#নিশ্বাস
#পর্ব_১৭
#লেখক_Mohammad_Asad
ছাদিক যখন রুম থেকে বের হয়ে যায়, তখম বাড়ির মালিকের ছেলে রিয়াদের সঙ্গে দেখা হয় ছাদিকের, রিয়াদ কিছু বলতে যাবে তখন। রিয়াদের শার্টের কলার ধরে নাঁকে ২টা ঘুঁশি দেয় ছাদিক।
রিয়াদের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়। রিয়াদ যখন ছাদিককে মারতে যাবে তখন রিয়াদের পেটে ঘুঁশি মেরে দেয় ছাদিক। রিয়াদের এমন অবস্থা করে ছাদিক যা বলার বাহিরে।
শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে তার বাবার কাছে নিয়ে যায়। রিয়াদের বাবা রিয়াদের এমন অবস্থা দেখে চিন্তে পারে না পযন্তু।
-এই নিন আপনার ছেলে,
-মানে, এইসবের মানে কি? আমার ছেলের শরীলে হাত দিয়েছো কেন? “অনেকটা রেগে কথাগুলো বলে রিয়াদের আব্বু।
ছাদিক রিয়াদের বাবার শর্টের কলার ধরে মুচকি হেঁসে বলে।
-স্যরি আপনাকে অসম্মান করার জন্য। আপনি যদি আমার একটু ছোট হতেন না। তাহলে আপনার ছেলের মতো আপনার অবস্থা করতাম।
-আরে তুমি আমাদের বাসায় থেকে আমাদের হুমকি দিচ্ছো? আমার শার্টের কলার ধরে আছো তুমি।
-আরে সাহেব, একটু থামুন না। এতো কথা কিসের আপনার ছেলে কি করেছে তা কি শুনবেন না নাকি? আপনার ছেলে আমার স্ত্রীর ইজ্জত নিতে চেয়েছে। আর কিছু বলতে হবে নাকি?
রিয়াদের বাবা ছাদিকের সামনে কিছু বলতে পারে না। বাড়ি ভাড়ার টাকা, এবং রিয়াদের চিকিৎসার জন্য টাকা দিয়ে দেয় ছাদিক।
-এই যে বাড়ি ভাড়া টাকার সঙ্গে, আপনার ছেলের চিকিৎসার টাকা দিয়ে দিয়েছি হসপিটালে নিয়ে গিয়ে একটু বেশি করে চিকিৎসা করবেন কেমন!
-তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে এভাবে অপমান করছো?
-আরে সাহেব আপনি এতো রেগে যাচ্ছেন কেন? পুলিশকে ফোন করেছি কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে। আপনি রিয়াদকে হসপিটালে না নিয়ে যেতে চাইলে আমি সবকিছু করে দিচ্ছি। আপনি নিশ্চিতে রুমে সুয়ে থাকুন। একটা কথা মনে রাখবেন, আমি উপরে হ্যাশি খুঁশি হলেও। ভিতরে কিন্তু অনেকটাই ভয়ংকর। “ছাদিক মুচকি হেঁসে রিয়াদের বাবার সামনে থেকে চলে যায়।
.
.
রুমে বসে আছে নিশাত দরজাটা ভিতর থেকে বন্ধ করে। ছাদিক রুমের দরজার কাছে এসে নিশাতের ফোনে এসএমএস করে। নিশাত দরজাটা খুলে দিয়ে বলে।
-আপনার আসতে এতো দেরি হলো কেন?
-তোমার সঙ্গে যেই ছেলেটা খারাপ আচ্যারণ করেছে তাকে শিক্ষা দিয়েছে তাই একটু লেট হয়েছে।
-মানে?
-তোমাকে পরে বলছি, বিরিয়ানির প্যাকেটা খুলো দেখি।
-হুঁ
.
.
ছাদিক নিশাতের মুখে খাবার তুলে দেয়,
নিশাত টুকটুক করে খেয়ে যাচ্ছে।
দুজনের খাবার খাওয়া শেষ হলে ছাদিক বিছানায় সুয়ে দুইটি চোখ বন্ধ করে দেয়।
নিশাত পার্শে বসে বলে,
-এখনি ঘুমাবেন?
-হুম
-“নিশ্চুপ”
-চিন্তা করোনা ছেলেটাকে অনেক মেরেছি।
-মানে?
-ছেলেটা এখন হসপিটালে!
-কিইইই
-হ্যাঁ
-আপনি ছেলেটাকে অনেক মেরেছেন তাই না?
-কেন আমাকে দেখে কি মনে হয়?
-ইসস আপনি ছেলেটাকে মেরে হসপিটালে পাটিয়ে দিয়েছেন?
-হ্যাঁ, আমার বুকে এসো তো, ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে নিই। বিকেল পাঁচটার সময় বাড়িতে যাচ্ছি আমরা!
-মানে?
-জ্বি মহারানী
-কোন বাড়িতে যাচ্ছি?
“ছাদিক মিষ্টি হেঁসে নিশাতের হাত ধরে বুকে টেনে নেয়”
-আমাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি!
-আম্মা আপনাকে ফোন করেছিলো?
-নাহ্
-তাহলে ফিরে যেতে চাইছেন কেন?
-ইচ্ছে করছে তাই।
-হুঁ
-তোমার ইচ্ছে করছে না ফিরে যেতে আবার?
“নিশাত মুখটা গোমড়া করে বলে”
-ইচ্ছে তো করছে অনেক। তবে আপনাকে যদি আমার থেকে কেঁড়ে নেয়।
-ইসস আমার বউটা,
-“নিশ্চুপ”
ছাদিক মেয়েটাকে বুকে লেপ্টে নিয়েছে। নিশাত বলে,
-আপনি এতো নোংরা কেন বলেন তো!
-কেন নিশাত কি হয়েছে?
-আপনি অফিসের ইউনিফর্ম পড়ে আছেন কেন? ঘাঁমের গন্ধ বেড় হচ্ছে অনেক।
-স্যরি
-ওয়াক ওয়াক, থু থু থু, আপনার সঙ্গে কেমন করে আছি আমি আল্লাহ ভালো যানেন!!
-এ্যা এ্যা,
-ছিঃ ছিঃ কি গন্ধ করছে,
-নিশাত বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
-কি বেশি হয়ে যাচ্ছে শুনি, আমাকে ছাড়ুন আপনি ছাড়ুন বলছি। গোসল করে আসেন আগে। তারপর জরীয়ে ধরবেন।
ছাদিক মুখটা ছোট করে নিশাতকে ছেড়ে দেয়। কাপড় নিয়ে গোসল করতে যায়। এদিকে নিশাত হেঁসে হেঁসে পেট ব্যাথা করে ফেলেছে।
নিশাত বিছানায় সুয়ে আছে ছাদিক গোসল করে এসে নিশাতের কপালে চুমু খায়। নিশাতের মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে ছাদিক। নিশাতের মুখটা কতই না নিষ্পাপ। মেয়েটা ঘুমিয়ে গেছে, এই ভর দুপুরে। ছাদিক সাদা টাউজার এবং কালো গেঞ্জি পড়েছে। নিশাতের পার্শে সুয়ে পরে ছাদিক। ছাদিক নিশাতের পার্শে সুয়ে পরলে নিশাত ছাদিকের বুকের মাঝখানে হাত দেয়।
-আপনি গোসল করে এসেছেন?
-হুম,
“নিশাত মিষ্টি হেঁসে ছাদিকের বুকের মাঝখানটায় মাথা দিয়ে সুয়ে পরে।
“চলবে?”
#শেষ_পর্বটা_কালকে_পাবেন!!