#অবাদ্ধ_যন্ত্রণা
#তুই_আমার_প্রতিশোধের_মোহর।
#Megh_La
#Last_part
(কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। গল্পে নিজের মনের মাতো ভাষার ব্যাবহার না পেলে প্রেমের দৃশ্য ফুটে উঠছে এমন মনে হলে গল্পটা ইগনোর করবেন। ধন্যবাদ)
আমার খুব খেয়াল রাখে আমান৷
সব সময় পাশে পাশে থাকে৷
যেন আমি কোন বাচ্চা আর সে আমাকে সামলাচ্ছে।
আসলে আমি বাচ্চাদের মতো বিহেব করি মাঝে মাঝে৷ সেটা পরে বুঝতে পারি৷
–আমান৷
–বলো৷
–বাবাকে দেখতে চাই৷ প্লিজ৷
–মেঘ।
–প্লিজ সত দোষ করুক একটা বার মাফ করে দেখ না৷
–আচ্ছা আমি ওনাকে আনার ব্যাবস্থা করছি।
ওই যে আমান বেরোলে৷
দিন পেরিয়ে রাত হলো এখনো আসার নাম নাই৷
ধুর বাবা গেল কই৷
রাত ১০ টা৷
আমান এসেছে,
–আমান তুমি এসেছো জানো সেই সকাল থেকে অপেক্ষা করছি৷
–হুম জানি।
–কি হইছে।
–কিছু না৷
বলেই আমার চোখ বাঁধতে শুরু করলেন।
–কি করছো টা কি৷
–চপু থাকো শুধু দেখ।
আমান আমার চোখ বেঁধে আমাকে নিয়ে কোথায় একটা আসলেন৷
কিছু সময় পর বাধন খুলে দিলো৷
সামনে তাকিয়ে এটা দেখে আমি কেঁদে দিলাম৷
–বাবা৷
আমি বাবাকে জরিয়ে ধরি৷
হাউমাউ করে কাঁদতে থাকি৷
বাবার বুকে এক সুখ খুঁজে পাচ্ছি আমি৷
বাবাও কাঁদছেন।
–অনেক ভুল করেছিরে জীবনে সেই ভুলের শাস্তি আল্লাহ আমাকে এতে গুলো দিন তোর থেকে দুরে রেখে করলেন৷
–বাবা।
–আর কাঁদাবেন না বৌমার সমস্যা হবে বেয়াই (আবির খান)
–আমাকে ক্ষমা করে দিন আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি৷
–ক্ষমা চাইবেন না আমি আপনাকে অনেক আগেই ক্ষমা করে দিছি৷
আপনার জমিদারি আপনি আবার পাবেন৷
–জী আপনার জমিদারি সব ঠিক আছে শুধু আপনার অপেক্ষা করছে। (আমান)
–আমি এতে বড়ো অপরাধ করার পরো আপনারা আমাকে।
–নিজেকে আর অপরাধী বলবেন না৷
যা হয়েছে ভুলে যান নতুন জীবন শুরু করেন৷
মেঘ আজ অনেক খুশি সব কিছু আবার আগের মতো হয়ে যাচ্ছে৷
সবাই মিলে ঠিক করেছে।
সম্রাট খান মেঘের বাবুর মুখ দেখে তবে যাবে।
আজ সব কিছু আবার আগের মতো আনন্দময়।
এভাবে কাটতে থাকে দিন৷
দেখতে দেখতে সেই দিন চলে আসে ,
হসপিটালের অপারেশন থিয়েটারে পাশ দিয়ে পায়চারি করছে, আমান, সম্রাট খান, আবির খান৷
মেঘ ভেতরে৷
হটাৎ করে সে স্লিপ করেছে আজ।
প্রচুর ব্লাড গেছে ডক্টর বলেছে তাকে বাঁচানো হয়তো সম্ভব হবে না।
সবাই আল্লাহ তায়লা কে সরন করছে৷
সবার মুখে ভয় স্পষ্ট।
কেউ জানে না আজ কি তবে শেষ দিন মেঘের।
কিছু সময় পর ডক্টর বাইরে এলেন,
–ডক্টর আমার স্ত্রী। বাচ্চা?
–মি.খান আপনার একটা কন্যা সন্তান হয়েছে।
–আমার স্ত্রী৷
–আম ছরি মি.খান সি ইজ নো মোর৷ প্রচুর ব্লাড গেছিলো তার উপর ওনার পেশার লো ছিলো৷
এই কথা টা যেন শোনার ছিলো না এটা যেন হবার ছিলো না আমান এতো বড়ো ধাক্কা খেতে পারছে না ওর পুরো দুনিয়া ঘুরছে।
–বাবা এটা কি করে পসিবল আমার মেঘকে আমাকে দিতে বলো৷
আমান পুরো পাগলের মতো ব্যাবহার করছে।
আবির খান আমানকে বোঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।
সম্রাট খান ভেঙে গেছে৷ আজ তার জীবনের সব থেকে ভালোবাসার মানুষ টা আর নেই৷
আমান পাগল হয়ে যাচ্ছে কোথাও না কোথাও মেঘের বলা সেদিনের কথাটা কানে বাজছে,
–আমি মরে গেলে বুঝবে আমাকে৷ আমি কিছু করি নি৷
সব তো ঠিক ছিলো হটাৎ এক দমকা হাওয়া সব নরবর হয়ে গেল। কেন হলো এমন সত্যি যানা নেই।
তবে মেঘের জীবনের #অবাদ্ধ_যন্ত্রণা টা সত্যি।
আর আমান না চাইতেও মেঘকে তার #প্রতিশোধের_মোহর বানিয়ে দিলো৷
আজ সম্রাট খান ১০ বছর আগে আমানের অবস্থানে দাঁড়িয়ে৷
কিন্তু আমান সে আর এক দফা নিজের সব থেকে আপন মানুষ টাকে হারালো৷
।
।
।
।
আমান ডাইরির অন্য পাতাটা উল্টে দেখে আর লেখা নাই।
–এর পর কি হলো।
এই পর্যন্ত পরেই আমান দৌড়ে মেঘকে জড়িয়ে ধরে৷
–কি হলো এতো সময় ঝগড়া করে এখন আসছো কেন৷
–ছরি জান আর তোকে কষ্ট দিবো না৷ তুই আমাকে ছেড়ে যাবি না বল৷
–কি হলো হটাৎ করে তোমার
–কিছু না শুধু বল জাবি না৷
–না জাবো না পাগল৷
আমান মেঘের থেকে ডাইরির কথাটা চেপে গেল।
আসলে পুরন বই এর দোকান থেকে আমান একটা ডাইরি কিনে।
সেটাকে অনেক দিন যবত কাছে রেখেছে।
আজ তর স্ত্রী মেঘের সাথে একটু ঝগড়া হইছে তাই বারান্দায় বসে ওটা পরতে শুরু করে৷
তার কৌতুহল লাগে করন ওর আর ওর স্ত্রী এর নামে লিখা৷
শেষ পর্যন্ত পড়ে নিজেই কেঁদে দেয়৷
আসলে গল্পটাই কিছুটা এমন যে কেউ কাঁদতে বাদ্ধ হবে।
সেদিনের পর থেকে আমান আর কখনো মেঘের সাথে ঝামেলা করে নি।
ভালোবাসা বিশ্বাসে টিকে৷ ঝামেলাতে নয়।
____________💜 সমাপ্তি 💜___________
(কেমন হলো গল্পটা অবশ্যই বলবেন। এক দম ভিন্ন ধর্মি ট্রাই করেছিলাম৷ )
Golpota khub valo lagse