নিশ্বাস পর্ব শেষ

#নিশ্বাস
#অন্তিমপর্ব_১৮
#লেখক_Mohammad_Asad

নিশাত এবং ছাদিক দুজনে বাড়িতে ফিরে আসে। আম্মুর সেদিন অনেক জ্বর। আম্মু ঘুমিয়ে আছে। ছাদিক আম্মুর পার্শে বসে ভাবিকে বলে।
-ভাবি আম্মুর এমন অবস্থা হলো কেমন করে?
-যানি না রে, হঠাৎ করে দুপুর থেকে অনেক জ্বর আর কাশি,।
-ঔষধ খাইয়ে দিয়েছো ভাবি?
-হুম
-আব্বু কোথায়?
-আম্মার ঔষধ নিতে গিয়েছে।
-আচ্ছা,
-হুঁ

ছাদিক নিশাত, তিন্নি ভাবি তিনজন আম্মুর পার্শে বসে আছে। আব্বু রুমে এসে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।
-আরে ছাদিক নিশাত তোরা!
“ছাদিক আব্বুর দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেঁসে বলে”
-হ্যাঁ আমি।
“নিশাত আব্বুর দিকে তাকিয়ে বলে”
-আঙ্কেল কেমন আছেন,?
-জ্বি ভালো আছি, তোমরা দুজনে যেমন ভালো রেখেছো! তবে আমি কি তোমার আঙ্কেল?
-স্যরি আঙ্কেল বলে অভ্যাস হয়ে গেছে, আব্বা।
-আব্বা বলার দরকার নেই, আব্বু বলো।
-আচ্ছা,

সকলে গল্প করছে, গল্পের আওয়াজ পেয়ে আম্মু ঘুম থেকে জেগে যায়। চোখ দুইটি খুলে দেখে নিশাত ছাদিক বসে আছে পার্শে। তাদের সঙ্গে ছাদিকের আব্বু, তিন্নি ভাবিও আছে।

আম্মু, নিশাত ছাদিক দুজনকে দেখে বিছানায় বসে পরে।
জ্বরের কারণে চোখ দুইটি খুলতে
অনেক কষ্ট হচ্ছে।
“আম্মু শান্ত গলায় বলে”
-আরে নিশাত ছাদিক তোরা!
“ছাদিক আম্মুর দিকে তাকিয়ে বলে”
-হ্যাঁ আমরা, কেন আম্মু তুমি খুঁশি হওনি?
“আম্মু কান্না করে বলে”
-ছাদিক আমাকে ক্ষমা করে দে দয়া করে।
-আরে আম্মু তুমি ক্ষমা চাইছো কেন?
-কেন ক্ষমা চাইছি যানিস? তোদের উপর অনেক খারাপ আচ্যারণ করেছি আমি! তোদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি পযন্তু।
-আরে আম্মু তুমি না! এই জন্য ক্ষমা চাইতে হবে কেন? তুমি আমাদের আম্মু না বলো! তোমার একদম কান্না মানায় না। তুমি আমাদের উপর একটু রাগ করে তাড়িয়ে দিয়েছো! কত বছর তোমাকে ছেড়ে থাকছি আমরা বলো? এইতো ১মাস,। আমার আম্মুটা অনেক ভালো তবে একটু ভুল বুঝেছিলো আমাদের।

আম্মু নিশাতের হাতটা ধরে কাছে আসতে বলে। আম্মু নিশাতের কপালে চুমু দিয়ে বলে।
-ক্ষমা করে দিস নিশাত, তোর উপর অনেক অন্যায় করেছি আমি।
“নিশাত মিষ্টি হেঁসে আম্মুর হাতটা চেপে ধরে বলে”
-আপনি আমাদের মা, কোন মা কেনই বা চাইবে একটা কাজের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে তার ছেলের। আপনি যা করেছেন একদম ঠিক।

আম্মু কান্না করে বলে,
-নিশাত এটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না। তুই আমাদের বাড়ির কাজের মেয়ে না! আমাদের বাড়ির ছোট ছেলের মিষ্টি একটা বউ।

“তিন্নি ভাবি সয়তানি হাঁসি দিয়ে বলে”
-হ্যাঁ মা ঠিকি বলেছেন, এই এক মাস অনেক কষ্ট ছিলাম আমি। নিশাতের সঙ্গে ঝগড়া করতে না পেরে।
“তিন্নি ভাবির কথা শুনে সকলে হেঁসে দেয়।”

পরিবারের মধ্যে মান অভিমান ঝগড়া হতেই পারে সমস্যা নেই। তবে কখনো ছেড়ে যেতে নেই। বাবা-মা বুড়ো হচ্ছে একটু রাগ দেখাতেই পারে। বাবা-মার যত বয়স বাড়ে তাড়া তত বাচ্চাদের মতো শুরু করে দেয়। তাদের একটু বুঝুন দেখবেন সংসার সুখের হবে। বাবা-মা রেগে কিছু বললে মাথাটা নিঁচু করে থাকুন। দেখবেন ঝগড়া হবে না।
অথবা একটা কাজ করতে পারেন সবসময় বাবা-মার সঙ্গে বেশি বেশি কথা বলবেন, আর সবসময় হ্যাঁশি খুঁশি হয়ে থাকবেন। মনে রাখবেন যে ব্যাক্তি সবসময় হ্যাঁশি খুশি থাকে তাকে সকলে ভালোবাসে, তার সঙ্গে সকলে কথা বলার চেষ্টা করে।

রাত ১১;৩১ মিনিট নিশাত রুমের মধ্যে আসে। ছাদিক বিছানায় সুয়ে আছে। নিশাত ভিতর থেকে রুমের দরজাটা লেগে দেয়। জানালার পর্দা ঠিক করে রুমের লাইটটা ওফ করে দেয় নিশাত। ড্রিম লাইটটা জালিয়ে দিয়ে ছাদিকের পার্শে সুয়ে পরে। ছাদিকের বুকের উপর মাথা নিতে যাবে তখন ছাদিক মিষ্টি হেঁসে বলে।
-কখন আসলে?
“নিশাত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে”
-এইইই আপনি ঘুমাননি?
-জ্বি হ্যাঁ,
-তাহলে এভাবে ঘুমের অভিনয় করে সুয়ে আছেন কেন?
-ইচ্ছে করে,
-উঁহু, আমি মনে করেছিলাম ঘুমিয়ে গেছেন আপনি!!
-তাই,
-হুঁ তাই,
-আগে বলতো এতোক্ষণ কোথায় ছিলে তুমি?
-আম্মার রুমে ছিলাম।
-ওহ আচ্ছা,
-জ্বি হ্যাঁ
-আম্মু ঘুমিয়েছে?
-হুম,
-আম্মু তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলছে তাই না?
-হুঁ
-একদিনে আম্মুকে পটিয়ে ফেললে তুমি!!
-মানে?
-মানে আবার কি?
-কি মানে তাই না,
-উফফ্ নিশাত তুমি না,
-কি আমি?
-বেশি বুঝো, বলছি আম্মুকে পটিয়ে ফেলছো তুমি এই একদিনে।
“নিশাত ছাদিকের বুকে কিল ঘুশি দিয়ে বলে”
-এইই এই কথার মানে কি?
-কি আবার মানে?
-আমি আম্মাকে পটিয়েছি মানে?
-জ্বি হ্যাঁ তুমি আম্মুকে পটিয়েছ।
-ইসসস
-কি ইসস হুম, তোমাকে এখন আদর করবো আমি।
-এই না,
-কেন না শুনি?
-অনেক রাত হয়ে গেছে তো।
-কত রাত হয়েছে শুনি সবে মাত্র ১১;৫০।
-উঁহু না, ভালো লাগছে না আমার।
-আচ্ছা আম্মুর জ্বর কমেছে?
-হুম, আর একটু একটু জ্বর আছে।
-দেখেছো, আমার আম্মুটা কত ভালো।
-ইসসস,
-কি ইসস!
-আপনার একার আম্মু তাই না?
-হুম আমার একার আম্মু,
-তাহলে আমার কি?
-তোমার আম্মা আমার আম্মু।
-হিহিহিহি
-পেত্নী একটা,
-আপনি পারেন বটে,
-কি পারি আমি, শুনি একটু?
-হ্যাঁসাতে পারেন অনেক।
-তাই
-হুঁ তাই, আজ থেকে আপনি একটা পাজি ছেলে।
-আগে ছিলাম না বুঝি?
-হ্যাঁ ছিলেন অনেক, তবে আজকে প্রশংসা করলাম।
-তাই।
-জ্বি হ্যাঁ তাই।
-আচ্ছা নিশাত আমাদের একটা বাবু হলে কি নাম দিবে শুনি!
“নিশাত লজ্জায় মুখটা লাল করে দেয়, বলে।
-আপনি বলেন!
-আচ্ছা বলছি,
-হ্যাঁ বলেন,
-মেয়ে হলে নাম রাখবো নিশাত।
-এইই মানে কি?
-কি আবার মানে?
-আমাদের মেয়ে বাবু হলে আমার নামটাই রাখবেন?
-জ্বি হ্যাঁ
-তাহলে ছেলে বাবু হলে নাম রাখবো ছাদিক।
-তাই
-হুম তাই,

নিশাত ছাদিকের বুকের দুই পার্শে দুইহাত দিয়ে ছাদিকের চোখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলছে।

ছাদিক দুষ্টুমি করে নিশাতের দুইগালে হাত দিয়ে চুমু দিয়ে দেয়। নিশাতের ঠোঁটে আদর মেখে দিয়ে ভেসে যায় প্রেমের সাগরে দুইজন।
.
.
যদিও ভালোবাসাটা ছিলো অনিশ্চিত তবুও,
ভালোবাসাটা ছিলো সত্য,
পরিবর্তন অনেক কিছুই হয়ে থাকে।
মানুষের মন পযন্তু।

“””””””””””””সমাপ্ত”””””‘””””””””

গল্পটা কেমন লেগেছে তা অবশ্যই বলবেন❤ আমার পেজটা এড্ড করে নিন যদি এড্ড হয়ে না থাকেন। ভালোবাসা দিবেন ভালোবাসা নিবেন।❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here