ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -৩১

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩১
.
.
_________

ফারহা কয়েকবার সেই আগন্তককে কল করে যাচ্ছে কিন্তু কয়েকবার রিং হয়ে কেটে যাওয়ার পরও কল রিসিভ না হওয়ায় বেশ চিন্তিত হয়ে পরে ফারহা৷ সে মুহূর্তে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে রোজা ফারহাকে বলল,

” আরু আপু একটু তাড়াতাড়ি এসো দেখো না মম কেমন যেন একটা করছে৷”

রোজার কথা শুনে ফারহা এক মুহূর্তের জন্য দেরি না করে রোজার সাথে গেস্ট রুমে চলে গেল৷

ফারহা রোজা রুমে প্রবেশ করে রোহিনীকে অচেতন অবস্থায় দেখে মেঘ আদিল রাফিকে ডাকে ৷ ফারহার এক ডাকে সবাই হাজির হয়ে যায়৷

” আপু এভাবে ডাকছিস কেন? কি হয়েছে?”

” রাফি কথা বলার এখন সময় নেই দ্রুত গাড়ি বের কর৷ আমাদের এখুনি রোহিনী আন্টিকে নিয়ে হসপিটালে যেতে হবে৷”

ফারহার কথা মতো রাফি বেড়িয়ে যায়৷ মেঘ আর আদিল রোহিনীকে ধরে নিচে নিয়ে আসে৷

এম আর প্রাইভেট হসপিটালে রোহিনীকে এডমিট করা হয়৷ ডক্টর রোহিনীকে ওটিতে নিয়ে গেছে একঘন্টার কাছাকাছি ৷ এদিকে ফারহা রোজা আদিল রাফি মেঘ করিডরে পাইচারি করছে কিন্তু এদিকে তনু এক কোনে দাড়িয়ে ফোন টিপে যাচ্ছে ৷ মেঘ আড়চোখে কয়েকবার তনুকে ফলো করে৷ কিন্তু তনুর কোন হেলদোল নেই৷ তনু তার মতো ফোন টিপে যাচ্ছে ৷ রাত বারটার কাছাকাছি দেড়ঘন্টা পর ডক্টর ওটি থেকে বের হয়৷

” ডক্টর রোহিনী আন্টি এখন কেমন আছে?”(ফারহা)

” ডক্টর মম ঠিক হয়ে যাবে তো?”(রোজা)

” আপনারা দু’জনে শান্ত হন৷ পেশেন্ট এখন আউট অফ ডেন্জার ৷ তবে উনি মিনি স্টোক করেছিলেন৷ হয়তো অতিরিক্ত দুঃচিন্তা করেন৷ যাই হোক মেডেসিন ঠিক সময় মতো দিবেন পেশেন্ট কে আর ওনাকে সম্পূর্ণ দুঃচিন্তা মুক্ত রাখবেন৷”

” ডক্টর আমরা কি ওনার সাথে দেখা করতে পারি?”

” আপনারা এখন ওনাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন ম্যাম৷”

” থ্যাঙ্কিউ ডক্টর৷ তবে আমার মনে হয় আজ রাতটা আন্টিকে এখানে রাখাটা বেটার হবে৷”

” ওকে তাহলে আপনার কথা মতো পেশেন্টকে কেবিনে শিফট করে দিচ্ছি৷ তারপর না হয় আপনারা দেখা করবেন৷”

ডক্টর রোহিনীকে কেবিনে শিফট করিয়ে দেওয়ার পর সবাই রোহিনীর সাথে দেখা করে নেয়৷ রোহিনীকে কড়া ডোজের ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ায় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন৷ ফারহা সবাইকে জোর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়৷ তবে মেঘ আর তনু থেকে যায়৷ ফারহা চাইছিলো তনু যাতে থেকে যায় হসপিটালে আর তাই হলো৷

” তনু তুই পাশের কেবিনে শুয়ে রেস্ট নে৷ ততোক্ষণ না হয় আমি আর মেঘ আন্টির পাশে থাকছি৷”

” উমম ঠিক বলেছিস ফারু ৷ সারাদিন অনেক ধকল গেছে৷ যাই একটু রেস্ট নিই৷”

রোহিনীর পাশের খালি কেবিনে তনু ঢুকে যায়৷ তনু ঢুকতে ফারহা ফোন বের করে কাকে যেন কল করে৷

” পাঁচ মিনিটের ভিতর এম আর হসপিটালে তোমাকে দেখতে চাই৷”

“আ’ম কামিং ”

ফারহা কল ডিসকানেক্ট করতে মেঘ ফারহাকে বলে,” কাকে হসপিটালে আসতে বললে ফারুপাখি?”

” অপেক্ষা করো দেখতে পাবে৷”

পাঁচ মিনিট পর দু’জন ব্যক্তি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে ফারহার সামনে দাড়ায় ৷ মুখে মাক্স মাথায় ক্যাপ ৷ শুধু চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে৷

লোক দুটোর একজন ফারহার দিকে একটা প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বলে,” আপনি যেটা নিয়ে আসতে বলেছিলেন৷ সেটা নিয়ে এসেছি৷”

ফারহা হাতে প্যাকেট টা নিয়ে লোক দুটোকে বলে,” বাকি কাজ টা আগামিকালের ভিতর হওয়া চাই৷”

” হয়ে যাবে৷ আগামিকাল আপনি পুরো ডিটেইলস পেয়ে যাবেন৷”

” ওকে এখন যেতে পারো৷”

লোক দুটো চলে যেতে মেঘ ভ্রুযুগল কিঞ্চিৎ কুচকে ফারহাকে বলে,” এবার বলবে তুমি ঠিক কি করতে চাইছো?”

” ওয়েট সুইটহার্ট ৷ একটু পর সবটাই জেনে যাবে৷” ফারহা একজন নার্সের হাতে কিছু টাকা দিয়ে কিছু একটা বলতে নার্স রাজি হয়ে যায়৷ নার্সটি একটা ট্রেতে ছুরি কাচি নিয়ে তনুর কেবিনে ঢুকে গেল৷ মেঘ হা হয়ে ফারহার কর্মকান্ড দেখছে৷

কিছুক্ষণ পর তনুর চিৎকার শুনতে পেয়ে মেঘ ফারহা দুজনে ছুটে যায় তনুর কেবিনে৷ কেবিনে গিয়ে দেখে তনুর বা হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে আর পাশে নার্স ভয়ে জবুথবু হয়ে দাড়িয়ে আছে৷

তনুর হাত বেশ অনেকটাই কেটে গেছে৷ তনু দাঁত কিড়মিড় করে নার্সের দিকে তাকিয়ে বলে,” ইউ ইডিয়েট দেখে কাজ করতে পারো না? এভাবে কেউ কাজ করে? ”

তনুর হাত দিয়ে গলগলিয়ে রক্ত পড়ছে তা দেখে ফারহা বাইরে গিয়ে ডক্টরকে ডাকতে থাকে৷

” এনি প্রব্লেম মিসেস চৌধুরী?”

” ইয়েস ডক্টর৷ আপনাকে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে৷”

” কি কাজ মিসেস চৌধুরী?”

ফারহা ডক্টরকে সবটা বুঝিয়ে দেয়৷ ডক্টর প্রথমে রাজি হয়না কিন্তু ফারহা মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে ডক্টরকে রাজি করায়৷

তনুকে অজ্ঞান করে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয় কিছুক্ষণ আগে৷ তনু জানতেও পারলো না তার অগোচরে ঠিক কি কি হচ্ছে?

(৫৭)

অন্ধকার কাটিয়ে নতুন আর একটা দিনের সূচনা হলো৷ মেঘ ক্যান্টিন থেকে ফারহা আর তার জন্য কফি নিয়ে আসে৷ ফারহা পুরো রাতটাই মেঘের কাঁধে মাথা রেখে কাটিয়ে দিলো৷ মেঘ কফি নিয়ে এসে দেখে দেখে ফারহা করিডরের এক কোণে দাড়িয়ে আছে৷ সূর্যের হলুদ আলো ফারহাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে বারংবার ৷ ফারহার মলিন মুখে ম্লান হাসি লেগে আছে৷ ফারহার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম সূর্যের আলোয় চিকচিক করছে৷

মেঘ সন্তর্পণে কফির কাঁপটা চেয়ারের উপর রেখে মেঘ তার রুমাল বের করে ফারহার কপালের ঘাম গুলো মুছিয়ে দিয়ে বলে,” ফারুপাখি ফ্রেস হয়ে কফিটা খেয়ে নেও ভালো লাগবে৷ ”

ফারহা কোন কথা না বলে তনুর কেবিনের ওয়াশরুমটা ব্যবহার করে৷ ততোক্ষণে তনুর জ্ঞান ফিরে আসে৷ তনু নিজেকে কেবিনে দেখে প্রথমে কিছু মনে না পড়লেও পড়ে সবটা মনে পড়ে যায়৷ বা হাতটা উঠাতে ব্যাথা অনুভব হয় তনুর৷

ফারহা ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে তনুর জ্ঞান ফিরে আসতে দেখে ফারহা মিষ্টি করে হেসে বলে ,” গুড মরনিং তনু বেবি৷ এখন কেমন লাগছে?”

” গুড মরনিং ফারু৷ হাতে ব্যথাটা বেশ অনুভব হচ্ছে ৷ হাতটা ঝিম ঝিম করছে মনে হয়৷”

” ডোন্ট ওয়ারি বেবি ডক্টর বলেছে খুব শীগ্রই হাতের ক্ষতটা ঠিক হয়ে যাবে৷”

” ওহ তাহলে এখন আমরা এখানে কি করছি? রোহিনী আন্টিকে হসপিটাল থেকে রিলিজ কখন দিবে?”

” এই তো কিছুক্ষণ পর তুই ফ্রেস হয়ে নে৷ আমি ডক্টরের সাথে কথা বলে আসছি৷”

ফারহা তনুর সাথে কথা বলে কেবিন থেকে বেড়িয়ে যায়৷ মেঘ ফারহাকে দেখে বলে,” ফারুপাখি সব ঠিক আছে তো?”

“ঠিক তো হতেই হবে মেঘ৷ ”

” ফারুপাখি আমাকে এখুনি একবার হেড কোয়াটার্সে যেতে হবে৷ স্যার আমাকে আর্জেন্ট কল করে জানিয়েছে৷”

” মেঘ তুমি তোমার কাজ করো৷ আমি এইদিকটা সামলে নিচ্ছি৷”

মেঘ ফারহার কপালে ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে তার গাড়িটা ফারহার জন্য রেখে ক্যাব বুক করে চলে যায়৷ মেঘ যাওয়ার পর পর ফারহা ডক্টরের সাথে কথা বলে রোহিনীর রিলিজ করিয়ে ফারহা রোহিনীকে নিয়ে গাড়ির ব্যাক সিটে বসিয়ে দেয়৷ তনু ফারহার সাথে ফ্রন্ট সিটে বসে ৷

ফারহা গাড়ি স্টাট দিয়ে হসপিটাল এরিয়া থেকে বের হবার পর পর দুটো গাড়ি ফারহার গাড়ির পিছু নেয়৷ ফারহা সব দেখেও না দেখার ভান করে নিজের মতো গাড়ি চালাতে থাকে৷ হঠাৎ গাড়ি দুটোর ভেতরে থাকা লোক গুলো ফারহার গাড়ি টার্গেট করে গুলি চালাতে থাকে৷ অনাকাঙ্ক্ষিত এমন ঘটনা দেখে তনু রোহিনী দুজনে ঘাবড়ে যায়৷ তনু ভেবে পায় না হঠাৎ কে তাদের এট্যাক করতে পারে? কিং ফায়ার হ্যারি লিও তাদের যেভাবে ফারহা আদিল রাফি মেঘ অর্নিল ফারিহা ওদেরকে মেরেছে তাতে সুস্থ হয়ে চলতে মাস খানিক সময় তাদের লাগবে৷

পেছন থেকে একের পর এক গুলি ফারহার গাড়ি উদ্দেশ্য করে ছুড়তে লাগলো৷ ফারহা গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দিলো৷ পেছনের গাড়ি দুটো ফারহার গাড়ির পেছন পেছন আসতে লাগলো৷ হঠাৎ ফারহার গাড়ির সামনে দিয়ে একটা বাস যেতে নিলে ফারহা গাড়ির স্পিড সম্পূর্ন বাড়িয়ে দিয়ে বাসটার আগে চলে যায় আর পেছনের ফলো করা গাড়ি দুটো আটকে যায় বাসের জন্য, বাস গাড়ি দুটোর সামনে দিয়ে চলে যাওয়ার পর গাড়ি দুটো ফারহার গাড়ি আর দেখতে পায় না৷

পনেরো মিনিটের মাথায় চৌধুরী ম্যানশনের সামনে গাড়ি থামায়৷ তনুর বুক এখনো ধুক ধুক করছে৷ সামান্য এক সেকেন্ড দেরি হলে আজ বড়সর একটা এক্সিডেন্ট হতো৷ আর পেছনে তো অজানা শত্রুর দল ছিলোই৷ তনু জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিয়ে ফারহার দিকে তাকাতে তনু প্রচন্ড অবাক হয়৷ ফারহা এতো শান্ত স্থির হয়ে বসে আছে যেন কিছুক্ষণ আগে কিচ্ছু হয়নি৷ ফারহা তনুর দিকে তাকাতে তনু যেন কেঁপে উঠলো ফারহার শীতল চাহনি দেখে৷ ফারহা তনুর আর রোহিনীর দিকে তাকিয়ে বলল,” তোমরা ঠিক আছো?”

ফারহার গলা শুনে রোহিনী চোখ মেলে তাকালো৷ গাড়িতে ওঠা থেকে চৌধুরী ম্যানশনে পৌছানোর আগ পর্যন্ত পুরোটা সময় চোখ বন্ধ করে ছিলো রোহিনী৷ ফারহা রোহিনীর দিকে তাকিলে স্মিত হেসে বলল, আন্টি আমরা বাড়ি পৌছে গেছি৷”

” এতো তাড়াতাড়ি? একটু আগে না আমরা হসপিটাল থেকে বের হলাম?”

তনু রোহিনীর কথা শুনে হাসবে না কাদঁবে বুঝতে পারছে না৷ এতো কিছু হয়ে গেল? আর একটু হলে প্রাণটাই হারাতে হতো৷ আর এ কিনা কিচ্ছু টের পাইনি? আশ্চর্য!

ফারহা গাড়ি থেকে বের হয়ে রোহিনীকে ধরে গাড়ি থেকে নামাতে লাগলো৷ তনু মনে মনে বেশ বিরক্ত কিন্তু কেন সেটা সে নিজেও বুঝতে পারছে না কিন্তু তার কাটা হাতটার ব্যথা বেশ ধীরে ধীরে কমে আসছে৷

মেঘের এবং ফারহার মম ড্যাড আদিল রাফি রোজাকে নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্য বের হতে দেখে ফারহা তনু রোহিনীকে ধরে নিয়ে আসছে৷ রোজা তার মাকে দেখে দৌড়ে ছুটে গিয়ে রোহিনীকে জড়িয়ে ধরতে নিলে ফারহা বাধা দেয়৷

” রোজা এখন নয়৷ আন্টি ভেতরে যাক ফ্রেস হোক তারপর না হয় মেয়ে মার আদর খাবে৷ ”

” ওকে আপু৷”

তনু ঝটপট ভেতরে ঢুকে নিজের রুমে চলে যায়৷ রুমে গিয়ে তনু তার ফোন বের করে কাউকে কল করে৷

অন্যদিকে ফারহা রোহিনীকে রুমে পৌছে দিয়ে রুমে এসে একটা হট শাওয়ার নিয়ে ব্যালকনিতে এসে দাড়াতে আদিল রাফি এসে ফারহার পাশে দাড়ায়৷ আদিল ফারহার জন্য খাবার আর কফি নিয়ে আসে৷ ফারহা আদিলের হাতে খাবারের ট্রে দেখে ভ্রুযুগল কুচকে বলে,” এই সব তোদের কে নিয়ে আসতে বলেছে হুম?”

” কে আবার আপা তোর মেঘরাজ আর আমাদের জিজু৷”

ফারহা আদিলের মাথায় গাট্টা মেরে বলে,” একদিন সময় করে তোদের দুজনের ক্লাস নিতে হবে ৷”

ফারহার কথা শুনে রাফি বলে উঠলো ,” এই না না দি আমি গুড বয় আমার ক্লাস তোকে নিতে হবে না৷”

” তো কে নিবে রোজা?” ফারহার কথা শুনে রাফি মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো,” দি ব্রোর তো সব হিল্লে হলো না মানে ভাবি ঠিক করা৷ এবার আমারও হিল্লেটা করিয়ে দেও না দি?”

রাফির কথা শুনে আদিল ফারহা দুজনে হেসে দেয় ৷ ফারহা হাসতে হাসতে বলে,” তোরও হিল্লে টা হবে তার আগে জঞ্জাল পরিষ্কার করে নি তারপর তোর ব্যাপারটা দেখছি৷”

” ওকে মেরি বেহেন৷ এখন ঝটপট খেয়ে নে নাহলে জিজু আমাদের ঝুলিয়ে পেটাবে৷”

ফারহা হেসে টুকটুক করে খাবার খেয়ে কফিটা খেতে খেতে বলল,” ছোটু আর পিচ্চি তোদের দুজনকে একটা কাজ করতে হবে৷ ”

” কি কাজ দি?”

ফারহা আদিল আর রাফিকে তাদের কাজটা বুঝিয়ে দেয়৷

(৫৮)

” স্যার আপনি টেনশন করবেন না৷ আমি আমার প্লানে অনেক দূর এগিয়েছি আর কয়েকটা দিন৷ ”

” মেঘ উপর মহল থেকে আমার উপর চাপ আসছে৷ টেরোরিস্টদের ডিরেক্ট ক্রস ফায়ার দেওয়ার নির্দেশ এসেছে৷ তারা বাংলাদেশ ইভেন এই শহরে আছে৷ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের খুজে বের করো মেঘ৷”

” আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট স্যার৷”

” ট্রাই করা চলবে না মেঘ৷ তোমাকে পারতেই হবে৷ ডিপার্টমেন্টে তোমার মত সৎ সাহসী আর কেউ নেই৷”

” নো স্যার ভুল বললেন৷ আমার মতো সৎ সাহসী আরো অনেকে আছে৷”

” হতে পারে কিন্তু আমার নজরে একমাত্র তুমি আছো৷”

” ওকে স্যার তাহলে আমি আজ আসছি৷ আর আমি এখন কিছুদিন নিয়মিত অফিসে আসতে পারবো না৷ এক প্রকার ছুটি বলতে পারেন৷”

” নো প্রব্লেম ইয়াংম্যান তোমার অনেক গুলো ছুটি জমা হয়ে আছে৷ এখন না হয় সেগুলো কাটিয়ে নেও তবে কাজের কথা ভুলো না৷”

” ভুলবো না এন্ড থ্যাঙ্কিউ স্যার৷”

” মোস্ট ওয়েলকাম৷”

মেঘ অফিস থেকে সোজা বাড়িতে চলে আসে ৷ এদিকে ফারিহা অর্নিল দুজনে বের হয় চৌধুরী ম্যানশনে যাওয়ার উদ্দেশ্য কিন্তু হঠাৎ মাঝরাস্তায়……
.
.
#চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here