#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পার্ট_১১
লেখিকা #sabihatul_sabha
হঠাৎ একটা চিৎকারে সব শান্ত হয়ে গেলো,
ওদের চিৎকার চেচামেচিতে রুদ্র দৌড়ে রুম থেকে এসেছে, কি হয়েছে দেখতে।এসেই দেখে দুই জন জগরা লেগে আছে।
তোরা কি ছোটো বাচ্চা না-কি। কি শুরু করেছিস,আর সাফা তোই এভাবে কথা কেনো বলছিস। বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তাও এখনো শিখিস নি।
সাফা রুদ্র কে খুব ভয় পায়, আর যখনই রুদ্র রেগে থাকে তখন তো ওর সাথে ভালো কথাও বলা যায় না।
আসলে ভাইয়া এই লোকটা আমার রুমে ডুকে পরেছে।আর নিজে দোষ করে উল্টো আমাকে কথা শুনাচ্ছে।
ওর নাম আবরার আহমেদ শান্ত, আমার ছোটো বেলার বন্ধু। আজ তিন বছর পর দেশে এসেছে।
হুহ শান্ত না, নাম রাখার দরকার ছিলো অশান্ত, মনে মনে বলে রুম থেকে বেরহয়ে গেলো সাফা।
রুদ্র:কি রে কি নিয়ে এভাবে জগরা করলি?
শান্ত:আরে আর বলিস না তোর বোন পুরাই বোম্বাই মরিচ,আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে সামনে ফিরতে গিয়ে ওর সাথে ধাক্কা খাই।তারপর সব রুদ্রকে খুলে বললো,
বর্তমান..
কিরে হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো?
তুই এতো জগরা কি করে করতে পারোস বলতো?।
সাফা চোখ ছোট ছোট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, ‘আমি জগরা করি মানে।আমি কখন জগরা করলাম, জগরা তো ওই বেয়াদব শান্ত না অশান্ত শুরু করলো।
~কাকতালীয় ভাবে তদের আবার কিভাবে দেখা হয়ে গেলো দেখলি,আবার এমন না হয়ে যায় কাকতালীয় ভাবে তদের বিয়ে, এতটুকু বলে ওর দিকে তাকালাম।এভাবে রাক্ষসনীর মতো তাকিয়ে আছিস কেনো খেয়ে ফেলবি না-কি।
~তকে বলাটাই আমার ভুল হইছে।বলেই আমার দিকে রেগে তাকিয়ে আছে।
~হা হা বুঝছি,আচ্ছা শুন আমি বাসায় গেলাম। আম্মুকে বলে বের হইনি।
——
আয়নায় নিজেকে নিখুঁত ভাবে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে রুদ্র।রুমে এসে গোসল করতে গিয়ে ঝর্নার পানি লাগতেই বুকের দিকটা কিছুটা জ্বালা করছিলো।এর কারন খুঁজতেই এভাবে নিজেকে নিজে পর্যবেক্ষণ করছে রুদ্র
বুকের ডান পাশের দিকটায় কিছুটা লাল হয়ে আছে।পুরোপুরি বুঝা না গেলেও দুইটা নখের ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
রুদ্র সেখানে হাত বুলিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলো,’মেয়েটাকি রাক্ষস না কি।ইশশশ কতো জোরে আমাকে খামচে ধরে ছিলো। বলে আবারো সেই জায়গায় হাত বুলালো,আর কিছু একটা ভেবে বাঁকা হেসে বললো,এই খামচি আমি প্রতি দিন পাওয়ার জন্য হলেও আমার তোমাকে লাগবে,আমার প্রতিটা সকাল তোমাকে দেখে জাগতে চাই।তোমাকে আমার লাগবেই,মৃত্যুর আগপর্যন্ত নয়,, মৃত্যুর পরেও আমার তোমাকেই চাই।
——
কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে দরজা খুলতে এগিয়ে গেলাম।আপু এসেছে বোধহয়।লুকিং গ্লাস দিয়ে অপরিচিত লোক দেখে আমি আর দরজা খুললাম না।টি-শার্ট আর প্লাজো পরা অবস্থায় কোনো অপরিচিত লোকের সামনে যাওয়া সম্ভব না। অগত্যাই মা কে বললাম দরজা খুলতে। আমি আমার রুমে ডুকে দরজা চাপিয়ে দিলাম।এক মিনিটের মাথায় আম্মুর ডাক।
~নূর এই দিকে আয় তো।
~আমি যথেষ্ট বিরক্ত হলাম।বললাম এখন আসতে পারবো না।তারপরো আম্মু ডাকা শুরু,একরাশ বিরক্ত নিয়ে গেলাম আম্মুর কাছে।
~কি বলো?
~তোর নামে নাকি একটা পার্সেল এসেছে।তুই ছারা নাকি অন্য কারু হাতে দিবে না।দেখতো কি বলে,আমি যথেষ্ট অবাক হলাম।আমার নামে কে কি পার্সেল করবে,”কুরিয়ান সার্ভিস এর ছোকরাটা এবার বললো”
‘আপনি কি উম্মে হাবিবা নূর ‘?
আমি বললাম,”জি আমি।”
‘আপনার একটা পার্সেল ছিলো।কাইন্ডলি এখানে একটা সই করে দেন।’
কথা না বাড়িয়ে সইটা করে দিলাম।পার্সেলটা নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।রুমে এসে পার্সেল এর প্যাকেটটা খুললাম।খুলে মোটামুটি ভালো দরনের চমক খেলাম।খুব সুন্দর একটা কালো সাদা জামদানি শাড়ি।দেখেই বুঝা যাচ্ছে শাড়িটা দামি।এতো দামি শাড়ি কে পাঠালো।কি উপলক্ষেই বা পাঠালো।আমি দ্রুত পার্সেলের উপরে থাকায় কাগজটায় প্রেরকের নামের জায়গাটায় চোখ বুলালাম।কি অদ্ভুত ব্যাপার, প্রেরকের নাম, ঠিকানা বা ফোন নং কিছুই দেওয়া নাই।এটা কোন ধরনের ফাজলামি।
শাড়িটার বাজ খুলতেই একটা কাগজ বের হলো।কাগজটাতে আমি দেখলাম কিছু লেখা আছে।হাতের লেখা গুলো প্রচন্ড সুন্দর।
আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করলাম,
‘সম্বোধন ছাড়াই চিঠি লেখা শুরু করলাম।কিছু মনে করুনা যেনো।আমি জানি তোমার শাড়ি খুব পছন্দ, আর আমার পছন্দ হলে তুমি।তাই এই ছোট্ট উপহারটা গ্রহণ করার অনুরোধ রইলো প্রিয় তমা।
ইতি….
চিরকুট পড়ে আগামাথা কিছুই বুঝলাম না।
আম্মু সন্ধার নাস্তা হিসেবে পিঠা খাওয়ার জন্য ডাক দিলো।পিঠা খেতে গেলাম।যথারিতি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে গেলাম।শাড়ির ব্যাপারটা কিছু সময়ের জন্য মাথা থেকে বেরিয়ে গেলো।
……….
তিনদিন পর আবারো একটা পার্সেল আসলো।এবারো আগের বারের মতো পার্সেলের উপরে কোনো নাম, ঠিকানা নেই।,
আমি কুরিয়ান ছেলেকে বললাম,’আমি এটা নিবো না।আপনি ফেরত নিয়ে যান।
ছেলেটা বললো,সরি ম্যাম এটা আপনাকে নিতে হবে।
অন্যথায় আপনার দরজার সামনে আমাকে এটা রেখেই আমাকে চলে যেতে হবে।
প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে পার্সেলটা নিয়ে রুমে ঢুকলাম।এবারের পার্সেলের বক্সটা বড় ধরনের।কিন্তু সাইজ অনুযায়ী ভারি না।বক্সটা খোলা শুরু করলাম।
চলবে…
লেখার হাত ভিশন কাঁচা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়।#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পার্ট_১২
লেখিকা #sabihatul_sabha
বাক্সটা খোলা শুরু করলাম।
খুলে তো অবাক,অনেক গুলো বেলি ফুলের মালা,,সাথে কালো গোলাপ।
দুইটাই আমার পছন্দের ফুল।আমাদের দেশে কালো গোলাপ তো অসম্ভব পাওয়া এই যায় না।
এভারের গিফটের সাথেও ছোট্ট একটা চিরকুট, সেটায় লেখা:
আরো অনেক এমন ছোটো খাটো সারপ্রাইজ আছে প্রিয় তোমার জন্য। অপেক্ষা করো।
ইতি…
আমার এবার রীতি মতো অস্বস্তি লাগা শুরু করেছে।এলাকার বখাটে ফাউল ছেলেপেলে নয় তো।
——
এভাবেই দেখতে দেখতে ওই বাড়ি থেকে আসছি এক মাস কেটে গেলো।কয়েক দিন পর পর আমার শাশুড়ী, ননদীর সাথে কথা হয়। শাশুড়ী মা নাকি ওই দিন পর আর উনার সাথে কথা বলেন নি।অভি অনেক চেষ্টা করেছে মার সাথে কথা বলতে কিন্তু মা নাকি বলে দিয়েছেন আমার কোনো ছেলে নেই।কেউ যদি আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তাহলে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।
আমাদের বিয়েটা যেহেতু পারিবারিক ভাবে হয়েছে তাই হাতে গনা কয়েক জন ছাড়া আর কেউ জানেন না।কথা ছিলো ছয় মাস পর অনুষ্ঠান করে সবাইকে জানানো হবে, কিন্তু তার আগেই তো সব শেষ।
কলেজ যেতে আজ একদমি ইচ্ছা করছে না।তার পরও যেতে হবে সাফা, মেঘা, মেঘ বার বার কল দিতেছে।বিরক্তি নিয়ে রেডি হয়ে নিলাম।
কলেজের সামনে আসতেই এক মাস পর প্রাক্তন স্বামীর সামনা সামনি হলাম।এতো দিন পর ভালোবাসার মানুষটিকে চোখের সামনে দেখে মনে হচ্ছে বুকে কেউ যেনো হাতুড়ি পিটাচ্ছে।পুরোনো সব কথা মনে পরতেই তিক্ততা যেনো সব অনুভূতি গুলোকে চাপা দিয়ে পরক্ষনেই রাগ আর ঘৃনায় পরিনত করলো সব অনুভূতি।
প্রাক্তনকে দেখেও না দেখার মতো করে পিছন ফিরে উল্টো পথে হাটা শুরু করলাম।পিছন থেকে তার ডাক শুনতে পেয়েও পা থামালাম না রাগে দ্রুত হেটে যাচ্ছি বাসের দিকে।প্রচন্ড রাগ হচ্ছে এই মূহুর্তে। এমনিতেই আসতে চাইনি। কেনো যে ওদের কথা শুনতে গেলাম।আজ পুরোনো স্মৃতি গুলো যেনো মনের দরজায় করা নারছে।
হাঁটতে হাঁটতে বাসের সামনে চলে আসলাম।পিছনে ফিরে দেখি অভি আমার দিকেই দৌরে আসছে। আমি তারাতারি বাসে বসে ফেললাম।টিকিট নাম্বার অনুযায়ী জানালার পাশে বসে পরলাম।
কিছুক্ষন বাহিরে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করে নিলাম।চোখের সামনে পুরনো সব কথা কাহিনি ভেসে উঠছে।ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে পাওয়া কষ্ট,অবহেলা সব মনে পরে যাচ্ছে নিজেকে খুব দুর্বল মনে হচ্ছে এই মূহুর্তে। অসহায় হয়ে পরছি নিজের অতীতের সব বিষাক্ত স্মৃতির কাছে।এতো দিন ধরে নিজেকে শক্ত করে রেখেছি।এখন এমন দুর্বল হয়ে পরলে চলবে না কোনো ভাবেই।
অতীত নিয়ে ভাবা বন্ধ করে চুপ করে চোখ বন্ধ করে হেডফোন গুঁজে দিলাম।একটু পরে মনে হলো কেউ আমার পাশে বসলো।কিন্তু এই মুহূর্তে আমার চোখ খুলে তাকে দেখার কোনো ইচ্ছে হচ্ছে না। তাই আগের মতোই করে সিটে শরীর এলিয়ে দিয়ে বসে আছি।সকালে খুব তারাতারি ঘুম থেকে উঠার কারনে চোখে খুব তারাতারি ঘুম নেমে এলো।
হঠাৎ করে মাথায় হালকা ব্যাতা অনুভব হলো ফলে ঘুম উধাও হয়ে গেলো।চোখ তুলে তাকাতেই সামনে এক বিশাল আকারের পুরুষালী মাথা দেখতে পেলাম।হ্যাঁ… চুল দেখে তো পুরুষই মনে হয়।কিন্তু এভাবে ঝুঁকে আছে কেনো আমার দিকে।আমার ভাবনা শেষ হওয়ার আগেই লোকটি নিজের জায়গায় চলে গেলো।আমি চোখ মুখ কুঁচকে মাথায় হাত ঘষতে ঘষতে কিছু বলার জন্য মুখ খুলবো তার আগেই লোকটার চেহারা দেখে চুপ হয়ে গেলাম।
~সরি.. আসলে জানালা দিয়ে ধুলোবালি আসায় জানালা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করছিলাম আর ঠিক সেই মুহূর্তেই বাস ব্রেক কষলো যার ফলাফল তোমার ঘুম ভেঙে গেলো।(এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলে বড় একটা শ্বাস নিলেন উনি।)
~it’s okay,এতো উত্তেজিতো হতে হবে না। আমি বুঝতে পারছি ব্যাপারটা।
~মাথায় কি বেশি ব্যাথা লেগেছে তুমার?
~না ঠিক আছে। কিন্তু স্যার কলেজের রাস্তা তো এদিকে না। আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
~হ্যাঁ এদিকে না। কিন্তু তুমি কোথায় যাবে এখন?
~জানিনা স্যার কোথায় যাবো। কিন্তু আপনি..
আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে স্যার বললেন, ‘আসলে আজ কলেজে যেতে ভালো লাগছে না।তাই ভাবলাম একটু ঘুরতে বেরহই। ‘
আমি বুঝলাম স্যার মিথ্যা বলছেন।তারপরও বললাম, ‘ওহহ আচ্ছা।’
হুম, চলো তোমাকে নিয়ে একটা জায়গায় যাই।
আমি অবাক হয়ে স্যারের দিকে তাকালাম।’কিন্তু স্যার আসলে আমি তো বাসায় যাবো।’
~হুম যাবে তবে আগে আমার সাথে চলো ভালো লাগবে।
আমি আর স্যারকে না করতে পারলাম না। এটা খারাপ দেখায় তাই বললাম,’ঠিক আছে।’
——
একটা বড়সড় নদীর পাড়ের সামনে বড় বেঞ্চে দুইজন দুই পাশে বসে আছে।দুইজনি চুপচাপ। আমি চুপচাপ বসে আছি কিছু বলছি না আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না, স্যার কেনো এখানে নিয়ে আসলেন আমাকে।আশেপাশে পাখি ডাকছে।মিষ্টি বাতাস বইছে চারপাশে, নদীর ঢেউ হচ্ছে,দূর সীমানা দিয়ে মাঝি নৌকা নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে।হঠাৎ এই নিরবতার ছিন্ন করে গাড়ি থেকে আনা হাতের পানির বোতলটা আমার দিকে বারিয়ে দিলো রুদ্র স্যার।
‘এটা খেয়ে নাও’?
স্যারের দিকে অবাক হয়ে আমি তাকিয়ে আছি।
স্যার আবার বলে উঠলেন,’আমি কি আগের থেকে আরো সুন্দর হয়ে গেছি?আমি জানি আমি অনেক সুন্দর তবে আমাকে পরেও দেখতে পারবে আপাতত পানিটা খাও।বলেই মুচকি হাসলেন।
আজব তো আমি তো এমনি তাকিয়ে ছিলাম, তাই বলি নিজের প্রসংশা নিজেই করবে। কি আজব মানুষ মনে মনে বললাম।
আমার নিশ্চুপ ভাবটা মনে হয় স্যারের পছন্দ হয়নি।তাও চুপ করে রইলেন। কিছুক্ষন পর আবার বললেন,
এটা খেতে বলছি তোমাকে?
এবার আমি স্যারের হাত থেকে পানির বোতলটা নিলাম।সাথে একটু খেয়ে গলাটা বিজালাম।আমার পানি খাওয়া শেষ হতেই স্যার জিজ্ঞেস করলেন,
‘এবার বলো কি হয়েছে,?কলেজ গেট থেকে কাকে দেখে পালিয়ে এসেছো কেনো?মন খারাপ কেনো?
আমি এবারো চুপ করে রইলাম,স্যার আবার বললেন,
‘দেখো তুমি যদি আমায় না বলো তোমার কি হয়েছে তাহলে বুঝবো কিভাবে বলো?সব ঠিক আছে তো?’
আমি স্যারের দিকে আবার তাকালাম,
নদীর এখনো ঢেউয়ের প্রবল স্রোত বইছিলো। বাতাস বইছে,এখনো আমি আর স্যার সেই বেঞ্চটায় বসে আছি।আমার চোখ দিয়ে নিরবে পানি পরছে। স্যারকে সব বলে নিজেকে অনেকটা হাল্কা লাগছে।
আসলে কি নূর আমরা যাদের ভালোবাসি তাদের পেতে হবে এমন কোনো কথা নেই।তারা খুশি মানে আমরা খুশি।তবে তোমার সাথে এটা একদমি ঠিক হয়নি।অভির দরকার ছিলো বিয়ে হয়ে গেছে এখন প্রাক্তন কে ভুলে বউকে নিয়ে বাকি জীবন একসাতে চলা। আর ভালোবাসা সেটা চাইলেই আপনা আপনি চলে আসবে।পারবো না বলে কোনো কথা নেই,আমরা চাইলে সব সম্ভব। শেষে একটা কথাই বলবো সব ভুলে সামনে এগিয়ে যাও।পুরো লাইফটাই তোমার পড়ে আছে। ভালোবাসা অন্যায় নয় কিন্তু ভালোবাসার মানুষটা সঠিক না হলে এমনটাই হয়।আর ভেঙে পড়ো না নিজেকে সামলাও আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো দেখবে অভির থেকেও কেউ তোমার জীবনে আসবে।যে তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবে।তোমায় আগলে রাখবে।তোমাকে হারানোর ভয় পাবে।তাই মন খারাপ করোনা, কেঁদো না,নিজেকে সময় দাও,সাথে সময় নাও।দেখবে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
স্যারের কথায় একরাশ মুগ্ধতা ছিলো,যা আমাকে মুগ্ধ করলো।সাথে শ্রদ্ধা ও হলো স্যারের প্রতি।
——
সে দিন বিকেলে বাড়ি ফিরে আর কারো সাথেই কথা বলিনি আমি।’কিছু ভুলের কখনো ক্ষমা হয় না অভি,’মনে মনে বেশ কয়েক বার কথাটা বললাম।
এদিকে আজ চারদিন হলো, কোনো পার্সেল আর আসেনি।ভাবলাম বাচা গেলো তাহলে।
কিন্তু আমার আসায় জল ঢেলে দিয়ে পরেরদিন আবার পার্সেল হাজির,ছোট্ট এভারের পার্সেলটার সাইজ।
ভাবলাম এবার একটা হেস্তনেস্ত করেই ছারবো।কুরিয়ান ছেলেটাকে শক্ত করে ধরলাম। আজকে ওকে বলতেই হবে।
চলবে…
হাতের লেখা ভিশন কাঁচা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়।