পবিত্রতার_ছোঁয়া পর্ব ১৬

#গল্প :#পবিএতার_ছোঁয়া
#পর্ব :#16(বোনাস)
#লেখিকা:#জাবিন_মাছুরা [ছদ্মনাম]

_____________________________________

তাহসিন :তোমার শাস্তি। তুমি রাফির কাছে থেকে কেন চকলেট নিতে। আবার চুমুও দিতে,,,

আমি: তখন তো আমি ছোট্ট ছিলাম,,,,,

তাহসিন : দিতে পারি তবে এক শর্তে।আমাকে,,,

আমি : আপপনেকে? [ভয় পেয়ে]

তাহসিন : কিছু না,,, সময় হলে চেয়ে নিব,,, দিবে তো,, [বাঁকা হেঁসে]

আমি: হুম,,,[ভয়ে]

তাহসিন : ওকে,,, চকলেট গুলো তোমার। যদি অন্য করো কাছে থেকে কোন দিন যদি চকলেট নিতে দেখছি রে মিহু,,

আমি: ঠিক আছে।কারো কাছে থেকে কিছু নিবে না,,,

তাহসিন :গুড, এখন পড়া বের করো,,

আমি পড়া বের করে পড়তে লাগলাম,,,

তাহসিন : মিহু,

আমি: জী,

তাহসিন : ছোট্ট মানুষ ছোট মানুষের মতো থাকবে।

আমি: আমি আবার কি করলাম,, [মনে মনে]

তাহসিন : আমি জানতে পেরেছি তিথি রিলেশনে আছে। সো আমি চাই তুমি ওসব পাকা মেয়েদের সাথে মিশবে না,,

আমি:স্যার কিভাবে জানলো[মনে মনে]

তাহসিন : বুঝতে পেরেছো?

আমি : হ্যাঁ, কিন্তু কেন? [ভয়ে]

স্যার আমার দিকে হালকা রাগী দৃষ্টিতে তাকালেন,,,

আমি: সরি স্যার।

তাহসিন : কারন হলো তিথিদের সাথে মিশলে তুমি খারাপ হয়ে যাবে। তোমাদের কি রিলেশনে যাবার বয়স হয়েছে। তাছাড়া আমি রিলেশন পছন্দ করি না।

কথাগুলো বলে স্যার ফোন স্ক্রোল করতে লাগলেন, আমি সারের দিকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাকিয়ে দেখছি।এই লোকটা এমন কেন?

পড়ানোর সময় হটাৎ স্যারের ফোন এলো।

তাহসিন :হ্যাঁ আসছি,,

আমি : স্যার কার সাথে কথা বললেন?

তাহসিন : তোমাকে বলার আমি প্রয়োজন বোধ করছি না।

বলেই চলে গেলেন।

স্যার চলে যাবার পর আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আমি যখনি তাকে ভালো বলতে চাই, তখনি সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি কি এমন দোষ করেছি। আর তিথির সাথে মিশতে কেন সে নিষেধ করে কেন। এত তাড়াতাড়ি কালকে রাতের কথা ভুলে গেলেন। আমার কষ্টটা বুঝলো না। আপনি অনেক খারাপ,,,

||

রিনা: হ্যালো,, রিমি সাংঘাতিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে,,

রিমি: কী হয়েছে ফুপি,,

রিনা: তুই কি মিহু নামের কোন মেয়েকে চিনিস?

রিমি: হ্যাঁ ফুপি, কিন্তু কি হয়েছে?

রিনা: তাহসিন ওকে বিয়ে করেছে?

রিমি: কিইই?

রিনা: হ্যাঁ রে রিমি, রাগ করিস না। আমি সব ঠিক করে দিব,,

রিমি :অসম্ভব ।হতে পারে না। তাহসিন শুধু আমার।,,, [রেগে গিয়ে]

রিনা: রিমি শান্ত হ,,

রিমি: ফুপি,, আমি কীভাবে শান্ত হব। তাহসিনকে দেখলে মনে হয় না এমন কিছু করতে পারে কিন্তু ও যে ডুবে ডুবে জ্বল খায় সেটা আমি বুঝতে পারি নি,, [রেগে]

রিনা: আমি ও তো বুঝতে পারি নি। চিন্তা করিস না,,, কালকে আমার সাথে দেখা করবি। ফোনে সব কথা বলা যায় না।

কথা শেষে রিমি বিছানায় ফোন ছুড়ে মারল,। আর বলতে লাগল,,,,,

রিমি: তাহসিন তুমি ঠিক করলে না। কি আছে ওই পিচ্চি মেয়ের মধ্যে যা আমার মধ্যে নেই। তাহসিন তোমাকে এর শাস্তি পেতেই হবে,, [ চিৎকার করে]

||

আমি খাচ্ছি কিন্তু খেতে ভালো লাগছে না। মনটা খারাপ লাগছে। তাই অল্প খেয়ে যখনি ঘরে আসব তখনি,,,

আম্মু : মিহু তোর কি হয়েছে? মুখটা শুকনো লাগছে কেন?

আমি : কিছু হয় নি,,

আম্মু : দেখ মা বাবা মায়ের কাছে থেকে কিছু লুকাতে নেই। মা বাবা মুখ দেখলে বলে দিতে পারে মেয়ের কেমন লাগছে। বল না মা কি হয়েছে?

আমি:কিছু হয়নি তো,,,

আম্মুকে বেশি কথা বলতে না দিয়ে ঘরে চলে এলাম।
আমার খুব খারাপ লাগছে। কান্নাই চলে এলো। স্যার আপিনে অনেক পচা,,, বেশি কিছু না ভেবে শুয়ে পড়লাম কিন্তু কিছুতেই ঘুম পাচ্ছে না,,

||

রাত বারোটার দিকে মনে হলো যে কেউ আমার কানের কাছে এসে বলছে,,

তাহসিন : সরি বউ,, [ফিস ফিস করে]

আমার কন্ঠস্বর চিনতে আর ভুল হলো না আমি সাথে সাথে উঠে বসলাম। স্যারের মুখে বউ ডাকটা শুনে সারা গা কাঁটা দিয়ে উঠলো। আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি,,

তাহসিন : বউ আমার না প্রচুর মাথা ব্যাথা করছে। কালকের মতো মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিবে? [ছোট্ট বাচ্চাদের মতো]

আমি কাছে সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। স্যার,,,,
(#চলবে)

[দিলাম বোনাস পর্ব , আপনারা খুশি তো। রাতে আরেকটা পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো কেউ অপেক্ষা করবেন না]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here