দুষ্টু মেয়ে যখন পার্ফেক্ট বউ পর্ব -০২

দুষ্টু_মেয়ে_যখন_পার্ফেক্ট_বউ
লেখিকা_দিয়া_মনি
পর্ব_২

ভার্সিটিতে ক্লাস শেষ করে তূর্য আর তার বন্ধু আশিক একটা রেস্টুরেন্টে বসলো গিয়ে।উদ্দেশ্য তূর্যের জমিয়ে আশিকের পকেট ফাকা করা।
,
,
,
সুযোগ পেলে আশিক নিজেও তূর্যের পকেট ফাকা করে দেয়।কিন্তু আজ সুযোগটা তূর্যর।খাবার অর্ডার করা শেষে তারা চুপচাপ বসে ছিল।
,
,
হঠাৎ করেই দেখল তাদের পাশের একদম শেষের টেবিলের আগের টেবিলে যে মেয়েটা বসে ছিলো উঠে দাঁড়ালো এবং সামনে থাকা ছেলেটাকে কি কি জানি বললো।স্পষ্ট শুনতে পেল না।
,
,
,
মেয়েটার চেহারাটা দেখতে পারছিল না।মেয়েটার সামনে থাকা ছেলেটা কেমন একটা দৃষ্টি নিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে।
,
,
মুহূর্তের মধ্যেই মেয়েটা ছেলেটাকে থাপ্পড় মেরে রাগি একটা লুক নিয়ে তূর্য আর আশিকেদর সামনে দিয়ে চলে গেলো।
,
,
মেয়েটাকে দেখেই চিনে ফেললো তূর্য।চায়ের দোকানে দেখা সেই মেয়েটা।মেয়েটা বলার কারণ তূর্য তখনো তার নাম জানে না।
,
,
বেশ কিছুদিন পরেই আবার দেখা হলো তাদের।ও বাসা থেকে বের হচ্ছিলো আর তূর্যও মার্কেটে যাচ্ছিল।তূর্যকে দেখে একটা সৌজন্যমূলক হাসি দিল মেয়েটা।পরিবর্তে ও নিজেও হাসলো।

ওরা পাশাপাশি হাটছিল..।

—— ও হেল „„„„„”মি. আড়চোখা এনাকুন্ডা আপনি??

_____ আমি মোটেও মি. আড়চোখা এনাকুন্ডা না ম্যম।

——- না হলে মেয়েদের দিকে এইভাবে তাকিয়ে থাকেন ক্যান এনাকুন্ডা।
—— চোখ আমার আমি যা খুশী দেখবো পেত্নী একটা।

—– কি আমি পেত্নী?
—– না শুধু কি তাই?ভুতনী পেত্নী সয়নতানি,আরো অনেক কিছু।

—— পেত্নী ভুতনী আপনি? আপনার ১৪ গূষ্টি।
—— কি মেয়েরে বাবা দজ্জাল একটা।

—— আপনি দজ্জাল? আপনার বউ দজ্জাল? আপনার সবাই দজ্জাল।

এইভাবেই চলছে তাদের ঝগড়া,কমবে কম আরোও বেড়েই যাচ্ছে।সবাই তাদের দেখে হা করে তাকিয়ে আছে। ভাবতে পারছেনা কেউ তারা কেন এইভাবে ঝগড়া করছে।

>>>>> আরে তোরা থাম? কি শুরু করলি তোরা?(আশিক)
—– কি থামবো দেখনা মেয়েটা গায়ে পড়ে ঝগড়া করছে?কি ঝগড়াটে মেয়েরে বাবা।(তূর্য)

তূর্যের কথা শুনে মেয়েটা আরো রেগে যাচ্ছে। আশিক তাদের ঝগড়া মিটমাট করে দেয়।আর বলে চল সবাই পরিচয় হো।
,
,
—– আমি শেউরা গাছের পেত্নীর। ছেলেদের ঘাড় মটকাই। আর কি পরিচয় দিব।(রাগে বলল মেয়েটা)
——- দেখলেই বুঝা যাই?(দুষ্টু হেসে বলল তূর্য)

—– আর কি বুঝা যায় মিষ্টার গম্ভাট।(দুষ্টু হেসে মেয়েটা)
—– ক„„„„কি,,, আমি গম্ভাট। (তূর্য)

—— তা নয়তো কি বলে মেয়েটা ঝুরে হাসতে লাগলো। মেয়েটা হাসি দেখে তূর্য আর কিছু বলতে পারলনা,পুরাই মেয়ের হাসির উপর ক্রাশ খেলো তূর‍্য,মনে মনে ভাবতে থাকে মেয়েদের হাসি এত সুন্দর মুক্তো ঝড়া হয়।কারো গলা ঝাড়ার শব্দে তূর্য ভাবনার জগত থেকে ফিরে এলো।
,
,
হাল্কা কেশে আশিক বললো,তোরা কথা বল আমি যাই একটা কাজ আছে,বলে আশিক চলে গেল।তাদের মাঝে নিরবতা বিরাজ করছে,কেউ কিছু বলছেনা।
,
,
—– আপনার নাম কি ?(নিরবতা ভেঙে মেয়েটা বলল)
—— জ্বি „„„আকাশ চৌধুরী তূর্য,,সবাই তূর্য বলেই ডাকে।(তূর্য)
,
,
—— বাহ বেশ তো„„„আনকমন নেইম।

—— ও তাই ধন্যবাদ „„„আপনার নামটা জানতে পারি মিস।(তূর্য)

—— ওই যে শেউরা গাছে পেত্নী আমি।বলে মেঘলা হি হি করে হেসে দিল,সাথে তূর্যও হা হা হেসে দিল।

—— আপনি তো খুব দুষ্টু একটা মেয়ে?(তূর্য)
—— ও তাই„„„„সরি আসলেই আমি এমন।(মেয়েটা)

—— আমি মেঘাদ্রীকা মেঘলা।

—– আপনার নামটা খুব সুন্দর।আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিল।(তূর্য)
,
,
—– তূর্যের কথা শুনে মেঘলা তূর্যের পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাকিয়ে দেখে নিল।তারপর একটু গম্ভীর ভাবে বললো-

—— কি জিজ্ঞেস করবেন? আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা?(মেঘলা)

____ না তো।(তূর্য)
,
,
মেঘলা ল মনে হয় তূর্যের এরকম উত্তর শুনে বেশ অবাক আর আহত হলো।সুন্দরি মেয়েদের এই এক সমস্যা।আগেই নিজেকে নিয়ে আকাশ পাতাল ভেবে বসে।ওর চেহারাটা দেখে এরকমই মনে হচ্ছিলো তূর‍্যের।

—– তাহলে কি বলবেন?(মেঘলা)

—— আসলে জানতে চাইছিলাম আপনি রেস্টুরেন্টে ছেলেটাকে ওইভাবে থাপ্পড় কেন মারলেন?যদিও পার্সোনাল প্রশ্ন তবুও…(তূর্য থেমে গেল)

—– হুম পার্সোনালই বটে।(মেঘলা)

অপ্রস্তুত ভাবে হাসলো মেঘলা।তূর্য বুঝল মেয়েটা বলতে চাচ্ছেনা।
,
—– আরেকটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো??(তূর্য)
,
মেঘলা একটু হেসে বললো?

—— আজকে রেখে দিন।আমার লেইট হয়ে যাচ্ছে।

কথাটা বলেই রিক্সা ঠিক করে চলে গেলো।আর তূর্য তার কাজে চলে গেল।

চলবে……….

গল্পটা কাল্পনিক,,,,,,,, হ্যাপি রিডিং 🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here