জোয়ার ভাটা পর্ব -১৫

#জোয়ার_ভাটা
#সুরাইয়া_সাত্তার_ঊর্মি
১৫।
বর্ষাকালের শেষ দিন আজ। তাই হয়তো ঝুম বৃষ্টি? পার্টি শেষে দাঁড়িয়ে আছে মার্জান, নিজ গন্তব্য পৌঁছাবার মতো কোন যানবাহন আপাতত পাচ্ছে না। এদিকে সোফিয়া কোনো এক দরকারে পার্টি থেকে অনেকক্ষন আগেই চলে গেছে। মার্জান শুধু রয়ে গেছিলো গ্রীষ্মের হ্যাঁ কিংবা না শোনার জন্য। কিন্তু ব্যাটা পরে জানবে বলে দিলো। মার্জান বৃষ্টির ঠান্ডা ফোঁটা গুলো স্পর্শ করলো। প্রতিশোধের তাড়নায় কতকিছু করতে হচ্ছে তাকে।মার্জান সুরভী আর রিয়ানাকে হারাতে চায়, জিততে চায় ওর মায়ের সব অর্থ সম্পদ। কিন্তু মার্জান যে দূর্বল? ওঁকে শক্ত-পোক্ত হতে স্বাবলম্বী হতে হবে। মার্জান চোখ বুঝলো। গাড়ির হর্ণের আওয়াজে চোখ মেলে চাইলো। সামনে গ্রীষ্মের গাড়ি দেখে খানিকটা হকচকিয়ে উঠলো। গ্রীষ্ম গাড়ির দরজা খুলে বেড়িয়ে এসেছে ততক্ষণে,
” মার্জান এসো আমি তোমাকে বাড়ি ছেঁড়ে দিচ্ছি।”
মার্জান না বোধক মাথা নাড়ালো,
” আমি ঠিক আছি মি: গ্রীষ্ম থ্যাংকস ফর কন্সার্ন। ”
গ্রীষ্ম ফিচেল হাসলো,
” তোমার ধন্যবাদ আমারো কোনো কাজে আসবে? মিস মার্জান?”
এর পর কাধ উঁচকিয়ে বলল,
” নো, নেভার। আর এখন যে বর্ষণ হচ্ছে, কোনো যানবাহন পাওয়া দুষ্কর। এখানে বসে অবশ্যই তুমি কারো খাবার হতে চাইবে না?”
গ্রীষ্মের কথা রাগ হলো মার্জানের, বলতে ইচ্ছে করলো,
“সব থেকে বড় খাদক তো আপনি মি: গ্রীষ্ম!”
কিন্তু আশেপাশে তাকিয়ে কথাটুকু গিলে ফেললো। সময়কাল বিলম্ব না তরে উঠে পরলো গাড়িতে। গ্রীষ্মের ঠোঁটের কোনে তীর্যক হাসির রেখা ফুটে উঠলো। গাড়ি চলতে শুরু করলো। বৃষ্টির ঘন বর্ষণের বুক চিঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওঁরা। পিনপতন নীরবতা বিরাজিত। কুহু জালানা দিয়ে বাহিরে দেখছে, গ্রীষ্ম ড্রাইভ করছে। মার্জানের চোখে আজ মেদুর ছাপ দেখে বড্ড মায়া লাগছে গ্রীষ্মের। কেনো যেন মেয়েটি অল্প কদিনেই ওঁর খুব কাছে চলে এসেছে, মেয়েটিকে সে ভালোবেসে ফেলেছে।কিন্তু বরাবরই মেয়েটির চোখে মুখে কেমন জন্য দুঃখ কষ্টের ছাপ দেখকে পায় ওঁ। যেমনটি আজ-ও দেখছে। গ্রীষ্ম এবার পিনপতন নিরবতা ভেঙ্গে দিলো,
“মিস মার্জান, আমি আপনাদের সাথে কাজ করতে রাজি আছি।”
মার্জানের মুখের মেদুর ছায়া হারিয়ে গেলো। চকচক করে উঠলো চোখ দু’টি। কিন্তু পরক্ষণেই বিস্মিত হলো।
” কিন্তু আমার একটি শর্ত আছে মিস।”
মার্জান বলল,
” কিসের শর্ত?”
” ম্যারি মি!”
মার্জানের চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেলো,
” সরি মিস গ্রীষ্ম আই এ্যাম নট ইন্টারেস্টটেট।”
গ্রীষ্ম বাঁকা হাসলো,
“দেন উড বি মাই গার্ল ফ্রেন্ড। ”
মার্জান তাতেও নারাজ। এবার গ্রীষ্ম ব্রেক কসলো। মুখের মাঝে গম্ভীরতার ছাপ স্পষ্ট,
” দেখো মার্জান, তুমি যদি আমার কোনো কথায় রাজি না হও? তাহলে আমি তোমাদের কোনো ভাবেই সাহায্য করবো না। এর পর তোমার ইচ্ছে। ওকে বায়। ইউ ক্যান গো নাউ।”
মার্জান অবাক হয়ে গেলো, মধ্যরাস্তায় ওঁকে ছেঁড়ে দিচ্ছে কি-না লোকটি? মার্জান কোনো কিছু না বলেই বেড়িয়ে আরেক দফা চমকালো। ওঁ তো নিজের বাসার সাসনেই। পিছনে ফিরতেই গ্রীষ্মের গাড়িটি ছুমন্তর হয়ে যেতে দেখলো। মার্জান গ্রীষ্ম শ্বাস ছাড়লো। মার্জান গ্রীষ্মের কথা গুলো ভাবতে লাগরো। কিন্তু ওঁ নিজের লাইফে আর কাউকে চায় না। মৃণাল ছাড়া আর কারো দরকার নেই ওঁর জীবনে…
————–
বড্ড ভাড়ী লাভের শরীর। শীপ্রা ছেলেটিকে কোনো রকম সামলে ওঁর ফ্ল্যাটের পার্কিং থেকে লিফটের দিকে যাচ্ছে। নেশায় বুঁদ লাভ আবোলতাবোল বলছে। শীপ্রা পুরো বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওঁর বিরক্তি এবার ভয়ে ট্রান্সফার করে দিতেই পৌঁছালো তায়ান আর ওঁর লোকজন। এদেরকে ওঁর দিকে আসতে দেখেই ঘাবড়ে গেলো ওঁ, লুকিয়ে পড়ার অবস্থায় রইলো না। এদিকে তায়নের লোকেরা লাভের কাছে এসে ওঁরে সামলে নিয়ে উপরে চলে গেলো। তায়ান তখন দাঁড়িয়ে আছে সটান,শীপ্রার দিকে তাকিয়ে। শীপ্রা নিজেকে স্পষ্ট করে বলল,
” দেখুন, আপনি যা ভাবছেন তেমনটি না। আমি সত্যি ওঁকে দিতে..। ”
শীপ্রা থেমে গেলো। কোনো লাভ হবে কি ওঁর ব্যাখায়? তাই চুপ করে রইলো। তায়নাশাহ্ এগিয়ে এলো দু’কদম। শীপ্রার দিকে খানিক ঝুঁকে বলল,
” আমি তোমার কাছে কোনো এক্সপ্লানেশন চেয়েছি?”
শীপ্রা চকিতে তাকালো। তায়নাশাহ্ ঘুরঘুর করা নজরে কিছু বুঝতে চেষ্টা করলো, লোকটি আসলে চায় কি? কিছু বুঝে না শীপ্রা। তায়ানশাহ্ সটান হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। শীপ্রা কিছুটা ঘাবড়ে গেলো। তায়ানশাহ্ বড় বড় পা ফেলে গাড়ির কাছে চলে গেলো। শীপ্রাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
” গাড়িতে বসো।”
শীপ্রা তখন নিজ ধ্যানে মগ্ন। তায়ানশাহ্ পরবর্তী ধমক খেয়ে লাফিয়ে উঠে এক প্রকার। এতে তায়নশাহ্ আরো রেগে যায় । শীপ্রা বুঝতে পেরেই বসে পড়ে। এবং তায়ানশাহ্ গাড়ি চালাতে শুরু করে।কিছুক্ষণ পর গাড়িটি একটি ক্লাবে এসে থামে। শীপ্রা জিজ্ঞেস করে,
” মি: তায়ান আপনি আমাকে এখানে কেনো এনেছেন?”
তায়ান জবাব দেয় না। গাড়ি থেকে বের হয়ে শীপ্রাকে টেনে বের করে ভিতরে চলে যায়। তায়ান গ্যাম্বলিং এর দিকে চলে গেলো। যেখানে অল রেডি তিন চার জন লোক তাদের গার্লফ্রেন্ড নিয়ে বসে আছে। তার মাঝে লাল জ্যাকেট পড়া লোক বরে উঠলো,

” মি: তায়ান আই এম সারপ্রাইজড, তুমি আসবে ভাবতে পারেনি।”
বলেই ব্যক্তিটি জড়িয়ে ধরতে নিলো তায়ানকে। তায়ান হাত দেখিয়ে থামিয়ে দিলো। বলল,
” খেলা শুরু করা যাক!”
ব্যক্তিটি লজ্জিত অনুভব করলো তায়ানের ব্যবহারে বলে উঠলো,
” হাউ রুড ডুড। ওকে এর বদলা না হয় গেইম জিতেই নিবো।”
তায়ান বাঁকা হাসলো। ব্যক্তিটি আবার বলল,
” আজ একটু অন্য ধাঁচে খেলা যাক? আজ আমরা আমাদের গার্লফ্রেন্ডদের বাঁচি লাগাবো। যে হারবে, সে অন্য জনের পার্টনারের সাথে রাত কাঁটাবে।”
ব্যক্তিটির এমন কথা শোনে শীপ্রার শরীর কেঁপে উঠলো। সঙ্গে সঙ্গে উঠে যেতে লাগলো। তখনি তায়ান ওঁর হাত ধরে কাছে টেনে নিলো। এবং কোলে বসিয়ে নিলো। শক্ত করে চেপে ধরলো ওঁর কোমল কোমরে। শীপ্রা ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো। চেঁচিয়ে বলল,
” নিকৃষ্ট লোক আপনি এইসব ইচ্ছে করছো না? আমি তোমার কোনো গেইমে সঙ্গী হবো না ছাড়েন আমাকে।”
তায়ান ঠান্ডা দৃষ্টি তাকালো ঘাড় বাকিয়ে শীপ্রার দিকে। শীপ্রা স্তব্ধ । তায়ানের দৃষ্টি বলে দিচ্ছে,
” আমার কথা মানা ছাড়া তোমার কোনো রাস্তা আছে!”
শীপ্রা নিজেকে এবার অসহায় মনে হচ্ছে। ওঁ নিরবে জল ফেলছে। এদিকে গেমিং শুরু হয়েছে এবং ওই ব্যক্তিটি জিতে যেতেই শীপ্রার দিকে হাত বাড়ায়। তায়ান কিছু বলে না। ব্যক্তিটি যখনি সকলের সামনে শীপ্রার কাপড়ে হাত দেয়, সাথে সাথে একটি গুলি লোকটির হাত স্পর্শ করে বেড়িয়ে যায়। লোকটি কুকিয়ে উঠে। তায়ানের দিকে তাকিয়ে নিজের বন্দুক বের করার আগেই ব্যক্তিটির বুকে গুলি করে এবংওঁর সাথে থাকা প্রতিটি ব্যক্তিদের। প্রত্যকের নিথর দেহো সেখানেই পড়ে রয় যা দেখে শীপ্রা শক্ড। রক্তে রাঙ্গা ঘরটি দেখে গা গুলিয়ে আসতে চাইছে শীপ্রার। কারো স্পর্শ ওঁ চমকে তাকায়, তায়ানশাহ্ ওঁকে কোলে তুলে পাশের রুমে চলে গেলো। শীপ্রা তখন ঘোরের মাঝে। তায়ানশাহ্ শীপ্রাকে একটি বিছানায় শুয়ে দেয়। এবং ওঁ নিজে ঘনিষ্ঠ হতে থাকে শীপ্রার সাথে। শীপ্রা নিজের ভাবনায় বুঁদ তখন, একটি লোক কতটা ভয়ানক হলে, এক সাথে এতো মানুষ মেরে আবার শীপ্রার সাথে রাত কাঁটাতে ভাবে? শীপ্রা জানে তায়ানমাহ্ মাফিয়া পরিবারের ছেলে, কিন্তু কখনো শীপ্রার সামনে কাউকে খুন করে নি তায়ান। আজকের এই ঘটনা কতটা নির্দয় তায়ান বুঝিয়ে দিলো শীপ্রাকে। শীপ্রার মনে এখন ভয় ঘর করে বসেছে, ওঁর বোন আর ভাইকে নিয়ে। শীপ্রা আর সাহস করতে পাড়লো না তায়ানকে কিছু বলতে, বা নিজে কিছু করতে। শুধু তায়ান যা করতে চািছে তাই করতে দিচ্ছে। শীপ্রার চোখে এখন জল টলমল করছে।
————-
কড়া রোদ। রোদের তাপে পুড়ছে সবাই। মার্জান পথের ধারে হেটে চলেছে । মাথায় বড় বড় চিন্তার রেখা। আজ শুটিং স্পটে সায়নের কথায় নিজে অসহায় মনে হচ্ছে । সায়ন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে,
” হয় গ্রীস্মকে আনবে, নয়তো তোমাকে আমার রিপ্লেস করতে হবে।”
মার্জান তখন থেকেই চিন্তিতো। কারন একজন আপ কামিং অ্যাক্টরস শো শুরু হওয়ার রিপ্লেস হলে ওঁর কাজে অনেক প্রভাব পরবে, এর পরবর্তীতে কোনো রোল পাওয়াো মুশকিল হয়ে যাবে। তার উপর মৃণালের ট্রিটমেন্টের খরচ কিভাবে জোগাড় করবে? আর ওঁর প্রতিশোধ নিবার কোনো পথ থাকবে না। রিয়ানা এখন মিডিয়া জগতের ফেমাস নাম, ওকে হারাতে যে মার্জানকেও ফেমাস হতে হবে! কিন্তু এই সব কিছু স্বপ্নই মনে হচ্ছে মার্জানের। তাই ঠিক করলো মার্জান ওঁ গ্রীষ্মের মর্তে রাজি হয়ে যাবে। এ ভেবেই মার্জান কল করে গ্রীষ্মকে। মার্জানের কল দেখে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠলো গ্রীষ্মের। গ্রীষ্মের মর্তে রাজি জানাতেই গ্রীষ্ম বরে উঠে,
” ওকে সি ইউ টুমোরো নাইট।”
মার্জান সম্মতি জানালো। এবং পরের দিন সময় মতো লাভ ফেরি হোটেলে চলে এলো। গ্রীষ্ম আজ পরিপাটি। নিজেকে চার্মিং লুকে সাজিয়েছে, মার্জান নিজেও গ্রীস্মের দেওয়া গাউন গায়ে পড়েছে। দু’জনকে মেইড ফর ইচ আদার লাগছে। তখনি গান শুরু হলো,
Tere saamne aa jaane se
Yeh dil mera dhadka hai
Yeh galti nahi hai teri
Kasur nazar ka hain
Jis baat ka tujhko darr hai
Woh karke dikha dunga
Aise na mujhe tum dekho
Seene se laga lunga
Tumko main chura lunga tumse
Dil mein chupa lunga..
গ্রীষ্ম ডান্স ফ্লোরে মার্জানের সাথে ডান্স করছে। মার্জান এদিকে আনিজি ফিল করছে তো উল্টো দিকে গ্রীষ্মের ঠোঁটের কোন থেকে হাসি মুচ্ছে না। গ্রীষ্ম বড্ড খুশি। মার্জানের আগমে ওঁর বাইপোলার ডিসওর্ডার হচ্ছে না। মুলত এই কারণেই থাকতে চায় গ্রীষ্ম। ওঁরা ডান্স শেষে ডিনার করলো। গ্রীষ্ম বলল,
” আমি আজ খুব খুশি জান তোমাকে আমার গার্ল ফ্রেন্ড পেয়ে!”
মার্জান শুধু হাসার চেষ্টা করলো। ওঁ এখনো লড়াই করছে মনের সাথে, ওঁ কি ঠিক করছে ওঁর ঝামেলার সাথে গ্রীষ্মকে জড়িয়ে? কিন্তু মুখে কিছু বলল না। গ্রীষ্ম মার্জানকে এত চুপচাপ দেখে বরে উঠলো,

” আই হ্যাভ এ সারপ্রাইজ ফর ইউ।”
মার্জান অবাক হয়ে গেলো,
” কিসের সারপ্রাইজ?”
গ্রীষ্ম মুচকি হাসলো। মার্জানের কাছে এসে ওঁর গালে চুমু খেলো। লজ্জা লাল হয়ে গেলো মার্জান।গ্রীষ্ম মার্জানকে এবার একটি লাল কাপড় বেঁধে দিলো ওঁর চোখে। এবং কোলে তুলে নিলো। এরপর পা বাড়ালো গাড়ির দিকে। মার্জান পর পর গ্রীষ্মের কান্ডে বিষ্মিত। জিজ্ঞেস করলো,
” আমরা আবার কই যাচ্ছি? ”
গ্রীষ্ম বলল,
” কিছুক্ষণের মাঝে বুঝতে পারবে।”
মার্জান খানিকটা ভয় আর উৎসুক মন নিয়ে বসে রইলো। আজ জীবন ওঁকে কোথায় এনে ফেলেছে? কোথায় ওঁ ছিলো টগরের আদরের মার্জান, আর এখন এই মার্জান নিজের প্রতিশোধের নেশায় বুঁদ। জীবনের জোয়ার-ভাটা বুঝি এঁকেই বলে, টগর বলতো,
“মার্জান আমাদের লাইফ প্রতিটি ধাপে ধাপে আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে যায়, যেমন একটি শিশু জম্মের পর মা ছাড়া কিছু বুঝেই না। ধীরে ধীরে মাকে ছাড়া থাকেও শিখে যায়, ইউস টু হতে শিখে পরিবেশের সাথে, খাপ খাওয়াতে থাকে নিজেকে। জীবন তাড়নায় উঁচু নিচু থাকবেই তাই বলে ভেঙ্গে পড়তে নেই। পদে পদে শক্ত হতে শিখতে হয়। আর একজন মেয়ে থেকে যখন মা হতে শিখে তখন ওঁর থেকে শক্তিশালী আর কেউ হয় না। ”

মার্জান মৃণালের জম্মের পর থেকেই তা মিলিয়েছে। ওঁ গর্বিত মৃণাল ওঁর জীবনে এসেছে। মার্জানের ভাবনার মাঝে গাড়ি থেমে যায়। মার্জানের হাত ধরে গাড়ি থেকে নামায় গ্রীষ্ম। মার্জানের চোখের কাপড় খুলে ফেলে, মার্জান চোখ মেলতেই খুশিতে ওঁর চোখ টলমল করে উঠে। গ্রীষ্ম মার্জানকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওঁর ঘন কালো চুলে চুমু খায়। এবং কানের কাছে স্লো ভয়েসে বলে উঠে,

” আমার বিউটিফুল ওমেনের জন্য, বিউটিফুল গিফট।”

মার্জান এবার অঝড়ে কেঁদে উঠে উল্টো ঘুরে গ্রীষ্মের বুকে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠে। গ্রীষ্ম হাসে। মার্জানকে শক্ত করে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে,
” ডোন্ট ক্রাই মাই প্রিন্সেস…।”
কিন্তু মার্জানের কান্না থামে না। এ যেন অনেক বছরের জমানো কান্না, আবেগ, অনুভূতি। যা বেড়িয়ে আসছে।

চলবে,

বিঃদ্রঃ কাল দেয়ার কথা ছিলো, তবে আমাদের এলাকায় ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হওয়ায় কারেন্ট ছিলো না। এখনো ঝামেলা করছে। কোনো রকম অল্প ফোনের চার্জেই লিখে পোষ্ট করছি। ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ আপনাদের কাছে প্রশ্ন,

“মার্জান কেন কান্না করছে? গ্রীষ্ম তাকে কি এমন গিফট করেছে?”

জানলে, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। 🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here