ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -৩৮

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩৮
.
.
মেঘ হাত ঝাড়া দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে ফারিহার দিকে এগিয়ে গিয়ে স্বজোড়ে এক থাপ্পর মারে; মেঘের হাতের মার খেয়ে তাল সমলাতে না পেরে ছিটকে মাটিতে হুমরি খেয়ে পড়ে যায় ফারিহা৷ মেঘ তৎক্ষনাৎ ফারিহার দিকে এগিয়ে যেতে নিলে পেছন থেকে কেউ মেঘের হাত চেপে ধরে৷ মেঘ পেছনে ঘুরতে স্বজোরে মেঘের মুখে কেউ ঘুশি মেরে বলে,” হাউ ডেয়ার ইউ মেঘ ৷ তোর সাহস কি করে হয় আমার ফারিহাকে আঘাত করার?”
অর্নিল মেঘকে হন্তদন্ত হয়ে বের হতে দেখেই অর্নিলের সন্ধেহ হয়৷ পিছু নেয় মেঘের আর পিছু নিতে নিতে এখানে এসে মেঘ ফারিহাকে আঘাত করতে দেখে প্রচন্ড রেগে যায়৷ আর তখনি মেঘকে আঘাত করে বসে৷
মেঘ অর্নিলের কথার প্রত্ত্যুতরে পাল্টা ঘুশি মারে৷ মেঘের হাতে মার খেয়ে অর্নিল দু’পা পিছিয়ে যায়৷ ফারিহা বুঝতে পারছে আজ একটা বড়সড় গন্ডগোল বাধতে চলেছে৷ আর এটা আটকানোর জন্য ফারিহা নিজের রিভালবার মাথায় ঠেকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠলো,” থামো তোমরা নাহলে আমি নিজেকে শুট করে দিবো৷”
ফারিহার কথা শুনে মেঘ অর্নিল দু’জনে মারামারি বন্ধ করে ফারিহার দিকে তাকায়৷ অর্নিলের চোখে ফারিহাকে হাড়ানো ভয় তো মেঘের চোখে একরাশ ঘৃনা বিদ্যমান৷ মেঘ অর্নিল দু’জনকে থামতে দেখে ফারিহা আবার বলে উঠলো ,” জিজু তোমার চোখে আজ আমি অপরাধী বাট ট্রাস্ট মি , আপুর সাথে এমনটা ঘটবে সেটা আমি বিন্দুমাত্র ধারণা করতে পারলে কখনো আমি একা গাড়ি থেকে নেমে যেতাম না৷ আর না আপুর কিছু হতে দিতাম৷”

” হাহ্! আপু? কাকে আপু বলছো ফারিহা? যে আপুকে নরকে ঠেলে দিতে দু’বার ভাবো নি? আর আজ যখন নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হলো তখন নিজেকে সঠিক প্রমান করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছো বাহ! বাট আই সোয়ার ফারিহা আমি তোমাকে ছাড়বো না৷”

মেঘের কথা শেষ হতে অর্নিল মেঘের হাত ধরে নিভু নিভু জ্বলন্ত গাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে বলে,” মেঘ একবার গাড়ির ভেতর টা দেখুন৷ ভেতরে একবার তাকিয়ে দেখুন কোথাও রক্ত বা মানুষ পুড়ে যাওয়ার অংশ বিশেষ খুজে পান কিনা?”

মেঘ অর্নিলের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ড্রাইভিং সিটে ভালো করে দেখেও কোন চিন্হ পেল না৷ কোন পুড়ে যাওয়া মানুষের কোন চিন্হ না পেয়ে মেঘ ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে ৷

” আমার ফারুপাখির কিচ্ছু হয়নি৷ আমার ফারুপাখির কিচ্ছু হয়নি অর্নিল৷” মেঘ খুশি হয়ে অর্নিলকে জড়িয়ে ধরে৷ অর্নিল মেঘের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে কোন রিয়েক্ট না করে মেঘের খুশিতে খুশি হয়৷

এদিকে ফারিহা খুশিতে কান্না করতে থাকে৷ ফারিহা এটা ভেবে শান্তি পাচ্ছে তার বোন বেঁচে আছে ৷ মেঘ অর্নিলকে ছেড়ে ফারিহার কাছে এসে স্যরি বলে৷ ফারিহা চোখের পানি মুছে বলে,” জিজু তোমাকে স্যরি বলতে হবে না৷ কারণ আমি তোমাদের অবিশ্বাস ডিজার্ব করি৷ অতিতে যা যা করেছি তারপর কেউ এতো সহজে আমাকে বিশ্বাস করবে! এটা অসম্ভব৷”

” ফারিহা আমি জানি আমি ভুল করেছি৷ সবটা না জেনে তোমাকে ভুল বুঝেছি৷ আ..” মেঘের কথা শেষ করার পূর্বে আদিল বলে ওঠে,” জিজু আপু বেঁচে আছে তাহলে আপু কোথায়? ”

আদিলের প্রশ্ন শুনে মেঘ ফারিহা অর্নিল রাফি মোহনা সবার চোখে মুখে চিন্তার ছাপ৷

(৬৯)

” বস আপনার কথা মতো ফারহা খান কে উড়িয়ে দিয়েছি৷ ফারহা খান এতোক্ষণে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ ”

লোকটির কথা শুনে মোটা অংকের একটা টাকার বান্ডিল লোকটার হাতে পৌছাতে লোকটা হাসতে হাসতে বন্ধ ফ্যাক্টরি থেকে বের হতে নিলে পেছন থেকে দু’টো হিংস্র কুকুর লাফিয়ে লোকটির গলা কামড়ে ধরে৷ এদিকে চেয়ারে পায়ের উপর পা রেখে ঠোঁটের কোনে হাসি রেখা টেনে সবটা দেখছে কেউ৷

মুহূর্তে কুকুর গুলো লোকটির গলা কামড়ে ধর থেকে মাথা আলাদা করে ফেললো৷ কুকুর গুলো লোকটিকে ছিড়ে ছিড়ে খেতে লাগলো৷ এটা তৃপ্তি সহকারে মনযোগ সহকারে দেখছে ফারহার সেই অজানা শত্রু৷

পনেরো মিনিট পর অজানা শত্রু বসে থাকা থেকে উঠে দাড়িয়ে অন্য একটা রুমের সামনে দাড়িয়ে হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে দরজাটা খুলে গেল৷অজানা শত্রুটি রুমে ঢুকতেই একজন তরুনী রিভালবার পরিষ্কার করা বন্ধ করে মাথা নিচু করে বলে উঠলো,” বস আপনার কোন অস্রু লাগবে?”

” না তুমি বাইরে যেতে পারো৷”

” ওকে বস৷”

মেয়েটি যতক্ষণ তার বসের সামনে দাড়িয়ে ছিলো ঠিক ততোক্ষণ যেন মেয়েটির শ্বাস আটকে আসছিলো৷ ১৯ থেকে ২০ হলে প্রাণ কেড়ে নিতে তাদের বস দু’বার ভাববে না এটা মেয়েটি খুব ভালো করে জানে৷ রুম থেকে বেড়িয়ে স্বস্থির নিশ্বাস নিয়ে অন্য কাজে চলে গেল৷ এদিকে নতুন নতুন আর্মস গুলো হাতে নিয়ে রুমের মাঝখানে ফারহার ছবিতে টার্গেট করে শুট করে দেয় অজানা শত্রুটি৷

” মিসেস ফারহা চৌধুরী অরফে আরু এতো দিনে তোকে শেষ করতে পারলাম৷ এবার ফারিহার পালা ৷ তারপর এক এক করে খান বংশ এবং চৌধুরী বংশ নির্বংশ করে দিবো৷ কাউকে বাঁচতে দিবো না৷ কাউকে না৷ আমার ভালোবাসাকে খুন করার শাস্তি তো তোদের সবাইকে পেতেই হবে৷ আমি আসছি সবার ধ্বংসের কাল হয়ে৷” কথা গুলো বলে আবারও ফারহার ছবিতে শুট করে দিয়ে পাগলের মতো হাসতে লাগলো সেই অজানা শত্রু ৷

____________

” আর ইউ ওকে আরু? তুমি ঠিক আছো?” আগন্তকের কথার প্রত্ত্যুতরে ফারহা বলে উঠলো,” ইয়াহ আমি ঠিক আছি৷ এন্ড থ্যাঙ্কিউ ঠিক সময়ে আমাকে বাচাঁনোর জন্য; ”

” আমাকে থ্যাঙ্কিউ দিচ্ছো আরু? ” মুখ বাঁকা করে বলে উঠলো আগন্তক ৷

ফারহা আগন্তকের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিয়ে বলে উঠলো,” মুখ বাঁকা করলে তোমাকে বেশ ফানি লাগে হি হি হি৷”

” আরু বি সিরিয়াস সে যে এখন এই দেশে অবস্থান করেছে সেটা তুমি নিশ্চয়ই বুঝে গেছো?”

” হুম না বোঝার কিছু নেই ৷ আমি জানি সে এখন বাংলাদেশে৷ আর এই এট্যাকটা সেই করিয়েছে সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি৷ তবে তাকে এবার একটা ধামাকা সারপ্রাইজ দিবো যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ৷ ”

” ফাইন বাট তোমাকে এখন খুব সাবধানে থাকতে হবে আরু৷ ”

” জানি, তুমি শুধু আমার পরিবারের উপর নজর রেখো৷ ওদের উপর যেন কোন এট্যাক না হতে পারে৷”

” ওকে বাট তুমি এই রুম থেকে কোন ভাবে হবে না আরু আর না ফোন অন করবে৷ তাহলে কিন্তু মেঘ তোমায় ট্রেস করে ফেলবে৷ আর মেঘ যদি তোমায় একবার খুজে পায় তাহলে আমাদের সব প্লান ফ্লপ হয়ে যাবে৷”

” ডোন্ট ওয়ারি এমন কিছুই হবে না৷ আমি সর্তক থাকবো কিন্তু তুমি বিশেষ করে ফারিহার উপর নজর রাখবে৷ এখন ওর উপর এট্যাক হবার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ”

ফারহা সেই আগন্তকের সাথে কথা বলতে বলতে ল্যাপটপে কাজ করতে লাগলো৷ আগন্তক ফারহার সাথে কথা শেষ করে বেড়িয়ে পড়লো৷

______________

ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে হ্যারি লিও জেসিকার সামনে বসে আয়েশ করে খাচ্ছে৷ জেসিকার ইচ্ছে করছে হ্যারি লিওকে কাঁচা চিবিয়ে খেতে৷ জেসিকা এখন নিজে উপলব্ধি করতে পারছে হ্যারি লিও আর কিং ফায়ারকে পুলিশের হাত থেকে বাচাঁনো তার একদম ঠিক হয়নি৷ জেসিকার পুরো শরীর ব্যথায় নরতে পর্যন্ত পারছে না৷ পুরো শরীরে হ্যারি লিওয়ের দেওয়া অসংখ্য দাঁগ গুলো জ্বল জ্বল করছে৷ হ্যারি জেসিকাকে মেরে ক্ষান্ত হয়নি বরং ওই নার্স গুলোর মতোই হ্যারি লিও জেসিকাকে খুবলে খায়৷

লিও চিকেন লেগ পিসে কামড় দিয়ে জেসিকাকে বলতে লাগলো,” সুইটহার্ট এখনো সময় আছে বলে ফেলো কিং ফায়ার কোথায়? তাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছো? আর এখন যদি সত্যিটা না বলো তাহলে হা হা হা ইউ নো না জেসিকা? ” হাসতে হাসতে বললো লিও৷

জেসিকা এবার লিওয়ের সাথে তর্কে না গিয়ে ওদের হাত থেকে পালানোর সুযোগ খুজতে লাগলো৷ জেসিকার মুহূর্তে মাথায় একটা বুদ্ধি উদয় হলো৷ জেসিকা চোখে মুখে অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তুলে বলতে লাগলো,” হ্যারি আমার হাত পায়ের বাধণ গুলো খুলে দেও প্লিজ৷”

” হোয়াই বেইব? ” খেতে খেতে জেসিকাকে প্রশ্ন করলো হ্যারি৷ জেসিকা কান্না কান্না ভাব নিয়ে বলতে লাগলো,” আমাকে আর্জেন্ট ওয়াশরুমে যেতে হবে হ্যারি৷”

” নো বেইব ৷ আমি জানি তুমি পালানোর প্লান করছো৷ আর আমি তোমার কথা মতো তোমায় বাধণ থেকে মুক্ত করবো? ভাবলে কি করে!”

” নো হ্যারি আমি কোন প্লান করছি না৷ আমাকে সত্যি ওয়াশরুমে যেতে হবে৷ আচ্ছা তোমার বেশি সন্ধেহ হলে আমি ওয়াশরুমের দরজার লক করবো না৷ তুমি বাইরে দাড়িয়ে থেকো; প্লিজ হ্যারি লিও আমাকে ওয়াশরুমে যেতে দেও৷ ”

জেসিকার কথা গুলো শুনে হ্যারি লিও বিশ্বাস করতে এক প্রকার বাধ্য হলো৷ হ্যারি কিছু একটা ভেবে হাতে খাবারের প্লেট রেখে হাতে ভাঙা ফ্লাওয়ার ভাঙা ভাসের বড় একটা টুকরো হাতে নিয়ে জেসিকার দিকে এগিয়ে যায়৷ হ্যারি জেসিকার বাধণ খুলে ভাঙা ভাসের টুকরো টা তনুর গলায় ধরে ওয়াশরুমের দিকে যেতে লাগলো৷

জেসিকা ওয়াশরুমের দরজার কাছে এসে হুট করে হ্যারির হাত উল্টো করে ধরে ভাসের টুকরো টা নিজের হাতে নিয়ে হ্যারির গলায় চেপে ধরে পোচ দেয়; সাথে সাথে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয়৷ হ্যারি জেসিকাকে আটকানোর কোন সুযোগ পেল না৷ মুহূর্তে হ্যারি তার গলা ধরে ফ্লোরে পড়ে গেল৷ ভারি কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে লিও ওয়াশরুমের দিকে ছুটে এসে হ্যারিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ঘাবড়ে যায়৷ জেসিকা লিওয়ের দিকে বাঁকা হেসে লিওয়ের দিকে এগোতে লাগলো৷ লিও চোখে মুখে কাঠিন্য ভাব এনে জেসিকাকে হাত দিয়ে আঘাত করতে নিলে জেসিকা লিওয়ের হাতে পোচ মারে৷ লিওয়ের হাত দিয়ে টপ টপ করে রক্ত পড়তে লাগলো৷ লিও হাত চেপে ধরে জেসিকার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে জেসিকা ক্রুর হেসে লিওর পেটে কাঁচের টুকরোটা ঢুকিয়ে দিয়ে বলল,” হ্যাপি জার্নি লিও৷”

(৭০)

চৌধুরী ম্যানশনে শোকের ছায়া ছেয়ে আছে৷ মেঘ ফারহার মম ড্যাডের অবস্থা খুব শোচনীয়৷ মেহবুব এবং মেহরীমা চৌধুরী মেঘের উপর প্রচন্ড রেগে আছে ৷ এদিকে মেঘ এই সব কিছুর পরোয়া না করে মেঘের সোর্স লাগিয়ে দিলো তার ফারুপাখিকে খুজে বের করতে৷

” স্যার ম্যামের ফোন নাম্বার অফ বিধায় তাকে ট্রেস করা সম্ভব হয়নি৷ কিন্তু বাড়ির সি সি ক্যামেরার ফুটেজে ম্যামকে দেখা গিয়েছে৷ গাড়ি ব্লাস্ট হওয়া দু’সেকেন্ড আগে কোন এক মাক্স পরিহিত ব্যক্তি ম্যামকে গাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়৷ আর তারপর পর গাড়ি ব্লাস্ট করে৷ এক কথায় বলবো ম্যাম সুস্থ আছে এবং বেঁচে আছে৷ ”

মেঘ তার লোকদের মুখে কথা গুলো শুনে খুশিতে চোখে পানি ছলছল করছে৷ মেঘ তার ফারুপাখিকে হাড়িয়ে ফেলেনি এটা ভেবে প্রচন্ড খুশি হয়৷

” তোমাদের ম্যামকে যতো দ্রুত সম্ভব খুজে বের করো৷ ”

” ইনশাআল্লাহ স্যার আমি ম্যামকে খুজে বের করবোই৷ ”

লোকটি মেঘকে সালাম দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার পর পর ফারিহা মেঘের সামনে এসে দাড়ায়৷ মেঘ ফারিহাকে দেখে ভ্রুযুগল কিঞ্চিৎ কুচকে তাকায় ফারিহার দিকে, ফারিহা চোখের পানি ছলছল করছে তা দেখে মেঘ বলে ওঠে ,” ফারিহা চোখের পানি মুছে ফেলো কারণ তোমার বোন বেঁচে আছে সুস্থ আছে৷ ”

” সত্যি জিজু! আপু বেঁচে আছে সুস্থ ?” ফারহা বেঁচে আছে শুনে খুশিতে ফারিহার চোখ জোড়া খুশিতে চকচক করে উঠলো৷

” হ্যাঁ ফারিহা তোমার বোন বেঁচে আছে সুস্থ আছে৷”

” আপু কোথায় আছে জিজু? এখনো কেন বাড়িতে ফিরে আসছে না আপু?”

ফারিহার কথা শুনে মেঘ খানিকটা বিরক্ত হয়ে বলল,” ফারিহা বোকা বোকা কথা বলো না৷ তুমি খুব ভালো করেই জানো ফারুপাখি কেন বাড়িতে ফিরে আসছে না৷ এনিওয়েস আমাকে এখন বের হতে হবে তুমি ততোক্ষণ না হয় বাড়িটা সামলাও আমি আসছি৷”

মেঘ চৌধুরী ম্যানশন দিয়ে বের হতে নিলে হঠাৎ সামনের মানুষটাকে দেখে থমকে যায় মেঘ ……
.
.
.
#চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here