#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#Writer_Sarjin_Islam [ সারজীন ]
#Part:3
কিছুক্ষণ আগে মিহান বাড়ি ফিরেছে। ফ্রেশ হয়ে ডিনার টেবিলে আসে। বাড়িতে যতই কাজের লোক থাক না কেনো মিহানের মম নিজেই রান্না করে সবার জন্য। মিহান সবার দিকে তাকিয়ে মমকে বলে,
—” মম হসপিটালের কাজে দুই দিনের জন্য আমাকে চট্টগ্রাম যেতে হবে।”
—” কবে যাবি?”
—” কাল দুপুরে।”
মিহানের কথা শুনে অনু সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বলে,
—” হসপিটালের কাজে না কী ঘুরতে যাচ্ছিস আমাকে ছাড়া? কোনটা?”
মিহান কপাল ভাঁজ করে অনুর দিকে তাকিয়। পাপা খাবার খাওয়া রেখে বলে,
—” মিহান কখনো ঘুরতে গেলে তোকে তো সাথে নিয়ে যায়। তাহলে একথা বলছিল কেনো?”
—” আরে পাপা তুমি পাগল ছাগলের কথা কী শুনছো। ওর তো কাজই মানুষের পিছনে লাগা।”
অনু রেগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলে,
—” তুই কী বললি আমি পাগল ছাগল? তুই পাগল ছাগল। তুই গরু, শেয়াল, হাতি, সজারু সবকিছু তুই।আর একবার যদি বলছিস তাহলে তোর খবর আছে।”
অনুর কথা শুনে পাপা মুখ টিপে হাসে, মম একটু গম্ভীর হয়ে বলে,
—” তোরা সব সময় এতো ঝগড়া করিস কেনো রে?”
—” তোমার ছেলেই তো আমাকে রাগিয়ে দিয়েছে মম।”
মিহান হালকা হেসে বলে,
—” আমি রাগিয়ে দিলেই তুই রাগ করবি? তোর কোনো কমনসেন্স নেই?”
অনু রেগে মিহানের দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে ওখান থেকে হনহন করে চলে যায়। মম মিহানের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” দিলি তো মেয়েটাকে রাগিয়ে।”
—” চিন্তা করো না একটু পর তোমার মেয়ের রাগ ভেঙ্গে যাবে।”
মিহান উঠে নিজের রুমে থেকে এক বক্স চকলেট নিয়ে অনুর রুমে যায়। মিহান দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে অনু মন দিয়ে কিছু একটা পড়ছে। শেষের দিকের কিছু কথা মিহান শোনে,
—” “ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
তবে কেনো —–
তবে কেনো মিছে ভালোবাসা।
মন দিয়ে- মন পেতে চাহি
ওগো কেনো —–
ওগো কেনো মিছে এ দুরাশা।। “___
প্রেম ও প্রকৃতি,
—- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।”
অনু মিহানকে দেখে পড়া থামিয়ে ওর দিকে তাকায়। কিছুক্ষণ পর অন্য দিকে তাকিয়ে বলে,
—” পাগল ছাগলের রুমে সবার আসতে নেই।”
মিহান সোফায় বসে মুচকি হেসে বলে,
—” আমার বোন কী আমার সাথে রাগ করছে?”
—” এখানে কারো বোন নেই।”
—” ওকে। আমি তো আমার বোনের জন্য চকলেট এনেছিলাম কিন্তু সে এখানে নেই আমার বোন নেই তো কাকে দেবো? তার চেয়ে আমি বরং খেয়ে ফেলি চকলেটগুলো।”
মিহান চকলেট বক্স হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করলে, অনু ছো মেরে চকলেট বক্স নিয়ে নেয় আর মিহান হা হা হা করে হেসে দেয়। তা দেখে অনু ভেংচি কাটে। মিহান অনুর হাত ধরে নিজের পাশে সোফায় বসিয়ে বলে,
—” এবার রাগ কমেছে?”
—” আমি তো রাগ করিনি।”
—” তাহলে?”
—” আমি জানতাম তুই আমার রাগ ভাঙাতে আসবি, তাই রাগ করার অভিনয় করছি।”
মিহান অনুর দুই গাল টেনে দিয়ে বলে,
—” খালি দুষ্টুমি করা তাই না?”
মিহানের কথা শুনে অনু খিলখিল করে হেসে দেয়।
—” আর কিছু বলবি ভাইয়া?”
—” হ্যা একটু আগে কী পড়ছিলি তুই?”
—” তেমন কিছু না কাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আর গানের উপর কলেজে অনুষ্ঠান আছে। তাই তার লেখা বই পড়ছিলাম।”
—” অহহহ। বেশি রাত জাগিস না। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়িস আমি যাই এখন।”
—” তুইও গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।”
মিহান চলে গেলে অনু ওর নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।
__________________________________________
পরেরদিন সন্ধ্যায় মিরা ঢাকা পৌঁছায়। মিরার পাপা জোর করে ডেনিকে মিরার সাথে পাঠিয়েছে। এয়ারপট থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে বসলে ডেনি বলে,
—” মেম খান বাড়ির কেউ জানে না আজ আপনি বাংলাদেশ আসছেন?”
—” না আমি পাপা কে বলতে বারণ করেছি, এমনেতে নীলা আপুকে নিয়ে সবাই টেনশনে আসে। আমি আসছি শুনলে তো আর দেখতে হবে না।”
—” নীলা মেম কতো ভালো মানুষ। কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে না। তার সাথেই এমন হলো।”
—” তুমি চিন্তা করো না ডেনি ভাইয়া। আমার নীলা আপুকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদের খবর আছে।”
কিছুদিনের মধ্যে মিরা খান বাড়িতে পৌঁছে যায়। ডোর বেল বাজলে সার্ভেন্ট এসে দরজা খুলে দেয়, দরজা খুলতে না খুলতে মিরা হনহনিয়ে ভিতরে চলে যায়, পিছন পিছন ডেনি ট্রলি নিয়ে ঢুকে। হল রুমে বসে মিরা দাদা, দাদি আর ফুপি চা খাচ্ছে এমন সময় মিরিকে তাদের সামনে দেখে হতবাক হয়ে যায়। মিরা হাঁসি মুখে বলে,
—” কেমন আছো তোমরা?”
মিরা দাদি এগিয়ে এসে বলে,
—” আমি স্বপ্ন দেখছি না কি সত্যি? আমাদের মিরা আমাদের সামনে?”
—” ইয়েস দাদি আমি এখানে তোমার সামনে দাঁড়িয়ে, কোনো স্বপ্ন নয়। ইজ ট্রুর!”
মিরার ফুপি এগিয়ে এসে বলে,
—” কেমন আছিস মা? হঠাৎ কোনো খবর না দিয়ে চলে এলি যে? আর ভাইয়া ভাবী কেমন আছে?”
—” তোমাদের কথা মনে পড়ছিলো তাই চলে এলাম। মাম্মা পাপা ভালো আছে।”
মিরার দাদা বলে,
—” কি শুরু করলে তোমরা? মিরা তুই আমার কাছে আয় তো?”
মিরা ওর দাদার কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করে,
—” কেমন আছো তুমি দাদাভাই?”
—” তুই থাকতে কখনো খারাপ থাকতে পারি। তুই যে আসবি আমার আহাম্মক ছেলেটা আগে জানাবে না। আমার নাতনি আসছে বলে কথা।”
—” আমি পাপা কে বলতে বারণ করছিলাম তাই বলেনি।”
—” মা আমি মিরার রুম সার্ভেন্টদের পরিষ্কার করতে বলে দেই।”
—” হ্যা। হ্যা। মিরার জন্য রান্নাও করতে হবে।”
—” দাদি তোমরা এত উত্তেজিত হয়ে না। আর এখন আমার জন্য কিছু রান্না করতে হবে না। আমি এখানে অনেক দিন থাকবে তাই পরে রান্না করে খাওয়ানো যাবে।”
—” তা বলে তো আর হয় না।”
—” ওসব কথা ছাড়ো তো এখন বলো নীলা আপু আর নিঝুম কোথায়?
মিরার ফুপি বলে,
—” তোর নীলা আপু তার রুমে আছে, আর নিঝুম ওর বান্ধবীর কাছ থেকে নোট আনতে গেছে।”
দাদি কথা ঘুরাবার জন্য মিরাকে বলে,
—” ওসব কথা এখন থাক। এখন তুই আমাদের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়। ততক্ষণে তোর রুম পরিস্কার হয়ে যাবে। আর নীলিমা তুই ডেনির রুমটা দেখিয়ে দেয়।”
—” আচ্ছা মা। ডেনি তুমি এসো আমার সাথে।”
ডেনি নীলিমা সাথে চলে গেলে, মিরার দাদি মিরাকে নিয়ে তাদের রুমে চলে যায়।
চলবে…🍁
#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#Writer_Sarjin_Islam [ সারজীন ]
#Part:4
রাতে আর মিরা কারো সাথে দেখা করেনি। ফ্রেশ হয়ে কিছু না খেয়ে ওর দাদা দাদির রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। জার্নি করে ক্লান্ত থাকায় আর কেউ বিরক্ত করেনি।
__________________________________________
মিরা ঘুমের মধ্যে টের পাচ্ছে কেউ পায়ে সুরসুরি দিচ্ছে। মিরা গায়ে দেওয়া চাদরের নিচে পা ভালো ভাবে লুকিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর আবার কানে সুরসুরি দেওয়া শুরু করে।
মিরা চোখ বন্ধ করা অবস্থা ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে,
—” প্রিয়া জ্বালাস না তো ঘুমতে দে।”
আবার মিরা ঘুমিয়ে পড়ে। আবার কী মনে করে বলে,
—” প্রিয়া তুই এখানে প্রেম কোথায়?”
মিরার এসব কথা শুনে কেউ খিলখিলে হেসে দেয়। মিরা ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে নীলা আর নিঝুম ওর সাথে ফাজলামি করে হাসছে। মিরা লাফ দিয়ে উঠে নীলা কে জড়িয়ে ধরে বলে,
—” কেমন আছো আপু? আমি কাল এসেছি আর তুমি এখন এসেছো আমার কাছে?”
—” আরে আমি তো রাতে খাবার টেবিলে জানতে পারি তুই এসেছিস। আমি আর নিঝুম তখনি আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু মামনি আর নানু বলছে তুই ঘুমাচ্ছি, তাই আর আসিনি।”
—” আমার কথা তো কারো মনেই নেই?”
নিঝুমের কথা শুনে মিরা আর নীলা হালকা হেসে হাত বাড়িয়ে দেয় নিঝুমের দিকে। নিঝুমো এসে ওদের জড়িয়ে ধরে।
—” জানো আপু আমি না তোমাদের খুব মিস করতাম লন্ডনে। তোমরা তো প্রায়াই যেতে আমাদের সাথে দেখা করতে তাও আমি তোমাদের মিস করি।”
—” আমরাও তোকে খুব মিস করতাম। এখন ওঠ পরে কথা হবে ফ্রেশ হয়ে নেয় একসাথে ব্রেকফাস্ট করবো।”
মিরা নীলা এমন আচরণ দেখে বিরবির করে বলে,
—” আপুকে দেখে তো মনে হচ্ছে না আপু দুই দিন আগে সুইসাইড করার চেষ্টা করছে। যেখানে তার ভালোবাসার মানুষের সাথে অন্য কারো বিয়ে ঠিক হয়েছে সেখানে আপু মধ্যে কোনো পরিবর্তন তো দেখছি না। ধুর! কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না।”
নিঝুম মিরা কে ঝাঁকিয়ে বলে,
—” আপু কী বলছো এক এক বিরবির করে?”
—” না তেমন কিছু না। তোর স্কুল নেই আজ?”
—” হ্যা, আছে তো। কেনো?”
—” কিছু না। আপু তুমি ভার্সিটিতে যাবে না?”
—” না রে অনেক দিন ধরে যাই না, যেতে ইচ্ছে করছে না।”
মিরা কিছুক্ষণ চিন্তা করে বলে,
—” আপু আমি বাড়িতে বসে বোর হবো, আমি চেয়েছিলাম আজ তোমার ভার্সিটি ঘুরে দেখবো কিন্তু তুমি যখন যাবে না আমি বরং আশপাশ টা এক ঘুরে দেখি।”
—” তুই এখান কার কিছু চিনিস যে একা ঘুরে দেখবি? আমি যাবো তোর সাথে।”
—” সত্যি?”
—” হ্যা রে বাবা সত্যি।”
নিঝুম মন খারাপ করে বলে,
—” তোমরা আজ কত মজা করবে আর আমি?”
নিঝুমের মন খারাপ দেখে নীলা বলে,
—” তুই স্কুল থেকে এলে আমরা আরো মজা করবো কেমন?”
—” এই যা!”
নীলা মিরার কথা শুনে বলে,
—” তোর আবার কী হলো?”
—” আমি তোমাদের সবার জন্য গিফট নিয়ে এসেছি কিন্তু গিফটের কথা একদম ভুলে গেছিলাম!”
মিরা কথা শুনে নীলা হেসে দিয়ে বলে,
—” আচ্ছা মন খারাপ করিস না আমরা রাতে সব দেখবো। এখন তো যা ফ্রেশ হয়ে আয়।”
—” ওকে সিস্টার!
মিরা ব্রেকফাস্ট টেবিলে ওর ফুপা আর সাথে কথা বলে। মিরা বাড়িতে আসায় পুরো খান বাড়ির পরিবেশ ই বদলে যায়। ফুপা মিরার ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করে বলে,
—” তা মামনি আজ কোথাও ঘুরতে বের হবে?”
—” হ্যা আপুর সাথে একটু পর বের হবো।”
মিরার ফুপি অবাক হয়ে বলে,
—” নীলা বের হবে?”
—” হ্যা কেনো?”
—” না কিছু না মামনি, যাওয়ার সময় গাড়ি নিয়ে যেও।”
—” ঠিক আছে।”
মিরা খেয়ে ডেনিকে ওর রুমে আসতে বলে মিরা উপরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ডেনি মিরা রুমে গিয়ে বলে,
—” মেম কিছু বলবেন?”
—” এসে গেছো? তোমাকে একটা কাজ করতে হবে ডেনি ভাইয়া?”
—” কী কাজ মেম?”
—” আমি একটা এড্রেস দিচ্ছি, সে বাড়ির ছেলের সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিতভাবে জেনে আসবে।”
—” ওকে মেম।”
ডেনি বেরিয়ে গেলে মিরা রেডি হয়ে নিচে এসে দেখে নীলা ওর জন্য অপেক্ষা করছিলো।
—” সরি আপু লেট হয়ে।”
—” আচ্ছা চল কোথায় যাবি এখন?”
—” উমমমম,,,, তোমার ভার্সিটিতে। তোমার ফ্রেন্ডদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে।”
—” ওকে চল।”
মিরা আর নীলা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। মিরা নিজে গাড়ি ড্রাইভ করছে আর নীলা ওকে রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা ভার্সিটি পৌঁছে যায়। মিরা আর নীলা একসাথে ভার্সিটিতে ঢোকে। অনেকেই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। মিরা ওদিকে একবার তাকিয়ে নীলাকে বলে,
—” আপু এরা আমাদের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?”
নীলা হাসি মুখে বলে,
—” আমার বোন যে খুব সুন্দর দেখতে। তাই বোধহয় সবাই তোর দিকে তাকিয়ে আছে।”
—” ধুর। তুমি সব সময় মজা করো আমার সাথে।”
—” আচ্ছা চল আমার ফ্রেন্ডদের সাথে তোর আলাপ করিয়ে দেই।”
—” হুম। চলো।”
নীলা মিরাকে নিয়ে ওদের আড্ডা দেওয়ার জায়গায় নিয়ে যায়। মিরা দেখে কিছু ছেলে মেয়ে একটা গাছের নিচে বসে আছে, নীলাকে দেখে এদিকে এগিয়ে আসছে। নীলা কাছে এলে প্রথমে নীলাই বলে,
—” কেমন আছিস তোরা?”
একটা মেয়ে বলে,
—” ভালো আছি আমরা। তুই ভার্সিটিতে আছিস না কেনো? ঘটনা কী বল তো?”
—” তেমন কিছু না। ছাড় তো এসব কথা। আগে পরিচয় হয় আমার একমাত্র মামাতো বোনের কথা তোরা জানতি। এই হলো আমার মামাতো বোন মিরা কাল সন্ধ্যায় এসেছে লন্ডন থেকে। আর মিরা এরা পাঁচজন আমার সবথেকে কাছের বন্ধু মিমি, সিজা, অনি, রাতুল আর মেঘ।
—” হ্যালো ভাইয়া আর আপুরা। তোমরা কেমন আছো সবাই?”
মেঘ বুকে হাত দিয়ে বলে,
—” সুন্দরী মেয়েগুলো খালি আমাদের ভাইয়া বলে ডাকে কেনো রে রাতুল?”
সিজা ওদের কথা শুনে বলে,
—” শুরু হয়ে গেছে মেয়েদের সাথে ফ্ল্যাট করা।”
—” তোর কী আমি যা খুশি করবো?”
নীলা ওদের কথার মাঝে বলে,
—” মিরার সাথে ফ্ল্যাট করে লাভ নেই। শুধু শুধু সময় নষ্ট করবি।”
—” কেনো?”
নীলা হাসি মুখে বলে,
—” মিরা তো কিছুদিন এখানে থাকবে তখন নিজেই বুঝতে পারবি।”
মিরা ওদের কথা মাঝে নীলার দিকে তাকিয়ে বলে,
—” পরিচয় করা শেষ? এবার বলো তোমার বয়ফ্রেন্ডের নাম কী? বাড়ি কোথায়? কী করে?
হঠাৎ মিরার এমন কথায় সবাই হা হয়ে যায়। নীলা কোনো রকম নিজেকে সামলে বলে,
—” কার বয়ফ্রেন্ড? কীসের কথা বলছিস তুই?
—” কার জন্য তুমি সুইসাইড করতে চেয়েছিলে? আর এই যে তোমরা তো আপুর ফ্রেন্ড তোমরা তো নিশ্চয়ই জানো?”
নীলার সুইসাইডের কথা শুনে সবাই হতবাক হয়ে যায়। মিমি বলে,
—” নীলা তুই সুইসাইড করার চেষ্টা করছিলি?”
অনি বলে,
—” এমন বোকার মত কাজ করলি কেনো? একবারো আন্টি আঙ্কেলের কথা চিন্তা করলি না।”
রাতুল বলে,
—” আমাদের সাথে একবার অন্তত তোর সমস্যা টা শেয়ার করতে পারতি তা না করে এমন কেনো করলি?”
সিজা বলে,
—” তুই এমন একটা কাজ করেছিস ভাবতেই আমার অবাক লাগছে।”
মেঘ বলে,
—” কেনো এমন করলি নীলা?”
নীলা কিছু বলে না দেখে মিরা বলে,
—” তুমি জানো আপু তুমি না বলেও তোমার ঐ ইডিয়েট টাকে খুঁজে বের করতে বেশি সময় লাগবে না আমার। আমি চাই তুমি আমাকে সব বলো, আর যদি বলতে না চাও তাহলে তোমার ঐ ইডিয়েটকে আমার হাতের কাছে পেলে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেবো।”
নীলা কান্না করে বলে,
—” তুই সব জানতি তাই না? আমি মনে করেছি তুই এমনি দেশে এসেছিস।”
—” হুম আমি প্রথম থেকে সব জানতাম। তুমি বলবে?”
—” এরমধ্যে অভ্রর কোনো দোষ নেই।”
মিরা কপাল কুঁচকে বলে,
—” ঐ ইডিয়েট টার নাম অভ্র?”
—” হুম।”
চলবে _____