#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ৭
অভ্রের এমন ভয়ার্ত মুখ খানা দেখে মিহি জ্ঞান হারানোর অবস্থা। মিহির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কিন্তু এতে অভ্রের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
–ন্যাকা কান্না বন্ধ কর। তোর কী মনে হয় আমি তোকে ফোনটা এমনি দিয়েছি। ফোন দিয়েছি তোকে তুই কেমন তা দেখার জন্য।।।
— ক…ক..কি দেখেছেন।
–এমন সিস্টেম করে দিয়েছি তোর ফোনে কল আসার আগে, আমার ফোনে কল আসবে। সব কথা আমি শুনেছি। আর একদিন এইমুখে ঐ ছেলের নাম উচ্চারণ করলে তোর মুখে গুলি করে দিবো।
–কেনো আপনার এতো লাগে। বিয়ে করেছেন নামে, আমাকে আপনার রুমে পর্যন্ত থাকতে দেন নাই, ভালো করে মুখ দিয়ে একটা কথা ও বলে না। ছয় মাস পর তো ছেড়ে ই দিবেন আমার যা ইচ্ছা করবো আপনার কী??
–এই ছয় মাস, ছয় মাস কী ছয় সেকেন্ড ও আমার কথা ছাড়া এক পা ও নিচে ফেলবেন না মনে রাখবেন।
–পাড়বো না আপনার কথা শুনতে। কেনো বিয়ে করেছিন আমাকে। আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছেন।
কান্না করতে করতে মিহি কথাগুলো বললো।
–আরো করবো। ফোন নিলাম না কারো সাথে কথা বলার আগে এটা ভেবে নিয়েন আমি সব শুনছি।
মিহি মাথা নিচু করে বসে আছে, উঠছে ও না, আবার প্লাজু আর ট্রি-শার্ট পড়েছে। বাচ্চাদের মতো চুলগুলো দুইপাশ দিয়ে জুটি করে রেখেছে। অভ্র এবার মিহির দিকে ভালো করে তাকালে পুরো বাচ্চাদের মতো দেখাচ্ছে। গুটিসুটি মেরে বসে আছে একটু খানি জায়গাতে।
–রেডি হয়ে নিন।
–যাবো না।
–জানতাম তাই তো আপনার কথাগুলো ফোনে রেকর্ড করে রেখেছি, যাই আঙ্কেল কে শুনিয়ে আসি।
–এই না, যাবো না।
–হুম রেডি হন।
–যেতে ইচ্ছে করছে না।
–তাই, আচ্ছা যাই আমি সবাইকে শুনিয়ে বাসায় চলে যাবো।
–ধুর যাচ্ছি তো।
–না না থাক আপনি কেনো যাবেন। আপনার যেতে হবে না, আমি বরং সবাইকে রেকর্ডগুলো শুনিয়ে বাসায় চলে যাবো।
–যাবো আমি আপনার সাথে বলছি তো এতো কথা বলেন কেনো।
বলে ই মিহি বেড ছেড়ে উঠতে যাবে পরক্ষণেই মনে হলো। এই পোশাকে কী অভ্রের সামনে দিয়ে যাবে এতোক্ষন তো কাথা দিয়ে পুরো শরীর ডেকে রেখেছিলো তাই বললো,
–আপনি অন্যরুমে যান।
–কেনো।
–আমি যেতে বলছি তাই।
–যাবো নাহ্
–তাহলে আমি ও উঠবো না।
–কেনো মিহি।
–এমনি যান আপনি অন্য রুমে যান। এই আম্মু উনাকে…
এর আগে ই অভ্র মুখ চেপে ধরলো,
–এতো আম্মু আম্মু করেন কেনো। যাবো না বলছি যাবো না। আন্টি আসলে সোজা সব বলে দিবো আন্টিকে, প্রমাণ সহ।
অভ্রের সামনে দিয়ে যেতে অনেক লজ্জা লাগতেছে।
হঠাৎ কাথা সরিয়ে আমাকে কোলে তুলে ওয়াশরুম নিয়ে গেলো।
–এতো লজ্জা পাচ্ছেন কেনো। আমি আপনার স্বামী হই মনে রাখবেন।
–মুখে বললে ই স্বামী হওয়া যায়না অভ্র চৌধুরী।
আমাকে শাওয়ারের নিচে নামিয়ে উনি চলে যেতে নিলেন, আমি উনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শাওয়ার অন করে দিলাম। উনি আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ছেড়ে ই দিয়েছি, অভ্রের সাথে না পেরে।
এতোক্ষণ পুরোপুরি না হক অর্ধেক ই ভিজে গেছে। এভাবে তো বাসায় যেতে পারবে না। খুশিতে নাগিন ড্যান্স দিতে মন চাচ্ছে।
অভ্র আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।
আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছি।
–এটা কী করলেন আপনি।
–আপনি না এখন বললেন স্বামীর সামনে লজ্জা পেতে নেই তাই একটু জড়িয়ে ধরলাম।
–আমি এখন এইভাবে বাসায় যাবো কী করে।
–কেনো এইখানে থাকলে সমস্যা কী।
–এইখানে থাকার জন্য ই এমন করেছেন তাই না।
–বুঝেছেন তাহলে, আমি বাহিরে যাচ্ছি। বাবার লুঙ্গি এনে দিচ্ছি পেড়ে নিয়েন।
এটা বলে ই বের হয়ে চলে আসলাম। আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করার শাস্তিটা দিলাম। মজা ই লাগতেছে। উনি অনেকটুকু ভিজলে ও আমি বেশি ভিজি নাই তাই বাহিরে চলে আসলাম।
আম্মুর রুমে ড্রেস চেঞ্জ করে নিলাম।
বাবার লুঙ্গি আনতে যাবো অমনি সামনে আম্মু পড়লো,
–কিরে অভ্র কোথায়
–আছে বাথরুমে।
— কেনো কী হয়েছে।
আমি লুঙ্গি হাতে নিয়ে বললাম, কয়েকদিনে বিয়ের তালে পড়ে যে খাওয়া খেয়েছে হয়তো ডায়রিয়া করেছে,
–কী বলিস এসব।
–আরে, বলো মা। ডায়রিয়া না করলে কী আর আমাকে লুঙ্গি নিতে পাঠায়।
–কী বলিস তোর বাবাকে কল দিয়ে বলবো ডাক্তারের সাথে কথা বলে ঔষুধ নিয়ে আসতে।
–আরে মা আমার মনে হচ্ছে ডায়রিয়া অভ্রের করিনি তোমার করেছে। তুমি এতো উত্তেজিত হচ্ছো কেনো।
–আরে জামাই প্রথম বার শ্বশুর বাড়ি এসেছে। ওর ভালো মন্দ দেখতে হবে না।
–আচ্ছা মা আর ভাবতে হবে না তুমি রান্না করো গিয়ে।
আর এক মুহুর্ত ও দাড়ালাম না। আবার কী না কী প্রশ্ন করে কে জানে।
রুমে ডুকতে ই অভ্র ওয়াশরুমের দরজা ফাক করে বলে।
–লুঙ্গি আনতে গিয়েছিলেন নাকি ভারতবর্ষে ঘুরতে গিয়েছিলেন।
–তা যাইনি তবে ইচ্ছে আছে কাশ্মীর যাওয়ার।
— আমার লুঙ্গি দিয়ে পড়ে যেখানে ইচ্ছে চলে যান।
উনাকে লুঙ্গি পড়ে বের হতে দেখে আমার বড্ড হাসি পাচ্ছে। মুখ টিপেটিপে হাসছি।
দেখে মনে হচ্ছে লুঙ্গি পড়েছে খুব কম।
–এই আপনি হাসছেন কেনো।
–আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে তো তাই। এর থেকে ভালো কিন্তু আমি লুঙ্গি পড়াতে পাড়ি।
–এই না না আপনি আমার কাছে আসবেন না। আর আপনি কাকে লুঙ্গি পড়িয়ে দিতেন যে আমার থেকে আপনি মেয়ে হয়ে ভালো পাড়েন।
–আমাদের ভাই নাই তো আমি ই অনেক সময় লুঙ্গি পড়ে মা বাবার সামনে গিয়ে বলতাম তোমাদের ছেলে আমি। ঐ খেলার ছলে শিখা হয়ে গিয়েছে। আর আপনার কাছে যাবে কে শুধু বললাম আর কী।
আমি ঐসময় ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ই জামা চেঞ্জ করে নিয়েছিলাম, আম্মুর রুমে গিয়ে। একটা থ্রি-পিস পড়ে নিয়েছি।
–আপনি কী বাসা থেকে জামা নিয়ে আসেননি।
–নাহ্।
–কেনো।
–আমার বাসায় জামা আছে তাহলে আনবো কেনো।
–বাবার বাড়িতে এসে আগের জামা কাপড় পড়লে তো বলবে আমি কিছু ই কিনে দেইনি।
–কেউ বলবে না। এতো অধিকার বা মায়া কোনোটা দেখিয়ে ই লাভ নেই কয়েকদিন পর তো আলাদা ই হয়ে যাবো তাই নিজেরদের মতো করে ই চলে উচিত মিস্টার অভ্র।
কথাটা বলে আম্মু কাছে চলে আসলাম। রান্নাঘরে এসে বসলাম। আমাদের মাটির চুলায় রান্না হয়। আম্মুর হাতের রান্নার ও তারিফ করা লাগে।
–রান্না শেষ, অভ্রকে নিয়ে খেতে যা।
–আমি পারবো না তুমি ডেকে আনো।
–তা বললে কী হয় নাকি।
উঠে খাওয়ার রুমের দিকে যেয়ে ই আম্মু অভ্রকে ডাকলো।
দেখলাম বাসার বাহিরে থেকে ভিতরে আসতেছে।
–কোথায় গিয়েছিলে বাবা।
–গাড়িতে একটা ট্রি -শার্ট ছিলো তা আনতে।
–ওহ্ তা বাবা এখন তোমার কী অবস্থা একটা স্যালাইন বানিয়ে আনবো। খাবে তুমি। আর তোমার শ্বশুর কে বলবো ওষুধ আনতে।
–আন্টি এগুলো দিয়ে আমি কী করবো আর কিসের ঔষুধ।
আম্মুর কেনো এখন ই এটা বলতে হবে মিহি আজকে তুই শেষে…
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ৮
আমি আস্তে আস্তে করে রুম থেকে বাহিরে বের হতে চাইলে ই অভ্র আমার হাত ধরে ফেলে,
–কোথায় যাচ্ছেন আপনি।
–ক..কোথাও না।
–আন্টির কাছে কী বলেছেন।
–আম্মু আমি কী কিছু বলেছি তোমাকে বলো।
আম্মু আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকাতে ই আমি ইশারায় বলি, “বলো না আম্মু ”
–এই মিহি তোর এসব কথা কী আমি শুনবো।
বাবা শোন মিহি বলেছে তোমার নাকি পেটে অসুখ হয়েছে
–যাক শেষ রক্ষে হলো না আর। আমি এবার আম্মুর সাথে রাগ দেখিয়ে রুমে চলে আসলাম।
–এই পাজি মেয়ে তুই চলে যাচ্ছিস কেনো, আর আমাকে মিথ্যে ই বললি কেনো।।
–আন্টি আমার কোনো সমস্যা হয়নি, আপনি আমাকে খাবারগুলো দিয়ে দিন আমি রুমে নিয়ে খেয়ে নিচ্ছি।
–তুমি দাড়াও বাবা আমি রুমে দিয়ে আসছি, মিহিকে বলো খেতে আমার সাথে রাগ করে আজকে আর খাবে না।
–মিহি অনেক দুষ্টুমি করে আন্টি।
–সবাই বলে মেয়েরা নাকি শান্ত হয়। আর এই মেয়ে আমার হাড় মাংশ সব জ্বালিয়ে খেয়েছে বাবা। ছোট বেলা থেকে ই অনেক দুষ্টুমি করে। মিহি অনেক দুষ্ট, অগোছালো আর আমার মিনতি অনেক পরিপাটি ও শান্ত স্বভাবের। আমার দুই মেয়ে হচ্ছে দুই মেরুর মানুষ।
খাবর গুলো সব গুছিয়ে টেবিলে রাখা ছিলো, ঐখান থেকে দু’টো প্লেটে খাবার সাজাতে সাজাতে কথাগুলো বললো মিহির মা। এতো খাবার,সবগুলো মিহির রুমে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাই অভ্র বললো প্লেটে সাজিয়ে দিতে।
মিহির মা প্লেটগুলো মিহির রুমে দিয়ে আসার পর, অভ্র রুমে ডুকলো, দেখলো মিহি আবার কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। অভ্র পাশে গিয়ে বললো,
–আন্টিকে কী বলবো, আমি কীসের জন্য ঐ টাইমে গোসল করেছিলাম।
মিহি কাঁথার ভেতর থেকে মুখ বের করে বললো,
–কী বলবেন।
–এই যে আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরে ভিজিয়ে দিয়েছিলেন।
–ছিঃ আপনি এই কথা মা কে বলতে পারবেন। নির্লজ্জতা আপনার আকাশ ছুয়েছে।
–আপনি না উঠলে তো বলবো ই। আপনি যেহেতু আমার পেটে অসুখ এর কথা বলতে পেরেছেন আমি না হয় একটু নির্লজ্জ হবো ই এটা বলে।
–উঠে কী করবো আমি খাবো না।
–আপনাকে খেতে বললো কে। আমার সামনে শুধু বসে থাকবেন।
–(আমার ক্ষুধায় অবস্থা খারাপ কোথায় একটু বলবে, উঠো আমি খাইয়ে দিচ্ছি তা না আমাকে উনার সামনে বসে থাকতে বলে) মনে মনে কথাগুলো বলে উওর দিলাম পারবো না।
–না পারলে আন্টিকে গিয়ে বলে আসি আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ঐটাইমে তাই আমি ভিজে গিয়ে গোসল করেছি।
–সব সময় এমন করেন, উঠতেছি তো।
অভ্র আমার সামনে চেয়ার টেনে বসলো। এক প্লেট হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করলো।
–আপনি কী খাবেন নাকি
–নাহ্
–ওহ্ আচ্ছা, ক্ষুধা পেয়েছে আমার অনেক না খেলে ই ভালো। ঐ প্লেটের খাবার টা ও খেবো আমি।
আস্তো রাক্ষস একটা।এতো খাবার নাকি এভাবে নিজে একা খাবে। তাও তো মোটা হয় না বডি ফিটনেস তো ঠিক ই আছে, তা আবার জিরাফের মতো লম্বা আর লম্বা মানুষ নাকি খায় বেশি, কিন্তু মোটা হয়না এটা ই তো শুনেছি।
–আপনি কী কিছু বললেন।
–নাহ্ আমি আপনাকে কী বলবো বলেন।
অভ্রের খাওয়ার স্টাইল দেখে ক্ষুধা আরো বেড়ে গিয়েছে। ঐটাইমে তো না বলেছি এখন কী করবো।
উনি এক প্লেট এর খাবার শেষ করে আরে প্লেট হাতে নিলে। তার মানে আমার খাওয়া আজকে আর হবে না। উনি খাবার শেষ হলে ই আমি আম্মুর কাছে গিয়ে খেয়ে আসবো।
–একটা কথা কী জানেন মিহি।
–নাহ্ জানি না।
–এতো তেতে আছেন কেনো।
–এমনি, আপনার কী।
–আমার ই তো অনেক কিছু, আমি আসার সময় আন্টি বলেছি সব গুছিয়ে যেনো ঘুমিয়ে পড়ে। আমাদের আর কোনো কিছু প্রয়োজন হবে না।
–এবার তো আমার খাওয়া আর হবে না দেখছি এই হনুমানটার জন্য।
–একটু আগে আমার পেটে অসুখ না হলে ও কিন্তু এখন দেখছি আজকে আমার বাথরুমে ই থাকতে হবে আপনি আমার খাবারের দিকে যেভাবে চোখ দিচ্ছেন।
কথাটা বলে ই উনি আমার মুখের খাবার ধরলে,
–খাবারের সাথে রাগ করতে নেই।
আমি আর কোনো কিছু না ভেবে ই খাবার মুখে নিয়ে নেই। খাবার না খেলে আমার ই কষ্ট হবে এতো রাগ করার কিছু নেই।
–আমার নামে যে আন্টির কাছে বাজে কথা বলেছেন তার শাস্তি খাবার দিয়ে দিলাম।
উনি আমাকে খাওয়াতে খাওয়াতে কথাটা বললেন আমি কোনো উওর দিলাম না। খাওয়ানো শেষ হলে উনি প্লেটগুলো টেবিলের উপর এনে রাখে হাত ধুয়ে এসে বললেন।
–আমি গাড়িতে যাচ্ছি।
–তার দরকার হবে না। আমার সাথে বেড শেয়ার করলে প্রবলেম টা কী জানতে পারি।
–পড়ে যদি ছয় মাস পর আমাকে এসে সিনামার মতো বলেন, “আমার পেটে আপনার সন্তান”
–আপনার আমাকে এমন মনে হয়।
–জানি না তবে মানুষ চেনা বড় দায়।
–তাহলে এতো সন্দেহ নিয়ে বিয়ে করেছেন কেনো।
–সময় হলে সব জানতে পারবেন।
–আর কবে সময় হবে।
–বিয়ে হয়েছে মাত্র তিনদিন হলো। এতো তারা কীসের মিহি।
–আমার জায়গায় নিজেকে দাড় করিয়ে দেখেন কেমন লাগে।
— অতো কিছু জানি না। আপনি এইখানে শুয়ে পড়েন। আমার গাড়িতে ঘুমানোর অভাস আছে।
–আজকের রাতটা অন্তত এমন করবেন না। আমি যদি এখন অন্য রুমে ঘুমাতে যাই তাহলে আমার বাবা মা অন্য কিছু মনে করতে পারে। এই জন্য বলছি অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। আমি চাই না আমার বাবা মার মাথায় অন্তত আমার ব্যাপারে কোনো প্রকার দুশ্চিন্তা হক।
–আমি গাড়িতে ঘুমালে বুঝবে না কেউ কিছু।
–এতো করে বলার পর ও আপনি আমার কতা শুনছেন না, কেনো। বলুন তো।
–আমি বেড শেয়ার করতে পারবো না।
–তাহলে কী ভেবে নিবো আপনার গার্লফ্রেন্ড নিষেধ করেছে
কোনো কথা না বলে অভ্র চলে যেতে চাইলে পিছন থেকে হাতটা ধরে ফেলি। অভ্র আমার হাতের দিকে তাকিয়ে….
চলবে,
চলবে।
[ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবসময় লিখে আবার গল্পটা পড়ার টাইম পাইনা তাই আপনাদের বলি বার বার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখাবেন,ধন্যবাদ ]