#নরীর_সতীত্ব
#পর্ব_১৫
Wohad Mahmud
সাবনাজের মুখ তখন কিছুটা ফেকাশে হয়ে গেল। বুঝতে পারলাম না কেন এমন হলো। আমি কিছু বলতে যাব তখনি ভাবি আমার রুমে ঢুকে।
আমি মনে মনেই বললাম এটা আবার কোন ধরনের ভদ্রতা। বলা নেই কওয়া নেই হুটহাট করে রুমে ঢুকে যায়। দরজায় নক দিয়েও তো আসতে পারে।
আমি বললাম কিছু বলবেন ভাবি?
ভাবি বলল–
তোমার সাথে কিছু কথা আছে মাহমুদ।
আমি বললাম জ্বী বলেন ভাবি কি বলবেন?
রাকিবের বিষয়ে কথা বলব তো। তাই একটু একা একা কথা বলতে চেয়েছিলাম।
জ্বী এখানেই বলেন সমস্যা নেই কোনো। সবনাজ “রাকিব আর মাহমুদার বিষয়ে সব জানে। সাবনাজের কাছে কিছু লুকানোর প্রয়োজন মনে করি নাই।
আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল- তুমি কিছুক্ষণ আগে রাকিবকে কী বলেছিলে।
কই ভাবি আমি তো কিছু বলি নাই।
রাকিব তো আমাকে বলল তুমি খারাপ ব্যবহার করেছ ওর সাথে। আর বাসা থেকে চলে যেতে বলেছ। আর আমার ভাই এখনো তোমার বোনের পিছনে পড়ে নেই। আগের থেকেও অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে।
আমি উঠে দাড়িয়ে বললাম। আপনার ভাইকে আমি তেমন কিছু বলি নাই। শুধু ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করেছি। আর বলেছি, মাহমুদা সেই বিষয় নিয়ে এখনো রাগ করে আছে। ওর ব্যবহারে কোনো কষ্ট পাবে না। আর মাহমুদার থেকে একটু দূরে থাকবে।
আর আপনার ভাই আগের থেকে কতটা ভালো হয়েছে সেটা বেশ ভালোই দেখতে পারছি। তিল কে তাল বানানোর চেষ্টা করছে। আমি তার সাথে বললাম এক কথা আর আপনাকে গিয়ে বলল আরেক কথা।
শুনো মাহমুদ, আমার ভাই এখানে সারাজীবন থাকতে আসে নাই। আর কেন এসেছে সেটা বেশ ভালোই দেখতে পারছো। তোমার বউয়ের বাসা থেকে যেমন এখানে আসার অধিকার আছে ঠিক তেমনি আমার ভাইয়ের ও এখানে আসার অধিকার আছে। কারণ তার বোন এই বাসাতে থাকে। এখন থেকে যখন মন চায় আমার ভাই আসবে এখানে। এখন থেকে তুমি তাকে মানা করার কেউ না।
আমি তখন হাসতে হাসতে বললাম। কীভাবে অধিকারের কথা বলেন আপনি, আমার বাবা যখন অসুস্থ ছিল কই তখন তো কেউ আমার বাবাকে দেখতে আসে নাই। এখন কেন আসছে।
আমার কথা শুনে। কোনো জবাব না দিয়ে রাগ করে চলে গেল, আর যাওয়ার সময় বলে গেল আজকের এই ব্যবহারের কথা আমি বাবা মায়ের সাথে বলব। বড়দের সম্মান করতে জানো না। তারপর দেখি তোমার বাবা মা তোমাকে কী বলে।
আমি মনে মনে হাসতে থাকলাম আর বললাম কতটা বেহায়া হলে এখনো সম্মানের কথা বলে। সম্মান পেতে হলে আগে সম্মানীয় কাজ করতে হয়। তাছাড়া কেউ সম্মান দিবে না।
তারপর সাবনাজ বলল ভাবিকে এভাবে বলা ঠিক হয়নি। এমনিতেই প্রেগন্যান্ট, আর তুমিই আমাকে বললে ভাবির খেয়াল রাখতে এখন তুমিই ভাবির সাথে এমন করছো ভাবির সাথে।
তুমি ভাবির সম্বন্ধে এতকিছু জানো। এখন আবার অকারণে আমাকে এসে কথা শুনাই। তার নির্লজ্জ ভাই আমার আমে বানিয়ে বানিয়ে কিসব কথা বলেছে আর আম অনেক এসে দোষ দেয়।
তা সব জানি এখানে তোমার কোনো দোষ নেই। কিন্তু কী করার আছে বলো।
আমি বললাম, এভাবে না বলে আর পারলাম না। দুই ভাই বোন মিলে নাটক করছে। আমি রাকিবকে খারাপ কিছু বলি নাই কিন্তু সে ভাবির কাছে গিয়ে তাল লাগাচ্ছে। আবার এমনও হতে পারে ভাবি প্রেগনেন্সির সুযোগ নিয়ে বাবা মায়ের সামনে খারাপ বানানোর চেষ্টা করছে। যাতে করে কেউ কিছু বলতে না পারে তাকে।
বাবার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ শেষ হয়ে গিয়েছে। বড় ভাইয়াকে ফোন দিয়ে বলেছিল গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ নিয়ে আসতে। আমিই বাজারে গিয়ে নিয়ে আসি। কিন্তু আজ ভাইয়া তাড়াতাড়ি বাসায় আসবে জেনে ভাইয়াকে নিয়ে আসতে বলেছিল। কারণ বড় ভাবির মা আর ভাই এসেছে তাই তাড়াতাড়ি বাসায় আসবে। সন্ধ্যার পরে বাবার পাশে বসে প্রেসক্রিপশন আর ঔষধ দেখছিলাম। দেখি গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাকে ঔষধ এর কথা বলেনি কেন জানতে চাইলে এই কথাটা বলে।
কিছুক্ষণ পরে ভাইয়া বাসায় আসলে বাবার ঔষধ নিয়ে আসতে গেলাম। নক দিয়ে রুমে ঢুকে দেখি ভাইয়া, ভাবি আর ভাবির মা, ছোট ভাই বসে আছে। আমাকে দেখে সবাই কিছুটা অস্বস্তি বোধ করলো। আমি বুঝতে পারলাম এভাবে আশায় কেউ পছন্দ করেনি।
ভাইয়াকে বললাম ঔষধ কোথায়?
ভাইয়া বলল কিসের ঔষধ?
আমি বললাম কিসের ঔষধ আবার বাবা তো তোকে বলে দিয়েছে যে, গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ নিয়ে আসতে। সেই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কোথায়?
ভাইয়া বলল আমার মনে নেই ঔষধ আনতে।
মনে নেই মানে? তুই এটা জানিস না বাবার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ না খেলে অনেক কষ্ট হবে।আর এখন বলছিস ঔষধ আনতে মনে নেই।
মনে নেই মানে মনে নেই। আর তুই তো সারাদিন বাড়িতে বসে থাকিস। তুই গিয়ে ও তো নিয়ে আসতে পারি এভাবে সারাদিন বাড়িতে বসে না থেকে।
বাবার ঔষধ বা কোনো প্রয়োজন হলে আমি নিয়ে আসি আর কেউ না। প্রতিদিন তো আমাকে বলে, আজ বলে নাই তোকে বলে। আর হ্যাঁ ভালো কথা- বিয়ে পর থেকে তো কোনোদিন এভাবে বাজার নিয়ে আসতে দেখি নাই। সব বাজার তো আমি আর বাবা করে নিয়ে আসি। শ্বাশুড়ি, শালা এসেছে বলে বাজার থেকে অনেক বাজার করে নিয়ে এসেছেন আর বাবার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ নিয়ে আসতে মনে নেয়। সমস্যা কোথায় বুঝলাম না, আসলেই কী মনে নেই না-কি টাকা খরচের ভয়।
বড় ভাবি উঠে দাঁড়িয়ে বলে। কী আজেবাজে কথা এগুলো মাহমুদ। সত্যিই তোমার বড়দের সাথে কথা বলার আদব কায়দা নেই। বড় ভাইয়ের কথা তুই করে কথা বলছো। আর টাকা পয়সার সমস্যা হবে কেন? টাকা দিচ্ছি যাও ঔষধ কিনে নিয়ে আসো। এটা বলে আমার হাতে ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দেয়।
আমি হেঁসে হেসে বললাম ভাবি আপনি এই বাড়িতে নতুন না। আমি ভাইয়াকে যখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ডাকি। এটাও আপনার জানা কথা। আর আপনার টাকা দেয়া লাগবে না। আমার টাকা আছে সেটা দিয়ে কিনতে পারব। এটা বলেই হাতের পাঁচশ টাকা ভাইয়ার বেডের উপর ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে আসলাম।
বাবার ঔষধ খাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি ঔষধ কিনতে হবে। তাড়াতাড়ি করে বাইক টা বরে করে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তাড়াতাড়ি ঔষধ নিয়ে এসে বাবাকে দিলাম।
বাবা বলল, এতো দেরি হলো কেন ঔষধ নিয়ে আসতে। কোন সমস্যা হয়েছে?
আমি বললাম তেমন কিছু না বাবা। ভাইয়ার সাথে অনেক দিন ভালো করে কথা হয়নি। সে জন্যই ভাইয়ার সাথে একটু গল্প করছিলাম।
বাবাকে জানতে দেওয়া যাবে না যে, ভাইয়া ঔষধ নিয়ে আসে নাই, আমি গিয়ে এখন নিয়ে আসলাম। তাহলে বাবার মন খারাপ হবে।
আজ রাতে আমার বিচার হবে। কথাটা ভাবতেই অট্ট হাসি পাচ্ছে। বিচার হবে কারণ, আমি ভাবির ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি। তাদেরকে এই বাসা থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলেছি। ভাবি আর ভাইয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি, সে জন্যই আমার বিচার হবে। আমি জানি ভাবি তিলকে তাল বানানোর চেষ্টা করবে। যা হয়েছে তা বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলবে মা বাবার কাছে। মা বাবার কাছে আমাকে খারাপ বানানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু সমস্যা নেই আমি সবকিছু হ্যান্ডেল করে নিতে পারব ওই বজ্জাত মহিলার সামনে।
রুমে এসে বসে আছি। তখন মাহমুদা আমার রুমে আসে আর এসে বলে ভাইয়া এসব কী শুনছি।
আমি জেনেও না জানার ভান করে বললাম, কেন কী হয়েছে আর কী শুনছিস?
আমি তো শুনলাম ভাবি তোর নামে আজ বিচার ডেকেছে আজ রাতে।
আমি বললাম আরে শান্ত হ আগে।
কীভাবে শান্ত হবো আমি। বাসায় আজকাল কী চলছে , যে আর মতো যা ইচ্ছা তাই করছে। বিচার তো তার নামে ডাকা দরকার। আর উল্টা তোর নামে ডাকছে। তুই একদিন আমার কথা মিলিয়ে নিস। আমাদের কাউকে এই বাড়িতে শান্তি মতো থাকতে দিবে না। এমনকি মা বাবাকেও না।
আচ্ছা শোন বিচারের সময় কিন্তু তুই থাকবি।
ওই অসভ্য রাকিব থাকলে আমি থাকব না।
সবাই থাকবে। আর তোর ভাইয়ের বিপদের সময় আমার পাশে তুই থাকবি না?
আমার কথায় ইমশোনাল হয়ে মাহমুদা বলে আচ্ছা ঠিক আছে থাকব।
সবাই বসে আছি খাওয়া দাওয়া করে খাবারের টেবিলে। মাহমুদা কে চা আনতে চলে বাবা। মাহমুদা চা নিয়ে এসে সবাইকে দিচ্ছে। চা দেওয়ার সময় এক কাপ চা সব রাকিবের গায়ে ঢেলে দেয়,,,,,
#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_১৬
Wohad Mahmud
সবাই থাকবে। আর তোর ভাইয়ের বিপদের সময় আমার পাশে তুই থাকবি না? সারাজীবন আমার পাশে ছিলি আর এখনো থাকবি আমি জানি।
আমার কথায় ইমশোনাল হয়ে মাহমুদা বলে আচ্ছা ঠিক আছে থাকব।
সবাই বসে আছি খাওয়া দাওয়া করে খাবারের টেবিলে। মাহমুদা কে চা আনতে চলে বাবা। মাহমুদা চা নিয়ে এসে সবাইকে দিচ্ছে। চা দেওয়ার সময় এক কাপ চা সব রাকিবের গায়ে ঢেলে দেয়। রাকিবের গায়ে চা ঢেলে দিলে ও মা বলে চিৎকার করে উঠে।
আমি মনে মনে বললাম এতো চিৎকার করার দরকার আছে। চা পড়েছে আগুন না। এটা ভেবে চায়ের কাপে এক চুমুক দেওয়াতে আমার ঠোট টা পুড়ে গেল। তখন আমি বুঝলাম এতো চিৎকার করার কারণ কী। চা টা অনেক গরম। আমার তখন আর বুঝতে বাকি রইল না। এটা ইচ্ছে করেই করেছে মাহমুদা। এটা ভেবেই সত্যি সত্যি অনেক হাসি আসছে আমার। অনেক কষ্ট হাসি টা ঠেকিয়ে রাখলাম। এখন হাসা যাবে না, কারণ সবাই খারাপ ভাববে। আর ভাবলাম এটাই মনে হয় ইটের বদলে পাটকেল।
গায়ে চা পড়ে যাওয়াতে বাথরুমে চলে যায় রাকিব। ভাবি আর ভাবির মা রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাহমুদার দিকে।
ভাবি বলল একটু দেখে শুনে চা দিতে পারো না মাহমুদা। না পারলে আমাকে বলতে। এতো গরম চা গায়ে পড়েছে রাকিবের গা পুড়ে গেছে।
মাহমুদা বলল আমি তো আর ইচ্ছে করে গায়ে চা ফেলে দি নাই। ভুল করে মিস্টেক হয়েছে গেছে ভাবি। ওহ স্যরি ভাবি ভুল করে গড়ে গেছে।
আমি মনে মনে হাসছি আর বলছি ভুল করে মিস্টেক হয় কেমন আরে আবার। ভালোই তো এক্টিং করতে পারে দেখছি মাহমুদা।
বাথরুম থেকে বেরিয়ে রুমে যায় রাকিব। রাকিবের রুমে যাওয়া দেখে রাকিবের মা রাকিবের পিছনে পিছনে রুমে চলে যায়।
ভাবি বলল আমি সব বুঝি মাহমুদা। তুমি ইচ্ছে করেই করেছো এসব। রাকিবের এখানে আসা তোমার একদম পছন্দ হয়নি আর সেই জন্যই এখান থেকে তাড়ানোর জন্য আমার ভাইয়ের উপর নির্যাতন করছো। এসব তুমি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য করছো মাহমুদা।
আমি তখন মুচকি হেসে বললাম। আহা ভাবি এসব কেন বলেন। প্রতিশোধ কেন নিতে যাবে। প্রতিশোধ নিতে হলে এক বছর আগেই নিয়ে নিত, এতদিন অপেক্ষা করত না। ভুল তো মানুষের দ্বারা হয়। আপনি যেমন সেদিন সাবনাজের গায়ে ডাবল হিটের চা ফেলে দিয়েছিলেন ভুল করে। ঠিক তেমনি করে আজ রাকিবের গায়ে চা ফেলে দিয়েছে মাহমুদা।
আমাদের এভাবে তর্ক করে কথা বলা দেখে বাবা বলল- কী শুরু করলে তোমরা এসব। এবার থামো। যা বলার জন্য ডাক দিয়েছ সেটা বলো।
আমিও চুপ হয়ে গেলাম আর ভাবির চুপ হয়ে গেল। কেউ আর কোনো কথা বললাম না। ভাবির তো চুপ থাকার না। তার যে মুখ সেই মুখ থেকে খোঁচা মেরে কথা না বললে পেটের ভাত হজম হয় না। সাবনাজের গায়ে চা ফেলে দেওয়ার কথা বললাম বলে চুপ হয়ে গেল। নিজের দোষ ঢাকতে ভেজা বিড়াল হয়ে গেছে।
ভাইয়া তখন বলল আচ্ছা বাবা ঠিক আছে সেটা না হয় বলা হবে। আগে বলো তোমার শরীর কেমন আছে। আগের থেকে কি উন্নতি মনে হচ্ছে?
বাবা বলল আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেকটাই সুস্থ আছি। নিয়মিত ঔষধ খাচ্ছি আগের থেকে আরো সুস্থ হয়ে যাব ইন শাহ আল্লাহ।
আমি তখন ভাইয়াকে বললাম। আজকে বাবার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভাগ্য ভালো আপনি ঔষধ টা ঠিক সময় নিয়ে এসেছিলেন না হলে বাবার গ্যাস বেড়ে আরো অনেক অসুস্থ হয়ে যেত।
ভাইয়া আমার দিকে ট্যারা চোখে তাকিয়ে আছে। আর আমি মিট মিট করে হাসছি। কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিয়ে দিলাম একটু্।
মা বলল আসল কথায় আসা যাক। আমাদের এখানে কেন ডেকে নিয়ে আসছো সাইমা?
ভাবি বলল– মাহমুদের জন্য এই বাড়িতে থাকা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে মা।
কেন কী হয়েছে? মাহমুদ আবার কী করল?
মাহমুদ আমার সাথে আপনার বড় ছেলের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। সম্মান দিয়ে কথা বলতে জানে না। আজকেও ওর বড় ভাইয়ের সাথে কথা তুই করে কথা বলছে।
আমি বললাম মা তুমি তো জানো আমি ভাইয়ার সাথে সেই ছোট থেকেই তুই, আপনি দুটা করেই কথা বলি। যতদিন থেকে ভাবি এই বাড়িতে আছে ভাবি তো দেখছে তাহলে এসব কথা কেন তুলে ধরা হচ্ছে?
মা বলল হ্যাঁ ঠিকই তো এখানে আবার সমস্যা কীসের। সারাজীবন এমন করেই কথা বলে মাহমুদ তার বড় ভাইয়ের সাথে।
ভাবি বলল তা না হয় বুঝলাম আমার সাথে ভালো করে কথা বলে না কেন? আর মাহমুদা, রাকিবের বিষয় টা সবার কাছে বলে বেড়ানোর দরকার কী? আর এটা তো বলা হয়েছে এই বিষয় এটা এখানে সমাপ্ত আর কেউ জানবে না তাহলে সাবনাজকে কেন বলল।
আমি উঠে দাড়িয়ে বললাম অনেক হয়েছে আর না। প্রথমত আমি আপনার সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করি নাই। আর দ্বিতীয় কথা বলো। সাবনাজ আমার স্ত্রী, এই বাসায় সবকিছু জানা তার অধিকার আছে। সাবনাজকে নিয়ে আর একটা কথাও বলবেন না আপনি।
বাবা বলল হ্যাঁ এটা তো ঠিক আছে সাইমা। সাবনাজ তো এই বাড়ির বউ। তার সবকিছু জানার অধিকার আছে। শুধু বলা হয়েছিল বাড়ির বাইরে কেউ জানবে না। আর সাবনাজ তো বাড়ির মানুষ বাইরের কেউ না।
তা ঠিক আছে বাবা বুঝলাম। কিন্তু সাবনাজ যদি এই বিষয়ে বাইরে কাউকে বলে তাহলে তখন কী হবে?
বাবা তখন সাবনাজের দিকে তাকিয়ে বলে। সাবনাজ তুমি ওয়াদা করো এসব কথা কখনো কাউকে বলবে না। এমনকি তোমার বাবা মায়ের সাথেও না। যদি বলো তাহলে তোমাকে শাস্তি পেতে হবে।
সাবনাজ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিয়ে বলল। আপনি যেমন বলবেন বাবা। আমি কখনো কাউকে এই বিষয়ে বলব না বাবা।
আমি মনে মনে হাসছি আর বলছি। যাক বাঁচা গেল এখনো সবকিছু আমার অনুকূলে আছে। দেখা যাক সামনে আবার কী ঝামেলা সৃষ্টি করে।
ভাবি তখন বলল এখন তাহলে আসল কথায় আসা যাক। আচ্ছা বাবা আমার পরিবারের লোকজন কী এখানে আমাকে দেখার জন্য আসতে পারে না?
হ্যাঁ অবশ্যই পারে। কেন পারবে না?
তাহলে সেই কত আগের মাহমুদা আর রাকিবের বিষয় নিয়ে এখনো পড়ে আছে মাহমুদ। আর সে জন্যই আমার ভাইকে বলেছে এই বাসা থেকে চলে যেতে। রাকিব এই বাড়িতে কখনো আসতো না শুধু আমার জন্য এসেছে। আবার বাচ্চা হবে জেনে। বাবা মা আপনারা যদি বলেন আমার ভাই এখানে এসে ভুল করেছে তাহলে আমি রাকিবকে এক মুহুর্ত এখানে রাখব না বাসায় পাঠিয়ে দিব।
মা তখন বলল– না না পাঠিয়ে কেন দিবে যা হয়েছিল সব ভুলে গেছি আমরা। আর মাহমুদা তোমার ভাবি যেটা বলছে তা কি সঠিক?
না মা এটা ভুল। আমি এমন কথা কখনো বলি নাই। আমি শুধু বলেছি মাহমুদা সেই কথা এখনো ভুলতে পারে নাই। ওর ব্যবহারে তুমি কষ্ট পাবে না। আর মাহমুদা থেকে একটু দূরে থাকবে তাহলে হয়তো সে এসব আস্তে আস্তে ভুলে যাবে। আর ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করেছি। কিন্তু আমি বাসা থেকে চলে যেতে বলি নাই। এটা মিথ্যা কথা।
ভাবি তখন বলল আচ্ছা তাহলে তুমি সত্যি কথা বলছো আর আমরা দুজন মিথ্যা কথা বলছি। আর সত্যি এটাই যে রাকিবকে এখান থেকে চলে যেতে বলছো।
আমি বললাম যে, সত্যি মিথ্যে কখনো সংখ্যা দিয়ে নির্ধারণ করা হয় না। আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে যে আমি আপনার ভাইকে এসব কথা বলেছি।
ভাবি কিছু বলতে যাবে তখন মাহমুদা বলে রাকিবকে ডাকার দরকার রাকিব কী বলে।
রাকিবকে ডাকার জন্য সবাই অনুমতি দিল। আমি গিয়ে রাকিবকে ডেকে নিয়ে আসলাম। রাকিব এসে যা বলল আমি আমি নিজের কানে বিশ্বাস করতে পারছি না। রাকিবকে কী ভুতের ধরলো না কি যে, মিথ্যা না বলে সব সত্যি কথা বলে দিচ্ছে।
রাকিব বলল মাহমুদ ভাইয়া আমার সাথে খারাপ করে কথা বলেনি। আপু যা যা বলেছে সব মিথ্যা কথা। রাকিবের এমন কথা শুনে ভাবি হা করে তাকিয়ে আছে নিজের ভাইয়ের দিকে। ভাবিও বিশ্বাস করতে পারছে না।
রাকিবের কথা শুনে ভাবি মাথা ঘুরে পড়ে যায়।
চলবে,,,,,,,,
বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন । আগের পর্ব কমেন্টে বক্সে।
চলবে,,,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আজ থেকে আবার নিয়মিত গল্প পাবেন। এই কয়দিন একটা সমস্যার কারণে লেখা হয়নি। তার জন্য ক্ষমা করবেন।