#জোয়ার_ভাটা
#সুরাইয়া_সাত্তার_ঊর্মি
#পর্ব-১৪
আজ সকাল থেকেই চলছে থেমে থেমে বৃষ্টি।পথ ঘাটে জমেছে পানি। মার্জানের আজ শেষ কাজ গ্রীষ্মদের বাড়িতে, কাল থেকেই নির্ঝরের মা ফিরবে কাজে। এ ভেবেই শান্তি লাগছে মার্জানের। ওই গ্রীষ্মের কবল থেকে তো বাঁচবে! মার্জান এসব ভাবতে ভাবতে সব কাজ গুছিয়ে মিসেস অনিতার কাছে বলে বেড়িয়ে পড়লো ওঁ। এদিকে আবারো শুরু ঝুম বৃষ্টি। মার্জান এবার বিরক্তিতে মাথা কুচকালো। ছাতা হাতেই রোডে আসলো। কিন্তু এই এলাকায় গাড়ি পাওয়া দুষ্কর, এর উপর বৃষ্টি আজ তো আরো পাওয়া মুশকিল। মার্জান আকাশ পানে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। বুঝি অভিযোগ করছে উপর ওয়ালার কাছে? মার্জান বৃষ্টি মাথায় ছাতা হাতে হাটতে লাগলো ওঁ। পিছন থেকে গাড়ির হর্ণ বাজিয়ে কান ঝালাপালা করে দিতেই মার্জান বিরক্তি নিয়ে চাইলো,
” আরে ভাই! এত বড় রাস্তা চোখে পড়ছে না? সাইড তো দিয়ে রেখেছি, তাহলে কেন হর্ণ বাজিয়ে মাথা খাচ্ছো?”
কোনো সাড়াশব্দ নেই, মার্জান থামতেই গাড়িটিও ভদ্র মানুষের মতো থেমে গেছে। শব্দ বন্ধ হয়ে গেছে।মার্জান চোখ ছোট ছোট করে চাইলো। গাড়ির ভিতরে এই ঝুম বৃষ্টির মাঝে, কে বসে আছে বোঝার চেষ্টা করলো। তবে আবছায়া আলোয় তেমন কিছু চোখে পড়লো না। মার্জান তাই আবারো নিজের পথে হাটতে শুরু করলো। গাড়িটিও ধীরে ধীরে চলছে। মার্জান আবার থেমে গেলো। গাড়িটিও থেমে গেলো। মার্জানের এবার রাগ আকাশচুম্বী। কে এই বদমাইশ, কেন করছে এমন বদমাইশি? মার্জান রাগে পিছনে ফিরে গাড়ির জানালায় নক করলো। এক গাদা শুনিয়ে দিবে নিয়ত করলো। জানালা খুলতেই কিছু বলবে? চুপ হয়ে গেলো। সামনের ব্যাক্তিটি আর কেউ নয়, পাগল গ্রীষ্ম। মার্জান শুধালো,
” কি চাই!”
গ্রীষ্ম ভেটকালো,
” তোমাকে চাই”
মার্জান কিড়মিড় করলো,
” আপনিকি থাপ্পড় খাবেন আমার হাতে? নাকি জনগনের মা’র?”
গ্রীষ্ম গুরু গম্ভীর কন্ঠে বলল,
” আই থিংক তোমার হাতের থাপ্পর?”
মার্জান কঁপালে থাপড় বসালো নিজের। এই পাগলের সাথে গেছে কথা বলতে? মার্জান শ্বাস ছাড়লো। চুলায় যাক। উল্টে পথে ফিরে হাটা ধরলো। কিন্তু থেমে গেলো। হুট করেই টেনে গাড়ির ভিতর বসিয়ে নিলো গ্রীষ্ম। মার্জান হতভম্ব। কিছুক্ষণ যেন ওই দুনিয়ার বাহিরে চলে গেছিলো। দুনিয়ায় ফিরতেই নিজেকে গ্রীষ্মের কোলে বসে থাকতে দেখে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে। মার্জানের মুখ মুহুর্তেই লালবর্ণ ধারণ করেছে। ছেলেটি দেখা যাচ্ছে ডেঞ্জারাস রকমের পাগল! মার্জান এভাবে লজ্জায় নাস্তানাবুদ হতে দেখে গ্রীষ্মতো সেই লেবেলের মজা পাচ্ছে। মার্জানকে কোলে বসিয়ে ডানে গাড়ি ঘোড়ালো ওঁ। মার্জান নিজেকে ধাতস্থ করে চেঁচালো,
” আপনার সমস্যাটা কি? কেন করছেন এমন? কি চাি আপনার?”
“আই নিড অ্যা কিস?”
মার্জান চোখ বড় বড় করে তাকালো মার্জানের দিকে। গ্রীষ্ম দুষ্ট হাসচ্ছে। কাল বিলম্ব না করেই ঠোঁটে চুমু বসালো ওঁ। মার্জান শক্ড। সারা শরীরের ওঁর কম্পন করছে। গ্রীষ্ম সরে এলো। মার্জানকে এভাবে থম মেরে বসে থাকতে দেখে মজা পাচ্ছে খুব। মার্জান চোখ বুঝে আছে, কি হয়ে গেলো মুহূর্তেই তাই হয়তো ভাবছে, ওঁ চোখ খুললো, হাস্যজ্জল চোখ, মুখ দেখে কোথাও হারিয়ে যেতে লাগলো।গ্রীষ্ম মার্জানের ঘাড়ের পিছনের চুলে হাত রাখলো, আবারো কাছে টেনে আনার পূর্বেই মার্জান ওঁর মুখ টুুপ করে কিছু একটা ঢুকিয়ে দিলো। গ্রীষ্ম অবাক হয়ে গেলো। মার্জান সেই সুযোগে কোল থেকে নেমে পাশের সীটে বসে পড়লো। হাসার চেষ্টা করে বলল,
” আমি কাঁচা আমের এই চকলেটা খাই। মাত্র দু’টাকা আপনিও খান, যেহেতু এই টেষ্টটা আপনার ভালো লেগেছে। ”
বলেই পাশের দরজা খুলে মার্জান ভো দৌড়ে। গ্রীষ্ম এবার হা হয়ে গেছে। মেয়েটার কাজ কর্ম ওঁকে হকচকিয়ে দিয়েছে। ও জ্বিব দিয়ে চকলেট নাড়লো। হুমম… সত্যি সেই টেষ্টটাই তো… তবে ওঁর কাছে মনে হচ্ছে মার্জানের ওষ্ঠে এর চকলেটের টেষ্ট বেশি বৃদ্ধি পায়। ভেবেই ও গাড়ি ঘুড়ালো ওঁর বাসার দিকে।
———–
শীপ্রা বাসায় আজ নিজেকে কতদিন যাবৎ বন্দী করে রেখেছে। বের হচ্ছে না বাসা থেকে, না লাভ এর কোনো ফোন ও রিসিভ করছে। শীপ্রা নিজের বাসার বেলকনির পাশেই সুন্দর দোলনায় বসে আছে। বাহিরের বৃষ্টির ছাট পড়ছে চোখে মুখে, বৃষ্টির সাথে মিশে যাচ্ছে নোনাজল। ওঁর স্বপ্ন গুলো মুহূর্তে ধুলিস্যাৎ হচ্ছে। শীপ্রা হাটুতে মুখ গুঁজে ফোঁপাতে লাগলো ওঁ।
” শী…শীপ্রা…!”
কেউ নিচে থেকে নেশালো কন্ঠে একাধারে ডাকতে শুরু করেছে শীপ্রাকে। শীপ্রা উঁকি দিতেই চোখ ওঁর ছানাবড়া। বিড়বিড় করে বলল,
” লাভ!”
লাভ নেশায় বুঁদ। রাস্তার ধারে হেলছে দুলছে। ওঁর চোখ দু’টি শীপ্রার বারান্দায়। শীপ্রাকে দেখে ফেঁকাসে ঠোঁটে হাসি ফুঁটে উঠলো। শীপ্রার বড্ড মায়া হলো ছেলেটিকে দেখে। কি হাল করেছে ওঁ। শীপ্রার মনের ভাবনায় ফাটল ধরলো,
” শীপ্রা আই লাভ ইউ সো মাচ।”
জোড়ে জোড়ে চিৎকার করে বলছে লাভ। শীপ্রার মনের কোনে একটা খুশির বাতি জ্বলে উঠলেও ধপ করে নিভে গেলো। পাড়াপড়শিরা উঁকি ঝুঁকি দিলে রাফির কানে পৌঁছে যাবে। শীপ্রা ভীত হলো।জুতো জোড়া পড়ে দৌঁড়ে ছুটে গেলো ওঁর কাছে। লাভকে টেনে আঁড়ালে নিয়ে এলো,ধমকে সুরে বলল,
” আর ইউ মেড লাভ? কেন করছো এমন? কেন নিজেকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছো?”
লাভ শীপ্রার দু গালে হাত রাখলো। বৃষ্টির তোপে দু’জনেই ভিজে জুবুথুবু। শীপ্রা মুখের মাঝে বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা শীপ্রার মুখে পড়ে আরো আকর্ষিত করে তুলছে ওঁকে। লাভ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে ভালোবাসার মানুষটিকে। এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে নিজ বুক পকেটে লুকিয়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে। এবং শীপ্রাকে খাঁচায় বন্দী করে দিতে। কিন্তু তা কি আদো সম্ভব? লাভের কন্ঠে এবার জড়িয়ে আসতে সুরো করেছে, চোখ দু’টি ভিষণ ভাবে ঝুমছে, এই বুঝি ঢলে পড়ে ওঁ, তবুও অনেক কষ্ট বলল লাভ,
” শীপ্রা আই লাভ ইউ। আর এই কথাটা আমি সবাইকে বলতে চাই, সবাইকে পুরো পৃথিবীকে জানতে চাই যে তুমি আমার ভালোবাসা, তুমি আমার ইষ্ক।”
শীপ্রা ঢুকরে উঠলো, এত ভালোবাসা? এত ভালোবাসা ওঁর আঁচলে কুড়িয়ে নিতে পারবে না। না ওঁ ওর যোগ্য। শীপ্রা লাভে গালে স্পর্শ করলো, অনুনয় করে বলল,
” লাভ, একতরফা ভালোবাসা মানুষকে কখনো সুখি করে না, তোমার বুঝতে হবে লাভ বুঝতে হবে আই ডোন্ট লাভ ইউ। ”
লাভ অপলক তাকিয়ে শুনলো কথা টুকু এর পরেই হেলে পড়লো শীপ্রার বুকে। লাভকে এভাবে পড়ে যেতে দেখে ঘাবড়ে যায় শীপ্রা। বহু কষ্টে সামলে ওকে ওঁর গাড়িতে তুলে নেয় শীপ্রা। এবং নিজে ড্রাইভিং সীটে বসে পড়ে। অনেক নেশা করায় বেহুঁশ হয়ে গেছে ওঁ। বুঝতে পেরে নিজেই ছুটলো ওঁকে ওঁর বাসায় দিয়ে আসতে। কিন্তু কে জানতো? ওঁর জন্য বড় ধরনের সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে ওখানে…..
———
ডিরেক্টর সায়নের আজ মাথায় হাত। অনেকখন পায়চারি করে মাত্রই বসেছে ওঁ। তখনি উপস্থিত হলো মার্জান। সায়নকে এমন পীড়নে দেখে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করতেই জানালো,
” আমাদের ফাইনান্সিয়াল ভাবে যেই কোম্পানি সাপোর্ট দিচ্ছিলো, ওঁরা আর আমাদের সাথে কাজ করবে না। এখন নতুন কোনো কোম্পানি এই মুহুর্তে ইনভেস্ট করতে চাইছে না কোনো টাকা। বড় লসের মুখে পড়তে চলেছি আমরা। নতুন ফাইন্যান্সের প্রয়োজন। কিভাবে কি করবো? বুঝতে পারছি না।”
মার্জান শান্তনা দিবার চেষ্টা করলো,
” স্যার টেনশন করবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। একটা কাজ করলে কেমন হয়? আমরা সাক্ষাৎ এ ওঁদের সাথে কথা বলি?”
সায়ন হতাশার শ্বাস ছেড়ে বলে উঠলো,
” লাভ নেই, হয়তো আমাদের এইখানেই ইতি টানতে হবে।”
মার্জান নিজেও হতাশ প্রথম কাজটায় যদি এভাবে বাঁধা পড়ে? ও আগাবে কি করে? তাই ভেবে রিকুয়েষ্ট করলো ওঁ,
” স্যার একটু ভেবেই দেখুন আর কোনো ওয়ে আছে কিনা? আমি নিজেই না হয় কথা বলবো?”
সায়ন কিছুক্ষণ ভাবলো। এর পর বলে উঠলো,
” আজ রাতের একটি পার্টি থ্রো করছে এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি। ওদের বাৎসরিক উৎসব। আমাদের জন্য-ও ইনভাইটেশন এসেছে। ওখানে বড় বড় ব্যবসায়ীরা আসবে, ওদের কাউকে যদি রাজি করানো যায়!”
মার্জান চকিতে বলে উঠলো,
” আমি রাজি করাবো স্যার!”
সায়ন হেরে যাও ব্যক্তির মতো বলল,
” দেখো কি করতে পারো, আমি আশা ছেড়ে দিয়েছি!”
মার্জান মনে মনে সব ঠিক করেই ফেললো। যথা সময় রেডি হয়ে চলে গেলো পার্টিতে সোফিয়ার সাথে। ওখানে যেতেই অবাক ওঁরা। বড় বড় সেলিব্রিটি সহ নামি-দামি মানুষ এখানে। মার্জান ওঁদের মাঝেই ফাইন্যান্সার খোঁজ করলো। কারো তেমন আগ্রহ দেখা গেলো না। মার্জান আর সোফিয়া নারাজ হতে লাগলো। আর তখনি ওদের আশার আলো হিসেবে হাজির হলো গ্রীষ্ম। ব্যবসায়ীদের মাঝে গ্রীষ্ম এক ধাপ এগিয়ে। গ্রীষ্মকে দেখে বড্ড চমকালো মার্জান। পাশ থেকে সোফিয়া বলল,
” গ্রীষ্ম স্যার! মার্জান উনি যদি একবার আমাদের সাহায্য করে না? তাহলে ওল সেট। আর কারো ক্ষমতা নেই আমাদের টক্কর দেয়ার।”
মার্জান ভালো করেই জানে, রিয়ানা আর সুরভীর জন্যই ওঁর প্রোগ্রামে কেউ টাকা ইনভেস্ট করতে রাজি হচ্ছে না। মার্জান এটাও জানে গ্রীষ্ম একবার ওদের প্রোগ্রামে ইনভেস্ট করলে কেউ কিছু বলতে পারবে না আবার করতেও পারবে না। কারণ এখানেই আসার পর গ্রীষ্মের আপ্যায়ন বোঝা হয়ে গেছে মার্জানের। কিন্তু মার্জান গ্রীষ্মের কাছে যেতে চায় না। এর এক মাত্র কারণ গ্রীষ্মের ওঁর প্রতি ব্যবহার। দেখা যাবে, ওঁ বললো পাগল বেটা উল্টো এমন কিছু বলে বা করে বসবে, যাতে মার্জানকে পীড়ন করে। কিন্তু সোফিয়া নাছোড় বান্দী। মার্জানকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো গ্রীষ্মের কাছে। গ্রীষ্ম বার কাউন্টারের উপর একটু টুলে বসে হেলে আছে টেবিলে। পার্টিতে ঢুকতেই মার্জানকে চোখে পড়েছে ওঁর ব্ল্যাক ড্রেসে ওঁকে ঝাক্কাস লাগছে। ড্রিংক্সের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতেই পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখছেও। কতটা অপরূপ ওঁ। কিন্তু মার্জান? ওঁ তো নজর এদিক ওদিক করে চাইছে ভুলেও তাকাচ্ছে না গ্রীষ্মের দিকে। সোফিয়া এবার কথা পাড়লো প্রথম,
” স্যার.. গুড ইভেনিং, আসলে আমাদের প্রোগ্রামের জন্য আমরা ফাইন্যান্সের খুঁজছিলাম,মূলত আমাদের প্রোগ্রামটা হচ্ছে………”
একে একে সব বলতে লাগলো সোফিয়া। কিন্তু গ্রীষ্মের এসবে কোন ধ্যান নেই, সব ধ্যান খেয়াল মার্জানের দিকে। মার্জান বুঝতে পেরেই অস্বস্তি বোধ করছে। গ্রীষ্ম মার্জানকে এভাবে ইগনোর করতে দেখে খানিকটা চাপা রাগে ফেটে পড়লো। সোফিয়ার কথা মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো,
” মিস সোফিয়া আমি আপনার ওফার বিবেচনা করতে পারি, তবে আমার একটা শর্ত আছে। ”
মার্জানের দিকে তাকিয়ে বললো কথাটা।মার্জানো তাকালো তখন উৎসুক দৃষ্টি তাঁর নিজের-ও। সোফিয়া খুশি খুশি বলে উঠলো,
” হ্যাঁ হ্যাঁ বলুন, না..!”
তখনি মার্জানকে আকাশসম চমকে দিয়ে বলে উঠলো,
“মিস মার্জান মালিক যদি আমার সাথে ডান্স করে তবে।”
মার্জান চকিতেই বলে উঠলো,
” মোটেও না। ”
গ্রীষ্ম বলল,
” দেন আ’ম সরি মিস সোফিয়া। ”
বলেই বার কাউন্টারের দিকে মুখ করে গেলো ওঁ। সোফিয়া মার্জানকে ফিসফিস করে বলে উঠলো,
“ইয়ার মার্জান ডেন্সসি তো করতে চাইছে প্রেম তো না? কেন হাইপার হচ্ছিস? একটু ডান্স করে ফেল! ”
মার্জান বলল,
” কিনবতু উনি তো বলেন নি, ডান্স করলেই আমাদের প্রোগ্রামে ইনভেস্ট করবে? ওঁ বলেছে ভাববে? এইটক কে বলে বল? ফালতু লোক একটা, আমি করবো না ওঁর সাথে ডান্স!”
সোফিয়া এবার পীড়াপীড়ি শুরু করলো। না পেরে শেষ পর্যন্ত রাজি হলো ওঁ,
” ঠিক আছে আমি রাজি!”
গ্রীষ্ম বাঁকা হাসলো। মার্জানের দিকে ডান্সের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। মার্জান না চাইতেও হাত রাখলো ওঁর হাতে, এর পরে চলে গেলো ডান্স ফ্লোরে… ওঁরা মাঝ বড়াবড় দাঁড়িয়ে পড়লো। মার্জানের কোমরে পরম আদরে হাত রাখলো গ্রীষ্ম এদিকে মার্জান আনইজি ফিল করতে করতে হাত রাখলো ওঁর কাঁধে… গান বেঁজে উঠলো,
” Tere bin jeena hai aise
Dil dhadka na ho jaise
Yeh ishq hai kya duniya ko
Hum samjhaaye kaise
Aa dilon ki raahon mein
Hum kuch aisa kar jaaye
Ik dooje se bichhde toh
Saans liye bin marr jaaye
O Khuda..
Bata de kya lakeeron mein likha
Humne toh..
Humne toh bas ishq hai kiya