নুর পর্ব ৩+৪

#নূর💔
[#Dangerous_Lover_3]💔
Writer-Moon Hossain
[Shabnaj Hossain Moon]
Part-03
আগুনের হাত থেকে রক্ত পড়ছে। তাকে চেনা যাচ্ছে না।
একটি টেবিলে বসে আছে আগুন। মনে হচ্ছে সে কোন এটম বোমা। এখুনি ফাটবে। সবকিছু ছারখার করে দেবে।
কয়েকটি গাড়ির শব্দ হলো। সাইরেন বাজছে।
আগুনের কাছে আটটা সার্ভেন্ট দাড়িয়ে আছে। সবাই আগুনের সেবায় অনুগত। অনেক চেষ্টা করেও কেউ কাটা হাত ব্যান্ডেজ করাতে পারলো না তার। আগুন কে যেমন ভয় পায় সবাই ঠিক তেমনি তার বাবা কেও।
সার্ভেন্টরা ভাবছে কি জবাব দেবে বড় সাহেব কে ছোট সাহেবের ব্যাপারে।
.
বডিগার্ডরা একপাশে দাঁড়ালো সামনে পেছনের গাড়ি থেকে নেমে।
দুটো বডিগার্ড দরজা খুলে দিলো গাড়ির।
লোকটা নামতেই সবাই সুস্বাগত জানালো। হোটেলের মালিক বলল-
-Welcome sir!Please coming inside! How can i help you?
লোকটা হাত দিয়ে ইশারা করলো। লোকটার ম্যানেজার একটা চ্যাক দিলো। এমাউন্টের পরিমাণ এতো ছিলো যে বিশাল হোটেলের মালিকের গলার আওয়াজ ভেঙে গেলো।
হোটেলের মালিক ভাঙা গলায় বলল(অনুবাদ)- আমি নিজে ছোট সাহেব কে আপ্যায়ন করেছি। সেবায় ত্রুটি হলে হোটেল লক করে দেবেন। হোটল তো আপনার। আমি আপনার গোলাম।
.
টেবিলের একপাশে আগুন আরেক পাশে লোকটা বসে আছে।

তাদের মধ্যে যে কথা গুলো হলো সেগুলোর অনুবাদ – মাই সান, মাই লিটল কিং, শুধু তোমার দেশ-বিদেশে বায়ান্ন টা বাড়ি আছে । যেন তুমি যেখানে যাও হোটেলের ঝামেলায় না পড়। আরামে নিজের বাড়ি থাকতে পারও। দেশের সকল ভিজিট প্লেসে তোমার বাংলো আছে। তুমি কেন হোটেলে হোটেলে রাত কাটাও?
আগুন চোখ মেলে তাকালো নিজের বাবার দিকে।
-না আমি কৈফিয়ত চাচ্ছি না। শুধু তোমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি তুমি কে। একদিন আমার জায়গায় তোমাকে বসতে হবে। এসব ছোটখাটো ঝামেলা এড়িয়ে চলায় ভালো। এসব কি তোমার স্ট্যান্ডার্ডের সাথে যায়?
-Oh dad! তুমি কি বলতে চাচ্ছো? আমাকে কেউ অপমান করবে আর আমি তাকে ছেড়ে দেব? আমার মানসম্মান তোমার কাছে কিছু না? ঐ মেয়ে কে কেন তুমি নিয়ে গেলে?
-বাবা শান্ত হও! এসব করার সময় আছে। তুমি এখন অসুস্থ! হাত থেকে ব্লিডিং হচ্ছে। প্লিজ মাই লিটল কিং রিলাক্স।
আগুন টেবিলে কাটা হাত দিয়ে একটা ঘুষি মেরে বলল- আই কান্ট টলারেট এনি মোর। ঐ মেয়ে কে আমি চিবিয়ে খাব। তাহলে আমি শান্ত হব। ঐ মেয়েকে আমি আমার………..। পুরো কথা বলার আগেই আগুনের বাবা বলল- মেয়েটা সাধারণ কেউ নয়। তোমার সকল খোঁজ আমি প্রতি মিনিটে রাখি, তাই তোমার সাথে কাদের কখন কি হয় সেটারও খবর রাখি। ঐ মেয়েটা সাধারণ কেউ নয়।
বিষয়টি আমাদের দু’জনকে হ্যান্ডেল করতে হবে।
আগুন দাড়িয়ে কাঁচের দেয়ালে লাথি মেরে বলল- ঐ মেয়ে যে-কেউ হোক তাতে আমার কিছু যায় আসেনা।
ওর দেওয়া থাপ্পড়ের আওয়াজ আমাকে ঘুমুতে দেয়না। শান্তিতে থাকতে দেয়না। সব মেয়েরা আমার কাছে এক। ঐ মেয়েও তাই তুমি আমার কাছ থেকে আমার শিকার কেড়ে নিয়েছো কিন্তু সেটা কিছু সময়ের জন্য। তুমি কি করবে সেটা তোমার ব্যাপার। আমি আমার শিকার কে আমার করেই ছাড়ব। How dare she!!! বলে আগুন গর্জন করে উঠলো।
.
.
মোমকে একটা কালো গাড়ি স্বসম্মানে পৌঁছে দিলো হোস্টেলে। মোমের কিছু ক্লাসমেট আর রুম মেটরা তাকে পেয়ে যেন আত্মা ফিরে পেয়েছে। সবাই বার বার বলছিলো ক্যান্ডেলের কোন ক্ষতি করে নিতো কিং ফায়ার!
মোম বাথটাবে বসে আছে! ঘষে ঘষে গায়ের চামড়া তুলে ফেলার মতো সিচুয়েশন করেছে সে। না জানি বেগানা বাজে লোকটার হাত
কোথায় কোথায় স্পর্শ করেছে। আগুনও বাথটাবে বসে আছে। তাকে নতুন দুটো বিদেশি মেয়ে গিফট করা হয়েছে আমেরিকার। তারা আগুনকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। আগুন চোখ বন্ধ করলেই থাপ্পড়ের আওয়াজ শুনে শিউরে উঠে। মোম কে সে চিবিয়ে খাবে!
.আগুনের সাথে একটু আগে চোখে চোখে কথা হলো। মোম ক্লাসে যাচ্ছিল তখন একটা ছেলে ইশারা দিলো মোম কে।
মোম তাকাতেই ছেলেটা পেছনে ইশারা দিলো।
পেছনে তাকিয়ে মোম আগুন কে দেখতে পেলো।
আগুন হাতের দুটো আঙুল দিয়ে সানগ্লাস খুলে চোখে চোখে ইশারা করলো।
যার অর্থ -Watching you!
মোমের আজকাল দম বের হয়ে যাচ্ছে। নতুন থিওরী জমা দিতে হবে। সবচেয়ে সুন্দর থিওরী তার হতে হবে। প্রচুর খাটতে হচ্ছে তাকে।
আগুন কে এইকয়দিন তার মনেই পড়েনি। বিষয়টি বের হয়ে গেছে মাথা থেকে।
তবে আগুন কে কেউ ভার্সিটিতেও দেখতে পেলো না। ঝড় আসার যেমন পরিবেশ স্তব্ধ হয়ে যায় ঠিক তেমনি পরিবেশ চলছে আজকাল। এই ঘটনাটা যারা জানে তারা মোমের থেকে বেশি ভয়ে আছে। আগুনের ভয়ংকর রাগ অবগত ভার্সিটির স্টুডেন্টের। সবাই নিজ নিজ ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছে ক্যান্ডেল নামের ভীনদেশী অসম্ভব ভালো সরল সোজা মেয়েটির জন্য। কিং ফায়ার কখন কি করে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। He is very dangerous boy.
মোম লবিতে হঠাৎ বইপত্র নিয়ে দাড়িয়ে পড়লো।
আকাশের দিকে তাকাতেই ঠোঁটে হাসি ফুটলো।
রমজান মাস হলো পাপ মুক্তির মাস। বাংলাদেশে থাকলে পরিবারের সাথে আসছে রমজান মাস এবাদত বন্দেগি করে কাটিয়ে দিতো।
আর হাতে গুণা কয়েকটি দিন পর রমজানের চাঁদ আকাশে উঠবে। রমজানের এবং ঈদের চাঁদ দেখতে কখনো মিস করেনা মোম।
হজরত তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন একটি দোয়া পড়তেন?

দোয়াটি হলো-

اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله

উচ্চারণঃআল্লাহু আকবার,আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।

অর্থঃ আল্লাহ মহান!হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের জন্য নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের চাঁদ হিসেবে উপস্থাপন করো।যা তুমি ভালোবাস ও যাতে তুমি সন্তুষ্ট, এ মাসে আমাদেরকে তা করার তাওফিক দাও।(হে চাঁদ) আমাদের প্রতিপালক ও তোমার প্রতিপালক একই আল্লাহ।
(তিরমিজি ও দারেমী)
সেহেরি খাওয়া হলো রমজানের আরেক উৎসব।
ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে পরিবারের সাথে সেহেরি খাওয়ার কথা খুব মনে পড়ছে। কখনো কখনো মোম বিছানা থেকে উঠতো না। মোমের পরিবারের সদস্যরা তখন মগ ভর্তি পানি ঢেলে দিতেন মুখে। যে যে ঘুম থেকে না উঠবে তাদের সবার জন্য একই নিয়ম। রোজার নিয়ত হলো আরেক এবাদত।
রোজার নিয়তঃ
উচ্চারণ :
নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

ইফতারের সময় টুকুতে বেশ একটা উৎসবের মতো হয় মোমদের বাড়িতে।
বাড়ি ভর্তি মানুষ একসাথে বিকেলে ইফতার তৈরি করেন। ইফতারে শুকনো খাবার খাওয়া অতি উত্তম।
ছোলা ভাজা, ডালের বড়া,আলুর চপ, বেগুনি, নিমকি, পেঁয়াজু, জিলিপী, ইত্যাদি নানান মুখরোচক জিহ্বায় পানি আসা খাবার বাড়ির মায়েরা সারা বিকেল নিজ হাতে বানিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতো। ইফতারের ঘ্রাণে সারা বাড়ি সুগন্ধে মৌ মৌ করতো। দেশের রাস্তাঘাট, দোকানপাট, বাজার ইত্যাদি স্থলে ইফতারের ঘ্রাণে মোহিত হয়ে থাকে। খেজুর দিয়ে প্রথমে ইফতার করা হতো। এবং নানান রকম শরবত বানানো হতো। মোম শরবত এবং খেজুর জিলিপী খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলতো। অতিরিক্ত শরবত খাওয়ার ফলে ভীষণ রকম পেট ব্যথায় তাকে ভুগতে হতো।
ইফতারের দোয়াঃ

اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।
মোমের সেই দিনগুলি খুব মনে করছে। এই রমজানে পরিবার ছাড়া এই দেশে সিয়াম সাধনার মাস পালন করতে হবে। মায়ের হাতের সেই মুখরোচক খাবার আর খাওয়া যাবেনা ইফতারে। হয়ত এখানে অতি দামী ইফতার খাওয়া হবে তবুও কোনোটা বাড়ির মায়েদের ইফতারের মতো সুস্বাদু হবে না। সেই ইফতারের মনভরা ঘ্রানও পাওয়া হবেনা।
পেছনে ফিরতেই আগুন কে দেখতে পেলো মোম।
মোম কিছু না ভেবে আগুনের সামনে দিয়ে নিজ গন্তব্যে যেতে লাগলো।
আগুন দুটি সোনালী চুলের মেয়ের সাথে ঘেঁষে ঘেঁষে হাঁটছে। আজকের মেয়ে দুটো নতুন।বোধহয় নতুন গার্লফ্রেন্ড। আগের মেয়ে দুটো কোথায় রেখেছে তা জানতে মোমের মন আগ্রহী হলো। নির্ঘাত আগের মেয়ে দু’টিকে কাজের মেয়ে হিসেবে রেখে দিয়েছে। পুরোনো হয়ে যাওয়া মেয়েদের নিশ্চয়ই এই পরিনতি হয়। আগুন যে রাস্তা দিয়ে যায় সেই রাস্তায় কেউ থাকেনা। সবাই একপাশে জড়ো হয়ে অপেক্ষা করে আগুনের হাঁটার সময়।
দূর থেকে মেয়েরা সেলফি নিচ্ছে। আগুনের চোখে এগারো হাজার পাউন্ডের একটি সানগ্লাস। ইংল্যান্ডের এক পাউন্ড বাংলাদেশের একশত এগারো টাকা প্রায়।ওখানে টাকা কে পাউন্ড বলা হয় লোকাল। মোম কোন দিকে না তাকিয়ে আগুনের পাশ কেটে হেঁটে গেলো।
মোম যেতেই আগুন সানগ্লাস খুলে কয়েক পা পিছিয়ে মোমের পথ আটকালো।
আগুন মোম কে একটু দেখলো। পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো আবরণ দিয়ে ঢাকা।এক ইঞ্চিও দেখার সুযোগ নেই। শুধু চোখ দুটো আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে।
আগুন তার সোনালী চুলে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে মোমের চারপাশে ঘুরছে। মোম একটু ঢোক গিলে বোরখা হিজাব ঠিক আছে কিনা দেখলো।
মোম বলল-What happened?
আগুন সানগ্লাস পড়ে নিলো।

-What’s the matter?
-I tell you something
-But i cannot talk to you.
-Oh! Really?
-Yes, because i am very very busy now. Bye bye.
-Listen, i need talk to you.
মোম এটা কি করছে? কিং ফায়ারের সাথে কথা বলার জন্য সবাই পাগল। আর মোম কিনা বলছে সে কথা বলতে চায়না, বিজি আছে। বিধায় জানাচ্ছে। আগুন মোমের হাত খুব শক্ত করে ধরে একটানে নিজের কাছাকাছি নিয়ে এলো।
-How dare you? Don’t touch me. Leave me.
-Stop it. Don’t Shout.
-বাজে লোক ছাড় আমাকে। নইলে আবার থাপ্পড় খাবি। যেটা বাকি আছে সেটাতে।
আগুন কিছু বুঝলো না বাংলায়। মোমের কপাল ভালো আগুম বাংলা জানেনা না। নয়ত থাপ্পড়ের কথা শুনলে আজ তাকে আস্তো খেয়ে ফেলতো আগুন।
-What are you talking nonsenses? Tell me English?
-ধূর ধূর, এসবের মধ্যে কি আর ইংরেজি মনে থাকে! বাংলায় মনে থাকেনা আবার ইংরেজি।উফফ, তুই তো আবার বাংলা বুঝিস না সাদা চামড়া সোনালী চুল ওয়ালা বাজে লোক। You are a bad boy. Leave my hand?
আগুন এবার একটু হাসলো। তার ফর্সা গালে টোল পড়ে যায় হাসলে।
-Yes i am a bad boy!
মোমের কানে কানে বলল-I am very very very bad boy. Ha ha ha ha!
মোম একটু ঢোক গিলে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলো।
আগুন হঠাৎ অন্য হাতও ধরে ফেললো। মোমের দুই হাত সে একসাথে এক হাতের মুঠোয় নিয়েছে। অন্য হাতটা পকেটে।
-Are you afraid me?
-No. Just leave my hand?
আগুন হাসছে। মোম খুব চেষ্টা করতে লাগলো ছাড়ানোর। আসলে সে একটুও ভয় পেয়ে হাত ছাড়াতে চাচ্ছে না।
তাকে তৃতীয় বার কোন বেগানা পুরুষ স্পর্শ করেছে আজ। ২য় স্পর্শ টা অবশ্য আগুন-ই করেছিলো কিডন্যাপের সময়। আর আর প্রথমটা স্কুলের স্যার।
এতোক্ষণে ভীড় জমে যেত প্রকাশ্যে বাংলাদেশে একটা ছেলে একটা মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করলে।
এখানে এর থেকেও আরও কিছু পানিভাত।
তবে দূর থেকে অনেকে জড়ো হয়ে দেখছে আগুনের কান্ড। কারও কিছু বলার সাহস নেই। সবাই আগুনকে চেনে। তার রাগ, জেদ সম্পর্কে অবগত। সে প্রকাশ্যে বড় কিছুও মোমের সাথে করলে কেউ এগিয়ে আসবেনা। শুধু দূর থেকে ভীনদেশী মেয়ের জন্য দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলবে।
এরপর আগুন আর মোমের মধ্যে যা কথা হলো তার অনুবাদ -দেখ মেয়ে, তুমি ছোট অবুঝ মেয়ে। তোমাকে আমি কাঁচা বা পাঁকা চিবিয়ে খেয়ে ফেললেও কেউ কিছু বলবে না। তোমার দেশের লোক তোমার খোঁজও পাবে না। যদি আমার গায়ের যন্ত্রণা এটা করলে মিটে যেত তাহলে তুমি এখন ডানা মেলে ঘুরতে না। কবেই তোমার ডানা কেটে নিতাম৷ তুমি বেঁচে যতদিন থাকবে ততদিন তোমাকে কষ্ট দেব।
মোম এবার আগুনের চোখের দিকে তাকালো।
আগুন এক পা এগিয়ে মোমের কানে কানে বলল- অসহায় অবলাদের সাথে আমার স্ট্যাটাস মেলে না। তাদের আমি মানুষ মনে করিনা। তাদের জন্য একটাই নীতি । সেটা দয়া।
তোমাকে দয়া করেছি আমি।
মোম তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। কিছু বলার আগেই আগুন আঙুল দিয়ে হুঁশশ বলল।
-শোন মেয়ে, তোমার মতো মেয়ে আমার সামনে দাঁড়ানোর যোগ্যতা রাখে না। আমার স্পর্শ দূরে থাক আমার বেডে যাওয়ারও যোগ্যতা নেই তোমার! তোমার সৌভাগ্য তোমাকে আমি স্পর্শ করেছি।
মোমের শরীরে মনে হচ্ছে কেউ আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে আর সে জলন্ত আগুনে ঠিক মোমের মতো গলে যাচ্ছে। মহান আল্লাহ তায়ালা! মহানা আল্লাহ তায়ালা! মনে মনে এটাই উচ্চারণ হচ্ছে তার।
আগুন আরও শক্ত করে মোমের হাত ধরলো।
মোম যেন ব্যথা পেয়ে আওয়াজ করে। এবং ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি মিনতি করপ। তবে যদি তার অগ্নি লাভা সমুদ্র সমান অপমানে এক ফোঁটা শান্তি মেলে।
আশ্চর্য! মোম আহ! করে উঠলো না। এবং হাত ছাড়ানোর জন্যও চেষ্টা করছে না।
আগুন এতে একটু হেসে বলল-I am impressed ! তোমার এটিটিউট দেখে আমি ইমপ্রেস হলাম।
এটিটিউট এটিটিউটের সাথেই আসল মজা! কি বলো?
মোম অন্যদিকে তাকালো।
আগুন বলল- আসল কথায় আসি। তোমার উপর দয়া দেখাচ্ছি। তোমার আমার উপর কৃতজ্ঞ থাকবে আশা করি।
মোম কাটা কাটা ভাবে বলল- আমি আপনার কি সেবা করতে পারি মিঃ কিং? যাতে করে আপনি আমার উপর দয়া করতে পারেন। আমার অপরাধ ক্ষমা করতে পারেন এমন কি সেবা করব?
-হা! হা! হা!। ইউ আর ভেরি ক্লেভার গার্ল।
না বলতেই বুঝে নিলে। আই এম ইমপ্রেসড!
মোমের হাত ছেড়ে দিয়ে সানগ্লাস খুলে আগুন বলল- তিন দিন পর ভার্সিটির ফেস্টিভ্যাল। অনেক লোকজন আসবে, দেশী, বিদেশি। তুমি আমার পা ধরে মাফ চাইবে খুব সিম্পল। তাহলে তোমাকে দয়া করার কথা ভাবব।
জানো মেয়ে, আবার শরীরে আবার দয়ামায়া কিছু নেই!
মোম একদম স্বাভাবিক!
-তোমাকে স্বাভাবিক দেখে আমি ইমপ্রেসড আবারও। উফফ কি এটিটিউট তোমার! পাগল হয়ে যাচ্ছি তোমার এটিটিউটে। তুমি নিশ্চয়ই তোমার দেশের ছেলেদের কে পাগল বানিয়েছো।
হা! হা! হা!।
মোম ঘড়ি দেখলো।
ক্লাসের সময় চলে গেছে। এখন নেক্সট ক্লাস শুরু হবে।
ক্লাসটা এটেন্ড করা খুব আর্জেন্ট।
-আমি কি যেতে পারি?
– আমার পায়ে ধরে মাফ চাওয়ার জন্য তৈরি হতে অবশ্যই যেতে পারও। তবে আরও কিছু কথা বাকি।
আগুন মোমের কাছে এসে কানে কানে বলল- আমার পায়ে ধরে মাফ চাওয়ার পর এই দেশীয় নিয়মের মতো আমাকে জরিয়ে ধরবে এবং তুমি আমার গালে এবং আমি তোমার গালে চুমু খেতে দেবে। নিজ উদ্যোগে তুমি এই নিয়ম গুলো করবে।
কি ভয় পেলে? আই লাইক ইট।উফফ, এই দেশে থাকবে, পড়বে, আইনস্টাইন হবে আর এদেশের নিয়ম নীতি মানবে না। তাতো হয়না বেঙ্গালি গার্লস!
আরে বাবা অবলা মেয়েরা ভয় পাওয়ার মাঝেই তো তাদের আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠে। রিয়েলি!

মোম এবার একটু ভালো করে আগুন কে দেখলো। ছেলেটা বেশ স্মার্ট! লাভার বয়, প্লে বয় হিসেবে একদম পার ফ্যাক্ট।
মোম যেতে নিলে আগুন আবার তার হাত ধরে কানে কানে বলল- যদি উৎসবে আমার কথার হেরফের করো তবে তোমার প্রাণ এবং সম্মানে আঘাত পেলে সেটার দ্বায় কিং ফায়ারের নয়। মাইন্ড ইট।
আগুন চলে গেলো তার গার্ডস নিয়ে। যাওয়ার আগে একটা ফ্লায়িং কিস দিয়ে গেলো মোম কে। মোমের সামনে সকল স্টুডেন্টরা ঘিরে বসেছে। সবার চোখেমুখে আতংক উৎসবের দিন কি হবে।
মোম নেকাব খুলে বাঙালি হোটেল থেকে ভাত, ডাল, গোশত, ভর্তা আনিয়ে খাচ্ছে! তার সামনে মহা টেনশন, সামনে রোজা! রোজায় এবাদতেে মশগুল হতে হবে অন্য সময়ের থেকেও বেশি। ক্লাসে থাকলে সে কিভাবে তা পালন করবে? তাছাড়া রোজা রেখে থিওরী সাজাতে গেলে সে হলে ফিড হয়ে পড়ে যেতে পারে। স্কুল কলেজে রোজা রেখে পরিক্ষা দিয়ে ফিড হয়ে যাওয়ার রেকর্ড করেছে সে৷ সবগুলো রোজা এবাদত সহকারে কিভাবে পালন করা যায় সেটাই তার টেনশন! এক ঘন্টা পর পর আগুনের লোকেরা মোমের কাছে চিরকুট পাঠাচ্ছে কতোটা সময় আছে উৎসবের সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য! মোম একদম স্বাভাবিক! তার মহা চিন্তা রোজা নিয়ে।
মোমের মহা চিন্তা ডেঞ্জার কিং ফায়ারের জায়গায় রোজা নিয়ে দেখে অক্সফোর্ডের স্টুডেন্টরা হতভম্ব!!!
[#Dangerous_Lover_3]💔
Writer-Moon Hossain
[Shabnaj Hossain Moon]
Part-04
আগুন বাথটাবে বসে শাওয়ার নিচ্ছে। প্রায় চার ঘন্টা হলো। গরম মাথাটা হালকা ঠান্ডা হয়েছে। শাওয়ার থেলে টুপটুপ পানি পড়ছে মাথায়, মাথা থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি সারা গায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।
কালো চুলের জাপানি মেয়েটা বলল-আর কতক্ষণ বসে থাকবে হানি? শরীর খারাপ করবে।
-যতক্ষণ না সময় হচ্ছে ঐ মেয়েটা কে পায়ের কাছে এনে ফেলতে ততক্ষণ বাথটাব থেকে উঠতে মন চাচ্ছে না।
মেয়েটা বাথটাবের পাশে একটু আগুনের গা ঘেঁষে বসলো। আগুনের মোলায়েম চুলে হাত রেখে একটা ড্রিংকের গ্লাস মুখের সামনে ধরলো! আগুন একটু একটু করে চুমুক দিচ্ছে আর বাথটাবের পানির দিকে চেয়ে থাকে। পানিতে দেখা যাচ্ছে মোম কে। বোরখা পড়া মেয়েটার ছায়া বাথটাবে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আগুন যেদিকে তাকায় সেদিকে মোমের ছায়া দেখতে পায়! প্রথম দেখা থেকেই এই সিচুয়েশন! আশ্চর্য বিষয়!
.
.
মলের চারপাশে ইংল্যান্ডের মডেলদের ফটো বিশাল বিশাল। আগুনের কয়েকটা ফটো দেখে মোম অবাক হলো। অক্সফোর্ডের কিং ফায়ার তাহলে ইংল্যান্ডের একজন বিখ্যাত মডেল।
ফরাসি খৃস্টান মেয়েটা বলল – ক্যান্ডেল লুক এট দিজ ড্রেস। ওয়ান্ডারফুল!
-ওয়াও! ইটস সো বিউটিফুল।
মলে খুব সুন্দর লং গ্রাউন দেখে মোমদের চোখ আটকে গেলো।
সবার নজর গ্রাউনটার দিকে।
কাশ্মীরের মুসলিম কাশফিয়া মেয়েটা বলল- মোম কাপড়টা দেখ, কি সফট। আই লাভ ইট। কাপড়টা মোটা। রং টাও চমৎকার! জানা গেলো এই একটা-ই গ্রাউন এসেছে মলে। যা সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ! গ্রাউনের জরি গুলো আসল ডায়মন্ড।গ্রাউন না ছেঁড়া পর্যন্ত ধূলোময়লা লাগবে না। কাপড় এতোটা-ই সফট যে এটা গায়ে দিলে নিজের মনে হবে কোন কাপড় পড়া হয়নি।একদম গায়ের সাথে লেপ্টে থাকবে। অথচ বোঝা যাবেনা।
মোম আর কাশফিয়া একটু ঢোক গিললো।
মোম বলল- এমন ভয়ংকর সুন্দর ড্রেস আগে কখনো দেখিনি। জরি গুলো কি সুন্দর।
কাশফিয়াও মাথা নাড়ালো।
ক্যারেলের মন খারাপ হলো। সে ফরাসীর মিডল ক্লাস ফ্যামিলি। সামর্থ্য নেই ড্রেসটা কেনার। তার দৃষ্টি আটকে আছে গ্রাউনে।
.

মোম আর কাশফিয়া দুজন মিলে ঠিক করলো এটা তাদের রুমমেট ক্যারেল কে গিফট করবে। ক্যারেল শোনা মাত্রই দু-জন কে জরিয়ে ধরলো।
বিপত্তি ঘটলো তখন যখন মোমরা পেমেন্ট করে গ্রাউন কালেক্ট করতে গেলো।
.
.
মোম দেখলো আগুন আসতেই মল গুলোর স্টল বন্ধ হতে লাগলো। এবং দিনের বেলায় সকল কাস্টমার চলে যাচ্ছে একে একে।
সকল কারসাজি তাহলে কিং ফায়ারের।
তার বডিগার্ডসরা একটু দূরে।
গ্রাউনটা যে স্টলের সেখানকার মালিক এসে আগুনের পায়ে হাত রেখে মাথা ঝুঁকে বলল- স্যার আসুন, আসুন, আপনি পায়ের ধূলা দিয়ে ধন্য করেছেন আমাদের। আমার কি সৌভাগ্য। বাড়ি গিয়ে ওয়াইফ কে আপনার গল্প শোনাব।
তিনি আপনার খুব বড় ফ্যান। আপনার মতো মডেল একবার-ই জন্মে।
কি খাবেন স্যার? ড্রিংকস অর্ডার করি?
.
.
আগুন হাত দিয়ে ইশারা করলো মোমের দিকে তাকিয়ে।
মালিক আবারও বলল- কি নেবেন স্যার? আপনার গার্লফ্রেন্ডেসদের কোন কোন কালারে মানাবে? যা ইচ্ছে নিন, দোকান আপনার।
আগুন জোরো বলল-স্টপ ইট।
গার্ডসা এসে মালিক কে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলো সামনে থেকে।
পুরো মল খালি।
শুধু আগুন আর মোম।
মোমের বান্ধবীরা গার্ডসের সাথে একটু দূরে আছে।
তাদের দু’জনের হাতে জুসের গ্লাস দেওয়া হয়েছে। দু-জন ভয়ে আটখানা।
.
.

গ্রাউনে হাত দিতেই আগুন সেটা কে ছোঁ মেরে নিজের কাছে নিয়ে গেলো।
আগুন গ্রাউনে মুখ নিয়ে গন্ধ শুঁকলো মোমের দিকে চেয়ে।
তারপর সে হঠাৎ মোমের দিকে ঝুঁকে জোরে একটা নিশ্বাস নিলো।
নাক টেনে বলল(অনুবাদ)- তোমার গায়ের গন্ধ এই ডায়মন্ডের গ্রাউন থেকেও বেশি সুগন্ধি!আই লাইক ইট।
এটা কিভাবে সম্ভব বলো তো? তোমার পরনের কালো ড্রেসটায় কি সুগন্ধির কারণ নাকি তোমার গায়ের সুগন্ধি এতোটা প্রবল যে গা ছাড়িয়ে ড্রেসে লেগে ড্রেসটাও সুগন্ধি হয়েছে? কি মাখো গায়ে? কোন ব্রান্ডের পারফিউম?
মোম একটু সরে গিয়ে বলল- দিজ ইজ মাই ড্রেস! গিভ মি নাও?
-বলো না কোন ব্রান্ডেের? জানো আমার কোন গার্লফ্রেন্ডেসদের গায়ে আজ পর্যন্ত এমন মন মাতানো সুগন্ধ পাইনি আজপর্যন্ত।
মোম অন্যদিকে তাকালো। মুখে আবরণের কারণে বোঝা যাচ্ছে না আগুন এবং তার কাটাকাটা কথা গুলোর কি প্রভাব পড়ছে তার উপর।
.
.

আগুন ড্রেসটা গলায় ঝুলিয়ে নিলো। যেন মোম কি বলছে সেটা সে শোনেনি।
মোম শান্ত ভাবে বলল- গিভ মি?
আগুনও শান্ত ভাবে বলল- টেল মি? পারফিউমের ব্রান্ডের নাম ?
মোম অন্যদিকে তাকিয়ে বলল- আমি কোন পারফিউম ব্যবহার করিনা।
আগুন ওপস বলে একটা আওয়াজ করে খিলখিল করে হেসে মোমের কানে কানে বলল- জানতাম। তোমার উওর এটাই হবে।
আজ পর্যন্ত কোন গার্লসফ্রেন্ডের গায়ে এমন মন মাতানো, নেশা ধরানো অর্জিনাল গায়ের সুগন্ধি পাইনি।
মোম আগুনের দিকে তাকালো।
-আরে বাবা সত্যি বলছি।
উফফ খুব রাগ লাগছে কথা শুনে? মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খেতে চাচ্ছো? হা! হা!হা!।
আগুনের গায়ে ব্ল্যাক ড্রেস। মোমের গায়েও ব্ল্যাক বোরখা।
আগুন মোমের চারদিকে একটু ঘুরছে। কাশফিয়া আর ক্যারল ভয়ে নীল হয়ে গেলো। মোমের জন্য তাদের টেনশন হচ্ছে!

আগুনের এক হাতে ড্রিংকসের বোতল! সে বোতল পুরোটা একেবারে শেষ করলো মোমের দিকে চেয়ে।
-সেম ড্রেস!
মোম জানে এসব ছেলেদের সাথে কথা বলা-ই বৃথা।
শুধু শুধু নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা হবে কিং ফায়ারের সাথে লাগতে গেলে।
আগুন হঠাৎ মোমের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলল- মলটা খালি করেছি কেন জানো? একটু ভাব বুঝতে পারবে।
কি বুঝেছো কিছু?
মোম একদম চুপ।
আচমকা আগুন মোমের একদম কাছে এসে পড়লো এক ইঞ্চি দূরত্ব রেখে। মোম এক পা পিছিয়ে পড়লো।
আগুন হেসে বলল- একটা বিশেষ কারণ আছে। জানো সেটা কি?
মোম একটু নার্ভাস হলো কেউ এতো কাছে আসাতে।
ওর লাইফে একমাত্র আগুন বার বার ওর এতো কাছে আসে আর কানে কানে ফিসফিস করে ভয়ংকর কিছু কথা বলে।
আগুন একটা হাত মোমের দিকে বাড়ালো। মোম নিজের পর্দার কথা ভেবে একটু নার্ভাস হচ্ছে। মোমের ক্রমশ হার্টবিট বাড়ছে। কি করতে চায় লোকটা! মল জনশূন্য হওয়ার মানে কি! আগুন গলার স্বর নরম করে বলল- জনশূন্য স্থানে মানুষ কি করে জানো না বুঝি?
ঠিক আছে আমি-ই আজ জানিয়ে, বুঝিয়ে, শিখিয়ে দিচ্ছি। আগুন মোমের দিকে হাত বাড়িতেই মোম অন্যদিকে মুখ তুলে তাকালো।
আগুন হা! হা! করে জন্মের হাসি দিলো।
-ভয় পেলে নাকি? তোমার মুখ না দেখে অবশ্য বোঝার উপায় নেই কতটা ভয় পেয়েছো। মেয়েদের ভয় পাওয়া উচিৎ ছেলেদের এটাই তোমাকে বোঝাতে চাচ্ছি। মেয়েদের উচিৎ মেয়ে হয়ে থাকা।
মোম স্বাভাবিক গলায় বলল- আমি কি যেতে পারি? ড্রেসটা দিন।
-ড্রেসটা তোমার? হা!হা!হা!।
তুমি ড্রেস পড় হা! হা!হা!।
এটা আবার কেমন কথা! মোম ড্রেস পড়েনা মানে কি?
-তোমাকে তো আজ পর্যন্ত এই কালো ড্রেস ছাড়া তো কিছুই পড়তে দেখিনি। আর তুমি কিনা পড়বে গ্রাউন?
বাদরের গলায় মুক্তোর মালা।
মোমের অসহ্য লাগছে। লেট হচ্ছে। হোস্টেলে ফিরতে হবে। থিওরীর কিছু কাজ আছে। তার কাছে আগুনের কথা গুলো নেহাত বকবক।
মোম আগুনের কোন কথার উওর দিতে প্রয়োজন বোধ করেনা। তবুও কেন যেন বলল,
-ওটা আমার এক বান্ধবীকে গিফট করেছি।
– তাই বলো।
তোমার মতো ওল্ড মডেল মেয়ে পড়বে ডায়মন্ডের ড্রেস।
আগুন যেটা করলো সেটার জন্য মোম মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।
গ্রাউন টা ফ্লোরে ছূরে মেরে জুতো দিয়ে কয়েকবার ঘষে দিলো।
-আমার একটা বিজ্ঞাপনে এরকম একটা সিন আছে। তাই প্রেকটিস করছি।
মোম ড্রেসটা তুলতে যাবে অমনি আগুন ড্রিংকস ঢেলে দিলো ড্রেসে। তারপর ড্রেসটা লাইটারের সামনে ধরলো।
মোমের সামনে ড্রেসটা পুড়ে যাচ্ছে।
মোম ভাবছে সুন্দর দুনিয়াতে এতোটা বাজে মনের মানসিকতা কিভাবে হয়!
-কি খুব রাগ লাগছে? আমারও লেগে ছিলো।
আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছো তুমি। তোমার ঘুমও কেড়ে নেব।তোমাকে আমার অপমানের হিসেব দিতেই হবে। একান্তে এই জনশূন্য মলে আমার প্রতিশোধ পূর্ণ হবেনা। আমি তৃপ্ত হবো না।
তোমার উপর আমার নজর থাকবে সব সময়।
মোম চলে যেতে নিলে আগুন পেছন থেকে বলল- নতুন জুতো নেব মল থেকে। ময়লা জুতো তোমাকে টাচ করতে হবেনা। মোম তাকাতেই একটা ফ্লাইং কিস ছূরে মারলো।
মোম সেটা হাত দিয়ে ধরেছে এমন ভাব করলো অতঃপর সেটা নিচে ফেলে পা দিয়ে কয়েকবার ঘষে দিলো এমন ভাবও করলো। যেমনটা আগুন ড্রেসটার সাথে করেছিলো।
.
আগুন মোমের এটিটিউট দেখে আবারও ইমপ্রেস হলো। এই না হলে টক্কর! সমান সমান টক্করে আসল মজা।
.
.
কাশফিয়া আর ক্যারেলের একশত তিন ডিগ্রি জ্বর।মলে কিং ফায়ারের কান্ড দেখার পর থেকেই এই সিচুয়েশন। দু-জন একসাথে শুয়ে কাঁপছে আর আবল তাবল বকছে। তাদের চিন্তা হচ্ছে ভার্সিটির নবীন বরণ উৎসবের দিন কি হবে। মোম কে কোথাও লুকিয়ে অথবা পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলো।
মোম একদম স্বাভাবিক!
মোম দু’জনকে খাইয়ে দিয়ে গা মুছিয়ে দিলো। সারা রাত জেগে সেবা করলো। মোম কখনো অমুসলিম বলে ক্যারলকে কাশফিয়ার থেকে আলাদা করে দেখেনা। এমনকি সে তার ক্লাসমেট কিংবা হোস্টেলের কোন অমুসলিম কে অবজ্ঞা করেনা। তুখোর শিক্ষার্থী হিসেবে মোমের এরমধ্যে ক্লাসে সুনাম ছড়িয়েছে। তার কাছে সবাই আসো টিউশন নিতে, মুসলিম অমুসলিম সবাইকে সে সাহায্য করে। এই গতকালই ভারত থেকে আসা একদল স্টুডেন্টরা টেস্টের ফী দিতে পাচ্ছিলো না। মোম লুকিয়ে সবার রেজিষ্ট্রেশন জেনে ফী দিয়ে এলো।কর্তৃপক্ষ বিষয়টা তহবিল হিসেবে ধরেছে। মোম লুকিয়ে নিজেই একটা তহবিল গঠন করেছে সকল মুসলিম অমুসলিম দের জন্য যেন তারা মোমের কাছে এবং সবার কাছে সরাসরি ফী এর জন্য লজ্জিত বোধ না করে। এখনো কেউ জানেনা কে লুকিয়ে সাহায্য করেছে।
মোম সবাই কে সব সময় বলে-
সমাজবদ্ধভাবে জীবনযাপন করতে গিয়ে নানা শ্রেণির নানা পেশার নানা মত ও পথের মানুষের মুখোমুখি হতে হয়। মুখোমুখি হতে হয় অমুসলিমদেরও। লেনদেন ওঠাবসা চলাফেরা সাহায্য-সহযোগিতা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে একজন মুসলমান ও একজন অমুসলমানের সাক্ষাৎ হতে পারে। কোনো মুসলিমপ্রধান দেশে অমুসলিমদের বসবাস কিংবা কোনো অমুসলিমপ্রধান দেশে মুসলমানদের বসবাস এখন বিচিত্র কিছু নয়। অমুসলিম ব্যক্তি হতে পারে কোনো মুসলমানের প্রতিবেশী। কোনো অমুসলিম যদি পুরনো ধর্ম ছেড়ে ইসলামের শীতল ছায়ায় আশ্রয় নেয়, তাহলে তো আরও অনেক অমুসলিমের সাথে তার আত্মীয়তার সম্পর্কও থাকবে। বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে যেভাবে দলে দলে অমুসলিম ইসলামের ছায়াতলে আসছে, তাতে এ বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক।

ইসলামে অমুসলিমদের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধের বিধানও দেয়া হয়েছে- এ কথা ঠিক, তবে এও অনস্বীকার্য যে, যুদ্ধের ময়দানের বাইরে তাদের নিরাপত্তাদান, তাদের সাথে সৌজন্য বজায় রেখে উত্তম আচরণের কথাও বলা হয়েছে। এমনকি যুদ্ধের মাঠেও যেন অমানবিক আচরণ করা না হয়, যারা যুদ্ধে অংশ নেয়নি তাদেরকে, বিশেষত নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর যেন হামলা করা না হয়- এ আদেশও দেয়া হয়েছে।

যদি কারও কোনো প্রতিবেশী কিংবা কোনো আত্মীয় অমুসলিম হয়, ইসলামের নির্দেশনা হল- তার সাথেও প্রতিবেশী বা আত্মীয়ের হক রক্ষা করে চলতে হবে। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ দুটি সম্পর্ক রক্ষা করার ওপর যথেষ্ট জোর দেয়া হয়েছে।

সাহাবী হযরত মুআয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, একজন প্রতিবেশীর ওপর আরেকজন প্রতিবেশীর কী হক রয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন,

إِنِ اسْتَقْرَضَكَ أَقْرَضْتَهُ وَإِنِ اسْتَعَانَكَ أَعَنْتَهُ وَإِنْ مَرِضَ عُدْتَهُ وَإِنِ احْتَاجَ أَعْطَيْتَهُ وَإِنِ افْتَقَرَ عُدْتَ عَلَيْهِ وَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ هَنَّيْتَهُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ مُصِيبَةٌ عَزَّيْتَهُ وَإِذَا مَاتَ اتَّبَعَتَ جَنَازَتَهُ وَلَا تَسْتَطِيلُ عَلَيْهِ بِالْبِنَاءِ فَتَحْجُبَ عَنْهُ الرِّيحَ إِلَّا بِإِذْنِهِ وَلَا تُؤْذِيهِ بِرِيحِ قِدْرِكَ إِلَّا أَنْ تَغْرِفَ لَهُ وَإِنِ اشْتَرَيْتَ فَاكِهَةً فَأَهْدِ لَهُ …

‘যদি সে তোমার কাছে ঋণ চায় তাহলে ঋণ দেবে, যদি তোমার সহযোগিতা চায় তাহলে তাকে সহযোগিতা করবে, যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার খোঁজখবর নেবে, তার কোনোকিছুর প্রয়োজন হলে তাকে তা দেবে, সে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়লে তার খোঁজখবর নেবে, যখন সে ভালো কিছু লাভ করবে তখন তাকে শুভেচ্ছা জানাবে, যদি সে বিপদে পড়ে তাহলে সান্ত্বনা দেবে, মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায় শরিক হবে, তার অনুমতি ছাড়া তোমার ঘর এত উঁচু করবে না যে তার ঘরে বাতাস ঢুকতে পারে না, কোনো ভালো খাবার রান্না করলে তাকে এর ঘ্রাণ ছড়িয়ে কষ্ট দেবে না, তবে যদি তার ঘরেও সে খাবার থেকে কিছু পৌঁছে দাও। যখন কোনো ফল কিনে তোমার বাড়িতে নেবে তখন হাদিয়াস্বরূপ তাকে সেখান থেকে কিছু দেবে। [খারায়েতী, তবারানী, আবুশ শায়খ- ফাতহুল বারী[2], খ. ১০, পৃ. ৫১৯, কিতাবুল আদব, বাব-৩১]

আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার বিষয়ে নির্দেশনা তো আরও স্পষ্ট। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে আল্লাহ ও পরকালে ঈমান এনেছে সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে। -সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬১৩৮

প্রতিবেশী ও আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলার এই যে নির্দেশনা, তাতে মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। এমনটি বলা হয়নি- তোমার প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয় যদি মুসলমান হয়, ধার্মিক হয়, ভালো মানুষ হয়, তাহলে তার সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলবে। বরং প্রতিবেশী ও আত্মীয় যেমনই হোক, মুসলমান হোক কিংবা না হোক, তার অধিকার অকাট্য ও অনস্বীকার্য। একজন মুসলমানকে এ অধিকার রক্ষা করেই জীবনযাপন করতে হবে।

পবিত্র কুরআন ও হাদীসের কিছু নির্দেশনা এমনও রয়েছে, যেখানে সুস্পষ্ট ভাষায় অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও সম্পর্ক রক্ষা করতে বলা হয়েছে। যেমন, সূরা আনকাবুতের ভাষ্য-

وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْنًا وَإِنْ جَاهَدَاكَ لِتُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا

আমি মানুষকে বাবা-মায়ের সাথে সুন্দর আচরণের আদেশ করেছি। তবে তারা যদি তোমার উপর বল প্রয়োগ করে আমার সঙ্গে এমন কিছু শরিক করতে, যে সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তাদের কথা মানবে না। -সূরা আনকাবুত, আয়াত : ৮

সূরা লুকমানে একই প্রসঙ্গে আরো বলা হয়েছে,

وَإِنْ جَاهَدَاكَ عَلى أَنْ تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ.

তারা যদি এমন কাউকে (প্রভুত্বে) আমার সমকক্ষ সাব্যস্ত করার জন্য তোমাকে চাপ দেয়, যে সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে তাদের কথা মানবে না। তবে দুনিয়ায় তাদের সাথে সদাচরণ কর। এমন ব্যক্তির পথ অবলম্বন কর, যে একান্তভাবে আমার অভিমুখী হয়েছে। অতপর তোমাদের সকলকে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। তখন আমি তোমাদেরকে অবহিত করব তোমরা যা-কিছু করতে। -লুকমান, আয়াত : ১৫

কুরআনে কারীমের উক্ত আয়াত দুটি থেকে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়, যদি কোনো মুশরিক বাবা-মা তাদের মুসলিম কোনো সমত্মানকে ইসলাম ধর্ম ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলার সাথে শিরক করতে বলে, তাহলে তাদের এ আদেশ কখনো মানা যাবে না। কিন্তু এমতাবস্থায়ও তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে। বাবা-মায়ের হক আদায় করতে হবে।

প্রতিবেশীর অধিকার সম্বলিত যেসকল হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেসবে মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে যে কোনো পার্থক্য করা হয়নি।
.
.
সবার মধ্যে চলছে শ্বাসরুদ্ধকর একটা ডেঞ্জারাস সিচুয়েশন।একটু পর কি হবে তা নিয়ে। অক্সফোর্ড নবীন বরণ ফেস্টিভ্যালে রাণীর মতো করে সেজেছে। সবাই যেমন এনজয় করছে ফেস্টিভ্যাল ঠিক তেমনি উত্তেজনা কাজ করছে কিং ফায়ার vs ক্যান্ডেল এর জন্য।
সেই দিনের পর থেকে কেউ রাতে ঘুমুতে পারেনি উত্তেজনায়।
আগুন কে নবীন বরণ উৎসবে সম্মানিত করা হলো দেশের সেরা মডেল হিসেবে। তার জন্য ভার্সিটির পক্ষ থেকে সন্মাননা দেওয়া হলো। কিং ফায়ার এই বছর ইংল্যান্ডে সেরা মডেল হিসেবে পুরুষ্কার পেয়েছে।এটা ভার্সিটির গর্বের বিষয়।কিং ফায়ার স্টেজে উঠতেই সব মেয়েরা চিৎকার করে উঠলো। সে চোখে সানগ্লাস পড়ে হাতের দুই আঙুল নিয়ে ঠোঁটে টাচ করে মেয়েদের কে ফ্লাইং কিস দিতে লাগলো। তার মতো ড্যাসিং, গুড লুকিং, মারাত্মক স্মার্ট মডেলের জন্য ভার্সিটির মেয়ে পাগল।
.
.
নাচ-গান হলো, মডেল কিং ফায়ারের মডেলিংও হলো। কিন্তু মোম এলো না । সবাই ভেবেছে ভয়ে মোম নিজ দেশে ফিরেছে। সকাল থেকে কাশফিয়া আর ক্যারলও মোম কে দেখছে না। মোম কি সত্যি চলে গেলো?
নবীন বরণের শেষ সময়ে মোম এলো।সবাই চমকে গেলো। মেয়েটার সাহস আছে সবাই গুনজন করছে। মোম আসতেই তার উপর বিশেষ আলো জ্বলে উঠলো। অজস্র ফুল তার উপর পড়লো।
ওয়েলকাম ওয়েলকাম বলে আগুন এগিয়ে এলো মোমের কাছে। উৎসবে আসা স্টুডেন্টের নজর তাদের দিকে।
মোম খুব শান্তশিষ্ট ভাবে আগুনের সামনে দাড়িয়ে আছে। (অনুবাদ)
-হ্যালো বেবি। ভেবেছিলাম তুমি আসবেনা।ভয়ে নিজ দেশে পালিয়েছো। তুমি তাহলে হার মেনে নিয়েছো?
গুড গুড, হার মেনে নিয়ে, নিজের ভুল গুলো শুধরে আসল কাজ গুলো করো। যেন সবাই বুঝতে পারে তুমি না জেনে ভুল করেছো। আজ তোমার চাপ্টার শেষ লিটল এঞ্জেল। আমি শান্তিতে ঘুমুব। আজ তোমার অনারে পার্টি আছে। অবশ্যই এটেন্ড করবে।
মিডিয়ার লোকেরা অক্সফোর্ডের ফেস্টিভ্যালে ক্যামেরা নিয়ে এসে ভিডিও করছে। এতো বড় ফেস্টিভ্যাল বলে কথা। সমস্ত চ্যানেলে লাইভ দেখানো হচ্ছিল।
আগুন বলল- প্রথমে পায়ে পড়া, তারপর হাগিং কিসিং হা! হা!হা! কি বলো?
ঠাস করে একটা আওয়াজ হলো। সবাই চমকে উঠলো।
আগুনের গালে আবারও মোম থাপ্পড় মারলো। সবাই হা করে তাকিয়ে আছে আগুনের দিকে। নতুন অবুঝ মেয়েটা কি করো? প্রথম বার ভুল করেছে বাট এবার কি করলো? মেয়েটা কি পাগল? বার বার বাঘ কে জাগিয়ে দিচ্ছে কেন? মেয়েটা আজ গেলো।
মোম বলল (অনুবাদ)- আমি মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কারও সামনে ঝুঁকিনা। আমি কোন ভুল করিনি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছি মাত্র! আমার একটা আচরণের দিক হচ্ছে প্রচন্ড জেদ, আমি আল্লাহ তায়ালার এবং প্রেমের প্রিয় নবী (সাঃ) এর আদেশ ছাড়া কারও আদেশ মানিনা।আমি যেটা চাইনা সেটা আমাকে দিয়ে কেউ করাতে পারেনা।এটাই আমার জেদ। আগুনের মনে হলো সে জলন্ত অগ্নিগিরিতে দাড়িয়ে আছে। তার ক্রোধের আগুনে শরীর পুড়ে কয়লা হচ্ছে! সব লিমিড ক্রসিং করেছে মোম।
মোম আবারও বলল-(অনুবাদ) আগে ডান গালে দিয়েছিলাম, এখন বাম গালে দিলাম। এবার তো নিজেকে শুধরে নিন। নাকি আরও কয়েকটা লাগাব গালে?
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here