব -১৭

#কোন_কাননে_ফুটিবে_ফুল🌸
#Part_17
#Writer_NOVA

সকাল সকাল ছোট ছেলেকে নিজের কামরায় দেখে অবাক হলেন আনোয়ার সর্দার। সাথে ললাটে চিন্তার ভাজে কুঞ্চিত হলো। ছেলে তার কোন বড় উদ্দেশ্য ছাড়া এই কামরায় পা রাখে না। পরিষদের অধিবেশনের কাগজগুলো সরিয়ে চশমা ঠিক করলেন। আড়চোখে ছেলের দিকে তাকিয়ে দেখলেন উদ্ভ্রান্ত চেহারা। উসখুশ চাহনি মনে হচ্ছে কিছু বলবে। গম্ভীর সুর টেনে জিজ্ঞেস করলো,

‘কিছু কইবা ছোট সর্দার?’

শুভ চমকে তাকালো বাবার মুখশ্রী পানে। দৃষ্টি স্থির। কতদিন পর চেনা মানুষের মুখে অচেনা ডাক। ভেতরটাকে কেমন জানি নাড়িয়ে দিলো। মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো।

‘কইয়া ফালাও। কাহিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা আমি বুঝতে পারছি। তুমিও ভণিতা না কইরা কইয়া ফালাও।’

‘হো কিছু জরুরি কথা আছিলো।’

শুভর কন্ঠ টানা টানা। কাগজগুলো গুছিয়ে সামনের ছোট টেবিলে রাখলো। সেগুন কাঠের টি-টেবিল। আনোয়ার সর্দারের দাদার আমলের। রংটা মলিন হলেও শক্তপোক্ত বেশ। এখনকার কাঠের জিনিসপত্রের সাথে তুলনা করলে এই টেবিল সেরা। এতোটা শক্ত, মজবুত যে এর সাথে কোন মানুষ বারি খেলে ব্যাথায় টনটন করবে। বহুদিন স্টোর রুমে ছিলো। পরে আনোয়ার সর্দার বাপ-দাদার স্মৃতিকে নিজের কামরায় নিয়ে এসেছে। শুভ ছোটবেলায় এটার সাথে বেজে ধুপুসধাপুস পরে যেতো। ব্যাথাও পেতো প্রচন্ড। তাই এটাকে দেখে চোখ দুটো বিরক্তিতে কুঁচকে গেছে। ছেলে যাতে ব্যাথা না পায় মূলত সেই কারণে আনোয়ার সর্দার টেবিলটাকে স্টোর রুমে তুলে রেখেছিলেন।

‘চটপট বইলা ফেল। আমার আবার দক্ষিণগঞ্জে যাইতে হইবো। সামনে পূজার মেলা। মেলার দিকনির্দেশনা দিতে হইবো। নয়তো গজামিল হইয়া গতবারের মতো মারামারি লাইগা যাইবো।’

‘ফুলের ব্যাপারে কিছু ভাবছেন?’

আনোয়ার সর্দার চশমা ভাজ করে পাঞ্জাবীর বুক পকেটে রেখে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকালেন।

‘কি ভাবমু?’

‘ওরে এই বাড়িতে কেন আনছেন?’

‘আমার বাস্তি (ভাতিজী) আমার বাড়ি আইতে পারবো না?’

‘আপনে চেয়ারম্যান হইলে আমিও কিন্তু চেয়ারম্যানের পোলা। রাজনীতি আপনি করলেও সেই খবর আমি রাখি। হুদাহুদি যে আপনে ওরে বাড়িতে রাখেন নাই এডা আমার ভালো কইরা জানা আছে। রাজনৈতিক নেতারা সবকিছুতেই রাজনীতি খুঁজে।’

‘তাইলে তুই স্বীকার করলি তুই আমার পোলা।’

‘স্বীকার না করলে কি আমার বাপের নাম বদলায় যাইবো নাকি?’

উত্তরে প্রসন্ন হলেন না আনোয়ার সর্দার। কড়া চোখে ছেলের দিকে তাকালো। শুভর কোন হেলদোল নেই। সে দুই হাত বুকোর ওপর গুঁজে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। আনোয়ার সর্দার ক্ষীণ শ্বাস ছেড়ে বললেন,

‘যা কইতে আইছোত তা কইয়া ফেল।’

‘ফুলরে আমি ভালোবাসি। বিয়া করলে ওরেই করমু। প্রেম-ভালোবাসায় আমি বিশ্বাসী না। যারে ভালবাসমু তারেই বউ কইরা ঘরে তুলমু। আমার ফুলরে চাই। যদি ওরে আমার লগে বিয়া না দেন তাইলে ওরে নিয়া পলায় যামু। মান-সম্মান গেলে আপনের যাইবো। এমনি আমার মান-সম্মান কম। ঐটুকুর চিন্তা আমি করি না। তাই নিজের ভালো চাইলে ভাইয়ের লগে আমার বিয়ার কথা কন। যত তাড়াতাড়ি ওর লগে আমার বিয়া হইবো ততই আপনের ভালো।’

একদমে কথাগুলো বলে শুভ প্রস্থান করলো। বাপের কি মতামত তা শোনার প্রয়োজন মনে করলো না। আনোয়ার সর্দার বিস্মিত নয়নে ছেলের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো। লাজ শরম সব খেয়ে ফেলেছে এই ছেলে। বাপের কাছে নিজের বিয়ের কথা বলতে একটুও মুখে বাঁধলো না। পরমুহূর্তেই মনে পরলো, এই ছেলের লজ্জা ছিলো কবে? এটা তো এমনি লাজহীন, বেশরম।

‘কি কুড়াও?’

অভির স্বর শুনে বিরক্ত ঘিরে ধরলো ফুলকে। এক দৃষ্টি ময়নার দিকে তাকিয়ে শিউলি ফুল কুড়ানো বন্ধ করলো। ওড়না টেনে বড় ঘোমটা দিয়ে অভির দিকে তাকালো। চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,

‘দেখছেন না ঘোড়ার ডিম কুড়াচ্ছি।’

অভি বিষম খেলো। একবার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়েছিলো শুভর সাথে থাকতে থাকতে কি এই মেয়েরও ত্যাড়ামি করার অভ্যাস চলে এসেছে নাকি? এই কথা জিজ্ঞেস করলো ফুল যে তাকে আরেকটু নাকানিচুবানি খাওয়াবে তা বুঝতে পেরে অভি চুপ হয়ে গেলো। তবে ময়না মুখ চেপে হাসছে।

‘কেমন আছো ময়না?’

‘ভালাই অভি ভাই। আপনে কেমন আছেন?’

হতশার সুর মিশ্রিত করে অভি বললো,
‘কিভাবে ভালো থাকবো বলো? এই বয়সে কি একটা বউ না হলে চলে? বউ ছাড়া কেমন থাকতে পারি ভাবো।’

ময়নাও কম যায় না। ফুলের বান্ধবী তো। আড়চোখে ফুলের দিকে তাকিয়ে কৌতুকের সুরে বললো,

‘শহরে কি মাইয়ার আকাল পরছিলো? একটা ধউরা লইয়া আইতেন। চাচায় ঠিকই বিয়া দিয়া দিতো।’

‘না, আমার গ্রামের মেয়ে পছন্দ। একদম ফুলের মতো।’

ফুল চোখ লাল করে তাকাতেই অভি ইতস্তত করে দ্রুত পায়ের কাছ থেকে শিউলি ফুল তুলে নিলো। বেআক্কেল মার্কা হাসি দিয়ে বললো,

‘এই শিউলি ফুলের মতো আরকি।’

ফুল চোখ নামালো। অভিকে তার ইদানীং এতো বিরক্ত লাগে যে বলার বাহিরে। শুভর সাথে আকাশ-পাতাল তফাত। এই যে এখন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। যা ফুলকে অস্বস্তিতে ফেলছে। এমন অস্বস্তিতে শুভ কখনো ফেলেনি। শুভ সবার আগে খেয়াল করে ফুলের স্বস্তির বিষয়টা। সবদিকে তীক্ষ্ণ নজর। এতোটা যত্ন, নজর যদি শুভ নিজের নিতো তাহলে অগোছালো ছেলে হিসেবে কারো কাছে পরিচিতি পেতো না।

‘চল ময়না, ঘাট পাড়ের দিকে যাই।’

‘তুই না কইলি ফুল টোকাইয়া (কুড়াইয়া) মালা গাঁথবি।’

‘না এখন আর ইচ্ছে করছে না।’

ফুল ময়নার হাত টেনে ঘাট পাড়ের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো। অভি চোখ ছোট করে নিজের হাত দুটো পকেটে পুরে বিরবির করে বললো,

‘কতদিন আর আমার থেকে পালাবে ফুল? তোমাকে তো আমার করেই ছাড়বো।’

ফুল এই কথা শুনলে হয়তো প্রতিত্তোরে বলতো, ”আপনার মতো মানুষের জন্য জন্ম হয়নি আমার। যে আমাকে পায়ে ঠেলে দেয় আমি তার হই না। যে যত্ন করে মাথায় গেঁথে রাখে ফুল তাকেই পছন্দ করে।”

গোধুলির লগ্ন! ধরণী অপরূপ রূপে সাজে। শরতের আকাশটা এই সময় রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। পাখপাখালিদের নীড়ে ফেরার তাড়া। কৃষক মাথাল হাতে বাড়ির পথে হাঁটছে। নিশাচর পাখিদের পাখা ঝাপটানোর আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠে। সবারই ঘরে পৌঁছানোর তাড়া।

ঘরে পৌছানোর তাড়াটা মাস খানিক আগেও শুভর ছিলো না। রাত দশটা, আগারোটার আগে বাড়িতে তাকে পাওয়া যেতো না। আর এখন যেনো সন্ধা হওয়ার আগেই বাড়ি যাওয়ার জন্য মন আনচান করে। মোটরসাইকেলের চাবি ঘুরিয়ে বাড়ির পথ ধরলো। রাস্তায় দেখা হলো বহু দিনের পুরনো বন্ধু ফয়সালের সাথে। গল্পগুজব, টং দোকানে চা-সিগ্রেট খেতে গিয়ে দেরী হয়ে গেলো। বাড়ি যখন পৌঁছায় তখন রাত আটটা। শুভর মোটরসাইকেলের শব্দ শুনে বারান্দা দিয়ে বাইরে উঁকি দিলো ফুল। শুভর ছায়াটা দেখতেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো। স্যান্ডেল জোড়া পায়ে দিয়ে ছুটলো সদর দরজার দিকে। নুপুরের রুনুঝুনু শব্দে চারিদিকে বারি খাচ্ছে। সুফিয়া বিবির কানে যেতেই সে চেচিয়ে উঠলো,

‘রাত-বিরেতে দৌড়ায় কেডারে?’

‘তোমার সতিনে।’

মৃদু শব্দে উত্তর দিয়ে জিভে কামড় দিলো ফুল। উত্তেজনায় ভুলেই গিয়েছিলো বুড়ি শুনলে আস্ত রাখবপ না। কথা শুনাতে শুনাতে নানীবাড়ি পর্যন্ত ঘুরিয়ে আনবে। দৌড়ের গতি কমিয়ে দিলো ফুল। এখন মনে হচ্ছে বাড়ি থেকে সদর দরজার দূরত্ব চাঁদ থেকে পৃথিবীর দূরত্ব। যখুনি তাড়াহুড়ো থাকে তখুনি যেনো দেরী হয়। হলো তাই। সিঁড়ির গোড়ায় অভির সম্মুখে পরলো ফুল। অভিকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলে অভি হাত দুটো ছড়িয়ে পথ আটকিয়ে বললো,

‘এভাবে ছুটে কোথায় যাও?’

‘ম’রতে! যাইবেন?’

‘তুমি আমার সাথে এমন করো কেন?’

‘কেমন করলাম আবার?’

‘সবসময় কেমন ত্যাড়ামি করো।’

‘একে ত্যাড়ামি বলে?’

‘অবশ্যই।’

‘জ্বি না। ত্যাড়ামি কাকে বলে আপনার ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করেন। উদাহরণসহ দেখিয়ে দিবে।’

‘তুমি….

অভির কথা শেষ হওয়ার আগে সদর দরজায় কড়া নড়লো। ফুল অস্থির চিত্তে বাইরের দিকে দৃষ্টি দিলো। এরপর অভিকে সরিয়ে দৌড়ালো সেদিকে।

‘কি হলো? কে এসেছে? এতো ছোটাছুটি করছে কেনো মেয়েটা?’

অভি আহাম্মক বনে গেলো। তাকে যেনো পাত্তাই দেয় না মেয়েটা। সে তো শুভর থেকে দেখতে শুনতে সবদিক দিয়ে এগিয়ে। তবুও তার প্রতি কোন আগ্রহ নেই ফুলের। অভি প্রথমে ভেবেছিলো গ্রামের সাধারণ মেয়ে। পটাতে কতক্ষণ লাগবে? এখন দেখছি সে ফুলকে চিনতে একটু ভুল করেই ফেলেছে।

‘এতক্ষণ লাগে গেইট খুলতে? কহন থিকা বাইরাইতাছি। কানে কালা হইয়া গেছত?’

ফুল হাঁটুতে হাত রেখে বড় করে দম টানলো। এতটুকু দৌড়ে আসতে গিয়ে হয়রান হয়ে গেছে।

‘আসতে কি সময় লাগে না? আমি কি উড়োজাহাজ যে উড়ে চলে আসবো। সবসময় এমন ঝাড়ি মা’রো। এরকম ঝাড়ি মারলে বউ পালাবে তোমার।’

শুভ সদর দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বললো,
‘এত সহজনি? আমার বউ পালাইতে জীবনেও দিমু না। কইলজার ভিতরে ঢুকায় রাখমু।’

‘ইশ, কি প্রেম!’

‘প্রেম না ভালোবাসা।’

ফুল মুখ বাঁকিয়ে বললো,
‘ভালোবাসা না ছাই। আমি সহ্য করি দেখে। তোমার বউ ভুলেও সহ্য করবে না।’

‘করবো করবো। না কইরা যাইবো কই?’

শুভর কথায় মন খারাপ হয়ে গেলো ফুলের। সে অন্য কিছু আশা করেছিলো। ভেবেছিলো শুভ বলবে, “তুই ছাড়া আমারে কেউ যহন সহ্য করতে পারে না। তাইলে আমার বউ তুই হইয়া যা”। নিজের মনকে কড়া করে ধমক দিলো ফুল। বড্ড বেশি ভাবে। শুভ কি তেমন ছেলে যে মুখ ফসকে এসব কথা বলে ফেলবে। সে তো ভীষণ চাপা স্বভাবের। তবে কথার থেকে কাজে বিশ্বাসী। কাজে তার পরিচয় দেখিয়ে দেয়। ফুলের আনমনা ভাব দেখে শুভ চোখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললো,

‘কিরে কই হারালি?’

‘কোথাও না। তুমি কলপাড়ে গিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে এসো। আমি খাবার দিচ্ছি।’

ফুল দাঁড়ালো না। ভেতরে যাওয়ার জন্য ঘুরে গেলো। চোখ দুটো কেমন জ্বলছে। শুভ পিছন থেকে মমতা মাখা গলায় ডাকলো,

‘কইতরির মা!’

ফুল থেমে গেলো। দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে সামনে ঘুরলো।

‘হুম বলো।’

শুভ পিছন থেকে হাত সামনে আনলো। দুটো হাওয়ায় মিঠাই। অন্ধকারে হাত পিছনে থাকায় ফুল তা খেয়াল করিনি। এখন দেখে মুহুর্তের মধ্যে ফুলের মুখে হাসি খেলে গেলো। অবিশ্বাস্য চোখে শুভর দিকে তাকাতেই শুভ চোখ দিয়ে আশ্বাস্ত করে বললো,

‘হুম তোর।’

ফুল খুশিতে প্রায় লাফিয়ে উঠলো৷ শুভর থেকে হাওয়ায় মিঠাই দুটো এক প্রকার কেড়ে নিয়ে খুশিতে দাঁত বের করে বললো,

‘তুমি কি করে জানলে আমার হাওয়ায় মিঠাই পছন্দ?’

শুভ চোখ নাচিয়ে বললো,
‘আমি তোর ব্যাপার সব জানি।’

ফুল অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো,
‘সব?’

‘হো সব।’

ফুল কথা বাড়ালো না। হাওয়ায় মিঠাই এর পকেটের ওপর হামলে পরলো। এক মুখে এক প্যাকেট শেষ। আরেক প্যাকেট ছিঁড়তেই খেয়াল হলো শুভকে একবারো সাধা হয়নি। না খাক, একবারের জন্য তো সাধা উচিত। মিঠাই একটু খানি ছিঁড়ে শুভর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,

‘নাও খাও।’

শুভ ভ্রু কুঁচকে চোখ সরু করে বললো,
‘এতটুকু দিয়ে বড় উপকার করলেন।’

ফুল খিলখিল করে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে আরেকবার সাধলো।

‘খাবা?’

‘না।’

‘তাহলে বসে থাকো। আমি এটা কারো সাথে ভাগ করি না। তবুও তোমাকে সেধেছি, এটাই অনেক বেশি।’

ফুল সেটুকু মিঠাই থেকে একটু নিয়ে মুখে পুরলো। বাকিটুকু মুখে দেওয়ার আগে শুভ এক কান্ড করে বসলো। ফুলের হাত টেনে আঙুলসহ মিঠাইটুকু নিজের মুখে পুরে নিলো। ফুল হালকা কেঁপে উঠলো। নিজের হাত টেনে নিয়ে শাসনের সুরে বললো,

‘কি করলে এটা? আগে সাধলাম তখন খেলে না। এখন আমার মুখের এঁটোটা টেনে নিয়ে খেলে।’

‘ঐটা এঁটো আছিলো?’

‘হ্যাঁ।’

‘কে জানে খেয়াল করি নাই।’

শুভ শিস বাজাতে বাজাতে কলপাড়ের দিকে রওনা দিলো। ফুল স্তব্ধ হয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে রইলো। শুভ যে ইচ্ছে করে এমনটা করেছে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। হঠাৎ হঠাৎ এহেন কান্ডে ফুল বুঝে উঠতে পারে না কি রিয়েকশন দিবে। যেমন এখন বুঝতে পারছে না। বেশি সময় ভাবতে পারলো না। শুভ কলপাড় থেকে চেচিয়ে উঠলো,

‘কইতরির মা, কল চাপ দিয়া যা।’

ফুলও কম যায় না। উচ্চ স্বরে বললো,
‘পারবো না। নিজেরটা নিজে করে নাও।’

‘তুইল্লা রাখলাম। পরে সুদ-আসলে ফেরত দিমু। মনে রাখিস কথাডা কইতরির মা।’

শুভর কথা ফুল গায়ে মাখলো না। ফুল ভেংচি কেটে হাওয়ায় মিঠাই মুখে পুরতে ব্যস্ত হয়ে পরলো। পরেরটা পরে দেখা যাবে। আগে সে হাওয়ায় মিঠাই খেয়ে নিক।

#চলবে

১৬০০+ শব্দ লিখছি। এরপর যে বলবে ছোট হয়েছে তার জন্য এটা👉🔪।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here