নারীর_সতীত্ব পর্ব ১৯+২০

#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_১৯
Wohad Mahmud

আমার খুব রাগ হচ্ছিল। বিয়ে করে যেদিকে যাবি যা, আমাদের মাথার উপরে আসার কী দরকার। সোহেলের কাছে থেকে ওর বাবার ফোন নাম্বার নিয়ে এখানে আসতে বললাম। তারপর ওর বাবা এসে এসব কান্ড দেখে রাকিবকে কে কিছু না বলে থাপ্পড়াতে শুরু করে দেয়। সেই সাথে নিজের ছেলেকেও।

আমি বুঝতে পারলাম না। এখানে রাকিবের কী দোষ? রাকিবকে কেন থাপ্পড় দিল?

আমি সোহেলের বাবাকে বললাম, এখানে রাকিবের তো কোনো দোষ নেই, ভুল যা করার করছে সব আপার ছেলে করছে।

সোহেলের বাবা যা বলল তা শোনার পরে আমার রাগ আরো দ্বিগুন হয়ে গেল।

সোহেলের বাবা বলল, সব সমস্যার মূল এই রাকিব। আমার ছেলের তো দোষ আছেই তার তাকে সাহায্য করছে রাকিব। এর পিছনে রাকিবের হাত না থাকলে কোনোদিন এমন কাজ করতে পারত না সোহেল। আর রাকিব বলেছে নিশ্চিয় এখানে আসার কথা।

আমি নিজেকে শান্ত করে বললাম, আপনি কীভাবে বুঝলেন এর পিছনে রাকিবের হাত আছে আর রাকিব এখানে আসতে বলেছে।

আমি সিওর কারণ, রাকিব একদিন এই মেয়ের বিষয়ে আমার সাথে কথা বলতে আসছিল, আমি মানা করে দিয়েছিলাম আর তখন রাকিব বলেছিল বিষয় টা আমি সামলিয়ে নিব। আর এটা রাকিব করছে। রাকিব ছোট থেকেই এমন, কাউকে সম্মান দিতে জানে না।

আমি রাকিব কে বললাম এটা কী সত্যি রাকিব।

রাকিব তখন বলল, হ্যাঁ আমি ওই মেয়ের বিষয়ে কাকার সাথে কথা বলছিলাম। কিন্ত আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না আর এখানে আসতেও বলি নাই। পালিয়েও বিয়ে করতে বলি নাই আমি।

বুঝলাম রাকিব কে ধরে হবে না। তাই সোহেল কে বললাম আমার একটা ফ্রেন্ড আছে সে পুলিশ অফিসার যদি প্রথম থেকে সব ঠিক ঠিক বলো তাহলে আমি তোমাকে সাহায্য করব, না হলে আমি স্যরি।

সোহেল তখন বলে আমি রাকিবকে কথা অনুযায়ী সব করছি। রাকিব বলেছে পালিয়ে বিয়ে করে এখানে আসতে। আমি তাই করেছি। বলছে এখানে চলে আই, মাহমুদ ভাইয়া সাহায্য করতে পারবে। তাই এখানে এসেছি।

আমি রাকিবের দিকে তাকাতেই রাকিব লজ্জায় মাথা নিচু করে নেয়। মনে মনে বললাম কুকুরের লেজ কখনো সোজা হবে না। আর যেখানে যায় ঝামেলা সৃষ্টি করে।

সুমির কাছে থেকে ওর বাবার নাম্বার নিয়ে ফোন দিয়ে সব খুলে বললাম। আর বাসার ঠিকানা দিয়ে বললাম এখানে আসেন আপনারা আর প্লিজ পুলিশ নিয়ে আসবেন না। নিজেরা নিজেরাই এই বিষয় টা সমাধান করতে পারলে ভালো হবে। কিছুক্ষণ বোঝানোর পরে ওরা আসতে রাজি হলো আমাদের এখানে।

সবাই বসে আছে গম্ভীর হয়ে। কেউ কোনো কথা বলছে না।সবার মাঝ থেকে সাবনাজ অনুপস্থিত। কিছুক্ষণ আগেও তো দেখলাম এখানেই ছিল। মনে হয় আমার এখানে আসতে দেখে চলে গিয়েছে। রাকিবের সাথে মাহমুদার বিয়ের কথা বলার পরে থেকে এমন করছে। কথা বলছে না। আমার সাথে রাগ করে আছে।

আমিও অনেক রাগ করে আছি সাবনাজের উপর। কালকে আমার কথার উত্তর না দেওয়ায় জন্য।

ওখান থেকে চলে আসলাম। রুমে এসে দেখি সাবনাজ বসে আছে খাটের উপরে। আমার আসার উপস্থিত ঠিক পেয়ে রুম থেকে চলে যেতে চাইলে জোরে হাত ধরে আবার খাটের উপর বসিয়ে দিয়ে বললাম, তোমার সমস্যা কী সাবনাজ?

আমার আবার কী হবে? আমার কোনো সমস্যা নেই মাহমুদ। আমি ঠিক আছি।

তাহলে কাল থেকে আমাকে ইগনোর করে চলছো কেন? ঠিক মতো কথা বলছো না কেন?

কিছু হয়নি। আর বাসায় আরেক ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে না জানি কী হয়। যদি মেয়ের পরিবার ঝামেলা সৃষ্টি করে। পুলিশ নিয়ে এসে কেস করে। এসব বিষয় নিয়ে ঝামেলা হবে ভেবে মন খারাপ।

আমি কিছুটা রাগ নিয়ে গম্ভীর গলায় বললাম মিথ্যা বলছো কেন ‌? আমি বেশ ভালো করেই জানি অন্য কারণে মন খারাপ তোমার। রাকিবের সাথে মাহমুদার বিয়ের কথা বলেছি বলে এমন করছো তাই তো? না কি অন্য বিষয়।

আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মাহমুদা এসে বলল, মা আপনাকে ডাকছে ভাবি। আমাকে আর কিছু না বলে মাহমুদার সাথে চলে যায় সাবনাজ।

রাগে রাগে হাত দিয়ে টেবিলের উপর কাঁচের গ্লাসে মারলাম এক ঘুশি, হাত কেটে টপটপ করে রক্ত পড়ছে। আমার রাগ তত বাড়ছে। বুঝতে পারছি না কী করব। এক দিকে সাবনাজ আর অন্যদিকে মাহমুদা, রাকিব। যতক্ষণ না বলছি মাহমুদার সাথে বিয়ে দিব না ততক্ষণ সাবনাজ ঠিক হবে না। সাবনাজের এই অবহেলা একদম আমার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অসহ্য লাগছে সবকিছু।

হাতে ব্যান্ডেজ করে নিচে গেলাম। নিচে সবার জন্য চা তৈরি নিয়ে এসে দিচ্ছে সাবনাজ। আমাকে চা দেওয়ার সময় আমার হাতের দিকে লক্ষ্য করে সাবনাজ আস্তে করে বলছে হাতে কী হয়েছে?

আমি কোনো কথা বলছি না। চুপ করে বসে আছি। একটু বোঝানো দরকার অবহেলা করার যন্ত্রণা কেমন হয়। ইশারায় পাশের রুমে আসতে বললে না দেখার ভান করে এখানেই বসে রইলাম। অনেক মেসেজ দিচ্ছে কল দিচ্ছে কিন্তু আমি কানে নিচ্ছি না।

পরে দেখি মাহমুদা কে দিয়ে আমাকে ডাকতে দিয়ে পাঠাইছে সাবনাজ।

মাহমুদা বলল ভাইয়া একটু এইদিকে আই তোর সাথে কথা আছে।

আমি বললাম, কী কথা এখানে বল। আমি তো বেশ ভালোই বুঝতে পারছি কেন ডাকছে।

না এখান বলা যাবে না। পাশের রুমে চল‌ তাড়াতাড়ি। খুব জরুরি কথা।

তারপর মাহমুদা সাথে পাশের রুমে গেলাম। আমি রুমে ঢুকতেই মাহমুদা চলে যায়। রুমের মধ্যে সাবনাজ দাঁড়িয়ে আছে।

কাছে গিয়ে বললাম কী হলো কিছু বলবেন?

সাবনাজ বলল তোমার হাতে কি হয়েছে?

হাতে আবার কী হবে কিছু হয়নি।

হাতে যদি কিছু না হয় তাহলে রুম রুম থেকে আসার সময় দেখলাম হাত ঠিক আছে আর এখন দেখছি হাত ব্যান্ডেজ করা।

আমি কিছুটা মুড নিয়ে বললাম। আমার হাতে যা হওয়ার হয়েছে তাতে আপনার কী? আপনার এতো দরদ দেখাতে হবে না।

আমার অনেক কিছু কারণ তোমার শরীরের উপর আমার অধিকার আছে। এখন এই শরীর তোমার একার নয়, আমারো ভাগ আছে।

এতো সুন্দর কথা শুনে কেউ কী আর রাগ করে থাকতে পারে বউয়ের উপর। তাই রাগ ভেঙে বললাম তোমার উপর রাগ করে তখন হাত দিয়ে কাঁচের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলছি তাই হাত কেটে গেছে।

সাবনাজ তখন বলল, আসলে আমি স্যরি। আমাকে মাফ করে দিও। তোমাকে এমন অবহেলা করা আমার একদম ঠিক হয়নি। সবকিছু তোমাকে বলা উচিত ছিল।

আমি তখন হাসতে হাসতে বললাম, তুমি তো আর বোবা হয়ে যাওনি আর সময় ফুরিয়ে যায়নি। এখন আমাকে বলো তোমার কী হয়েছে।

সাবনাজ তখন কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি কলিং বেলের আওয়াজ শুনতে পেলাম। তখন আমার বুঝতে বাকী রইল না, সুমির বাসা থেকে মানুষ এসেছে। সাবনাজ কে বললাম ওরা চলে এসেছে। আমি ওদের সাথে কথা বলে আসি তারপর তোমার সাথে কথা বলব।

আমি রুম থেকে যাচ্ছি আর ভাবছি আল্লাহ এই বিপদ থেকে উদ্ধার করো। রুম থেকে বাহির গিয়ে দেখি তিন বসে আছে। ওদের দিকে তাকিয়ে আমি হাঁ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। মনে হলো আমি অন্য জগতে আছি,,,,,,,
#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_২০
Wohad Mahmud

আমি রুম থেকে যাচ্ছি আর ভাবছি আল্লাহ এই বিপদ থেকে উদ্ধার করো। রুম থেকে বাহির গিয়ে দেখি তিন জন বসে আছে। ওদের দিকে তাকিয়ে আমি হাঁ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। মনে হলো আমি অন্য জগতে আছি।

তিন জনের মধ্যে একজন মেয়ে আছে যায় নাম আফসানা। আফসানাকে দেখে আমি পুরোপুরি শকড খেয়ে গেলাম। এই আফসানা আর কেউ না, এটা আমার প্রাক্তন। এখানে দেখে আমি অবাক হলাম।

ওদের সামনে গিয়ে বসতেই একজন বললেন আপনি নিশ্চয়ই মাহমুদ সাহবে?

জ্বী আমি মাহমুদ সাহবে। আপনি নিশ্চয়ই সুমির বাবা?

জ্বী আমি সুমির বাবা। তবে নিজের মেয়ের বাবা বলে নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগছে। কীভাবে এমন একটা কাজ করতে পারল। ফোনে আপনার সাথে আমার কথা হয়েছিল। আপনার কথা আমার খুব ভালো লেগেছিল তাই এখানে এসেছি। না হলে এমন মেয়ে আমার দরকার নেই। যে মেয়ে নিজের বাবার সম্মানের কথা চিন্তা করে না সেই মেয়ে না থাকা ভালো।

আমি তখন বললাম প্লিজ এমন বলবেন না। দুজন দুজনকে ভালোবাসে। সোহেলে সুমিকে অনেক সুখে রাখবে। আপনি এই বিয়ে মেনে নেন, যদি কোনো সমস্যা হয় তার দায়ভার আমি নিব।

তখন আফসানা বলে উঠলো এমন কথা বলা খুব সহজ কিন্তু এর জন্য সবার সামনে অপমানিত হতে হয়েছে আমাদের।

মনে মনে বললাম আমি জানতাম এমন কিছু একটা বলবে আফসানা। কোনো কথা বলে কাজ হচ্ছে না। আমি সোহেলের বাবা আর সুমির বাবাকে বললাম। যায় হোক একটা বিষয় হয়ে গেছে। এর সমাধান তো করতে হবে। আপনারা কথা বলে দেখেন কী করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন এই বিয়ে যদি না মেনে নেন তাহলে যতটুকু মান সম্মান আছে ততটুকু থাকবে না। বাকিটা আপনাদের ইচ্ছা।

নিচে সবাই আলোচনা করছে। সাবনাজ, মা আর মাহমুদা রান্না করছে। আমি এসে রুমে বসলাম। কিছুক্ষণ পর আফসানা আমার রুমে আসল। আফসানা রুমে আসায় আমার কেমন অস্বস্তি বোধ লাগছে। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পরে বললাম। আমি বুঝতে পারছি আপনার বোন এভাবে পালিয়ে বিয়ে করে ঠিক করে নাই। কিন্তু এখন কিছু করার নেই। আপনার বাবাকে বুঝানোর দায়িত্ব আপনার, যাতে দুটা জীবন নষ্ট না হয়ে যায়। হাজার হলেও আপনার বোন।

আফসানা তখন বলল আপনার মুখে এসব মানায় না। আমি আমার বোন কে নিয়ে যাব। দুদিন পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। দুজন দুজনকে ভুলে যাবে।

আমি তখন বললাম, বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন। যদি দুজন বা দু’জনের মধ্যে কেউ একজন খারাপ কিছু করে ফেলে তখন কী হবে?

ওকে আপনার কথা মেনে নিলাম, ছেলে তো বেকার বউয়ের চাহিদা কীভাবে পূর্ণ করবে? আচ্ছা আমি না হয় সব চাহিদা বাদ দিয়ে দিলাম। বউকে খেতে দিবে কী? পোশাক কিনে দিবে কীভাবে?

আমি তখন বললাম, এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করবেন না। সোহেলের বাবা আছে, যদি চাকরি না হয় ততদিন ওর বাবা চালিয়ে নিবে।

অন্যের বেলায় বলা খুব সহজ কিন্তু নিজের সময় এসব কথা কোথায় ছিল?

আজ থেকে দুই বছর আগে আমিও এমন পরিস্থিতিতে ছিলাম। তখন তো খুব বলেছিলেন আমি এখনো কোনো চাকরি করি না খেতে দিতে পারব না। তোমার কোনো চাহিদা পূরণ করতে পারব না। পালিয়ে বিয়ে করলে পরিবারের কেউ মেনে নিবে না। পরিবারের সম্মান নষ্ট হবে। কিন্তু এখন তো খুব সহজেই বলছেন এইভাবে, ওইভাবে সবকিছু হয়ে যাবে। তখন কোথায় ছিল আপনার এসব কথা। তখন তো বেশ ভালো করেই আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন।

এখন এসব বলার কথা না আফসানা। দুই বছর অনেক আগের কথা। হঠাৎ এসব কথা বলার কোনো মানে হয় না। তুমিও সুখে আছো আমিও সুখে আছি। এখন যেটা হচ্ছে সেটার সমাধান করেন।

আপনি কীভাবে জানলেন আমি সুখে আছি?

তুমিই আমার প্রথম ভালোবাসা ছিলে কিন্তু সারাজীবন এক হওয়া কপালে লেখা ছিল না।

এটা বলার সাথে সাথে রুমের মধ্যে সাবনাজ প্রবেশ করল। আমি ভয় পেয়ে ঢোক গিললাম। সাবনাজ আমার কথা শুনে ফেলেছে মনে হয়, না জানি কী ভাবছে। আমি কিছু বলতে যাব ঠিক তখনি আফসানা সাবনাজকে বলল,

এভাবে কারোর রুমে ঢোকা ঠিক না। অত্যন্ত নক করে ঢুকতে হয়।

আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে স্যরি বলে চলে যায় সাবনাজ।

আমি তখন আফসানাকে বললাম ওটা আমার স্ত্রী ছিল।

আফসানা বলল, স্যরি আমি বুঝতে পারি নাই। আর ভাবি নাই এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলবেন। আর হ্যাঁ আমি আমার বোনকে নিয়ে যাব শুধু বোনকে না সোহেল কেউ। আপনি না বললেও আমি এই বিয়ে হাসিমুখে মেনে নিতাম আর বাবাকেও মানিয়ে দিতাম। কারণ, ভালোবাসা হারানোর যন্ত্রণা কেউ বুঝে না।

আমি আর কিছু বললাম না। কথা বললে কথা বাড়বে। পুরোনো কথা টেনে নিয়ে আসবে। বিষয় টা যত তাড়াতাড়ি শেষ করা যায় তত ভালো। বিয়েটা মেনে নিয়েছে এতেই অনেক কিছু।

তারপর ওরা সবকিছু মেনে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে চলে যায়।

খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে এসে বসে আছি। কিন্তু সাবনাজকে দেখছি না রুমে। সারাদিন তেমন কথাও বলে নাই আমার সাথে। হঠাৎ দরজার ওপাশ থেকে আওয়াজ আসলো ভিতরে আস্তে পারি। এটা আর কেউ না সাবনাজ।

আমি বললাম স্বামীর রুমে আসতে আবার অনুমতি নেওয়ার কী আছে?

কেন আপনি জানেন না? কারোর রুমে প্রবেশ করার আগে অনুমতি নিতে হয়।

তুমি এখনো সেই বিষয় নিয়ে রাগ করে আছো? মানছি আমি ভুল করেছি তোমাকে বলার দরকার ছিল আমার। ওটা আমার প্রাক্তন, নাম আফসানা। দুই বছর থেকে কোনো যোগাযোগ নেই। হঠাৎ এখানে দেখা। আমি কী করতাম বলো? তাড়িয়ে দিতাম?

প্রাক্তনের সাথে রুমের দরজা ঠেলে দিয়ে কথা বলতে হয় আগে জানতাম না।

তুমি আমাকে সন্দেহ করছো?

না না সন্দেহ কেন করব? এমনিতেই বললাম। আমাকে ভালো না লাগলে বলতে পারতে। আমি তোমার ঘাড়ে এসে চেপে বসতাম না। এখনো সময় আছে যদি চাও তাহলে বলো আমি তোমাকে মুক্তি করে দিব। জোর করে তো আর ভালোবাসা পাওয়া যায় না।

কী সব আজে বাজে কথা বলছো। আমি তো বললাম তার সাথে আমার আর কোনো যোগাযোগ নেই। তখন মাহমুদা বাইরে থেকে বলল, আসব ভাইয়া। আমি বললাম হ্যাঁ আই মাহমুদা।

দু’জন আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে আমাদের মাঝে যেন, কিছুই হয়নি। তখন সাবনাজ বলে উঠল রাকিব ছেলেটা কখনো ভালো হবে না মাহমুদা। একের পরে এক মিথ্যা কথা আর অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছে। সুমির বাড়ি থেকে থেকে পালিয়ে আসা তাও আবার বিয়ের দিন। পালিয়ে দুজন বিয়ে করে এখানে আসা সবকিছুর পিছনে তো রাকিবের হাত আছে।

আমি তখন বললাম এখানে খারাপের কী আছে? তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসে আর সেই ভালোবাসা এক করতে সাহায্য করেছে রাকিব।

তাহলে সবার সামনে মিথ্যা কথা কেন বলেছে তখন যে, এই সব বিষয়ে কিছু জানে না।

হ্যাঁ আমি এটা মানছি যে সত্যটা জানা সত্বেও মিথ্যা বলেছে। এর শাস্তি তাকে পেতেই হবে।

এতকিছুর পরেও সেই রাকিবের সাথেই তোমার মাহমুদার বিয়ে দিতে হবে? আর কোনো ছেলে খুঁজে পাচ্ছো না তুমি। ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিলেই তো হয়ে।

সাবনাজ আজকাল এসব বিষয় নিয়ে তুমি একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছো। আমি বলেছি তাকে আগে ভালো হতে হবে। কিন্তু দিন দিন সে আরো খারাপের পথে যাচ্ছে। তোমার কী মনে হয় এমন হলে আমি তার সাথে মাহমুদার বিয়ে দিব।

দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেল। ভাবি ছাদে যাবে কিন্তু একা যেতে পারবে না, ধরে নিয়ে যেতে হবে। সে জন্য মাহমুদা কে ডাকছে। মাহমুদা তখন ঘুমিয়ে ছিল। তাই সাবনাজকে বললাম গিয়ে দেখো ভাবি কী বলছে?

সাবনাজ ভাবির কাছে গিয়ে ভাবিকে ধরে রুম থেকে নিয়ে আসছে ছাদে যাবে বলে। সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় সিঁড়ি থেকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় ভাবি,,,,

চলবে,,,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আগের পর্ব কমেন্টে বক্সে।
চলবে,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আগের পর্ব কমেন্টে বক্সে। গল্প কিছুটা ছোট হওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here