#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_০৫
Wohad Mahmud
আর যায় হোক সাবনাজ এতো কিছুর মধ্যে একটা কাজ কিন্তু ভালো হয়েছে।
কী ভালো কাজ হলো আবার?
ওই যে তোমার অল্প একটু হলেও লজ্জা ভেঙে গিয়েছে। আমাকে তুমি করে বলছো এখন, আর আমার হাত ধরে আছো। সারাজীবন এভাবে থাকবে। আমার কথা শুনে কিছু টা লজ্জা পেয়ে আমার হাত ছেড়ে দৌড়ে চলে যায় আর বলে আমি মাহমুদার কাছে যাচ্ছি।
এখন যাওয়ার সময় হয়েছে সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছি। যাওয়ার সময় আমি আর সাবনাজ সবার থেকে বিদায় নিচ্ছি। কিন্তু মাকে আজ অন্যরকম লাগছে। আমার সাথে সাবনাজের সাথে ভালো করে কথা বলছে না। মুখটা কেমন গম্ভীর করে রেখেছে। যাওয়ার সময় মায়ের এমন গম্ভীর মুখ দেখে মন টা সত্যিই অনেক খারাপ লাগছে। আজ সকাল পর্যন্ত বেশ ভালোই ছিল কিন্তু হঠাৎ এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী। নিশ্চয়ই ভাবি কোনো কাটি মেরেছে। ভুলভাল কোনো কিছু বলেছে।
আমি বললাম তুমি মন খারাপ করছো কেন। আমরা তো আর সারাজীবন এর জন্য চলে যাচ্ছি না। আবার আসবো তো। প্লিজ মন খারাপ করো না।
মা তখন বলে বড় বউ আমার প্রেশারের ঔষধ টা দাও তো। তুমি ছাড়া আমাকে আর এই বাসায় কে খোঁজ খবর নেই। সবাই তো বাহানা আর মিথ্যা দিয়ে এই বাসা ভরিয়ে রেখেছে। কিন্তু আমি মায়ের কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না কী বোঝাতে চায়। তারপর তার রুমে চলে যায় আমার কথার কোনো জবাব না দিয়ে। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না নিশ্চয় ভাবি কোনো কাটি মেরেছে আমাদের নামে। তাকে ভাবি বলতেও ঘৃণা করে।
বড় ভাবি তখন ভিলেন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। মনে হচ্ছে শয়তান হাসছে।
মাহমুদা কে আড়ালে ডেকে বললাম মায়ের কী হয়েছে রে এমন গম্ভীর মুখে করে আছে কেন? আজ সকালেও তো মায়ের সাথে হেসে কথা বললাম কিন্তু এখন এমন করেছে আছে কেন?
আমি জানি না ভাইয়া কী হয়েছে। দেখ বড় ভাবি আবার তাল মেরেছে। তোদের নামে বানিয়ে বানিয়ে কী সব মিথ্যা কথা বলেছে মনে হয়।
আর কোনো উপায় না পেয়ে আমিও মন খারাপ করে চলে আসলাম। দুই ঘন্টার জার্নি পথ। বেশ ক্লান্ত লাগছে। সাবনাজের বাসায় এসে সবার সাথে ভালো মন্দ কথা বলে রুমে আসলাম তারপর ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিলাম। সাবনাজের ডাকে ঘুম ভাঙল। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বসে থাকলাম। তারপর সাবনাজ বলল__
আচ্ছা তোমার বড় ভাবি এমন কেন?
কেমন?
সকালে রান্না করার পর আমার সাথে কত সুন্দর করে কথা বলল। অনেক কিছু জানতে চাইলো। অনেক মিষ্টি সুরে কথা বলল। কিন্তু দুপুরে আমার সাথে কত খারাপ ব্যবহার করলো। একটা থাপ্পড় ও মেরেছে।
তোমাকে থাপ্পড় মেরেছে? তখন আমাকে বললে না কেন? এতো বড় সত্যি তুমি আমার থেকে কীভাবে লুকালে। আমাদের বাসায় থাকতে শুধু একবার বলতে পারতে। তাহলে আমি ওই বজ্জাত মহিলার উচিত শিক্ষা দিতাম জীবনে আর কখনো কারো গায়ে হাত তুলতো না। গায়ে হাত তোলার আগে দশ বার চিন্তা করবে।
সাবনাজ তখন বলে না বলেই ভালো করছি। আমি চাই না কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হোক। একটা বিষয় চিন্তা করো মাহমুদ। আমি যদি তখন বলতাম তাহলে তুমি রাগের মাথায় কি করতে বলা যায় না। তোমার রাগান্বিত অবস্থায় আরো রাগিয়ে দিতে চাইনি। আর আমার বাসা থেকেও মানুষ আসছিল। এসে যদি তারা এসব দেখতো তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয় যেত। তাই বলি নাই।
আমি তখন সাবনাজের হাত ধরে বললাম। আচ্ছা তুমি এতো ভালো কেন? নিজের টা না ভেবে সব সময় অন্যের ভালো দেখো। আর ঠিকই করেছ তখন না বলে। যদি বলতে আমি নিজেও জানতাম না কী করতাম। সবকিছু অন্য রকম যেত। পরিস্থিতির এমন না হয়ে অন্য রকম হতো। সত্যি আমি অনেক ভাগ্যবান তোমার মতো স্ত্রী পেয়ে।
আর প্লিজ এসব নিয়ে মন খারাপ করবে না সাবনাজ।
সাবনাজ তখন বলল মাহমুদ মন খারাপ করি নাই। তুমি পাশে থাকলেই হবে। আর মাহমুদা আছে মা বাবা আছে। একজনের জন্য সবাইকে দোষারোপ করে পারি না। তুমি এসব ভুলে যাও মাহমুদ।
ওয়েট ওয়েট তুমি বললে সকালে রান্নার পরে তোমার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেছে। এটা কি সঠিক?
হ্যাঁ সত্যি।
তো মিষ্টি মিষ্টি কী কথা বলেছে শুনি। আমার জানা মতে কোনো স্বার্থ ছাড়া সে তোমার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে না। জরুর ডালমে কুচ কালা হে। যা যা বলছে সব আমাকে বলো কিছু বাদ দিয়ে বলবে না।
আমাদের বিয়ের রাতের কথা বলছে। আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে কি? আমি তোমার সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছে কী? বিয়ের দিন রাতে আমরা কেমন করে কাটালাম।
তো কী বললে তুমি।
কী আর বলব যা যা সত্যি সব বলেছি।
কিহহহ মানে যা যা হয়েছে সব বলে দিয়েছ। বিয়ের দিন রাতে তুমি খাটের উপর ছিলে আমি নিচে ছিলাম। এটাও বলে দিয়েছ কি? আর তুমি কেন তার সাথে এসব বলতে গেলে। আমাদের মাঝে যা হবে আর বলবে না, অত্যন্ত ভাবির সাথে না। বজ্জাত মহিলা তার কাজ শুধু ঠক লাগানো।
হ্যাঁ এটাও বলে দিয়েছি। আমি কী জানতাম না কী তোমার ভাবি এমন। তখন তো বেশ ভালোই মিষ্টি ব্যবহার করেছিল। আমি তাকে নিজের বোন মনে করছিলাম কিন্তু সে আমার সাথে এমন করবে ভাবতে পারি নাই। তুমি যখন বলছো তাহলে আর বলব না।
আর কিছু বলেছ কি ভাবি তোমার সাথে। একটু মনে করার চেষ্টা করো?
না আর কিছু বলি নাই।
আমি তখন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম সতীত্ব পরিক্ষার জন্য ভাবির কথা শুনে আমাকে একটা সাদা রুমাল দিয়েছিল সেটা বলে নাই। বললে আমি সাবনাজ কে মুখ দেখাতে পারতাম না। মা কেও খারাপ ভাবতো সাবনাজ।
তবে আমি একটা মেয়ে তুমি তো সব সময় বাসায় থাকো না। আর একটা মেয়ের সমস্যা একটা মেয়ে ভালো বুঝতে পারে। নিজে নিজে সবকিছু সমাধান করা যায় না। অন্য একটা মেয়ের সাথে বলতে হয় সে জন্যই আমি ভাবির সাথে বন্ধুত্ব গড়তে চেয়েছিলাম।
চিন্তা করতে হবে না। তোমার যা সমস্যা আমার বোন মাহমুদার সাথে বলবে। দেখবে সে তোমাকে একদম নিজের বোনের মতো দেখবে। তার সাথে তোমার সম্পর্ক নোনদ ভাবির হবে না। দুই বোন আর বেস্ট ফ্রেন্ড এর মতো সম্পর্ক হবে।
সাবনাজ বলে এখন থেকে মাহমুদা আমার বোন আর বেস্ট ফ্রেন্ড। আমি সব সময় ওকে বোনের চোখে দেখব। আচ্ছা তোমার নাম মাহমুদ আর তোমার বোনের নাম মাহমুদা। নামের এতো মিল কে রেখেছিল।
নাম আমার মা রেখেছিল মিল করে। মাহমুদা আর আমার মধ্যে বিশেষ একটা মিল ছিল। দুজনের ঘাড়ের পিছনে দুটা করে তিল আছে। আর দুজন অনেক বদ মেজাজি ছিলাম ছোট থাকতে। সেই জন্যই মা দুজনের নাম মিল করে রাখছিল। মাহমুদার নাম আগে সুমাইয়া ছিল। তারপর পরে পরিবর্তন করে মাহমুদা রাখা হয় ছোট থাকতে।
সাবনাজ তখন বলে সেজন্য দুজনের এতো মনের মিল। আরো এতো সুন্দর ব্যবহার । সত্যিই অনেক ভালো মনের মানুষ আপনি আর মাহমুদা।
আমি তখন সাবনাজ কে কাছে টেনে বললাম আচ্ছা তুমি কী পরিবর্তন হবে না হুমম।
কেন আমি আবার কী করলাম?
এইযে বিয়ের এতো দিন হলো এখনো আপনি করে বলে যাচ্ছো।তুমি করে কবে থেকে বলবে।
যদি তুমি করে না বলি তাহলে কী আমাকে ভালোবাসবে না।
না বাসব না অন্য মেয়ের সাথে ভেগে চলে যাবো। যেই মেয়ে তুমি করে বলতে পারবে। তারপর দুজনে অনেক প্রেম করব। আর না হয় দুটা বিয়ে করব। ভালো হবে না?
সাবনাজ তখন ছোট বাচ্চাদের মতো কান্না করে দেয়।
#নারীর_সতীত্ব
#পর্ব_০৬
Wohad Mahmud
যদি তুমি করে না বলি তাহলে কী আমাকে ভালোবাসবে না হুমম?
না বাসব না অন্য মেয়ের সাথে ভেগে চলে যাবো। যেই মেয়ে আমাকে তুমি করে বলতে পারবে। তারপর দুজনে অনেক প্রেম করব। তারপর আমাদের রোমান্স হবে, বাচ্চা হবে। আর না হয় দুটা বিয়ে করব। ভালো হবে না? একটা জিনিস দেখো দুটি বিয়ে করলে তোমার কাজ কমে যাবে। প্রতিদিন তোমাকে সকালে উঠে রান্না করতে হবে না। বাসার কাজ কমে যাবে দুজন মিলেমিশে কাজ করবে। তাহলে দেখি বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুঁজে পাই কী?
সাবনাজ তখন ছোট বাচ্চাদের মতো কান্না করে দেয়। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে।
আমি হাত দিয়ে চোখের পানি মুছিয়ে দিতে দিতে বললাম কী হলো এমন করে কান্না করো কেন? মনে হচ্ছে একটা ছোট বাচ্চা কান্না করছে।
সাবনাজ তখন বলে নতুন বিয়ে হয়েছে আমাদের আমাকে একটু সুযোগ না দিয়ে বলছেন যে, আর একটা বিয়ে করবেন। মুখে কথা শেষ করতে না করতেই আবার ছোট বাচ্চাদের মতো কান্না শুরু করে দেয়।
আমি তখন হাসতে হাসতে বললাম হাই রে কোন পাগলী কে আমার কপালে দিলে আল্লাহ গো। পাগলী তো দেখি কোনটা ফান আর কোনটা সিরিয়াস সেটাও বুঝে না। মনে হচ্ছে একদম অবুঝ শিশু। মিষ্টি সুরে ধমক দিয়ে বললাম এভাবে কেউ কান্না করে পাগলি আমার। আমি তো তোমাকে ফান করে বললাম। আর তুমি সত্যি মনে করে কান্না শুরু করে দিলে। এখন যদি কেউ দেখে যে তুমি কান্না করছো তাহলে তো সবাই বুঝবে আমি সত্যি সত্যি আর একটা বিয়ে করে আনছি। অবুঝ বাচ্চা বউ আমার।
সাবনাজ তখন চোখের পানি মুছতে মুছতে বলে আমি মোটেও বাচ্চা মেয়ে না। আমি অনেক বড়। অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি, সব বুঝি আমি।
আমি তখন হেসে হেসে বললাম ওহ আচ্ছা সব বুঝো তাহলে এটা কেন বুঝলে না আমি এমনিতেই ফান করছিলাম সত্যি বলছি না।
আমার সাথে এমন ফান করবেন কিন্তু কোনো মেয়ের কথা মুখে আনবেন না। আর বিয়ের কথা কখন না। যদিও ইসলামে নিয়ম আছে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে। কিন্তু আমি আমাকে অনুমতি দিব না। আমি একাই সব করব। আপনার জন্য আমি সবকিছু করতে পারব। আমার একা কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। আমার সংসারে ভাগ কাউকে দিতে পারব না আমি। আমিই আপনার প্রথম ও শেষ স্ত্রী। তুমিই আমার প্রথম আর শেষ স্বামী। সারাজীবন একা পার করে দিব কিন্তু আমার অধিকার কাউকে দিব না।
সাবনাজের কথা শুনে আমি এখন কান্না করছি আর ভাবছি। একজন শিক্ষিত মেয়ের মুখে এসব কথা শোনা সত্যি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। খুব কম ছেলে এমন ভাগ্যবান হয়ে থাকে। সাবনাজের ভালোবাসায় আমার চোখ টপ টপ করে পানি পড়ছে।
আমার কান্না দেখে সাবনাজ বলে এখন আপনি কান্না করছেন কেন ছোট বাচ্চাদের মতো করে।
আমি তখন বললাম তোমার কথা শুনে কান্না করছি। এতো তাড়াতাড়ি এতোটা ভালোবেসে ফেলবে আমাকে আমি ভাবতেই পারি না।
ধুর আপনি ও না একটা বাচ্চা জামাই। কোনটা ফান আর কোনটা সিরিয়াস বুঝেন না। তোমার মন রাখার জন্য আমি ফান করে বললাম।
আমি তখন সাবনাজের হাত ধরে বললাম আমি তো তোমাকে অবুঝ শিশু মনে করেছিলাম। এখন দেখি তুমি আমার ডায়লগ আমার উপরে ঝাড়ছ।
সাবনাজ তখন বলে এখন হাত ছাড়েন কেউ দেখে ফেলবে। দরজা দেয়া নেই। কেউ এসে দেখলে লজ্জা পাব আমি অনেক।
আমি তখন আরো কাছে টেনে বললাম। হোপপপ থামো তো। এটা কী শুরু করলা একবার তুমি করে বলো আরেকবার আপনি করে বলো। এভাবে কেউ কথা বলে। শুধু তুমি করে বলবে আপনি বলতে পারবে না। না হলে আজ এভাবেই থাকবে আমি ছাড়তে পারব না। যে দেখে দেখুক তাতে আমার কোনো যাই আসে না।
আহ মাহমুদ ছাড়ো তো এখনি খাওয়া জন্য ডাকতে আসবে আমাদের। এসে আমাদের দুজনকে এমন দেখলে লজ্জা লাগবে আমার অনেক। তোমার কি লাগবে না?
না আমার লাগবে না যে আসে আসুক আমি অন্য কি অন্য কারো বউকে জড়িয়ে ধরেছি আমার নিজের বউকে জড়িয়ে ধরেছি।। মুখের কথা মুখেই আছে তখনি কারো আসার শব্দ শুনতে পেলাম। সাবনাজের ভাবি আসছে। নিচে খাওয়া দাওয়ার জন্য । কিন্তু আমি সুরাইয়া কে ওভাবেই ধরে আছি। আর সুরাইয়া নিজেকে ছাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আমার সাথে পেরে উঠছে না। আমি ওভাবেই ধরে আছি। আমি হয়তো ভাবছিলাম ভাবি রুমে আসবে না ডেকে চলে যাবে।
কিন্তু বলা নেই কওয়া নেই ভাবি এসে হুট করে রুমে ঢুকে গেছে। আর আমি সাথে সাথে সাবনাজ কে ছেড়ে দিয়েছি। সাবনাজকে এভাবে ধরে থাকা দেখে ভাবি লজ্জা পেয়ে চলে যায়। আমি আর সাবনাজ লজ্জা পেয়ে দূরে সরে দাঁড়াই।
সাবনাজ আমরা দিকে তাকিয়ে বলে, দেখলেন তো কি হলো। আমি আপনাকে আগেই বলছিলাম কেউ চলে আসবে ছাড়েন। কিন্তু শুনলেন না হিরোর মতো করে ধরে রাখলেন। আপনার তো আর লজ্জা করবে না। এখন আমি ভাবির সামনে কীভাবে যাবো ভাবি দেখে ফেলছে। এখন নিচে গেলেই ভাবির সাথে দেখা হবে। আমি যাবো না খাইতে। আপনি গিয়ে খেয়ে আসেন।
আমি বললাম, যাবে না মানে। সারারাত কি না খেয়ে থাকবে তুমি?
হুম খাইতাম না আমি তুমি গিয়ে খাও।
আমি তখনি সাবনাজ কে কোলে তুলে নিলাম আর নিয়ে নিচে নামতে থাকলাম আর বললাম তুমি না গেলে এভাবেই নিয়ে যাবো। আর তুমি জানোই তো আমি সব পারি। কিছুক্ষণ আগেই প্রমাণ পেলে।
আমার কথা শুনে সাবনাজ কান্না করে দেয়। আর বলে নিচে নামাও আমি যাচ্ছি।
এই মেয়েটা কেমন অল্পতেই কান্না করে দেয় আর আমি কখনো এমন করতে পারি না কী। লজ্জা তো আমারো আছে। তখনো আমি অনেক লজ্জা পাইছি। কে জানতো ভাবি এমন করে চলে আসবে। আর কোলে নিয়ে নিচে যাওয়ার কথা বাদ দিলাম। এটা তো কখনোই পারব না। তারপর দুজনে নিচে খেতে গেলাম। সাবনাজের ভাবি ও আছে। সাবনাজ আর সাবনাজের ভাবি একদম সামনা সামনি বসেছে। দুজন দুজনের দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছে না। তাকাচ্ছে কিন্তু চোখে চোখ পড়ছে না। ট্যারা হয়ে তাকাচ্ছে।
আর আমার কথা তো বাদই দিলাম। মাঝখান থেকে আমি বেঁচে গিয়েছি। ভাবি আর সাবনাজের এই পরিস্থিতি দেখে সত্যিই হাসি আসছে আমার কিন্তু এতো মানুষের মাঝে হাসতেই পারছি না।
সাবনাজের ভাবির আর সাবনাজের চোখে চোখ পড়তেই ফিক করে হেসে দেয় সাবনাজের ভাবি। লজ্জা পেয়ে অল্প একটু খেয়ে রুমে চলে যায় সাবনাজ। সাবনাজের চলে যাওয়া দেখে আমিও না খেয়ে রুমে চলে যাই। ওদের কাহিনী দেখতে গিয়ে আমিও ঠিক মতো খাইতে পারি নাই।
রুমে এসে সাবনাজ কে বললাম কী হলো চলে আসলে কেন না খেয়ে?
তুমি দেখলে না ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে কেমন করে হাসছিল। আমাকে শুধু লজ্জা দেয়। সেই জন্যই চলে আসলাম। তুমি কেন চলে আসলে?
আমি মুচকি হেসে বললাম। আমার বউ চলে এসেছে আমি কী করে থাকতে পারি। এবার চলো ঘুমিয়ে পড়ি। অনেক রাত হয়েছে। আমাদের বাড়িতে প্রথম রাতে কিন্তু আমি নিচে ঘুমিয়ে ছিলাম আর তুমি খাটে ছিলে আজ তোমাদের বাড়ির প্রথম রাত তুমি নিচে থাকবে আর আমি উপরের থাকবো। তাহলে সমান সমান হয়ে যাবে। কারণ একটা কথা আছে না নারী পুরুষ সমান অধিকার।
তারপর সত্যি সত্যি সাবনাজ বিছানার চাদর পেড়ে একটা কাঁথা আর বালিশ নিয়ে নিচে ঘুমিয়ে যায়। এটা কেমন হলো সত্যি সত্যি নিচে ঘুমিয়ে পড়লো। আমি হাসতে হাসতে কোলে নিয়ে উপরে শুইয়ে দিলাম। আমি কোলে নিয়েছি বুঝতেই পারিনি। এতো তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেল।
কিন্তু আমার প্রচন্ড ক্ষুধা লাগছে। আমি আবার ক্ষুধা সহ্য করতে পারি না। রাতে ভালো খাওয়া হয়নি। অনেক সহ্য করার পরেও থাকতে পারলাম না।
বিছানা থেকে উঠে রান্না ঘরে চলে গেলাম। রান্না ঘর থেকে খাবার নিয়ে আসার সময় দেখি পিছন থেকে কার ছায়া দেখা যাচ্ছে। এটা আবার কে হতে পারে। বাড়ির জামাই খাবার চুরি খাচ্ছে কেউ দেখলে তো আমি লজ্জায় শেষ।
যদি সাবনাজ বাদে অন্য কেউ হয় তাহলে তো চোর জামাই নাম পড়ে যাবে। আর সাবনাজ দেখলেও আমাকে চোর জামাই বলে ডাকবে। হাইরে মাহমুদ কেন যে খাবার চুরি করতে আইলি। কোনো রকম ক্ষুধা কন্ট্রোল করে রাখতে পারলি না পেটুক। সকালেই তো ভালো মতো জামাই আদর পাইতি। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি,,
চলবে,,,
বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের পর্ব টা রোমান্টিক আর ফান হয়ে গিয়েছে। কার কাছে কেমন লাগবে জানি না। তবে আমার মতে একটা গল্পের মধ্যে সবকিছু থাকা ভালো। তাহলে একটা পরিপূর্ণ গল্প হয়ে থাকে।
আগের পর্ব কমেন্টে বক্সে
চলবে,,,,,
বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আগের পর্ব কমেন্টে বক্সে।