#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:11
#Suraiya_Aayat
বাসর ঘরে একা বসে আছে আরূ আরিশ এর জন্য অপেক্ষা করছে ৷ প্রথম দিন ওর সাথে কি কি ঘটেছে না ঘটেছে সেগুলো আর কিছুই মনে নেই কিন্তু এতদিনে দ্বিতীয়বার আর এরকম কোন কিছু হয়নি আরিশের থেকে , তাই আজও আরিস ওর উপরে হামলে পড়বে কি সেই নিয়ে কিঞ্চিৎ প্রশ্ন আছে আরুর মনে৷
সাড়ে 11 টার সময় ওকে সানা বসিয়ে রেখে চলে গেছে আর এখন প্রায় ঘড়ির কাঁটা একটা ছুঁই ছুঁই, এতক্ষণ ধরে এক জায়গায় বসে রয়েছে আরূ ঘুমাতেও পারছে না শুধু মনে হচ্ছে এখনি আরিশ যদি এসে ওকে ঘুমাতে দেখে তাহলে ভাববে ও আরিশ এর জন্য অপেক্ষা করেনি তখন তো আরিস বকাবকি করবে ওকে ৷ এই সব কথা এখন ওর মাথর ভিতরে চলছে ৷
এক জায়গায় এতক্ষণ ধরে বসে থেকে হাঁসফাঁস করছে আরূ, না পেরে গায়ের কোন পোশাক পরিবর্তন না করেই ঘুমিয়ে পড়ল , এর মাঝে যদি আরিস বাড়ি আসে, যদি ওকে বকে তাহলে ওর কিছু করার নেই কারণ ও নিজে জানে যে ও অনেকক্ষণ আরিশ এর জন্য অপেক্ষা করেছে……
অনেকক্ষণ ড্রাইভ করার পর ফার্মহাউস এ পৌঁছেছে আরিশ ৷ সারাদিন অত্যন্ত ধকল গেছে তাই খুব ক্লান্ত৷ দারোয়ানকে কিছু একটা বলে ঘরের ভেতর চলে গেল আরিস, গায়ে থাকা পাঞ্জাবিটা খুলে শুয়ে পড়ল৷
শুয়ে পড়েছে আর মাথায় চলছে আরুশিকে নিয়ে হাজার জল্পনা-কল্পনা ৷
আজকে এমন একটা দিনের রাতে ও এখানে আসতে বাধ্য হয়েছে কারণ ও জানে আরুশিকে দেখলে হয়তো নিজে কে আর কন্ট্রোল করা সম্ভব নয় কোনোভাবেই তাই তার থেকে ভালো আজকের দিনটায় ওর থেকে একটু ডিসটেন্স রেখে থাকা ৷ এমনিতেও আরিশ কখনো আরুশিকে খারাপভাবে স্পর্শ করেনি , প্রথম দিন কেবলমাত্র আরুশিকে ভয় দেখানোর জন্যই সবকিছু করেছিল তবে কোনো রকম শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেনি আরুশির সঙ্গে , আর এতটা নিচ মানসিকতার মানুষ নয় আরিশ ৷ ও আরুশিকে ভয় দেখাবে কি তার আগেই আরুর জ্ঞান হারিয়ে যায় তার জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায় ওর কাছে ৷ যতখন আরু অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিল ততক্ষণ আরিশ আরুর থেকে এক পলকও সরাইনি , হয়তো এটাই নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে দেখার সুখ ৷
ভালোবাসি কথাটা আরূ কে না বলতে পারলেও কখনো ভালোবাসার কমতি রাখেনি ও ৷ সব সময় ভয় হয় ওর এই ভেবে যে এই বুঝি ওর আরূপাখি ওর থেকে হারিয়ে গেল , হয়তো কেউ কেড়ে নিল ওর থেকে ৷
হাজারো কল্পনা জল্পনা করতে করতে কখন চোখের পাতা দুটো হয়ে গেল তা আরিশের খেয়ালই নেই…..
|
|💖
|
হঠাৎ দরজায় ঠকঠক করে আওয়াজ এর শব্দে ঘুম ভেঙে গেল আরুশির ৷ সারারাত ঘুম খুব একটা ভাল হয়নি , অনেকটা টেনশন মিশ্রিত ঘুম ছিল ৷ তবে এখন ঠিক কয়টা বাজে আরুশি জানে না, ও ভাবল হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে ঘুম থেকে উঠতে তাই কেউ ডাকতে এসেতে ৷ চোখ খুলেই ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখলো ভোর সাড়ে চারটে বাজে ৷
আরুশি : ঘড়ি টা কি খারাপ হয়ে গেল? কিন্তু কাল তো ঠিকই ছিল ৷
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই আবার দরোজায় টোকা পড়ল ৷
আরুশি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি দরজাটা খুলে দিল, হয়তো আরিশ এসেছে এই ভেবে , আর ঠিক তাই হলো ৷ আরিশ এসেছে ৷
আরু দরজা খুলতেই আরিশ শান্ত কন্ঠে বলল: ঘুম হয়েছে সারারাত?
আরুশি চুপ করে আছে…
আরিশ : ঘুম তো ভালো হবেই, আমি বিহীন একটা রাত কাটালে তাই ৷ তা ভালো ঘুমোলে চোখ মুখের এ অবস্থা কেন ? কেমন ফোলা ফোলা লাগছে চোখদুটো৷
আরুশি শান্তকণ্ঠে : আপনার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম অনেক রাত অব্দি, তবে আপনি আসেননি ৷ কোথায় গিয়েছিলেন আপনি ? মাথা নিচু করে কথাগুলো বলল ৷
আরিশ শব্দ করে হেসে ফেললো তারপরে আরুশিকে ওর বুকে জড়িয়ে নিল ৷
আরিস : আমার ছোট্ট বউটা আমার জন্য অপেক্ষা করছিল রাত জেগে শুনে খুশি হলাম ৷ আচ্ছা এখন আমি চলে এসেছি এখন আমার সাথে ঘুমাবে ৷
আরিশ : তুমি এখনও জামাকাপড় পড়ে চেঞ্জ করোনি কেন?
আরোশী : আপনার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাই আর মনে নেই ৷
আরিশ: আচ্ছা করনি যখন আমি এখন করিয়ে দিচ্ছি৷
আরূর চোখ দুটো যেন বার হয়ে আসবে এরকম অবস্থা ৷ তাড়াতাড়ি আরিশৈর থেকে দূরে সরে গেল ৷
আরু: না না , আপনাকে কিছু করতে হবে না , আমি আসছি বলে তাড়াতাড়ি একটা শাড়ি নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে গেল ৷
আরু চলে যেতে আরিস হেসে বিছানায় গড়াগড়ি দিতে লাগলো আরূর কান্ড দেখে ৷ আরু যে সত্যিই ওর কথা বিশ্বাস করে নেবে এটা আরিশ ভাবেনি, তবে এটুকু করার ক্ষমতা রাখে আরিশ সেটা হয়তো আরু ভালোই বুঝতে পেরেছে ৷
আরুশি ড্রেস চেঞ্জ করে এসে দেখল আরিশ ঘুমিয়ে পড়েছে ৷ আরিশ এর কাছে গিয়ে নিজের মুখ নিয়ে গিয়ে বেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগল আরিশ ঘুমিয়ে আছে কি! তারপর দেখল যে আরিশ ঘুমিয়ে পড়েছে, এটা ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস নিতেই আরিশ আরুর হাত ধরে বিছানায় ফেলে দিল…..
আরিশ : কি ভেবেছিল আরূপাখি আমি ঘুমিয়ে পড়েছি ৷ নাহহহ !
আরোশী : আমি ভাবলাম আপনি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছেন তাই দেখছিলাম আর কি!
আরিশ : কেন গো ঘুমিয়ে পড়লে কি অনেক কিছু মিস করে যেতে আরূপাখি ৷
আরু: আপনি এসব কি যা তা বলছেন , মোটেও না৷
আরিশ : ওয়েট. , আমার একটা খুব একান্ত ব্যক্তিগত কাজ বাকি আছে সেটা আমাকে করতে দাও ৷
আরোশী : এই ভোরবেলা আপনার আবার কি কাজ?
আরিশ সাথে সাথে আরুর কোমর ধরে নিজের কাছে এনে হালকা করে আরুশির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছোঁয়ালো ৷
আরিস : কালকে রাতের পেনডিং কাজটা এখন করছি ৷
আরুশি আর কিছুই বলল না চুপ করে রইল কারণ আর কিছু বললে যদি আরিস আবার বেশি কিছু করে ফেলে সেই ভয় ৷
আরিশ : এখন তুমি নিজে ঘুমাও আর আমিও ঘুমাই বলে আরুশিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ল…..
|
|💖
|
আজকে আরিশ অফিসে যাবে, কলেজে বেশি যাচ্ছে না এই কদিন অফিসের চাপে , আর সমস্ত নোটস ও পেয়ে যায় বলে ব্যাপারটাতে বেশি কিছু মনে হয় না ৷ এই বছরের ওর পিএইচডির শেষ বছর, ওর ইচ্ছা ছিল বিদেশে প্রফেসরি করার তবে আপাতত সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এখনও ভেবে দেখেনি ৷
আরুশিকে কলেজের সামনে নামিয়ে দিল আরিশ ৷
আরিশ: ঠিক টাইমে আমি তোমাকে নিতে আসবো আরুপাখি, আর সামান্য দেরি হলেও এক পাও নড়বে না বলে দিলাম ৷আমি যতক্ষণ না আসব ততক্ষন এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে ৷ আর আজকে সানা কলেজে আসেনি বলে এটা ভেবো না যে আমি কিছুই জানতে পারবো না , তোমার অগোচরে সমস্ত কিছু আমি জেনে যাব এটা মনে রেখো ৷ বলে গাড়িটা নিয়ে চলে গেল ৷
আরূ: কেমন মানুষ উনি, যাওয়ার আগেও শাসিয়ে গেল আমাকে ,” আরুপাখিই কোথাও যাবেনা” আরিশের মিমিক্রি করে ৷
এই বলে কলেজে ঢুকে গেল আরূ….
💖
অফিসে ,,,,,,,
আরিশ ওর কেবিনে বসে ইম্পরট্যান্ট ফাইল টা একটু চেক করছে তখনই আফজাল সাহেবের রুমে আসল,উনি কখনো আরিশ এর পারমিশন নেন না কারণ আরিশ সেটা পছন্দ করেনা ৷
আরিশ: বাবা কোন দরকারি কাজ ? না হলে তুমি তো সচরাচর আমার কেবিনে আসো না ৷
আফজাল সাহেব হেসে বললেন : তোমার খালাম্মা ফোন করেছিলেন ৷
আরিশ: তো !(ফাইলে চোখ রেখে)
আফজাল সাহেব : উনারা আর একমাস পরে এখানে শিফট হচ্ছেন, আর তুমি তো জানো যে তোমার খালাম্মা কি চান?
আরিশ : একথম নাহ ৷ ওনার মনে কি আছে ,উনি কি চান না চান সেটা আমি কি করে জানব বাবা ? উনি তোমাকে হয়তো বলতে পারে কিন্তু আমাকে তো বলেননি তাই আমি জানিনা ৷
আফজাল সাহেব শান্ত ধীর কণ্ঠে বললেন : রাইসার সাথে তোমার বিয়েটা দিতে চান ৷
আরিশ আগের মত থেকেই বললো : এটাতো একেবারে সহজ কাজ ৷
আফজাল সাহেব : কিভাবে?
আরিশ: সরাসরি জানিয়ে দাও যে আমি বিয়েটা করতে পারব না ৷আমার বউ আছে ৷
আফজাল সাহেব দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন: আমি জানিয়ে দিয়েছি তবে কথাটা এখনো পৌঁছায়নি রাইশার কান অবধি ৷
আরিশ : পৌঁছায়নি , পৌঁছে যাবে কোন টেনশন করো না ৷ আর এটা নিয়ে তুমি এত বেশি ভেবো না , আই উইল ম্যানেজ ৷
আরিশ : বাই দ্যা ওয়ে, হট কফি নাকি কোল্ড কফি?
আফজাল সাহেব: কোল্ড কফি চ্যাম্প , আই এম প্রাউড অফ ইউ , এত সহজভাবে আমি ব্যাপার গুলো ভেবে দেখি না তাই হয়তো আমার কাছে কমপ্লিকেটেড হয়ে গেল, কিন্তু তুমি যে কি করে এগুলো পারো , বুঝতে পারিনা ৷
আরিশ ফিসফিস করে: টপ সিক্রেট বাবা ৷(বলে চোখ মারল)
বাবা-ছেলে উচ্চস্বরে হেসে উঠলো….
|
|💖
|
বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছে ৷ আষাঢ় মাস শেষ করে শ্রাবণ মাসের আগমন হওয়ার সাথে সাথেই যেন বৃষ্টির ধারা টাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে , আর তার সাথে চঞ্চল হয়ে উঠছে আরুর মন ৷ ও খুব বৃষ্টি তে ভিজতে ভালোবাসে ৷ এই মুহূর্তে ইচ্ছা করছে বাইরে গিয়ে দুই হাত মেলিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ৷
এটা ওর লাস্ট ক্লাস এরপরে আর কোন ক্লাস নেই তাই নিঃসন্দেহে ভিজবে এ রকমই মনস্থির করল আরু….
ছুটির সাথে সাথে ছাতাটা মেলিয়ে কোনরকমে বাইরে একটা নিরাপদ জায়গায় এসে দাঁড়াল আরূ তবে মনটা আনচান করছে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য ৷ আরিশ এর কথাটা যেন প্রায় ভুলেই গেছে , অবশেষে মস্তিষ্ক আর মনের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতের পর মন জয়ী হল৷ কোন পিছুটান না রেখে নেমে গেল বৃষ্টির মাঝে ৷ বৃষ্টির প্রত্যেকটা ফোটা শরীরকে স্পর্শ করছে আর তেমনই আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে আরু ৷
এখন একটা কবিতা ওর প্রচন্ড মনে আসছে আর অপেক্ষা না করে মুখের বুলিতে কবিতাটা ফুটে উঠল,,,,,
“মাসটা নাকি শ্রাবণের”!
বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি মুখর পরিবেশ,,,,
চারিদিকে মেঘের ঘনঘটায় আচ্ছন্ন,,,,
একাকিত্ব জিনিসটা যেন আজকাল
বড়ই গ্রাস করেছে আমাকে|| ||
কোনো এক শ্রাবণে,,,,,
তোমার হাতটা ধরেই আমি হাঁটতে চেয়েছিলাম,,,,, কোন এক বৃষ্টি ভেজা পথে৷৷৷৷
বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে,,,,,
বাতাসে যেমন সুগন্ধ ছড়িয়ে,,,,
এক প্রেমময় পরিবেশের সৃষ্টি করে,,,,,
তখন সেই ঘ্রাণটাই আমি তোমার সাথে নিতে চেয়েছিলাম ৷
যখন বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে শরীর নিয়ে,,,,,,
তোমার সামনে এসে দাঁড়াতাম…..
তখন কোন রকম লোভাতুর দৃষ্টিতে নয়,,,,,
হয়তোবা ভালোবাসার চাহনিতেই দেখতে আমাকে!!!! তখন আলতো করে গালে স্পর্শ করে বলতে,,,,,
” পাগলী আমার “৷৷৷৷
কোনো রকম কোনো বিরক্তি ছাড়াই চুলগুলোকে আলতো করে মুছে দিতে,,,,,,
হয়তো এটার মাধ্যমেই তুমি আমার সৌন্দর্যটাকে খোঁজার চেষ্টা করতে!!!!
বৃষ্টিতে ভেজা সন্ধ্যার সময় ধোঁয়া ওঠা কফির মগটা যখন তুমি আমার হাতে ধরিয়ে দিতে,,,,,,
আর আমার সাথে তাল মিলিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা গুনতে মও হতে তখন তুমি বলতে,,,,
“তুই যে আমার বৃষ্টি বিলাসী”৷৷৷৷
……………………………………..সুরাইয়া🍁( বৃষ্টিবিলাসী)
(Plz don’t copy this)
তবে ওর কল্পনার মত আরিশ ও কি কখনো এই বৃষ্টির মধ্যে ওর সৌন্দর্যটা খুঁজে পাবে ? এই সমস্ত প্রশ্ন আরুর মাথায় আসছে কিন্তু মন থেকে উত্তর এলো যে যেদিন দুজন দুজনকে ভালবাসবে সেদিন হয়তো এই অনুভূতি গুলো কাজ করবে দুজনেরই…
ভিজতে ভিজতে প্রায় কাকভেজা হয়ে গেছে আরূ, প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে বৃষ্টিতে ভেজার পরও আরিশকে আসতে না দেখে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করল আরূ,
হাটতে হাটতে রাস্তার পাশ দিয়ে একটা গাড়ি যেতেই জামা কাপড়ে কাদা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেল ৷
গাড়ি টা আরুকে ছাড়িয়ে অনেকটা দূরে যেতেই আরুর প্যাচাল শুনে হয়তো গাড়িটা থেমে গেছে৷
গাড়িটার কাছে গিয়ে আরূ জোরে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো: স্টুপিড আপনি ? দেখে চালাতে পারেন না? চোখ কি বাড়িতে রেখে এসেছেন নাকি বউকে যত্ন করে রেখে দিতে বলেছেন?
এসমস্ত কথা বলতে বলতে গাড়ি ভিতরে থাকা মানুষটা হাত ধরে আরুশিকে গাড়ির ভিতরে টেনে নিতেই আরুশি চিৎকার করে উঠলো বাঁচাও বলে , আর তার আগেই গাড়িটা স্টার্ট দিয়ে চলতে শুরু করলো….
চলবে,,,,,
লিখতে অনেক দেরি হয়ে গেল,বাট বড়ো করেই লিখেছি ৷ আর কবিতাটা আমার লেখা , কবিতাটা কেমন হয়েছে জানাবেন plz .