#অবাদ্ধ_যন্ত্রণা
#তুই_আমার_প্রতিশোধের_মোহর
#Megh_La
#Part_06
(কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। গল্পে নিজের মনের মতো ভাষার ব্যাবহার না পেলে প্রমের দৃশ্য ফুটে ওঠে এমন মনে হলে গল্পটা ইগনোর করবেন। ধন্যবাদ)
৭ টা দেশ মহারাজ্য, ১,০০,০০০ ভরি সোনার কোসাগার ১৫ বিঘা পতিত জমি এর অধিকারি রাজা আবির খান তার সম্পত্তির অর্ধেক অংশ দিয়ে সম্রাট খানের এক মাত্র কন্যাকে তার বড়ো ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হলো।
–জী আমি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হলাম। (আবির খান)
–জী আমিও (সম্রাট খান)।
–তাহলে দেশে উৎসবের প্রস্তুতি করা যাক।
–জী অবশ্যই।
সম্রাট খানের এক ছিলো মেহমেত খানের বাঁচানো ১০ টি দেশের জমিদার কিন্তু তার বেবুদ্ধির কারনে সে তার জমিদারি হারায়৷
আর মাত্র একটি দেশ নিয়ে শাসন থাকে৷
ঠিক এমন সময়, আবির খান তখন প্রভাব সালি জমিদার তার বড়ো ছেলোর সাথে বিবাহের প্রস্তাব পায়।
সম্রাট খান আর না করে না।
আবির খান তার ছেলের জন্য এটা করেন কারন তার ছেলে মেঘকে দেখে এক প্রকার যোর দেয় বাবাকে৷
তার মেঘকে খুব পছন্দ হয়।
–আপনি আমার এই অবস্থায় আমার মেয়েকে আপনার ছেলের সাথে বিয়ের কথা বললেন এতে আমি কি বলে,
–না না না সম্রাট না আপনি আমাকে ধন্যবাদ দিবেন না৷ এখন আপনার অবস্থা ভালো না তো কি হইছে বৌমাকে যা দিবো সব নিজের করে রাখবেন। আমাদের বৌকে আমরা নিজেরা আলাদা দিবো।
–কি বলবো আপনাকে আপনি মহান৷
–অবশ্যই না আপনি বেয়াই মানুষ৷
আর একটা কথা মেঘের বয়স মাত্র ১০ আমানের ১৮ এখন ওদের বিয়েটা দেওয়া ঠিক হবে না । প্রপ্তবয়স্ক হোক তার পর দিন দেখে বিয়ে হবে। এখন কলমা টা হয়ে থাক।
–জী জী ঠিক আছে। তাহলে আমি কালই ব্যাবস্থা করি৷
–জী৷
আবির খান ভেবেছিলো সব সহজ। সম্রট হয়তো সত্যি সৎ লোক কিন্তু এই বিয়ে ছিলো তার করা একটা বড়ো চাল।
একটি বড়ো ষড়যন্ত্র সাজায় সম্রাট।
পরের দিন,
কলমার কাজ শুরু হইছে এমন সময় সম্রাট দলিলে সাইন করতে বলে সেই অর্ধেক সম্পত্তির অধিকারি হবার জন্য।
আবির খান সহজ মনে সাইন করে দেবার পর সম্রাট অট্ট হাসিতে মেতে ওঠে।
কারন দলিলটা ছিল আবির খানের সমস্ত সম্পত্তির মালিকানার
এভাবে ছল করে আবির খানের সম্পত্তি কেড়ে নেয় সম্রাট৷
বর্তমান,
–তার পর বাবা।
— তার পর আমাকে সহ আমার ৩ ছেলেকে ৫ বছর বন্দি দশায় রাখে তোমার বাবা।
আমরা ১ বছর আগে ছাড়া পেয়ে এসব করেছি। আমার আমান আমাকে সাহায্য করেছে।
–বাবা আমি মানছি ববা অন্যায় করেছে কিন্তু আমি কি করেছি।
–তুই কিছু করিস নাই সোনা মা৷ কিন্তু ওই দিন আমাদের যখন বন্দি দশা করা হচ্ছিল তখন তোকে আমার আমান অনেক ডেকেছিলো তুই সারা দিশ নাই। সেদিনের পর থেকে আমানের মনের মাঝে কোথাও ঘেথে গেছে যে তুই দোষি।
তুই পারবি না ভালোবাসা দিয়ে ওর ভুল ভাঙতে।
–চেষ্টা করবো বাবা আজ পর্যন্ত ওকে ভুল বুঝেছি কিন্তু সত্যি ওর জায়গায় আমি থাকলে হয় তো৷
যাক আমি এখন আসি আপনি রেস্ট নিন।
আমি চলে এলাম।
আমানের ভুল ভাঙাতে হবে ওকে বুঝাতে হবে৷ কিন্তু কি করে।
বুদ্ধি,
রাত ১২ টা আমান বাসায় ফিরেছে৷ ক্লান্ত অনেক।
রুমে এসে দরজা খুলে এক দফা অবাক সে
।
সারা রুম গোলাপ দিয়ে সাজানো আর মোমবাতি দিয়ে৷
কে করলো এগুলা৷
আমান দরজা দিয়ে সামনে আসতে দেখে লাল টুকটুকে সারি পরে পরির মতো সেজেছে মেঘ।
মায়াপরিকে আজ চেনা দায়।
–অবাক হলেন মি.খান৷
–……
–আমাকে কেমন লাগছে?
–(আমান শুধু মেঘকে দেখে চলেছে)
–ওই।
–হু৷ (হুসে ফিরে)
–কি হলো বলেন৷
–ভালো না। এসব কেন করেছো? আবার কি চাও? কি করতে চলেছো?কি চাল চালছো?
–বাবা আজ আমাকে সব টা বলেছে। আমি সত্যি বলছি আমার কোন উদেশ্য নাই৷ আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি আমার বাবার কৃতকর্মের জন্য। প্লিজ চলো আমরা সাধারণ জীবন শুরু করি৷
–চাইলেও সম্ভব না।
–কেন।
–দ্বিতীয় বারের মতো ধোকা খেতে চায় না৷
–আমান🥺
আমি সত্যি বলছি।
–তোমার বাবাও সত্যি বলেছিলো।
–কবে বুঝবে আমাকে।
— বুঝার মতো পরিস্থিতি নাই৷
এসব তুমি আমার শাস্তি থেকে বাঁচতে করছো
–ওকে ফাইন মারা গেলে বুঝো।
বলেই ও রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। কাঁদতে কাঁদতে ছাঁদে চলে আসি।
আমান ওখানে বসে পড়ে কাঁদছে,
ভেতরে হাজার রকম কষ্ট চাপায় রেখে আজ তার মেঘকে ফেরত দিলো সে৷ কিন্তু চাইলেও সে সব ভুলতে পারছে না৷ মেঘের বলা শেষ কথাটা বিধছে তার মনে৷
–নাহ ভাঙলে চলবে না এটা হয়তো ওর একটা নতুন চাল৷ ওর বাবা যেমন চেলেছিলো৷ ওর জন্য গুছিয়ে রাখা সব শাস্তি ওকে পেতে হবে।
কারন #তুই_আমার_প্রতিশোধের_মোহর।
ছাদে,
–কেন বুঝলো না কেন আমার কি সত্যি অনেক দোষি। না ও চায় আমি শাস্তি পাই৷ ঠিক আছে সব শাস্তি মেনে নিবো আর কোন কথা বলবো না আমি৷ ও যা চায় আজ থেকে তাই হবে।
সত্যি বলছি আমি জীবন দিয়ে ওর বিশ্বাস নিয়ে আসবো
তার দেওয়া #অবাদ্ধ_যন্ত্রণা আমি শিকার করলাম৷
দুই প্রান্তে দুটো ভালোবাসার মানুষ। একজনের মধ্যে প্রতিশোধের আগুন অন্য জনের মধ্যে নেভানোর প্রচেষ্টা।
দেখার পালা এটা আসলে কে জিতবে।
সকালে,
সূর্যের আলো চোখে পড়তে মেঘ চোখ খুলে কাল রাতে এখানেই ঘুমিয়ে গেছিলো।
উঠতে গিয়ে বুঝতে পারে সে কিছুর সাথে বাঁধা।
ভালো করে চোখ খুলে দেখে হাত পা চেয়ারের সাথে বাধা মুখে টেপ দেওয়া৷
সামনপ তাকিয়ে দেখে আমান৷ পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
–কাল আমাকে সারপ্রাইজ দিছিলা এটা তোমার সারপ্রাইজ।
কেমন লাগলো সুইটু।
আমি ওনার কথায় মুচকি হাসার চেষ্টা করলাম৷
–ওহ ফিলিংস টা তো শুনতে হয় মুখটা একটু খুলি৷
বলেই আমার মুখের টেপটা খুলে দিলো৷
–বলো৷
–নিজের ইচ্ছে মতো যত সময় রগ না পরে শাস্তি দেও কিঋু বলছি না। এই #অবাদ্ধ_যন্ত্রণা। শুধুই আমার ভয় নেই কেউ জানবে না।
–হা হা হা এই ভুলো ভুলো মুখ আমাকে গলাতে পারবে না এভাবে রোদে পুরো সারা দিন৷
বলেই আমার মুখে নতুন টেপ দিয়ে নিচে আলে গেল।
আমি ওভাবে বসে রইলাম৷
চোখে পানি বিন্দু মিলিয়ে যাচ্ছে ঘামের সাথে৷
বেলা ১২ টা
৫ ঘন্টা কড়া রোদে বসে আছি৷ ঘামে পুরো শরীর ভিজে আচ্ছন্ন।
অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি আমি চোখের সামনে খুব ঝাপসা দেখছি৷
আজ বাসায় কেউ নাই। কাল শুনেছিলাম বাবা ভাইরা বাইরে যাবে।
এভাবে হয় তো মরতে হবে আমাকে 🙂
চলবে,