তুমি থেকে যাও আমি রেখে দিব পর্ব -১১+১২

#তুমি_থেকে_যাও_আমি_রেখে_দিব
#পর্ব_১১
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

বিকেল প্রায় হয়েই আসছে।সবাই আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে।যারা ওভার টাইম করে তারা শুধু থেকে গেছে।অধরা বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে।কিন্তু আহান যতগুলো কাজ দিয়েছে।সারারাত কাজ করলে-ও শেষ হবে না।অধরা উঠে আহানের কেবিনের দিকে গেলো।

–আসতে পারি স্যার।বলল অধরা।

–হ্যাঁ আসুন।আপনার কাজ এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো।আপনি খুব ভালো কাজ করেন তো দেখছি।এতগুলো কাজ এত তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেললেন।কই দেখি আপনার ফাইল গুলো দেখান।আপনার হাত খালি কেনো।বলল আহান।

–সরি স্যার।এতগুলো কাজ একদিনে করা সম্ভব না।স্যার আজকে আমার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা।এর জন্য আমি ছুটির এপ্লাই’ও করেছি।আপনি দেখুন।প্লিজ স্যার আজকে আমাকে ছুটি দিয়ে দিন।আমি এসে আপনার সব কাজ করে দিব।কোনো অজুহাত দেখাবো না।

–কাজ শেষ না করলে আপনাকে এক মিনিট এর জন্য ছুটি দেওয়া হবে না।বলল আহান।

–স্যার একটু বোঝার চেষ্টা করেন।আমার হাতে বেশি সময় নেই।আমার তাড়াতাড়ি যেতে হবে।না হলে আমার বাবার ক্ষতি হয়ে যাবে।আজ কয়টা দিন হলো বাবা হসপিটালে ভর্তি আছে।অপারেশন না করলে আমার বাবাকে বাঁচাতে পারবো না।

–আপনি আমার বস নাকি আমি আপনার বস।

–সরি স্যার।

–নিজের কাজে যান।

–স্যার আমাকে যেতে দিন।আমি ফিরে আসার পরে আপনি যা বলবেন।আমি তাই করবো।

–তোমাকে আমি যেতে বলেছি।আমাকে বিরক্ত করবে না একদম।বলল আহান।

অধরা আহানের হাঁটুর কাছে গিয়ে বসে বলল।

–আপনি একটু বোঝার চেষ্টা করেন।আজকে আমার যাওয়া’টা খুব জরুরী।আমার বাবার অপারেশনটা যত তাড়াতাড়ি হবে।আমার বাবা তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।আমার হাতে সত্যি সময় খুব কম।

–অন্য ছেলেদের সাথে দেখা করার সময় তো ঠিকি থাকে।আপনি যদি এখনি না যান।তাহলে আমি সিকিউরিটিকে দেখে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে আমার রুম থেকে বের করবো।

অধরা কিছু না বলে চুপচাপ আহানের কেবিন থেকে বেড়িয়ে আসলো।নিজের কেবিনে এসে হাতের সামনে থাকা পানির গ্লাসটা টুকরো টুকরো করে ফেললো।রাগে পুরো শরীর কাঁপছে অধরার।এত ভালো করে বলল তবু্ও শুনলো না।

রাত বাজে নয়টা।অধরা ফোন হতে নিয়ে দেখে ১৮৬ বার ফোন দিয়েছে তার মা।কাজের চাপে ফোনের কাছেও যেতে পারে নাই সে।নিশ্চয় তার মা তার জন্য অপেক্ষা করছিলো।অধরা তার মাকে ফোন করতে যাবে।তখনি আহান আসে।

–হয়েছে আজকে আর কাজ করা লাগবে না।বাসায় চলে যাও।কালকে এসে বাকি কাজ করবে।অধরা আহানের কথার কোনো উওর না দিয়ে,নিজের ব্যাগ গুছিয়ে বের হয়ে গেলো।

অধরার এত তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে যাওয়ার দিকে আহান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো।অধরা সোজা কাউন্টারে গেলো।বাস ধরে গ্রামে চলে যাবে।যেতে যেতে সকাল হয়ে যাবে।কাউন্টারে অপেক্ষা করছে অধরা।একটু পরে গাড়ি আসলো।অধরা গাড়িতে বসে তার নানিকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলো।আজকে সে,বাসায় যাবে না।বলেই কল কেটে দিলো।একটু পরে আশরাফুল চৌধুরী ফোন দিলেন।

–তুমি একা যেতে পারবে।আমাকে বলতে আমি’ও তোমার সাথে যেতাম।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।

–আপনি কি করে জানলেন।আমি গ্রামে যাচ্ছি।

–বাবা হয় আমি তোমার।মেয়ের এতটুকু খোঁজ খবর রাখবো না।একা যেতে পারবে তো।নাকি আমি আসবো।

–এতরাতে আপনাকে আসতে হবে না স্যার।আমি যেতে পারবো।

–আচ্ছা আমি সকলে যাব।তুমি চিন্তা করো না।কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবে।আমি রাত জেগে অপেক্ষা করবো তোমার জন্য।তুমি যতক্ষণ না গ্রামে পৌঁছাবে।আমার শান্তি নেই।

–আচ্ছা ঠিক আছে স্যার।একদম চিন্তা করবেন না।আপনি ঘুমিয়ে পড়েন।আমি পৌঁছে গিয়ে আপনাকে ফোন দিব।বলে’ই ফোন রেখে দিলো।

সকাল সাতটার দিকে অধরা গাড়ি থেকে নামলো।তারপরে তার মাকে একটার পরে একটা ফোন দিয়েই যাচ্ছে।কিন্তু তার মা ফোন তুলছে না।চিন্তায় পরে গেলো অধরা।হয়তো রেগে আছে তার মা।কোন হসপিটালে আছে তার বাবা।সে তা-ও জানে না।এখন কি করবে।সাত সকাল বেলা গাড়ি’ও পাওয়া যাচ্ছে না।তাই বাড়ির উদ্দেশ্য হাঁটা শুরু করলো অধরা।কেনো জানি ভেতরে ভয় কাজ করছে অধরার।পা যেনো এগোচ্ছে না অধরার।শরীর অবশ হয়ে আসছে।হয়তো রাতে ঘুম হয় নাই।তাই এমন হচ্ছে।রাস্তার একপাশে একটু বসে নিলো।তারপরে আবারা হাঁটা শুরু করলো।হাঁটছে আর তার মাকে ফোন দিচ্ছে।কিন্তু রিসিভ হচ্ছে না।আটটার দিকে অধরা একটা গাড়ি পেলো।তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে পড়ল।ত্রিশ মিনিট গাড়ি চলার পরে।ছোট একটা গলির সামনে এসে গাড়িটা থেমে গেলো।

–আপা গাড়ি তো আর যাবে না।

–আচ্ছা মামা সমস্যা নেই।দশ মিনিটের রাস্তা আমি হেঁটে যেতে পারবো।বলে-ই ভাড়া দিয়ে হাঁটা শুরু করলো।আচ্ছা আজকে গ্রামের আশেপাশের মানুষ এত চুপ কেনো।সকাল হলেই সবাই চিল্লাচিল্লা শুরু করে দেয়।বাচ্চারা খেলাধুলা করে।বাচ্চাদের মা স্কুলে যাওয়ার জন্য বকে।লাঠি নিয়ে পেছনে পেছনে ছুটে।তাহলে আজ তাদের বাড়ির আশেপাশে এমন ফাঁকা লাগছে কেনো।একমাসে সবাই কি বদলে গেলো।দূর থেকে কারো কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।অধরা যতই এগোচ্ছে আওয়াজটা ভালো করে শুনতে পারছে।অধরা নিজের বাড়ির উঠান ভর্তি মানুষ দেখে অবাক হয়ে গেলো।উঠানের মাঝখানে সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে কাউকে শুইয়ে রাখা হয়েছে।কাকে রাখা হয়েছে।আর এভাবে কান্নাই বা কে করছে।অধরা ভিড় ঢেলে ভিতরে গিয়ে তার মাকে কান্না করতে দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলো।মনের ভেতরে ভয় কাজ করতে লাগলো।ভয়ে হাপ-পা কেমন জানি কাঁপছে।অধরা ধীর পায়ে তার মায়ের দিকে এগিয়ে গিলে বলল।

–কার কি হয়েছে মা।তুৃমি এভাবে কান্না করছো কেনো আম্মু।

তখনি অধরার মা অধরাকে দেখে রেগে অধরার চুলের মুঠি ধরে বলল।

–কালনাগিনী তুই কেনো এসেছিস।তোর শান্তি হয়েছে তো।আমি পারি নাই আমার ভালোবাসার মানুষকে বাঁচাতে।তুই তো বলেছিলে মনিরকে ঠিক করে দিবি।তাহলে সামান্য কয়টা টাকার জন্য কেনো আমার ওকে হারাতে হলো।তুই টাকার জোগার করতে পারিস নাই।আমাকেও জোগার করতে দিস নাই।আর দিবি বা কি করে।মনির তো তোর নিজের বাবা না।তাই কদর নেই।যদি নিজের বাবা হতো তাহলে ঠিক কদর থাকতো।তুই আমার মুখের সামনে থেকে সরে যা।আমি তোর মুখ দেখতে চাই না।তোর মা আমাকে বাড়ি ছাড়া করিয়েছে।তারপরে তার ছেলে-মেয়ে আমার ঘাড়ে বসিয়ে দিয়ে।পালিয়ে গেছে।আজ তোদের দুই ভাইবোনের জন্য আমি আমার ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেললাম।তোকে আজ মেরেই ফেলবো।বলেই অধরার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।কয়েকজন মহিলা এসে তাকে সরিয়ে নিলো।অধরার মা আবার এসে অধরার গলা চেপে ধরলো।আজ আমি যে ভাবে ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছি।তোকে মেরে ফেললে তোর মা বুঝতে পারবে ভালোবাসার মানুষ হারানোর যন্তনা কি।তখনি আকাশ ছুটে আসে।আকাশে দেখে মিনারা বেগম আরো রেগে গেলেন।মাটিতে পরে থাকা।লাঠি দিয়ে মারতে মারতে আকাশে মাটিতে শুয়ে ফেলছে।অধরা গিয়ে আকাশে ধরে ফেললো।কয়টা বারি অধরার গায়েও লাগলো।মিনারা বেগম একদম পাগল হয়ে গেছে।সবাই মিলে জোর করেও কিছু বোঝাতে পারছে না।

–আপাই জানিস।আমাদের বাবা আর নেই।কাল রাতে আমাদের বাবা মরে গেছে।তখন থেকে মা কেমন জানি করছে।আমাকে দেখতে পারছে না।আমি কাছে গেলেই আমাকে মারছে।আর বলছে তুই আর তোর বোন খুনি।মা নাকি আমাদের আসল মা না।আপাই মা এসব কি বলছে।কেনো বলছে আপাই।আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে আপাই।

অধরা একদম বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে।কথা বলার শক্তি নেই তার।মিনারা বেগম তাকে এতগুলো মারলো একটাও তাকে আঘাত করতে পারে নাই।সে,নিজের কান,চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছে না।তার বাবা আর নেই।সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছে।ঘুম ভাঙলেই স্বপ্নটা শেষ হয়ে যাবে।মনিরা বেগমের কান্না সবার কলিজা কাঁপিয়ে দিচ্ছে।অধরা এখনো মাটিতে বসে আছে।চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।কয়েকজন মহিলা এসে অধরাকে তুলে নিয়ে তার বাবার গেলো।বলল শেষ দেখা দেখে নিক।একটু পরে নিয়ে যাওয়া হবে।সবাই মিলে অধরাকে তার বাবার কাছে নিয়ে যেতেই অধরা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না।বাবার পা জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করে দিলো।

–ও বাবা তুমি এভাবে আমাদের একা রেখে চলে যেতে পারো না।এমনটা কথা ছিলো না।তুমি না বলেছিলে বাঁচলে।সবাই একসাথে বাঁচবো।আর মরলে সবাই একসাথে মরবো।আজ তাহলে এতটা নিষ্ঠুর কি করে হলে বাবা।ও বাবা উঠো না।তোমার কিছু হতে দিব না।আমি টাকা নিয়ে আসছি।তুমি সুস্থ হয়ে গেলে।আমাদের আবার সুখের সংসার গড়ে উঠবে।

সবাই অধরাকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে।কিন্তু অধরা এমন ভাবে আঁকড়ে ধরেছে কেউ ছাড়াতে পারছে না।কেউ কেউ বলছে।লাশের কাছে এসে কান্না করলে নাকি লাশের কষ্ট হয় ওকে সরিয়ে নিয়ে যান।অধরা বাবার পা কিছুতেই ছাড়ছে না।

–অধরা এভাবে কান্না করিস না মা।কেউ থাকতে আসে নাই।একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে।বাবার জন্য দোয়া কর।নামাজ পড়ে দোয়া করবি মা আয়া।বেশি বেশি কালেমা পড়বি চল মা।

–ও বাবা আমি আর তোমার কথার অবাধ্য হবো না।তুমি যা বলবে আমি তাই করবো।একবার ফিরে এসো বাবা।বাবা রে বাবা তুমি এতটা নিষ্ঠুর হতে পারো না।তুমি ছাড়া আমাদের আপন বলতে কেউ নেই বাবা।এতটা স্বার্থপর হয়ো না রে বাবা।

একদম পাগল হয়ে গেছে অধরা।চিৎকার করে কান্না করছে।অনেক কষ্ট করে সবাই অধরাকে সরিয়ে নিয়ে আসলো।কিন্তু আটকে রাখতে পারছে না।দৌড়ে দৌড়ে বাবার কাছে চলে আসছে।চিৎকার করতে করতে এক পর্যায়ে অধরার মুখ দিয়ে রক্ত উঠতে লাগলো।সবাই মিলে মাথায় পানি ঢালতে শুরু করলো কাজ হলো না।অধরা সেন্সলেন হয়ে গেলো।অধরার আঙুল চেপে ধরেও কেউ অধরার জ্ঞান ফেরাতে পারলো না।একটা গাড়ি ডেকে কাছের সরকারি হসপিটালে অধরাকে ভর্তি করলো।ডক্টর এসে অধরাকে স্যালাইন করে গেলো।এক ঘন্টা পরে অধারর জ্ঞান আসলো।জ্ঞান ফিরতে পাগলামি শুরু করে দিলো।সে এখানে কেনো।তার বাবার কাছে যাবে।তখনি ডক্টর এসে বলল।

–দেখুন আপনি অসুস্থ পাগলামি করবেন।আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে।

–আমাকে এখানে কেনো আনা হয়েছে।আমি বাবার কাছে যাব।বলেই উঠলে লাগলে।একটা নার্স এসে অধরার হাতের স্যালাইন খুলে দিলো।তখন একটা মহিলা বলল।

–স্যালাইন টা খুলে নিলেন কেনো।মেয়েটার স্যালাইন টা দরকার ছিলো।

–সরি সরকারি জিনিস বাহিরে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ।আপনি ওনাকে পরে আবার নিয়ে আসবেন।আমার আবার স্যালাইন করে দিব।এর মধ্যেই অধরা রাস্তার মধ্যে চলে গেছে।একট মহিলা দৌড়ে গিয়ে অধরাকে সরিয়ে নিয়ে আসলো।

বাসায় আসতেই অধরা তার বাবার মাথার কাছে গিয়ে কান্না করতে লাগলো।কান্না করছে আর পাগলের মতো বকেই যাচ্ছে।সবার চোখে পানি।এখন এদের কি বলে শান্তনা দিবে কারো মুখের কোনো ভাষা নেই।একদল মহিলা কোরআন পড়ছে।কয়েকজন কালেমা পড়ছে।মনিরা বেগম অবস্থা খারাপ।কয়েকবার বমিও করছে অতিরিক্ত চিৎকার করার জন্য।

একটু পরে আশরাফুল চৌধুরী,আহান,তিতির,তিতিরের স্বামী,মিসেস আফরোজা চৌধুরী,অধরার নানিও এসেছেন।আজ আর পারলেন না,মেয়ের ওপরে রাগ করে থাকতে।

অধরা তার বাবা পা জড়িয়ে ধরে কান্না করছে চিৎকার করে। সবাই বোঝাচ্ছে তবুও কাজ হচ্ছে না।একবার বাবা মাথার কাছে আসছে।আরেকবার পায়ের কাছে যাচ্ছে।তার একটাই কথা বাবা আমার কিছু চাই না।আমার কিছু লাগবে না।বাবা তুমি ফিরে এসো।অধরার এমন পাগলামি দেখে আহানের বুকে ভিষণ ভাবে ব্যাথা করতে শুরু করলো।কেনো এমন হচ্ছে সে নিজের জানে না।খুব কষ্ট লাগতে শুরু করলো।কালকের জন্য অনুশোচনা হতে লাগলো।কালে যদি অধরাকে আঁটকে না রাখতাম।আহানের ভাবনার মাঝে অধরার মা দৌড়ে এসে।অধরাকে মারতে শুরু করলো।অধরার চুল ধরে বলল।

–কালনাগিনী আমার স্বামী কে খেয়ে হয় নাই।তুই আর কাকে খাবি।কাকে খাওয়ার জন্য এখনো এখানে বসে আছিস।একদম আমার স্বামীর কাছে আসবি না।তুই মেয়ে নামের কলঙ্ক।সামান্য কয়টা টাকা জোগার করতে পারিস না বাবার জন্য।কাল যখন তোর বাবা মৃত্যু যন্তনাই ছটফট করছিলো।তখন তোর এই নাটক কই ছিলো। তোকে যখন পাগলের মতো ফোন করছিলাম।তখন তোর এই নাটকের কান্না কই ছিলো।তুই আর তোর ভাই আমার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যা।রুবিনা বেগমকে খুশির খবর টা দিয়ে দিস।সব থেকে বেশি খুশি উনি হবে।তুই আয় আমার সাথে।তোর মতো কুসন্তান কে কিছুতেই আমি আমার বাড়িতে রাখবো না।বলেই অধরার হাত ধরে টানতে টানতে সরিয়ে নিয়ে আসলো।অধরা কে ধাক্কা দিলো।অধরা পড়ে যেতে নিলে।আহান এসে অধরাকে ধরে নিজের সাথে মিলিয়ে নিলো।
#তুমি_থেকে_যাও_আমি_রেখে_দিব
#পর্ব_১২
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

আহান কে দেখে প্রচুর ঘৃণা লাগছে অধরার।রেগে আহান’কে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।আহান কিছু বলছে না দেখে।আহান কে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বলল।

–জানোয়ার একটা।সব আপনার জন্য হয়েছে।আমি কালকে বারবার করে বলেছিলাম।স্যার আমার ছুটি লাগবে আমাকে ছুটি দেন।আপনি আমাকে ছুটি দেন নাই।আপনার শান্তি হয়েছে।কেনো এসেছেন,আমি কষ্ট পাচ্ছি।এটা দেখতে এসেছেন।এখনি বের হয়ে যান।না হলে আমি সবকিছু শেষ করে ফেলবো।বলছিলো আর আহানে ধাক্কা দিচ্ছিলো।স্যালাইন করার ফলে হাতে প্রচুর ব্যাথা পাচ্ছে অধরা।তবুও আহানকে মেরেই যাচ্ছে।কেনো জানি অধরার মনে হচ্ছে,এই মানুষটার জন্য তার বাবা মারা গেছে।কখনো এই মানুষটাকে ক্ষমা করা উচিৎ হবে না।

অধরা একবার দৌড়ে বাবার কাছে যাচ্ছে।আরেকবার এসে আহান’কে মারছে।আর বলছে আপনি আর আপনার বাবা।আমার বাবার খুনি।আপনরার বেড়িয়ে যান।এভাবে দৌড়া দৌড়ি করতে করতে অধরা অজ্ঞান হয়ে যায়।অধরাকে একটা রুমে শুইয়ে রাখা হয়।ডক্টর নিয়ে আসেন আশরাফুল চৌধুরী।ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছেন তিনি।তার-ও মনে হচ্ছে অধরার বাবা মারা যাওয়ার পেছনে কোথাও না কোথাও তিনি-ও দায়ী।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম এসে জমা হয়েছে।আহান একদম বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে।মিসেস আফরোজা চৌধুরীর’ও আজ অধরার জন্য খারাপ লাগছে।না চাইতেই মেয়েটার ওপরে মায়া জমে যাচ্ছে।রুবিনা বেগম লাশের কাছে যাবে।তখনি মিনারা বেগম আসেন।

–কেনো এসেছো মা।তুমি খুব খুশি হয়েছো তাই না বলো।তুমি তো এটাই চেয়েছিলে।আমার কষ্ট দেখে তুমি তৃপ্তি হাসি হাসতে এসেছো মা।কেনো এসেছো।এখনি বেড়িয়ে যাও তুমি।

তখনি রুবিনা বেগম তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নিলেন।মেয়ের সাথে তিনিও কান্না করছেন।বহুদিন পরে মায়ের কোল পেয়ে মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো মিনারা বেগম।মাকে ছেড়ে দিয়ে,আবার পাগলামি করতে লাগলো।সবাই সামলাতে না পেরে মিনারা বেগম কে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দিলো।ঘুমের ঔষধ টাও আজ বড্ড বেইমান হয়ে গেছে।কাজ করছে না।প্রায় একঘন্টা পরে কান্না করতে করতে পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেলো।আস্তে করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তিনি।

বেলা এগারোটার দিকে মনির সাহেবের। জানাজা সম্পূর্ন হলো।পারা প্রতিবেশীরা রান্না করে অধরাদের বাসায় দিয়ে গেছে।কয়েকজন আহানদের নিজে হাতে বেড়ে খাইয়ে গেছে।সবাই খেলেও আহান খেলো না।চুপচাপ বসে আছে সবাই।পুরো বাড়ি জুরে পিনপিন নীরবতা।সন্ধ্যার দিকে অধরার ঘুম ভাঙে।কিছুক্ষণ পাগলামি করে।একদম চুপ হয়ে যায়।শান্তি দৃষ্টিতে মাটির দিকে চেয়ে বসে আছে।হাতে স্যালাইন চলছে।অধরার নানি অধরার পাশে এসে বসেছে।অধরা কোনো কথা বলছে না।এতক্ষণে অধরার আকাশের কথা মনে হলো।সারাদিন পাগলামির জন্য আকাশের খোঁজ নেওয়া হয় নাই।ছেলেটা গেলো কোথায়।ভাঙা কণ্ঠে বলে উঠলো।

–চাচি আকাশ কোথায়।সারাদিন কিছু খেয়েছে আকাশ।মানুষজন খুব ভয় পায়।একটু দেখবেন।বলল অধরা।

–তুই বস।এত চিন্তা করিস না।আমি দেখছি আকাশ কোথায়।বললেন রুবিনা বেগম।

–থাক তোমার আর নাটক করা লাগবে না।যদি পারো যাও নিজের মেয়ের পাশে থাকো।বলে’ই উঠতে যাবে।তখনি আহান আকাশকে নিয়ে ভেতর প্রবেশ করে।আহানের সাথে আকাশকে দেখে অধরা চিৎকার দিয়ে আকাশকে নিজের কাছে ডেকে নিলো।এত জোরে চিৎকার দেওয়াতে আকাশ চমকে উঠলো।

–আপনি কোন সাহসে আমার ভাইয়ের গায়ে হাত দিয়েছেন।আমার বাবাকে মেরে আপনাদের শান্তি হয় নাই।আবার আমার ভাইকে মারতে আসছেন।

–অধরা আমি..

–আমি আপনার থেকে একটা কথাও শুনবো না।কি দেখতে এসেছেন।রং তামাশা দেখতে এসেছেন।রং তামাশা দেখে হয়ে গেলে চলে যান।আর হ্যাঁ যাওয়ার আগে আপনাদের টাকা টা নিয়ে যাবেন।ওটা আমার কোনো কাজে আসে নাই।টাকার কথা মনে হতে অধরার ব্যাগের কথা মনে পড়লো।কি জানি ব্যাগ টা কোথায় আছে।

–আপাই তুই ওনাকে বকছিস কেনো।বাসায় এত মানুষ দেখে আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম।পরে রান্না ঘরে লুকিয়ে ছিলাম।আমার অনেক ক্ষুদা লেগেছিল আপাই জানিস।কেউ আমাকে খেতে দেয় নাই।উনি আমাকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলেন।আপাই জানিস আমি’ও না।বাবার করবে মাটি দিয়েছি।আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল আপাই।পরে উনি আমাকে বুঝিয়ে নিয়ে এসে খাবার খাইয়েছেন।আমার দিকে কারো নজরই ছিলো না।এক হাত দিয়ে চোখের পানি মুছ ছিলো।আর কথা গুলো বলছিলো।ছোট আকাশ টা হয়তো কষ্ট পাচ্ছে।কিন্তু এখনো বুঝে উঠতে পারে নাই।সে,কি হারিয়ে ফেলছে জীবন থেকে।

–এই তোকে খাবার খাইয়েছে মানে।তুই কেনো ওনার হাতে খাবার খেলি।তোর খাবারে আবার বিষ মিশিয়ে দেয় নাই তো আবার।

–কি বলছো এসব অধরা।আমি কেনো ওর খাবারে বিষ মিশিয়ে দিতে যাব।

–আপনি একদম চুপ।আমি একটা কথা শুনতে চাই না আপনার থেকে।আকাশ এদিকে আয়।বলেই আবার আকাশকে নিজের কাছে টেনে নিলো।

–এটা তুমি কি করলে,আমি তোমাকে অধরাকে মারতে বলছিলাম।আর তুমি অধরার বাবাকে মেরে ফেললে।

–বিশ্বাস করো।আমি অধরার বাবাকে মারি নাই।আমি তো অধরা মনে করে।একটা নার্সকে মেরে ফেলছি।

–তোমাকে আমি একদম বিশ্বাস করি না।তুমি খালি মিথ্যা কথা বলো।

–বিশ্বাস করো আমি একদম মিথ্যা কথা বলছি না।আমি খবর পেয়েছিলাম।অধরা বিকেলের গাড়িতে উঠে বাসায় যাবে।আমি অধরার আগেই পৌঁছে গিয়ে ছিলাম।তুমিই তো বলেছিলে অধরা খয়েরী রঙের শাড়ি পড়ে ছিলো।রাতে একটা নার্স খয়েরী রঙের শাড়ি পড়ে বাসায় ফিরছিলো।আমি অধরা মনে করে তাকে মেরে ফেলছি।

–একদম মিথ্যা কথা বলবে না।আমি জানি অধরার বাবার অপারেশন থিয়েটারে তুমি ছিলে।আমি একশো পারসেন্ট শিওর।

–দেখো আমি একজন ডক্টর হয়ে।একটা রুগীকে মারতে পারি বলো।আমি খারাপ হতে পারি।কিন্তু এতটা খারাপ না।অধরার বাবার অপারেশন থিয়েটারে আমি ছিলাম না।

–তুমি যে কি তা আমি ভালো করেই জানি।আমি অধরাকে মেরে আমার বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছি।কিন্তু অধরার বাবাকে মারতে চাই নাই।

–কি অধরার বাবা অধরার বাবা করছো।মনির কি অধরার বাবা নাকি।অধরার আসল বাবা মা তো।বলতে গিয়ে থেমে গেলো।মহিলাটি।

–অধরার বাবা মা তো কি।

–কিছু না।

–বলো।

–আমি তোমাকে সব কৈফিয়ত দিতে বাধ্য না।

–তোমার শহরে থাকা মুশকিল করে দিব।তুমি আমাকে চিনো না।

–আমি যদি ফেঁসে যাই।তাহলে তোমাকেও ফাঁসিয়ে দিব।

–তুমি যে,কি করছো।তোমার সত্যি টা সামনে আসলে।তোমার ফাঁসি নিশ্চিত।আমার বাবার অনেক টাকা আছে।কয়দিন পরে ঠিক জামিন করে নিয়ে আসবে।আমি তোমার মতো এত জঘন্য কাজ করি নাই।

–নিজে করো নাই।আমাকে দিয়ে করাচ্ছো।

–একদম বাজে কথা বলবে না।তোমার আমলনামা খুললে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবে না।

–তোমার এত সাহস আমাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছো।আবার আমাকেই হুমকি দিচ্ছো।একটা ইনজেকশন দিয়ে দিব।দুই মিনিট এর মধ্যে শেষ তুমি।

–তোমার মতো মহিলাকে কে ডক্টর বানিয়েছেন।নিশ্চয় উনিও পাগল ছিলেন।তাই তোমার মতো মহিলাকে ডক্টর বানিয়েছেন।

–একদম আমাকে পাগল বলবে না।খবর খারাপ করে দিব।এই পাগল যদি পাগলামি শুরু করে না।তাহলে তুমি শেষ।

–দাঁড়াও তোমাকে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি।অধরাকে আমি একাই মারতে পারবো।বলেই মেয়েটি চলে যাচ্ছিলো।তখনি মহিলাটি মেয়েটির চুল টেনে ধরে।

–তোমার এত বড় সাহস।তুমি আমার চুল টেনে ধরো।আজকে তো আমাকে আমি ছাড়বোই না।বলেই দু’জন চুল টানাটানি করে মারামারি করতে লাগলো।

এভাবেই সাতটা দিন কেটে গেলো।মিনারা বেগম থেকে স্বাভাবিক আচরন করে।আবার থেকে থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করে।অধরা প্রথমে বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে নিলেও।এখন ভেতরে ভেতর কেমন জানি সন্দেহ লাগে।ডক্টর যে ঔষধ গুলো দিয়ে যায়।সেগুলো খেলেই কেমন জানি অস্বাভাবিক আচরণ করে।

সকালেও কি সুন্দর ভাবে কথা বললেন।জড়িয়ে ধরে কান্না করলো।কিছু একটা বলতে চেয়েছিলো তাকে।কিন্তু ডক্টর আসায় বলতে পারলো না।ডক্টরের চোখ দু’টি অধরার ভিষণ চেনা চেনা লাগে।কিন্তু মনে করতে পারে না।কালকে শহরে চলে যাবে সবাই।মিনারা বেগমকে অধরার নানি তার সাথে নিয়ে যাবে।অধরা রুমে শুয়ে শুয়ে এসব ভাবছিলো।তখনি আহান এসে অধরার পায়ের কাছে বসে।অধরা রেগে জানালার কাছে চলে যায়।এই সাতদিন অধরা আহানের সাথে একটা কথা বলে নাই।আহানকে দেখলে তার ঘৃণা হয়।সয্য করতে পারে না।সে আহানকে।আহান অনেক রকম ভাবে অধরার কাছে মাফ চেয়েছে।আহানের কোনো কথায় অধরার মন গলাতে পারে নাই।হঠাৎ করেই অধরা আগুনে ফুলকি দেখতে পেলো জানালার কাছে।বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে অনেক দিকে চলে আসলো।টেবিলে থাকা চাকু টা হাতে নিলো।ব্যক্তিটি যখনি ম্যাচের কাটি ধরিয়ে রুমের মধ্যে ফেলতে যাবে।তখনি অধরা ব্যক্তিটির হাতে চাকু বসিয়ে দেয়।মা গো বলে চিৎকার করে উঠলো মানুষটি।অধরা দৌড়ে বাড়ির পেছনে গেলো।গিয়ে দেখলো চারিদিকে দাউ দাউে চারিদিকে জ্বলে উঠছে।অধরার এমন কাজ দেখে আহান প্রচুর অবাক হচ্ছে।একটা মেয়ে হতে এতকিছু কি ভাবে করতে পারে।অধরা সবাইকে ডাক দিলে সবাই এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।অধরা বাড়ির দেওয়া শুঁকে দেখলো।পুরো বাড়ির দেওয়ালে কেরোসিন তেল দেওয়ার।অধরার আগে থেকেই সন্দেহ ছিলো।কেউ ইচ্ছে করে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।কিন্তু সে কে।উত্তর খুঁজে পেলো না।অধরা রুমে আসতেই আহান প্রশ্ন ছুড়ে দিলো।

–তুমি এত সুন্দর ভাবে চাকু মারলে কিভাবে।তুমি খুবই দক্ষ হাতে চাকু চালালে।প্রশিক্ষণ ছাড়া এভাবে কোনো সাধারণ মানুষ চাকু চালাতে পারে না।

–এটা কোনো বিষয় টা আপাই এর কাছে।আমার আপাই তো…বলতে পারলো না।অধরা আকাশের মুখ চেপে ধরলো।

–তোর খুব বেশি কথা হয়ে গেছে।একরাতে না ঘুমিয়ে জেগে আছিস কেনো তুই।রাত জাগলে শরীর খারাপ হবে।যা গিয়ে ঘুমিয়ে পর।

–আমাদের বাড়িতে দু’টো রুম।ঐ রুমে সবাই শুয়ে বসে আছে।বিছানায় জায়গা নাই।মাটিতেও জায়গায় নাই।তাহলে আমি কোথায় ঘুমাবো।সবাই সেই গল্প করছে।আম্মুর মন খারাপ সবাই আম্মুকে নিয়ে ব্যস্ত।

–কেনো আমার এতবড় একটা রুম তোর চোখে পড়ছে না।যা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়।

–তাহলে তুই আর দুলাভাই কোথায় ঘুমাবি।

–তোর মাথায় কে ঢুকিয়ে দিলো এসব।উনি তোর কেউ হয় না।একদম ভাই টাই বলে ডাকবি না।

–কিন্তু আম্মু বলেছে উনি আমার বড় ভাই হয়।সন্মান দিয়ে কথা বলতে বলছে।তুই তো বলিস বড়দের কথা অমান্য করতে হয় না।বড়দের কথা অমান্য করলে নাকি বেয়াদবি করা হয়।

অধরা আর কোনো কথা বলল না।চুপচাপ জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছে।অধরার বিয়ের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মাকে।তার মা কিছু বলে নাই।শুধু কিছুক্ষণ আহানের দিকে তাকিয়ে ছিলো।তারপরে সবাইকে বলছে।তার জামাইয়ের যেনো কোনো অযন্ত না হয়।এরপরে আর কোনো কথা বলে নাই অধরার মা।অধরা জানালা দিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে আছে।শুকনো পাতার ওপরে রক্ত পড়ে আছে।ঘরের আলো দিয়ে তা বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে।সকালে গিয়ে ভালো ভাবে দেখতে হবে।তবে যে আসছিলো আগুন লাগাতে।সে,কোনো ছেলে না।চিৎকার শুনে-ই বুঝতে পেরেছিলো মেয়ের কণ্ঠ।কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসি দিলো অধরা।তবে কি সে লক্ষের কাছাকাছি চলে এসেছে।মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।পাখি যখন নিজে যেচে ধরা দিতে চাইছে।তাকে ধরতে আমার কিসের সমস্যা।ভাবতে-ই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো অধরা।

চলবে…..
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here