#নিশ্বাস
#পর্ব_২
#লেখক_Mohammad_Asad
এই মেয়ে কি সত্যি খুশি হবে আমি মারা গেলে। আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে আমি মরে যাবো, চলে যাবো ওই কবরে। আল্লাহ ক্ষমা করে দিও আমায়।
ছাদিক চোখ বন্ধ করে নেয়। নিশাতের উদ্দেশ্য করে বলে।
-নিশাত আমি “৩” যখন বলবো তখন টুলটা সরিয়ে দিবি ওকে।
-“নিশ্চুপ”
ছাদিক যখন ৩ বলে নিশাত তখন
ছেলেটার গলা থেকে দাঁড়িটা খুলে নেয়। ছাদিকের গালে ৩টা থাপ্পড় দিয়ে জরীয়ে ধরে। ছাদিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। নিশাত কান্না কন্ঠে বলে।
-আপনি মরে গেলে আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো শুনি?
-কি বলছো এইসব নিশাত।
-হুম যা শুনছেন ঠিক শুনেছেন। আপনাকে আমি সেই ৪বছর থেকেই ভালোবাসি। তবে কখনো বলতে পারিনি। কাজের মেয়ে হয়ে কিভাবে ভালোবাসার কথাটা বলি বলেন। আর কোনোদিন বলতেও পারতাম না ভালোবাসি খুব ভালোবাসি।
-“নিশ্চুপ”
-আমার কষ্ট হয়েছিল অনেক আপনি যখন আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিলেন। আপনার প্রতি যেই ভালোবাসাটা ছিলো আমার। সম্পূর্ণ ঘৃণায় পরিণত হয়েছিলো। আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো। আপনি যখন আমাকে কষ্ট দিচ্ছিলেন। আমার শরীলের থেকে মনে কতটা আঘাত পেয়েছিল কখনো বুঝবেন না আপনি।
-“নিশ্চুপ”
-এই আমার দিকে তাকান,
-হুম বলো
-এটা কি করতে যাচ্ছিলেন হুম!
-তুুই তো বললি, আমার মতো একটা কুকুরের ফাঁসি হওয়া উচিৎ।
-তাই বলে মরে যাবেন। বাসর ঘরেই আমাকে বিধবা করতে চান।
-“নিশ্চুপ”
নিশাত টুল আর দঁড়িটা খাটের নিচে রেখে দেয়। ছাদিক সেই আগের মতো বাসর খাটে দাঁড়িয়ে আছে। খাটে বসে বলে নিশাত।
-এই শুনুন আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে। খাটে ঘুমিয়ে পড়ুন। আমি মেঝেতে ঘুমতে গেলাম।
“ছাদিক নিশাতের হাত ধরে খাটে বসে দিয়ে বলে।
-মানে কি!
-কি আবার মানে, আমি আপনাদের বাসার কাজের মেয়ে। খাটে সুয়ে থাকলে খারাপ দেখাবে।
-ওহ আচ্ছা।
-জ্বি হ্যাঁ
-আচ্ছা তুমি এতো সুন্দর কেন বলতো।
-থাক আর বলতে হবে না আপনাকে। তুই করে বলতেন সেটাই ঠিক আছে। তুমি করে বলতে হবে না।
-আরে পাগলী মেয়ে, তুমি আমার বউ বুঝলে খাটে সুবে এখন।
-নাহ্ দরকার নেই। আপনি আমাকে কষ্ট দিবেন।
-তাই
-হুঁ তাই। আর তাছাড়া আপনার মতো ধর্ষকের সঙ্গে থাকতে চাইনা আমি।
-“নিশ্চুপ”
নিশাত যখন ধর্ষক বলে, তখন কেন যানি ছাদিকের বুকে অনেক কষ্ট হয়। নিজের প্রতি অনেক ঘৃণা জমিয়ে যায়। এটা ঠিক যে ছাদিক এই বিয়ে করতে চেয়েছিলো না। শুধু একটাই কারণ নিশাত তাদের বাড়ির কাজের মেয়ে। তবে নিশাত দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী।
নিশাত মেঝেতে বিছানা করে সুয়ে পরেছে। ছাদিক খাটে ঘুমতে বললে নিশাত না করেছে। সম্পূর্ণ খাট ফুল দিয়ে সাজানো এখানে দুজনে বাসর করবে। তা না দু’জনে দুই জায়গায় সুয়ে আছে।
ছাদিক কোলবালিশ জরিয়ে ঘুমিয়ে আছে। কিছুই ভালো লাগছে না ধুর।
.
.
রাত দুইটা
নিশাত ঘুমের মাঝে মগ্ন ছাদিকের তখনও ঘুম আসেনি, ফোনের মধ্যে ডুবে আছে ছেলেটা। কিছুক্ষণ পর ছাদিক খাট থেকে নেমে নিশাতের পার্শে বসে, পাজোকলা করে কোলে তুলে নেয়। নিশাত ঘুমের মাঝে মিটিমিটি চোখে ছাদিকের দিকে তাকিয়ে আছে। খাটে সুয়ে দিয়ে কপালে চুমু এঁকে দেয় ছাদিক নিশাতের কপালে।
“চলবে”
গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, বাস্তবের সঙ্গে মিলে গেলে কোনপক্ষে লেখক দায়ি নয়।