#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:11💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
“ফুড়ফুড়ে বাতাস বইছে চারপাশে’!!চারদিকে রয়েছে ইয়া বড় বড় কিছু গাছপালা’!!এদের পাশ বেয়ে বয়ে চলেছে একটা নদী’!!নদীর কিনারার একপাশে একটা গাছের নিচে বসে আছে আকাশ আর মেঘলা’!!দুপুর বেলা তাই তেমন কেউ নেই বললেই চলে’!!চারিদিকের ফুড়ফুড়ে বাতাসে ক্লান্ত মাখা মুখ নিমিষেই চলে যাবে সবার’!!তেমনি মেঘলারও ক্লান্ত মাখা মুখ নিমিষেই চলে গেছে’!!আকাশ তো এই কাজটা করার জন্যই এখানে নিয়ে এসেছিল মেঘলাকে’!!
“মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে আকাশ মেঘলার দিকে সাদা সেলোয়ার-কামিজে অসম্ভব সুন্দর লাগছে মেঘলাকে’!!বাতাসে মেঘলার চুলগুলো উড়ছে ভীষণ এতে করে আরো বেশি সুন্দর লাগছে মেঘলাকে’!!আকাশ আনমনে তার হাত দিয়ে মেঘলার চুলগুলো কানের পাশে গুঁজে দিল’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে মেঘলা কিছুটা অবাক হলেও পরক্ষণেই মুচকি হাসল সে’!!!!প্রায় ১ ঘন্টা হয়ে গেছে তারা এখানে এসেছে’!!জায়গাটা এতটাই সুন্দর যে কখন যে সময় কেটে গেল বুঝতেই পারল না আকাশ আর মেঘলা’!!!
” হর্ঠাৎই আকাশ বলে উঠলঃ
——–“তাহলে এখন যাওয়া যাক’!!
——-“হুম চল’!!!
“তারপর দু’জনেই গাছের নিচে থেকে উঠে দাঁড়ালো তারপর দুজনেই দুজনের হাত ধরে চলতে লাগল’!!!
“তারপর গাড়ি করে চললো তারা’!!
“তারপর তারা একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেয়ে তারপর আকাশ মেঘলাকে ওর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে নিজেও চলে গেল তাদের বাড়িতে’!!
__________________________________________
★
“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি’!!ঘাড়ের দাগটা একদম লালচে হয়ে গেছে’!!” ভাঙা টেপ রেকর্ডার” এত জোরে কামড় দিল’!!ভাবতেও অবাক লাগছে কি করে পারল আমার মতো ভোলা-ভুলা নিষ্পাপ বাচ্চা মেয়েটার সাথে এমন করতে’!!শালা তোর কোনোদিন বিয়ে হবে না দেখিস’!!এমন সময় দরজা নক করল আপু’!!এক প্রকার ঘাবড়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি করে দাগটাকে ঢেকে ফেললাম তারপর নিজেকে স্বাভাবিক করে চললাম দরজা খুলতে’!
“দরজার খোলার সাথে সাথে আপু বলে উঠলঃ
——“এতক্ষণ দরজা আঁটকে কি করছিলি’!!
——-“কিছু করি নি তুমি আগে বল এত খুশি খুশি ভাব নিয়ে কোথা থেকে আসছো’!!
——-“কোথা থেকে আসছি মানে??অফিস থেকে’??(ঘাবড়ে)
——-“হুম না না রহস্য ময় গন্ধ পাচ্ছি’!!
——-“কচু পাচ্ছিস সর আমি ওয়াশরুমে যাবো’!!
“তারপর আর কি আপু আমাকে টপকে চলে গেল’!!আর আমিও কিছু না ভেবে বসে পরলাম বিছানায়’!!
__________________________________________
★
“রাত ৮ঃ০০টা…….
বিছানায় শুয়ে আছে রিতু’!!সারাদিনে শুধু একটা কথা মাথায় আসছে তার হর্ঠাৎ করে “ফাটা ডিসপ্লে” এমন কেন করল যার উওর এখনো মিললো না রিতুর’!!চোখ বন্ধ করলেই শুধু আরুশের দেওয়া স্পর্শগুলো অনুভব করে রিতু’!!কিন্তু কেন এমনটা তো আগে কখনো হয়নি তার’!!!প্রতিবারই প্রশ্নগুলো মাথায় এসে নাড়া দিচ্ছে রিতুর’!!এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল রিতুর’!!নাম্বারটা অচেনা লাগছে রিতুর কাছে ফোনটা তুলবে কি তুলবে না এটা ভাবতে ভাবতেই ফোন কেটে গেল’!!কিছুক্ষণ পর আবারো ফোনটা বাজল রিতুর’!!আর কিছু না ভেবেই ফোনটা তুলে বললো সেঃ
——-“হ্যালো কে???
——–“কেমন আছো “বিরিয়ানির প্যাকেট”!!!
——–“What বিরিয়ানির প্যাকেট কে বিরিয়ানির প্যাকেট’!!
——-“কেন তুমি”
——-” আপনি মনে হয় রং নাম্বারে ফোন দিছেন এই বলে ফোনটা কেটে দিল রিতু””
“কিছুক্ষন পর আবার ফোন বাজল রিতুর’!!একপ্রকার বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বললঃ
——-“ওই মিস্টার কানা হনুমান আপনি কি একবারের কথা বুঝতে পারছেন না আপনি রং নাম্বারে ফোন দিছেন’!!
” ওপর পাশের ব্যক্তিটি বলে উঠলঃ
——–“আরে কোনো রং নাম্বারে ফোন দেই নি’!!একদম ঠিক জায়গার ঠিক নাম্বারের ঠিক মানুষের কাছেই ফোন দিছি’!!এখন শোনো আজকে ভার্সিটিতে কলা পাতা রঙের শাড়িতে তোমাকে কিন্তু অনেক সুন্দর লেগেছে’!”
“এইবারের কথা শুনে রিতু অবাক হয়ে বলে উঠলঃ
——“মানে আপনি আমাদের ভার্সিটিতে পরেন’!!”
——-“সব কিছু জানার কি খুব দরকার আছে “মিস বিরিয়ানির প্যাকেট”!!!!আরেকটা অবাক করার কথা বলবো”!!
——–“কী”
———“আমি কিন্তু তোমাকে আর আরুশকে একসাথে একরুমে দেখেছি’!!তবে আরুশের করা কাজটা কিন্তু সত্যি অসাধারণ লাগছিল তোমাকে’!!!এখন বলো তোমরা দুজন একসাথে কী করছিলি’!!
“ছেলেটির কথা শুনে রিতু অনেকটাই ঘাবড়ে গিয়ে বললঃ
———“”কে আপনি”
——–“আমি কে তা না হয় পরে জানাবো এতটুকু বলে ফোনটা কেটে দিল ছেলেটি’!!এদিকে রিতু ঘাবড়ে গিয়ে কয়েকবার ঢক গিললো’!!তারপর ছেলেটির বলা কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমের দেশে পাড়ি দিল’!!!
.
.
.
.
“এদিকে অচেনা ছেলেটি ফোনটা কেটে মুচকি হেসে ঘুমিয়ে পরল’!!!
__________________________________________
★
“রাতের ফুড়ফুড়ে আলোতে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান’!!আকাশে থাকা চাঁদটার দিকে তাকিয়ে আছে আরিয়ান আর মুচকি হাসছে কারন চাঁদের হাসির মাঝে আরিয়ান যে তার প্রিয়সীর মুখ খুঁজে পাচ্ছে’!!আবারো হাসল আরিয়ান’!!এমন সময় রুমে ঢুকলো আকাশ’!!আরিয়ানকে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ধীরে ধীরে সেও সেদিকে পা বাড়ালো’!!
“আরিয়ানের কাছে এসে আকাশ বলে উঠলঃ
——-“কি হলো এখনো ঘুমাস নি আর উপরে তাকিয়ে কী দেখছিস’!!
——-“আমার প্রিয়সীকে”!!
———“মানে”
———“ইয়ে না মানে ওই আকাশের চাঁদটাকে দেখছিলাম’!!
——–“ওহ”
——–“হুম”
“তারপর দুই-ভাই মিলে কিছুক্ষন একসাথে গল্প করে তারপর দুজনেই একসাথে ঘুমের দেশে পাড়ি দিল’!!!
__________________________________________
★
“দেখতে দেখতে একসপ্তাহ কেটে গেল’!!এই একসপ্তাহে অনেকবার ঝগড়া হয়েছে আমার সাথে আরিয়ানের আর রিতুর সাথে আরুশের”!!! তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো রিতুর বলা অচেনা নাম্বার’!!ছেলেটি প্রায় রিতুকে ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করে কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিচয়টা দিল না কি অদ্ভুত’!!!
“আজকে থেকে আপুর বিয়ের সব কাজ শুরু হবে’!!আজকে বিকেলে আমরা সবাই মিলে যাবো আপুর বিয়ের শপিং করতে উফ ভাবতেই মজা লাগছে’!!আজকে বিকেলে আবার “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” আর “ফাটা ডিসপ্লে” আসবে’!!তার সাথে আঙ্কেল, আন্টি আর আাকশ ভাইয়াও’!!তাই আজকে আর ভার্সিটি যাবো না বাসায় থাকবো এমন ইচ্ছে নিয়ে এখনো বিছানায় ঘুমিয়ে আছি’!!এমন সময় রুমে প্রবেশ করল “মাই মাতাজী”!!!এসেই বলে উঠলেনঃ
——–“আজকে ভার্সিটি যাবি না’!!!
——-“না আজকে শপিং এ যাবো না’!!
——–“শপিং এ যাবি তো বিকেলে তবে এখন ভার্সিটিতে না যাওয়ার কি দরকার’!!
——–” এমনি যাবো না ভালো লাগছে না এই বলে কাঁথা মুরি দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম আমি’!!
“কিছুক্ষন পর……..
“আবার আপু এসে ডাকাডাকি শুরু করল’!!
“একরাশ বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে বলে উঠলামঃ
——-“উফ আপু এখন তুমিও ভাষন দিতে শুরু করো না’!!
——–“আরে ভাষন দিলাম কোথায় বলছি ঘুম থেকে উঠে চা’টা খেয়ে নে’!!
——–“ওহ এই ব্যাপার ওকে চা’টা রেখে যাও আমি খেয়ে নিবো পরে’!!এই বলে আবারো ঘুমিয়ে পরলাম’!!তারপর আর কি চা আর খাওয়া হলো না’!!!
.
.
.
.
দুপুর ৩ঃ০০টা____
সবাই তৈরি হচ্ছে শপিং যাওয়ার জন্য আর আমি বসে বসে তা দেখছি কারন আমার সাজা হয়ে গেছে আরো আধা ঘণ্টা আগে কিন্তু এখনো আপুর হলো না’!!এমন সময় ব্লাক চুড়িদার পড়ে রুমে ঢুকলো রিতু’!!কারন ও তো যাবে আমাদের সাথে’!!রিতু মুচকি হেসে বললঃ
——-“কি তুই তৈরি হয়ে গেছিস”
——-“তা তো কখনিই হয়ে গেছি এখন আপু আর আম্মুর হলেই চলবে…….
“বলতে বলতে দুজনেই তৈরি হয়ে আসল’!!তারপর আমরা চারজন মিলে চললাম শপিং করার উদ্দেশ্যে’!!আকাশ ভাইয়াও আসবে শপিং মলে’!!
“তারপর কি আমরা বসতেই ড্রাইভার কাক্কু গাড়ি চালাতে শুরু করলেন’!!!
__________________________________________
★
“শপিং মলে পৌঁছাতেই দেখতে পেলাম সবাই চলে এসেছে’!!তারপর সবাই মিলে চলে গেলাম শপিং মলে ভিতরে……….
!
!#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:12💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
“দেয়ালের সাথে চেপে ধরে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে “ভাঙা টেপ রেকর্ডার”!!আর ওনার এমন কাজে আমি পুরো অবাক হয়ে গেছি’!!হর্ঠাৎ করে কি হলো তার’!!
“কিছুক্ষন আগে….।
-“সবাই মিলে শপিং করছিলো’!!দেন সবাই হেঁসে হেঁসেই কথা বলে শপিং করছিল’!!এদের মধ্যে আমাদের “ঝাঁঝ বতী লবঙ্গ” আফামনি এক ছেলের সাথে অতিরিক্ত লেভেলের হেঁসে কথা বলছিলো’!!দু’জনেই খুব মজা করছিল আর হাসাহাসি করছিল’!!
.
.
.
.
“আর ওদিকে আমাদের “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” তা দেখে তেলে জলে আগুন হয়ে ফুলছিল”!!তারপর আর কি যেই না মীম একটা ড্রেস পরতে চেঞ্জিং রুমে যেতে নেয়’!!তার সাথে সাথে আরিয়ানও যায়’!!
“বর্তমানে…….
“একরাশ বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে আরিয়ানকে বললামঃ
——“আপনি এভাবে ধরে আছেন কেন??
——-“এত ছেলেদের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলার কি আছে”??
——“মানে”
——-“ছেলেদের সাথে গায়ে পরে কথা বলতে খুব ভালো লাগে তাই না???(রেগে)
——–“এসব কি বলছেন আপনি??
——–“কেন বুঝতে পারছো না??নাকি না বোঝার ভান করছো??
——–“বিশ্বাস করুন আমি সত্যি কিছু বুঝতে পারছি না’!!
“আমার কথা শুনে আরিয়ান স্ব-জোরে দেয়ালে একটা বারি মারে তারপর রাগ দেখিয়েই হন হন করে চলে গেল’!!
“এদিকে আমি হাবলা কান্তের মতো তাকিয়ে রইলাম কি হলো, কেন হলো কিছুই বুঝতে পারছি না “!!
“তারপর আর কিছু না ভেবেই যে কাজ করতে এসেছিলাম সেই কাজে মন দিলাম’!!
__________________________________________
★
“পুরো শপিং মলে ঘুরে ঘুরে কিছু জামা-কাপড় দেখছে রিতু’!!আর আমাদের “ফাটা ডিসপ্লে” তাকে জ্বালিয়ে মারছে’!!
“যেমন রিতু যখনি একটা ড্রেসে হাত দেয় তখনি আরুশ বলে উঠে’!
———-“পঁচা পান্তা ভাত ওটায় তোমাকে ভালো দেখাবে না ওই ড্রেসটায় শুধু আমার বউকেই ভালো লাগবে’!!
“আর রিতুও তা শুনে রেগে গিয়ে ওই ড্রেসটাই নেয়’!!
-এদিকে আরুশ শুধু হাসছে’!!রিতুকে জ্বালাতে খুবই ভালো লাগছে তার”!!
“হর্ঠাৎ রিতুর মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি আসল’!রিতু সামনে একটা মেয়েকে দেখে কিছু ড্রেস দেখছে সে’!!রিতু আস্তে গিয়ে মেয়েটির পাশে দাঁড়ায়’!!এমন সময় আরুশও গিয়ে পাশে দাঁড়ায়’!!রিতু একটা ড্রেস ধরতে নিলেই আরুশ বলে উঠলঃ
——“ওটা তো একদমই নিও না ওটা নিলে তোমায় একদন পেত্নীর মতো লাগবে’!!মনে হবে কোনো রাক্ষসী পড়েছে’!!
“এমন সময় সেই মেয়েটি চেচিয়ে বললঃ
——-“What…….কি সব আজেবাজে বলছেন আপনি???
“আরুশ পাশে তাকিয়ে রিতুর জায়গায় অন্য মেয়েকে দেখেই বলে উঠল’!!
——-“ওহ সরি আমি আসলে……
“আরুশ কিছু বলার আগেই মেয়েটি বলে উঠলঃ
——–“কোন মেয়েকে কোন ড্রেস এ ভালো লাগবে বাসায় বসে সেই চিন্তা ভাবনা করেন নাকি’!!ইডিয়েট বয়’!!এই বলে আরো কিছু কথা শুনিয়ে মেয়েটি চলে গেল’!!
“মেয়েটি যেতেই রিতু জামাকাপড়ের আড়াল থেকে বের হয়ে হাসতে লাগল’!!
“এদিকে আরুশ বুঝতে পেরেছে এই সবকিছু রিতুই করেছে’!!
“রিতু হাসতে হাসতে বলে উঠলঃ
——-“কি মিস্টার “ফাটা ডিসপ্লে” কেমন দিলাম একদম ঠিক হয়েছে আমি ভেবেছিলাম হয়তো মেয়েটা একটা থাপ্পড় দিবে কিন্তু ব্যাড লাক দিলো না’!!যাক ভালো হয়েছে ফাটা ডিসপ্লে’!!এই বলে হাসতে লাগল রিতু’!”
“আরুশ একটা রাগী লুক নিয়ে রিতুর দিকে আসতে লাগল’!!এদিকে রিতু আরুশের এমন কাজ দেখে ঘাবড়ে গিয়ে যেই না দৌড় দিতে নিবে সাথে সাথে আরুশ ধরে ফেললো রিতুকে’!!রিতুর হাত পিছনের দিকে ঘুরিয়ে ঝাপটে ধরে আরুশ বললঃ
——-“খুব মজা লাগছে তাই না আমাকে অপরিচিত একটা মেয়ের কাছ থেকে কথা শোনাতে……..
——–“হুম মজা লাগছে না আপনি যে এতক্ষণ যাবৎ আমাকে জ্বালাচ্ছিলেন’!!তার জন্য এতটুকু শাস্তি তো দিতেই পারি’!!
——-“ওহ তুমি আমায় শাস্তি দিবে’!!এখন যদি আমি একটা শাস্তি দেই তখন কি করবে??
——-“মা.. নে….”
——-“মানে এই বলে আরুশ রিতুর ঠোঁটের অনেকটায় কাছে চলে এসেছে’!!
“রিতু ঘাবড়ে গিয়ে বললোঃ
——–“দেখুন আপনি এতক্ষণ জ্বালিয়ে ছেন তার শোধ নিয়েছি আমি তাই শোধবোধ’!!
——-“ওহ শোধবোধ কিন্তু আমি যে এখন কিছু একটা করতে চাই’!!
“রিতু একটা শুকনো ঢোক গিলে বললোঃ
——-“কি করবেন”
“আরুশ রিতুর ঠোঁটের আরো কাছে চলে এসেছে হর্ঠাৎ আরুশ একটা অন্যরকম ঘায়েলে চলে গেছে’!!
“এদিকে রিতুরও আরুশের এতটা কাজে আসাতে অন্যরকম অনুভূতিতে চলে গেছে’!!দুজনেই একটা নেশা লাগানোর মুডে চলে গেছে আরুশ রিতুর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট দিতে যাবে এমন সময় আরুশের ফোনটা বেজে উঠল’!!সাথে সাথে আরুশ রিতুকে ছেড়ে দেয়’!!
“দুজনেই নিজেদের কাজে লজ্জা পেয়ে দুজনেই দু’দিক চলে যায়’!!
“আরুশ তার ফোনটা কানে তুলে বলেঃ
——–হুম বল’!!!
“ওপাশ থেকে আরিয়ান বলে উঠলঃ
———“কই তুই কখন থেকে খুঁজছি!!!
———“আসছি আমি”এই বলে আরুশ চলে যেতে লাগল’!!!
__________________________________________
★
“আজকের মতো সবাই সব শপিং করে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো এমন সময় আরুশ ভাইয়া বলে উঠলঃ
——–“আন্টিরা আপনারা তাহলে গাড়ি করে চলে যান আমরা ৬ জন কিছুক্ষন পরা আসছি’!!
“হর্ঠাৎ ওনার এমন কথা শুনে আমি আর রিতু অনেকটাই অবাক হলাম কিন্তু অবাক হলো না আপু আর আকাশ ভাইয়া সাথে আরিয়ান’!!
“আম্মু আর আঙ্কেল-আন্টি কিছুক্ষন ভেবে পারমিশন দিয়ে দিলেন’!!তারপর আর কি ওনারা সব শপিং নিয়ে চলে গেলেন বাসায় আর আমরা কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে চলে গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে’!!
“রেস্টুরেন্টে বসে আছি ছয় জন’!!ছয়জনই গোল হয়ে বসে আছি এমন সময় আরুশ ভাইয়া বলে উঠলেন’!!
——–“রিতু তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে এদিকে আসো’!!আরুশ ভাইয়ার এমন কথা শুনে আমি রিতু দুজনেই অবাক হলাম’!!এক প্রকার বাধ্য হয়েই রিতু উঠে চলে গেল আরুশ ভাইয়ার সাথে’!!
“আবার কিছুক্ষন পর আরিয়ান বলে উঠলঃ
——-“তোমার সাথে কথা আছে ওদিকে চলো’!!
“আরিয়ানের হর্ঠাৎ এমন কথা শুনে অবাক হলাম আমি’!!নিশ্চয়ই আবার কোনো বিষয় নিয়ে কথা শোনাবে তাই বললাম আমিঃ
——-“যাবো না আমি
——-“তোমাকে বলছি না কথা আছে তাড়াতাড়ি চল??
“কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এখন কোথাও যাবো না’!!!আরিয়ান হর্ঠাৎই আমার হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলেন আমি তো পুরো বোকা বনে গেলাম’!!!!
“এদিকে আমার আর আরিয়ানের এমন কাজ দেখে আপু সহ আকাশ ভাইয়াও হাসলেন’!!তারপর আকাশ ভাইয়া মেঘলার সামনে বসে ওয়েটারকে ডেকে খাবার অর্ডার করলেন’!!!
“আপু বলে উঠলঃ
——-“ওদের দুজনকে ইচ্ছে করেই আরিয়ান আর আরুশ নিয়ে গেল তাই না’!!!!
“বিনিময়ে আকাশ কিছু বললো না শুধু হাসলো’!!তারপর দুজন মিলে গল্প করতে শুরু করল’!!আর যাইহোক কাপলদের একটু আলাদা থাকাই উচিত তাই নয় কি???
__________________________________________
★
“রাস্তায় হাঁটছে পাশাপাশি আরুশ আর রিতু’!!!হর্ঠাৎই রিতু বলে উঠলঃ
———“ওহ তার মানে ওনাদের একা সময় কাটানোর জন্য আমাদের ওখান থেকে উঠানো হলো’!!
———“হুম আমি তোমাকে আর আরিয়ান তোমার বেস্টুকে’!!সেই যাই বল একদিক থেকে ভালোই হলো’!!!
——–“মানে……
———“কিছু না…….
“হর্ঠাৎই রিতু একটা ফুচকার দোকান দেখতে পেল’!!সাথে সাথে রিতু খুশি হয়ে বললঃ
——“ফাটা ডিসপ্লে চলেন???
——-“কোথায়
——-“ওই যে ফুচকার দোকান’!!
——–“কি”
——–“আরে দূর এই বলে রিতু আরুশের হাত ধরেই নিয়ে যেতে লাগল ফুচকার দোকানের সামনে’!!
“ফুচকাওয়ালাকে রিতু বললোঃ
——“দুই প্লেট ফুচকা দেন খুব করে ঝাল দিয়ে’!!!
“রিতুর এত খুশি হওয়া মুখ দেখে আরুশ পুরো অবাক’!!সামন্য ফুচকা দেখে এত খুঁশি কি করে হতে পারে’!!
“রিতু খুশি বললোঃ
——-“ফাটা ডিসপ্লে আপনারটায় খুব ঝাল দিবে’!!!
“আরুশও আনমনে বলে দিল
——-“হুম’!!
“তারপর আরকি রিতুর কথা মতো ফুচকাওয়ালাও দুই প্লেট ফুচকা প্রচুর ঝাল দিয়ে দিলেন’!!
“ফুচকা হাতে পেতেই রিতু খেতে শুরু করল’!!এদিকে আরুশ বেচার একটা খেয়েই অবস্থা খারাপ এত ঝাল’!!
“আরুশের চোখে পানি চলে আসছে তারপর খেয়ে চলেছে একের পর এক’!!
“এদিকে রিতু আরুশের অবস্থা দেখে হালকা হেসে বললঃ
——-“আপনাকে আর খেতে হবে না “ফাটা ডিসপ্লে”!!
“আরুশ রিতুর কথা শুনে রেখে দেয় ফুচকা”!! তারপর পানি খেয়ে চলে যায় একটা মিষ্টির দোকানে’!!কারন ফুচকায় এতটাই ঝাল ছিলো যে আরুশের চোখ পুরো লাল হয়ে গেছে’!!আরুশ অন্যকোনো মিষ্টির কথা ভেবে মুচকি হাসল’!!!
-“কিন্তু আরুশের এভাবে হাসার কারন টা বুঝতে পারলো না রিতু’!!
__________________________________________
★
“কোলে করে আরিয়ান হাটছে আমায় নিয়ে’!!ওনার এমন কাজে অবাক হলেও ভালো লাগছে ভিষণ’!!ভালোই হয়েছে জুতা টা ছিঁড়ে গেছে’!!!
“কিছুক্ষণ আগে আরিয়ানের সাথে কথা বলতে বলতেই হাঁটছিলাম আমি’!!আরিয়ানের তখন জোর করে আনার পিছনের কারন শুনে সত্যি নিজেকে বোকা মনে হচ্ছে আমার’!!সত্যি এতটুকু বিষয় মাথায় আসলো না’!!হর্ঠাৎই জুতোটা ছিঁড়ে যায় আমার!! তারপর আরকি কথা হলো জুতো ছাড়া হাঁটতে পারবো না’!!তাই এক প্রকার জোর করেই আরিয়ানের কোলে উঠিয়ে নিলেন আমায়!!!আরিয়ান কোলে নিতেই আমিও আরিয়ানের গলা জড়িয়ে ধরলাম’!!
–“আরিয়ান প্রথমে অবাক হলেও কিছু বললো না”!!
“হর্ঠাৎ বললাম আমিঃ
——–“আইসক্রিম খাবো চলেন’!!!
“আরিয়ানও কিছু না বলেই কোলে করে নিয়ে গেলেন আইসক্রিমের দোকানে’!!তারপর আমরা আইসক্রিম খেতে লাগলাম’!!
“এভাবেই চলে গেল প্রায় ১ঘন্টা’!!!
“এক ঘন্টা পর……
”হর্ঠাৎই আরিয়ানের ফোন বাজলো’!!তারপর আমায় আবার কোলে তুলে নিয়ে চলল আপুরা যে রেস্টুরেন্টে আছে সেই রেস্টুরেন্টে’!!!আমরা পৌছানোর আগেই আরুশ আর রিতুটারও চলে এসেছে’!!আমাদের এভাবে দেখে দুজনেই অবাক হলো’!!কিন্তু কিছু বললো না শুধু হাসলো’!!আরিয়ান আমায় নিচে নামিয়ে দিল’!!এমন সময় আপুরাও চলে এসেছে তারপর আরকি আমরা তিনজন গাড়িতে করে বাড়ি চলে যেতে লাগলাম’!!আর বাকি তিনজন অন্য গাড়িতে করে…………
“বাড়ি ফিরে বিছানায় গিয়েই ঘুম’!!!
__________________________________________
★
“আরেকটা সকাল তবে আজকের দিনটা কাটবে বাকি দিনগুলোর চেয়েও হয়তো আরো সুন্দর কারন আজকে আমাদের পুরো বাড়ি সাজানো হবে’!!এমন সময় রুমে ঢুকলো হাতে চায়ের কাপ নিয়ে আপু……………..
!
!
!
!
#চলবে……………
❤️[