কোন কাননে ফুটিবে ফুল পর্ব -২৮ ও শেষ

#কোন_কাননে_ফুটিবে_ফুল🌸
#Last_Part
#Writer_NOVA

বিয়ে পরানো হলো মাগরিবের পর। কাচা হলুদ গায়ে লাল টুকটুকে শাড়িতে ফুলকে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে। আশেপাশের পাড়াপড়শিরাও এসেছে। একটু পর খাবারের আয়োজন হবে৷ শুভকে এক পলক দেখেছিলো কালো খয়েরী পাঞ্জাবিতে। এরপর আর খবর নেই। মোটামুটি লোকসংখ্যা কম নয়। উঠোনের একপাশে বসে গীত গাইছেন সুফিয়া বিবি ও তার এক পরশি রমেলা খাতুন। উনার বয়স সুফিয়া বিবির মতো। সোহেলী বেগম একবাক্স গয়না নিয়ে ফুলের সামনে বসলো।

‘বিয়ার সময় অনেক গয়না পাইছিলাম। তা চার ভাগ করছি। এক ভাগ নূরজাহানরে দিছে। আরেকভাগ আমার, আরেকভাগ তোর, এক ভাগ রাইখা দিছি অভির বউয়ের লিগা। পোলাডা রাগ কইরা কাউরে কিছু না জানাইয়া শহরে গেলোগা। কবে ফিরবো কে জানে। কাউরে কিছু কয় নাই। ছোড ভাইয়ের বিয়ায় বড় ভাই নাই। মানুষ কি কইবো?’

শেষের কথাগুলো বলতে গিয়ে সোহেলী বেগমের গলায় আফসোস এসে ধরা দিলো। এক দিক দিয়ে ঠিক হয় তো আরেক দিক দিয়ে ভেজাল লাগে। কলি বেগম পেছন থেকে বললো,

‘বড় বাজানের আবার কি হইছে ভাবী? ফুলের আব্বার থিকা তো হুনছিলাম বাড়ি আছিলো।’

‘আর কইস না বোইন। ঐডার পেটটা ভরা অভিমান। কিছু হইলেই গোস্বা কইরা বাড়ি ছেড়ে। ছোটডার কলিজা ভরা রাগ এডার অভিমান। আমার হইছে যত জ্বালা। তাও ছোটডায় ফুলের কথা হুনে। বড়ডায় কারো কথাই হুনে না।’

পাড়াপ্রতিবেশি এক মহিলা কলি বেগমকে দেখিয়ে সোহেলী বেগমকে জিজ্ঞেস করলো,

‘এডা কেডা ভাবী?’

সোহেলী বেগম কলি বেগমের গলা জড়িয়ে ধরে বললো,

‘আমার বিয়াইন আবার একমাত জাল (জা)।’

অবাক হয়ে পুনরায় জিজ্ঞেস করলো,
‘মনোয়ারের বউ?’

সোহেলী বেগম মাথা হেলালেন। এরপর মহিলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মুহুর্তেই মহিলা সমাজে রটে গেলো। তারা আসলে ফুলের মা-বাবা আসার খবর পায়নি। নয়তো সারা গ্রাম রটিয়ে দিতো। জুয়ান বুড়া থেকে শুরু করে সবাই এখন এক নজর কলি বেগমকে দেখতে ভীড় করছে৷ চেয়ারম্যান বাড়ির ছোট ছেলে কার হাত ধরে পালিয়েছিলো তাকে দেখার আগ্রহের যেনো শেষ নেই। কলি বেগম এখনো দেখতে ভীষণ সুন্দর। ফুল তার মায়ের গায়ের রং পেয়েছে। বৃন্ত, পাপড়ি পেয়েছে বাবার চাপা রং।

মহিলাদের ঢলে কলি বেগম বিব্রত হয়ে গেলো৷ তার মেয়ের থেকে তাকে দেখার আগ্রহ মহিলা সমাজে বেশি। সবার এক কথা, “মনোয়ার দেহি পরী লইয়া ভাগছিলো। আরো আগে মনোয়ারের মায়ের মাইনা নেওন উচিত আছিলো”। ভালো-মন্দ সব কথাই কানে আসছিলো। এই শরগোল কমলো কারেন্ট যাওয়ায়।হুট করে কারেন্ট চলে গেলো। সারা বাড়িটা পূর্বের থেকে আরো বেশি গমগম করে উঠলো। সুফিয়া বিবি হাঁক ছেড়ে ঝুমুরকে ডাকলেন।

‘ঐ ছেমরি জলদী হারিকেন ধরা।’

দোতলা থেকে ঝুমুরের আওয়াজ এলো,
‘ধরাইতাছি, হাত কি আমার চৌদ্দডা? একটু সবুর মানে না।’

আজ আর সুফিয়া বিবি রুষ্ট গলায় চেচিয়ে উঠলো না। বরং রোমেলা খাতুনকে বললো,

‘ছেমরিডা একলা একলা বহুত কাম করে।’

‘তোর কপাল কইতে হইবো সুফিয়া। ছোড পোলার বউডা পাইছোত রাজকন্যা। ছোড নাতির বউ তো রাজকন্যার ওপরে। এরে কয় রাজকপাল।’

‘নজর দিও না। দোয়া কইরা দেও যেন ওরা সুখী হইতে পারে। বড় আদরের সংসার আমার।’

‘সব ঠিক হইয়া গেছে৷ এহন শান্তিতে মরতে পারলেই তোর শান্তি।’

‘বড় নাতিডা বাকি আছে। এডায় কি করবো কে জানে।’

নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথা বলতে লাগলো। ঝুমুর সব হারিকেন দেওয়ার আগেই আবার কারেন্ট চলে এলো। বাচ্চারা হৈহৈ করে উঠলো। বিয়ে বাড়িটা প্রাণ ফিরে পেলো।

লোকজন কমে এসেছে। রাতের খাবার খাওয়ার একটু আগে যে হুলস্থুল ছিলো সেটা এখন কম। বাবুর্চি দিয়ে রান্না করেছেন আনোয়ার সর্দার। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেছেন। পাড়া প্রতিবেশীদের সবাইকে বিনামূল্যে খাইয়েছেন। কোন উপহার বা টাকা নেননি।খাবারের তালিকায় ছিলো মিনিকেট চালের সাদা ভাত, দেশি মুরগীর গোস্ত, রুই মাছ ভাজা আর ডাল। রান্না ভালো হয়েছিলো। সবাই হাত চেঁচেপুঁছে খেতে খেতে রান্নার প্রশংসা করছিলো। সাথে ফুল শুভর জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করেছে।

শুভ খাতির দারিতে ব্যস্ত। এমুখো হয়নি। গরমে শাড়ি পরে ফুল অতিষ্ঠ। চোখ দুটো ঘুমে ঢুলুঢুলু। নূর জাহান কোথা থেকে এসে ফুলের মুখে পানির ছিটা দিয়ে বললো,

‘ঐ ছেমরি ঘুমাস কেন? আইজ তোর বিয়া। ভুইল্লা গেছোত?’

ময়না পাশ থেকে উত্তর দিলো,
‘সোয়ামিরে দেহে না তো তাই চোখে ঘুম ধরা দিছে৷ দেখলে আবার কুত কুত কইরা চাইয়া থাকতো।’

ফুল চোখ পাকিয়ে তাকালো। ময়না ফিক করে হেসে বললো,

‘দেহো নূর জাহান বু, সোয়ামির কথা কইতেই চোখ বড় বড় হইয়া গেছে।’

ফুল ময়নার হাতে জোরে চিমটি কাটলো। ময়না আহ করে চেচিয়ে উঠতেই নূর জাহান বললো,

‘থাক আর শরম দিস না। এমনিতেই মুখটা শরমে লাল হইয়া যাইতাছে। কহন জানি আবার আঁচলে মুখ ঢাইকা ফালায়।’

ফুল চোখ বন্ধ করে মুখ টিপে হেসে উঠলো। নূর জাহান বেশি সময় লজ্জা দিতে পারলো না। ওর স্বামী মিলন ডাকতেই সেদিকে ছুটলো। পাপড়ি তাল পাখা দিয়ে ফুলকে বাতাস করতে করতে হয়রান। একটু থামতেই ফুল কুনই দিয়ে গুঁতা মেরে বললো,

‘কিরে আমার বিয়ে তুই কাঁদিস না কেন?’

‘কানমু কেন? তোমারে তো হারাদিন চোখের সামনেই দেখমু। তুমিও এই বাড়ি থাকবা আমিও এই বাড়ি থাকমু। অন্য জায়গায় গেলে কানতাম।’

‘আমি তো কবুল বলার সময় কাঁদলাম।’

‘ঐ এট্টু ঢং করছো। আমি বুঝি।’

ফুল শুভর মতো করে বললো,
‘বেশি পাইক্কা গেছত।’

ময়না সে কথা শুনে ফুলের কানে কানে বললো,
‘শুভ ভাইয়ের কথার ধরণ দেহি এহনই তোর মধ্যে আইয়া পরছে।’

‘তুই বেশি কথা বলিস ময়না।’

ধমকে উঠলো ফুল। ফুলের ধমক শুনে পাপড়ি, ময়না দুজনেই ঠোট চেপে হেসে উঠলো। অতিরিক্ত গরম লাগছে ফুলের। কপালের লাল, সাদা কুমকুমের ফোঁটাগুলো ঘামের দরুন লেপ্টে যাচ্ছে। পাপড়ি বাতাস করেও কুল পাচ্ছে না। ভাপসা গরমে সবাই অতিষ্ঠ। শুভর বিয়ের দিনেই গরম পরতে হলো৷ এই মুহুর্তে সবাই বৃষ্টি চাইছে৷ এতেই একমাত্র স্বস্তি মিলবে।

মনোয়ার সর্দার একবার মেয়েকে দেখে গেলো। যদিও মেয়ে পর হয়ে গেছে তবে চোখের সামনে থাকবে বলে খারাপটা কম লাগছে। আনোয়ার সর্দার ফুলের মাথায় হাত ছুঁয়ে মনভরে দোয়া করলো।

‘অনেক সুখী হো তোরা। আর আমার বেকা পোলাডারে পিডাইয়া একটু সোজা করিস তো। জানোসই তো তোর কথা ছাড়া আর কারো কথা হুনে না। এহন থিকা আমার পোলার সব দায়িত্ব তোর।’

ফুল হাসবে নাকি কাঁদবে বুঝে উঠতে পারলো না। এই প্রথম কোন বাবা তার ছেলের সব দায়িত্ব ছেলের বউয়ের হাতে তুলে দিলো৷ মনোয়ার সর্দার কাছে আসতেই ফুল হাসি বিনিময় করলো। মেয়ের চিবুক উঠিয়ে প্রশ্ন করলো,

‘তোর বাপ কি তোর সাথে কোন অন্যায় কোন কাজ করলো না তো? আমি সারাজীবন চাইছি একটা ভালো ছেলের হাতে তুলে দিতে৷ আমার কাছে তোর জন্য শুভ ছাড়া আর কাউকে পারফেক্ট মনে হলো না। তাই ওকেই বেছে নিলাম। পড়াশোনা কম এটাতে আমার কোন সমস্যা নেই। আমি শুধু চাই তোরা একসাথে সুখী হো।’

‘দোয়া করো বাবা। তোমাদের দোয়ায় আমরা ভালো থাকবো৷’

ফুল হাসিমুখে উত্তর দিলো। শুভ ভেতরে প্রবেশ করে একটা চেয়ার টেনে বসে বললো,

‘একটা সুখবর আছে আব্বা আর শ্বশুর আব্বা।’

দুই ভাই একসাথে বলে উঠলো,
‘কি?’

শুভ আরাম করে বসে একবার ফুলের দিকে আড়চোখে তাকালো।ফুল লজ্জায় শুভর দিকে তাকাচ্ছে না। মাথা নিচু করে রেখেছে। পাপড়ি এক পলক শুভর দিকে তাকিয়ে বললো,

‘ঐদিক না চাইয়া কথা কন দুলাভাই।’

শুভ শালীর দিকে তাকিয়ে হাসি বিনিময় করলো। এরপর বাপ চাচার দিকে তাকিয়ে বললো,

‘হুনলাম সন্ধ্যার সময় আমিন, মারুফরে শহর থিকা র‍্যাব আইয়া ধইরা নিয়া গেছে।

আনোয়ার সর্দার বিস্ময় নিয়ে বললো,
‘কস কি? কেমনে কি হইলো?’

‘ঢাকায় নাকি দুই নাম্বারি ব্যবসা আছে৷ হেইডা র‍্যাবে ধইরা ফালাইছিলো।’

‘কাম কি হইবো? কয়দিন পর তো বাইর হইয়া যাইবো।’

‘পুলিশ হইলো পারতো। র‍্যাবে এসব চলবো না। সোজা গুলি কইরা উপরে পাডায় দিবো।’

মনোয়ার সর্দার কপাল কুঁচকে বললো,
‘তুই কিছু করিসনি তো?’

শুভ উত্তর দিলো না। ঠোঁটে রহস্যময় হাসি ফুটিয়ে তুললো। যাতে মনোয়ার সর্দারের সন্দেহটা আরেকটু গাঢ় হলো।

দরজার কেচৎ শব্দে তন্দ্রা ভাবটা কেটে গেলো ফুলের। সেই কখন থেকে শুভর জন্য অপেক্ষা করছিলো সে৷ ঘুম, গরম দুটোই বিরক্ত করছিলো। নূর জাহান একসাথে বসিয়ে তাকে আর শুভকে খাইয়ে দিয়েছিলো। ফুল যদিও বেশি খেতে পারেনি। পায়ের শব্দ পেয়ে ফুল নড়েচড়ে গুটিসুটি হয়ে বসলো। বুকের ভেতরটা হাতুড়িপেটা করছে কেউ। শুভ দরজা আটকে ঝড়ের গতিতে ফুলের সামনে ধপ করে আধশোয়া হয়ে বললো,

‘কিরে তোর নাকি এক ভাদাইম্মার লগে বিয়া হইছে?’

ফুল চোখ তুলে তাকিয়ে দৃষ্টি দিয়ে বুঝালো দুপুরে খুব বড় ভুল করে ফেলেছে। এখন যাতে তাকে ছাড় দেওয়া হয়। শুভ মাথা নাড়িয়ে বাঁকা হাসলো। যার মানে কোন ছাড় নেই।

‘দুপুরের চটাং চটাং কথাতো আমার এহনো মনে আছে।’

ফুল চোখ দুটো সরু করে বলে উঠলো,
‘তুমি সিগারেট খেয়ে আসছো শুভ ভাই?’

শুভ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলো। বন্ধুদের পাল্লায় পরেছিলো কিছু সময় আগে। তখন গল্প করতে করতে একজনের থেকে নিয়ে দুটো টান দিয়েছিলো। তা যে ফুল ধরে ফেললে খবর করে দিবে তাই ভুলে গেছিলো৷ তবে পর মুহুর্তে নিজেকে সামলে বললো,

‘কিসের ভাই? জামাই ক। ভাই কইলে এমন থাপ্পড় দিমু চোখে দেখবি না দুইদিন।’

‘তোমারে আল্লাহ কোন ধাতু দিয়া বানাইছে? বাসর ঘরে বইসাও আমারে তুমি হুমকি-ধমকি দাও।’

‘আমার ভালোবাসাই এমন!’

‘ইশ, তুমি আবার ভালোও বাসতে পারো।’

শুভ চোখ ছোট করে তাকালো। ফুল মুখ টিপে হাসছে। শুভ এদিক সেদিক তাকাতেই খেয়াল করলো জানলার ফাঁক দিয়ে খুব কষ্ট করে জানালার চাঁদের আলো আসতে চাইছে৷ তাই উঠে বাতি বন্ধ করে দিলো। ফুল চেচিয়ে উঠলো,

‘বাতি বন্ধ করলা কেন?’

শুভ এগিয়ে এসে ফুলের মুখ চেপে ধরে বললো,
‘চুপ, মান-সম্মান খাবি নাকি?’

ফুল চমকে উঠলো। শুভ তার এতো কাছে৷ চোখ দুটো বিস্ময়ে কোটর থেকে বেরিয়ে যাবে৷ শুভ হাত ছেড়ে দক্ষিণের জানলা দুটো খুলে ফেললো। এক ঝটকা ঠান্ডা বাতাসের সাথে চাঁদের আলো এসে সারা ঘর মিষ্টি আলোতে ভরিয়ে দিলো। ফুলের মুখটা আপনাআপনি হা হয়ে গেলো। শুভ হাত বাড়িয়ে কাছে ডাকলো।

‘এদিকে আয়।’

‘কেন?’

‘আইতে কইছি আবি। এতো কেন কেন করোস কেন?’

ফুল চুপচাপ পাশে এসে দাঁড়ালো। শুভ ঘূর্ণি মেরে ফুলকে নিজের সামনে এনে আষ্টেপৃষ্টে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো,

‘আমার বহুত দিনের ইচ্ছে ছিলো তোর লগে পূর্ণিমার রাইতে জোস্না বিলাস করমু। অবশেষে তা পূরণ হইলো।’

ফুল শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুভর এতো কাছে তার আসা হয়নি কখনো। শুভ আসেনি। এখন তো কোন বাঁধা নেই। তিন কবুল বলে সারাজীবনের সঙ্গী করে নিয়েছে। শুভ চাঁদকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘ঐ চাঁদ দেহো আমি বউ নিয়া তোমারে দেখতাছি।’

শুভর কথায় ফুল ফিক করে হেসে উঠলো। এরপর আমতাআমতা করে বললো,

‘তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না। বিয়ে করলে কেন?’

‘কে কইলো ভালোবাসি না? সবসময় মুখে কইতে হইবো কেন? আমি মুখের কথার থিকা কাজে বিশ্বাসী। কাজে দেহায় নাই।’

‘না তাও তো একটু মুখে বলতে পারতে।’

‘কি?’

‘ভালোবাসার কথা।’

‘মুখেও কইতে হইবো?’

‘হ্যাঁ, আমার শুনতে ইচ্ছে করে না বুঝি!’

‘তোর আবার আমার মুখে ভালোবাসার কথা হুনতেও মন চায়?’

ফুল উত্তর দিলো না। শুভ ফুলকে নিজের দিকে ঘুরালো। ফুল চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। থুতনি স্পর্শ করে মুখটাকে তুলে চাঁদের আলোয় দেখে নিলো শুভ। এরপর ফুলের কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,

‘ভালোবাসি কইতরির মা। অনেক অনেক ভালোবাসি। সারাজীবন এই শুভর কাননে ফুটে থাকিস।’

‘আমিও ভালোবাসি তোমাকে।’

বলেই শুভর বুকে মুখ লুকালো ফুল। শুভ মুচকি হেসে পরম আবেশে ফুলকে নিজের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো৷ আর ছাড়বে না। অবশেষে শুভর কাননে ফুটলো ফুল। শুভ অনেক যত্ন করে কাননে ফুল ফুটিয়েছে। এতো সহজে ঝড়ে যেতে দিবে না। আজীবন আগলে রাখবে।

#সমাপ্ত

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here