নিশ্বাস পর্ব ১২

#নিশ্বাস
#পর্ব_১২
#লেখক_Mohammad_Asad

-এই আপনি অফিসের ড্রেস পড়েছেন কেন?
-অফিসে যাবো তাই।
-মানে কি?
“ছাদিক নিশাতের গালে দুই হাত দিয়ে বলে।”
-অফিসে আমার কাজ আছে তাই অফিসে যেতে হবে।
-কি বলছেন কি। মেয়ে পক্ষ দেখতে এসেছে আপনাকে আর আপনি কিনা অফিসে যাবেন এখন। আম্মাকে কি বোকা পেয়েছেন? আজকে শুক্রবার।
-ইসস, আমার বউটা এতো বকবক করে কেন, আল্লাহ্ ভালো যানেন?
-এইইই আমাকে এমন করে বলছেন কেন!
-তাহলে কেমন করে বলবো হুম?
-আপনি আজকে কোথাও যাবেন না।
-তুমি বললেই কি অফিসে যাবো না আমি। খাটে দেখো একটা প্যাকেট আছে তার মধ্যে একটা নীল শাড়ি আছে, পড়ে এসো।
-মানে কি, আপনি কি করতে চাইছেন বলুন তো।
-তুমি কি শাড়ী পড়তে পারো? না আমি পড়ে দিবো!
-এই না, আমি পড়তে পারি।

নিশাত নীল শাড়ীটা পড়ে আসলে। ছাদিক বলে,
-এবার চলো।
-কোথায় যাবেন?
-কেন বাইরে ঘুরতে। সারাদিন তো বাড়িতে কাজ করো তুমি। আজকে নাহয় ঘুরে আসি।
-এইইই না। আম্মা অনেক বকা দিবে। তারমধ্যে আবার মেয়ে পক্ষ দেখতে এসেছে আপনাকে।
-আরে বকা দিবে না, চলো তো আমার সঙ্গে।
-আপনি বললেই তো আর হবে না।
-কিইই বললেই তো হবে না, বলো আমাকে?
-আপনার সঙ্গে যাবো না আমি।
-কেন যাবে না।
-এমনি,

ছাদিক নিশাতের হাতটা শক্ত করে ধরে। ধরে রুম থেকে বের হয়ে যায়। ডাইনিং রুমে গেলে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়, দুজনকে দেখে। ছাদিক সবার সামনে মিস্টি হেঁসে বলে।
-আম্মু আমি একটু বাইরে যাচ্ছি। নিশাত সারাদিন বাড়ির মধ্যে বন্ধি হয়ে থাকে। আজকে নাহয় একটু ঘুরে নিয়ে আসি ওকে।
“আম্মু রেগে দাঁত কটমট করে বলে”
-এই, তুই কাজের মেয়েটাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস?

মেয়ে পক্ষের কয়েকজন এসেছে তারা আলোচনা করতে থাকে। এই ছেলেই তো আমাদের মেয়ের জন্য দেখতে এসেছি তাই না? তাহলে এই ছেলে এইসব কি বলছে কেন, আর পার্শের মেয়েটাই বা কে?
-আম্মু তুমি ওকে কাজের মেয়ে বলছো কেন? নিশাত আমার স্ত্রী।

এবার মেয়ে পক্ষ লোকরা সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। একটা বিবাহিত ছেলের সঙ্গে আমাদের মেয়ের বিয়ে ঠিক করতে এসেছি।
-স্যরি ব্যায়ান আমরা চলে যাচ্ছি, এখনে একটি মূহুর্ত থাকতে পারবো না।
“ছাদিক তখন মিস্টি হেঁসে বলে”
-আমাদের সঙ্গে চলুন আপনাদের একটা গাড়ীতে তুলে দিয়ে আসবো কেমন।
-আচ্ছা,

আম্মু তখন ছাদিকের কাছে এসে রেগে বলে।
-কোথায় যাচ্ছিস তুই?
-কেন আম্মু তখন তো বললাম না। বাইরে একটু ঘুরতে যাচ্ছি।
-তুই আমার অবাদ্ধ হচ্ছিস?
-স্যরি আম্মু, আজকে অবাদ্ধ হতে হলো।
-আজকে সবার সামনে অপমান করলি আমাকে।
-কই আম্মু অপমান করলাম। তোমাকে শুধু বুঝাতে চেয়েছি আমি আর নিশাত দুজনে শুখে আছি। তুমি শুধু শুধু আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে দিতে চাইছো।

ছাদিক নিশাতের হাত ধরে বাড়ির বাইরে চলে যায়। তিন্নি ভাবি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবকিছু দেখছে। আম্মু বারবার বলতে থাকে। তুই যদি আজকে কোথাও যাস। তাহলে বাড়ির মধ্যে ডুকতে পারবি না আর।
তোদের জন্য এই বাড়ির দরজা সারাজীবনের জন্য বন্ধ।

ছাদিক যখন নিশাতকে নিয়ে বাড়ির বাইরে আসে। নিশাত তখন বলে,
-এই এইটা আপনি কি করলেন? এমন না করলেও পারতেন। আম্মা হয়তো অনেক কষ্ট পেয়েছে।
“ছাদিক নিশাতের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে।”
-আমি আম্মুকে কষ্ট দিতে চাইনি নিশাত। আমি শুধু বুঝাতে চেয়েছি, আমি তোমার সঙ্গে বেশ আছি।

“চলবে?”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here