#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ২২
.
স্পন্দনের দিকে চোখ পরতেই ওকে ওর দিকে ওরকমভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে হাসি থামিয়ে দিলো গুঞ্জন। স্পন্দন পকেটে হাত ঢুকিয়ে দুকদম গুঞ্জনের দিকে এগিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
— ” থামলে কেনো? ভালোলাগছিলো তো?”
গুঞ্জন কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো স্পন্দনের দিকে থেকে তার চোখ ছোট করে মেকী হাসি দিয়ে বলল,
— ” তোমার হাসিতে আমি খুন হয়ে গেছি, চোখের চাহনীতে খুন হয়ে গেছি, এসব চিজি লাইনস আমার ওপর এফেক্ট ফেলে না।”
এটুকু বলে মুখে ফুচকা পুরে নিয়ে চিবুতে চিবুতে বলল,
— ” তাই অন্যকিছু ট্রাই করো।”
বলে আরেকটা ফুচকা মুখে নিতে গিয়েও থেমে গিয়ে বলল,
— ” মামা আরেক প্লেট ঝাল ছাড়া ফুচকা দিয়ে দিন ওনাকে। আর তুমি ওটা রেখে দাও।”
এটুকু বলে গুঞ্জন ফুচকা খাওয়ায় মন দিলো। স্পন্দন ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো গুঞ্জনের দিকে। এমন কেনো মেয়েটা? স্বভাবত কোনো ছেলের মুখে প্রসংশা শুনলে মেয়েরা একটু ব্লাশ করে, মুখে একটু হাসি ফুটে ওঠে, অনেক মেয়েতো লজ্জায় এতোই কাচুমাচু হয়ে যায় যে কথাই বলতে পারেনা। আরে কম হলেও তো একটু হাসা বা ব্লাশ করা তো উচিত ছিলো? বাট কিসব চিজি ফিজি কী না কী বলে মুডের পুরো বারোটা বাজিয়ে দিলো। মানে এটা কী জিনিস? তারপর ভাবলো ওও যা কার কাছে কী এক্সপেক্ট করছিলো। গুঞ্জনতো এমনি। আর সেটাতো খুব ভালোকরেই জানে ও। এসব ভাবতে ভাবতেই স্পন্দনের ফুচকা রেডি হয়ে গেলো। ফুচকাওয়ালা স্পন্দনকে ফুচকা প্লেট এগিয়ে দিলো। স্পন্দন গুঞ্জনের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়েই প্লেট টা হাতে নিলো। গুঞ্জন স্পন্দনকে এভাবে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিজেও ভ্রু কুচকে বলল,
— ” হ্যালো? এম আই লুকিং লাইক আ এলিয়েন?”
স্পন্দন না বোধক মাথা নেড়ে বলল,
— ” না একদমি না।”
গুঞ্জন একটু বিরক্ত হয়ে আবার ফুচকা মুখে পুরতে পুরতে বলল,
— ” তাহলে আমার দিকে এভাবে আছো কেনো?
স্পন্দন গুঞ্জন কিছু বলল না কিন্তু বিড়বিড় করে বলল,
— ” এই মেয়েকে ঠিক করতে আমার তেল ঘাম সব বেড়িয়ে যাবে।”
গুঞ্জন স্পন্দন ওভাবে আস্তে আস্তে কিছু বলতে শুনে বলল,
— ” কিছু বললে?”
স্পন্দন একটা মুখে একটা মেকি হাসি ফুটিয়ে বলল,
— ” নাহ এই ফুচকাটা, খুব ভালো, সেটাই বলছিলাম।”
গুঞ্জন আড়চোখে একবার স্পন্দনকে দেখে নিয়ে ফুচকা খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। স্পন্দন আর কী বলবে? ও চুপচাপ ফুচকা খেতে খেতে একমনে গুঞ্জনকে দেখে চলেছে। ফুচকা খাওয়ার ব্যাপারটা শেষ হতেই দুজনে আবার হাটতে শুরু করলো। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ তাই বেশ শীত। দুজনেই জ্যাকেট পরে আছে তারপরেও শীত করছে ওদের। দুজনের বেশ অনেকক্ষণ হলো কথা বলছেনা একদম চুপচাপ আস্তে আস্তে হাটছে। গুঞ্জন গুনগুন করে গান গাইছে। হঠাৎ স্পন্দন বলে উঠলো,
— ” গুনগুনিয়ে গাইছো কেনো একটু জোরে গাও।”
গুঞ্জন গান থামিয়ে দিয়ে স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো কিন্তু কিছু বললোনা। হাটতে হাটতে গাড়ির কাছে যেতেই ওরা গাড়িতে উঠে বসল। গুঞ্জন সিটবেল্ট বাধতে বাধতে বলল,
— ” তো আজ তাহলে যাওয়া যাক?”
স্পন্দন গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলল,
— ” আজও ক্লাবে যাবে?”
গুঞ্জন সিটে হেলান দিয়ে বলল,
— ” অবভিয়াসলি।”
স্পন্দন ড্রাইভ করতে করতে বলল,
— ” রোজ রোজ কী ক্লাবে যাওয়া খুব জরুরী? মাঝেমাঝে না গেলে কী হয়?”
গুঞ্জন বরাবরের মতো ডোন্ট কেয়ার একটা ভব নিয়ে বলল,
— ” ইটস মাই চয়েজ।”
একটা ছোট্ট নিশ্বাস নিয়ে বলল,
— ” অলরাইট।”
সারারাস্তা আর কথা হয়নি ওদের মধ্যে গুঞ্জনকে ক্লাবের সামনে নামিয়ে দিয়ে স্পন্দন মুচকি হেসে বলল,
— “বাই।”
গুঞ্জন ছোট্ট করে একটা বাই বলে চলে গেলো ওখান থেকে। আর স্পন্দনও কিছূক্ষণ গুন্জনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে ওখান থেকে চলে গেলো।
_______________________
এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছে। জানুয়ারি মাস চলছে তারসাথে তীব্র মাত্রায় শীতও। স্পন্দন আর গুঞ্জন মাঝেমাঝেই দেখাকরে, ফোনে আলাপ করে, ঘুরতে বেড়। তবে এরমধ্যে গুঞ্জনের আচরণে বিশেষ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেনি স্পন্দন। তবে আগের মতো ওরকম রুড হয়ে কথা বলেনা। আর তারওপর ওদের মধ্যে সম্পর্ক এখন আরো ক্লিয়ার হয়েছে। একে ওপরের সাথে খুব ফ্রি হয়ে গেছে। মন খুলে কথা বলতে পারে স্পন্দন আর গুঞ্জন একে অপরের সাথে। কিন্তু এখনও গুঞ্জনের ভেতর স্পন্দনের প্রতি দুর্বলতার কোনো চিহ্ন পর্যন্ত দেখতে পায়নি স্পন্দন। ব্যাপারটাতে ও খুব বিরক্ত না গুঞ্জনের ওপর নয় নিজের ওপর। এতোগুলো দিন হয়ে গেলো অথচ এখনো গুঞ্জনের মনে নিজের জন্যে একটুও অনুভতি তৈরী করতে পারেনি? এতোটাই ব্যার্থ ও? তারসাথে নিজের ওপর অবাকও হচ্ছে। যেখানে ও কোনোদিন প্রেম ভালোবাসা এসবে জরাবে সেটা ভাবেই নি আর জড়ালো তো জড়ালো এমনভাবে জড়ালো যে সেখান থেকে বেড়োনোর কোনো উপায়ই নেই ওর কাছে। গুঞ্জন নামক এই জালে ও এমনভাবে আটকা পরে গেছে যে সেখান থেকে বেড়োনো একেবারেই অসম্ভব। ছাদের ধারে বসে এসব কথাই ভাবছিলো স্পন্দন। কিছুক্ষণ পর সারা এলো ওখানে। গুটিগুটি পায়ে এসে স্পন্দনের পাশে পা ঝুলিয়ে বসে বলল,
— ” কী ভাবছিস ভাইয়া?”
স্পন্দন ভ্রু কুচকে সারার দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” তুই এখনো ঘুমাস নি?”
সারা বিরক্ত হয়ে বলল,
— ” ভাইয়া প্লিজ কথা ঘোরাস না তো? বলনা?”
স্পন্দন কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,
— ” গুঞ্জনের কথা ভাবছি। আচ্ছা মেয়েটা কী এতটাই কঠিন যাকে বোঝাই যায় না? সত্যিই বলছি ওকে বুঝতে পারি না আমি। ওর মনে কী চলছে আদোও ওর মনে আমার জন্যে কোনো ফিলিংস আছে কী না? কিচ্ছু না। কিচ্ছু বুঝে উঠতে পারছিনা। যতো দিন যাচ্ছে ততো ডেসপারেট হয়ে যাচ্ছি।”
সারা মুচকি হেসে বড় একটা নিশ্বাস ফেলে বলল,
— ” হুমম যেই স্পন্দন চৌধুরীর কাছে কেউ পাত্তাও পেতো না সে জাস্ট একটা মেয়ের জন্যে এতো ডেসপ্যারেট? ওয়াও?”
স্পন্দন বিরক্ত হয়ে সারার দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” এই তুই তোর বোরিং জোক মারা বন্ধ করবি?”
সারা এবার মুখটা সিরিয়াস করে বলল,
— ” হুমম আচ্ছা ওয়েট ওয়েট। একটা কথা শোন। কথায় আছে মেয়েদের মন বোঝা খুব কঠিন। কিন্তু আমার কী মত জানিস? ছেলেদের চিন্তাধারাটাই কঠিন। ওরা সবকিছুই কঠিন করে ভাবে। ওরা ভাবে মেয়েদের মনে কী না চলছে তাই নিজেরাই ব্যাপারটা পেঁচাতে থাকে লাইক নাকের ঢগায় থাকা জিনিসটা পৃথিবীজুড়ে খোজার মতো ব্যাপার। বুঝছিস তো কী বলছি?”
স্পন্দন একটা হতাশার নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বলল,
— ” একটু ঝেড়ে কাশবি ?”
সারা এবার ঠোঁট চেপে একটু হেসে বলল,
— ” আচ্ছা শোন। ক্লিয়ারলি বলছি হাল ছাড়িস নাহ। যেভাবে চালাচ্ছিস চালিয়ে যা। দেখবি জয় তোর হবেই।”
স্পন্দন এবার চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল,
— ” থাপ্পড় খাওয়ার আগে যাবি? নাকি থাপ্পড় খেয়ে তারপর যাবি?”
সারা বলল,
— ” নাহ দেখ..”
স্পন্দন এবার ফুলহাতা টিশার্ট হাতাটা গোটাতে নিলেই সারাকে আর কে পায়। ও ওখান থেকে গায়েব।”
_____________________
ইদানিং মেঘলার মধ্যে একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করছে গুঞ্জন। অদ্ভুত রকম আচরণ করছে। মাঝেমাঝে একাএকাই কিছু ভাবতে ভাবতে হাসে, মাঝে মাঝেই অন্যমনস্ক থাকে, হঠাৎ হঠাৎ চমকে ওঠে এসব ভাবতে ভাবতে গুঞ্জন মেঘলার রুমে গেলো গিয়ে দেখলো মেঘলা উপোড় হয়ে শুয়ে বালিশে কিছু আঁকিবুঁকি করছে। গুঞ্জন এবার একটা কাশি দিলো সাথে সাথে মেঘলা চমকে গিয়ে উঠে বসল। গুঞ্জন মেকি একটা হাসি দিয়ে বলল,
— ” তুম পাস আয়ে, ইউ মুসকুরায়ে, তুমনে না জানে কেয়া, স্যাপনে দিখায়ে
আব তো মেরা দিল জাগে না সোতা হ্যা
কেয়া কারু হায়ে কুছ কুছ হোতাহ্যা”
হেলেদুলে এটুকু গাইতে গাইতে মেঘলার পাশে বসে ওকে কাধের ধাক্কায় দোলাতে দোলাতে গাইল,
— ” কুছ কুছ হোতাহ্যা।”
মেঘলা হেসে গুঞ্জনের কান মুলে দিয়ে বলল,
— ” বেশি পেকে গেছিস না?”
গুঞ্জন কান ডলতে ডলতে এক্সাইটেড হয়ে বলল,
— ” এই মেঘুদি। কী হয়েছে তোমার বলোতো? কারো প্রেমে পরেছো না কী? সত্যিই বলবে কিন্তু।”
মেঘলা একটু হেসে বলল,
— ” উমমম। বলবো বাট এখন না। তবে কথা দিচ, সবার আগে তোকেই বলব। ”
গুঞ্জন মেঘলাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
— ” সত্যিই বলবে তো?”
মেঘলা হেসে বলল,
— ” হ্যাঁ রে বাবা বলবো। আর শোননা তিতলি আসছে পরশু।”
গুঞ্জন অবাক হয়ে বলল,
— ” হোয়াট সত্যিই বলছো?”
মেঘলা ল্যাপটপ অন করতে করতে বলল,
— ” হুমমম। আর পরশুই আবির আর তিতলি বিয়ের ডেইটটাও ফিক্সট করে দেওয়া হবে।”
গুঞ্জন বেডে হেলান দিয়ে বলল,
— ” যাক বাবা এবার এটলিস্ট বিয়েটা হবে ওদের।”
মেঘলা ল্যাপটপে কাজ করতে করতে বলল,
— ” হুম”
গুঞ্জন উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
— ” আচ্ছা থাকো। আমি গেলাম আমার ঘুম পাচ্ছে খুব।”
মেঘলা মাথা নাড়ল। গুঞ্জন ওর রুমে গিয়ে যেই শুতে নেবে তখনি ফোন বেজে উঠলো। গুঞ্জন ভ্রু কুচকে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো ওটা স্পন্দনের ফোন। কল রিসিভ করে বলল,
— ” হ্যালো?”
স্পন্দন ছাদের রেলিং এ হেলান দিয়ে বলল,
— ” ঘুমিয়ে পরেছিলে? ডিসটার্ব করলাম?”
গুঞ্জন একটা হাই তুলে বলল,
— ” নাহ তবে ঘুমোতে যাচ্ছিলাম।”
স্পন্দন কিছু একটা ভেবে বলল,
— ” ও আচ্ছা।বেশি সময় নেবো না জাস্ট একটা কথা বলতে কল করেছিলাম।”
গুঞ্জন শুয়ে পরে জিজ্ঞাসু কন্ঠে বলল,
— ” কী কথা?”
স্পন্দন কোনোরকম সংকোচ আর ইতস্তত বোধ ছাড়াই ক্লিয়ারলি বলল,
— ” কাল রাতে ক্লাবে না গিয়ে ঐ সময়টুকু আমাকে দেওয়া যাবে?”
গুঞ্জন ভ্রু কুচকে বলল,
— ” কেনো?”
স্পন্দন একটু বিরক্ত হয়েই বলল,
— ” সব কেনোর উত্তর সাথেসাথেই দেওয়াটা জরুরি? দেখতেই পাবে?”
গুঞ্জন কিছুক্ষণ চুপচাপ ভেবে তারপর বলল,
— ” ওকে ফাইন। কাল আমি ক্লাবের সামনে থেকেই পিক করবে বাড়িতে আসার দরকার নেই।”
স্পন্দন একটু হেসে বলল,
— ” ওকে ডান?”
গুঞ্জন ঘুম ঘুম কন্ঠে বলল,
— ” গুড নাইট।”
স্পন্দন গুড নাইট বলতেই গুঞ্জন কম্বল গায়ে ভালোভাবে জরিয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
______________________
মোটামুটি বেশ রাত হয়েছে। বাইরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। তবে অদ্ভুত ব্যাপার এই জানুয়ারি মাসেও পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে তাও বেশ জোরেই। গুঞ্জন আর স্পন্দন গাড়িতে বসে। এতো ঠান্ডার মধ্যেও গাড়ির কাঁচ নামিয়ে রেখেছে গুঞ্জন। ও দুইহাতের তালু ঘষতে ঘষতে স্পন্দনেল দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” কোথায় যাচ্ছি আমরা তখন থেকে তো গাড়ি চালিয়েই যাচ্ছো?”
স্পন্দন ড্রাইভ করতে করতে বলল,
— ” নিজেও জানিনা ধরে নাও লং ড্রাইভ?”
গুঞ্জন ভ্রু কুচকে একবার তাকালো স্পন্দনের দিকে তারপর বাইরে তাকিয়ে পরিবেশ উপভোগ করতে শুরু করলো। বেশ অনেকটা সময় পর স্পন্দন বলে উঠলো,
— ” আইসক্রিম খাবে?”
গুঞ্জন অবাক হয়ে স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” এই শীতের মধ্যে?”
স্পন্দন হেসে বলল,
— ” শুনেছি ঠান্ডায় আইসক্রিম খেতেই মজা লাগে যদিও এক্সপিরিয়েন্স নেই। খাবে?”
গুঞ্জন একটু ভেবে বলল,
— ” আচ্ছা চলো”
এরপর গাড়িটা আইসক্রিম পার্লারের সামনে থামলো দুজনে আইসক্রিম পার্লারের গিয়ে আইসক্রিম খেলো। দুজনেরই ঠান্ডায় আইসক্রিম খাওয়ার প্রথম এক্সপিরিয়েন্স খুব ভালোই এনজয় করেছে আর মজাও করেছে। এরপর ওরা আবারও গাড়িয়ে করে যেতে শুরু করলো। এবার গাড়িটা বেশ নিরিবিলি একটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। বেশ সন্দর রোডটা খুব ভালো লাগছে। গুঞ্জনের শুরুর দিকে বিরক্ত লাগলেও এখন বেশ ইনজয় করছে এই পরিবেশ। মনে মনে স্পন্দনকে থ্যাংকস ও বলছে। কিন্তু হঠাৎ করেই গাড়িটা খুব জোরে ব্রেক করে গেলো। দুজনেই অবাক হলো কী হলো কিছুই বুঝলো না।”
#চলবে…