.
“যাকে এতদিন বড় ভাই বলে মেনেছি, ভাইয়ের চোখে দেখেছি তাকে বিয়ে? কিছুতেই না। কিছুতেই তাসফি ভাই’কে আমি বিয়ে করতে পারবো না।”
বেশ জোরেই কথাটা বলতেই নিশ্চুপ হয়ে গেলো সবাই, সহসায় কোন বাক্য ফিরে এলো না। এতে যেন কিছুটা সাহস সঞ্চয় হলো রুপার। মাথা উঁচিয়ে চোখ তুলে তাকালো তার বড় বাবার দিকে। উদ্যোগ নিলো কিছু বলার জন্য। তার আগেই রূপার বড় বাবা বলে উঠলো,
“বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে, দেখিস।”
“কিচ্ছু ঠিক হবে না বড় বাবাই, উনি আমার ভাই…. আমি কি করে ওনাকে অন্য নজরে দেখবো?”
“তোর রামিসা ফুপিও তো চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেছে, তাছাড়া তোর দাদী— আব্বা আর মাও মামাতো ফুপাতো ভাইবোন ছিলো।”
“রামিসা ফুপি আর চাচ্চুু তো একে অপরকে জানতো, চিনতো, একটা সম্পর্কে ছিলো তাদের মাঝে। আর দাদী? সে তো অনেক আগেকার আমলের ছিলো। আর তাসফি ভাইয়া তো….. না না! বড় বাবাই, আমি কিছুতেই ওনাকে বিয়ে করতে পারবো না…..”
“কেন রে মা? আমার ছেলেটা কি খুব’ই খারাপ?”
হঠাৎ ফুপির কথায় চুপ করে গেলো রূপা, মাথা ঘুরিয়ে সেদিকে তাকালো। এগিয়ে এলো রূপার ফুপি। তার পাশে বসে মাথায় হাত রাখলো। ফুপির দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নিচু করে নিলো রূপা। মাথা ঝাঁকিয়ে ফুপির কথার জবাব দিলো। হালকা হাসলো তার ফুপি। মাথা থেকে হাতটা সরিয়ে রূপার হাতটা চেপে ধরলো। বলে উঠলো,
“তাহলে? ভয় পাচ্ছিস কেন?”
“ভয় পাচ্ছি না ফুপি। কিন্তু ওনাকে তে….. ”
“এ-কি? তুই কোথায় যাচ্ছিস তাসফি?”
রূপার ফুপি হঠাৎ বলতেই থেমে গেল সে। মাথা উঁচিয়ে তাকালো। হ্যাঁ! যাকে উদ্দেশ্য করে ফুপি কথাটা বলেছে, সেই মানুষ’টাই দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে আছে বললে ভুল হবে, দাঁড় করিয়ে রেখেছে। চোখ মুখে ছেয়ে আছে এক রাশ বিরক্তি। এক নজর দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, এই মানুষটা এক মুহুর্তও এখানে থাকতে রাজি নয়।
এক নজর তাকিয়ে আবারও মাথা নিচু করে নিলো রূপা। মুহুর্তেই ভরাট কন্ঠে গম্ভীর গলায় ভেসে আসলো।
“ঢাকা যাচ্ছি আমি।”
“ঢাকা যাচ্ছিস মানে? কালকে এতবড় একটা অনুষ্ঠান, আর তুই বলছিস ঢাকা যাচ্ছিস?”
“হ্যাঁ! যাচ্ছি মা। তোমরা যা শুরু করেছো, এ’ অবস্থায় কিছুতেই এখানে থাকা সম্ভব নয় আমার।”
“এটা কেমন কথা তাসফি? নিজের দ্বায়িত্ব ফেলে এভাবে চলে যাবি?”
“যেতে হচ্ছে, তোমাদের কথার তাড়নায় টিকতে না পেরে চলে যেতে হচ্ছে আমাকে।”
বলেই জোরে করে শ্বাস টেনে নিলো তাসফি। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও বললো,
“আর হ্যাঁ! আমার দ্বায়িত্ব কে ফেলে রেখে যাচ্ছি না আমি। রাহাত, সাহিল, সাগর কে সব বুঝিয়ে দিয়েছি।”
“কিন্তু তুই চলে গেলে আমি সবটা সামলাতে পারবো না বাবা।”
“আমি ওদের কে…..”
“তোর মতো ওদের প্রতি সেই ভরসা’টা পাই না বাবা।”
প্রতিত্তোরে কিছু বলতে পারলো না তাসফি, হয়তো বড় মামার কথায় একটু ইমোশনাল হয়ে গেল। মায়ের দিকে তাকাতেই, তিনিও করুন চোখে মুখে যেতে বারণ করলো। বড়দের কথার আর উপেক্ষা করতে পারলো না তাসফি। মায়ের থেকে চোখ ফিরিয়ে বসে থাকা রূপার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো। মেয়েটা মাথা নিচু করে তাকিয়ে আছে। চোখে মুখে মলিনতায় ফুটে আছে, ভেবে চলেছে কিছু একটা। আগামীকালের কথা ভাবতেই তাসফির হঠাৎ মায়া হলো রূপার প্রতি। ইস্! মেয়েটা কত কিছুই না সহ্য করেছে এই বয়সে, এখন আবার বিয়ে নামক প্যারায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে ঠিক তার মতোই। রূপার মতো সে নিজেও তো এই বিয়েটা করতে চায় না, বোনের পরিচয় দিয়ে আসা মেয়েটাকে জড়াতে চায় না নিজের সাথে।
তাসফির করা ভাবনাগুলো থেমে যেতেই চোখ গুলো সামলে নিলো তাসফি। মাথা ঘুরিয়ে আবারও মায়ের দিকে তাকালো। তারপর বড় মামাকে উদ্দেশ্য করে রাশভারী কণ্ঠে বলে উঠলো,
“ঠিকাছে মামা, থাকছি আমি। তবে হ্যাঁ! বিয়ে বিষয়ক কোন কথা যেন আমার কানে না আসে।”
সায় দিলো বড় মামা, কিছু বলবেন না বলে আশস্তও করলেন। কিছুটা হলেও যেন স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লো তাসফি। চোখ ফিরিয়ে আবারও তাকালো রূপার দিকে। এবার তার দিকেই তাকিয়েছে মেয়েটা। কিছুটা হলেও যেন চোখে মুখে স্বস্তির রেশ মিলেছে। আর দাঁড়ালো না তাসফি। নিজের ব্যাগটা কাঁধে নিয়েই চলে গেল রুমে। রূপাও আর বসে রইলো না। উঠে দাঁড়িয়ে সেও প্রস্থান করলো সেখান থেকে। বসার রুমের উপস্থিত সবাই সেখানেই রইলো, একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে হতাশার নিশ্বাস ছাড়লো তবে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়তে পারলো না কেউ-ই। ছেলে মেয়ে দু’টো কে একসাথে বেঁধে দিতে পারলেই যেন সকলের স্বস্তি, তৃপ্তি।
.
“আমি কিছুতেই পারবো না রিফাপু। যে মানুষটার সাথে ঠিক ভাবে কথাও বলি না, সে মানুষটাকে নিজের জীবনের সাথে কিভাবে জড়াবো? তাছাড়া উনিও এই বিয়ে করতে চান না। তুমি আমাকে নয়, বাড়ির বাকিদের বোঝাও।”
“তাসফি ভাইয়ার সাথে তো তোর বেশ কথা কথা হয়, সম্পর্ক’টাও কত ভালো, ভাইয়াও তোর কত কেয়ার করে, খেয়াল রাখে, তাহলে স্বাভাবিক হতে পারবি না কেন?”
“নাআআ! পারবো না। গত দু’বছরেই কিছু টুকটাক কথা হতো ভাইয়ার সাথে, আর সেটাও ভাই বোনের চেয়ে বেশি কিছু’ই নয়।”
বলেই সামান্য ক্ষণের জন্য চুপ করে গেল রূপা। তাকালো সামনে থাকা রিফার দিকে। জোরে শ্বাস টেনে আবারও বলে উঠলো,
“ছোট থেকে ওনাকে বড় ভাই বলে মেনেছি, সম্মান দিয়েছি, তার সাথেই সারাটা জীবন কাটাতে বলছো তোমরা? কিভাবে পারবো আমি রিফাপু? আমার কাছে এতটাও সহজ নয় বিষয়টা।”
সহসায় কোন উত্তর দিতে পারলো না রিফা, চুপ করে তাকিয়ে রইলো রূপার পানে। এদিকে মুহুর্তেই যেন অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠলো রূপার চোখ দুটো। তাসফি কে বড় ভাই বলেই মেনে এসেছে সে। প্রতিটা জায়গায় সেভাবেই পরিচিত হয়ে এসেছে, বাকিদের মতো তাসফির সাথে তেমন কথা না বললেও বড় ভাইয়ের সম্মান’টা যথেষ্ট দিয়েছে।
বাকিদের মতো তাসফির সাথে কোন কালেই সুসম্পর্ক ছিলো না রূপার। সুসম্পর্ক বলতে, বাকি কাজিনদের মতো কথা হতো না তাদের, হৈচৈ করে আড্ডা দেওয়া হতো না। কোন অনুষ্ঠানে বা একসাথে হলে তবেই যেন ভালো খারাপ জিজ্ঞেস করা হতো শুধু। কাজিন মহলে বাইরে কোথাও গেলে বাকি সবার মতো তাকেও নজরে নজরে রাখতো, দ্বায়িত্ব পালন করতো বড় ভাইয়ের। ব্যাস! এতটুকুই।
বরাবরের মতোই শান্ত প্রকৃতির মেয়ে রূপা, সেই সাথে তার বেড়ে ওঠা গ্রামে। কৈশোরে শহরের গন্ডীতে পা রাখলেও শৈশবের পুরোটাই কেটেছে গ্রামে। নানান বাঁধা বিধিনিষেধের মাধ্যমেই তার বেড়ে ওঠা, সেই সাথে মায়ের করা শাসন। পরিবারের আদরের ছোট মেয়ে হলেও শাসন’টাও ভালোবাসার মতোই পেত সে। কাজিন মহলের আড্ডায় মেতে উঠলেও উশৃক্ষল ছিলো না কোন কালেই। বাকিদের সাথে হাসি, মজায় মেতে থাকলেও তাসফির সাথে তার বিন্দু পরিমাণও ছিলো না। সবসময় পড়াশোনার মাঝেই ডুবে থাকতো তাসফি, গ্রামেও খুব কম আসা হতো। কথাবার্তা তেও গম্ভীর ভাবটা ফুটে উঠতো রূপার কাছে, সেই সাথে বড় ভাই মেনেই যেন চুপ করে যেত। তাদের মাঝে কথা হতো না বললেই চলে।
কিন্তু এর পরিবর্তন আসে গত দুই বছরে। রূপার প্রতি একটু আলাদা নজর রাখতে শুরু করে তাসফি, আগের তুলনায় একটু বেশি’ই যেন কথা বলতো তাসফি, সাথে থাকে তাসফির এক্সট্রা কেয়ার। আর সেটাও হয় রূপার জীবনের এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
তাসফি ভাইকে নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে, সারাটা জীবন একসাথে কাটানোর কথাটা যেন ভাবতেই পারছে না রূপা। তাছাড়া তাসফিও তো এই বিয়ে করতে চায় না। সমস্ত ভাবনা গুলো জেঁকে ধরতেই মাথা ধরে এলো রূপার। ধীরে সেই মাথা ব্যাথা বাড়লো বৈঠকি কমলো না। রিফাকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলো না রূপা। রিফাকে ছোট করে বললো,
“আমি এক্টু ঘুমাবো রিফাপু!”
বলেই বিছানায় গিয়ে গা এলিয়ে দিলো। সকালে হুট করেই তাসফির সাথে তার বিয়ের কথা ওঠার পর থেকেই মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত চিন্তার ফল। তারপর সারাদিন সেই একই কথা শুনতে হচ্ছে তাকে। তাসফির চলে যাবার কথা শোনার পর থেমে গিয়েছিলো তাদের বিয়ে বিষয়ক কথা গুলো, কিন্তু সেটা শুধুই তাসফির সামনে। রূপার কাছে ঠিকই মানানোর চেষ্টা করে চলেছে সবাই। এই তো, এখন রূপার চাচাতো বোন রিফা তাকে মানানোর চেষ্টায় আছে। পরিবারের সবার ধারণা একবার রূপা হ্যাঁ বললেই তাসফিও রাজি হয়ে যাবে এই বিয়েতে।
কিন্তু না…. এই বিয়েটা করতে পারবে না রূপা, তাসফি ভাইয়ের সাথে তাকে কথা বলতেই হবে এই বিষয়ে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই চোখ দু’টো বন্ধ করে নিলো রূপা। এতে যদি মাথা ব্যাথার এই তীব্র যন্ত্রণার উপসংহার ঘটে।
.
ঘন্টা খানিকের মতো চোখ বন্ধ করে, বালিশে মুখ গুঁজে পড়ে থাকলেও সেই মাথা ব্যাথার উপসংহার হলো না, আর না ধরা দিলো চোখে ঘুমের রেশ। পাশে তাকিয়ে দেখলো ঘুমিয়ে আছে রিফা। বালিশে ঘাপটি মে’রে শুয়ে থাকলেও রিফা যে অনেক আগেই শুয়ে পড়ছে, খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে সে। তবে রাত ঠিক কতটা, তা বুঝতে পারলো না।
তীব্র মাথা ব্যাথায় আর শুয়েও থাকতে পারলো রূপা। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। এক কাপ কড়া লিকারের আদা চা, আর পেটে কিছু পড়লেই এই মাথা ব্যাথার উপসংহার ঘটবে যেন। বিছানা ছেড়ে নেমে রুম ছেড়ে বেড়িয়ে এলো। বিশাল এই বাড়ির মাঝে মাঝে আলো জ্বলছে। ভয় পাবার কথা থাকলেও মোটেও ভয় পেল না রূপা। ষোলো বসন্ত পেরিয়েছে তার এই বাড়িতে, ছোট থেকে বড় হয়েছে, ভয় না পাওয়াটাই তো স্বাভাবিক।
গ্রামের বিশাল এই বাড়ি তার দাদাদের আমলের। যৌথ পরিবার হওয়ায় সবাই একসাথে এই বাড়িতে’ই কাটিয়েছে। সময়, স্থান, কালে এখন যে যার মতো বসতি স্থাপন করে ছেড়ে গেছে এই বাড়িটা। তবুও আসা হয় এখানে, একসাথে প্রতিটা অনুষ্ঠানে কাটাতে হয়। বাড়িটা বেশ পুরানো হলেও সময়ের প্রেক্ষিতে আধুনিকতায় ছেয়ে গেছে। দোতালা বাড়ির দো’তালায় সোজা বারান্দায় কোনাকুনি ভাবে রুমগুলো। একপাশে সিঁড়ি। নিচেও বেশ কয়েকটা রুম। সিঁড়ি ঘরের সামনেই সোজাসুজি ভাবে রান্নাঘর। রান্নাঘরের পুরোটাই দেখা যায় সিঁড়িঘর থেকে।
সিঁড়ির নিচ ধাপে এসে দাঁড়াতেই রান্নাঘর চোখে পড়লো রূপার। জিরো বাল্ব জ্বলছে রান্নাঘরে। আলোটা একটু বেশি হওয়ায় সবকিছুই স্পষ্ট ভাবেই তার নজরে আসছে যেন। আর বড় লাইট’টা জ্বালালো না রূপা। রান্নাঘরে ঢুকে চুলায় চায়ের জন্য গরম পানি বসিয়ে দিলো। পানিটা গরম হতে হতে ফ্রিজ খুলে এক টুকরো কেক নিয়ে মুখে পুরে দিলো সে। সকালের পর দুপুরে ও রাতে খাওয়া হয় নি তার। ইচ্ছে করেই কিছু খায় নি। সবার প্রতি যেন অভিমানে সিক্ত হয়ে উঠেছে তার মন।
চা টা প্রায় হয়েই এসেছে। এখন আদা দিয়েই নামিয়ে নিবে। কিন্তু সেটাই তো নিয়ে আসা হয় নি। আদা ‘টা নেবার জন্য পিছন ফিরে এলো রূপা। হঠাৎ সিঁড়ি ঘরে এক ছায়ামূর্তি তার নজরে এলো। মনের ভুল ভেবে ভাবনাটা ঝেড়ে ফেললো মাথা হতে। কিন্তু না, পায়ের ধাপ ফেলতেই আবারও দেখতে পেল সেই ছায়ামূর্তি, মুহুর্তেই সেটা গায়েবও হয়ে গেল। কয়েক সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও দেখতে পেল সেই ছায়ামূর্তি। তার দিকেই যেন এগিয়ে আসছে। সিঁড়ি ঘরে কোন আলো না থাকায় চেহারা দেখতে পেল না, কিন্তু স্পষ্ট বুঝতে পারলো। কিঞ্চিৎ ভয় পেল রূপা, শুঁকনো একটা ঢোক গিললো, তৎক্ষনাৎ একটু পিছিয়ে গেল। ধীর কণ্ঠে ‘ওখানে কে, কে?’ বলে উঠলো, কিন্তু ফিরতি কোন আওয়াজ এলো না। আরও একটুখানি পিছিয়ে এলো রূপা। ততক্ষণে তার গায়ের ওড়নার কোণা জ্বলন্ত চুলার উপরে পড়েছে, সেটা যেন বুঝতেই পারলো না। যতক্ষণে বুঝতে পারলো ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেল।
ওড়নায় আ’গুন লাগা দেখে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেললো রূপা, হাত লেগে চায়ের পাতিল ‘টাও ঝনঝন শব্দে মেঝেতে পড়ে গড়াগড়ি খেতে লাগলো। গরম চা রূপার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দখল করে নিলো মুহুর্তেই। মৃদু আর্তনাদে চিৎকার করে উঠলো রূপা, সাথে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।
কেউ একজন রান্নাঘরে ছুটে এলো মুহুর্তেই। রূপার গায়ের ওড়না’টা একটানে সরিয়ে নিচে ফেলে দিলো। অপর হাতে কাছে টেনে নিলো রূপা’কে, মেঝেতে ফেলে দেওয়া ওড়না’টা পা দিয়ে সমানে বারি দিতে লাগলো।
.
.
চলবে…..
#নীরবে_তুমি_রবে
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
[সূচনা পর্ব ]
.
.
নিয়ে এলাম তাসফি রূপা। গল্পটা খুব একটা বড় হবে না হয়তো। আপনাদের পছন্দ না হলে আরও তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলবো। একদিন পর পর দিবো। প্রথম পর্বে সকলের পাঠপ্রতিক্রিয়া জানতে চাই, পাঠন মূলক মন্তব্য চাই। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🖤