ক্যাসিনো পর্ব -৩৫

#ক্যাসিনো ©লেখিকা_(মায়া)
#পর্ব_৩৫

নিশান এর অতীত জানতে গিয়ে সকালের আলো ফুটে গেছে। মেহমেত মনমরা হয়ে দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছে। মরিয়ম একটু দূরে বসে ভাবছে নিশান এর সাথে এবার দেখা করাটা খুব জরুরি।

সকাল ৮বাজে…মেহমেত কে গোসলে পাঠিয়েছে মরিয়ম। তারা সকাল ১০টায় বের হবে নিশানের উদ্দেশ্য দেখা করার জন্য। ।
মরিয়ম আর অমিতা নাস্তা রেডি করছে।

সকাল ৯টায় বের হয়েছে মরিয়ম আর মেহমেত। নাজিমর গাড়ি নিয়ে,, এখন রওনা হয়েছে নিশানের বাসার উদ্দেশ্যে। মরিয়ম কিছুতেই একটা জিনিষ মিলাতে পারছে না যে মেহমেত কে কি নিয়ে দোষারোপ করছে নিশান আর এতো গুলো খুন বা কেন‌ করলো সে???
মেহমেত কে এ ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করলে কি উত্তর দিতে পারবে। মেহমেতের দিকে মরিয়ম এক বার তাকালো । গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরের রাস্তা দেখায় মগ্ন। বিষন্নতার ছাপ সুস্পষ্ট।
এমনিতেই মন ভালো নেই তার । এখন কি এসব বলা ঠিক হবে আবার???
এসব ভাবতেই ভাবতেই মরিয়ম মেহমেত কে বলে তার মনের কথা!! কেন নিশান তাকে দোষারোপ করছে আর খুন গুলো কিসের জন্য করেছে সে?? যারা খুন হয়েছে তাদের সাথে কি শাহানার খুনের কোন যুগসূত্র রয়েছে???? মেহমেত এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিটে হেলান দিয়ে মাথা টা এলিয়ে দেয়।
তার পর চোখ বন্ধ করে বলতে আরম্ভ করে।

নিশান যেদিন জেল থেকে ছাড়া পায়। সেদিন এডভকেট এরশাদ ইসলাম।
এরশাদ যিনি নিশানের কেস টা শেষে দেখেছিলেন এবং তার দ্বারা নিশানের শাস্তি কমানো হয়েছিল। আমি খুব খুশি ছিলাম। নিশান কে পিক করতে যেয়ে দেখি সে আধা ঘন্টা আগেই বের হয়ে গেছে। আমি দুঃচিন্তায় পড়ে যায়। ছেলেটা গেল কোথায়??? ওর তো যাওয়ার মত জায়গায় নেই কোন!!! আবার ভাবলাম ও কি নিজের গ্রামে চলে গেছে??
ওকে এক বার দেখতে মন টা ছটফট করছিল! ও আমাকে ভুল বুঝছে তা মিটকুট না করার আগে যেন কোন শান্তি নেই আমার। কিছু ভেবে পাইনা সব ঝটালো বেঁধে যাচ্ছে। কিছু না ভেবে গাড়ি তে উঠে বসি। তখনি ফোন আসে ম্যানাজারের। আমি রিসিভ করতে বলল,স্যার আপনি কোথায়,এক জন লোক আপনার সাথে দেখা করতে এসেছেন। উনি বলছেন খুব দ্রুত আসতে। পাগল টাইপ লোক। ভিতরে গার্ড ঢুকতে দিচ্ছে না বলে খুব হৈচৈ বেঁধে দিয়েছে। আমার সচল মস্তিষ্ক চট করে ধরে নেয় এটা নিশান নয় তো??? হ্যা ঐ হবে। আমি ম্যানাজার কে বললাম তাকে যেন কেউ চুট না পৌঁছায় আমি তারাতারি আসছি।

অফিসে গিয়ে দেখি ,, ওয়েটিং রুমে একজন লোক বসে রয়েছে। কিন্তু তাকে কি যুবক বলা উচিৎ তা নিয়ে সন্দেহ আছি। উস্কোখুস্কো চুল মুখে মুচ দাড়ি তে ভালো মত চেহারা টা বুঝা যাচ্ছে না। আর পরনে রয়েছে পুরোনো আমলের রংচটা শার্ট প্যান্ট। আমি নিশ্চিত হতে পারছি না যে এটা নিশান কি না। সামনে যেতে লোকটি উঠে দাঁড়ালো এবং চোখ দিয়ে নিজের রাগ বের করছে আমার চোখ দুটো চিনতে অসুবিধা হলো না।

আমি নিশান কে জরিয়ে ধরলাম। আবেগে চোখ ভিজে উঠলো। বুকের ভিতরে এক
সূক্ষ্ম ব্যাথা মাথা চারা দিয়ে উঠলো। জানি না নিশানের রাগ কি কমলো?? সে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে চোখ বন্ধ করে নিয়েছে। জানি না সে কি ভাবছে। আমি ওকে বসতে বললাম, তার পর যখন বললাম যে নিশান কেমন আছিস তুই ভাই?? আমাকে তুই যা নিয়ে ভুল বুঝছিস তা সত্যি নয়।

নিশান এক টা বড় শ্বাস নিয়ে নরম স্বরে বলল আমি আগের কোন কথা তুলতে চাচ্ছি না। তুই আমায় লাখ খানেক টাকা দিতে পারবি??
হ্যাঁ কেন দিতে পারবো না। কিন্তু তুই এতো টাকা করবি কি এখন?? আমার কিছু কাজ আছে তুই দিতে পারলে তারাতারি দে!
ঠিক আছে আমি তোকে টাকা দিবো সমস্যা নেই। আমার বাসায় চল, গোসল দিবি তোর ভাবি অনেক ভালো রান্না করে খাওয়া দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিয়ে তার পর না হয় বের হোস!!
অবাক হয়ে নিশান বলে তুই বিয়ে করেছিস??
মেহমেত থতমত করে বলে হ্যাঁ। আমার মেয়ে আছে মিহিরিমা!! নিশান তাচ্ছিল্যে পূর্ন হাসি দিয়ে বলে বাহ জীবন তো ভালোই গুছিয়েছিস আমি যাবো না কোথাও। তুই কি টাকা দিবি আমায়?? নাহলে আমি চলে যাবো এখান থেকে। নিশান কি বলছিস কি! দাঁড়া আমি টাকা নিয়ে আসছি।

কিছু ক্ষন পর মেহমেত হাতে চেক নিয়ে আসে। তার পর বলে অফিস ক্যাশে এতো গুলো এখন টাকা নেই তুই একটু কষ্ট করে বস। আমি ব্যাংক থেকে টাকা উঠে নিয়ে আসি। লাগবে না তুই আমাকে দে আমি নিজেই পারবো। নিশানের হাতে চেক টা দিলাম। আমি ওকে যখন আবার জিজ্ঞেস করলাম যে এসবের পিছনে কে আছে কারা এসব করেছে ???

মূহুর্তেই নিশানের মুখের বর্ন রাগে রক্তিম হয়ে উঠে। মেহমেত কে কিছু বলতে যেয়েও কিছু না বলে গটগট করে হেঁটে চলে যায়। বাইরে বের হয়ে তার সাথে যেতে চাইলাম কিন্তু নিশান বলল সে তার কাজ শেষ করে আবার চলে আসব। কিন্তু সপ্তাহ খানেক পার হয়ে যায় নিশানের পাত্তা নেই। তার পর থেকে নিশানের ব্লাকমেইল শুরু হয়ে যায়। কারি কারি টাকা চেয়ে বসে দিন দিন। নিশানের এক চাপা ক্ষোভ ক্ষনে ক্ষনে মেহমেতের উপর ঝাড়তে লাগে। মেহমেত হাজার বার বলেছে তার কোন দোষ ছিল না । কিন্তু নিশান কে বিশ্বাস করাটা দুষ্কর হয়ে উঠে। তিন মাস যে সে কোমায় ছিল তার রিপোর্ট দেখিয়ে ও লাভ হয়নি। তার ব্যাক্ত এই যে টাকার ক্ষমতা সে জেল হাজতে যাওয়ার আগে সে দেখেছে। ভালো মানুষ কে কিভাবে খারাপ দেখানো যায় কিভাবে সব রকমের রিপোর্ট পাল্টে দেওয়া যায় তা সে জেনেছে।

তার পর শুরু হয় তার খুন করার লিলাখেলা ।
প্রথমে মেরে ফেলার প্লান করে ভিসি কে!!
মরিয়ম চমকে উঠে বলে,কিহ ভিসি কে খুন করা হয়েছে??
মেহমেত আড়ষ্ট গলায় জবাব দেয়,হ্যাঁ তাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু আমি জানি না কেন সে খুন করেছে তাকে। তবে এতটুকু জানি যে সে নিশ্চয়ই নিশানের জীবন নষ্ট করার কোন না কোন জায়গায় যুক্ত ছিলেন। ট্রাক ডাইভার কে দিয়ে তাকে হত্যা করায়। পরবর্তী তে টাকার জোর খাটিয়ে সব কিছু সুন্দর করে সাজিয়ে বলা হয় সে এক্সিডেন্টে করেছেন। আমি নিশানের এক এমন ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছি যা মনে পড়লে এখনো আমার লোমশ গুলো দাঁড়িয়ে যায়।
ভিসির দাফন কাফন শেষ হয়ে যায়। রাত ২টায় সে আমাকে নিয়ে যায় কবরস্থানে,, তার পর নিজে আবার ভিসির খবর থেকে লাশ উঠায়। আর নিজের ব্যাগে থাকা রাম দা বের করে ইচ্ছে মতো কুপাতে থাকে। লাশ টার অবস্থা সুচনীয় হয়ে যায়। কত টা রাগ ক্ষোভ থাকলে এক জন মানুষ কে হত্যা করার পর ও তার লাশ কে এভাবে কুপাতে পারে তা হয়তো আমার জানা নেই। আমি দেখেছিলাম সেদিন যখন নিশানের শান্ত সরল মানুষ টা কে এক অশরীরী দানবে পরিনত হতে। আমি প্রচন্ড রূপে ভয় পেয়ে গেছিলাম। কিছু ক্ষনের জন্য আমার মনে হয়েছিল যেন এই বুঝি নিশান আমাকে তার রাম দা দিয়ে মারতে আসে।
আস্তে আস্তে নিশানের বিপক্ষ এডভোকেট হাসান। যে মিথ্যা সাক্ষী দ্বারা নিশান কে কারাবন্দী করেছিল। তাকে কারেন্ট শক দ্বারা হত্যা করে। তার পর অফিসার সোহেল রানা যিনি ও এই মিথ্যা কেস টা কে সুন্দর করে সাজিয়েছিলেন। তাকে ও হত্যা করা হয়। এসমব হত্যা সে ছাপিয়ে তুলে সাধারণ মৃত্যু তে। এবং এদের লাশ কেও সে একই ভাবে কবর থেকে উঠিয়ে কাটা ছিঁড়া করতে দেখেছে। এক দিন আমি সহ্য করতে না পেরে। নিশান কে একটা থাপ্পর দিয়ে বলি কেন সে এমন জঘণ্য কাজ করছে। মানুষ টা কে তো মেরেই ফেলেছে তাহলে তার লাশে কি কোন প্রান আছে যে তার লাশ টা কেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না??
নিশান তখন পাগলের মত হাসতে হাসতে বলেছিল। কে বলেছে লাশ থেকে প্রান চলে যাওয়ার পর তার লাশে কোন আঘাত পড়লে সে বুঝতে পারে না। আজরাইল খারাপ মানুষ দের প্রান অনেক কষ্ট নেয়। তার পর তার লাশের গায়ে একটা টোকা পড়লেও সে চিৎকার করে উঠে বলে যেন তাকে আস্তে ধরা হয়। কিন্তু সেসব আমাদের কান অব্দি পৌঁছায় না। আর এর লাশের এই হাল হওয়াতে তার চিৎকার ও পুরো আকাশ পাতাল ভারি করে তুলেছে। আমি অনেক কষ্ট দিয়ে মারতে চেয়েছিলাম এদের। যে ভাবে বিনা দোষে আমার স্ত্রী আমার পরিবার কে তারা মেরেছিল। তার থেকে হাজার গুণ কষ্ট দিতে চেয়েছি। কিন্তু তাদের জীবিত থাকতে ভয়ংকর মৃত্যু দিতে পারিনি কারণ এরা খুন হয়েছে জানলে সবাই সতর্ক হয়ে যাবে আর আমি খুব সহজেই ধরা ও পড়তে পারি তাই এটা করেছি। কিন্তু মৃত্যুর পর আমি কিছুতেই ছাড় দিতে পারি না। তার পর হঠাৎ নিশান হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
পরবর্তী তে যাদের নিয়ে নিশান এই খুন গুলো করছে। তাদের ও মেরে ফেলে কেন মেরেছে তা আমার জানা নেই।

আজম দপ্তরি কেন খুন করা হলো??? আজম দপ্তরি নিশানের একটা টোপ ছিল। সকালের খোঁজ পাওয়ার জন্য। আর সব থেকে বড় কিলার এখন কোথায় আছে সেটা জানার জন্য আজম দপ্তরি কে প্রয়োজন ছিল এবং নিশানের ঘরে যে একটা বক্স সে নিয়ে এসেছিল তাতেই নাকি ড্রাগস পাওয়া গেছিল এই একটা কারনে এটা বুঝা যায় আজম এই ষড়যন্ত্রের এক বড় অংশ হিসেবে ছিল। নিশান টাকার জোরে তাকে হাতিয়ে নিয়েছিল,
কিন্তু দিন দিন আজমের টাকার প্রতি নেশা টা বেড়ে যাওয়ার কারণে তাকেও খুন করা হয়। আর এই সমস্ত খুনের দায়ে আমাকে জেলে দেওয়ার ফুন্দি হয়তো করে ছিল নিশান যার কারণে সে খুনের প্রকাশ্য কিছু সূত্রাবলী ছেড়ে যায়। কিন্তু তোমাকে কেন খুনের দায়ে ফাঁসাতে চাইয়েছে??? আর বড় কথা কেষ বা সব কিছুর সাক্ষী সে তোমাকে করেছে??।
নিশানের মতে আমিও তাদের ধ্বংস করে দেওয়ার তালিকায় রয়েছি। সেদিন রাতে নাকি আমি গাড়ি পাঠিয়েছিলাম তাদের কে নিয়ে আসার জন্য,আর ঐ ড্রাগস এর বক্স টা আমি রেখেছি। এই দ্বারা সে প্রমান করেছে আমিও এইসবের পিছনে ছিলাম। আর নিশান নিজের লোকের ধোকা দেওয়ার জন্য আমাকে একে বারে মেরে না ফেলে তিলে তিলে শেষ করে দিতে চেয়েছিল।
তার বিরুদ্ধে যত গুলো অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তার প্রতি টা স্বাদ সে আমাকে ভোগ করিয়েছে। ড্রিংকস,ড্রাগ,জুয়া,মেয়ের নেশা সব কিছুর। এসবের ব্ল্যাকমেইল আমার পরিবার কে নিয়ে সে করেছে। মা বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি। আরিফা কে গায়েব করে দেওয়ার হুমকি,তোমাকে ও খুন করার হুমকি,শেষে আমার মেয়েটা কেও নিয়ে সে ব্লাকমেইল করেছে। বিনা দোষে সেও আমাকে চরম শাস্তি ভোগ করিয়েছে। আর পরিশেষে একটা সুযোগ দেওয়া হয় আমায় জোয়ার খেলায় জিতে গেলে, আমাকে মুক্তি দেওয়া হবে আর হেরে গেলে আমাদের সকল সম্পত্তি তার নামে করে দিতে হবে। আর পাগলের মত বাবাকে ধোকা দিয়ে সকল সম্পত্তি নিজের নামে করে নেয়। এক ক্ষীন আশা মনে জেগেছিল হয়তো জিতে যাবো আমি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরেই গেছি তার কাছে।

মেহমেতের চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। কষ্ট গুলো যদি এই চোখের পানির সাথে সত্যি ধুয়ে ফেলা যেতো তাহলে কতই না ভালো হতো। কান্না কষ্ট লাঘব করে?? হয়তো করে?? নাহলে অতি কষ্টে কেন চোখ দিয়ে নোনা জল পড়ে।
মরিয়ম মেহমেতের হাত টা শক্ত করে ধরে। আমাকে মাফ করবেন। আমি ও আপনাকে কিছু টা সময়ের জন্য ভুল বুঝেছিলাম। এটাই স্বাভাবিক ছিল মরিয়ম। অন্য স্ত্রী হলে কত দিন আগেই সে আমাকে ছেড়ে চলে যেতো‌ এমন আচারনের জন্য। আর তুমি আমাকে অন্য নারীর বিছানায় দেখেও আমকে এক পলকের জন্য ও আড়াল করোনি। তোমার মত স্ত্রী সকলেই হতে পারলে স্বামীদের কষ্ট অনেক কমে যেতো। বিশ্বাস বড় জিনিস আপনাকে আমি এক বছর ধরে চিনি না। ৭বছর সংসার করেছি। এতো টুকু বিশ্বাস রয়েছে যে এমন কাজ আপনি ইচ্ছা কৃত ভাবে কিছুতেই করতে পারেন না। নিশ্চয়ই এর পিছনে কারণ রয়েছে বলে আপনি বাধ্য হচ্ছেন। মেহমেত শত কষ্টেও মুচকি হাসলো। তার প্রিয়তমা স্ত্রী তাকে কত টা বিশ্বাস করে তা জেনে সে খুশি হয়েছে।‌ মরিয়মের হাতে ঠোঁট ছোঁয়াল মেহমেত তার পর সেই হাত বুকে জরিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয় আবার।

__________________🥀🥀
নিশান কে তার বাসাতে পাওয়া গেল না। অফিসে এসে খোঁজ পাওয়া গেল যে সে সকালে এসেছিল। এবং সকল কর্মীদের ছুটি দিয়েছে। অফিস ক্যাশে যা টাকা ছিল তা নিয়ে বের হয়েছে। ম্যানাজারের কাছে থেকে জানা গেল যে সকল সম্পত্তি সে আগামী সপ্তাহে নিলামে তুলবে। মেহমেত শুকনো এক ঢোক গিলে। মরিয়ম বুঝতে পারে না নিশান কে এখন পাওয়া যাবে কোথায়???..
মেহমেত বলে হয়তো ক্লাবে পাওয়া যেতে পারে?? এই ভর দুপুরে ক্লাবে নিশান কি জন্য যাবে?? নিশান খুব বেশি কষ্টে থাকলে সকাল বিকাল মানে না। ক্লাবে চলে যায়। আর অগনিত ড্রিংকস করতে থাকে। দেখা যাক না ক্লাবে আছে কি না সে।
ক্লাবের উদ্দেশ্যে গিয়ে জানা যায় যে আজ ক্লাবে কারো ইন্ট্রি বন্ধ‌। পুরো ক্লাব নিশান বুকিং করেছে। মেহমেত কে গার্ড চিনতে পারে। নিশানের সাথে সব সময় তাকে দেখেছেন। তাই নিশানের থেকে অনুমতি নিয়ে তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়!
মেহমেত যা ভেবেছিল তাই। নিশান বসে বসে ড্রিংক করছে। পুরো ক্লাবের বাতি অফ, শুধু টিম টিম করে তার মাথার উপর লাল একটা বাতি জ্বলছে। নিশান মেহমেত কে দেখে অবাক হলো না। সে যে কাল জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে জানে। শুধু তাচ্ছিল্যে পূর্ন হাসি দিয়ে বলল। ধর ড্রিংক কর। আর চেখে বল তো এই ড্রিংক গুলোতে কেন আমার নেশা হচ্ছে না। তারা কি আমায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ড্রিংক দিয়েছে??
মেহমেত ড্রিংক করবে না। নিশান ভ্রু কুঁচকে সামনে তাকায় ভালো করে। মেয়েলি কণ্ঠ কোথা থেকে আসলো। তার পর ভালো করে দেখে অবাক হয় মেহমেতের বউ এখানে???
মরিয়ম নিশানের সামনে বরাবর চেয়ার টায় বসে পড়ে। তার পর চোখ দুটো তীক্ষ্ণ করে নিশান কে দেখে। এই মানুষ টা কে সরাসরি দেখার খুব শখ ছিল তার। ।
মুচকি হেসে মরিয়ম বলে।
শুনেছি তুমি নাকি ভালো ক্যাসিনো খেলতে পারো??? একটা দান হয়ে যাক!!

চলবে _______?????

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here