#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩০
.
.
মেহরীমা ফারহাকে মেঘের পাশের চেয়ারে বসতে বলে৷ তনু ফারহার অপজিটে বসে খাবার খেতে লাগলো৷ ফারহা নিজের হাতে খেতে নিলে মেহরীমা বারণ করে৷ নিজের হাতে ফারহাকে খাইয়ে দিতে লাগলো৷ ফারহা খেতে খেতে তনুকে বলে ওঠে, এই কয়েক ঘন্টা কোথায় ছিলে তনু?”
হঠাৎ ফারহার প্রশ্ন শুনে তনুর বেষম লেগে গেল৷ কাশতে লাগলো৷ ফারহা পানির গ্লাসটা তনুর সামনে এগিয়ে দিয়ে বলল,” কি বেপার তনু আমার কথা শুনে তোর এভাবে বেষম কেন লাগলো? এমন নয় তো আমার থেকে তুই কিছু লুকিয়ে যাচ্ছিস ?”
তনুর ততোক্ষণে কাশি থেমে গেছে৷ তনু পানি খেয়ে ফারহার দিকে তাকিয়ে বলল,” আমি কেন কিছু লুকাতে যাবো ফারু? আর আমি তো এবাড়িতে ছিলাম৷ কোথাও যাইনি তো৷”
মেঘ কিছু বলতে নিলে ফারহা চোখের ইশারায় বারণ করতে মেঘ চুপ হয়ে যায়৷ মিসেস মেহরীমা ফারহাকে খাইয়ে দিয়ে এটো প্লেট নিয়ে কিচেনে চলে যেতে ফারহা পানি খেয়ে তনুকে তার রুমে আসতে বলে উঠে পরে৷
তনু কোন রকম খেয়ে ফারহার পেছন পেছন চলে যায়৷ এদিকে মেঘ তার ফোন বের করে আসলামকে কল করে৷
” হ্যালো আসলাম যা বলেছি কাজ টা হয়েছে?”
” জ্বি স্যার৷ সব ইনফরমেশন কালেক্ট করা হয়ে গেছে৷ আমি কি আপনাকে ইনফরমেশন গুলো মেইল করে দিবো?”
” না তার কোন প্রয়োজন নেই৷ আমি কাল সকালে অফিসে আসছি৷”
” ওকে স্যার৷”
মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে খাওয়ায় মন দিলো৷
(৫৫)
” তো তখন কি যেন বললি তনু? তুই এই বাড়িতে ছিলিস তাই তো?”
” হ,,হ্যাঁ ছিলাম তো৷ এই প্রশ্ন তুই আবার কেন করছিস ফারু?”
” এমনি যাই হোক কিং ফায়ার হ্যারি লিও কে খুজে বের করতে হবে৷ আমার মনে হয় ওদেরকে অন্য কেউ তুলে নিয়ে গেছে কিন্তু কে সে?”
তনু ফারহার বেডে পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে বলে উঠলো,” হতে পারে তোর কোন অজানা শত্রু৷ যে তোর আড়ালে লুকিয়ে ক্ষতি করতে চায়৷”
ফারহা তনুর কথার প্রত্ত্যুতরে বাঁকা হেসে বলল,” তাহলে বললো সেই অজানা শত্রুর দিন খুব তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে এসেছে তনু৷ আমার হাত থেকে কোন শত্রু প্রাণে বাঁচবে না৷ আর যদি কোন ভাবে বেঁচেও যায় তাহলে…”
” তাহলে কি ফারু?”
” তাহলে টা না হয় সেই শত্রুর অজানাই থাক ৷ বাই দ্য ওয়ে তুই যখন বাংলাদেশে এসেছিস তাহলে তোর বাড়িতে চল একবার ঘুড়ে আসি৷”
বাড়ির কথা শুনে তনু চোখ মুখ কেমন যেন লাল বর্ণ ধারণ করলো৷ এটা রাগে নাকি লজ্জার কারণে সেটা বোঝা যাচ্ছে না৷ তনু চোখ বন্ধ করে রাগ কান্না আটকে রেখে ফারহাকে বলল,” আমি খোজ নিয়ে দেখেছি আব্বু আম্মু আর বোন কেউ এই শহরে থাকে না ফারু৷”
” তাহলে কোথায় থাকে?”
তনু চট জলদি বলে ওঠে,” গ্রামে, গ্রামে থাকে তারা৷”
” কোন বেপার না৷ চল আমরা না হয় কিছুদিন গ্রাম থেকে বেড়িয়ে আসি৷”
তনু তৎক্ষনাৎ রাগি গলায় ফারহাকে বলে উঠলো,” কেন গ্রামে কেন যেতে হবে তোকে? কি আছে গ্রামে? কোথাও যেতে হবে না তোকে বাড়িতে থাক রেস্ট নে৷ জানিস তো কিং ফায়ার হ্যারি লিও পুলিশের হাত থেকে পালিয়েছে৷ কবে কখন হুট হাট করে এট্যাক করে বসবে সেটা তো বুঝতেও পারবি না তুই তখন কি করবি?”
ফারহা গা কাঁপিয়ে হাসতে হাসতে তনুকে বলতে লাগলো ,” এতো বছরে আমাকে এই চিনলি তনু? তোর কি মনে হয় আমার উপর এট্যাক করে বেঁচে যাবে ওরা? উহু ভুলেও এমন ভাবনা নিজের মনে স্থাপণ করিস না তনু৷ আহত বাঘিনী কিন্তু একজন সুস্থ বাঘের থেকেও বেশি ভয়ংকর হয়৷ ”
” তুই ঠিক কি করতে চাইছিস ফারু?
” সময় হলে জানতে পারবি তনু৷ এখন নিজের রুমে গিয়ে রেস্ট কর৷ তোর উপর দিয়ে অনেক ধকল গেলো৷ ”
তনু যেতে যেতেও থেমে যায়৷ ফারহার কথা গুলো কেমন যেন রহস্যময় লাগছে তনুর কাছে, তনু আসল বেপারটা ধরতে পারছে না৷ আর পারবেও না ৷ এতো বছর ফারহার সাথে কাজ করেও ফারহা কথার জালের রহস্য যখন ভেদ করতে পারে নি তখন এই কথা গুলোর রহস্য ভেদ করতে যে তনু পারবে না৷ সেটা সে খুব ভালো করে জানে তাই আর মাথা না খাটিয়ে নিজের রুমে চলে গেল৷
ফারহা ব্যালকনিতে গিয়ে কাউচে বসে কিছু একটা ভাবতে লাগলো৷ তখনি মেঘ দু’কাঁপ কফি নিয়ে ব্যালকনিতে হাজির হয়৷ ফারহা মেঘের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে একটা হাসি দিয়ে কফির কাঁপটা হাতে নিয়ে নেয়৷ মেঘ ফারহার পাশে বসতে ফারহা পরম শান্তিতে মেঘের কাধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে বলে,” মেঘরাজ কখনো যদি আমায় তোমার থেকে অনেক দুরে চলে যেতে হয় ৷ তখন কি তুমি আমাকে ভুলে যাবে?”
ফারহার কথা শুনে মেঘ দাঁতে দাঁত চেপে কটমট করে ফারহার দিকে তাকিয়ে বলে,” আজ প্রথমবার এই কথা বলেছো বলেছো নেক্সট টাইম যেন এই কথা তোমার মুখে না শুনি ফারুপাখি ৷ তুমি আমাকে ফেলে কোথাও যাচ্ছো না বুঝতে পেরেছো? ”
মেঘ রেগে এক প্রকার চিৎকার করে বললো৷ ফারহা হতভম্ব হয়ে গেল মেঘকে এভাবে রাগতে দেখে৷ ফারহা বুঝতে পারেনি এই সামান্য কথায় মেঘ এতোটা রেগে যাবে৷ ফারহা না পেরে কফির কাঁপটা নিচে রেখে মেঘকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে৷ মেঘ এতোটাই রেগে গেছে যে খুব ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলছে৷ ফারহা মেঘকে শান্ত করতে বলে উঠলো,” আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না মেঘরাজ কথা দিচ্ছি৷ ”
” যেতে চাইলেও আমি তোমাকে যেতে দিবো না ফারুপাখি৷ তুমি আমার অস্তিত্ব ফারপাখি৷ তুমি যদি না থাকো তাহলে আমার অস্তিত্ব যে বিলিন হয়ে যাবে৷ নিঃশেষ হয়ে যাবে এই মেঘ তার ফারুপাখি বিনা৷ তখন সহ্য করতে পারবে তো ফারুপাখি?”
” পারবো না মেঘরাজ৷ কারণ তুমি বিলিন হয়ে গেলে এই ফারহার পৃথিবীতে চিহ্ন মাত্র থাকবে না৷ কারণ তোমাতে আমি আর আমার পুরো পৃথিবীটাই তুমি৷ যদি কখনো সত্যি এই রঙিন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে চলে যেতে হয় তখন না হয় আমরা দু’জনে একসাথে সে পথ পারি দিবো৷ ধূসর প্রেমের অনুভূতি টুকু নিয়ে না হয় কাটিয়ে দিবো অনন্ত কাল!
মেঘ ফারহা দুজন দুজনকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে৷ কারো বাধন সিন্ধু পরিমাণ আলগা হচ্ছে না যেন আলগা হলে কেউ একজন হারিয়ে যাবে৷
ফারহা মেঘের বুকে মাথা রেখে চুপ করে মেঘের হৃৎস্পন্দন শুনছে৷ আর মেঘ তার ভালোবাসার মানুষকে আগলে রাখতে ব্যস্ত ৷
গোধূলি লগ্নে পরিবেশটা যেন আরো রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে৷ আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা ভাসার সাথে সাথে আকাশে গোলাপি কমলা রঙের আভায় শুভ্র মেঘ গুলোকে আরো সুন্দর লাগছে৷ যেন রং তুলি দিয়ে আঁকা কোন আকাশের দৃশ্যপট৷
ফারহা মেঘের কোলে মাথা রেখে শূন্য দৃষ্টিতে আকাশের মনোরম দৃশ্য দেখায় ব্যস্ত আর মেঘ তার ফারুপাখিকে মুগ্ধ নয়নে দেখায় ব্যস্ত৷ ফারহা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ ফারহার মনে পড়ে যায় অর্নিলে ল্যাপটপের কথা৷ ফারহা হুট করে মেঘের কোল থেকে উঠে বসে মেঘকে বলে,” মেঘরাজ অর্নিল এসেছিলো?”
মেঘ মাথা নেরে বলে ,” হ্যাঁ এসেছিলো৷ তখন তুমি ঘুমিয়ে ছিলে বিধায় তোমায় ডাকিনি৷ তবে অর্নিল তার ল্যাপটপ টা আমার কাছে দিয়ে গিয়েছে৷”
” মেঘ ফাস্ট ল্যাপটপ টা নিয়ে এসো৷ অনেক ভালো মানুষের ভালো মানুষির মুখোশ খুলতে হবে৷ আমাদের হাতে এমনিতেও সময় খুব কম৷ কখন কি ভাবে কিং ফায়ার হ্যারি লিও আমাদের উপর এট্যাক করবে আমরা কেউ জানি না৷”
” ডোন্ট ওয়ারি ফারুপাখি আমি থাকতে তোমার এবং আমাদের পরিবারের কারো কোন ক্ষতি হতে দিবো না৷ অন্তত আমি বেঁচে থাকতে তো নয়৷”
ফারহা মেঘের হাত মুঠো ধরে বলে,” আমরা রক্ষা করবো আমাদের পরিবারকে৷”
মেঘ রুমে গিয়ে অর্নিলের ল্যাপটপ টা নিয়ে এসে ফারহার হাতে দেয়৷ ফারহা ল্যাপটপ নিয়ে ফাইল গুলো চেক করতে থাকে৷ হঠাৎ একটা ফাইলে অপেন করতে ফারহা মেঘ দুজনে হতবিহ্বল হতভম্ব স্তব্ধ ৷ এমন কিছু ফারহা দেখবে কখনো আশা করেনি ৷ কাছের প্রিয় মানুষ গুলো যখন আড়ালে পিটপিছে ছুড়ি মারে৷ আর সেটা তখন সেই মানুষ টা জানতে পারে তারই প্রিয় আপন মানুষটা তারই আড়ালে বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তার ক্ষতি করছে৷ সেটা জানার পর অপজিট মানুষটার কি রিয়েকশন হতে পারে? ফারহা কিছুক্ষণ চুপ থেকে ল্যাপটপ বন্ধ করে চোখ বন্ধ করে রইল কিছুক্ষণ ৷ মেঘ ফারহার মনের অবস্থা বুঝেও কিছু করার নেই৷ মানুষের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যেখানে সেই একজন ব্যক্তিকে সবটা সহ্য করতে হয়৷ দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি সে কষ্টের অংশীদার হতে পারে না৷
চারিদিকে অন্ধকারে ছেয়ে গেছে ৷ অন্ধকারে ফারহার মুখটা খুব একটা স্পষ্ট নয়৷ মেঘ হুট করে ফারহাকে পাজা কোলে নিয়ে রুম চলে যায়৷ মেঘের রুমটা বেশ বড় এবং গোছালো৷ মেঘ নিজের রুম নিজেই গুছিয়ে রাখে মেইড সারভেন্টদের তার রুমে ঢুকার কোন অনুমতি নেই৷ আর রুম গুছিয়ে রাখার অনুমতি আছে৷ ফারহা মেঘের আড়ালে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে মেঘকে বলে,” মেঘরাজ বাড়ির সিকিউরিটি আরো বাড়িয়ে দেও ৷ আর বাহিরের মানুষ চৌধুরী ম্যানশনে ঢুকা একে বারে নিষিদ্ধ কর৷ আর একটা কথা এই একই এলাকায় আমার একটা ফ্লাট আছে ৷ ওখানে রোহিনী আন্টি আর রোজাকে রাখার ব্যবস্থা কর৷”
” ফারুপাখি এখন এই বিধ্বস্ত অবস্থায় ওনাদের ওই ফ্লাটে যেতে বলা ঠিক হবে?”
” হতে হবে মেঘ৷ আমি জেনে শুনে কারো লাইফ রিক্সে ফেলতে পারি না মেঘ৷ তোমাকে যেটা বলেছি তুমি সেটাই করবে৷ ”
” ফাইন তাই হবে৷ ”
(৫৬)
কিং ফায়ার হ্যারি লিও খোড়াতে খোড়াতে চার রুমের ফ্লাট থেকে বের হতে নিলে চমকে যায় লিও হ্যারি কিং ফায়ার ৷ কেননা দরজায় ইলেকট্রিক তার পেচিয়ে রাখা৷ বিদ্যুৎ যেহেতু আছে সেহেতু দরজাটা যে বিদ্যুৎ তরিৎবাহিত হচ্ছে সেটা কারোর বুঝতে বাকি নেই৷ কিন্তু জেসিকা এমন কিছু করতে পারে তার বিন্দুমাত্র ভাবনা তিন মূর্তি মানের মাথায় আসেনি৷
” শিট! জেসিকা এটা কি করলো কিং ফায়ার ?” রাগে ফুসতে হ্যারি বললো৷
” হ্যারি এখন না রেগে এখান থেকে বের হওয়ার পথ বের করো৷”
” কিন্তু কিং ফায়ার পুরো ফ্লাটে তো বের হওয়ার কোন পথ খোলা নেই৷ ইভেন জানালা গুলো খুব শক্ত করে বন্ধ করা ভাঙ্গার চেষ্টা করেও তো পারলাম না৷”
” হ্যারি হতাশ হলে চলবে না৷ আমরা জেসিকাকে একদমি বিশ্বাস করতে পারবো না৷ জানি না ওর মনে মনে ঠিক কি প্লান করেছে৷ প্রথমে আমাদের সকলকে বোম ব্লাস্ট করে মারার চিন্তা করেছিলো আর এখন আমাদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়ে আটকে রেখেছে৷”
লিওয়ের কথা শুনে কিং ফায়ার বলল,” হ্যারি লিও রুমে চলো৷ এখানে দাড়িয়ে থেকে কোন লাভ নেই৷ আমরা কেউ চাইলে এখান থেকে বের হতে পারবো না৷ জেসিকা সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে৷”
কিং ফায়ারের কথায় সায় জানিয়ে লিও হ্যারি কিং ফায়ারের রুমে গিয়ে তিনজন নার্সের চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিয়ে জ্ঞান ফিরায়৷ পালানোর উদ্দেশ্য নিয়ে নার্স তিনজনকে অজ্ঞান করেছিলো হ্যারি লিও ৷ কিন্তু পালানো যেহেতু সম্ভব হয়নি তখন কেন এদের অজ্ঞান করে রাখবে?
নার্সদের জ্ঞান ফিরতে তারা কিং ফায়ার হ্যারি লিও কে দেখে ভয়ে সিধিয়ে যায়৷ হ্যারি ওদের ভয় পেতে দেখে বলে,” ভয় পেয় না আমরা তোমাদের কোন ক্ষতি করবো না৷ তোমরা যেভাবে ছিলে সেভাবে থাকবে৷ এখন যাও আমাদের জজন্য খাবার নিয়ে এসো৷”
নার্স তিনজন ভয়ে ভয়ে রুম থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়৷ নার্স যেতে লিও হ্যারি নতুন প্লান কষতে থাকে৷
__________
ফারহা কয়েকবার সেই আগন্তক কে কল করে যাচ্ছে কিন্তু কয়েকবার রিং হয়ে কেটে যাওয়ার পরও কল রিসিভ না হওয়ায় বেশ চিন্তিত হয়ে পরে ফারহা৷ সে মুহূর্তে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে রোজা ফারহাকে বলল,
.
.
.
#চলবে………
[