#ঝিলের_ওপারে_পদ্মফুল
তন্বী ইসলাম -১৬
“আপনার মেয়ে কিন্তু দুইজনই সুন্দর। তবে আমাদের শাপলা মাশাল্লাহ বলার মতো সুন্দরী, আপনার ছোট মেয়ে সুন্দর হলেও মাশাল্লাহ বলার মতো তেমন সুন্দরী না। মোটামুটি গোছের, যেমন চলবে এমন আরকি।
কথাটা কানে ঢুকতেই ভীষণ রেগে গেলো পদ্ম। কোমড়ে হাত রেখে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে আপন মনে বাকিদের উদ্দেশ্যে বললো
“যারে বিয়া নিতে আইছেন, সে যদি মাশাল্লাহ হয় তাইলেই হইবো। বাকিদের দিকে নজর দেওয়ার কি দরকার শুনি।
পদ্ম’র কথা শুনে নিরবে মুচকি মুচকি হাসছে শাপলা। আলেয়া চোখমুখ শক্ত করে চাপা স্বরে বলল
“পদ্ম, সম্মান দিয়া কথা বল। উনারা তোর মুরুব্বি।
পদ্ম মায়ের কথা মেনে নিয়ে মাথা নাড়িয়ে বিড়বিড় করে বললো
“ওকে আম্মা।
শাপলার মা আর তার চাচীর কাছে অনেক কথাবার্তাই বললো ছেলের বাড়ির মহিলারা। উনাদের ইচ্ছে বিয়েটা খুব তারাতাড়িই করানোর। ছেলেও যেহেতু মেয়েকে পছন্দ করেছে, আর তাছাড়া এমন সুন্দরী মেয়েকে যত তারাতাড়ি সম্ভব বিয়ে করিয়ে নিজেদের করিয়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। পরে হাতছাড়াও হয়ে যেতে পারে। শাপলা পর্দার ওপাশের বিছানায় বসে সব শুনছিলো, পদ্মও ছিলো সাথে। শাপলার মনে কি চলছে তা খুব মনোযোগ সহকারে বুঝার চেষ্টা করছে পদ্ম। কিন্তু ফলাফল শুন্য, কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। কথায় আছে, মৌনতাই সম্মতির লক্ষন। পদ্ম বুঝে নিলো বাকিটা। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করবেন বাড়ির পুরুষেরা। তারা দু’এক দিনেই মধ্যেই আসেবন পাকা কথা বলতে। শাপলার মায়ের দিক থেকেও কোনো আপত্তি ছিলো না বিধায় ভদ্রমহিলারা বেশ খুশি মনেই বিদেয় নিলেন।
পরের দিনগুলোতে শাপলাকে আর কলেজে যেতে দেওয়া হলো না। আলেয়ার স্পষ্ট কথা, বিয়ের কথা একরকম ঠিকঠাক, এমন অবস্থায় মেয়েদের কিছুতেই বাইরে যাওয়াটা ঠিক না। বদ নজর লাগতে পারে। আর বদ নজর বেশ ভয়ানক জিনিস। শাপলাও মায়ের কথা বিনাবাক্যে মেনে নিলো।
বেশ ফুরফুরে মেজাজেই স্কুলের পথে পা বাড়ালো পদ্ম। যদিও শাপলার সাথে যাওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু তার বিয়ে বিধায় সে যাবেনা। কিছুটা সামনে এগুতেই পদ্ম খেয়াল করলো মোড়ের মাথায় শ্রাবণ ভাই দাঁড়িয়ে আছে। শ্রাবণ ভাইকে দেখে মৃদু হাসলো পদ্ম, বেশ ভালোই লাগে শ্রাবণ ভাইকে দেখতে তার। কিছুক্ষণ বাদে শ্রাবণের দৃষ্টিও তার পদ্মফুলের দিকে এলো। মুখে হাসির ফোয়ারা টেনে সে দু কদম এগিয়ে এলো পদ্ম’র দিকে। এতোক্ষন সে পদ্ম’র জন্যই এখানে অপেক্ষা করছিলো। পদ্ম শ্রাবণের কাছাকাছি আসতেই শ্রাবণ ঠোঁটের হাসিটাকে প্রসারিত করে বলল
“অনেক্ষন অপেক্ষা করিয়েছিস রে পদ্মফুল।
“কেন অপেক্ষা করলা? আমি কি তোমারে অপেক্ষা করার জন্য বলছি? লাজুক মুখে মিহি গলায় বললো পদ্মফুল।
শ্রাবণ পদ্ম’র কাঁধ থেকে ব্যাগটা টেনে নিয়ে সামনের দিকে চলতে চলতে বললো
“কেন অপেক্ষা করি তুই জানিস না পদ্মফুল? জেনেও না জানার মতো ভান ধরিস কেন?
পদ্ম আবারও লাজুক হাসি হেসে বললো
“জানিনা।
শ্রাবণ অদ্ভুত ভাবে তাকালো তার পদ্মফুলের দিকে। তার পদ্মফুলের মুখপানে তাকিয়ে থাকা অবস্থাতেই হঠাৎ বুকের মাঝে কিঞ্চিৎ ব্যাথা অনুভব করলো সে। এ ব্যাথার কারণ অজানা তার। কিছুটা সময় দুজনেই নিরবে হাঁটতে লাগলো। স্কুলের কাছাকাছি পৌঁছেই ব্যাগটা পদ্ম’র হাতে ধরিয়ে দিয়ে শ্রাবণ বললো
“আজ সন্ধ্যায় আমাকে চলে যেতে হবে রে পদ্মফুল।
পদ্ম হঠাৎ চমকে উঠলো। বিচলিত গলায় বললো
“কেন? কেন চইলা যাবা শ্রাবণ ভাই?
খানিকটা সময় নিয়ে নিজেকে ধাতস্থ করে শ্রাবণ মলিন গলায় বললো
“পরশু থেকে আমার এক্সাম শুরু।
“ওহ! নির্জীব কন্ঠে ছোট্র করে বললো পদ্ম।।
স্কুলের গেইট দিয়ে ঢোকার আগ মুহূর্তে পদ্ম’কে উদ্দেশ্য করে শ্রাবণ কিঞ্চিৎ চিৎকার করে বলে উঠলো
“ছুটির পর একা একা চলে যাস না যেনো। আমি এখানেই থাকবো, তোর জন্য অপেক্ষায় থাকবো। আমার পদ্মফুলকে সাথে করে নিয়েই আমি বাড়ির দিকে পা বাড়াবো।
শ্রাবণ ভাইয়ের কথায় হাসিমুখে পিছু ফিরে তাকালো পদ্ম। এরপর চওড়া হাসি হেসে বললো
“আচ্ছা শ্রাবণ ভাই।
আজ ক্লাসে মন বসছে না পদ্ম’র। স্যার অনবরত লেকচার দিয়েই যাচ্ছে, তবে স্যারের কোনো কথায় পদ্ম’র মস্তিষ্ক পর্যন্ত যাচ্ছে না। শ্রাবণ ভাই আজ চলে যাবে, ভাবতেই কান্না পাচ্ছে। এতোক্ষন বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক মি. সাইদ আহমেদ খুব মনোযোগ সহকারে পদ্ম’র ক্লাসের প্রতি অমনোযোগীর বিষয়টা লক্ষ করলেন। অনেকটা সময় কেটে যাবার পরেও যখন পদ্ম’র মনোযোগ ফিরে এলো না তখন তিনি চটে গেলেন। বরাবরই তিনি ভীষণ রাগী আর কড়া স্বভাবের মানুষ। ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা তাকে একপ্রকার যমের মতোই ভয় পায়। উনার ক্লাসে অমনোযোগী হওয়া একদমই এলাও না। পদ্ম’র যখন তার শ্রাবণ ভাইকে নিয়ে ভাবনায় মশগুল ছিলো, ঠিক সেই মুহূর্তে পিঠের মধ্যে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করলো সে। তীব্র যন্ত্রণায় আহ করে শব্দ করেই সামনের দিকে তাকালো পদ্ম। মুহুর্তেই গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো তার। সাইদ স্যার তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। হাতে সরু একটা বেত। পদ্ম’র বুঝতে আর বাকি রইলো না পিঠে সে কিসের ব্যথা অনুভব করেছিলো। সাইদ স্যারের ইশারায় পদ্ম উঠে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করলো।
ঝিলের সামনের জলপাই গাছের নিচের মাচাটায় বসে আছে শাপলা। হাতের মুঠোয় বাটন ফোন, দৃষ্টি একদম সামনের দিকে। সামনের সে বাড়িটায়, যে বাড়িতে আরহাম নামের ছেলেটির সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। শাপলার চোখমুখ একদম স্থির। তাতে না আছে কোনো দুশ্চিন্তার ছাপ আর না আছে কোনো অস্থিরতা। শাপলা হাতের আঙ্গুল দিয়ে বার বার ফোনটাকে এদিক ওদিক নাড়াচাড়া করছে। এমন সময় ফোনটা কেঁপে উঠলো। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই ঠোঁটের কোনে ক্ষীণ হাসির রেশ ভেসে আসলো তার। কলটা রিসিভ করে কানে ঠেকিয়ে ছোট্র করে বললো
“হ্যালো।
বিকেলে স্কুলে ছুটির ঘন্টা পরতেই বেশ তরিঘরি করে সবার আগে বেরিয়ে পরলো পদ্ম। শ্রাবণ ভাই তার জন্য স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করছে, কথাটা বার বার তার মস্তিষ্কে নাড়া দিচ্ছে। কারো অপেক্ষা না করে এক দৌড়ে গেইটের কাছে চলে যায় পদ্ম। স্কুলের গেইট দিয়ে বরোতে বেরোতে আশেপাশে দু’একবার চোখ বুলায় সে। শ্রাবণ ভাইকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। পদ্ম’র কপালে খানিক ভাজ পরলো। মনে মনে ভাবলো, ‘শ্রাবণ ভাই কি তাহলে চলে গেছে? আমাকে শুধু শুধু বলে গেলো সে আমার জন্য অপেক্ষা করবে? পদ্ম’র মলিন মুখটা আরো বেশি মলিন হয়ে গেলো। ম্লান মুখে আরো কয়েকবার এদিক ওদিক চোখ বুলিয়ে এগুতে লাগলো সামনের দিকে। আশেপাশে শত শত ছেলে মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সবাই তার স্কুলের ছাত্রছাত্রী। মাঝেমাঝে দুই একজন আউট লোকও দেখা যাচ্ছে। তাদের মাঝেই পদ্ম তার শ্রাবণ ভাইকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
পদ্ম আরো দু কদম এগুলো। ঠিক তখনই আকস্মিক ওর পিঠ থেকে ব্যাগ টা কেউ দুরুম করে ছিনিয়ে নিলো। হতবিহ্বল হয়ে পেছনে ফিরে তাকালো পদ্ম। শ্রাবণ ভাইকে দেখে যেনো ধরে প্রাণ ফিরে পেলো সে। লম্বা লম্বা নিশ্বাস ছাড়ছে সে। শ্রাবণ হাসিমুখে বললো
“তোকে না বলেছিলাম আমার জন্য অপেক্ষা করতে? আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছিলি কেন পদ্মফুল?
পদ্ম সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে লাগলো। চোখমুখ এমন করলো যেনো সে ভীষণ রেগে আছে। শ্রাবণ পদ্ম’র হাতে ধরে টান দিলো। পদ্ম থামলো ঠিকই, তবে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। আশেপাশে অনেক অনেক মানুষ, সেটা বোধহয় ভুলেই গিয়েছে শ্রাবণ। সে শুধু তার পদ্মফুলকে দেখতে ব্যস্ত৷ বেশ বুঝতে পারলো তার পদ্মফুল তার সাথে অভিমান করেছে। শ্রাবণ তার হাতজোড় দিয়ে পদ্মর গালে স্পর্শ করলো। কেঁপে উঠলো পদ্ম, সারা শরীরে এক শীতল ধারা বয়ে গেলো তার। শ্রাবণ মৃদু হেসে পদ্ম’র গালে হাত বুলাতে বুলাতে বললো
“রেগে আছিস কেন পদ্মফুল?
“কই গেছিলা তুমি? আমি অনেক খুজলাম তোমারে, পাইলাম না।
“আমি এখানেই ছিলাম পদ্মফুল, তোর অপেক্ষায়। এক বন্ধুর সাথে কথা বলতে গিয়ে একটু আঁটকে পরেছিলাম।
“বন্ধু!!
“হ্যাঁ, আরহাম। যার সাথে তোর বোনের বিয়ের কথা হচ্ছে।
“ওহ!
এবার একটু স্বাভাবিক হলো পদ্ম। শ্রাবণ একহাতে পদ্ম’র একটি হাত ধরে রেখেই হাঁটছে। মানুষ জন একটু আঁড়চোখে দেখছে তাদের, তবে কেউই কিছু বলছে না। কিছুটা দূর এগুতেই পদ্ম বললো
“তোমার বন্ধুর সাথে কি কি কথা বললা শ্রাবণ ভাই?
শ্রাবণ পদ্ম’র দিকে তাকিয়ে মৃদুহেসে বললো
“তুই জেনে কি করবি?
“না, কিছুই করমু না। তবে জানতে ইচ্ছা হইতাছে।
মৃদু হাওয়া বইছে, রোদের দাপট কমে গিয়ে গায়ে মিষ্টি রোদের পরশ ঠেকছে। ভালোই লাগছে। শ্রাবণ পদ্ম’র মুখপানে তাকালো, পদ্ম’ও তাকালো শ্রাবণের দিকে। পদ্ম’র চোখের গভীরতা মাপতে লাগলো শ্রাবণ। এ চোখের গভীরতা ঠিক কতখানি তা ঠাহর করতে পারেনা শ্রাবণ। শুধু জানে, এ চোখের গভীরে সে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে গেলে ফিরে আসার পথ খুঁজবে না, পথ খুজে পেলেও ফিরে আসতে চায় না সে। পদ্ম শ্রাবণ ভাইকে এভাবে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ক্ষীণ লজ্জা পেলো। লজ্জায় মাথা নোয়ালো সে, বললো
“কি দেখো?
“আমার পদ্মফুল’কে দেখি।
পদ্ম আবারও লাজুক হাসি হাসলো। বললো
“আজ তো চইলা যাইবা। তারপর কেমনে দেখবা?
“মন দিয়ে দেখবো।
“সিনেমার ডায়লগ।
শ্রাবণ হেসে বললো
“সত্যিকারের সিনেমা। তবে সে সিনেমার নায়ক নায়িকা হলাম গিয়ে তুই আর আমি।।
পদ্ম হাসলো।
খানিক বাদে সে বললো
“তোমার বন্ধুর সাথে কি আলাপ করলা কইলা না তো?
“আজ বোধহয় শাপলার বিয়ের ডেইট পাকা করবে। ওর বাবা আর চাচা যাবে আমাদের বাড়ি।
পদ্ম অবাক হয়ে বললো
“আজকেই?
“হুম।
“এতো তাড়া কেন তাদের?
“তোর বোনকে ভালোবাসে ফেলেছে আমার বন্ধুটা। তার ভালোবাসে নিজের কাছে নেবার জন্যই এতো তাড়া। তোর তো খুশির হবার কথা।
পদ্ম ভ্রু বাকিয়ে বললো
“কেন?
“ওর বিয়েটা হয়ে গেলেই তো আমাদের পথ ক্লিয়ার।
শ্রাবণের কথায় মুখ তুলে তাকানোর সাহস পর্যন্ত হলো না পদ্ম’র। লজ্জায় মাথা নত করা অবস্থাতেই হাঁটতে লাগলো সে। শ্রাবণ তার লাজুক পদ্মফুলকে দেখছে আর হাসছে। তার পদ্মফুল যখন যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, বেশ ভালো লাগে দেখতে।
সন্ধ্যার পরপরই আরহামদের বাড়ি থেকে তিনজন লোক এলো। উদ্দেশ্য শাপলার সাথে আরহামের বিয়ের পাকা কথা। শাপলাকে খাটের এক কোনে গুটিশুটি মেরে বসে থাকতে দেখা গেলো। আলেয়া আর জুবেদা দুই জায়ে মিলে রান্নাবাড়া সেড়ে নিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ আগেই। পদ্ম রান্নাঘরের আশেপাশে কয়েকবার উঁকিঝুঁকি মেরেছে। সুযোগ পেলে দু’টুকরো গরুর মাংস পেটে চালান করবে সেই আশায়। তবে সুযোগই পাচ্ছেনা। বাইরের দিকে একটা পুরোনো দিনের বৈঠক ঘর ছিলো। ঘরটা এতোদিন বেশ জরাজীর্ণ ভাবেই পরে ছিলো। আজ সেলিম আর তার বাবা মিলে ঘরটাকে সাড়িয়েছে।
আরহামদের বাড়ি পাশেই বিধায় বিকেলে আসার কথা ছিলো, কিন্তু আরহামের চাচা একটা কাজে আঁটকে যাওয়ায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। ওদিকে শ্রাবণও তৈরি হচ্ছে বেরিয়ে পরার জন্য। ভেবেছিলো শাপলার বিয়ের কথাবার্তা ফাইনাল হবার পরেই সে বেরোবে।কিন্তু ওদের আসতে দেরি হওয়ায় সেটা আর সম্ভব হলো না। আর দেরি করা যাবে না শ্রাবণের, এখনই বেরোতে হবে। নইলে রাতের ট্রেনটা মিস করবে সে।
বেরিয়ে যাবার আগ মুহূর্তে পদ্ম’কে এক পলক দেখার আশায় আলেয়াদের ঘরে ঢুকলো শ্রাবণ। বাংলা ঘরে বিয়ের আলাপ চলছে। রান্নাঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বাংলা ঘরের দিকে উঁকি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আলেয়া আর জুবেদা। বুঝার চেষ্টা করছে ভিতরে কি কথা হচ্ছে। শাপলার পাশেই শুয়ে থেকে ফোন চাপছে পদ্ম। শ্রাবণ সামান্যই গলা খাকাড়ি দিলো। শাপলা নড়েচড়ে উঠলো। শ্রাবণ ভাইকে দেখে মুচকি হেসে পদ্ম’র দিকে তাকিয়ে বললো
“তোর ডাক পরেছে পদ্ম।
পদ্ম অবাক হয়ে বসে শাপলা কে উদ্দেশ্য করে বললো
“কে ডাকে আমারে?
“তোর শ্রাবণ ভাই।
চলবে…..