#চাঁদোয়া_মহল
পর্বঃ২৮
#অত্রি_আকাঙ্ক্ষা
চার-পাঁচটা বাচ্চা এদিক সেদিক ছুটোছুটি করছে।দু’হাত ভর্তি তাদের হাওয়াই মিঠাই।চিরচেনা চাঁদোয়া মহল আজ নানা রঙের ফেরি লাইটের সাজে সজ্জিত।বাড়ির আদরের দুই মেয়ের বিয়ে বলে কথা!চারদিকে হৈ-হুল্লোড়।সিমি আর মাসুকের পানচিনি দেড় মাস আগেই হয়ে গেছে। আজকে তাদের জন্য অফিসিয়ালি রিসিপশনের আয়োজন করা হয়েছে।সিমির কানাডা যাওয়ার কথা থাকলেও রিসিপশনের জন্য দু’মাস আগেই তা ক্যান্সেল হয়ে গেছে।সিমি নিজেই তার ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে!পরিবারের সবাই মিলে মাসুক আর সিমিকে একসাথে কানাডা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।জিমি আর সোহরাবের বিয়ের পাশাপাশি সিমি মাসুকের রিসিপশনে সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। জিমির হাজবেন্ড সোহরাব নিতান্ত সরলতম একজন মানুষ। জিমির প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল।সোহরাবের পরিবারের প্রায় প্রতিটি মানুষ বেশ অমায়িক!মোহিনী মির্জার মুখে অদ্ভুত বেদনাদায়ক হাসি।মেয়েরা চিরকালের জন্য দূরে সরে যাবে,সেই ভয় ইতিমধ্যে মুখে ফুটে উঠেছে। হামিদ মির্জা ও হাফিজ মির্জা আন্তরিকতার সাথে অতিথিদের আপ্যায়ন করছেন।দোয়া মির্জা তার ভাই ভাবীকে নিয়ে আমোদে মেতে আছেন।রেখা লাইলি ও তৃণা মির্জার সাথে হাতাহাতি কাজ করছিলো।আচমকা লুবনা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো।
-“বড় ভাবি জলদি যান।বড়মা, বড় ভাইজান দু’জনেই আপনারে ডাকে।জলদি যান!জলদি।”
-“হে,বউ যাও! আমি এদিকটা সামলাচ্ছি।”
মোহিনী মির্জা কিচেনে প্রবেশ করতে করতে বললেন।চন্দ্ররেখার মুখটা চুপসে গেল।ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে সে বের হয়ে এলো।সিঁড়ি বেয়ে প্রথমে বাবার কক্ষে প্রবেশ করলো।ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত জীর্ণ শীর্ণ শরীরের এক মাঝবয়সী পুরুষ বিছানার ঠিক মাঝে শুয়ে আছে।তিন মাস হয়েছে চাঁদোয়া মহল তিনি ঠাঁই নিয়েছেন।মুখে অক্সিজেন মাক্স।বিছানার বা’পাশে থাকা সিলিন্ডারের সাথে মাক্সটি এডজাস্ট করা।চন্দ্ররেখা অতি সন্তপর্ণে একপাশে যেয়ে বসলো।তাজওয়ার চৌধুরীর ডান হাত নিজের ছোট ছোট হাতে আঁকড়ে ধরলো।আজকাল চন্দ্ররেখার কান্না পায় না!বাবার শারীরিক পরিস্থিতি সে মনে প্রাণে মেনে নিয়েছে। তবুও মনে কোণে থাকা সুপ্ত ইচ্ছেরা মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে উঠে।একবার যদি বাবা চোখ মেলে চাইতো!একবার তার হাত আঁকড়ে ধরতো!
দু’তলার কোণার রুমটিতে তাজওয়ার চৌধুরীর অবস্থান।তার দেখাশোনার দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে লুবনা ও রনির ওপর।সেই সাথে চন্দ্ররেখা তো আছেই!ফার্ম হাউজের সম্মুখে থাকা গার্ডেন এরিয়ায় বিয়ে স্টেজ করা হয়েছে।সকলে বর কনে নিয়ে ব্যস্ত।বিয়ের আনন্দ আমেজ কোণার রুমটিতে পৌঁছতে পারে নি।বাবার হাত ধরে রেখার বিগত কয়েকমাসে হিসেবে মেলাচ্ছে।তিন মাসে চন্দ্ররেখা নিজেকে একটু একটু করে মির্জা ইন্ডাস্ট্রিতে ভালোভাবেই এডজাস্ট করেছে।আজকের চন্দ্ররেখার পরিশ্রমী,আত্মবিশ্বাসী,আন্তরিক।নিজের পরিশ্রম ও সৌহার্দ্যে অফিসের কাজের পাশে স্টাফদের মনে ভালো অবস্থান করে নিয়েছে।আপনজনদের খুবই কাছে থেকে অনুভব করেছে।তাদের অভ্যন্তরে রহস্যের ভান্ডার হয়ত আজ কাল বাদে খুব শীঘ্রই তার সামনে উন্মোচিত হবে!মনের কৌতুহল দমিয়ে রেখে মোক্ষম সময়ের অপেক্ষায় দিন গুনছে।
এতো ভালোর মাঝে সুধা মির্জা আর শারাফের মাঝের নিরব সংঘর্ষ এখনো থামে নি!সেদিনের পর থেকে ফুপু ভাইপোর মাঝে অদৃশ্য এক দেয়াল তৈরি হয়েছে।তারা দু’জনই চন্দ্ররেখাকে নিয়ে ওভার প্রটেক্টটিভ।দু’জনই চন্দ্ররেখাকে ভালোবাসে।কিন্তু দুজনের চাওয়াই যে ভিন্ন!তাদের এই মন মালিন্যতার মাঝে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হচ্ছে চন্দ্ররেখা।একদিকে স্বামী!অপরদিকে মা!উভয়েই যে রেখার কাছে সমসমান মর্যাদা অধিকারী!এইতো সেদিন জিমি সিমির বিয়ের শপিংয়ে যেয়ে সবচেয়ে বিব্রতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।সবাই যখন ড্রেস চুজ করায় ব্যস্ত,শারাফ তখন চন্দ্ররেখার দিকে আকাশ রঙিন কাতান শাড়ি এগিয়ে দেয়।সেই শাড়ি হাতে নেওয়ার পূর্বে সুধা মির্জা রেখার হাতে ফ্লোরাল ওয়েডিং গাউন ধরিয়ে দেন।তা দেখে শারাফের মেজাজ খিঁচে যায়।এরই মাঝে সুধা মির্জা শারাফের পছন্দ নিয়ে দু’চারটে কড়া কথা বলতে ভুলেন না।চন্দ্ররেখার যে নিজস্ব একটা পছন্দ আছে তারা দু’জনই তা ভুলে বসেছে।দুজনের মন রাখতে চন্দ্ররেখার দুটো আউট ফিট সে সময় তাৎক্ষণাৎ কিনে নেয়।কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিভিন্ন একটা শাড়ি পড়ে রিসিপশনে উপস্থিত হয়েছে।তার বাবার কিনে দেওয়া শাড়ি। চন্দ্ররেখা শাড়িতে যত্নসহকারে হাত বুলালো।
-“বাবা!কেমন লাগছে আমাকে?একবার চোখ খুলে তাকিয়ে দেখবে বাবা?মাশাল্লাহ বলবে না!”
ফিসফিস করে বলল চন্দ্ররেখা।গলার স্বর তুমুলভাবে কাঁপছে।
-“একবার আমার হাত শক্ত করে আঁকড়ে ধরো না?অদ্ভুত টানাপোড়েনে আমি ভেতরটা যে শুকিয়ে যাচ্ছে!”
চন্দ্ররেখার বিষন্ন চোখে তার বাবার মলিন মুখের দিয়ে তাকিয়ে রইল।আচমকা উঠে দাঁড়ালো।গটগট তুলে বেরিয়ে গেল।বুঝে থাকা চোখ জোড়া থেকে গড়িয়ে পড়া দু’ফোটা পানি চন্দ্র রেখার আড়ালেই রয়ে গেল।অতি সন্তপর্ণে তাজওয়া চৌধুরী মেয়ের জন্য প্রাথর্না করে গেলেন।
——–
-“ডেকেছিলেন?”
শারাফ সোফায় বসে কাগজ পত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলো।একটু পরেই জিমির বিদায়।সেই সাথে মাসুক আর সিমিও কানাডার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাবে।চন্দ্ররেখার হিমশীতল কন্ঠে শারাফ চোখ তুলে তাকালো।বুকের ভেতর সূক্ষ্ম একটা কষ্ট নাড়াচাড়া দিয়ে উঠলো।চন্দ্ররেখা আপাদমস্তক দুবার চোখ বোলালো।হ্যাজেল ব্রাউন রঙের কাঞ্চিপুরম শাড়িতে চন্দ্ররেখার সর্বত্র তনুতে রাজকীয় একটা প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। কিন্তু বদনে কিছু একটা অস্বাভাবিকতা!শারাফ ধরতে পারলো না। আচমকা চন্দ্ররেখার শারাফের উরুর উপর বসে পড়লো।গলা জড়িয়ে ধরলো।শারাফ হাতে রেখার পৃষ্ঠদেশ আঁকড়ে ধরলো।চোখ বুজে নাক টেনে তার চন্দ্রপ্সরা দেহের মিষ্টি গন্ধ শুষে নিলো।
-“আপনাকে আজ ভীষণ ভীষণ সুন্দর লাগছে।”
চন্দ্ররেখার বাচ্চা সুলভ কন্ঠে শারাফ শব্দ করে হাসলো।চুলে হালকা করে হাত বুলিয়ে দিলো। অতপর নরম সুরে বলল,
-“আমার সৌন্দর্যের রহস্য তো আপনি।আপনি বিহীন এই আমিটা ফিঁকে।”
চন্দ্ররেখার কিছু বললো না।বেশ কিছু সময় পর শারাফের কোল থেকে নেমে সোফায় বসে পড়লো।কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
-“এতো কথা বলতে পারেন আপনি!কথায় কথায় আসল কথাই বললেন না।এখন বলুন কেন ডেকেছিলেন?”
শারাফ ম্লান হাসলো।নিজেকে মনে মনে তৈরি করে নিলো।টেবিল থেকে কিছু কাগজ নিয়ে চন্দ্ররেখার দিকে এগিয়ে দিলো। মুখে বলল,
-“এই পেপারে আমার সাইন চাই।আপনার আর ফুপু মায়ের দুজনেরই সাইন লাগবে।ফুপু মায়ের থেকে আপনি নিজ দায়িত্বে সাইন করিয়ে আনবেন।”
-“কিসের পেপার এগুলো?”
-“মির্জা ইন্ডাস্ট্রির।এখানে লিখা আছে মির্জা ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত দায়ভার আজ থেকে আমার।আপনাদের এর মধ্যে কোনো অংশ নেই।মাসুক,জিমি,সিমিও এই পেপারে সাইন করেছে।অবশ্য এর বদলে ওদের কানাডা সেটেল্ড হওয়ায় সব ব্যবস্থা আমি করে দিয়েছি।”
চন্দ্ররেখা বিস্মিত চোখে তাকিয়ে রইল। ঘরভর্তি মানুষ।একটু পরে জিমি সিমির বিদায়।চারদিকে কতোসব ঝামেলা!এমন পরিস্থিতিতে শারাফ এসব কিছু বলতে পারে রেখার কোনোদিন ভাবনাও আসে নি।তার চিরচেনা স্বামীকে নিজের কাছে বেশ অচেনা লাগছে।কিছু একটা অস্থিরতা তো শারাফকে আঁকড়ে ধরেছে।কিন্তু কি!চন্দ্ররেখা কিছু বলতে চাইলো।শারাফের বাঁধায় চুপ হয়ে গেল।
-“আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না তাই তো!নিশ্চিন্তে থাকুন।আমি যা করছি সবার ভালোর জন্যই করেছি।ফুপু মায়ের গড়ে তোলা এই ইন্ডাস্ট্রির কোনো অসম্মান আমি হতে দিবো না।”
চন্দ্ররেখার এ ব্যাপারে কোনো আক্ষেপ নেই।শারাফের নামে নিজের পুরো জীবন লিখে দিয়েছে,সেখানে এই ইন্ডাস্ট্রি তো কিছুই না।কিন্তু সমস্ত চিন্তা তার মাকে ঘিরে আদোও কি তার মা রাজি হবে?রেখা শারাফকে মুখের দিকে তাকালো। আচমকা প্রশ্ন করলো,
-“সত্যি করে বলুন তো,কেন এমন করছেন আপনি?কি লুকোচুরি খেলছেন?”
-“আমি এ মূহুর্তে কোনো কথার উত্তর দিতে পারবো না।আর ঠুকনো বিশ্বাস নিয়ে আপনাকেও সই করতে হবে না।আপনি না চাইলে,এ আমার কোনো জোর নেই।”
শারাফের রুক্ষ কন্ঠ চন্দ্ররেখার বুকে যেয়ে ধাক্কা মারলো।তাদের বিবাহিত জীবনের সাড়ে চার মাসে শারাফ এই প্রথম তার সাথে সাথে এতোটা কঠোর হয়েছে।রেখা আর কিছু ভাবতে পারলো না!ছলছল চোখে নিরদ্বিধায় সই করে দিলো।খানিকটা অভিমান কিংবা অজান্তেই তার প্রিয়তম অবর্ণনীয় কষ্টের মাঝে ঠেলে দিলো। অতপর পেপার সমেত তার মায়ের ঘরের দিকে এগিয়ে গেল।চন্দ্র রেখার প্রস্থানের দিকে তাকিয়ে শারাফ বিড়বিড় করলো,
–“খুনি হবো আমি।তবুও আপনার ওপর কোনোরকম আঁচ আসতে দিবো না।”
—–
-“তুমি সিউর?মির্জা ইন্ডাস্ট্রির সবকিছু সামলে নিতে পারবে?আমি বলছিলাম কি,কিছুটা সময় নেও।তারপর না হয়?”
-“প্লিজ মা।”
-“ঠিক আছে।আমি সাইন করবো।তার বদলে আমি যা বললো তোমাকে করতে হবে।প্রমিস করো?”
-“প্রমিস।”
অবশেষে চন্দ্ররেখার কাঁদো কাঁদো মুখের দিকে তাকিয়ে সুধা মির্জা পেপার না পড়েই সাইন করে দিলেন।
-“নেও,তোমার কথাই রইলো। আমি সম্পূর্ণ দায়ভার তোমার হাতে তুলে দিলাম।কিন্তু তোমাকে আমার সাথে আজ রাতে একবার বের হতে হবে।নতুন কিছু এক্সপ্লোর করবো!দায়িত্ব যখন নিবে,তখন না হয় আমার করা তোমার নানা চাহান মির্জাকে দেওয়া প্রতিজ্ঞাও পূরণ করবে?”
চন্দ্ররেখা মৃদু হেঁসে মাথা নাড়ালো। সুধা মির্জা মনে মনে কিছুটা শংকিত।কিন্তু চন্দ্ররেখাকে আগে পড়ে সব জানতেই হতো।আজ না হয়,তিনি নিজ থেকেই সব খোলাসা করবেন।এই তিন মাসে রেখাকে বেশ শক্তভাবেই গড়ে তুলেছেন।তাই তো রেখা আজ নিজ থেকে সমস্ত কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েছে।তার বিশ্বাস রেখা তাকে ভুল বুঝবে না।আর রইলো শারাফের কথা!চন্দ্ররেখাকে সে ভীষণ ভালোবাসে।রেখাকে নিজের কাছে রাখতে হলেও সব মুখ বুঝে মেনে নিবো।
——
-“আরেকবার ভেবে নেন, স্যার।আপনার উঠতি ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে।এছাড়া ফাঁসি……”
-“সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি।ফুপু মাকে দমানোর আর কোনো রাস্তা নেই।মেয়ের কষ্ট দেখলে তিনি নিজ থেকেই দমে যাবেন।”
-“আসলে আমিও নিরুপায় হয়ে আপনার দারস্থ হয়েছি।আপনারা গণ্যমান্য মানুষ! আপনারা চিরকাল মানুষের সাহায্য করেই এসেছেন।একটা দিক কনসিডার করাই যেতো। কিন্তু তাই বলে খুন!আপনি নিজেই বলুন?সুধা ম্যাডমকে আমি বহুবার বুঝিয়েছে।এক সপ্তাহ আগেও ফোনে সরাসরি বলেছি মিসিং পারসোনদের আমাদের হাতে তুলে দিতে।কেউ জানবে না।কিন্তু উনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল।এছাড়া লোকটি মরার আগে নিজের মুখে স্বীকারোক্তি না দিলে,কাহিনি এতোদূর গড়াতো না।কালকে দুপুরে অনেকেই জেনে যাবে।কিন্তু নির্দোষ আপনাকে,আমি কি করে?”
ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান কাচুমাচু মুখে বললেন।তার বিবেক বাঁধছে।সুধা মির্জাকে বোঝাতে না পেরে শারাফ মির্জার কাছে এসেছিলেন ঠিকই।কিন্তু দেরী করে ফেলেছেন। অঘটন ইতিমধ্যে ঘটে গেছে।শারাফ মির্জা তার দেখা সবচেয়ে ক্লিন একজন মানুষ।ঝিল্লিপুরের পাশাপাশি শহরের বড় বড় বিজনেসম্যানদের সাথেও বেশ সুসম্পর্কও রয়েছে।অন্যায় হবে জেনেও এসব করতে হচ্ছে। আইনের সামনে তিনি নিজেও যে নিরুপায়।জবাবদিহিতা তো তাকেই করতে হবে।পুলিশের চাকরিটাই যে এমনই।শারাফের কথায় তার ঘোর কাটলো।
-“আপনার এতো ভাবতে হবে না।যা বলা হয়েছে তাই করুন। আপনার একাউন্টে সময়মতো টাকা পৌঁছে যাবে।আর যাদের রেসকিউ করবেন,তাদের কি করে মুখবন্ধ রাখবেন সেই দায়িত্বও আপনার।”
-“ঠিক আছে,স্যার।”
চলবে