তবুও চাই তোকে পর্ব ৬

#তবু_চাই_তোকে🍂
#আভিরা_রয়🍁
#part_5

🍂🍁

.

রুদ্র:পুরোই অদ্ভুত ক্যারেক্টার!! নিশ্চয়ই মাথায় কিছু গোলমাল আছে। ওরা যেন কি বলল…পড়ে গিয়েছে বলে রাগ করিনি রাগ করেছে কারণ ওর আইসক্রিমটা পড়ে গেছে । সো ফানি অ্যান্ড জাস্টিস বিকজ অফ একটা আইসক্রিম আমায় কি সব বললো তারপর আমার ফোনটা ভেঙ্গে দিয়ে চলে গেল😆😆 আমার দিকে খেয়াল করেছে বলেও তো মনে হলো না😒😒 কোন ইন্টারেস্ট নাই কার ফোন ভাঙলাম কি করলাম জাস্ট নিজের কাজ করলো আর চলে গেল
ইন্টারেস্টিং ভেরি ভেরি ইন্টারেস্টিং

.

সন্ধ্যে হয়ে গেছে কিন্তু এখনো রুদ্র এখনো নিচে নামেনি তাই অপরাজিতা বস (রুদ্রের মা) স্বরাগিনি (রুদ্রের বোন) কে বলল….
রাগিনী দেখতো তো এখনো কেন তোর ব্রো নিচে নামছে না গিয়ে দেখে আয় না মা অনেকক্ষণ হয়ে গেছে

.

রাগিনী: ওই তো তোমার ছেলে নিচে নামছে ।।হু এখন তো আর কারো আমার কথা মনেই থাকে না 😒😒😒

.

অপরাজিতা: তোর আবার কি হলো হঠাৎ এই সব আবোল তাবোল বকছিস কেন??

.

রুদ্র: কি হয়েছে মম এখানে তো শান্তি কেন আর পাগলিটা এমন মুখ গোমরা করে কেন বসে আছে? কাকিয়া আমার কফিটা এনে দাওনা

.

কাকিয়া:এই নে তোর কফি আমিতো জানি আমার রুদ্রের এখনই কফি লাগবে। কখন বানিয়ে ফেলেছি কিন্তু তুই তো এতো লেট করে এলি তাই তো আবার গরম করতে হলো??

.

রুদ্রের মা:আচ্ছা রুদ্র তোর কি রাগিনী সাথে কিছু হয়েছে??তোর আসার জন্য অপেক্ষা করে বসে ছিল বাট এখন তোর আসার পর থেকে দেখছি কেমন যেন করছে!! আর তুই আজ এত তাড়াতাড়ি চলে এল ই য়ার আমাদের সবার সাথে কথা না বলে উপরে কেন চলে গেলে??

.

রুদ্র: আসলে মন আজ একটু টায়ার্ড লাগছিল তো তাই আর কিছু না 😁😁আর তোমার মেয়ের কি হয়েছে সেটা আমি বুঝে গেছি! এই নে ধর তোর চকলেট তুই ভাবলি কি করে তোর জন্য চকলেট আনতে ভুলে যাবো বোকা মেয়েটা☺️☺️ মম দাদার কাকাই কোথায় এখনো ফেরেনি??আর আয়াশ আর আয়ান বাঁদর দুটোই বা কোথায় রাত হয়ে গেল এখনো বাসায় ফিরছে না🤨🤨

.

এইতো ব্রো আমরা এসে গেছি😅😅আর তুমি আজ এত তাড়াতাড়ি কেন চলে এলে কেন আর ভার্সিটিতে যা শুনলাম তা কি সত্যি??

.

কাকিয়া: কি হয়েছেরে ভার্সিটিতে কিসের কথা বলছিস🧐🧐

.

রুদ্র:আরে তেমন কিছুই না গো কাটিয়া আরে ওই তো সামনেই ফ্রেশারদের ওয়েলকাম ইন আছে না ওই বিষয়ে ওরা কথা বলছিল কিরে তাই না😠😠 (ওদের দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে)

.

আয়াশ:হেহে একদম ঠিক এই বিষয়ে তো বলছিলাম😅😅 আর মামনি বড় পাপ আর বাবা এখনো আসেনি??

.

রুদ্রের মা:নারে তোদের বড় পাপা বলছে আজ ওদের আসতে লেট হবে কিছু কাজের জন্য ওদের শহরের বাইরে যেতে হয়েছে। আর তোরে আজ এত লেট করে ফিরলি কেন তাই বল আগে??

.

আয়ান:আরে মামনি তুমি রাগ করছো কেন!! আমরা তো মমকে বলে গিয়েছিলাম আজ আমাদের একটা ফ্রেন্ডের বার্থডে ছিল তাই একটু লেট হবে ভেবেছিলাম তো সন্ধ্যার আগেই সব মিটিয়ে চলে আসব আর ব্রো ও তো যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নীলদা বললো তুমি নাকি আগে চলে এসেছো। আচ্ছা মম মামনি আমরা ফ্রেস হতে যাচ্ছি তোমরা খাবার সার্ফ করো ঠিক আছে☺️☺️

.

রুদ্র: কিরে তোরা না বার্থডে পার্টি থেকে আসলি তাহলে আবারও খাবি কোন পেটে😱😱

.

আয়াশ: মামনি দেখেছো তোমার ছেলে কি বলছে!! তুমি তো জানো তোমার হাতের খাবার না খেলে আমাদের ভালো লাগে না তাই তো আমরা না খেয়ে চলে এসেছি😞😞

.

রুদ্রের মা:আচ্ছা বাবা তোরা যা আমি খাবার বাড়ছি আর রুদ্র ওদের পেছনে লাগা বন্ধ কর!

.

এরপর ওরা খেয়ে আরো কিছুক্ষন গল্প করে যে যার রুমে চলে গেল ।
এদিকে হোস্টেলে রিয়া রোজ হৃদি সবাই নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে। কাজ বলতে রোজ মেঘ-রোদ্দুরের সাথে কথা বলছে, আর হৃদি ও রিয়া ওকে বিরক্ত করছে

.

রোজ: আর রিয়ু কি হচ্ছেটা কি এত জালাচ্ছিস কেন??আজ তোর চক্করে পড়ে সারাদিনে মেঘ রোদ্দুর কে একবারও কল করতে পারিনি এখন একটু কথা বলছি আর তোরা এমন করছিস!

.

হৃদি: দেখেছিস রিয়ু রোজ আমাদের কেমন পর করে দিল আমরা কি ওকে জ্বালাচ্ছি🥺🥺?

.

রিয়া: আরে বাদ দে তোর কথা, আর ফোনটা দে তো আমি ভাইয়ের সাথে কথা বলবো।

এই বলেই রিয়ার ওদের হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিল তারপরে কিছুক্ষণ রোদের সাথে কথা বলে ফোনটা কেটে দিলো

.

রোজ: আরে আরে এটা কি করলি, ফোনটা কেন কেটে দিলি?? এইতো কথা বলা শুরু করেছিলেন আর তুই কেটে দিলি;!

.

রিয়া:কি বললি তুই এই তো কথা বলা শুরু করে ছিলি😱😱 তুই এত বড় মিথ্যা কথাটা বলতে পারলি😨😨 পাক্কা তিন ঘণ্টা ধরে তুই ভাইয়ুর সাথে কথা বলছিলি। এখন যাও আর ঘুমাও কালকে আবার ভারসিটি যেতে হবে আর তার জন্য আবার আমায় ডেকে দিতে হবে তোদের তাই নাকি!! তোরা যা ঘুমিয়ে পড় আমি আমার কাজটা সেরে আসছি।

.

হৃদি: এখন আবার কি কাজ ও মনে পড়েছে তো মহারানী দয়া করে তাড়াতাড়ি ডায়েরিটা লিখে চলে এসো।তুমি তো আবার ডায়েরী হাতে পেলে কবি হয়ে যাও😕 অন্য দুনিয়ায় চলে যাও। বুঝিনা বাপু কি এত মজা পাস ওইটা এরই সাথে🙄🙄 অনেকবার তো মনে হয় ওই ডাইরির সাথে তোর বিয়ে দিয়ে দেই

.

রিয়া: হুম দিস এখন যা তো আর পকপক করিস না আমায় শান্তিতে লিখতে দে😐😐

.

রোজ আর হৃদি কথা না বাড়িয়ে চলে গেল কারণ তারা জানে রিয়াকে এই বিষয়ে বলে কিছু করা যাবে না রিয়া খেতে ভুলে যেতে পারে কিন্তু ডাইরি লিখতে ভুলে যাবে না কিছুক্ষণ পর ডায়েরি লেখা ফিনিশ করে ঘুমাতে চলে গেল

.

সকালবেলা

প্রায় 1 ঘন্টা যাবত রোজ আর হৃদি মিলে রিয়াকে ডেকে চলেছে। কিন্তু তারাতো ওঠার কোন নামই নেই রোজ আবার রিয়াকে ডাকছে

.

রোজ:এই রিয়ু ওঠনা মেরি মা আর কত ঘুমাবি এবার কিন্তু ভার্সিটিতে লেট হয়ে যাবে আর তুই কিন্তু খাওয়ার সময় পাবি না

.

রিয়া: আহ মন যে এত চেঁচাচ্ছ কেনো আর একটু ঘুমাতে দাও না😪😪

.

হৃদি: রোজ তুই সর ওর এইভাবে ঘুম ভাঙবে না। আর এটা বুঝলাম না ঐখানে আন্টিয়া কে কোথায় পেলে 😦😦আমি ওর ঘুম এখনি জাগাচ্ছি বলেই রিয়ার উপর এক মগ জল দিয়ে দিল আর বলল নে এবার ঘুমো😗😗

.

রিয়া:ও মমজি গো কোথায় তুমি বন্যা শুরু হয়ে গেছে গো সব ভেসে গেল আমায় ধরো আমিও ভেসে গেলাম তাড়াতাড়ি ধরো আমায়😫😫

.

রোজ: ওই চুপ কর আর কোথায় বন্যা পেলি তুই!তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয় না হলে খাওয়ার সময় হবে না ভার্সিটি যাওয়া সময়হয়ে গেছে

.

রিয়া: শালিরা তোদের ভালো হবে না দেখিস।আমার মত মাসুম একটা বাচ্চাকে সকাল-সকাল এভাবে ভিজিয়ে দিলে তো 🥺🥺দেখিস তোদের বিয়ের দিন তোদের বর ট্রাফিক জ্যামে আটকে যাবে আর পাক্কা দেড় ঘন্টা লেট করে আসবে😪😪

.

তবে রে দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি মজা।এই বলে যেই না ওরা রিয়াকে ধরতে যাবে তার আগেই রিয়া এক দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেছে।এরপরে ওরা তিনজন রেডি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেল

চলবে….???

(

ধন্যবাদ সবাইকে
❤❤❤❤❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here