#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:09💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
“মুখে পানি পরাতে এক প্রকার লাফ দিয়ে উঠলাম ঘুম থেকে…একপ্রকার রাগান্বিত হয়ে চোখ ডলতে ডলতে বললামঃ
——-“ওই কে রে সাতচুন্নি কোথাকার,সকালবেলা আমার মুখে পানি দিয়ে ঘুম থেকে উঠায়..’!!
“ওদিকে রিতু বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বললোঃ
——–“কখন থেকে ডাকছি তোকে খেয়াল আছে তোর ভার্সিটি যাবি না নাকি কটা বাজে খেয়াল আছে..’!!
“রিতুর কথা শুনে ঘড়ির দিকে তাকাতেই চোখ গোল গোল হয়ে গেছে ৯ঃ৩০ টা বেজে গেছে ও নো….
——-“সাতচুন্নি যখন পানি দিয়ে উঠাতে হলো তখন আরো আগে উঠাবি না এই বলে এক প্রকার লাফ দিয়ে উঠলাম তারপর ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে রিতুর দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছি’!!এতক্ষণ খেয়াল করি নি ময়দা সুন্দরী পুরো ময়দা মেখে এসেছে…”!!
“একপ্রকার চেচিয়ে বললামঃ
—–“উরে মামা তোকে দেখি হেব্বি সুন্দর লাগছে’!!
——“ভালো লাগছে প্রথম বার শাড়ি পড়ে ভার্সিটি যাচ্ছি..”!!
“রিতু কলা পাতা রঙের খুব সুন্দর একটা শাড়ি পরেছে, হাত ভর্তি চুরি, চোখে গাড়ো কাজল, আইলাইনার সহ ছোট্ট একটা টিপ,চুলগুলো খোঁপা করে পিছনে সাদা রঙের ফুল দিয়ে সাজিয়েছে মুখে ভাড়ি মেকাপ দিয়ে ফুলটু সুন্দর করে সেজেছে সে’!” রিতুর কথা ধ্যান ভাঙল আমার….”!!
——“কি হলো এইভাবে তাকিয়ে থাকবি নাকি তুই তৈরি হবি দেখ দেরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু…’!!
“রিতুর কথা শুনে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললামঃ
——-“নো টেনশন চিল বেবি চিল মাএ ১৫ মিনিট লাগবে…’!!এখন বল কি পরবো আমি..’!!
——-“কি পরবি মানে শাড়ি পরবি….
——“ওহ….আচ্ছা ওয়েট……
“তারপর আম্মাজানরে চেচিয়ে ডাকলাম……
—–“মা…..ও……মা…….
“আম্মাজানে দৌড়ে এসে বললঃ
——“কি হইছে…'”!!
——“তাড়াতাড়ি একটা শাড়ি বের করে দেও ভার্সিটি যেতে হবে…….
“তারপর আম্মাজানে আমার জন্য একটা কলাপাতা রঙের শাড়ি বের করে দিল রিতু আর আমার শাড়ির রঙ এক হলেও ডিজাইন ভিন্ন…’!!!
তারপর আরকি আম্মাজানে শাড়ি পরিয়ে দিল..”!!
——“আচ্ছা আম্মু আপু কই……
——“ও তো অফিসে চলে গেছে…..
——-“ওর জন্য তো দেরি হয়ে গেল ঘুম থেকে উঠতে…….
——“রিতুঃকেন কি করেছিস কাল রাতে…..
——“কি করেছি পুরো রুম শুধু দৌড়াদৌড়ি করেছি……
——“কেন????
—–“হুম বলবো পরে আগে তৈরি হয়ে চল তো……
“সুন্দর করে শাড়িটা পরে,চুল গুলো খুলে দিলাম,মুখে সামান্য মেকাপ, চোখে হালকা কাজল,এক হাতে কাচের চুরি,আরেক হাতে ঘড়ি…’!”দেন আমি তৈরি তারপর আম্মাজানকে বিদায় জানিয়ে চললাম আমরা…’!!!
.
.
.
.
-“রিকশায় করে চলছি আমি আর রিতু..’!!
“রিতু বলে উঠলঃ
—–“এখন বল কাল রাতে কী হয়েছিল??
“তারপর একটা হাসি দিয়ে ওকে সব বললাম আমি..’!!সব শুনে ওর হাসি থামছেই না…ওর সাথে আমিও হাসতে হাসতে চললাম ভার্সিটি..’!!
__________________________________________
★
“পুরো ভার্সিটি সাজাতে ব্যস্ত আছে আরুশ,আরিয়ানসহ আরো সিনিয়র আপু ভাইয়ারা…’!!!পুরো ভার্সিটি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে আজকে…’!!!আরুশ আর আরিয়ান অনেক ব্যস্ত..”!!!
.
.
.
” ভার্সিটিতে ঢুকতে পুরো হা হয়ে তাকিয়ে আছি’ আমি আর রিতু’!!কারন পুরো ভার্সিটি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!হাটি হাটি পা পা করে চললাম সামনে আমি আর রিতু’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল সামনে দেখলাম “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” কিছু মেয়েদের সাথে কথা বলতে বলতে কাজ করছে..”!!একটা মেয়ে তো পারে “ভাঙা টেপ রেকর্ডারের” গায়ের ভিতর ঢুকে যায়’!!মেয়েটাকে দেখেই বুঝে গেছি এ ক্রাশ খেয়ে গদো গদো কারন আজকে ”ভাঙা টেপ রেকর্ডার” কালো রঙের একটা শার্ট আর কালো জিন্স পরেছে,শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত ভোল্ট করে’!!চুল গুলো রোজ কারের মতো সাজানো’!!এক কথাই বলতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে..’!!হর্ঠাৎ বুঝতে পারলাম “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” এদিকেই আসছে….
——“ওরে বাবা কে জানে কি করে এমনিতে কালকে বলে ছিল তাড়াতাড়ি সর মীম এখান থেকে এই ভেবে পিছন ঘুরে আমি অবাক কারণ রিতু নেই পাশে গেল কই’!!তারপর আর কি ভাঙা টেপ রেকর্ডারের দিকে একবার তাকিয়ে তাড়াতাড়ি করে চললাম আমি রিতুকে খুঁজতে..’!!!
.
.
.
.
“এদিকে আরিয়ান মীমের এমন কাজে অবাক’!!কিছুই তো করলো না তাহলে এইভাবে পালালো কেন..”!!সে তো শুধু বলতে আসছিল শাড়িতে সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে..”!!এই মেয়েটা আসলেই একটা পাগল না না পাগলী..”!!এই ভেবে আবারো নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরল আরিয়ান..’!!
__________________________________________
★
“কিছু একটা খুঁজতে আরুশ একটা ক্লাস রুমে ঢুকলো’!!
“এদিকে আমাদের “পঁচা পান্তা ভাত” মানে রিতু তখন দেখেছে “ফাটা ডিসপ্লে” কিছু একটা করতে অন্য রুমে যাচ্ছে সেটা দেখে সেও পিছন পিছন চলে এসেছে কালকের ফাজলামি টার শোধ নিতে হবে না নাকি’!!!বাসা থেকে সব ঠিক করে এসেছেই রিতু’!!!
.
“অনেকক্ষণ যাবৎ কিছু একটা খুঁজছে আরুশ’!! কিন্তু পাচ্ছে না হর্ঠাৎ আরুশের মনে হলো কেউ তার মুখে কিছু একটা লাগিয়ে দিয়েছে’!!মুখে হাত দিতেই আঠা আঠা লাগছে তার কাছে..’!!!
“এদিকে রিতু আরুশের পুরো মুখে কাঁদা মেখে দিয়ে দিল দৌড় তাকে আর পায় কে’!!এদিকে আরুশ ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছে কি হলো কিছুই যেন বুঝতে পারছে না সে’!!এমন সময় রুমে ঢুকলো আরিয়ান’!!আরুশের অবস্থা দেখে হা করে হেঁসে দিল সে’!!!
“আরুশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বললোঃ
—–“দোস্ত হাসিস না আমার চোখে লেগে গেছে হেল্প কর”!!!!
“আরুশের কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে আরিয়ান আরুশকে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে পুরো মুখে পানি দিতে লাগল’!!!
“আরিয়ান হেঁসে বললোঃ
—–“কে করলো এমন পুরো মুখে কাঁদা দিয়ে চলে গেছে’!!!
——“আমি কি করে বলবো পিছন থেকে দিয়ে দৌড়ে চলে গেছে’!!!
——-“তবে আমার মনে হয় আমি বুঝতে পেরেছি কে দিয়েছে’!!!
“আরুশ তার মুখ পরিষ্কার করে জিজ্ঞেস করলঃ
—–“কে দিয়েছে……
——“কে আবার “পঁচা পান্তা ভাত” ওর হাতে কাঁদা দেখেছি আমি’!!
——-“ওহ তার মানে কালকের প্রতিশোধ নিয়েছে…..
—–“কিসের প্রতিশোধ…….
—–“তেমন কিছু না কালকে ওর মুখে কাঁদা দিয়েছিলাম তবে ইচ্ছে করে দেই নি তো……
—–“ওহহ……
__________________________________________
★
“সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই দেখলাম রিতু একপ্রকার দৌড়ে এদিকে আসছে…..
——-“কি হলো দৌড়াচ্ছিস কেন??
——“তেমন কিছু না কালকের শোক নিলাম….
—–“কিসের….
“তারপর রিতু কালকে থেকে এইমাএ ঘটে যাওয়া আরুশের সাথে সব বললো’!!সব শুনে হাসলাম আমি তারপর চলে আসলাম নিচের অনুষ্ঠানে”!!
.
“প্রায় দুই তিন ঘন্টা যাবৎ একেক স্যারেদের ভাষন শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে উঠে পরলাম আমি’!!রিতুকে বললাম তুই বস আমি একটু আসছি’!!এই বলে চলে আসলাম আমি’!!!
——“ধুর এই ভাবে বসে থাকা যায় নাকি বসে থাকার চেয়ে তো হাঁটা ভালো’!!
“একটার পর একটা রুম টপকে হাঁটছি আমি’!!এমন সময় হর্ঠাৎই একটা রুমের ভিতর থেকে কেউ হাত ধরে টান দিয়ে ভিতরে নিয়ে গেল’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে পুরো ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!!
—-“দেয়ালের সাথে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান ভয়ে চোখ মুখ দিয়ে ঘাম বেরিয়ে আসছে আমার’!!কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ
—–“আ আপনি এ এই ভাবে টা টান দিলেন কেন??
——“ওহ মিস “ঝাঁঝ বতী লবঙ্গ” ভুলে গেলে কালকের কথা’!!!
——-“কি করবেন আপনি…..(ঘাবড়ে গিয়ে)
——“কি করব এই বলে আরিয়ান আরো কাছে লাগল আমার’!!
“এদিকে আরিয়ান কাছে আসছে দেখে ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছি আমি’!!
__________________________________________
“বেশ কিছুক্ষন হয়েছে মীম গেছে এখনো না আসাতে রিতুও বসা থেকে উঠে খুজতে লাগল মীমকে’!!!হর্ঠাৎই একটা রুম থেকে টান মেরে রিতুকে একটা রুমে নিয়ে গেল আরুশ’!!এদিকে আরুশের এমন কাজে চোখ বড় বড় হয়ে গেল রিতুর’!!!
!
!#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:10💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
“কাট_ফাটা রোদ্দুরে ঘেরা দুপুরবেলা’!!পুরো আকাশটাই তার হাসি মাখা মুখ নিয়ে ঘুরছে’!!কিন্তু আকাশের এই হাসি খুশি মুখে মানুষের অবস্থা পুরো বিগড়ানো’!!এমন মুহুর্তে ক্লান্ত মাখা মুখ নিয়ে অফিসে কাজ করছে মেঘলা’!!একই প্রচুর গরম তার ওপর কারেন্ট নেই’!!সব মিলিয়ে একটা বিশ্রী মুডে আছে সে’!!এমন সময় ফোনটা বাজলো মেঘলার’!!একরাশ বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে ফোন টা ধরল সে’!!কিন্তু ফোনের উপর আকাশের নাম দেখে মুহূর্তে খুশি মুড নিয়ে কথা বলতে লাগল মেঘলা’!!
——“তুমি কি এখন একবার বেরোতে পারবে(আকাশ)’!!
——-“এখন(মেঘলা)’!!
——“হুম আমি তোমার অফিসের নিচে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি চলে আসো(আকাশ)’!!
“মেঘলা কিছুক্ষন ভেবে বললোঃ
——“আসছি আমি’!!
“আকাশ খুশি হয়ে বললোঃ
——–“ওকে
“তারপর ফোনটা কাটল আকাশ’!!!
“গাড়িতে বসে আছে আকাশ’!!সকাল থেকে বাসায় থেকে এক প্রকার বোর হয়ে ছিল সে’!!হর্ঠাৎই মেঘলাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার ভাবনা আসল তার’!!যেই ভাবা সেই কাজ’!!তারপর গাড়ি নিয়ে চলে আসল সে’!!
“কিছুক্ষণ পর………
“আজকের মতো বসের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এসেছে মেঘলা’!!এমনিতে খুব একটা ছুটি নেয় না মেঘলা তাই বস আর মানা করতে পারে নি’!!খুশি মন নিয়ে আসছে’!!চোখে মুখে ক্লান্ত ভাব তার’!!!
“গাড়ির কাছে আসতেই আকাশ গাড়ি থেকে বের হয়ে গেল’!!তারপর খুশি মনে মেঘলার হাত ধরে বসিয়ে দিল গাড়িতে’!!মেঘলাও খুশি মনে বসে পরল গাড়িতে’!গাড়িতে এসি থাকায় মুহুর্তেই ক্লান্ত মাখা মুখের অবসান ঘটল মেঘলার’!!আকাশও খুশি মনে গাড়ি চালাতে শুরু করল তাদের নিজেদের গন্তব্যে………
__________________________________________
★
——-“দেখুন আপনি আর যাই করুন প্লিজ কাঁদা দিবেন না’!!একপ্রকার ঘাবড়ে গিয়ে কথাটা বললো রিতু’!!
“এদিকে ফাটা ডিসপ্লে মানে আমাদের আরুশ রিতুর ঘাবড়া নো মুখ দেখে মনে মনে হাসলেও বাইরে তা প্রকাশ করল না’!!
“আরুশ কিছু জোর গলায় বললঃ
——-“কেন তুমি তো আমার পুরো মুখ কাঁদা দিয়ে দৌড় দিলে’!!!
“এবার রিতু আরো কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললঃ
——“দেখুন আপনি কালকে আমায় পুরো কাঁদা দিয়ে ভূত বানিয়ে দিয়েছিলেন তার জন্য এতটুকু মজা করিছি আর কি’!!
——-” ওহ এতটুকু মজা করেছো এই বলে রিতুর আরো কাছে আসলো আরুশ’!!
“এদিকে রিতু আরুশ এতটা কাজে আসাতে এক অসম্ভব অনুভূতি ফিল হচ্ছে তার’!!চোখে মুখে হালকা ঘামের আবরন তার সাথে অস্থিরতা’!!
”রিতুর এমন রিয়েকশন দেখে মুচকি হাসল আরুশ”!!মুচকি হেঁসে বললো সেঃ
——“তুমি যা করেছো আমিও তাই করব”!!!
“”রিতু তো পুরো ভয়ে গদো গদো”!!ভয় মাখা মুখ নিয়ে বললঃ
——“”প্লিজ প্লিজ “ফাটা ডিসপ্লে” ইয়ে না না থুক্কু “ফাটা লাইট” আরে দূর আরুশ ভাইয়া এমন করবেন না’!!আমার পুরো সাজ নষ্ট হয়ে যাবে’!!!
—–“ওহ এখন “ফাটা ডিসপ্লে” বাদ সোজা “আরুশ ভাইয়া”!!!
——“সরি সরি আগে যা হয়েছে ভুলে যান আর আমি কোনো ফাইজলামি করবো না’!!মুখে এ কথা বললেও মনে মনে অন্য কথা বলছে রিতু’!!(যেমন শালা একবার মেকাপ বাচিয়ে যাই তারপর তোরে দেখাবো কতো ধানে কতো চাল)’!!
.
.
.
.
“এদিকে আরুশ রিতুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে গভীর ভাবে’!!সকালেই রিতুকে দেখে আকৃষ্ট হয় আরুশ”! শাড়িতে যে “পঁচা পান্তা ভাত” কে এত সুন্দর লাগবে বুঝতেই পারে নি আরুশ”!!কিন্তু এত সাজের মধ্যেও কোথাও কিছু একটা ভুল করেছে রিতু এমনটা মনে হচ্ছে আরুশের”!!হর্ঠাৎ ঘ্যান ভাঙল আরুশের’!!
——–“দেখুন “ফাটা ডিসপ্লে” না না সরি আরুশ ভাইয়া আমাকে যেতে দিন’!!!!
——-“যেতে তো দিবোই তার আগে আমার সাথে ফাজলামি করাটার শোধটা তো নিয়ে নেই’!!এই বলে আরুশ তার পকেট থেকে কিছু একটা বের করতে নিলো’!!
“এদিকে রিতু তা দেখে ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে”!!
“আরুশ তার হাতটা বের করে আঙুল দিয়ে রিতুর গালে হাত দিল’!!
“আরুশের স্পর্শে রিতু পুরো কেঁপে উঠল’!!বুকের ভিতর ধুপপুকানি শুরু হয়ে গেছে তার’!!তার সাথে ভয়ে আঁতকে উঠছে সে মনে হয় তার দু-ঘন্টার সাজ সব বৃথা হয়ে গেলো’!!!
-“এদিকে আরুশ তার আঙুল নাড়াতে নাড়াতে রিতুর বাঁধা খোঁপা পর্যন্ত যেতেই রিতুর মুখের দিকে একবার তাকিয়ে রিতুর রিয়েকশন দেখে মুচকি হেঁসে টান মেরে রিতু চুল খুলে ফেলল’!!সাথে সাথে রিতুর মাথার চুল খুলে পুরো কোমড় পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে’!!!
“আরুশ যে এমন কিছু একটা করবে তা হয়তো রিতু কল্পনাও করতে পারে নি’!!রিতু তার চোখ খুলে প্রশ্ন মাখা মুখ নিয়ে তাকালো আরুশের চোখের দিকে যার অর্থ ”
——কেন এমন করলেন আপনি”
“আরুশ হয়তো রিতুর চোখের ভাষা বুঝতে পেরে আরেকটু ঝুকে রিতুর কানের কাছে তার মুখ নিয়ে এসে আস্তে করে বললঃ
——-“এই বার ঠিক আছে “পঁচা পান্তা ভাত”!!আর একটা কথা আজকে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে “একদম দোকান থেকে কিনে আনা প্যাকেট করা বিরিয়ানির মতো”!!এই বলে হালকা হেঁসে রিতুর কোমড় ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো আরুশ’!!
“এদিকে রিতু যেন একটু আগে কি হলো সব যেন তার মাথার উপর দিয়ে গেছে’!!পুরো পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইল সে’!!
__________________________________________
★
—-“ও মা গো আমারে বাঁচাও এই “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” আমারে মনে হয়ে মেরেই ফেলবে একপ্রকার চেচিয়ে কথা গুলো বললাম আমি’!!
“এদিকে আরিয়ান হর্ঠাৎ করে “ঝাঁঝ বতী লবঙ্গের” চিৎকারের কারণটা বুঝতে পারছে না’!!!
“অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আরিয়ান মীমের মুখ চেপে ধরে বললঃ
——“হেই এভাবে চেচাচ্ছো কেন কেউ দেখে ফেললে কি বলবে’!!
“আরিয়ানের এমন কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!কি করল মানে উনি আমার ঘাড়ে ছিঃ একটা লুচু ছেলে কোথাকার’!!!
.
.
.
“কিছুক্ষণ আগে আরিয়ান আমার কাছে ঝুঁকে আমার ঘাড়ে একটা কামড় দিয়ে দিল’!!ওনার এমন কাজে আমি পুরো বোকা বনে গেলাম আর ব্যাথা পেয়েই তো চেঁচালাম’!!আর বলে কি না কি হয়েছে’!!
“আবারো আরিয়ান বলে উঠলঃ
——-“আরেকবার চেঁচালে কিন্তু এইবার যা করলাম তার উল্টো কিছু করবো’!!
“ওনার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে তাকালাম তার দিকে’!!
——-“অন্যকিছু করবে মানে কি করবে……
“আরিয়ান হয়তো আমার মনের কথা বুঝতে পেরে আমার কানের কাছে তার মুখ নিয়ে এসে বললোঃ
——-কিছু বুঝে না পাগলী মেয়ে কোথাকার এই বলে হেঁসে উঠল আরিয়ান’!!!
“আরিয়ানের এমন কথা শুনে পুরো বোকা বনে গেলাম আমি কি বুঝবো আশ্চর্য’!!এদিকে শ্বাস তো প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে মনে হয় তার সাথে শালায় কামড় দিসে সেখানে তো এখন জ্বলছে’!!শালায় মনে হয় পুরো দাঁত বসিয়ে দিয়েছে’!!আমারে চিনো না আমিও এর শোধ পরে নিবো “ভাঙা টেপ রেকর্ডার”!!আরিয়ানের কথায় ভ্যান ভাঙল আমার’!!
——-“এই এত কি ভাবছো’!!নিশ্চয়ই নতুন কোনো ফাইজলামি করার কথা’!!আচ্ছা এত ইডিয়েট মার্কা কাজ কর্ম কোথা থেকে আসে তোমার মাথায়’!!তার চেয়ে বাসায় বসে একটু কাজ কর্ম করলেও তো পারো’!!এই বলে মাথায় একটা চাটি মারল আরিয়ান’!!!
“ওনার এমন কাজে যেন অবাকের উপর অবাক হচ্ছি আমি’!!
“হর্ঠাৎই আরিয়ান আমার মুখ থেকে তার হাত সরিয়ে ফেললেন’!!সাথে সাথে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম আমি’!!আর কিছুক্ষন থাকলে হয়তো মারাই যেতাম’!!!
“একপ্রকার চেচিয়ে বললামঃ
——-“ইউ “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” আপনাকে তো আমি পরে দেখে নিবো এই বলে স্ব-জোরে একটা ধাক্কা মেরে সরিয়ে ফেললাম আরিয়ানকে তারপর একপ্রকার দৌড়ে চলে আসলাম ওখান থেকে’!!
.
.
.
“এদিকে আরিয়ান মীমের এমন কাজে মুচকি হেঁসে সেও চলে আসল’!!
__________________________________________
★
“রুম থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসতেই দেখলাম রিতু চুল খুলে হেঁটে সামনে যাচ্ছে’!!ওকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে শ্বাস ফেলতে লাগলাম আমি’!!তারপর রিতুকে বললামঃ
——-“দোস্ত চল এখন বাসায় যাবো’!!
“রিতু ও শান্ত গলায় বললোঃ
——চল”
“তারপর আর দু’মিনিট দেরি না করেই দুজনে চলে আসলাম ভার্সিটির বাহিরে তাঁরপর রিকশা করে চললাম আমরা’!!অদ্ভুত ব্যাপার রিতু এত চুপ হয়ে আছে কেন’??
“বিষয়টা মাথা না ঢুকলেও এই মুহুর্তে কিছু জিজ্ঞেস করার মুডে নেই আমি’!! পরে জিজ্ঞেস করে নিবো’!!তারপর আর কি ব্যস্ত রাস্তায় ব্যস্ত মানুষদের দেখতে দেখতেই চললাম আমি’!!তার সাথে আরিয়ানের এমন কাজের পাল্টা জবাবও তো দিতে হবে নাকি এমন ভাবনা নিয়ে’!!!
.
.
.
.
“এদিকে ভার্সিটির ভিতরে আরিয়ান আর আরুশ একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেঁসে দিল’!!তারপর তারাও ভার্সিটির বাকি কিছু কাজ শেষ করে চললো তাদের বাড়িতে’!!!
__________________________________________
★
“পার্কের পাশে থাকা একটা নদীর কিনারার বসে আছে আকাশ আর মেঘলা’!!!
!
!
!
!
#