ক্যাসিনো পর্ব -২৭

#ক্যাসিনো ©লেখিকা_(মায়া)
#পর্ব_২৭

আচমকা এমন পুরুষালী স্পর্শ পেয়ে ভরকে উঠে শাহানা। একটু পর নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়। আর নিশান কিছু টা লজ্জা ও পায়। তার পর গলা খাকারি দিয়ে রিক্সা ওয়ালা ব্যাক্তি কে বলেন।

মামা একটু সাবধানে গাড়ি চালান। নয়লে মেডাম পড়ে যাবে। মাফ করবেন সাহেব, দেইখা চালামুনে এইবার। হ্যাঁ দেখে চালাও।

শাহানা একটু পর নিজের পার্স থেকে মোবাইল বের করে কাউকে কল দিলো।
হ্যালো আব্বু?? হ্যাঁ হ্যালো ..
কেমন আছো আব্বু??
আমি ভালো আছি, আমি একটু ব্যস্ত আছি মা ,রাতে ফোন দেয় তোমায়??
নাহ না ,, বেশি কথা বলবো না, শুধু একটা অনুমতি লাগবে তোমার?? অনুমতি? কিসের অনুমতি লাগবে তোমার?? আমার প্রিন্সেস যা করবে সেটা তেই আমার সম্মতি, অনুমতি লাগবে না কি করবে করতে পারো??
আমি জানি আমার মেয়ে কখনো অন্যায় কাজ করতে পারে না। এখন আমি রাখি প্লিজ?? আব্বু আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি!!
আফজাল শরীফ বেশ অবাক হলেন মেয়ের শেষ কথায় পরক্ষনেই ভাবলেন মনে হয় মজা করছে তার সাথে। নিজের মেয়ের বিয়ে সে জানবে না এটা কোন যুক্তি নাকি। শাহানাকে নিয়ে শিরীন খুব একটা পসিভ তা তো নয়। আফজাল শরীফ হেসে বলল ঠিক আছে করে নাও। আফজাল শরীফ ফোন টা কেটে দিলো। শাহানা এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবতে লাগলো। কি পরিবার তার। নিশানের পরিবার তো এমন নয় । কত ভালো তারা,,কত আদর যত্ন করলো তাকে। নিজের মায়ের হাতে কখনো খাবার খেয়েছিল কি কয় না মনে পড়ছে না তো!! কিন্তু নিশানের মা!! ইশ্ নিশ্চই আমি ভাগ্যবতী হবো। নিশানের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকি হাসলো সে। আর এ দিকে নিশান ভাবছে কি মেয়ে রে শাহানা!! বাবা কে এতো সহজে বিয়ের কথা বলে দিল!! এটাও কি সম্ভব নাকি?? গ্রামে মেয়েরা বিয়ের কথা কেউ বললেই মাটিতে যেন নুইয়ে পড়ে। আর শাহানা অভিভাবক ছাড়াই বিয়ে করতে যাচ্ছে।

ঢাকার রাস্তায় ক্ষনে ক্ষনে জ্যাম, ৫মিনিট আগেও যেই রাস্তা ফাঁকা ছিল তা পাঁচ মিনিট পর গাড়িতে ভরে গেল। আশে পাশে ট্রাক,গাড়ি,রিক্সা সব যেন ঝট পেকে বসে আছে। আর এই হর্ন।
বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে উঠল শাহানার। প্রায় ২০মিনিট পার হয়ে গেল জ্যাম থেকে মুক্ত হওয়ার কোন নাম নেই। অগত্যা শাহানা রিক্সা থেকে নেমে যাওয়ার জন্য উদ্ধৃত হলো। নিশান চোখ বড় বড় করে বলে এই করছো টা কি নামছো কেন?? এখান থেকে কাজী অফিস ১০ মিনিটের রাস্তা। বিয়ের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। এখানে আরো কত মিনিট থাকতে হবে কে জানে। রিক্সায় করে যেতে গেলে আজ আর বিয়ে করতে হবে না আমায়!! রিক্সা ভাড়া পরিশোধ করে হাঁটতে আরম্ভ করলো তারা। ফুটপাতেও লোক জনের অভাব নেই। মেয়ে মানুষ তার উপর শাড়ি পড়েছে এক দম বউ হয়ে। বখাটে ছেলেদের নজরে পড়া টা অস্বাভাবিক নয়। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার ছলে শাহানা কে ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে। তা‌ নিশানের মাথায় রক্ত গরম করে তুলছে। শেষে শাহানার হাত টা শক্ত করে ধরে, এবং আর এক হাত দিয়ে শাহানার পিঠের পিছনে উঁচিয়ে ধরে যেন কেউ তাকে আর স্পর্শ করতে না পারে। শাহানা গর্বের সাথে হাসছে। এ হাসি তৃপ্তির,এক জন নারীর কাছে তার প্রিয় মানুষটিকে মনোমুগ্ধকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে দেখে,যখন সে তাকে কারনে অকারণে যত্ন নেয় খেয়াল রাখে। তখন এক জন নারীর কাছে শ্রেষ্ঠ পুরুষের খেতাব পায় সে পুরুষ। অধিকাংশ নারী জীবন সঙ্গিনী হিসেবে এক জন দায়িত্বশীল,যত্নবান, সরল সাদা মনের মানুষ চান। কারন নারী তাদের প্রিয় মানুষ টাকে আবার নতুন করে গড়তে ভালোবাসে। এক জন পুরুষের ক্ষেত্রেও কিছু টা ব্যাতিক্রম হলেও তারাও চায় যেন তাদের জীবন সঙ্গিনী সরল সাদা হোক। অতিরিক্ত বুদ্ধিমান/বুদ্ধিমতি জীবন সঙ্গিনী তেমন কেউই চাই না। কারন অতিরিক্ত বুদ্ধি তাদের স্বাধীন জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। সন্দেহ বাড়ে সব সময় জ্ঞান দিতে শুরু করে। অধিকাংশ নারী এক জন পুরুষের উপন্যাসের নায়কদের মতো আবেগি কথা শুনতে ভালোবাসে, কিন্তু জ্ঞান নিতে তারা ঘোর নারাজ।

কাজী অফিসে এসে দেখে মেহমেত আর নিশানের বাবা নয়ন মিয়া বসে আছেন। নয়ন মিয়া কে দেখে নিশানের চোখ ছানাবড়া। মনে হয় কোন অসম্ভব বস্তু সে দেখেছে। প্রায় ৬ মাস পর বাবা কে দেখে, দৌড়ে বাবার কাছে গিয়ে তাকে জরিয়ে ধরে। আব্বা ভালো আছো তুমি? আম্মা,নির্জনী ওরা ভালো আছে?
আব্বা তুমি এখানে কেমনে আসলা??
বাবারে আমার পোলা দেহি প্রশ্নের নল ছাইড়া দিছে। হো বাজান আমি ভালা আছি,তোর আম্মা ,নির্জনী হোগলে আছে!! নিশান বেশ খুশির চোটে এটা ভাবতেই ভুলে গেছে‌ যে সে এখন‌ কাজী অফিসে আছে আর আশেপাশের লোকজন তাদের দিকে তাকিয়ে আছে সে দিকে তার কোন গ্রুক্ষেপ নেই। আব্বা তুমি শুকাই গেছো ক্যান এতো?? কই আমি শুকাইছি?? তোর মুখ খানি তো শুকাই গেছে। খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করছ না?? নাহ আব্বা সামনে পরিক্ষা পড়াশোনার চাপে এই রকম হয়ছে । পরিক্ষা শেষ হইলে আবার ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তুমি এখানে আসলা?? আর আইছো আমারে এক বার কও নাই ক্যান??
শায়না আম্মা আনছে আমারে কথা টা বলে দাঁত বের করে হাসে নয়ন মিয়া।
শায়না কে?? আমার হবু বউ মা!! এ্যা কি কও আব্বা!! হো ঐ যে শাহানার দিকে আঙ্গুল উঠিয়ে দেখাই নয়ন মিয়া। নিশান এক বার নয়ন মিয়ার দিকে তাকায় এক বার শাহানার দিকে তাকায় তার পর মেহমেতের দিকে। মেহমেত মুচকি মুচকি হাসছে। আব্বা কি পাগল হইলা?? শাহানা তোমার হবু বউ মা হতে যাবে কেন?? সে তো… কথা শেষ করার আগেই শাহানা নিশানের সামনে এসে দাড়িয়ে বলে?? তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে নিশান?? কথা দিচ্ছি কখনো কোন আঁচড় ও কাটতে দিবো না। অনেক ভালো রাখবো তোমায় পরিবার কে। আমি সব রান্না শিখে নিবো আর সবাইকে রেঁধে খাওয়াব। বাড়ির উঠানে পরিস্কার করবো,নির্জনীর এক জন ভালো সাথী হবো। মায়ের সকল কাজে সাহায্য করবো!! তুমি আমাকে বিয়ে করবে নিশান???

নিশানের মনে হচ্ছে সে কোন অবাস্তব স্বপ্ন দেখছে। যা সকালের আলো ফুটার সাথে সাথে মিলিয়ে যাবে। শাহানার চোখে মুখে এক সাগর আশার ঢেউ খেলছে। নিশান কি বলবে ভেবে পায় না!! তার কি ভাবে কথা শুরু করা উচিত কিছুই মাথায় আসছে না। কিন্তু এতোটুকু মাথায় কাজ করছে যে এখন সে শাহানা কে না করে দিবে । নিশান অস্ফুট আওয়াজে বলে এসব তুমি কি বলছো?? মজা করছো তুমি আমার সাথে???

আমি মজা করবো কেন?? মজা নয় তো কি ?? তুমি তো মেহমেত কে ভালোবাসো না?? শাহানা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে , তুমি এক জন গাধা। মেহমেত আমি ভালোবাসি থু..
মেহমেত সরু চোখে শাহানা কে শাষালো , শাহানা তখন হি হি হি করে হেসে বলে,মেহমেত আমার ছোট বেলার বন্ধু,he is be like my brother .. শুধু মাত্র তোমাকে জেলাস করার জন্য এই নাটক সাজানো হয়েছিল,যেন তোমার মুখ থেকে শুনতে পারি যে তুমি আমাকে পছন্দ করো। কিন্তু তুমি তো আমাকে উৎসর্গ করে দেওয়ার ফন্দি এঁটেছো।
নিশান হালকা ঝাড়ি মেরে বলে, পাগল হয়ে গেছো তুমি?? তোমার আর আমার স্টাটাস কখনো মিলে না। এখন আবেগের বশে এমন বলছো কাল দারিদ্র্যতা পেলে এই বিয়ে করতে চেয়েছিলে বলে আফসোস করবে। কিসের স্টাটাস মিলবে না?? আমি কি কোন সাধারণ ব্যক্তি কে বিয়ে করতে চাচ্ছি নাকি?? আমি তো ভবিষ্যত বিদ্যা সাগর কে বিয়ে করতে যাচ্ছি। অবশ্য তার ভবিষ্যৎ এ দারিদ্র্য থাকবে বলে আমার মনে হয় না । আর তুমি এই স্টাটাস দিয়ে বাহানা করো না। আমি জেনেছি তোমার চিন্তা আলাদা, নিজের পরিবারের অস্থায়ী ভবিষ্যত,আব্বার ঋন,বাড়ি ভিটে ও বন্ধক রেখেছে,মাকে নিয়ে ভয়,নির্জনী কে সুপাত্রের হাতে তুলে দেওয়া । তুমি জানলে কি করে এসব?? নিশান চোখ গরম করে নয়ন মিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে আব্বা বাইরের মানুষ জনের কাছে এসব ক্যান বলছো?? এই বাইরের মানুষ কাকে বলছো তুমি?? পাঁচ মিনিট পর তোমার স্ত্রী হবো আমি!! তা কখনই হয় না। আর তুমি আব্বাকে কিভাবে নিয়ে আসছো এখানে?? মেহমেত তখন বলে । তোর গ্রামে গেছিলাম আমরা। শাহানার তো তোদের গ্রাম সেই ভালো লেগেছে,সাথে শাশুড়ি ও জব্বর ভালো লেগেছে,আর ননদির তো প্রেমে পড়েছি!! নিশান রেগে বলে কি বললি তুই আমার বোনের দিকে তুই?! আরে ভাই আমি মজা করছি সিরিয়াস হচ্ছিস কেন?? মেয়ে হয়ে তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেছি আমি, এখন মেয়ে বিয়ের প্রপোজাল দিচ্ছি তোমায়?? রিজেক্ট করার সাহস কি করে হয় তোমায়??শাহানা নিশানের কলার চেপে ধরে, রাগী চোখে তাকিয়ে কথা গুলো বলে। নিশান এবার শুকনো ঢুক গিলে বলে, আব্বা আম্মা কে রাজি করালে কি করে?? উনারাও তোমার মত করছিল, শেষে তোমাদের বড় দীঘি আছে না ঐ দীঘি ঝাঁপ দিয়েছিলাম গোসল দেওয়ার জন্য। ব্যাস রাজী হয়ে গেল। শাহানা ভ্রু নাচিয়ে হাসছে মিটিমিটি। আর এখন তুমি রাজি না হলে ঐ যে বিল্ডিং টা দেখছো?? ৭ তালা হবে হয়তো। ওখান থেকে লাফ দিবো, দারুন রোমাঞ্চকর মুহূর্ত হবে । নিশান কাঁদো কাঁদো মুখে বলে এটা অন্যায়!! তুমি ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করছো সবাই কে!!

I need you নিশান… আমার তোমাকেই লাগবে.. দেখো তোমার পরিবার জানতে পারলে কচু খাটা করবে আমাকে! আর সব ছেড়ে আমার পিছনে কেন পড়লে?? ফ্যামিলি কে সেই জন্য বললাম তো আব্বু কে,উনি অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। আম্মু কেও বলে এসেছি, জানি তারা কেউ সিরিয়াস নেইনি। কিন্তু আমি জানিয়েছি পরবর্তী কিছু বলতে পারবে না।

আর তোমাকে আমার প্রয়োজন কারন সকল পুরুষ জাতিতে আমার মন টানেনি তুমি ছাড়া। যে মানুষ টা নিজের জীবনের পরওয়া না করে আমাকে বাঁচিয়েছে। তাকে চাওয়া টা অন্যায় নয়। এক জন কেয়ারিং, সেয়ারিং, মানুষ কে আমি জীবন সঙ্গি হিসেবে চাই। তোমার প্রতি টা কাজ আমায় মুগ্ধ করেছে। তোমার এই ভিতু টাইপ চেহারা টাও আমার পছন্দ! সব কিছুর উর্ধ্বে তুমি এক জন সুন্দর মনের মানুষ। তুমি নিজের পড়াশোনা আর আমাকে ভালোবাসো। তোমার পরিবারের সব দায়িত্ব আমার!! নয়ন মিয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে আর মুচকি হাসছে। শেষে তিনি বলেন, শায়না আম্মা আমগো বাড়ি বন্ধক থেকে ছাড়াই নিছে,নির্জনীর স্কুল বেতন শোধ করছে,তোর আম্মার লাগি হোগল ওষুধ পত্র আইনা দিছে। এই দুই দিনে মাইয়াডা তোর মায়ের অনেক সেবা যত্নন করছে। নিশান অবাক চোখে তাকিয়ে বলে!! করুনা করছিলে?? শাহানা নিরাশ হয়, তার পর ঠোঁটে হাসির রেখা টেনে বলে,নাহ পণ দিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছি তোমায়!! চল আমার সাথে বিয়ের জন্য অনেক ক্ষন ধরে উকিল,আর কাজী সাহেব অপেক্ষা করছে!!
কিন্তু বিয়ে কেন করতে চাচ্ছো?? তুমিই বললে যদি না থাকতে পারো তাকে ছাড়া তো বিয়ে করে নেওয়ায় উত্তম তাই বিয়ে করে নিচ্ছি। বিষয় টা সত্যিই ভালো,,ঐসব সব প্রেম ভালোবাসা মানে সময় নষ্ট, মানুষ টাকে ক্ষনে ক্ষনে হারানোর ভয় আরো অনেক প্রবলেম,ঝগড়া ঝাটি কান্নাকাটি কত রকমের প্যারা। তার থেকে মানুষ টা সারা জীবনের জন্য আমার সম্পত্তি হয়ে গেলে আমি চিন্তা মুক্ত। তুমি তোমার মত পড়াশোনা করবে আমি আমার মত থাকবো। এক জন সফল মানুষ হওয়ার পর সবার সামনে নিয়ে এসে বলবো he is my husband .. তখন কেউ স্টাটাস নিয়ে কথা শুনাতে পারবে না। আমি জানি তুমি আমাকে পছন্দ করো। শুধু পরিবারের জন্য কিছু বলোনি। তাই পরিবার কে হাত করেছি। আমার বাড়ি চিনলে কিভাবে??
মেহমেত বিরক্তিকর কন্ঠস্বরে বলে ভাই তোদের গল্প বিয়ের পর করিস এখন দয়া করে ভিতরে গিয়ে বিয়ে টা সেরে ফেল। প্রায় ২ঘন্টা ধরে কাজী আর উকিল কে বসিয়ে রেখেছি। শাহানা নিশানের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। নিশানের এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে শাহানা তার বউ হতে চলেছে। জীবনের প্রথম হৃদয়ে রক্তক্ষরন করা রমনী তার স্ত্রী হতে চলেছে। যাকে আধা ঘন্টা আগেও হারিয়ে ফেলেছে বলে বুকের ভিতরে পাঁজর ভাঙ্গার কষ্ট পাচ্ছিল।

কবুল এবং রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করতে নিশান শাহানার দিকে মায়া ভরা দৃষ্টিতে এক বার তাকিয়ে পিছনে মেহমেত আর বাবার দিকে তাকায় তারা হেসে সাইন করতে বলে,শাহানা নিশানের এক হাত ধরে আশ্বস্ত করে। শাহানা নিজে যখন সাইন করে তখন দু ফোঁটা চোখের পানি পেপারে পড়ে। এ চোখের নোনা জল দুঃখের নয় নিজের ভালোবাসার মানুষকে আপন করে নেওয়ার সুখের অশ্রু।
বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর নিশানের কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলে…

congratulations 👏.. Happy married life..

চলবে____?????

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here