গোধুলীর শেষ প্রহরে পর্ব -২৪

#গোধুলীর_শেষ_প্রহরে
#পর্বঃ২৪
#রাউফুন (ছদ্মনাম)

মুহু সারাফের বিয়ের পর কেটে গেছে পুরো একটা মাস। এর মধ্যে বদলে গেছে অনেক কিছু। আবার অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। সারাফ এখন একদম সুস্থ। সে যে বাকশক্তিহীন এটা মুহু বুঝতেই দেইনা। ওর খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে কখন কি প্রয়োজন সবটা নিজ হাতে করে। এতো ভালোবাসে মেয়েটা তাকে! সারাফের মাথায় নতুন করে ছোট ছোট চুলের আবির্ভাব হয়েছে। সারাফকে শাম্মী জোর করে তার বাসায় এনেছেন। অবশ্যই মুহুও সারাফের সঙ্গে এসেছে যেহেতু সে তার বিয়ে করা বউ। মুহুও চেয়েছিলো সে এখন নিজের বাড়িতে নিজের অধিকারে থাকুক। তার মায়ের কাছে এসে, মাকে, ভাইকে আপন করে নিক। মুহু ঠিকই ধরতে পেরেছিলো তার ফুলবাবুর অভিমান জন্ম নিয়েছে অনেকটা। এই অভিমান কাছে থেকেই মেটাতে হবে। এই অভিমান কি আর এতো সহজে কা’টে? সারাফের অবশ্য এখন আর কোনো রকম অভিমান নেই। সাহিরার উপর সে রেগে ছিলো। পরে যখন সে সবটা শুনেছে তখন সাহিরা কে জাপটে ধরে কান্না করে। এখন তো সে বলতে পারে না তাই লিখে দিয়েছিলো,

‘আপনিই আমার প্রকৃত অর্থে আসল মা। জন্ম না দিলেও যে মা হওয়া যায় তার চুড়ান্ত প্রমান আপনি। আপনি আমার জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় উপহার। আমার মা! আমার মায়ের স্থানে সর্ব প্রথম আমি আপনাকে বসিয়েছি আর আপনিই থাকবেন! আপনার স্থান আমার হৃদয়ের সর্বোত্তম স্থানে!’

লেখাটা পড়ে সাহিরা কান্নায় আপ্লূত হয়ে যান। বাঁধনহারা সেই কান্না। তিনি মা না হয়েও মা হিসেবে স্বার্থক। এবার শৈবাল টাও যদি তাকে এতোটুকুও বুঝতো। এই আফসোস নিয়ে তার হইতো সারাজীবন কাটাতে হবে। মুহু এখন ভীষণ ব্যস্ত থাকে। ভার্সিটি, নতুন সংসার, নতুন একটা ব্যস্ত জীবন, এরপর বাসায় এসে তার ফুলবাবুর সেবায় নিয়জিত হয়। যতক্ষণ ভার্সিটিতে থাকে তার যেনো ছটফটানি তীব্র ভাবে অনূদিত হয়। বাসায় সারাফের কিছু লাগছে কিনা। বলতে তো পারে না। কখন কি প্রয়োজন হয় কে জানে! শাম্মীকে কিছুই করতে দেই না মুহু। গলায় গলায় ভাব শাশুড়ী বউয়ের। হবে না কেন সারাফ যে শাম্মীকে মা বলে পুরো আখ্যান দিয়েছে সেটা সম্পুর্ন তো মুহুর জন্যই। তাছাড়া শাম্মী এখন ভেবেই নিয়েছে হসপিটালের চাকরি টা আর সে করবে না। বাড়িতেই থাকবেন। সারাফের দেখাশুনা করবেন মুহুর অনুপস্থিতিতে।

মুহু ভার্সিটি থেকে ফিরলো। ঘেমে নেয়ে একেবারে যা-তা অবস্থা। সারা শরীরে গরমের তিক্ততা ছড়িয়ে পরেছে পুরো দমে। ব্যাগটা রেখেই ঘর্মাক্ত শরীরেই সারাফকে জড়িয়ে ধরলো। এটা তার রোজকার রুটিন। ভার্সিটি থেকে ফিরবে আর সারাফকে জাপটে ধরবে। সারাফ ও আগলে নেই মুহুকে। তারপর ইশারায় বুঝায়,

‘অনেক হয়েছে। তুমি ঘেমে গেছো। ইশ কি বাজে গন্ধ! যাও গোসলে যাও ফ্রেশ হও!’

মুহুর তাতে কি রাগ। সে তো আরও চিপকে থাকবে এই কথা বুঝতে পেরেই। মুহু সারাফ কে ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভেজা চুল মুছতে মুছতে বলে,

‘জানেন আমাদের ভার্সিটির বুড়ো স্যার! যার আটত্রিশ বছর বয়স হওয়ার পরেও বিয়ে করেন নি তিনি গত সপ্তাহে বিয়ে করেছেন। আমাদের সজল স্যার আর রেখা মেম ভাবা যায়।’

সারাফ মুহুর দিকে অপলক তাকিয়ে বিগলিত হাসলো। চকিত নজর সরিয়ে লিখে দিলো, ‘তা ভালো তো? আজ আসতে দেরি হলো যে এই কারনেই কি?’

মুহু একগাল হেসে বলে, ‘হোয়াই? ইউ মিস মি বেবস?’

‘হ্যাঁ অন্নেক!’

আরও একগাল হাসলো মুহু। আয়নার সামনে থেকে এসে সারাফের গালে চুমু দিয়ে বলে,

‘আজকে লেট হলো এই জন্য যে, কিপ্টে সজল স্যার আজ ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের সকল স্টুডেন্ট কে ট্রিট দিয়েছেন। বেটায় বিয়ে করে পা’গ’ল হয়ে গেছেন। যে স্যার একটা টাকা খোসায় না পকেট থেকে তিনি আজ এতো গুলো স্টুডেন্ট কে ট্রিট দিলেন ভাবোতো। তার এহেন কান্ডে সব স্টুডেন্ট দের তো চক্ষুচড়ক গাছ।’

‘বিয়ে করে সব পুরুষ মানুষই পা’গ’ল হয়! এই যে আমি যেমন! ‘

লেখাটা পড়ে মুহু হেসে কুপোকাত। হাসতে হাসতেই সে বলে, ‘এহ পা’গ’ল না ছাই। ওহো! হ্যাঁ, আপনাকে বলা হয়নি বুবুর পরের সপ্তাহে বিয়ে! আমাদের আজকেই যেতে হবে আমাদের বাড়িতে! এতো কিছু হয়ে গেছে এর মধ্যে যে বুবুর বিয়ের ডেট টা পিছিয়ে গেছে।’

সারাফ ইশারায় বুঝালো, ‘ওকে যাবো আমরা।’

মুহু বাইরে যাবে তখনই সারাফ মুহুকে এক টান দিয়ে কোলে বসিয়ে দিলো। কোমড়ে হাত চেপে ধরে ভেজা চুলে নাক ডুবালো। মুহুর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এলো এতেই। দরজা খোলা থাকায় আগমন ঘটলো সুপ্রিয়র!

‘ভাইয়া তোমাকে ও বাড়িতে যেতে হবে! তোমার শাশুড়ী মা ফো***!’

আর কিছু বলার আগেই তড়িঘড়ি করে উঠে পরলো মুহু। অত্যন্ত অপ্রস্তুত হয়ে পরলো সুপ্রিয়র আগমনে। সুপ্রিয় বিষম খাওয়ার অবস্থা! কাশি উঠে গেছে ওর। সে ঠোঁট চেপে হেসে মিনমিনিয়ে বলে,

‘ইউ গায়েস কন্টিউ! আই হ্যাভ টু গো আউট!’ স্যরি টু ডিস্টার্ব ইউ টু!’

মুহু তখনও বিমুঢ়। কিন্তু সে সুপ্রিয় কে বাঁধা দিয়ে আমতাআমতা করে বলে, ‘ভা-ভা-ভাইয়া আপনারা কথা বলুন আমি আসছি।’

ইশ কি লজ্জায় পরলো সে। এতো লজ্জায় সে কখনোই পরেনি। লজ্জায় কানের লতী গরম হয়ে উঠলো। সুপ্রিয়কে কোনো রকমে পাশ কাটিয়ে চলে এলো মুহু। আর সারাফ! সে তো নির্বিকার বসে ফোনে ঘাটছে। সুপ্রিয়র সঙ্গে তার জমেছে ভালো। দুই ভাইয়েতে মিলে জম্পেশ গল্প জুড়ে দেই। সুপ্রিয় একা একা বক বক করে আর সারাফ ইশারা করে বুঝাই, ‘তুই যাবি এখান থেকে? মেলা ফেচ ফেচ করে মাথা খাস না তো যাহ!’

‘আমার কি দোষ ভাইয়া! তোমরা যে দিন দুপুরে দরজা আনলক করে রোমান্স করবে সেকি আর আমি জানতাম!’

সারাফ টেক্সট করলো সুপ্রিয় কে, ‘তুই বিয়ে কর! তোর রোমান্সেরর বারোটা যদি আমি না বাজিয়েছি তো আমার নাম ও সারাফ নয় থুরি তোর ভাই মাহবুব মাহেত নয়!’

সুপ্রিয় ভ্রু সংকুচিত করে বলে, ‘হু’ম’কি দিচ্ছো? এটা ঠিক না ভাইয়া। তুমি তো আমার বউয়ের ভাসুর শশুড় হবে। ভাসুর হয়ে কেউ এমন করে?’

‘কেন করে না। আলবাত করে! আমি করবো!’

‘একদম না এসব কিছুই করবা না।’

‘করবো!’

সারাফ দাঁত কে’লি’য়ে হাসলো। সুপ্রিয় ও ভাইয়ের হাসি দেখে হাসলো শব্দ করে। এরপর দুইহাতে জড়িয়ে ধরলো একে অপরকে।

শৈবাল এক ঘন্টা আগে এসে বসে আছে একটা ক্যাফেটেরিয়া তে। শুধু এক ঘন্টা কেন যুগ যুগ অপেক্ষা করে দিতে পারবে এই একজন মানবীর জন্য। কিন্তু সে কি আদোও তাকে বুঝবে। সেদিনও তো সে তাকে রিকোয়েস্ট করেছে। ভালোবাসলে বোধহয় মানুষ এমনই নির্লজ্জ আর বেহায়া হয়। কেমন বেহায়ার মতো সে বার বার ছুটে যায় কুহুলতার কাছে। আজ যখন কুহুলতা তাকে নিজ ইচ্ছেতে দেখা করার কথা বলেছে বিনাবাক্যে সে চলে এসেছে। এক মুহুর্ত দেরি করেনি। বরং আরও এক ঘন্টা আগে এসে বসেছে। অপেক্ষার প্রহর কা’ট’লো শেষমেষ। কারণ কুহু আসছে। পরনে ফর্মাল ড্রেস-আপ। ভার্সিটি থেকে সরাসরি আসছে হইতো এখানে। শৈবাল এক ধ্যানে তাকিয়ে রইলো তার কুহুলতার আসার পানে। কুহুলতার মতো মেয়ে যে তাকে দ্বিতীয় বার ডাকবে সেটা ওর কল্পনাতীত। যেমন অবাক হয়েছে তেমন খুশিও হয়েছে। কুহু এসে চেয়ার দেখিয়ে মিষ্ট ভাষায় বলে,

‘ক্যান আই?’

‘ইয়াহ শিওর! তোমার কন্ঠ সেই এখনো আগের মতোই আমার হৃদয়ে ঝংকার তুলে। এটা কি জানো তুমি?’

কুহু নড়বড়ে হাসলো। হাসির শব্দ হয়নি। শৈবাল সেই হাসিতে ঘায়েল হলো। সে কুহুর দিক থেকে নজর সরাইনি মিনি সেকেন্ডের জন্যও। এতে কুহুর বিড়ম্বনা বাড়ছে তরতর করে। যত গুলো কথা সাজিয়ে এনেছে তা যেনো গোলমাল পাকিয়ে যাচ্ছে সব। শৈবাল কে অন্য রকম লাগছে কেমন। ভালো করে লক্ষ্য করতেই সে দেখলো শৈবাল পাঞ্জাবি পরেছে। মাথায় টুপি। সুগন্ধি আতরের ঘ্রান এসে তাল লাগছে তার নাকে। মুখ টা জ্বল জ্বল করছিলো ওর। কুহু জিবের ডগা দিয়ে ওর ভারী ঠোঁট জোরা ভিজিয়ে নিলো। এরপর রয়ে সয়ে বললো,

‘দেখো শৈবাল তুমি বুদ্ধিমান ছেলে আশা রাখছি আমি যা বলবো তা তুমি বুঝবে। আমি তোমার শিক্ষিকা, তুমি আমার স্টুডেন্ট এটা কোনো বড় বিষয় না। বড় বিষয় হলো আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারবো না। কারণ আমি তৌহিদ কে ভালোবাসি। তুমি যেমন আমার জন্য আত্মহত্যা করতে গেছিলে আমি কিন্তু তেমন কিছুই করতাম না তৌহিদের ভালোবাসা না পেলে। কারণ তৌহিদ আমার ভালোবাসা আর আমি তোমার জেদ। তুমি আমাকে ভালোবাসলে নিজেকে শেষ করতে চাইতে না। যে নিজেকে ভালোবাসে না সে কি করে অন্য একজন কে ভালোবাসতে পারে!’

শৈবাল ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে,

‘তৌহিদ? কোন তৌহিদ?

কুহু শ্লেষাত্মক হাসলো,

‘হ্যাঁহ ভুলে গেছো দেখছি। সেই তৌহিদ যার বোন কে তুমি জোর করে তারই সামনে বিচ্ছিরি ভাবে অপমান করেছিলে। একটা ভাই এটা কি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারে? সবচেয়ে বড় কথা হলো একটা মেয়ের সঙ্গে যখন এরকম একটা তিতকুটে ঘটনা ঘটে তখন তার মধ্যে ঠিক কি রকম প্রভাব পরতে পারে তা কি জানো? জানো না। কারণ এই তোমাদের মতো কিছু ছেলেরা দাবড়ে বেড়াবে, ঘুরবে ফিরবে কোনো দিক তাদের নজর দেওয়ার সময় নেই। কার কি হলো, কে কষ্ট পেলো, কে তোমাদের এই জঘন্য কাণ্ডে গলায় দ’ড়ি দিলো সেটা তোমরা দেখতে যাও না। শুধু নিজেদের মতো ফুর্তি করে তাকে আস্তা কুড়ে ছুড়ে মারো। একবারও ভেবেছো কি সেই মেয়েটার তোমার উপর কি পরিমাণ ঘৃণার উদ্রেক হবে? মেয়েটার শারীরিক, মানসিক কতটা ক্ষতি হয়। সমাজে তাদের কি চোখে দেখা হয় ভেবেছো? যাক গে সেসব ছাড়ো। যদি তোমার সামনে তোমার বোনকে তৌহিদ ওইভাবে চু’মু দিতো তোমার মধ্যে কিরুপ প্রভাব ফেলতো সেটা? উত্তর দাও তো বিবেক থেকে?’

‘তুমি আমাকে এসব বলতেই ডেকেছো? এসব কারণেই কি তুমি আমাকে বার বার রিজেকশন দিচ্ছো? দেখো আমি বদলে গেছি। আগের করা সব কিছুর জন্য আমি অনুতপ্ত। আল্লাহ্ তায়ালা রাব্বুল আলামীনের কাছে এর জন্য আমি ক্ষমা চেয়েছি। আমি জানি আমার অন্যায়ের পাল্লা অনেক ভারী কিন্তু নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল। তুমি চাইলে আমি তানহা আর তৌহিদ এর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো। শুধু তুমি আমাকে গ্রহণ করো! প্লিজ!

‘এতো কিছুর পরেও তুমি এটা কি করে বলছো? শুধু ক্ষমা চাইলেই কি তুমি সেই মেয়েটির মন থেকে তিক্ততা মুছে দিতে পারবে? এই পর্যন্ত যত গুলো মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছো তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে? পারবে না মিষ্টার শাহরিয়ার শৈবাল। আর তুমি আমাকে কোনো দিন ও পাবে না। কারণ আমি তোমাকে আজও ঘৃনা করি৷ নিজেকে এখন যেমন বদলেছে এমনই থেকো।

‘আমি বদলেছি তোমার জন্য কুহুলতা মেম।আর দেখো তুমিই নেই।’

‘তাও ভালো বদলেছো তো। আর তুমি সুপ্রিয় কে চেনো?’

শৈবাল মনে করার চেষ্টা করে বলে, ‘হ্যাঁ আমার ভাইয়া সারাফের আপন ভাই সুপ্রিয় তার কথা বলছো?’

‘হ্যাঁ। ও কিন্তু তোমার প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ ছিলো। জানো?’

‘কেন আমার জানা মতে আমি তো তার কোনো ক্ষতি করিনি?’ অবাক হয়ে জানতে চাইলো শৈবাল।

‘তুমি তার ক্ষতি করেছো? সে তানহাকে ভালোবাসতো। তানহা এক মাত্র তোমার করা বাজে ব্যবহারের জন্য সুপ্রিয় কে ফিরিয়ে দিয়েছিলো। ওঁকে বিশ্বাস করেনি শুধু মাত্র তোমার জন্য। তাই সুপ্রিয় তোমাকেও সেইম কষ্ট দিতে চেয়েছিলো তোমার ভালোবাসা কে তোমার থেকে কেড়ে নিয়ে। মানে আমাকে বিয়ে করে। কিন্তু পরে আমি তাকে বুঝিয়েছি যে তুমি বদলে গেছো। তাছাড়া তুমি ওর ভাইকে আগলে রেখেছো এটা ভেবে সুপ্রিয় দয়া দেখিয়েছে। তোমার উপর দয়া দেখিয়েছি আমিও। সারাজীবন তুমি সবার কাছ থেকে শুধুই দয়া পাবে। ছটফট করবে, কাঁদবে, হাহাকার করবে একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। কিন্তু পাবে না। আর এটাই তোমার শাস্তি। চলি!’

শৈবালের গাল বেয়ে নোনা জল গড়িয়ে পরলো৷ সে কান্না মুছে বলে,

‘আমি মাথা পেতে নিলাম এই শাস্তি। তুমি আমার জেদ না কুহুলতা মেম। তুমি আমার ভালোবাসা! সত্যি কারের ভালোবাসা। এই শৈবাল শুধুই এই কুহুলতাকে ভালোবাসবে।’

কুহু তাচ্ছিল্য হাসলো।বেরিয়ে আসার জন্য উদ্যত হতেই কিছু মনে পরলো। সে দাঁড়িয়ে পরলো। সামনে ঘুরে বলে,

‘হিয়াকে নিশ্চয়ই মনে আছে তোমার? পারলে হিয়াকে বিয়ে করে নিও। মেয়েটা তোমার সন্তানের মা হতে চলেছে! হতে পারে এটাই তোমার প্রায়শ্চিত্তের প্রথম ধাপ।’

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here