#অবাদ্ধ_যন্ত্রণা
#তুই_আমার_প্রতিশোধের_মোহর।
#Megh_La
#Part_04
(কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। গল্পে নিজের মনের মতো ভাষার ব্যাবহার না পেলে বা কোথাও প্রেমের চরিত্র ফুটে উঠছে এমন মনে হলে গল্পটা ইগনোর করবেন। ধন্যবাদ)
দিন কেটে রাত হতে চললো।
আমানের মতো ওর পরিবার খারাপ নয়। বাবার ব্যাবহার অনেক ভালো। আর ওনার দুটো ভাই আমার মনে হচ্ছে নিজের ভাই।
এতো ভালো করে কথা বলে।
এখন পার্টি হবে এখানে।
সারা বাড়ি সুন্দর করে সাজানো হইছে। আজ দিনের মধ্যে এক ঝকল আমানের দেখা পাই নি। তাতে অবশ্য ভালোই হইছে। ওনার মুখ দেখার হাত থেকে বাঁচা গেছে।
–কি ভাবছো সুইটু।
(সেইতানকা নাম লিয়া সেইতান হাজির৷ )
–কিছু না৷
–আমান খানের স্ত্রী তুমি। নিজেকে ঠিক সেভাবে সাজাবা। এই কালো গাউন টা পরে নিচে আসবে। আমার স্ত্রী কে কিন্তু আমার মতোই সুন্দর দেখা চায়।
–কেন এতো জখন নিজের মতো নিজের মতো লাগবে তখন বিয়ে না করে একটা পুতুল নিয়ে আসতেন তাদের দেখতে কিন্তু সুন্দর হয়।
–হায় আমার বৌ এর মুখটা একটু বেশি চলতেছে।
–হ্যা আপনার বৌ না 😊
–রাতে দেখিয়ে দিবো এখন কিছু বলবো না৷ আপাতত এটা পরে রেডি হও।
বলেই আমার হাতে কালো একটা গাউন ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল।
নিজেকে সাজিয়ে নিলাম। সুন্দর করে তার পর নিচের দিকে পা বাড়াতে দেখি আমান। একটা হাত সামনে দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
–ওহ জানু আমার বৌ যে এতো হট জানা ছিলো না৷ আমার তো হার্ট বিট থেমে গেল।
–এক দমি থামিয়ে দিবার কাজ করি। 😊
–দেখা যাক কে কারটা থামায়৷
–হুম
বলেই, ওনার হাতটা ধরে নিচে এলাম।
সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন বাবা আমাকে।
এর মধ্যে,
আরিফ এনাউন্সমেন্ট করে আমার আর আমানের ড্যান্সের।
আমান আমাকে নিয়ে স্টেজে আসে।
একটা রোমান্টিক গান বেজে উঠে। সকল লাইট অফ একটা লাইট পরেছে আমাদের উপর।
গানকে তাল দিয়ে নাচতে শুরু করি।
কিছু সময় পর নাচটা শেষ হলে,
–জানেমান এতো সুন্দর কেমনে নাচো৷ (আস্তে করে কানের কাছে)
–শুধু সুন্দর নাচতে নয় নাচাতেও জানি।
–তুমি চিন্তা করতে পারবে না ঠিক কি কি অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।
–আপনিও না।
–তোদের প্রেম আলাপ শেষ হলে এবার ছাড় দু’জন দু’জন কে। (আরিফ )
আরিফের কথায় আমি আমান থেকে সরে আসি।
বেশ সুষ্ঠ ভাবে পার্টি টা শেষ হয়৷
আমি অনেক ক্লান্ত রুমে এসে একটা জামা নিয়ে নি। এখানে আলমারিতে অর্ধেক আমানের জামা কাপড় আর বাকি অর্ধেক এ আমার৷ কিন্তু এগুলা আসলো কি করে হয়তো সে ই এনেছে।
মেকাপ তুলে সুন্দর করে ফ্রেস হয়ে বসে পড়লাম খুব ক্লান্ত লাগছে। আমি শুতে যাবো৷
তখনি আমান এলেন,
–সুইটু সুইটু আমাকে রেখে শুয়ে পড়ছো৷
ওনার কথায় কান না দিয়ে শুয়ে পড়তে যাবো তখনি আমাকে ধরে টেনে তুলে ৷
–কি হচ্ছে।
–প্রেম৷
আমান আমাকে ধরে জানালার কাছে নিয়ে হাতটা উঁচু করে বেধে দেয়৷
এমন করে বাঁধছে না আমি বসতে পারবো না আমি নড়তে পারবো৷
–কি করছেন৷
–তুমি বড্ড চেচাও আমার ঘুম হবে না।
বলে একটা টেপ আটকে দিলো মুখে।
আমি নড়তে পারছি না৷
–এবার সারা রাত এভাবে দাড়িয়ে কাটাও। 😚
বলেই গিয়ে শুয়ে পড়লো আমান৷
আমার রাগ আর কষ্ট দু’টোই হচ্ছে৷ বেশি হচ্ছে রাগ৷
নিজেকে অনেক ছাড়াবার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না৷ হার মেনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম৷
এদিকে পা দুটো অবশ হয়ে আসছে। এতেটা ক্লান্ত যে চোখ ও বুঁজে আসছে। কিন্তু অসস্তি ফিল হচ্ছে৷
ঠান্ডায় হাত পা বরফ হয়ে আসছে।
কথায় আছে অতি গরম সহ্য করা যায় কিন্তু অতি শীত যায় না কখনো না।
কিছু সময় পর চোখ দুটো বুঁজে এলো৷ আর কিছু মনে নাই।
🌄
সকালে পাখির কোলাহলে আমানের ঘুম ভাঙে। আজ ভোরের পাখিরা একটু বেশি ডাকাডাকি করছে মনে হচ্ছে।
কালকে রাতে ঘুমটা অনেক গাড় হয়েছে বুঝা যাচ্ছে।
হটাৎ মনে পরে মেঘের কথা পাশে খুঁজে না পেয়ে। উঠে পরে জানালার কাছে চোখ যেতে দেখে এখনো হাত বাধা অবস্থায় মাথাটা নিচের দিকে ঝুঁকে আছে।
কালকে রাতের কথা তো আমান ভুলেই গেছিলো৷
ভেবেছিলো কিছু সময় পর খুলে দেবে কিন্তু আহারে এবার কি হবে।
ওভাবে মেঘকে দেখে আমানের বুকের ভেতর কেমন ভয় হচ্ছে তার সাথে তিব্র ব্যাথা।
আমান দৌড়ে মেঘকে খুলে দেয়৷ আর মেঘ আমানের বুকে ঢুলে পড়ে৷
এটা দেখে আমান বেশি ভয় পেয়ে যায়৷ দ্রুত ওকে খাটে শুইয়ে মুখের টেপটা খুলে দেয়।
মেয়েটার হাত কেটে গেছে। রক্ত জমাট হয়ে গেছে। হাত পা কেমন ঠান্ডা। রাতের এসি তে আমান নিজে কম্বল এর তলে ছিলো সেখানে মেঘ দাড়িয়ে কাটিয়েছে।
মুখটা শুকিয়ে গেছে।
আমান মেঘকে কম্বলের তলে নিয়ে যায়।
কিছু সময় হাত পা ম্যাসাজ করতে করতে সাভাবিক তাপমাত্রা পায় শরীর।
আমানের দেহে জান ফিরেছে।
কিন্তু এটা মটেও খুশির সংবাদ ছিলো না।
তার পরি মেঘের হাড় কাপানো জ্বর আসে।
সে অচেতন হয়ে আছে এখনো।
এবার আমান গিয়ে ডক্টর কে ফোন করে৷
ডক্টর সাথে আমানের বাবা ভাইরাও আসে।
–মি.আমান। ওনার হাতে এ দাগ কিসের৷ মনে হচ্ছে কেউ দরি দিয়ে বেধে রেখেছিলো৷
আর অতিরিক্ত শীতের মধ্যে থাকায় ওনার এতে জ্বর আসছে।
কিছু ঔষধ খাইয়ে দিবেন আর গরম সুপ খাওয়াবেন আসা করি ঠিক হয়ে যাবে।
–ধন্যবাদ ডক্টর।
আরিফ ওনাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেও।
(আমনের বাবা)
–জী ববা।
ডক্টর কে নিয়ে ওরা দু’ভাই বেরিয়ে যায়।
–আমান।
–জী বাবা৷
–এখানে কি কিছুর অভাব আছে।
–কেন বাবা৷
–না মানে বৌমা ঠান্ডায় জ্বর বাধালো ব্যাপার টা কেমন একটা শোনায় না৷
–আসলে।
–এতে আসলে দিয়ে কাজ নাই৷ ও সম্রাটের মেয়ে সেটা আমি জানতে পেরেছি৷
–বাবা৷
–চুপ কর৷
ওর কোন ক্ষতি যেন না হয় আমান আমি তোমাকে সাবধান করে দিলাম।
–বাবা ওর জন্য ৫ বছর
–ওর জন্য কিছু হয় নি এট আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি। ওর বাবা দশি ও তখন মাত্র ১০ বছরের শিশু৷ তুই কি করে ওর উপর ব্লেম দিতে পারিস৷
–কিন্তু বাবা৷
–আর কোন কথা নয়৷ নিচে গিয়ে সুপ নিয়ে খাইয়ে ওকে সুস্থ কর।
বলেই আবির খান রুম ত্যাগ করেন,
চলবে,