পাওয়া না পাওয়া সুখ পর্ব -০৩

#পাওয়া_না_পাওয়া_সুখ
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৪

[৬]
রান্নাঘরের ভ্যাপসা গরমে ঘাম চুইয়ে পড়ছে নীহার শরীর বেয়ে। সুতি শাড়ির আঁচল দিয়ে কপাল, গলার ঘাম মুছে নিলো। বাড়ীতে আজ মেহমান আসছে। নাফিজ একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরী করে। সেখান থেকেই তার সহকর্মীরা আসছে নাফিজের বউ দেখতে। বিয়েতে তো কাউকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি, তাই এখন খাওয়া ও হবে বউ দেখাও হবে। নীহার শাশুড়ীর শরীরটা আজ বিশেষ ভালো নেই। বড়সড় রান্নাগুলো নিজ হাতে চড়িয়ে দিয়ে সব দায়িত্ব নীহার কাঁধে দিয়ে দিলেন। সাথে সাহায্য করার জন্য সুফিয়া আছে। তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। মায়ের শরীর খারাপ ব্যাপারটা নাফিজের কানেও পৌঁছে গেছে। তাই রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে একবার জিজ্ঞেস করে গেলো কোনো সাহায্য লাগবে কিনা?

নীহা মৃদুস্বরে উত্তর দিলো,

-“পারবো আমি।”

সাথে সুফিয়াকে দেখে আর দ্বিতীয়বার কিছু জিজ্ঞেস করলোনা নাফিজ। মেহমান চলে এসেছে। নাফিজ তাদের আপ্যায়ন করে যাচ্ছে। নীহা ফল কে’টে নাস্তা রেডি করে দিলো। নাফিজ সব টেবিলে নিয়ে রাখছে। সবাই যখন ভাবী দেখতে চাইলো নাফিজ রান্নাঘরে এসে একপলক তাকালো নীহার দিকে। চোয়াল ঘেমে নেয়ে একাকার, এলোমেলো চুলের খোঁপা ঢিলে হয়ে ঘাড়ে এসে থেমেছে। আগুনের কাছে থাকায় হলুদ ফর্সা গালে আরক্তিম আভার দেখা মিললো।
নীহা মাথায় কাপড় দিয়ে সামনে যাওয়া ধরতেই নাফিজ থামিয়ে দিলো।

-“আপনি বরং একেবারে ফ্রেশ হয়ে আসুন। রান্নাঘর থেকে বের হয়েছেন, ফ্রেশ হলে আপনার ও ভালো লাগবে।”

নীহা খানিকটা কষ্ট পেলো। ভাবলো রান্নাঘরে থেকে নিশ্চয়ই তাকে কুৎ’সিত দেখাচ্ছে। তাই নাফিজ তাকে সবার সামনে যেতে দিচ্ছে না। চুপটি করে ঘরে চলে গেলো।
অথচ নাফিজ এমন ভাবনা থেকে কিছুই বলেনি।
নীহা একেবারে গোসল সেরে পরিপাটি হয়ে আসলো। বেশির ভাগই পুরুষ এখানে। নীহা হাসিমুখে সবার সাথে আলাপচারিতা শেষ করে দুপুরের খাবার দেয়ার জন্য সব রান্নাঘর থেকে নিয়ে আসছে। নাফিজ কলিগদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। একজন বলে উঠলো,

-“ভাই ভাবীতো সেই একখান পাইছেন। এই জন্যইতো বলি আমাদের একনাম্বার নাফিজ ভাই দুইনাম্বার ভাবি নিয়ে টা’না’টা’নি করে কেনো?”

নাফিজের হাস্যমুখর চেহারায় আঁধার নামলো। ক্রমশ চোয়াল শক্ত হয়ে আসলো।

লোকটি আবার ও বলল,

-“ভাবীর উপরি রূপ দেখেই কি পা’গল হয়েছেন,নাকি চারমাসে আরও অনেক কিছুই দেখেছেন?”

নীহার পা জোড়া থেমে গেলো। ছিহ! নিজের সম্পর্কে আর কি কি শুনতে হবে? সম্পর্কটা তাকে কতটা নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। নাফিজ উচ্চবাক্য করতেই নীহাকে চোখে পড়লো। মেয়েটা নিজের সমন্ধে এসব আ’জে’বা’জে কথা শুনলে কষ্ট পাবে। তাই আপাতত অফ গেলো নাফিজ। নাফিজের সাথে চোখাচোখি হতেই খাবারের বাটি রেখে রান্নাঘরে ঢুকলো নীহা। সুফিয়াকে বলল,

-“তোমার ভাইয়াকে সাহায্য করো, আমার শরীর খারাপ লাগছে।”

ঘরে চলে গেলো নীহা। এখন তার ঘরটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে থাকতো নাহিদের ঘরে আর এখন নাফিজের ঘরে। খাটে বসে চোখ বন্ধ করে নিলো। ভেতরে এক সুপ্ত কষ্ট অনুভব হচ্ছে। ভালোবাসা শুরু হওয়ার পূর্বেই তৈরি হলো এক সূক্ষ্ম অভিমান। লোকটির সামনে তাকে নিয়ে বা’জে কথা বলল। অথচ লোকটি নির্বিকার। চোখ ফেটে গড়িয়ে পড়লো একফোঁটা জল। ও তো তু’চ্ছ একটা মানুষ। দয়া করে দায়বদ্ধতা থেকেই তাকে বাড়িতে স্থান দিয়েছে। এত এত আশা করা বোকামো ছাড়া কিছুই নয়। লম্বা চুলের খোঁপা খুলে বালিশে চুল ছড়িয়ে শুয়ে পড়লো নীহা। যদি ঘুমিয়ে যেতে পারতো, শান্তির ঘুম। আহা! কতইনা ভালো হতো। সবার উপর থেকে বোঝা নেমে যেতো। অভিমানগুলো আরেকটু পাকাপোক্ত হলো।

নীহাকে না দেখে নাফিজ সুফিয়াকে ওর কথা জিজ্ঞেস করলো। সুফিয়া জানালো,

-“ভাবীর নাকি শরীর খারাপ। তাই ঘরে চলে গিয়েছে।”

নাফিজ আর ঘাটালোনা। মেহমান বিদায় দেওয়ার মুহূর্তে ঘর থেকে বের হয়ে নাফিজ সেই লোকটিকে উদ্দেশ্য করে শক্ত কন্ঠে হেসে বলল,

-“বাহার ভাই, সবসময় নিজ মর্জি মতো অন্যের চরিত্র বিচার করবেননা।”

বাহার লোকটি দাঁত বের করে হেসে বলল,

-“আরে ভাই, মজা করলাম। ভাবীদের নিয়ে একটু আধটু মজা সবাই করে।”

নাফিজের চোয়াল কঠিন হয়ে আসলো। উচ্চ কন্ঠে বলে উঠলো,

-“নাহ ভাবীদের নিয়ে মজা করার অধিকার আপনার নেই। আমার স্ত্রীকে নিয়ে মজা করার অধিকার আপনাকে আমি দেইনি।”

বাহার ভড়কে গেলো। তবুও নিজের দাপট দেখাতে ঘাড় বাঁকা করেই জবাব দিলো,

-“ভাবটা এমন যে আর কারো বউ নেই। পেয়েছেন তো দুইনাম্বার জিনিস। আবার এতটা তেজ দেখাচ্ছেন।”

নাফিজ এতক্ষণ যথেষ্ট শান্ত থাকার চেষ্টা করেছে। আর পারলোনা। ঝাপিয়ে পড়লো বাহার লোকটির উপর। নাকেমুখে কয়েক ঘা লাগিয়ে দিলো। অন্যান্য কলিগরা অবস্থা বেগতিক দেখে দুজনকেই ছাড়িয়ে দু’দিকে দাঁড় করালো। দুজনকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে সবাই মিলে চলল নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে। এই বুঝ টুকু আরেকটু আগে দিলে হয়তো এতটা ঝা’মে’লা হতো না।
নাফিজ প্রথমেই নিজের ঘরে গেলোনা। বসার ঘরে বসে থেকে আগে নিজেকে শান্ত করলো। নিজেকে ধাতস্থ করে ঘরে ফিরলো। পায়ের শব্দ পেয়ে ক্রন্দনরত নীহা চোখ বুঝে ফেললো। নাফিজ নীহার দিকে তাকিয়ে থেকে উপলব্ধি করলো নীহা ঘুমিয়ে নেই। তার চোখের কোনে পানি জমে আছে। খানিক বাদে বাদে শরীর মৃদু কেঁপে উঠছে। তাহলে কি নীহা নিজের ব্যাপারে বলা কথাগুলো শুনে ফেলেছে?
নাফিজের ভেতরটা তীব্র অপ’রাধবোধে বি’ষিয়ে গেলো। তার ও তো কোনো দোষ নেই।

[৭]
দুপুরের পর অন্তিক একবার মোড়ের দোকানে গিয়ে বসলো। সাথে তার জেঠাতো ভাই বাদশা উপস্থিত। রং চায়ে চুমুক দিতে দিতেই একে অপরের সাথে কথা বলছে। বাদশা অতি দুঃখের সাথে জানালো,

-“অন্তিক, ভাইতো এতিম হয়ে গেছি।”

অন্তিক অবাক হওয়ার ভান করে বলল,

-“কি বলো ভাই? জেঠা-জেঠি তো বেঁচে আছে।”

বাদশা কন্ঠে আরেকটু দুঃখ ঢেলে দিয়ে বলল,

-“তোর মর্জিনা ভাবি তো আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। তার যাওয়ার দুঃখে আমাদের যে ক্ষেত আছে না? সেখানে বড় বড় তিনটা গরু খাইয়েছি।”

অন্তিক ঠোঁট চেপে হেসে বলল,

-“দাওয়াত দিলেন না ভাই? আপন চাচাতো ভাই হই আপনার।”

বাদশা বলল,

-“না না ভাই। মিলাদে কেউ আসেনি। মর্জিনা একা একাই তিনটা গরু খেয়েছে।”

বাদশার কথা শুনে চা দোকানিও খিটখিটিয়ে হেসে উঠলেন। অন্তিককে উদ্দেশ্য করে বললেন,

-“এবারের বউটাও নাকি ওরই মতো আধ পা’গল।”

অন্তিক দুজনের চায়ের বিল মিটিয়ে হাঁটা ধরলো বাড়ির উদ্দেশ্যে। প্রেমা, অভীক, ওর আরও দুজন চাচাতো বোন সহ ওরা কোথায়ও যাচ্ছে মনে হচ্ছে। অন্তিক সাথে যোগ হলো।

-“কোথায় যাচ্ছিস দলবেঁধে?”

অভীক জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলল,

-“ক্ষেতগুলোতে পানি জমেছে। মাছ ধরবো নৌকা নিয়ে। তুমি যাবে নাকি?”

-“যাওয়ায় যায়, চল।”

পাঁচজন মিলে ছোট্ট একটা নৌকায় উঠলো। নৌকা কিছুদূর যেতেই অভীক জাল ফেললো। খুব একটা মাছ উঠলোনা। এরপর অন্তিক জাল ফেললো। সবার শেষে প্রেমা জাল ফেলতে গিয়ে জাল সহ পানিতেই প’ড়ে গেলো। অন্তীক নৌকা কিছুদূর নিয়ে গেলো।
প্রেমা চেঁচিয়ে বলল,

-“আমাকে তোলো।”

অভীক খিলখিলিয়ে হাসলো।
-“খাইশটা মহিলাদের এই অবস্থায়ই হয়।”

সাথে অন্তিক যোগ দিলো।
-“তুই যেই চাকরীতে যোগ দিতে চাচ্ছিস সেখানে সাঁতার জানা খুবই জরুরি। নয়তো প্রথমেই বাদ পড়বি। তুই বরং সাঁতার কা’টা শিখে নে।”

প্রেমা আত’ঙ্কিত চোখে চারপাশে তাকিয়ে বলল,
-“আমি সাঁতার জানি। প্লিজ এই পানিতে জোঁক আছে। আমাকে তোলো।”

অন্তিক দেরি করলোনা। নৌকা ঘুরিয়ে নিলো। অভীক হাত টে’নে উঠিয়ে নিলো প্রেমাকে। নৌকার শেষমাথায় পাটাতনে পা গুটিয়ে মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো প্রেমা। যদি সত্যি সত্যি জোঁকে ধরতো? অভীক নৌকা চালাচ্ছে। অন্তিক প্রেমার পাশে এসে বসলো। মাথায় হাত রেখে নরম গলায় বলল,
-“রাগ করেছিস?”

প্রেমা মুখ ঘুরিয়ে নিলো। অন্তিক অভীককে উদ্দেশ্য করে বলল,
-“অভীক, কেউ রা’গ করলে কি করা উচিত?”

অভীক বাঁকা হেসে উত্তর দিলো,
-“তাকে আবার ও পানিতে চু’বানো উচিত।”

মাছের বালতি প্রেমার সামনেই ছিলো। একটা মাছ নিয়ে অভীকের মাথায় ছুঁ’ড়ে মা’রলো। অন্তিক হু হা করে হেসে উঠলো। এবার পুরো বালতির মাছই পানিতে ফে’লে দিলো প্রেমা। সবাই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।

নীহার মন ভালো করতে বিকেলেই নাফিজ বলল,
-“তৈরি হয়ে নিন। আমরা বের হবো।”

নীহা শক্ত কন্ঠে বলল,
-“ভালোলাগছেনা, আমি যাবেনা।”

নাফিজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঠান্ডা গলায় বলল,
-“সুফিয়া ও সাথে যাচ্ছে। ওর নাকি ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে। আর আপনি না গেলে ও যাবেনা।”

নীহা আর কথা বাড়ালোনা। তৈরি হতে চলে গেলো।

মি’থ্যে কাজে লেগেছে ভেবেই প্রশান্তির শ্বাস ফেললো নাফিজ। এরপর ছুটলো সুফিয়ার ঘরে। সুফিয়াকে যাওয়ার কথা বলতেই সে যাবেনা বলে দিলো। ভাই ভাবীকে স্পেস দেওয়া দরকার।
নাফিজ বলল,
-“তুই না গেলে তোর ভাবী যাবেনা।”

সুফিয়া ও রাজি হলো। এক মি’থ্যে দিয়ে দুজনকেই পটিয়ে নিলো। বাড়ি থেকে অনেক দূরে নতুন একটা জায়গা তৈরি হয়েছে। যেখানে ঘোরাঘুরি, খাওয়ার ব্যবস্থা সবই আছে। মূলত পার্ক বলা চলে। সেখানেই নিয়ে গেলো সুফিয়া আর নীহাকে। সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখে সুফিয়া বায়না ধরলো বোট এ উঠবে। যেগুলো উপরে ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হয়। নৌকার এক অংশ উপরে তো অপর অংশ মাটি ছুঁই ছুঁই। তিনটে টিকিট কে’টে নাফিজ উঠে পড়লো। সে মাঝখানেই বসেছে। সুফিয়া, নীহা দুপাশে। নৌকা চালনা শুরু হওয়ার পরই যারা ভ’য় পায় তারা চোখ বন্ধ করে চিৎ’কার শুরু করলো। সুফিয়া ও চোখ বন্ধ করে শক্ত করে সামনের রড ধরে রেখেছে। নীহা দুপুরের জ’ঘ’ন্য কথাগুলো ভাবছে। চোখবুঁজে নিলো ঠিকই,কিন্তু রড ছেড়ে দিলো। তারা যে মাথায় বসেছে সে মাথা উপরে উঠে যেতেই পড়ে যাওয়া ধরলো নীহা। নাফিজ একহাতে রড ধরে অপর হাতে নীহাকে চেপে ধরলো নিজের সাথে। তড়াক করে উঠলো নীহা। এক্ষুনি কি হয়ে যেতো? সামনে ব্যালেন্স রাখার জন্য রড ধরে নিলো। নাফিজ ওকে ছেড়ে সোজা হয়ে বসলো। ওর ভেতরে দ্রিম দ্রিম হাতুড়ি পে’টার শব্দ হচ্ছে। এক্ষুনি মেয়েটা প’ড়ে যেতো।

আর বেশি ঘোরাঘুরি করলোনা। সন্ধ্যার পরই খেয়ে বাসায় ফিরলো তিনজন। নীহার অবস্থার তেমন একটা পরিবর্তন হলোনা।

সারারাত্রি নিদ্রায় কাটিয়ে দর্শন দিলো সূর্য। মিটিমিটি চোখে তাকিয়ে তাপ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। মইফুলের শরীরটা ভারী হয়ে আসছে। তাই সকালে ব্যায়াম করার উদ্দেশ্য বের হলেন। রাস্তায় আরও অনেকেই আছে। যাদের ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগ আছে, ব্যায়াম করতে বের হয়। সাতটা বেজে গেলো অথচ অন্তিকের বাবা তার স্ত্রী মইফুলকে খুঁজে পাচ্ছে না। হাঁটতে হাঁটতে কিছু মহিলাকে জিজ্ঞেস করলো,

-“ভাবী, আমার স্বর্ণের কুমড়া’কে দেখেছেন?”

মহিলাগুলো মুখ টিপে হাসছেন। পেছনে মইফুল ছিলেন। অন্তিকের বাবা খেয়াল করেনি। একজন মহিলার ইশারায় পেছন ঘুরতেই দেখতে পেলো তার স্বর্ণের কুমড়ার চোখজোড়া টলটলে, অভিমানে নাকের পাটা ফুলে উঠেছে। টুপ করেই অশ্রু বর্ষণ হবে।
মইফুল হাঁটা ধরলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। পেছন পেছন তার স্বামীও আসছে। মইফুল মনে করেন তার স্বামী সর্বদা তাকে নিয়ে ঠা’ট্টা করার পরিকল্পনা এঁটে থাকেন। মোটা বলে তাকে স্বর্ণের কুমড়া উপাধি দিলেন।

মইফুল বাড়ি ফিরে আসলেন। অন্তিকের বাবা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া একটা মেয়েকে দেখে বলল,

-“এদিকে আয়।”

মেয়েটা আসছেনা দেখে অন্তিকের বাবা হেসে উঠে নরম কন্ঠে আদুরে ভঙ্গিতে বললেন,

-“দাদা কিছু করবোনা। এদিকে আয়।”

যেই মেয়েটা কাছে আসলো অন্তিকের বাবা খা’মছি দিয়ে মেয়েটির কপাল থেকে মাংস সমেত টিপ তুলে নিলো। ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,

-“মক্তবে কেউ টিপ লাগিয়ে যায়? এক চ’ড় মারবো।”

মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে না’লিশ করলো,

-“মা, মা, কু’ত্তার পয়দা দাদা আমাকে খা’মছি মেরে মাংস তুলে ফেলেছে।”
#চলবে………

(জ্বর থাকায় গল্প আসতে দেরি হয়েছে। হ্যাপি রিডিং।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here