#চাঁদোয়া_মহল
পর্বঃ১৪
#অত্রি আকাঙ্ক্ষা
দূর হতে মাগরিবের আযানের শব্দ ভেসে আসছে।সাথে সাথে কতোগুলো কুকুর সমস্বরে ডেকে উঠলো।আবছা আধারের পরিবেশ তীব্র রহস্যময়।শারাফের মনে হলো তার পা দুটি জমে গেছে।আশ্চর্য!নাড়াতে পারছে না কেন?তারই সামনে তার অপ্সরা, তার একান্ত প্রণয়িনী কষ্ট পাচ্ছে অথচ সে কিছুই করতে পারছে না! রক্তে মাটি ভিজে গেছে।দৃশ্যটি বোধ হয় শারাফের সহ্য হলো না!সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললো।মাথা ভনভন করছে।বুকের বা’পাশে যেন কয়েক মণ পাথর বসে আছে।সে ঘন ঘন নিশ্বাস ফেললো।হৃদপিন্ডের উঠা নামা যেন বন্ধ হয়ে গেছে।চোখগুলো অসম্ভব লাল।শারাফ নিজেকে সামলাতে চাইছে কিন্তু পারছে না,বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।আরিফের বিচলিত কন্ঠস্বর শুনে হুঁশে আসলো।
—‘ভাই,ভাই! ভাবীকে হসপিটালে নিতে হবে,রক্ত পরছে অনেক।প্লিজ ভাই।’
চন্দ্ররেখার মাথা এখনো সুধা মির্জার কোলে।তিনি এক দৃষ্টিতে রেখার নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন।এই প্রথম এতো কাছ থেকে রেখা দেখলেন তিনি।সবসময় তো দূর থেকে দেখে এসেছেন!এখন থেকে রেখা তার কাছাকাছি রাখবেন।কোথাও যেতে দিবেন না!কোথাও না।
কম্পিত পায়ে এগিয়ে গেল শারাফ।এক প্রকার কেঁড়ে নিলো রেখাকে।সুধা মির্জা নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে জমিনে বসে আছেন।ইতিমধ্যে গলির মুখে আরিফ গাড়ি নিয়ে হাজির হয়েছে!এক সেকেন্ডও অপেক্ষা করলো না শারাফ।রেখাকে পাঁজাকোলে তুলে গাড়ির পিছনের সিটে বসে পরলো!চন্দ্ররেখার মুখের দিকে তাকানোর সাহস পাচ্ছে না সে।পাছে যদি দম আটকে যায়!বুকপটে যে তীব্র দহন হচ্ছে। আপন মানুষের কষ্ট দেখলে বুকে যে ভীষণ ধাক্কা লাগে।।আরিফ ড্রাইভিং সিট বসে থেকেও শারাফের অভ্যন্তরীণ হাহাকার অনুভব৷ করলো,নিজের ওপরে তার বেশ রাগ হলো।প্রস্রাব ধরারও আর সময় পেল না!
গাড়ি চোখের আড়াল হওয়া অবদি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন সুধা মির্জা।সময় নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।শাড়ির নিচের অংশ মাটিতে মাখামাখি হয়ে আছে।কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করলেন না!আঁচল টেনে সামনে আনলেন।স্বাভাবিকভাবে হেঁটেই নওশিনের দিকে এগিয়ে গেলেন।নওশিন এক দৃষ্টিতে মাটির দিকে তাকিয়ে আছে।তার মনের অবস্থা এই মূহুর্তে বোঝা যাচ্ছে না।আচমকা ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো।দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে কান্না ভেজা কন্ঠে বলে উঠলো,
–‘বড়মা,ভুল হয়েছে ক্ষমা করে দিন।’
সুধা মির্জা এক হাতে নওশিনের চুলের মুঠি চেপে ধরে আছেন।নওশিনের মনে হলো তার সামনে থাকা বড়মা নামক পূর্ণিমার চাঁদটি রূপ বদলে জাজ্বল্যমান প্রভায় পরিণত হয়েছে।এই চন্দ্রপ্রভার চোখ থেকে যেন আগুন ঝরছে।এই আগুন চোখের দিকে তাকালে যেকেউ আজ ভস্ম হয়ে যাবে।বজলু আর তার সাথের সেই লোকটি এক পাশে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।মূলত সেই লোকটিও সুধা মির্জার হুকুমের দাস।তারা মনে মনে প্রবোধ গুনছে।চুলের মুঠি চেপে ধরেই নওশিনকে এক প্রকার ছিটকে ফেলে দিলেন।গর্জে উঠলেন।দাঁত কিড়মিড় দিয়ে বললেন,
-‘কি ভেবেছিস!চাঁদোয়া মহলের দীপ্তিমান এই চাঁদের চোখকে ফাঁকি দিবি?শারাফকে না পাওয়ার ক্রোধে তুই আমার মেয়েকে ধাক্কা দিয়েছিস তাই না?তাকে থামাতে চাইলে অন্যভাবে বুঝিয়েও বলতে পারতি।তুই জেনে শুনেই সব করেছিস।’
-বড়মা,আমি রাগে হিতাহিত …..
-‘একদম চুপ। বজলু,একে আমার কেবিনে নিয়ে বন্দি করে রাখ।খেয়াল রাখবি এক ফোঁটা পানিও যাতে এর ভাগ্যে না জোটে!মনে রাখিস,আমার হুকুমে কোনো উনিশ-বিশ হলে এর যথাযথ শাস্তি ভোগ করতে হবে।
বজলু মুখে কিছু বললো না,কেবল মাথা নাড়ালো।সুধা মির্জার ধমকে বজলুর পাশে থাকা ইতিমধ্যে লোকটির পেন্ট ভিজে গেছে। ভয়ে কাঁপছে সে।ভাগ্যিস সে সময় বজলু তাকে আঁটকে ছিলো।সুধা মির্জা কাঙ্খিত গন্তব্যে রওনা দিলেন।যাওয়ার পূর্বে নওশিনের দিকে একবার ঘৃণা মিশ্রিত চোখে তাকালেন।
——–
তাজওয়ার চৌধুরীর কেবিনের বাহিরে পায়চারি করছে শারাফ।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে।চন্দ্ররেখার প্রশ্নের উত্তর কি দিবে তাই ভাবছে।যদিও চন্দ্ররেখা তাকে এখন অবদি কিছুই জিজ্ঞেস করে নি।কাছাকাছি হওয়ায় বেশকিছু সময় পূর্বে চন্দ্ররেখাকে তার বাবার চিকিৎসাধীন হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।রেখার জ্ঞান ফিরেছে বিশ মিনিট অতিবাহিত হয়েছে!ক্ষত গভীর হওয়ায় কপালে পাঁচটা স্টিচ লেগেছে।সে পুরো সময়টুকু শারাফ রেখার হাত চেপে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলো।তাকে দেখে মনে হচ্ছিল রেখার বদলে তার কপালে সেলাই লাগছে। ডাক্তার জানিয়েছে ঠিক হতে প্রায় দুই সপ্তাহ বা তার চেয়ে কিছুটা কম সময় লাগতে পারে।চন্দ্ররেখা একদম শান্ত।পুরোই চুপচাপ।সেলাইয়ের সময় উহু শব্দটুকুও উচ্চারণ করে নি।কিছু বলছে না কেন!শারাফকে ভুল বুঝেছে নিশ্চয়ই!তাকে রেখে যদি চলে যায়?শারাফ নিজেও তো সেই গোডাউনের ব্যাপারে সবকিছু অবগত নয়।তার ভীষণ অস্থির লাগছে।দরকার হলে বেঁধে রাখবে!তাও রেখাকে হারিয়ে যেতে দিবে না।কিন্তু এতে যদি তার অপ্সরা আরো কষ্ট পায়?শারাফ কি করে কষ্ট দিবে!তাকে ছাড়া থাকতেও পারবে না।দুই দিনে ভালোবাসা হয় কি না সেটা শারাফের জানা নেই!কিন্তু স্বামীর মন স্ত্রীকে সীমাহীন ভাবে চাইতে কোনো দিনক্ষণ নেই।
সুধা মির্জাকে হসপিটালে আসতে দেখে শারাফের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।কেবিনে ঢোকাবার সময় শারাফ তাকে বাঁধা দিলো।সুুধা মির্জা বেশ বিরক্ত হলেন।
-‘শারাফ,তোমার অযথা রাগ দেখার সময় আমার নেই।মেয়ে যেহেতু আমার,তাকে বোঝানোর দ্বায়ও আমার।রেখাকে যদি নিজের করে রাখতে চাও, তাহলে তুমি এসবের মাঝে এসো না।রেখার এই পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী আমি সকলকে নিজ হাতে শাস্তি দিবো।তুমি….
-‘সবার আগে নিজেকে শাস্তি দিন।এসবের জন্য কোনো না কোনোভাবে আপনিই দ্বায়ী।আপনি চাইলে আমি নিজে আপনাকে,আপনারই টর্চার সেলে রাখার সুব্যবস্থা করতে পারি!’
সুধা মির্জার কথা মাঝপথে থেমে গলে।শারাফের প্রতিউত্তর করতে পারলেন না।বুক হাহাকার করছে।তিনি নিজের ইচ্ছেও তো কোনো কিছুই করেন নি!কোন মা চায় তার সন্তানকে দূরে রাখতে?দীর্ঘশ্বাস ফেলে কেবিনে প্রবেশ করলেন।রেখা কেবিনের বেডে পা ঝুলিয়ে বসে ছিলো।কারো উপস্থিতি পেয়ে চোখ তুলে তাকাল।সুধা মির্জাকে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাল না।সে তার নিজস্ব চিন্তায় বিভোর।শারাফকে বিয়ে করে কি কোনো ভুল করলো!সে তো বিয়েই করতে চাই নি।সকলে মিলে বাধ্য করেছে বিধায় তো সে আজ এই নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছে।এমন একটি পরিবার পেয়ে কাল অবদি নিজেকে বেশ ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল।একদিনেই সকলের এতো এতো ভালোবাসা পেয়েছে সে।শারাফের দাদীর আচরণে যদিও তার বেশ খটকা লেগেছিল,এখন তো সুধা মির্জাকেও তার বেশ সন্দেহ হচ্ছে।সে চিৎকার গুলো যে বারংবার কানে বেজে উঠছে।কারা ছিলো সেখানে!তারা আবার মানব পাচারের সাথে যুক্ত নয় তো?রেখা আঁতকে উঠলো।শুধুমাত্র দুই একজনের জন্য পরিবারের সকলকে তো এক কাতারে ফেলা যায় না।এমনও তো হতে পারে তারা কিছুই অবগত নয়। আচ্ছা শারাফ কি সে গোডাউনের ব্যাপারে কিছু জানে?বিনা প্রমাণে শারাফকে তো দোষারোপ করতে পারবে না। হতে পারে সেও এ বিষয়ে কিছুই জানে না?দু’হাতে মাথা চেপে ধরলো।এতো চিন্তা করতে করতে সে পাগল হয়ে যাবে!
বেশকিছু সময় পর মাথায় কারো হাতের শীতল স্পর্শ পেল।চন্দ্ররেখার মনে হয় এই পরশ তার খুব চেনা,এই ছোয়ায় উত্তেজিত মস্তিষ্ক শান্ত করে দেওয়ার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে।তার ঘুম পেয়ে গেল।নিজের ভেতরে এক অন্যরকম পরিবর্তন অনুভব করলো সে।মূহুর্তেই নিজেকে সামলে নিলো।হাতের মালিকের দিকে তাকাল।সুধা মির্জা এক দৃষ্টিতে রেখার মুখপানে তাকিয়ে আছেন।মায়েরা বুঝি এমনই হয় যতো দেখুক না কেন!মন যে ভরে না।দাঁড়ানো অবস্থায় জড়িয়ে ধরলেন,রেখার মাথা তার বুক ও পেটের মাঝামাঝি।সুধা মির্জার শরীরে মা মা গন্ধে,রেখার কান্না পেয়ে গেল। তার জীবনে এতো জটিলতা কেন?তার মা থাকলে কি তার নিজের জন্য এতো ভাবতে হতো?যে যতোই বলুক তার মা চরিত্রহীন,সে বিশ্বাস করে না।একদমই বিশ্বাস করে না।সুধা মির্জার রাশভারী কন্ঠ স্বর কানে পৌঁছতেই রেখার ঘোর কাটলো।
-‘আমার বাবা চাহান মির্জা ছিলেন বেশ কৌতূহলী আর দুঃসাহসী মানুষ।এই ঝিল্লিপুরে তিনিই প্রথম বণিক,যিনি তার ব্যবসায়িক কাজের জন্য সে সময় বিলেতে গমন করেছিলেন।এটা অবশ্য আজ থেকে পয়তাল্লিশ বছর আগের ঘটনা।সবকিছু ভালোই ছিলো।বাবার মনের একান্ত অভিপ্সা ছিলো মির্জা ইন্ডাস্ট্রিজের পাশাপাশি সল্প পরিসরে একটা মারকিউরি ফ্যাক্টরি স্থাপন করা।সেই সুবাদে পঁচিশ বছর আগে সেই পরিত্যক্ত গোডাউনে,পারদ তৈরির বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকাল সংগ্রহ করে রাখাও হয়।কিন্তু এক মাস না যেতেই মারকিউরি বিষাক্ততায় আশেপাশের মাটি,পানি,পানিতে থাকা মাছের বেশ ক্ষতি হয়। সরকারের কর্তৃক নোটিশ আসার সাথে সাথে সেই গোডাউন বন্ধ করে দেওয়া হয়।আপন মানুষের দেওয়া আঘাত সহ্য করতে না পেরে বাবা সেই বছরই মারা যান!মৃত্যুর পূর্বে আমার কাছে সমস্ত মির্জা ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব সঁপে দেন।সেই থেকে আজ পঁচিশ বছর যাবত এ কোম্পানির সবকিছু আমি সামলে এসেছি।বাবার প্রবল আকাঙ্ক্ষা কারণে আমি সেই গোডাউনটি অক্ষতই রেখে দেই।
-এই ইন্ডাস্ট্রির চিন্তা করে আপনি বিয়েও করেন নি,তাই না?
সুধা মির্জার কথার মাঝেই চন্দ্ররেখা প্রশ্ন করলো।
-‘হু…বাবার কাছে কথা দিয়েছিলাম।তাই এই পরিবার ছেড়ে অন্য কারো সাথে ঘর বাঁধতে পারি নি।আর যার সাথে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলাম সেই মানুষটিও আমাকে চিনতে পারে নি।’
সুধা মির্জার গলা কেঁপে উঠলো।চোখ থেকে অবিরাম পানি ঝরছে।রেখা কি সেই বিষাদমাখা অশ্রু কারণ উপলব্ধি করতে পেরেছে!সুধা মির্জা ফের বলতে শুরু করলেন
-‘নওশিন আর বজলুকে আমিই সেখানে পাঠিয়েছিলাম।ক্যামিকেল গুলোর বর্তমান অবস্থা দেখার জন্য।নিশ্বাসের সাথে সেই ক্যামিকেল তোমার ফুসফুস প্রবেশ করলে তোমার ক্ষতি হতে পারতো! তাই নওশিন তোমাকে বাঁধা দিয়েছিলো।কিন্তু তার বাঁধা দেওয়ার তরিকা ছিল গলদ।
-‘কিন্তু সেই চিৎকারগুলো?সেই মহিলা!যাকে ওই লোকটি টেনে গোডাউনে নিয়ে যেতে চাইছিলো?’
-‘মা আমার! একটু ভরসা রাখো আমার ওপরে!সেটা একটা পরিত্যক্ত গোডাউন সেখানে মানুষের আসবে কোথা থেকে!!তুমি বলো?আর ওই মহিলাটা সেই লোকের স্ত্রী।মহিলাটি কিছুটা অপ্রকৃতস্থ!তার স্বামী আমার আন্ডারে কাজ করে।কাজ করার সময়টুকু তাকে অল্প কিছু সময়ের জন্য সেখানে আঁটকে রাখে।আর কিছুই না!তোমার বাবাকে নিয়ে তুমি অতিরিক্ত স্ট্রেসে থাকায় এমন হয়েছে।
চন্দ্ররেখার কানে সুধা মির্জার সেই মা ডাকটি বারংবার বেজে উঠলো।বুক ধড়ফড় করতে লাগলো।পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রুতিমধুর ডাক!চন্দ্ররেখাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সুধা মির্জা কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলেন।শারাফের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন।
-‘এখন না হয় ছয়/নয় বুঝ দিয়েছেন।যেদিন অপ্সরা জানতে পারবে আপনি তার জন্মদাত্রী তখন কি হবে,একবার ভেবেছেন??কি জবাব দিবেন!!কেন ফেলে এসেছিলেন তাকে?তাজওয়ার চৌধুরী যদি আপনার স্বামী হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা আলাদা কেন?কেনই বা চাঁদোয়া মহলের সকলেই আপনার বিয়ের বিষয়ে অনবগত?
সুধা পিছনে ঘুরে তাকালেন।শারাফ সামনে এসে চোখে চোখ রেখে বলে উঠলেন,
-‘কারণ আমি অবিবাহিতা।বাকি সবকিছুর উত্তর তোমার দাদী দোয়া মির্জার থেকে নিয়ে নিবে।আমি কেবলই চন্দ্ররেখার জন্মদাত্রী,কারো স্ত্রী নই।’
শারাফ থমকালো।সুধা মির্জার মুখনিঃসৃত প্রতিটি বাণী তার মাথায় আঘাত করছে।সবকিছু যেন দিন দিন আরো জটিল হচ্ছে!আর যাইহোক সে চন্দ্ররেখাকে কষ্ট পেতে দিবে না!এছাড়া নওশিনের সাথে তার হিসাবনিকাশ এখনো বাকি আছে।নওশিনের কথা মনে হতেই শারাফের মুখে কাঠিন্য ভর করলো!দূর থেকে আরিফ অসহায় চোখে তাকিয়ে রইল।সেও তো তার ভালোবাসার কাছে অসহায়।
চলবে