তুমি আমার প্রেমবতী পর্ব -অন্তিম

#তুমি_আমার_প্রেমবতী
#অন্তিম_পর্ব
#সানজিদা_খানম_স্বর্ণা

৩৫.
একটা কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কবর জিয়ারত করছে অভি।পাশে দাঁড়িয়ে আছে একটা বছর পাঁচেক বয়সের ছেলে।

‘আব্বু তুমি প্রতি শুক্রবারে নামাজ শেষ করে এখানে কেন আসো?এটা কার কবর আব্বু?’

অভি জিয়ারত শেষ করে ছেলেটির দিকে তাকায়। কপালে চুম্বন করে বলে,’অর্নব, এটা তোমার বাবার খুব প্রিয় একজন মানুষের কবর।এটা আমার প্রেমবতীর কবর।’

পুনশ্চঃ

প্রেমা কোনো কথা না বলে হাত ছাড়িয়ে নেয় অভির থেকে।শান্ত গলায় বলে,’ আপনি চলে যান এখান থেকে। কেউ দেখে ফেললে বিপদ হবে।তাছাড়া আমাকে নিয়ে আপনি এইসব চিন্তা মাথায়ও আনবেন না।আমি কোথায় আর আপনি কোথায়?আমাদের মাঝে আকাশ পাতাল পার্থক্য। আমি কখনোর আমার স্থান ভুলে যাবো না।আমি রাস্তার সামান্য ফুলওয়ালী আর আপনি?আমাদের মাঝে কোনো সম্পর্ক হতে পারে না।তার থেকে ভালো হবে আপনি আপনার যোগ্য কাউকে জীবন সঙ্গী হিসাবে বেছে নিন।’

আর কোনো কথা বলে না অভি। আহত হৃদয় নিয়ে ফিরে আসে।এদিকে অভিকে বেরিয়ে যেতে অন্য কেউ না দেখলেও কুদ্দুস অভিকে দেখে ফেলে।

কুদ্দুস প্রেমাকে কিছু বলে না।সকালে ঘুম ভাঙার পরেই বাড়িতে আসার জন্য দ্রুত পা’ চালিয়ে হাঁটে আদিল। আদিলকে খুব কৌশলে আদিলকে ভুল বুঝিয়ে নিজের সাথে নিয়ে যায় কুদ্দুস।

‘আচ্ছা কুদ্দুস ভাই,তুমি আমাকে এই ভাঙা বাড়িতে কেন নিয়ে এলে?তুমি তো বললা,আপু আমাকে খুঁজতে বেরিয়েছে।আর সেখানেই নিয়ে যাচ্ছো।কিন্তু আপু আমাকে খুঁজতে এই ভাঙা বাড়িতে কেন আসতে যাবে।’

‘দরকার আছে আদিল।এতো কথা কেন বলিস?চুপচাপ আমার সাথে চল।তোর বোনের জন্য হলেও চুপ করে আমার সাথে চল।’

নানা কথা বলে বুলিয়ে আদিলকে একটা ভাঙা বাড়িতে নিয়ে আসে কুদ্দুস।আদিলের পানির পিপাসা পেলে একটা পানির বোতল দিয়ে বলে, ‘খেয়ে নে।’

পানি খাওয়ার পরেই আদিল ঘুমিয়ে পরে।কুদ্দুস বিশ্রী হাসে।প্রেমা আদিলকে না পেয়ে পাগলের মতো হন্যে হয়ে খুঁজে।

এদিকে অভি বাড়ি ফিরে দেখে সাক্ষরের বিয়ের তোড়জোড় খুব ভালোভাবেই চলছে।বাড়িতে এসে বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরে অভি।মনের হদন লুকিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করে।

৩৬.
বরযাত্রী নিয়ে স্নিগ্ধাদের বাড়ি যাবার জন্য গাড়ি রেডি করা হয়েছে।লেহেঙ্গা সামলে নিয়ে দ্রুত ছুটছে স্মৃতি। এমন সময় একটা লোকের সাথে ধাক্কা লেগে পরে যায় সে।ফুঁসে ওঠে স্মৃতি।

‘এই কে আপনি?চোখে কি দেখতে পান না নাকি?কি করলেন এটা?আমার সাজগোছ নষ্ট করে দিলেন! আমি এখন কি করে যাবো।’

চোখের কোণে একটু পানি আসে। যাই হোক ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা। সাজগোছ করার পরে এই রকম ভাবে সবটা ঘেটে যাবে ভাবতেই পারেনি স্মৃতি। তার এখন রাগ হচ্ছে প্রচুর।

স্মৃতিকে এই ভাবে মাটিতে পরে থাকতে হাত বাড়িয়ে দেয় তাওহিদ।

‘হাত ধরে ওঠে আসুন।আমাকে শুধু শুধু দোষ দিচ্ছেন কেন?আপনি নিজে একটু দেখে চলতে পারেন না।এমন পঙ্গপালের মতো উড়ছেন কেন?’

স্মৃতি একা একা ওঠে দিগুণ রেগে গিয়ে বলে,’আপনাদের মতো ছেলেরা মেয়ে দেখলেই গায়ে পড়তে চান।আবার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সাহায্য করে হিরো সাজতে চাইছেন?নিজের দোষ স্বীকার না করে উল্টো আমাকেই কথা শুনাচ্ছেন?’

এমন সময় পড়শী এসে বলে,’কি হয়েছে তাওহিদ?কি কথা বলছিস?’

‘আরে দেখনা,এই মেডাম দৌড়াতে গিয়ে আমার সাথে ধাক্কা লেগে পরে গেছে এতে নাকি আমার দোষ!’

‘তুই কি এখানে ঝগড়া করতে এসেছিস?এই সব ছাড়।দেখি এইটাই তো সাক্ষরের ঠিকানা।কিন্তু এই বাড়ি দেখে তো মনে হচ্ছে এখানে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে।সাক্ষরলে কোথায় পাবো এখন?’

তাদের পুরো কথা শুনে স্মৃতি। বুঝতে পারে ওরা সাক্ষরের খুঁজে এখানে এসেছে।

‘আপনারা কাকে খুঁজছেন?’

‘আরে আমাদের এক ফেন্ড, নাম সাক্ষর।এটা নাকি তার বাসা। কিন্তু ওকে এখন কোথায় পাবো?মনে তো হচ্ছে এই বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান।আচ্ছা এখানে কিসের অনুষ্ঠান হচ্ছে?'(তাওহিদ)

‘এটা তো সাক্ষর ভাইয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান।আর সাক্ষর ভাইয়া কিছুক্ষন আগেই বিয়ে করতে গেছে।ভাইয়া যেই গাড়িতে গেছে আমিও যাচ্ছিলাম সেই গাড়িতেই।মাঝ খান থেকে আপনি তো নষ্ট করে দিলেন সবটা।’

সাক্ষরের বিয়ের কথা শুনে মানতে পারে না পড়শী।কথাটা বার বার কানে বাজতে থাকে।মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে পড়শী।শব্দ করে কাঁদে পড়শী।বিরবির করে বলে,’সব আমার দোষ। আমার কারণেই আজকে আমি সাক্ষরকে হারালাম।’ পড়শীর এই কান্নার মানে বুঝে না স্মৃতি। তাওহিদ নিজেও একটা ধাক্কা খায় সাক্ষরের বিয়ের কথা শুনে।নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলে,’আমাদের নিয়ে যাবে।সাক্ষরের বিয়েতে।যেখানে সাক্ষর বিয়ে করতে গেছে সেই বাড়িতে।স্মৃতি সম্মতি জানায়।অভি আর সাক্ষর একসাথেই বিয়ে বাড়িতে গেছে।স্মৃতি,তাওহিদ আর পড়শী তিনজন মিলে একসাথে বিয়ে বাড়িতে যায়।পথিমধ্যে সবটা তাওহিদ স্মৃতিকে বলেছে।

৩৭.
আদিলকে আটকে রেখে প্রেমাকে খবর পাঠায় কুদ্দুস।প্রেমা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে কুদ্দুসের আস্তানায়। কুদ্দুস হাসতে হাসতে বলে,’কি প্রেমা অনেক তো দাম দেখিয়েছিলি।আমাকে থাপ্পড় দিয়েছিলি।অনেক অহংকার তোর তাই না।আজ সব অহংকার ভেঙে দেব তোর।’

প্রেমা কুদ্দুসের চালবাজি বুঝতে পারে কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।আদিলের গলায় ছূ*রি ধরে আছে একজন।কুদ্দুস আবার বলে,’আজকে হয় আমাকে বিয়ে করবি নয়তো তোর ভাইকে আমি শেষ করে দেব।’

প্রেমা কাঁদতে কাঁদতে হাত জোর করে বলে,’কুদ্দুস ভাই আমার ভাই তোমার কি ক্ষতি করেছে!দয়া করে তুমি আদিলকে ছেড়ে দাও।তোমাকে আমি থাপ্পড় দিয়েছিলাম তুমি আমাকে মেরে ফেলো।আমার সাথে যা খুশি করো আমার ভাইকে কিছু করো না কুদ্দুস ভাই।তোমার দুই পায়ে ধরে আমার ভাইটাকে ছেড়ে দাও।’

প্রেমার কান্নাতে কুদ্দুসের মন গলে না। উল্টো আরো বিরক্ত হয় কুদ্দুস।

‘এই কথা কম বল,আগে আমাকে বিয়ে করবি কিনা সেটা বল?’

‘হুম তোমাকে বিয়ে করবো।তার আগে আমার ভাইটাকে ছেড়ে দাও। ‘

কুদ্দুস বিশ্রী গালি দিয়ে বলে,’চুপ কর। এই যা কাজী সাহেবকে ভেতরে নিয়ে আয়।’

কাজী সাহেব প্রাণের ভয়ে বিয়ে পড়ানো আরাম্ভ করে।এর মাঝেই ঘুম ভাঙে আদিলের।ঘুম ভাঙতেই নিজেকে আবিষ্কার করে বাধা অবস্থায়। তত শক্ত করে বাঁধা হয়নি।আদিল সহজেই বাঁধন খুলে ফেলে।ঘর থেকে বের হবার সাথে সাথেই চোখে পড়ে পাশের রুমে প্রেমার দিকে।প্রেমা কবুল বলার আগেই আদিল এসে বলে,’আপু কি করছিস তুই?কুদ্দুস ভাইকে কেন বিয়ে করছিস?’

আদিলকে দেখেই পাগলের মতো এসে জড়িয়ে ধরে প্রেমা।ভাই ভাই বলে চুমু খায় কপালে।ততক্ষণে কুদ্দুস উঠে টেনে আদিলের থেকে প্রেমাকে ছাড়িয়ে নেয়।আদিলের গলায় একজন এগিয়ে এসে ছু*রি ধরে।আদিল ছটফট করপ্তে থাকলে কুদ্দুস ছু*রি আদিলের পেটে ডুকিয়ে দিতে নেয়।প্রেমা ছূটে এসে আদিলকে ধাক্কা দিয়ে সামনে দাঁড়ায়।ছু*রির আঘাতটা প্রেমার হার্টে লাগে।সাথে সাথে মাটিতে পরে যায় প্রেমা।

প্রেমার এই অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায় কুদ্দুস। সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে সেখানেই মারা যায় প্রেমা।আদিল কাঁদতে পারে না।তাকিয়ে শুধু দেখে।
কাজী সেখান থেকে পালিয়ে যাবে এমন সময় আদিল তাকে বলে,’আপনার ফোনটা একটু দেবেন। ‘
কাজী ফোন এগিয়ে দেয় আদিলের দিকে। ফোন নিয়েই অভির নাম্বারে কল দিতে থাকে আদিল।

৩৮.
ফোন সাইলেন্ট রেখে সাক্ষরের বিয়ের নানান কাজে সাহায্য করছে অভি।অনেকে অবশ্য নানান কটু কথা বলছে তাকে।বড় ভাই হয়ে বিয়ে না করে ছোট ভাইয়ের বিয়েতে কেমন নির্লজ্জের মতো দিব্যি ঘুরে বেরাচ্ছে দেখো।অভি অবশ্য এই সব কথায় কর্ণপাত করে না।

কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করেছে।সাক্ষর কবুল বলবে তার আগেই,সেখানে উপস্থিত হয় স্মৃতি, তাওহিদ আর পড়শী।

‘দাঁড়া ভাইয়া!এই বিয়ে তুই করবি না।যেই বিয়ে মন থেকে করা যায় না সেই বিয়ে করে তুই কি করে সুখী হবি?’
মোজাম্মেল সাহেব মেয়ের কান্ড দেখে অবাক হয়ে গেছে।এগিয়ে এসে ধমক দিয়ে বলে,’স্মৃতি মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোমার?কি বলছো কি তুমি এই সব।সাক্ষর বিয়ে করবে না মানে?’

স্মৃতি পড়শীর হাত ধরে সামনে এনে বলে,’বাবা তুমি নিজের ছেলেকে বিয়েতে রাজি করাতে পারো নি। সাক্ষর ভাইয়াকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছো।এটা কতটা সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ।সাক্ষর ভাইয়াকে একবারও কি জিজ্ঞেস করেছো।ভাইয়া কি চায়?ভাইয়া কি মন থেকে এই বিয়েতে রাজি কি না!অভি ভাইয়াকে তার মতের জোর করে বিয়ে দিতে পারো নি।কিন্তু সাক্ষর ভাইয়ার ক্ষেত্রে এটা কেন হয় নি?সাক্ষর ভাইয়া তোমার নিজের ছেলে নয় বলে যা খুশি তার সাথে তাই করা যায়! ‘(স্মৃতি)

‘কি বলছিস কি এই সব স্মৃতি? সাক্ষর আব্বুর ছেলে নয় মানে কি?'(অভি)

‘হ্যাঁ জিজ্ঞেস কর আব্বুকে। সাক্ষর ভাইয়া আমাদের নিজের ভাই নয়।আর এই জন্যই আব্বু ভাইয়ার সাথে অন্যায় করেতে পারে।কিন্তু নিজের সন্তান হলে করতে পারতো না।’

মোজাম্মেল সাহেব নিশ্চুপ। শাহানাজ বেগম নিজেও চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখছে।

স্মৃতি আবার বলে,’ আজ যদি সাক্ষর ভাইয়া কাউকে বিয়ে করে তাহলে তার ভালোবাসার মানুষ পড়শী আপুকেই করবে।নয়তো ভাইয়া বিয়ে করবে না।’

সাক্ষর কথাগুলো শুনে অবাকের চরম পর্যায়ে চলে গেছে।সে স্মৃতি আর অভির নিজের ভাই নয়।কিছু বলে না সাক্ষর। সেও তাকিয়ে আছে পড়শীর দিকে।
এবার পড়শীর বাবা এসে বলে আমি আমার মেয়েকে এই খানে বিয়ে দিতেই চাইনি।এর পরেও বার বার বলেছি,আপনার ছেলে এই বিয়েতে রাজি আছে কিনা?আপনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।কিন্তু বার বার আমার মেয়ের সাথে এক অন্যায় আমি মেনে নেব না।আমার মেয়েকে বিয়ে করা ছাড়া এই বাড়ি থেকে এক পা’ বেরুতে পারবেন না।আমি পুলিশে খবর দেব।স্নিগ্ধা চুপ করে এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে।তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল সাক্ষরকে বিয়ে করে অভিদের বাড়ি গিয়ে অভির থেকে অপমানের প্রতিশোধ নেওয়া।নয়তো সাক্ষরকে বিয়ে করার তার মোটেও ইচ্ছে নেই।

অভি এগিয়ে এসে বলে,’ভাই এই বিয়ে তুই করবি?’

সাক্ষর পড়শীর দিকে তাকিয়ে থাকে।পড়শী নিজেও সাক্ষরের দিকে তাকিয়ে থাকে। অভি বুঝে যায় সাক্ষরের মনের কথা। সকালে প্রেমার থেকে আঘাত পেয়ে মনটা তার ভেঙে গেছে। সে চায় না সাক্ষর আঘাত তার মতো কষ্টে থাকুক।অভি নিজেই এগিয়ে গিয়ে বলে,’স্নিগ্ধার সাথে সাক্ষরের বিয়ে হবে না। সাক্ষর যাকে ভালোবাসে তার সাথেই সাক্ষরের বিয়ে হবে।আর আমি স্নিগ্ধাকে বিয়ে করব।’

স্নিগ্ধা কথাটা শুনে ভ্যাবাচেকা খায়।তবে সে না করে না বিয়ে করতে।অভর সাথে স্নিগ্ধা আর সাক্ষরের সাথে পড়শীর বিয়ে হয়।

৩৯.
অভি ফোন হাতে নিয়ে দেখে অনেকগুলো কল এসেছে একটা নাম্বার থেকে।পুনরায় অভি কল করলে কাজী লোকটা সব কথা খুলে বলে।ততক্ষণে প্রেমার লাশ পুলিশ নিয়ে গেছে।সমস্ত আইনি জটিলতা শেষ করে প্রেমার লাশ বাড়িতে আনা হয়।অভি ভেতর থেকে চরম ভাবে ভেঙে পরে।প্রেমার খুনীদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়ে শাস্তি দেয়।প্রেমার মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ অভি বাড়িতে যায় না।

স্নিগ্ধা অভির ঘরে এসে সব জিনিস দেখে। হুট করেই একটা ডাইরি চোখের সামনে এসে।স্নিগ্ধা ডাইরিটা নিয়ে পড়তে শুরু করে।পড়ার পরে বুঝতে পারে সুন্দরীদের অভি কেন ঘৃণা করে।সে তো অভির থেকে অপমানের বদলা নেবে বলেই বিয়ে করেছিল।ঘটনা জানার পরে অনুতপ্ত হয় স্নিগ্ধা।মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় অভির ধারণা ভেঙে দেবে সে।

অভিকে অনেক খোঁজার পরে বস্তির ছোট্ট ঘরে পাওয়া যায়।সেখানে আদিলও ছিল।অভিকে বাড়িতে নিয়ে আসতে চাইলে আদিলকে ও সাথে নিয়ে আসে অভি।

মানসিক ভাবে একদম এলোমেলো হয়ে যায় অভি।এর পরে অনেক ভালোবাসা আর বুঝানোর মাধ্যমে স্নিগ্ধা অভিকে মানসিক ভাবে সুস্থ করে তুলে। আদিলকেও স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়।বর্তমানে আদিল পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে আছে।বিয়ের প্রায় তিন বছর পরে স্নিগ্ধার সাথে স্বাভাবিক হয় অভির সম্পর্ক। তবুও মনের কোণে প্রেমার জায়গাটা কেউ নিতে পারেনি।প্রেমা আজও অভির প্রেমবতী।

(সমাপ্ত)

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here